গল্প : আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না !!!
Writer : Tannoy(পিচ্ছি ফাজিল) !!!
শোন তন্নয় কোনদিন কোন মাইয়ার
দিকে তাকাবি না, আর হ্যা বিয়ার
কথা কইলে হালার পো তোরে লাত্তি
দিয়া মাইরা ফালামু, আজ কাল এর
কোন মাইয়ার বিশ্বাস নাই বুঝলি
ভাই,
– ওই কার সাথে কথা বলছিস, (সজিব)।
– তন্নয় এর সাথে।
– ওই তন্নয় তো তুই আবার কোন তন্নয়
আইল।
– আমার লগেই আমি কথা কই তোর
কোন প্রবলেব হুমমমম।
– না ভাই কোন প্রবলেম নাই , তুই
যার সাথে পারিস কথা বল।
– হুমমমম, এখন চোখের সামনে থেকে
দূর হ ।।
সজিব চলে গেল,
আসলে আমি নিজেই
নিজের সাথে কথা বলছিলাম ।
আমি জানি আমার পরিস্থিতি তে যেই
পোলা থাকুক না ক্যান সিওর মইরা
যাইত।
না হলে সিওর কোন নেশার মধ্যে
ঢুইকা যাইত।
দূর থাক না থাক যে যার মতো থাকুক
আমার কীইইই, আমি আমার
মতো করেই থাকমু।
কিন্তুু খুব ভালবাসি যে ওকে,
খুব ভালবাসিটা কাকে।
১ বছর আগের কথা।
– সাইকেলটা নিয়ে নদীর পারে ক্রিকেট
খেলতে যাইতেছি, আমার প্রতিদিনের
কাজ বাঁদরের মতো ছুঁটে চলা।
যেদিন ও সাইকেলটা নিয়ে ছুঁটতেছি।
হঠাৎ থমকে দাঁড়ালাম ও মা গো
এইটা মেয়ে নাকি সোজা চাঁন্দের দেশ
থেকে নেমে আসছে ।
কীইইই সু্ন্দর চুল গুলা বাতাসে উঁড়তেছে
হেঁটে হেঁটে আসছে, সাথে আরো দুই তিনটা
মেয়ে আছে।
ফোনটা বেঁজে উঠল।
– ওই সালা তুই কই, (সজিব)
– ভাই আমি পুরা হাঁরাই গেছি রে
জীবনে এমন মেয়ে দেখি নাই।
ঐ আমি তোর সাথে কথা কইতাছি
ক্যান, ফোন রাখ সালা।
হায় হায় আল্লাহ মেয়েটা কই গেল
,ঐ তো মেয়েটা, বলেই সাইকেল
নিয়ে দৌড় দিলাম।
ওদের পিছন পিছন যাইতেছি, আহা কীইইই
সু্ন্দর করে হাঁটে।
ও মা গো পইড়া গেছি, আউউউউ হাত
কেঁটে গেছে।
তবু মাইয়াটা তাঁকাইল না।
পিছন পিছন যাইতে যাইতে বাড়ির ঠিকানা
পাইয়া গেছি।
আহা কত সুন্দর কইরাই না আল্লাহ তারে বানাইছে, কিন্তুু দেখে মনে হইতেছে আমার
থেকে বড় হবে।
দূর বড় হলে হোক কিন্তুু এ মেয়েই আমার
চাই।
বাসাই চলে আসলাম,
– পড়তে মন বসছে না, হি হি আসলে
আমি কোনদিন পড়ছি কীইইই না মনে
পড়তেছে না।
না সজিবরে ফোন দিয়া বাইরে আসতে কই।
– দোস্ত কই তুই।
– বাসাই আব্বার বকা খাইতেছি।
– হুমমমম ভালা এখন বাইরে চলে আয়।
– ঐ সালা একটু আগে হেব্বি বকে গেছে
আব্বাই।
– কীইইই রে ভাই একটু বকার জন্য আমারে
ভুইলা গেলি ওকে মনে রাহিস।
– ঐ সালা ওকে আসতেছি।
– হি হি একটু ইমোশনাল ব্লাক মেইল
করলাম আর কীইইই।
হায় হায় আমি বাইরে যামু কেমনে
আমার বাপে তো বারান্দাই বসে আছে,
ওকে কোন প্রবলেব নেহি।
একটা বই নিয়া আব্বার সামনে গিয়ে
বললাম আব্বা আমি রাসেল দের বাসাই
গেলাম,
– হুমমমম যা।
– আসলে মনে রাসের সেই ভালা স্টুডেন্ট
আর ওর কথা কইলে কোন কইফিয়ত
দেওয়া লাগবে না।
এই তো চলে আসছি।
– বন্দুরে কী যে দেখলাম যানিস।
– কীইইই দেখছস।
– একটা মেয়ে সে কী রূপ, কী সু্ন্দর করে
হাঁটে।
– নাম কীইইই।
– আরে সালা মাত্র আজকে দেখছি।
– এতেই এত দূর।
– যারে ভাল লাগে তারে একবার দেখাতেই
লাগে সালা মনছুর।
ভাই আমার আবার ওরে দেখতে চাপছে।
– কীইইই এতো রাতে, লাত্থি খাবি সালা কুত্তা।
এই রাতে পাবি কই।
– ভাই বাড়ি দেখে ফেলছি, যামু দেখমু আর
চইলা আসমু কেমুন। চল না ভাই।
– কীইইই যে বিপদে ফেলবি আল্লাই যানে,
– হি হি চল এখন যাই।
ওই তো বাড়ি দেখা যাইতেছে,
তুই এখানে থাক আমি চট করে গিয়া ফট করে
দেখে পট করে চলে আসমু।
ধীরে ধীরে পাঁচিল টপকে নিচে নামলাম,
হায় হায় এখন কেমনে চিনমু কোনটা ঘর।
দূর ক্যান যে কিছু না যেনেই চলে আসলাম,
না.. আসছি যখন দেইখাই যামু।
একটা একটা করে জানালা তে উঁকি দিতে
লাগলাম, দূর কই গেল আমার স্টবেরিটা।
আর একটা জানালাই উঁকি দিতেই দেখি
আমার স্টবেরি আর কে যানি দাবা
খেলতেছি, কেমন মেয়েরে বাবা
আমার থেকে বড় চোর পড়া
শোনা বাদ দিয়া দাবা।
আমার বউ বলে তো কথা আমার
মতো হবে না তো কার মতো হবে হি হি।
জানালাই দিয়া দেখতেছি তো দেখছি।
হঠাৎ কে যেন বলে উঠল।
– জানতাম আপনি আসবেন, আপনার
তখন পড়ে যাওয়া দেখেই বুচ্ছিলাম।
– হায় হায় কেমনে দেখে ফেলল, আমি তো
একদম লুকাই আছিলাম।
না আর লুকাই থেকে লাভ নাই এখন উইঠা
পড়ি।
– ঐ আপনি তো মহা ফাজিল একবার
দেখাতেই চলে আসলেন।
– না মানে ইয়ে এমনি।
– হুমমমম হয়েছে দাবা খেলতে পারেন।
– একটু ভাব নিয়ে বললাম, হুমমমম আমাদের
এলাকার টপ আমি।
– ওয়াও তাি নাকি, তো টপ সাহেব এখন ভিতরে আসেন।
– কেন।
– ঐ না আসলে কিন্তুু চিল্লানি দিব।
– বাচ্চা ছেলের মতো রুমে চলে আসলাম,
না যানি সজিব টার কীইইই অবস্থা।
– ঐ আমি এত্ত বাজে গল্প লিখেন কেন।
– হায় হায় তার মানে মেয়ে আমাকে
চিনে, আপনি জানলেন কেমনে।
– জানি জানি, আর ফের যদি এমন ফালতু
গল্প লিখ না পা ভেঙ্গে দিব।
– আচ্ছা ওকে, আপনি কেমনে জানলেন
আমি জানালার পিছনে।
– ওই যে গল্প পড়ে, বড় আপুদের সাথে
কথা বলতে তো রাতেই যাও তাই না।
গল্প পড়ে একটা থাপ্পড় দিতে মন চায়।
– আমারে আজ এই মেয়ে কী করবে আল্লাই যনে।
– ওই কীইইই ভাব হুমমমম, আমি তোমার বড়
সো আমাকে সম্মান করবা, গল্পের মতো কোন
চালাকী না ওকে।
তো টপ বাবু এসো আমাকে হারাই দেখাবে
ওই মেঘা তুই দরজার কাছে থাকবি,
আমি চেক মিট দেওয়া অবদি আব্বুরে
ডাক দিবি।
– কীইইই কিন্তুু কেন।
– তোমারে প্যাদানি দিবে তাই।
– আচ্ছা আমার অপরাধ কীইইই।
– রাতে একটা মেয়ের রুমে এসে বলছ আপরাধ
কীইইই।
– আল্লাহ কীইইই বিপদে ফ্যালাই লা আমারে,
দেখতে কেমন কিউট, কিন্তুু পুরাই বদমাইশ।
এত্ত চিন্তা নিয়া কীইইই যেতা সম্ভব।
পুরা হাইরা গেছি।
কিন্তুু প্যাদানি খাই নাই,
একটা ওয়ারনিং দিছে, আর ফালতু গল্প লেখা
যাবে না আর তাকে আপু বলতে হবে , যা
বলবে শুনতে হবে।
– আচ্ছা আপু আপনার নামটা তো বলবেন
নাকি।
– আমার নাম তুবা বুঝরা বাঁদর।
আচ্ছা আমি এখন যাই কেমন।
– হুমমমম যা।
– ওরে সালা বাইরে এসে দেখি
সজিব দাঁড়াই আছে, ভাইরে তুই
আমার আগে জন্মে সিওর বাপ ছিলি।
– ওই সালা এত্ত দেরি হইল ক্যান।
– আর কইস না ভাই, আমারে দাবা
খেলাই হারাইছে।
– কস কীইইই রে তোরে হারাইছে।
– হুমমমম রে ভাই মাইয়া তো না যে পুরাই
ডাকাত একটা, আমারে আপু ডাকতে কইছে
কেমুন লাগে ক।
শোন ভাই কালকে থেকে আর ধারে কাছে
যামু না।
এখন বাড়িত চল।
বলে বাড়িত চলে এসে আব্বাই জানতে পারছে
রাসেল দের বাড়িতে যাই নাই তাই আর
এক রাউন্ড দিছে।
পরেরদিন বিকেলে ক্রিকেট খেলতেছি ,
হঠাৎ দেখি জাহিদ ভাই দৌড়াইতেছে
– আরে জাহিদ ভাই দৌড়ান ক্যান।
– এর মধ্যে সামনে তাঁকাই দেখি
তুবা মানে সেই গুন্ডি মেয়েটা।
আমাদের কাছে এসে বলল ঐ তন্নয়
জাহিদ কার নাম বল তারাতারি।
আমি ভয়ে ভয়ে বলে দিছি।
ওমনি আমার হাতে থাকা ব্যাট দিয়ে
দুই চারটা বাড়ি দিছে।
আমরা সবাই হা করে আছি এইটা মেয়ে
নাকি অন্য কিছু।
চলে গেল, একটু পড়ে আবার এসে
আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগল।
কিচ্ছু বলি নাই যদি মাইর দেই।
একটু পড়ে বললাম আচ্ছা আপু জাহিদ
ভাইরে মারলেন ক্যান।
– আর বলিস না ওই সালা আমারে প্রপোজ করছে।
– মনে মনে বল্লাম আল্লাই আমারে বাঁচাইছে,
আচ্ছা আপু এর আগে তো আপনাকে এখানে
দেখি নাই।
– আরে আগে তো আমি ঢাকাই থাকতাম
ফুপির কাছে, এখন থেকে এখানেই থাকব।
– আচ্ছা আমাকে চিনলেন কেমনে।
– কেমনে আবার তোমার সব ফালতু গল্প
পড়ে।
– ওহহহহ আচ্ছা।
– ঐ যা আইসক্রিম নিয়া আয়।
– না মানে আপু আমার কাছে তো মাত্র
৫ টাকা আছে।
– জানতাম আছি, গল্পে ও কিপটামি করিস
এই খানে ও, এই নে টাকা যা নিয়া আয়।
এমন করে চলছিল গুন্ডা আপুর সাথে
আমার পিরিত, না মানে কোনদিন বলি নাই
ভয়ে যদি মাইর দেই।
কিন্তুু আমার অনেক টেনশন হয় এই পরীটাকে
ছাড়া আমি বাঁচব না সিওর।
কিন্তুু বলতে ও পারতেছিনা,
বলার অনের ট্রাই করছি বাট কোন লাভ
হয় নাই, কিন্তুু ও কেমন বুঝে ও না কিছু।
আর আমাকে দিয়ে ও কিছু হবে না।
একটা মেয়ে কাউকে না ভালবাসলে
কেন কারো জন্য এত্ত খবর নিবে।
কত রাতে গিয়ে দাবা খেলছি ইচ্ছে করেই
হেঁরে যাই, কত্ত কিউট করে হাঁসে।
হঠাৎ করে একদিন শুনলাম আপুর নাকি
বিয়ে।
আমার তো যেন দম বন্ধ হয়ে আসছিল কথাটা
শুনে, এক দৌড়ে তাঁদের বাসাই যাই গিয়ে দেখি
সত্যি বিয়ে।
তুবাটা ও কেমন আমাকে কিছু বলল না।
তাহলে কীইইই আসলেই ওর মনে কোন
ভালবাসা ছিল না।
দূর ভাল লাগছিল না।
একটু আগে ও আপুর সাথে কথা হল, হেঁসে
হেঁসে বলল বিয়ে খেতে আসবি কিন্তুু ।
আর কিছুই বলে নি, আর আমার দাঁড়া ও
কিচ্ছু হবে না বলতেই পারলাম না নিজের
ভালবাসা কথা।
রাগে চলে আসছিলাম, কেমন
মেয়ে কিছু বুঝে না।
তাই তো রাগে এমন একা একা
নিজের সাথেই কথা বলছিলাম।
না আর তুবা আপুকে নিয়ে ভাব না যে
যেমন পারে থাক।
কখন যে রাস্তাই ঘুমাই গেছি যানিই না।
হঠাৎ চোখ খুলতেই দেখি
তুবা আপু, উঠতেই ঠাসসসসস
করে একটা চর, পরে আবার
একটা।
– আরে মারতেছ কেন।
– ওই হারামি কিছু না বুঝেই উল্টা পাল্টা বলতেছিলি কান কাল রাতে।
– ওই তোমারে কে বলছে।
– সজিব।
তুই একবার ও আমাকে ভালবাসার কথা
বলছিস।
– আরে ভয়ে বলতে পারি নাই তো।
আবার ঠাসসসস।
তা হলে মেয়েদের নিয়ে উল্টা পাল্টা কথা
ক্যান বলছিলি।
– কারণ তোমরা মাথা মোটা।
আবার ঠাসসসস।
ওই এত মারো কেন, যাও না যাও আজকে
তো তোমার বিয়ে।
– ওই কুত্তা একবার ও বলছি আমার বিয়ে হুমমমম।
– ও মা তাই তো আমি তো ভাবছি তোমার
বিয়ে।
– তাহলে ভাব কে মাথা মোটা, আরে আমার
বড় আপুর বিয়ে গাধা।
– কীইইই, তার মানে আমি শুধু শুধু মরতে
যাইতেছিলাম।
আবার ঠাসসসসসসস।
এত্ত মারো কেন।
– কারণ তুই একটা গাধা, তোর কিছু হলে
আমার কীইইই হবে শুনি।
এখনই প্রপোজ করবি নয় তো।
ওকে ওকে।
আমার বউ হবা আপি।।
এবার আবার।।।
না না চর না পাপ্পি দিছে হি হি।
আল্লাই যানে আবার কোন বিপদে
পড়লাম।
আজকেে মতো টা টা।।।। হি হি হি।।।।
>>সমাপ্ত< < >>The