গল্প– আত্মা_নাকি_সে ?? ( পর্ব -০২)

1
7633

গল্প– আত্মা_নাকি_সে ?? ( পর্ব -০২)

লেখক– #Riaz_Hossain_imran ( জ্বীনরাজা)
******************
মনের ভূল ভেবে আবার গোসল করায় মন দেয়।এবার তাকে চমকে দিয়ে ইলেক্ট্রনিক চলে যায়।তানিয়া বিরক্ত হয়ে মনে মনে ভাবে, গ্রামের এই সমস্যা যে কখন ঠিক হবে”।
এরপর অন্ধকারেই সে গোসল করতে থাকে, এবার পুরো স্পস্ট খেয়াল করে ওর পিছন থেকে কেও তকে জড়িয়ে ধরে স্তনে হাত দিয়ে রেখেছে।তানিয়া ভয়ে চিৎকার দিতে যাবে,কিন্তু ওর মুখ থেকে কোনো শব্দ বের হচ্ছিলোনা……

তানিয়া ওর সমস্ত শক্তি দিয়ে নিজেকে ছাড়ানোর চেস্টা করেও পারছেনা ছুটতে। তখনি তানিয়ে বরাবরের মতো আবার অনুভব করে,ওর পিছনদিক থেকে কেও এবার পুরোপুরি ভাবেই জড়িয়ে ধরেছে।এবার তানিয়া আর ছটফট করেনি।কারণ এই স্পর্শ তাকে উত্তেজিত করে তুলছে।তানিয়াও উত্তেজনায় নিজেকে হেলে দিচ্ছে সেই অন্ধকারের ছায়ামূর্তির দিকে।কেনো সে এমন করছে,কেনো এক অজানা আচেনা স্পর্শটা তার কাছে খুবই ভালোর প্রভাব ফেলছে,এর উত্তর তানিয়ার কাছে নেই। এমন সময়েই তানিয়া বুঝতে পারে, ওর পিছনদিক দিয়ে কোনো দন্ড জাতীয় কিছু প্রবেশ করতে যাচ্ছে।কিন্তু তানিয়া এখোনো উত্তেজনায় থরথর করে কাপছে।এ যেনো এক সুখের সাগরে ভাসছে সে।

মুহূর্ত এর মধ্যেই তানিয়া এবার ফিরে আসে বাস্তবে।একি! সে কি করতে যাচ্ছে।তাকে কে জড়িয়ে ধরেছে।এবার তানিয়া নড়াচ্ছি করার আগেই, এর পিছনদিকে সেই দণ্ডায়মান লিঙ্গ প্রবেশ করে।তানিয়া চিৎকার দিতে চেয়েও চিৎকার করতে পারছেনা।যন্ত্রনায় থরথর করছে সেই ছায়ামূর্তির হাতের ভিতর। এদিকে তানিয়াকে সে ছায়ামূর্তি পিছন থেকেই টাপাতে থাকে। তানিয়ার নিশ্বাস যেনো প্রতিটি টাপেই বন্ধ হয়ে আসছিলো।নাক- মুখ দিয়ে ফেনা ছেড়ে দিয়েছে প্রায়। দন্ডটা যেনো তার গলা অব্দি চলে আসছে ধীরে ধীরে। তানিয়া কস্টে ধড়পড় করতে করতে সজোরে এক চিৎকার দিয়ে বাথরুমের ফ্লোরে পড়ে যায়।

তানিয়ার চিৎকারের শব্দে সবাই ছুটে আসে ওর রুমে।বাথরুমের দরজা ভিতর থেকেই লক করা। এদিকে তানিয়াও গোসল করতে গেছে। দরজা ভাঙবে নাকি ভাঙবেনা, সেটা নিয়েই সবাই চিন্তিত হয়ে ওঠে।
তানিয়ার আব্বু মেয়ের চিৎকারের শব্দটা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে দরজায় লাথি মেরে দরজা ভেঙে ফেলে। সবাই আতঙ্কিত হয়ে যেই ভিতরে প্রবেশ করেছে,তখনি তাদের চোখ যেনো কপালে উঠে যায়।
তানিয়া পুরো নগ্ন দেহ নিয়ে ফ্লোরে পড়ে আছে।পুরো ফ্লোর রক্তে ভেসে গেছে।রক্তের শ্রোত তানিয়ার পিছন থেকে আসছে।ওর বাবা নিজের মেয়েকে এমন অবস্তায় দেখে ততক্ষনাত সেখানেই জ্ঞ্যন হারিয়ে ফেলে।

চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এই ব্যাপার। তানিয়াকে কে যেনো বাথরুমে রেপ করে পালিয়ে গেছে। লোকের মুখে মুখে এখন এই কথার ছড়াছড়ি। এলাকার ছেলেমেয়ে,তানিয়ার বন্ধু বান্ধবী সবাই ফেবুতে তানিয়াকে নিয়ে ট্রল করা শুরু করে দেয়। কেও শোকাহত জানায়,আবার কেও তার বদনামী গায়।

খবরটা গিয়ে পোঁচায় প্রিয়া,মায়া,সামিয়া,রিয়া,সুমাইয়া, জান্নাত আর পিংকির কাছে।
ওরা ব্যাপারটা নিয়ে ততো সিরিয়াস না।ওদের মধ্যেই ওরা বলাবলি করেছে)

— মেয়েটি আমাদের ফ্রেন্ড ছিলেও ওর ভিষন সেক্স ছিলো।হয়তো কোনো ছেলের সাথে আকাম করতে গিয়ে এমন হয়েছে।আর এদিকে ছেলেটিও হয়তো পালিয়ে গেছে।

( নিজের ফ্রেনদের বদনাম ওরা নিজেরাই গেয়েছে।ওদের মধ্যে তখনি প্রিয়া বলে উঠলো)

— যাইহোক, আজকে তো কলেজ পুরো বন্ধ।কয়দিন বাদেই কোরবানির ঈদ।তোরা বাসায় যাবিনা? হোস্টেল তো বন্ধ করে দিবে

— হুম যাবো যাবো, কিন্তু তার আগে এইটা বল,তুই কেন যাচ্ছিসনা।

— আরে আমার কথা ছাড়,তোরা যা,আমি এক বান্ধুবীর বাসায় থাকবো

– বাড়িতে ঈদ করবিনা?

— নাহ,ইন্টারেস্ট নেই।

— ঠিল আছে,তোর যেমন অভিরুচি। আমরা আজ রাতেই রওনা হবো বাড়িতে।

— ঠিক আছে,সাবধানে যাস

( প্রিয়াকে বিদায় দিয়ে মায়া, জান্নাত, সুমাইয়া, তানিয়া, সামিয়া, পিংকি হোস্টেল ত্যাগ করর জন্য জামাকাপড় গুছানোর কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। জান্নাত বাড়ি যাবার আগে শপিং করবে বলে বাহির হয়ে পড়ে।এখনো হাতে অনেক সময় আছে। এর মধ্যেই শপিং করে ফিরতে পারবে। জান্নাত হোস্টেল থেকে বের হয়ে শপিংমলে চলে যায়।এমন সময় ওর ফোনে একটি অদ্ভুত নাম্বার থেকে ফোন আসে।নাম্বারটি ছিলো 3063 এরকম।জান্নাত ভাবলো হয়তো কোনো অফিসের নাম্বার হবে।তাই ফোন কেটে দিয়ে আবার জামাকাপড় দেখতে লাগলো।কিন্তু অদ্ভুত ভাবে আবারও সেই একই নাম্বার থেকে ফোন আসে জান্নাতের ফোনে।জান্নাত এবার বেশ অবাক হয়ে যায়,সিম কোম্পানিরা তো এতো জলদি আবার ফোন দেয়না।এবার জান্নাত বিস্মিত হয়ে ফোনটা রিসিভ করলো।
রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে এক ভয়ংকর কন্ঠ ভেসে আসে)

— জীবনের শেষ মুহূর্তের জন্য প্রস্তুত হয়ে যা। আমি এসেছি ফিরে ভবে,যাবো নাকো তোদের ছেড়ে , আমারি সাথে যেতে হবে।

( ব্যাস এইটুকু শুনার পর ফোনটা অদ্ভুতভাবে কেটে যায়। জান্নাত আগা-মাথা কিছুই বুঝতে পারেনা।বরং শুধু শুধু ভয় পেয়ে চলছে। এ কোন শব্দ,এতো ভয়ংকর শব্দও হতে পারে? জান্নাত নিমিষেই যেনো হারিয়ে যায় এক অজানা কল্পনায়।তখন আবার তার ঘোর ভেঙে ওর ফোনে আরেকটি ফোন আসে।জান্নাত ফোনের রিংটোন শুনে ততক্ষনাৎ কেপে উঠে। কিন্তু ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখে ওর সহপাঠী সামিয়া ফোন করেছে। জান্নাতের বুকের ধুকধুকানি শব্দ এখনো কমেনি। অস্থির মনে জান্নাত ফোনটা রিসিভ করে।এরপর সামিয়া ফোনের উপাশ থেকে বললো)

— কিরে,সেই কখন হোস্টেল থেকে বের হয়েছিস,রুমে আসবিনা নাকি,কিছুক্ষন পর বাস ছেড়ে দেওয়ার সময় হবে।তাড়াতাড়ি আয়।

— বস মানে? প্রাইভেট এর কি হইছে।

— প্রাইভেটে করে যাবোনা ভাবছি।বাসে করে ইনজয় করতে করতে যাবো।

— ঠিক আছে,তোদের যা মনে হয়।

— এই শুন? তোর গলার আওয়াজ এতো অস্থির শুনাচ্ছে কেন? কিছু হয়েছে?

— না কি হবে ( ঠোট কেপে কেপে)

— এই সত্যি করে বলতো? কি হয়েছে?

— দোস্ত,একটা অদ্ভুত নাম্বার থেকে ফোন এসেছে।৩০৬৩ এরকম নাম্বার।রিসিভ করতেই উপাশ থেকে অদ্ভুত কিছু কথা শুনিয়ে ফোন কেটে দিয়েছে।আমার খুব ভয় করছে রে?

— ধ্যাত!! হতে পারে কেও মজা করেছে, তা কি বলেছিলো?

— বলল আমার নাকি শেষ মুহূর্ত চলে এসেছে।আমাদের নাকি তার সাথে যেতে হবে।

— হয়তো কলেজের কোন ছেলে মজা করেছে।এতো ভাবার কি আছে।

— কলেজের কে কি বকবে আজব।সবাই তো আমাদের এমনিতেই ভয় করে।এমন সাহস হবে কি করে কারো?

— তাও ঠিক, আচ্ছা তুই ভাবিস না, রুমে আয়।পরে দেখছি ব্যাপারটা।

( এই বলে সামিয়া ফোন কেটে দেয়।জান্নাত আর শপিং করেই বের হয়ে পড়ে।একা একা এসেছে,এখন একটি বাস ধরেই হোস্টেলে যেতে হবে। বাসের জন্য অপেক্ষা করছে রাস্তার পাশে জান্নাত।এমন সময় এক ভিক্ষুক এসে জান্নাতের দিকে হাত বাড়িয়ে বললো।)

— আপা,কয়ডা টাহা দিবেন? গত ৬ মাস ধইরা কিচ্ছু খাইনাই।

( ভিক্ষুকের দিকে না তাকিয়ে জান্নাত বাসের দিকে তাকিয়ে ছিলো। বাস কিছুটা দূরেই আছে।জান্নাত ভিক্ষুকের কথা শুনেও না শুনার ভ্যান করে দাঁড়িয়ে আছে।ভিক্ষুক আবারো বললো)

— আপা,টাহা কি দিবেন?

( এবার জান্নাত বিরক্ত হয়ে যেই নিজের ব্যাগে হাত দিতে যাবে,তখনি খেয়াল করলো এই শব্দটা তার খুব চেনা।জান্নাত চোখ নড়বড় করে যেই মাথা তুলে তাকিয়েছে,দেখতে পেলো ওর সামনে কেও নেই।জান্নাত এবার আরো বেশি আতঙ্কিত হয়ে যায়।সে তো খেয়ালই করেনি,লোকটি ৬ মাস ধরেই না খেয়ে ছিলো বলেছে।এইটা কিভাবে সম্ভব।জান্নাত যেনো এক অবাস্তবতার মধ্যে বসবাস করছে, এসব কি হচ্ছে ওর সাথে।
ভবতে ভাবতে সামনে বাস চলে আসে।জান্নাত বসে উঠেই সিটে হেলান দিয়ে বসে পড়ে।ভাবতে থাকে এই অজানা রহস্য নিয়ে।তার সাথে এসব ঘটে যাওয়ার কারণ সে ব্যাখ্যা করতে পারেনা।ভাবার মধ্যেই জান্নার চোখ ২ টি আলতো ভাবে বুলিয়ে নেয়। তখন জান্নাত স্পষ্ট বুঝতে পারছে ওর কোমরে কারো হাতের স্পর্শ লাগছে।জান্নাত এই ছোঁয়ায় বিরক্ত না,বরং শান্তি অনুভব করতে থাকে। কেনো সে এই স্পর্শকে চাইছে,সেটা তার নিজেরি অজানা। এবার হাতটি জান্নাতের কোমর থেকে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠতে লাগলো।জান্নাত এবার একটু অস্বস্তিবোধ করে।হটাৎ ওর ঘোর ভেঙে যায়।সিট থেকে এক ঝাকুনি দিয়ে উঠেই জান্নাত চারপাশ দেখতে থাকে। একি,ওর পাশের সিটে কেও নেই।তাহলে ওর কোমরে এতক্ষন হাত দিয়েছিলো কে?
জান্নাত ব্যাপারটা আর মেনে নিতে পারছেনা।অস্বাভাবিক ঘটনা একেকটার পর একেকটা কেন ঘটে যাচ্ছে।

জান্নাত এসবের ভিতরে কল্পনা করতে করতে তার হোস্টেলের সামনে চলে আসে।এরপর তাড়াতাড়ি বস থেকে নেমে সোজা রুমে চলে আসে।এসেই সামিয়াকে বললো)

— দোস্ত,আমার সাথে কিছু হতে যাচ্ছে।প্লিজ আমাকে রক্ষা কর।

— কেন আবার কি হলো?

( এরপর জান্নাত সামিয়াকে বাসের সব ঘটনা খুলে বলে।সামিয়া জান্নাতের কথাশুনে সিরিয়াস না,বরং উচ্চস্বরে হাসতে লাগলো। আর এসব মন গড়নো কথা না বলতে নিষেধ করে।জান্নাত বিরক্ত হয়ে সামিয়াকে বললো)

— তুই হাসছিস আজব? সত্যিই আমি অনুভব করেছি,এইযে এখানে হাত দি….. আরে একি…? এইজে দেখ দেখ, হাতের চাপ এখনো আমার কোমরে আছে।লাল হয়ে গেছে সব।

— সত্যিই তো? তোর কোমরে তো সত্যিই কারো হাতের চাপ আছে।

— এবার বিশ্বাস করেছিস তো? আমি বলেছিলাম না?

— ঠিক আছে শুন,আমি ব্যাপারটা দেখছি।আমাদের বাড়ির পাশে এক হুজুর আছে।উনার সাথে কথা বলে দেখবো।আর সেই অদ্ভুত নাম্বারটা দে তো?

– এই নে. ৩০৬৩ এইটা

( সামিয়া নাম্বারটা নিয়ে ওর এক ফ্রেন্ডকে কল দিয়ে বললো,এইটা কেমন নাম্বার জানানোর জন্য। সামিয়ার ফ্রেন্ড সিম কোম্পানিতে চাকরি করে।তাই ওরা আশাবাদী যে নাম্বারটার কোনো হুদিশ তারা পাবেই। কিন্তু সামিয়ার ফ্রেন্ড জানালো যে এমন কোনো নাম্বার নেই।এবং কি কোনো অফিস বা হ্যাকারদেরও না।সোজা কথা এই নাম্বারের কোনো অস্থিত্বই নেই।এমন নিউজ শুনে ওরা ২ জনেই অবাক হয়ে যায়।এইটা কেমন নাম্বার তাহলে,যার কোনো অস্তিত্বই নেই?
সামিয়া জান্নাতকে বললো)

— আচ্ছা শুন,এই ব্যাপারে কাওকে কিছু বলিসনা,নয়তো সবাই পাগল ভাববে আমাদের।গ্রামে গিয়ে হুজুরের সাথে আলাপ করে নি,তারপর দেখি হুজুর কি বলে।

— ঠিক আছে

( ওরা নিজেদের ভিতরেই ব্যাপারটা লুকিয়ে রেখেছে। যদিও কাওকে বললেও কেও বিশ্বাস করবেনা। এদিকে প্রায় রাত ঘনিয়ে এসেছে।রাত ১২ টায় হোস্টেল বন্ধ হয়ে যাবে। ৮ টা বাজে সবাই বাসের উদ্দেশ্য বের হবে।হাতে মাত্র আর ৪ ঘন্টা বাকি। মায়া, জান্নাত, সুমাইয়া, তানিয়া, সামিয়া, পিংকি ব্যাগ গুছিয়ে রেডি হতে প্রস্তুত।জান্নাত মনে মনে খুব ভয় পেয়ে আছে। ব্যাগ গুছাচ্ছে হাত দিয়ে,কিন্তু ওর হাত যেনে কাজে সায় দিচ্ছেনা।বার বার কেপে উঠছে।জান্নাত না পারছে কাওকে কিছু বলতে,আর না পারছে কিছু করতে।সামিয়ার উপরেই একমাত্র ভরসা তার। ব্যাগ গুছানোর মাঝপথে ফের জান্নাতের ফোনের রিংটোন বেজে উঠে।ফোনের টোন শুনেই জান্নাত বেশ ভয় পেয়ে ফুঁপিয়ে উঠে।এই রিংটোনটাই যেনো ওর ভয়ের আরেকটি কারণ। জান্নাতে ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখলো ওর মা ফোন দিয়েছে। তখনি জান্মাত সবার উদ্দেশ্য করে বললো)

— তোরা ব্যাগ গোছা,আমি একটু আম্মুর সাথে কথা বলে আসি।

— ঠিক আছে যা।

( জান্নাত সাইডে এসে ফোন রিসিভ করে)

— হ্যালো আম্মি! কেমন আছো?

— জ্বী মা,আমি ভালো,তুই রওনা হয়েছিস?

— এইতো,সবেমাত্র ব্যাগ গুছাচ্ছি।কিছুক্ষনের মধ্যেই বাসে উঠবো।

— হুম সাবধানে আসিস। এবারের ঈদে অনেক বড় গরু কিনেছি।এসে দেখিস

( হিন্দু জাতিদের বলছি,অনেক হিন্দু ভাই/বোন হয়তো আমার গল্প পড়তেছেন।আমি একজন মুসলিম, দেখতেই পাচ্ছেন রিয়াজ হোসেন ইমরান লেখা। সেই হিসেবেই গল্প লিখছি।এতে কেও মন খারাপ কইরেননা অনুরোধ)

— ঠিক আছে,দোয়া কইরো আম্মি।

— আল্লাহ ভরসা।

( জান্নাত ফোনটা কেটে মাথা তুলতেই দেখে কথা বলতে বলতে কখন যেনো হোস্টেলের ৩য় তলা থেকে ৫ম তলায় চলে এসেছে।বুঝতেই পারেনি কখন সে এখানে এসেছে।
জান্নাত হতভম্ব হয়ে আবার ৫ম তলা থেকে সিড়ি বেড়ে নিছে চলে আসার জন্য প্রস্থুত হয়।এমন সময় আবার জান্নাতের ফোনের রিং বেজে উঠে। এবার ফোনের রিংটোন এর শব্দে তেমন না চমকালেও,নাম্বারের দিকে তাকিয়ে বেশি চমকে যায় জান্নাত।
এইটা সেই নাম্বার,যে নাম্বারটা মাত্র ৩০ সেকেন্ডে তার জীবন বদলে দিয়েছিলো,সেই ৩০৬৩ নাম্বারটা।
জান্নাত এবার ফোন ধরবেনা ভেবে পুরো প্রস্থুত হয়ে নেয়। উল্টো কলটা কেটে দিয়ে জান্নাত ফোনটা হাতের মুঠোয় রেখে কচলাতে থাকে।এরপর তাড়াহুড়া করে নিছের দিকে নামতে যাবে,তখনি ওর ফোনের ভিতর থেকে সেই ভয়ংকর কন্ঠ ভেসে আসে।জান্নাত অবাক চোখে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকে। ফোন রিসিভ না করেও কিভাবে ফোন রিসিভ হলো এইটাই ভাবছে সে। আবার সে ভয়ংকর কন্ঠটা বলতে লাগলো।)

— কোথায় যাবি তুই, এই জায়গা ছেড়ে,
যে জায়গায় তোরা নিয়েছিলি এক, নিষ্পাপ জীবন কেড়ে।

( এই কথাটা বলার পর আবার অটোমেটিক ফোন কেটে যায়। জান্নাত এবার আরো বেশি হতভম্ব হয়ে পড়ে। তারা এখানে কার প্রান নিয়েছিলো , সেই সহজ সরল ছেলে রিয়াজ নাতো….?

জান্নাত ভয় প্রচুর ভয় পেয়ে ফোনের মধ্যে সামিয়াকে মেসেজ করে বলে দিয়েছে সে ভয়ংকর কন্ঠের কথাটা।কারণ ওর মনে হচ্ছিলো এই ৫ম তলা থেকে সে নিছে নামতে পারবেনা। জান্নাত এবার হুশ হারিয়ে নিছে ছুটতে যাবে,তখনি দেখতে পায় একটি ছোট্ট মেয়ে ৪র্থ তলার মাঝ সিড়িতে দাঁড়িয়ে আছে। জান্নাত বুঝতে পারছেনা এই ছোট মেয়েটি কে আবার।হোস্টেল বন্ধ হয়ে যাবে,সবাই যার যার গ্রামের বাড়ি চলে যায়,তাহলে এই মেয়েটি আসলো কোথা থেকে।

জান্নাত ধীরে ধীরে সে মেয়েটির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, মেয়েটির মুখের উপর ওর চুলগুলো এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে আছে।জান্নাত মেয়েটিকে কিছু জিজ্ঞেসা করার জন্য মুখ খোলবে,তার আগেই সে মেয়েটি এক হিংস্র চেহারা ধারন করে জান্নাতের উপর ঝাপিয়ে পড়ে,জান্নাত ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। এই মেয়েটি শুধু শুধু কেনো ওর উপর ঝাপিয়ে পড়লো। জান্নাত কিছু বুঝার আগেই ওর শরীর থেকে সমস্ত জামাকাপড় আচড়ে ছিড়ে খুলে ফেলে।
জান্নাতের চিৎকার যেনো ওর মুখ অব্দিই সিমাবদ্ধ হয়ে আছে। অন্য কেও শুনতেই পারছেনা। কিছু সময় পর মেয়েটি হটাৎ করে জান্নাতের উপর থেকে সরে কোথাও যেনো পালিয়ে যায়। জান্নাতের এবারের চিৎকার সবার কান অব্দি যায়। ছেলে হোস্টেল থেকেও প্রায় ৪০-৫০ জন ছেলে, মেয়ে হোস্টেলের দিকে এগিয়ে আসে। মেয়ে হোস্টেলেরও ২০-২৫ জন মেয়ে চতুর্থ তলায় ছুটে আসছে। জান্নাত ফ্লোর থেকে উঠে ছুটে যায় নিছের দিকে।এতক্ষনে সকল ছেলে মেয়ে হোস্টেলে এসে হাজির হয়।

জান্নাতের নগ্ন দেহ( গায়ে একটি সুতোও নেই) সবার চোখের সামনে দৌড়ে যাচ্ছে,শরীরের প্রতিটি স্তানে ক্ষতবিক্ষত নখের আচড়।জান্নাত সেই নগ্ন দেহ নিয়ে কাদতে কাদতে নিজের রুমের দিকে ছুটে যাচ্ছে। সব ছেলে মেয়ে জান্নাতের শরীরের দিকে তাকিয়ে আছে।সবার মাঝখান দিয়েই জান্নাত ছুটে চলছে। আর মনে মনে একটাই ভাবনা আঘাত করছে তাকে, কে তাকে এভবে এট্যাক করলো,
আত্মা? নাকি সে?

#আত্মা_নাকি_সে??

[ রহস্যভেদ করে জানতে পারবে কি সবাই, কে ছিলো জান্নাতের সে হামলাকারী? রিয়াজের আত্মা? নাকি সে?
এই “সে” টা কে, জানতে হলে আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জনাবেন।। গল্পটি কেমন লাগছে। সমালোচনা করুন গল্পের ব্যাপারে]

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে