গল্পের নাম প্রেমের শুরু পর্ব-০৪

0
1301

#গল্পের_নাম_প্রেমের_শুরু
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্বঃ৪
ভোরের আলো চারপাশে ছড়িয়ে পরেছে পাখিরা নিজ বাসা ছেড়ে উড়াল দিয়েছে অন্য এক গন্তব্যে। শীতের ভোর তাই মানুষের আনাগোনা কম ইলহামের ঘুমটা আজ আগেই ভেঙ্গেছে ঘুমের রেশ কেটে যেতেই সে খেয়াল করলো হেমন্তি তার অতি নিকটে ঘুমিয়ে আছে।একহাত হেমন্তির গালের নিচে দেওয়া ইলহামের কাছে হেমন্তিকে এখন নিষ্পাপ এবং পবিত্র যুবতী লাগছে।ইলহাম হেমন্তির কপাল থেকে চুলগুলো সরিয়ে নিজের অজান্তেই তার ওষ্ঠজোড়া হেমন্তির কপালে ঠেকালো।তখনই হেমন্তি চোখ খুলে ফেললো কিন্তু সে এই পরিস্থিতির স্বীকার হবে তা তো জানতোনা।ইলহাম হেমন্তির কপাল থেকে নিজ ওষ্ঠজোড়া সরাতেই তার চোখ হেমন্তির চোখের উপর পরলো।হেমন্তি ইলহামের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে ইলহাম তার চাহনি দেখে মুচকি হেসে অতি শান্তস্বরে বললো,
~তোমার পেট ব্যাথা কমেছে?
হেমন্তির কানে কোনো কথা পৌছাইনি সে এখনো ইলহামের দিকে তাকিয়ে আছে সে এখনো আশ্চর্যের চরম লেভেলে আছে।ইলহাম হেমন্তির কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বললো,
~আমাকে দেখতে ভালো লাগে তোমার তাতো জানা ছিলনা।
ইলহামের এমন কথায় হেমন্তির ঘোর কাটলো সে ইলহামকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিয়ে নিজে উঠে বসলো।নিজের দিকে তাকিয়ে শাড়ি ঠিক করে বললো,
~এমন কোনো কিছু না ঘুমের রেশ কাটতে সময় লেগেছে তাই।
ইলহাম আলতো হেসে হেমন্তির হাত নিজের হাতে নিয়ে বললো,
~আমি কী জিজ্ঞেস করেছিলাম?
হেমন্তি বললো,
~কমেছে।
ইলহাম বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে বললো,
~আজ তো কেয়াকে দেখতে আসবে তুমি কী যেতে পারবে সে বাসায়?
হেমন্তি বললো,
~হ্যা যেতে পারবো।
ইলহাম বললো,
~ঠিক আছে আমি হিয়াদের জানিয়ে দিয়েছি তারা বিকেলে চলে আসবে।
হেমন্তি বললো,
~বিকেলে কেন দুপুরে আসতে বলতেন?
ইলহাম বললো,
~তোমার শরীরটা ভালো না তাই হিয়া মানা করেছে।
হেমন্তি আর কিছু না বলে বিছানা ছেড়ে উঠে দাড়ালো তখনই ইলহাম বললো,
~এ কয়েকদিন শাড়ি না পরে কামিজ পরো। এতে তোমার সুবিধা হবে
হেমন্তির লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে এ লোকটার মুখে কেন কিছু আটকায়না নাকি বুঝে শুনে এ কাজ করে যাতে সে লজ্জায় পরে।হেমন্তি বললো,
~আপনার এসব ভাবতে হবে না আপনি ঘুমান অফিসের টাইম এখন পর্যন্ত হয়নি।
বলেই হেমন্তি নিজ প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো ইলহাম মুখে হাসি বজায় রেখে চোখ বন্ধ করে ফেললো।
হেমন্তি ওয়াশরুম থেকে বের হতেই কলিংবেল বেজে উঠলো হেমন্তি একবার ভাবলো এতো সকালে কে আসলো?পরক্ষণেই তার মনে পরলো ফিরোজার কথা হেমন্তি টাওয়ালটা বারান্দায় দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে দরজা খুলে দিলো।ফিরোজা একটা হাসি দিয়ে বললো,
~ভাবিজান,আমি কী লেইট কইরা ফালাইসি?
হেমন্তি মুচকি হেসে বললো,
~নাহ।
ফিরোজা বাসায় প্রবেশ করে বললো,
~দ্যান আপনাগো জামা কাফর দ্যান আমি ধুইয়া দিতাসি।
হেমন্তি বললো,
~এই যে বাহিরের ওয়াশরুমে রাখা আছে আপনি ধুয়ে ওই ঘরের বারান্দায় শুকাতে দিয়ে দিন।
ফিরোজা হেমন্তির কথা মতো কাজ করতে লাগলো হেমন্তি রান্নাঘরপ গিয়ে ইলহামের জন্য নাস্তা তৈরি করতে লাগলো। পাশাপাশি ইলহামের দুপুরের খাবারও তৈরি করতে লাগলো ফিরোজা নিজ কাজ শেষ করে হেমন্তির কাছে এসে বললো,
~ভাবিজান,কাফর ধুয়া শেষ আফনে দ্যান সবজি গুলা কাইট্টা দেই।
ফিরোজা হেমন্তির হাত থেকে সব সবজি নিয়ে নিজে কাজ করতে লাগলো।হেমন্তি রুমে চলে আসলো ইলহামের সব প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে দিয়ে। ইলহামকে ডাকতে লাগলো,
~এই যে উঠুন নাহলে দেরি হয়ে যাবে।
ইলহাম আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে বসলো হেমন্তি বিছানা থেকে সরে আসতে নিলে ইলহাম তার হাত ধরে ফেললো আর বললো,

_____♥_____

~এখন তো তোমার কাছে কোনো কাজ থাকার কথা না তাহলে রুম থেকে বের হচ্ছো কেন?
ইলহামের এমন উদ্ভট কান্ডে হেমন্তি বার বার অবাক হচ্ছে হেমন্তির মনে হয় হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে ইলহাম হেমন্তিকে নিজের কাছে টেনে তার খোঁপা করা চুল গুলো খুলে দিয়ে বললো,
~তোমার খোলা চুলগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
হেমন্তি এবার মুখ খুললো সে বললো,
~আপনার কী জ্বর এসেছে?এমন উদ্ভট কথা কেন বলছেন?
ইলহাম বললো,
~তোমার কাছে এগুলো উদ্ভট কেন লাগছে?আমি কী তোমার সাথে কথা বলতে পারিনা।
হেমন্তি নিজেকে ইলহাম থেকে ছাড়িয়ে বললো,
~আপনি রেডি হয়ে যান নাস্তা টেবিলে রাখা আছে।
বলেই সে গটগট করে রুম থেকে বের হয়ে গেলো ইলহাম হেমন্তির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বিছানা থেকে নেমো শিস বাজাতে বাজাতে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
হেমন্তি রান্নাঘরে এসে ঘনঘন নিশ্বাস নিতে লাগলো তা দেখে ফিরোজা বললো,
~ভাবিজান,আপনার কী শরীরডা খারাপ লাগতাসে?
হেমন্তি হাসার চেষ্টা করে বললো,
~নাহ আপু তেমন কিছু না আপনি কাজ করুন।
ফিরোজা নিজ কাজে মনোযোগ দিলো ইলহাম রেডি হয়ে টেবিলে এসে বসলো কোথাও হেমন্তিকে না দেখে জোরে হেমন্তির নাম ধরে ডাকলো,
~হেমন্তি হেমন্তি।
হেমন্তি ইলহামের ডাক শুনে ভয় পেয়ে গেলো না জানি আবার কী করবে?ফিরোজা দুষ্ট হেসে বললো,
~ভাইজান তো আফনারে ছাড়া কিচ্ছু বুঝেনা আমার জামাইটা এমন নাহ সারাদিন কামে ব্যস্ত থাহে।
হেমন্তি ফিরোজার কথায় কান না দিয়ে গুটিগুটি পায়ে টেবিলের কাছে এসে চেয়ার ধরে দাড়িয়ে বললো,
~কী হয়েছে?
ইলহাম বললো,
~আমি কী একা এতো খাবার খাবো?আমি কী রাক্ষস?
হেমন্তি বললো,
~আসতে কথা বলুন ঘরে আরেকজনও আছে।
ইলহাম বললো,
~আমার সাথে নাস্তা করবে।
হেমন্তি বললো,
~ফিরোজা আপুর সাথে করবো।
ইলহাম বললো,
~তাকেও ডাক দেও একসাথে খাবো।
হেমন্তি ফিরোজাকে ডেকে নিয়ে আসলো তারা তিনজন একই সাথে নাস্তা করলো।নাস্তা শেষে ফিরোজা বললো,
~আমি এই ঢাকা শহরে কাম করি ৭বছর ধইরা কেউ এমন টেবিল চেয়ারে বইয়া খাওন খাওয়ায় নাই আফনারা অনেক ভালা মানুষ।
হেমন্তি আর ইলহাম বুঝতে পারলো ফিরোজা একটু ইমোশনাল হয়ে গেছে।ইলহাম হেমন্তির হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে অফিসের জন্য রওনা দিবে তার আগে ইলহাম বললো,
~আমি বিকেলে চলে আসবো তৈরি থেকো।
হেমন্তি মাথা দুলালো ইলহাম মুচকি হেসে হেমন্তির গালে হাত বুলিয়ে চলে গেলো হেমন্তি অবাক হতে হতে আজ মারাই যাবে।
ফিরোজা নিজ কাজ শেষ করে চলে গেলো হেমন্তি সেই একাই বাসায় রয়ে গেলো দুপুরে হেমন্তির ফোন বেজে উঠলো হেমন্তি ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো ইরিনা বেগম ফোন করেছেন সে ফোন রিসিভ করতেই ইরিনা বেগম বললেন,
~হেমন্তি,তোর সুমনা ফুফু এসে পরেছে এখন কী হবে?
ইরিনা বেগমের কথায় হেমন্তি ঘাবড়ে গেলো কারণ সুমনার ছেলে আরফানের সাথে হেমন্তির বিয়ের কথা ছিল কিন্তু আরফানের চালচলন ভালো ছিলনা বলে হেমন্তির বাবা এই বিয়েতে রাজি হলোনা।হেমন্তিরও এই ছেলেকে পছন্দ ছিল না আরফান যদি ইলহামের সামনে কিছু করে ফেলে তখন কী হবে?

_____♥______

হেমন্তি বললো,
~মা,আমি আসবোনা।
ইরিনা বেগম বললেন,
~এভাবে বলিস না কেয়া রাগ করবে তোর ফুপি যে আসবে তা আমরা জানতাম না হঠাৎ করেই এসে হাজির।
হেমন্তির টেনশনে গলা শুকিয়ে গেলো সে একটুতেই ঘাবড়ে যায় তার হাত-পা কাঁপতে লাগলো।
সে ফোন রেখে বিছানায় বসে পরলো হঠাৎ তার ফোন আবার বেজে উঠলো হেমন্তি ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো ইলহামের নামটা জ্বলজ্বল করছে।হেমন্তি কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটি রিসিভ করে কানে রাখতেই ইলহাম বললো,
~কী করছো?খাবার খেয়েছো?
হেমন্তি বললো,
~খেয়েছি আপনি খেয়েছেন?
ইলহাম মুচকি হেসে বললো,
~হ্যা খেয়েছি।আমি কাজ গুছিয়ে ফেলেছি কিছুক্ষণের মধ্যেই রওনা দিবো।
হেমন্তি বললো,
~আচ্ছা।
ইলহাম হেমন্তির আওয়াজ একটু অন্যরকম লাগছে তাই ইলহাম জিজ্ঞেস করলো,
~কী হয়েছে তোমার?গলা এমন লাগছে কেন?
হেমন্তি বললো,
~কিছু না এভাবেই।
ইলহাম আর কিছু বললো না ফোন রেখে দিলো।বিকেলের দিকে হিয়া আর ফারুক চলে আসলো ইলহামও চলে আসলো সময় মতো।
তারা ৪জনই রওনা হলো হেমন্তির বাসার উদ্দেশ্যে হিয়া আর ফারুক এক রিক্সায় আর হেমন্তি আর ইলহাম অন্য রিক্সায়।হেমন্তি এখনো সেই চিন্তা নিয়ে বসে আছে
ইলহাম হেমন্তির মুখ দেখে বুঝতে পারছে সে অনেক চিন্তিত।ইলহাম আলতো করে হেমন্তিকে ডেকে উঠলো এতেই হেমন্তি ভয় পেয়ে গেলো ইলহাম তা দেখে বললো,
~ভয় পাচ্ছো কেন?আমিই তো ডেকেছি।
হেমন্তি শুকনো ঢোক গিলে বললো,
~নাহ আসলে ঠান্ডা লাগছে প্রচুর।
ইলহাম বললো,
~তুমি তো ঘামছো তাহলে ঠান্ডা কীভাবে লাগছে?
হেমন্তি অসহায় নজরে ইলহামের দিকে তাকালো ইলহাম রুমাল বের করে হেমন্তির ঘাম মুছে দিলো। হেমন্তি ইলহামের দিকে তাকিয়ে আবার বাহিরের দিকে তাকালো হেমন্তির অনেক ভয় হচ্ছে এভাবেই ইলহামের রাগটা বেশি সেই ছেলে যদি আবার কিছু করে ফেলে তাহলে সেই রাগ আরো বেড়ে যাবে।
কিছুক্ষন পর তারা হেমন্তিদের বাসায় পৌছে গেলো হেমন্তির বুকটা ঢিপঢিপ করছে হেমন্তি বাসার ভিতরে ডুকে কলিংবেল টিপ দিলো।হেমন্তির মা ইরিনা বেগম এসে দরজা খুলে দিলো সবাইকে দেখে ইরিনা বেগম অনেক খুশি হলেন।সে সবাইকে বাসার ভিতরে নিয়ে গেলেন সোফায় বসিয়ে দিলেন হিয়া আর ফারুকের উদ্দেশ্যে বললেন,
~আমি অনেক খুশি হয়েছি তোমরা এসেছো।
হিয়া বললো,
~আপনারা আমাদের এই বিশেষ মূর্হুতে আমাদের মনে রেখেছেন এটাই অনেক বড় কথা।
সবাই কথায় ব্যস্ত আর হেমন্তি ভয়ে ভয়ে এদিক-সেদিক তাকাচ্ছে কেয়াও রুম থেকে বাহিরে চলে এসে সবার সাথে কুশলাদি করে বললো,
~দুলাভাই এখন আমার কথা মনে পরেছে।
ইলহাম বললো,
~এসেছি তো তোমারই জন্য।
সবাই কথা ব্যস্ত তখনই এমন একজন ব্যক্তি হলরুমে উপস্থিত হলো তাকে দেখে হেমন্তি ভয়ে চুপসে গেলো।

_____♥_____

আরফান আর সুমনা ফুফু দাড়িয়ে আছে তারা হাসি হাসি মুখ করে দাড়িয়ে আছে। ইরিনা বেগম তাদের সাথে ইলহামের পরিচয় করে দিলো হেমন্তিকে দেখে সুমনা ফুফু তার পাশে বসে পরলো আর বললো,
~হেমন্তি,তুই তো অনেক সুন্দর হয়ে গেছিস।
হেমন্তি মুচকি হেসে বললো,
~ফুফু কেমন আছো?
সুমনা ফুফু বললো,
~ভালো এসেছিলাম ভাইয়ের সাথে দেখা করতে আর শুনলাম কেয়াকে দেখতে আসবে তাই রয়ে গেলাম।
হেমন্তি আলতো হেসে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলো আরফান আর ইলহাম কথা বলছে হেমন্তি একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো কেয়া হেমন্তি আর হিয়াকে নিয়ে রুমে চলে আসলে হেমন্তি কেয়াকে নিজ হাতে সাজিয়ে দিলো একটু পর ছেলেপক্ষ এসে পরবে।হেমন্তির বাবা ইমরান খান সব কাজ শেষ করে বাসায় ফিরেছেন।
সন্ধ্যার দিকে ছেলেপক্ষরা চলে আসলো তাদের সাথে কুশলাদি করে স্বাগতম জানানে হলো হেমন্তি কেয়ার সাথে বসে আছে কেয়া হেমন্তিকে বললো,
~আপু,ছেলে দেখেছো তুমি?
হেমন্তি বললো,
~হুম দেখলাম তো।
কেয়া বললো,
~দুলাভাই থেকেও হ্যান্ডসাম নাকি?
হেমন্তি হেসে বললো,
~আমার কাছে কী তোর দুলাভাই থেকে বেশি কেউ হ্যান্ডসাম হতে পারে?
কেয়া বললো,
~তাতো ঠিক।
হিয়া সেখানে উপস্থিত হয়ে বললো,
~ছেলের নাম তানভীর আহমেদ দেখতে ঠিকঠাক আছে।
কেয়া বললো,
~ঠিকঠাক হলে তো হবে না বেস্ট হতে হবে।
হিয়া হেসে বললো,
~বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখে যাচাই করবেনা কেয়া মানুষের মনটা সুন্দর হতে হবে।
হেমন্তি বললো,
~হিয়া আপু ঠিক বলেছে কেয়া।
কেয়া তাদের দুজনের কথা শুনে চিন্তায় মগ্ন হয়ে গেলো সে কীভাবে মানুষটার মন সুন্দর কিনা যাচাই করতে পারবে।

চলবে

(বিদ্রঃকেমন হয়েছে জানাবেন।ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো🥰🥰।Happy Reading 🤗🤗)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে