গল্পঃ ফুল_শর্য্যায়_ছ্যাকা পর্ব_০৮

0
3187

গল্পঃ ফুল_শর্য্যায়_ছ্যাকা পর্ব_০৮
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু

——–সকালে স্যারকে মাটি দিয়ে অপরিচিতা আর রাইসাকে বলে বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে বাসায় এসেে শর্ক খেলাম দেখি – কথা বৃষ্টিতে ভেজতেছে মনে হচ্ছে আজকের বৃষ্টিটা পূর্ণতা পেয়েছে কথার আবেশে খুব ইচ্ছে করছে কথার সাথে ভিজতে কিন্তুু তা সম্ভব নয় কথা তো আমাকে কখনো মন থেকে স্বামী মনে করিনি!!!

—— এই রাজ কখন আসলে!! আসো বৃষ্টিতে ভিজি অনেক ভালো লাগছে ভিজতে ?? ( কথা)

———- আচ্ছা তুমি ভিজ কেমন আমার ভালো লাগছে না!! (আমি)

—— এই বলে রুমে এসে ড্রেস চেন্জ করে বিছানায় গা টা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে গেলাম!!

—- এদিকে দেখছি যে কে যানি কথাকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাচ্ছে চিরর দিনের জন্য আর আমি বলছি কথা প্লিজ যেয়ো না আমি যে তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসি আমি যে তোমাকে ছাড়া নিজেকে কল্পনা করতে পারিনা এই বলে অনেক টা কেদে দিলাম!! ( আমি)

——–এই রাজ উঠো কত বেলা হলো জানিনা রাতে খেয়েছো কিনা এই রাজ উঠো?? (কথা)

——– এদিকে কথায় ডাকে ঘুম ভাঙতেই কথাকে জড়িয়ে ধরে বললাম কথা প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেয়ো না আমি তোমাকে ছাড়া সত্যি বাচবোনা প্লিজ তুমি যেয়োনা??( আমি)

—— ওই রাজ কিছু স্বপ্ন দেখেছো কিছু তুমি জানোনা আমি সজিবকে ভালোবাসি আর তাকে ছাড়া আমি যে থাকতে পারবো না? আর আজ চতুর্থ দিন কাল আমাকে ডির্ভোস দিবে তুমি আমাকে কথা দিয়েছো তাই কথার বরখেলাপ করবে না অবশ্যই?? (কথা)

——- ও আমি তো ঘুমের ছলে ভুলেই গিয়েছিলাম এই কথা আমার সেই শৈশবের কথা না এই তো সজিবের কথা!!!

——– কি রাজ কিছু বলছো না যে?? (কথা)

——— এদিকে কথার কথা শুনে মনের মাঝে পাহাড় সম কষ্ট নিয়ে বলতে লাগলাম আরে তোমার সাথে মজা করেছি জানোনা আমার মেয়ে রাইসা আছে?? ( আমি)

——— ও রাজ তুমিও না আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে??? (কথা)

——- ও আচ্ছা সরি ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য?? (আমি)

——— আচ্ছা ঠিকআছে চলেন মিষ্টার খাবার রেডি করা!!!( কথা)

—— এদিকে টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছি হঠাৎ কথা বলতে লাগলো!!

——– রাজ কাল সারারাত কোথায় ছিলে?? (কথা)

——– তোমাকে তো বললাম লাম ওই যে স্যারের স্টক এর কথা!!! (আমি)

—– ও আমি মনে করেছিলাম তুমি অপরিচিতা ও সরি তোমার বউয়ের কাছে গিয়েছিলে!! আর হ্যা আমাকে বলেই যেতে পারো রাত কাটাতে পারো কারণ হাজার হইলে বউ আবার একটে মেয়েও আছে?? (কথা)

—— মনে মনে ভাবলাম সত্যিটা বলবো না থাক যাকে হাসপাতালের কথা বললাম বিস্বাস করলোনা তাকে সত্যিটা বলেই বা কি আর তাই বললাম হ্যা সরি এর পর সত্যি বলবো কেমন? / (আমি)

—- আচ্ছা কোনে ব্যাপার না বউরের কাছে থাকতেই পারো?? ( কথা)

——– হুম ঠিক বলেছেন?? (আমি)

—– এদিকে চোখ দিয়ে অশ্রু ফোটা ঝরবে বলে!!

—– রাজ তোমাকে একটা কথা বলি কেমন?? (কথা)

—— হুম বলো কি বলবে?? (আমি)

—— আমাকে কিছু টাকা দিবে?? (কথা)

—– কত লাগবে বলেন??? (আমি)

—– আচ্ছা রিজ ভালো ব্যান্ডের ঘড়ি কিনতে কত লাগবে একি রকম দুইটা ঘড়ি?? ( কথা)

——– ও আট দশ হাজার লাগতে পারে আচ্ছা ডেসিং টেবিরের ওপর মানি ব্যাগ আছে ১৫০০০ হাজার আছে ওইটা দিয়ে চালিয়ে নিয়ো কেমন??( আমি)

—- রাজ বলবে না ঘড়িটা কার জন্য কিনবে?? ( কথা)

—- হুম জানি তো তোমার কোনো প্রিয়জনকে দিবে ঘড়িটা?? (আমি)
….
—– ঠিক বলেছে রাজ!! সজিব কত দিন পর দেশে আসছে তাই ভাবছি দুইটা ঘড়ি কিনবো একটা আমার আরেকটা সজিবের???(কথা)

—- ও আচ্ছা ঠিক আছে বলতেই দেখি রাইসা ফোন দিয়েছে!!!

—— হ্যালো বাবাই তুমি কোথায় মম সকাল থেকে কিচ্ছু খাচ্ছেনা তুমি আসো তো বাবাই??? (রাইসা)

—— তোমার মমকে দাও তো মামনি?? (আমি)

—— বাবাই মম কান্না করতেছে ছে জানো বাবাই মম তোমাকে ফোন করতে বারণ করেছে আমি লুকিয়ে ফোন করেছি বাবাই ভালো করেছি না?? যানো বাবাই মমের কান্না দেখে আমি ও কান্না করেছি?? (রাইসা)

——- মামনি কান্না করোনা কেমন আমি আসতেছি??

—— কোথায় যাবে??? (কথা)

—— রাইসা ফোন দিয়েছিলো বাসায় যেতে বললো?? ( আমি)

—- ও তোমার তো মেয়ে আছে ভুলেই গেয়েছিলাম?? (কথা)

—- আচ্ছা আমি আসি কেমন!!

——– আচ্ছা যাও কেমন??? (কথা)

—— এদিকে স্যারের বাসায় গিয়ে দেখি অপরিচিতা রুমে বসে কাদছে আর রাইসা তার মমকে বলছে মম তুমি কেদোনা প্লিজ তুমি কেদোনা চলো খাবে চলো মম জানো প্রতিদিন তুমি খাইয়ে দিতে আজ আমি তোমাকে খাইয়ে দিবো কেমন ওই মম কথা বলো না কেন আর কান্না করো না কেমন তুমি কান্না করলে আমারো যে কান্না পায়!! মম বাবাই কে বলছি বাবাই আসবে একদম কান্না করো না!!!

——– রাইসা মামনি তোমায় বাবাইকে আর ফোন দিয়ো না আমাদের কেউ নেই পৃথিবীতে?? (অপরিচিতা)

—– কে বলছে তুমি আছো বাবাই আছেনা তুমি বাবাইকে একটুও ভালোবাসনা বাবাইয়ের সাথে কথা বলোনা তুমি যদি ওমন করো তাহলে আমিও তারা হয়ে যাবো তখন দেখতে পাবে ধরতে পারবেনা???(রাইস
া)

——- রাইসা মা আমার এমন ভাবে বলিস না প্লিজ এই পৃথিবীতে তুই যে আমার শেষ সম্বল তোর চাদ মুখটা দেখেই যে বেচে আছি আমি এই বলে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো?? (অপরিচিতা)

——- এদিকে দরজায় দাড়িয়ে মা মেয়ের কথা গুলো শুনে নিজের অজান্তের চোখ দিয়ে অশূর ফোয়ারা নামতে শুরু করছে??

——- মা তুমি বাবাই কে ভালোবাসনা??? ( রাইসা)

—— মারো তোর বাবাই কে অনেক ভালোবাসিরে রে কিন্তুু কি মুখ নিয়ে বলবো যে আমি তোর বাবাইকে ভালোবাসি সে তো বিবাহিত আমি ও যে এক অদৃষ্ট বন্ধনে আবদ্ধ জানিনা তোর বাবাই কে পাবো কিনা তবে তোর বাবাই টা সত্যি অনেক ভালো রে অনেক ভালোবাসি তোর বাবাইটাকে?? (অপরিচিতা)

——- আর আমাকে ভালোবাসোনা?? ( রাইসা)

——— মারো তুই যে আমার জীবন এই বলে জড়িয়ে ধরলে রাইসাকে!!! ( অপরিচিতা)

——– এদিকে মা মেয়ের ভালোবাসা দেখছি আর চোখের জল ফেলছি হঠাৎ

—— মম দেখো বাবাই আসছে দেখতো তো মম বাবাই কান্না করতেছে এই বরে দৌড়ে এসে ঝাপটে ধরে বলতে লাগলো বাবাই দেখো মম কান্না করতেছে তুমি আমার মমকে কেনো কষ্ট দাও জানোনা মমকে কষ্ট দিলে তোমার মহারানী কষ্ট পায় হু হু এখন থেকে মমকে বেশি করে ভালোবাসবে আমি খাবার নিয়ে আসছি মমকে খাইয়ে দিবে এইটা তোমার শাস্তি /?? (রাইসা)

——– এদিকে রাইসার কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি কু বলবো অপরিচিতার দিকে তাকিয়ে দেখি আমার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে??

—— বাবাই এই নাও খাবার মমকে খাইয়ে দাও এই বলে খাবার প্লেটটা হাতে দিয়ে অপরিচিতাকে টেবিরে এনে বসালো??

——-বাবাই দাওনা কেনো খাইয়ে মমকে মম তুমি খাও এদিকে মনে মনে ভাবছি কি করবো তাই বললাম শোনো পৃথিবীতে কারো বাবা মা চিরদিন বেচে থাকেনা তা ছাড়া রাইসা তো আছে ওকে নিয়ে বাচতে হবে এই বলে খাইয়ে দিলাম রাইসা আর অপরিচিতাকে??

—— দেখছো মা বাবাই তোমাকে কওো ভালোবাসে?? (রাইসা)

—- হুম তোমার বাবাইটা অনেক ভালো ঠিক তোমার মতো??( অপরিচিতা)

——– হুম দেখতে হবে তো বাবাইটা কার এই বলে কি জানি নিয়ে আসতে বাইরে গেলো ?? (রাইসা)

——- তুমি ওর কথায় কিছু মনে করোনা না রাজ কি করবো মেয়েটা দুষ্টামি করে আর আমি জানি তোমার হৃদয় জুড়ে শুধু কথার বিস্তৃতি আর রাইসার কথার জন্য ক্ষমা প্রার্থী?? (অপরিচিতা)

—— না কিছু মনে করিনি ওই তো আমার মেয়ের মতই আচ্ছা আমি আসি কেমন পরে আবার আসবো??( আমি)

——- আচ্ছা ঠিক আছে আমাদের জন্য চিন্তা করো না?? (অপরিচিতা)

——– ঠিক আছে বলে একটা গাড়িতে করে আসতেছি এদিকে নিউ মাকেট নেমে অফিসের একটা ফাইল কিনতেছি হঠাৎ চোখ যায় রাস্তায় পাশে একটা ফেরিওয়ালার দিকে একজোড়া দুল অনেক পছন্দ হয় দুলটা কথাকে অনেক মানাবে দুলটা কিনে নিয়ে ভাবছি ও কথা তো আর আমার না তাই বাসায় এসে ডাইয়িটার মাঝে রেখে দিলাম আর অনেক কিছু লেখে রাখলাম দুঃখ বেদনা না বলা কিছু কথা ডাইয়ির মাঝে যে কিনা আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু?

—– কখন আসলে??( কথা)

—- এইতো একটু আগে!! (আমি)

—- ও আচ্ছা রাত ৯ টা বাজে চলে খেয়ে নিবে?? (কথা)

——- হুম চলো এদিকে খাওয়া সেষ করে রুমে এসে ভাবছি আজ চতুর্থ দিন শেষ তাই রাতে নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দুটি হাত তুলে বলতে লাগলাম হে আল্লাহ ছোট বেলা থাকতেই মা কে নিয়ে গেছো কাছ থেকে দুট টাও খেতে দাওনি একটু বুঝতে শিখেছি যখন তখন যাকে মা বরে ডাকতাম সেই বাবাটাকেও নিয়ে গেলে আমারি জন্ম দিনে তাও কিছু বলিনি অবুঝ মনে প্রেমের সৃষ্টি করলে ভালবাসলাম কথাকে কিন্তুু তার মনেও আমাকে জায়গা দিলেনা কাল তোমার পবিএ কালামের বন্ধন থেকে মুক্তি দিবো আল্লাহ তোমার কাছে কিছু চাইবো না আমার জীবন আমার ভালবাসাটা যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক(আমি)

—— আজ সকাল সকাল ফ্রেশ হয়ে সকারের নাস্তা করে কোটে গিয়ে ডির্ভোস পেপারটা রেডি করে আমার সাইনটা দিয়ে নিয়ে আসলাম আসতে আসতে সন্ধ্যা লেগে গেছে???

—– রুমে লক করছি কিন্তুু রুম খোলছেনা তাই ডপলিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখি কথা ফ্লোরে পড়ে আছে তাই কথাকে গিয়ে ধরতেই দেখি জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে তাই বিছানায় তুলে শুয়ে দিলাম কি করবো বুজতে পারছিনা মনে হচ্ছে সেদিন বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর আসছে তাই তাড়াহুড়া করে মাথার পানি দিলাম জ্বর একটু কমছে এদিকে সারা রাত কথার মাথার জ্বল পট্টি দিতে দিতে কথায় উপরের ঘুমিয়ে যায় ক্লান্ত থাকায় জন্য!!!

——— ওই ছোটলোক ফকিরের বাচ্চা তোর কিভাবে সাহস হয় আমার উপর শুয়ে থাকতে জানিস না তোর মতো এতিমকে করুণা করেছি তোর শর্তের সময় কাল কে শেষ হয়ে গেছে এই বলে টাস টাস এই পাচদিন অভিনয় করতে করতে ক্লান্ত আমি তুই আমাকে ডির্ভোস দিবি এই মূহুুতে??( কথা)

—- হুম জানি আমি ছোটলোক এতিম এটাও জানি আপনার সাথে যায়না পাচদিন শর্ত দিয়েছিলাম কারণ আমি আপনার কাছে সাত জনম থাকতে চায়নি আমি চেয়েছিলাম একটা জনম তাও আমার কপালে নেই সারাটা জীবন লান্চনায় কেটেছে কি করবো বলেন এতিম তো তাই আপনার ভালোবাসাটা চেয়েছিলাম কিন্তুু ভালবাসা শব্দটা আমার জীবনের সাথে বন্ড বেমানান তাই আপনাকে সারাজীবন পাবো না জেনে পাচটা দিন চেয়েছিলাম আমি পেয়েছি আর পাচদিনে আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি এই জন্য পারলে ক্ষমা করে দিয়েন?

—- তোর মতো লুচ্চা কে ক্ষমা করা যায়না তুই এই মুহু্তে আমার বাসা থেকে বের হয়ে যাবি এইটা আমার বাবার বাসা তোর মতো এতিম থাকবে তো এতিম খানায় আসা করি বের হয়ে যাবি ডির্ভোস লেটার টা দিয়ে!!!( কথা)

——- এদিকে দরজার দিকে চেয়ে দেখি রাইসা আর অপরিচিতা!!

——- ও তোমার বউ আর মেয়েও এসে পড়েছে দেখো?? (কথা)

——- এদিকে কথায় কাছে এমন কথা শুনে দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগলো তাই কিছু না বলে শুধু বললাম ডাইনিং এর ওপর ডির্ভোস লেটার টা আছে আমি সাইন করে দিয়েছি আপনি করে দিলেই হবে আর একটা এতিমকে এতো দিন থাকতে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ!! এই বলে শাটের হাতা দিয়ে চোখটা মুছে——-
এই বলে শাটের হাতা দিয়ে চোখটা পানি মুছতে মুছতে হাটতে হাটতে বাসা থেকে বের হচ্ছি রাস্তায় আনমনা হয়ে পার হচ্ছি হঠাৎ একটা গাড়ি আচমকা ব্রেক করলো না করলে বাবা মার কাছে পৌছে যেতাম পিছন দিকে তাকিয়ে দেখি অপরিচিতা আর রাইসা আমার পিছু আসতেছে!!!

—— রাজ কোথায় যাচ্ছে দাড়াও একটু প্রায় তো একসিডেন্ট হয়ে যেতো কেন এভাবে আনমনা হয়ে হাটতেছো!!?( অপরিচিতা)

——- যার জীবনের রাস্তায় অন্ধকার হয়ে গেছে সে আবার কেমনে ভালোভাবে চলবে?? (আমি)

——— কি বলো পাগলের মতো তুমি কি অন্ধকার হয়েছে!! চলো বাসায় চলো?? (অপরিচিতা)

——– না এ হয়না আমাকে একা ছেড়ে দাও তাই ভালো যাকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতাম সেই আজ আমাকে এইভাবে দূরে সরিয়ে দিলো?? ( আমি)

——- রাইসা মামনি দেখো তো তো তোমার বাবাই তোমার মার সাথে যেতে চাচ্ছে না তুমি বকা দাওতো?? (অপরিচিতা)

——- বাবাই তুমি কি মমের সাথে রাগ করেছো এই জন্য বাসায় যেতে চাচ্ছো না যানো বাবাই মম না তোমাকে এওো এওো ভালোবাসে!! যানো বাবাই রাতে যখন ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার তখন দেখি তুমি যে একটা ছবি দিয়েছিলে বাবাই বাধাই করে তোমার সেটা বুকে নিয়ে কাদে মম?? বাবা তাহলে বলো তো আমার মম তোমার অনেক ভালোবাসে না??(রাইসা)

—– এদিকে রাইসার কথা শুনে অপরিচিতার দিকে তাকাতেই দেখি অপরিচিতা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে চোখ দুটি নিচে নামিয়ে নিলে!! অসম্ভব সুন্দর লাগছে অপরিচিতাকে তাই চেয়ে রয়েছি পলকহীন চোখ জুড়া নিয়ে!!( আমি)

——— বাবাই বলো না কেনো আমার মম তোমাকে এওো এওো লাভ করেনা?? ও ভাবে চেয়ে না থেকে বলো না কেনো?? (রাইসা)

———– এদিকে রাইসার কথা শুনে হুশ ফিরে তাই রাইসাকে কুলে নিয়ে বললাম হ্যা মহারানী তোমার মমটা সত্যিই আমাকে অনেক ভালোবাসে!! ( আমি)

—— হি হি হি দেখছো মম বাবাই জানে তুমি বাবাই কে কওো ভালোবাসো!! মম তুমাদের তো ইয়ের কথা বলে দিলাম আমাকে ট্টিট দিবা না?? আচ্ছা বাবাই ট্টিট কি একটা মুভিতে দেখছিলাম কিন্তুু জানিনা তবে ভালো কিছু হবে??? (রাইসা)

—– এদিকে রাইসার এমন কথা শুনে বুকে পাহাড় সম কষ্ট নিয়েও হেসে দিলাম সাথে অপরিচিতাও!!

——– বাবাই না হেসে চলো মমকে নিয়ে বাসায় যাবো?? (রাইসা)

—— হুম চলো এই বলে অপরিচিতাদের বাসায় গেলাম !!

——- এদিকে রাইসা বিকেলে ঘুমিয়ে পড়লে অপরিচিতা এসে বলতে লাগলো?? রাজ কথা ভাবী তোমার সাথে এমন করলো কেনো তাও তোমার মতো লোকের সাথে?? এই রাজ মেয়েদের মতো কানতেছো কেনো আচ্ছা একটা কথা বলবো??? ( অপরিচিতা)

——— হু ম বলো অপরিচিতা!! ( আমি)

——– রাজ তোমার আর কথা আপুর অতীত কথা টা শুনতে পারি?? প্লিজ বলো!! ( অপরিচিতা)

———শুনবা তাহলে শোনো!!!

——– আমি জন্ম নিয়েই মাকে হারায় বাবা আমাকে মায়ের মতোই আদর সোহাগ দিয়ে বড় করেছে যানো একটু বড় হতেই বাবাটাও রোড একসিডেন্ট এ মারা যায় আর আমি হয়ে যায় একা তখন মামা তার বাসায় নিয়ে যায় আর সে থেকেই কথায় সাথে পরিচয় একসাথে প্রাইমারী লেভেল পার করা আর কয়েক বছরের ব্যবধানে ওকে অবুঝ মনটা শৈশবেই তাকে ভালোবেসি ফেলি কিন্তুু সে পড়াশোনায় জন্য লন্ডনে পাড়ি জমায় আর সে দূরে যাওয়ায় তার প্রতি ভালোবাসাটা বাড়তে থাকে অনেক অপেক্ষায় পর সে দেশে আসে মা বাবার কথা মতো আমার সাথে কথা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় কিন্তুু বাসর রাতেই বলে যে সে সজিব কে ভালোবাসে আর সজিবকে ছাড়া আর কাউকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে না বাসর রাতের কথা আমার কাছে ডির্ভোস চায় জানো সেইদিন আমার পৃথিবীটা উলট পালট হয়ে গেয়েছিলো যাকে এওো ভালোবাসলাম সেই কিনা বাসর রাতেই আমার কাছ থেকে মুক্তি চায় শেষ পর্যন্ত আমার ভালবাসা হেরে যায় সমস্ত ভালবাসা কথাকে ডির্ভোস দেওয়ার সাথে সাথে কবর দিয়ে আসলাম কেদে কেদে কথা গুলো বললাম!! (আমি)

——– রাজ প্লিজ কান্না করো না তোমার কান্না আমার কাছে মৃতু্র চেয়ে কষ্টদায়ক প্লিজ কান্না করো এইটায় নিয়ম আমরা যাকে জীবনের সবটা দিয়ে ভালোবাসি তারাই আমাদের সাথে প্রতারণা করে আমাদের কষ্টদেয়!!! প্লিজ তুমি ফ্রেশ হয়ে এসো টেবিলে খাবার দিচ্ছি সারাদিন তো কিচ্ছু খাওনি?? ( অপরিচিতা)

——– হুম এই বলে ওয়াশ রুমে চলে গেলাম!!!!

——– হ্যালো সজিব!! বাবু তুমি কেমন আছো যানো আজ আমি অনেক হ্যাপি!!! ( কথা)

——— ও ও ও তাই বুঝি আমার বাবুনিটা আজ এওো খুশি কেনো কারণটা জানতে পারি?? ( সজিব)

——— বলবো না ট্টিট দাও?? (কথা)

——- আচ্ছা তোমার জন্যও একটা সারপ্রাইজ আছে আগে বলো তুমার খুশির কারণটা কি??? ( সজিব)

—– আচ্ছা জানো আজ আমার এওো খুশি হবার কারণ কি!! জানো আজ ওই এতিমের মিথ্যা বিয়ের বন্ধন থেকে আমি মুক্ত ওর মতো লুচ্চায় সাথে সাথে থাকতে আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেছে এখন থেকে শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারবো বলোতো ওর মতো ছোটলোক থার্ড ক্লাস এতিমকে কি আমায় সাথে মানায়!!? আজ ডির্ভোস দিয়েছে ছোটলোকটা তাই আমার খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে কিন্তুু তোমাকে ছাড়া একা কেমনে নাচবো বলো তো?? (কথা)

—- ওলে আমার বাবুনিটা তুমার কষ্ট পেতে হবে না আমি পরশু বাংলাদেশে আসতেছি আর এটাই সারপ্রাইজ??? (সজিব)

—– ও সত্যি বাবু তুমি না অনেক ভালো?? (কথা)

——— আচ্ছা তাহলে পাপ্পি দাও তুমি আমাকে এখনো পাপ্পি দাওনি ফোনে আপাদত দাও না বাবুনি?? (সজিব)
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

——- বাবু প্লিজ রাগ করো না আমার সব ভালবাসা তোমার জন্য বিয়ের পর যতো পাপ্পি খেতে মন চায় খেয়ো কিন্তুু বিয়ের আগে ফোনেও পাপ্পি দেওয়া যাবেনা?? (কথা)

——– ওকে ঠিক আছে এখন রাখি বাবুনি???(সজিব)

—— হুম এই বলে ফোনটা রেখে চোখ ফেরাতেই মনে পড়লো ডির্বোস পেপারের কথা আচ্ছা ডিভোস পেপার টা সাইন করে দেয় সব সম্পর্ক সেষ হয়ে যাবে এই বলে ডির্ভোসটা পেপারটা নিয়ে যেমনি সাইন করতে যাবে ঠিক তখনি দেখি কি যেন ভাঙ্গায় শব্দ হলো টেবিলের দিকে তাকাতেই দেখে বিড়ালে দুধের গ্লাসটা ফেলে দিয়ে ছে কিন্তুু আশ্চর্যের বিষয় হলো গ্লাসের কাছে একটা ডািয়ি পড়ে আছে আরো কি যানি একটা দেখা যায়!!!

—— তাই কথা ডির্ভোস পেপারটাতে সাইন না করে সেই ডাইয়িটায় কিছে গেতেই একটা সর্ক খায় ডাইয়িটার মাঝখানে একটা পায়েল দেখা যাচ্ছে!!! তাই ডাইয়িটা নিচে থেকে তুলে হাতে নিয়ে খুলতেই অবাক হয় কারণ ডাইয়ির মাঝে যে পায়েল টা সে একি পায়েলের আরেকটা পায়েল তার কাছে এখনো আছে!! তাই কথা ভাবতে ভাবতে সে ডাইয়িটা পড়ে দেখবে কথা?? যে ভাবা সেই কাজ ডাইয়িটা নিয়ে সে পড়তে লাগলো!!

—- প্রিয়তমা কথা যানি একদিন আমার হৃদয়ের সব অনুভূতি আমার শৈশবের ভালবাসা এই ডাইয়িটা তোমাকে মনে করে দিবে!! তোমার কি মনে পড়ে কথা বর্ষা কালে যেদিন কদম ফুল পেরে দিতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে যায় আমি আর তুমি দৌড়ে কাদতে কাদতে আমার কাছে আসতেই পা পিছলে পড়ে যাও পুুকুরে তখন সবে ক্লাস টু তে পড়ি সাতার জানিনা কি করবো বলো তোমাকে বাচাতে পানিতে ঝাপ দেয় পড়ে আর কিছু মনে নেই পড়ে সবার কাছে শুনি আশিক কাকা বাচিয়ে ছে তোমাকে আর আমাকে আর তোমার পিছলে পড়ে যাওয়ার অনেকটা পা কেটে যায় কিন্তুু তুমি তোমার পা কেট যাওয়া জন্য না কেদে আমার জন্যই কাদছিলে এইটা পড়ে কথা নিজের পায়ের দিকে চেয়ে দেখে এখনো তার পা কাটার দাগ রয়েছে এসব পড়ছে আর কথা ক্রমশ শৈশবে হারিয়ে যাচ্ছে অতীত যেনো হৃদয়ের পাতায় হানা দিচ্ছে তার পরের পাতা উল্টাতেই যানো কথা যেদিন মা বাবাকে হারিয়ে তোমাদের কাছে আসি তখন তুমি আমাকে খাইয়ে দিতে গোসল করিয়ে দিতে যানো আমার খুব ভালো লাগতো যে মেয়ে নিজেই খেতে পারে না সে আমায় খাইয়ে দেয় আমায় গোসল করিয়ে দেয় জানো আজ সেই দিনগুলি খুব মিস করছি আচ্ছা তোমাকে জীবন বলে ডাকি!! জানো জীবন মা বাবাকে হারিয়ে যখন তোমাদের এখানে আসি তোমার সাথে স্কুলে যায় তখন এতিম বলে সবাই অপমান করতো কেউ আমার সাথে খেলতো না তাই স্কুলের সেই বকুল ফুল গাছটার নিকট গিয়ে মা মা বলে ডাকতাম আল্লাহকে বলতাম আল্লাহ সব শিশুর বাবা আছে আমার বাবাই মা কোনটাই নেই কেনো আমি কি এমন অপরাধ করেছি আচ্ছা আমার মা বাবাকে কেনো নিলে আমাকে কেনো পছন্দ হয়নি ও ও আমাকে রেখে দিছো যেন সবাই অপমান করে কেউ আমার সাথে না খেলে এই জন্য?? মা বাবা বলো আল্লাহকে দেখো বাবাই তোমার মতো কেউ আমাকে আর আদর করে না সবাই বকা দেয়!! এমন সময় তুমি পিছন থেকে বলো কে বলেছে তুমি এতিম আর কখনো বলবে না যদি কখনো বলো তাহলে তোমার বাবা মার মতো আমিও চলে যাবো না ফেরার দেসে তুমি কারো সাথে খেলবে না শুধু আমার সাথে খেলবে বলো খেলবেনা??? প্লিজ এবার একটু হাসো চলো আমরা দুজন পদ্মফুল তুলতে যাবো তার আগে হাসো একটু আর কে বলছে তোমার কেউ নাই তোমার কথা কি মরে গেছে জানো রাজ তুমি কাদলে আমার বুকে কেমন কেমন লাগে তোমাকে দেখলে দিশেহারা হয়ে যায় সারাক্ষণ তুমি পাশে না থাকলে পাগল পাগল লাগে!!!! হুম আমারো লাগে চলো আজ অনেক গুলো পদ্ম ফুল তুলবো!! জানো তখনি তোমাকে আমার অবুঝ মনটা ভালোবেসে ফেলে এর পর কত ছুটাছুটি কত রঙিন স্বপ্ন!! যানো সবসময় আমি আর তুমি বউ জামাই খেলতাম কিন্তুু একদিন তোমার সাথে রাগ করে তানিয়ার সাথে বউ জামাই খেলায় আর তুমি তা দেখে তোমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু তানিয়ার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দাও বাসায় এসে না খেয়ে কান্না করো জানো সেদিন আমিও অনেক কান্না করছি!! পরে প্লেটে করে ভাত নিয়ে যখনি তোমাকে বউ বরে ডেকে খাইয়ে দিতে যায় তুমি তখন কান্না করে দিয়ে বলেছিলে রাজ তুমি যখন তানিয়ার সাথে বউ জামাই খেলছো তখন সত্যি আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছে তোমাকে ছাড়া বাচবোনা আমি তুমি তানিয়ার সাথে আর কথা বলবে না বুঝলা আর এইযে তোমার হাত আমার মাথার এখন প্রমিজ করো আমাকে ছাড়া কথনো কাউকে বিয়ে করবে না জড়িয়ে ধরে কানতে কানতে কানতে কথা গুলো বলেছিলে তখন তোমাকে ছোয়ে প্রমিজ করেছিলাম জীবনে তোমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে কেনো ভালোওবাসবো না!!! এসব কথা পড়তে পড়তে মনে পড়রো কথার শৈশবের সেই কথা গুলোর কথা আর দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগলো কথায় কথা কিভাবে এতটা খারাপ হতে পারলো রাজ তার প্রকৃত ভারোবাসা শৈশব প্রেম কানতে কানতে পরের পাতা দেখতে লাগলো!!

—— যানো তুমি যেদিন চলে যাবে লন্ডনে তখন খুব কেদেছিলাম জানো তখন তুমি তোমার পা থেকে একটা পায়েল দিয়েছিলে খুলে আর বলেছিলে এটা যতদিন তোমার কাছে থাকবে মনে করবে তোমার কথাটা তোমার বুকেই আছে আর এটার সাথে কথা বললে আমার সাথে কথা বলা হবে যানো সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত পায়েলটার সাথে কথা বলেছি কান্না করেছি তোমাকে তো বিয়ে করেও একটা বার বুকে নিতে পারিনি তাই পায়েলটার সাথে প্রতিরাত গল্প করে বুকে নিয়ে ঘুমাতাম আর ভাবতাম তুমি আমার বুকেই ঘুমাচ্ছো জানো যখন তুমি আমাকে এতিম বলতে সত্যি বলতে তখন মরে যেতে ইচ্ছে করতো!!!!

——– আমার ভালোবাসা কি এতটাই মিথ্যা ছিলো যে ভালবাসা কারো পায়ের নিচে স্হান পায়???

———- কথার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতেছে ডাইয়িটা পড়ে শৈশবের সেই ভালবাসা গুরো হৃদয়ে ঝড় তুলছে মনে হচ্ছে রাজকে বুকে জড়িয়ে খুব কান্না করি আমি কিভাবে আমার পবিএ ভালোবাসা রাজকে কষ্ট দিলাম কথা কিছু ভাবতে পারছে না!!!!চোখ দুটি ছলছল করছে

—— জানো কথা যেদিন বাসর রাতে আমি তোমাকে আমার শৈশব থেকে এই পর্যন্ত তিলে তিলে গড়া ভালবাসার কথা বলতে চেয়েছি ঠিক তখনি তুমি বাসর রাতে বলেছো ডির্ভোস এর কথা তখন আমার ভালবাসার অন্ধকারে ডেকে যায় এই জন্য আমার সাথে তোমাকে পাচদিন স্বামী স্ত্রীর মতো থাকার শর্ত দিয়েছিলাম জানো তোমার সাথে কাটানো সেই পাচদিন আমার জীবনের শেষ্ঠ সময় হয়ে থাকবে জানো কাল সারা রাত আল্লাহর কাছে কান্না করে তোমাকে চাইনি ভেবো না! শুধু চেয়েছি আমার জীবনটা যেখানেই যার কাছে থাকে সে যেন সুখে থাকে আল্লাহ যেন আমার জীবনের বিনিময়ে তাকে যেনো সুস্হ রাখে আমার ভালবাসা তো পূর্ণতা পেলো না তাই আমার জীবন যাকে ভালোবাসে আল্লাহ যেনো তাকে পাইয়ে দেয়!!

—- যানো কথা কত ইচ্ছে ছিল তোমার কুলে মাথা রেখে জোছনা রাতে গল্প শুনবো তোমার চুলের মুহরিত গন্ধে নিজেকে অজানায় হারাবো তোমার সাথে সারাদিন খুনশুটি করে রাতে তোমার বুকটাকেই বালিশ বানাবো তোমাকে জড়িয়ে ধরে ছোট বাচ্চার মতো ঘুমাবো কিন্তু এইটা তো স্বপ্ন ছিল বাস্তব তো সেটা যে আমি এতিম আর এতিমের সাথে তোমার যাই না তোমার কাছে আবারো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি তোমার অজান্তে তোমাকে নিয়ে এতো স্বপ্ন দেখায় জন্য কি করবো বলো ভালোবাসতাম তোমায় অনেক বেশি ভালবাসতাম কিন্তুু যার জন্য ভালবাসা নামক শব্দটিই বড্ড বেমানান যাকে আল্লাহ মা বাবার ভালবাসা থেকে বন্চিত করেছে সে তোমার ভালবাসা কেমনে পায় তাই লেখে রাখলাম ডাইয়ির পাতা!!!

—– কথা ডাইয়িটা পড়ছে আর বুকের সাথে জড়িয়ে কাদছে আর ভাবছে আমি আমার জীবনটাকে এত কষ্ট দিয়েছি যার ভালবাসার কাছে সমস্ত কিছু তুচ্ছ!!!

—— ডাইয়ির পড়ের পাতা উল্টটাতেই চোখে পড়লো নীল কালিতে লেখা যানো কথা তোমাকে যতটা ভালবেসেছি তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি তোমার মুখে সজিবের কথা শুনে আমার মরে যেতে ইচ্ছা করতে জানো যেদিন শর্তের চর্তুর্থ দিন সেদিন স্বপ্ন তোমাকে হারিয়ে ফেলা দেখে ঘুম থেকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম তুমি আমাকে ছেড়ে যেয়োনা আমি তখন মনে করেছিলাম তুমি বলবে আমাকে যে কখনো তোমায় ছেড়ে যাবো না কিন্তুু তুমি তা বলোনি বলছো আমি পাগলের মতো কি বলছি আসলে আমি তোমাকে ভালোবেসে সত্যি পাগল বিশ্বাস করো আর তোমাকে ভালবেসে কষ্টই দিয়েছি ক্ষমা করে দিয়ো আমায় টেবিলের উপর ডির্ভোস পেপার রাখা আছে সাইন করে দিয়ো তাহলেই হবে অন্তত তোমায় ভালোবেসে এইটুকু উপকার তো করতে পারলাম এখন সজিবের হতে পারো তুমি আর কোনো বাধা নেই তবে মনে রেখো আমার চেয়ে ভালো তোমায় আর কেউ ভালবাসতে পারবে না আচ্ছা ক্ষমা করে দিয়ো যদি কিছু ভুল বলে থাকি যানো কখনো মরে যায় একটু ডাইয়িটা বুকে নিয়ে তাহলে আমার আত্না টা মনে করবে তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছো????

—— কথার নিঃশ্বাাস বন্ধ হয়ে আসছে ডাইয়িটা বুকে নিয়ে বলতে লাগলো রাজ আমি তোমার ভালবাসি তুমি যে আমার জীবন স্বপ্ন সাধনা আমার শৈশবের ভালবাসা এতদিন কাচকে হীরা ভেবে ভুল করেছি আর ডির্ভোস আমি তোমাকে দিবোনা তুমাকে ডির্ভোস দিলে যে আমি মরেই যাবো আমি তোমারি আছি তোমারি থাকবো এই বলে ডির্ভোস পেপার টা ছিড়ে ফেললো কাদতে কাদতে হাটু গেড়ে বসে পড়লো কথা ফ্লোরে কেমনে যাবে রাজের কাছে তাকে যে কষ্ট দিয়েছে????

——- হঠাৎ ফোনটা বাজছে কথা মনে করছে রাজ ফোন দিয়েছে কেননা রাজ অফিস থাকলে ফোন দিয়ে বলতো কথা খেয়েছে কিনা তাই কাদতে কাদতে ফোনটা তুললো!!

—– হ্যালো আসসালামু আপনি কথা আপনার হসপিটালে কিছু রিপোর্ট আছে নিয়ে যেয়েন!!!!

—— কথা শুনলো যে ফোনটা হসপিটাল থেকে এসেছে তাই বললো আচ্ছা আমি আসতেছি!!!!

——- এইযে ম্যাডাম আপনার হাসবেন্ড কই সেই দিন যে আসছিলো??( ডাক্তার ম্যাডাম)

—– কথা ডাক্তারের মুখে হাসবেন্ডের কথা শুনেই মনের মাঝে ঝড় কারণ কথা তো কোনো সময়ই রাজকে স্বামী হিসেবে মেনে নেয়নি বাসর রাতেই ডির্ভোস চেয়েছে তাকে তো শুধু কষ্টই দিয়েছে!!!

——জানেন ম্যাডাম এই যে আপনার রির্পোট সব ঠিকআছে তবে একটা কথা যেনো যান পৃথিবীতে সব চেয়ে ভাগ্যবান মেয়ে আপনি যে আপনার স্বামীর মতো একটা স্বামী পেয়েছেন একটা মানুষ একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে এওো ভালোবাসে আপনার স্বামীকে না দেখলে বিশ্বাসই হতো না সারা রাত আপনার পাশে বসে থেকে কাটিয়েছে যদি বলতাম চলে যান তখন কি বলতো জানেন জীবন কে কেউ ছেড়ে যেতে পারে আপনার পাশে বসে নামায পড়ে কাদতে যেনো আপনি তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যান সারারাত আপনার মাথার হাত বুলিয়ে দিতো জানেন পৃথিবীতে খুব কম মানুষই থাকে আপনার মতো ভাগ্যবান জানেন এই জন্যই আল্লাহ হয়তো স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত রেখেছে জানেন আল্লাহর কাছে সব সময় প্রার্থনা করি আপনার স্বামীর মতো যেনো একটা স্বামীকে প্রায় জানেন আপনার স্বামীর মতো একটা স্বামী পেলে আমি নিজের চুল দিয়ে তার পা মুছে দিতাম আর এটাও জানি তবুও ওমন মানুষের ভালবাসার একবিন্দু ও ঋণ শুধ হতো না সত্যি আপি আপনি ভাগ্যবতী?? ( ডাক্তার ম্যাডাম)

—— এদিকে ডাক্তারের কথা শুনে কথার চোখ দিয়ে আষাড়ের শ্রাবণ নামতে শুরু করলো চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে কথা যেনো পাথরের মূর্তি হয়ে গেছে!!

—— ম্যাডাম আপনি কান্না করছেন কেনো আমি কি আপনাকে কষ্ট দেওয়ার মতো কিছু বলছি?? (ডাক্তার ম্যাডাম)

——– কথা ডাক্তার ম্যাডাম কে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো না তুমি আমাকে আমার মনে চোখ খুলে দিয়েছো আমার জীবনটা কি আমায় ক্ষমা করবে আচ্ছা আসি এই বলে কাদতে কাদতে হসপিটাল থেকে দৌড়ে বের হয়ে গেলো নিজের গাড়িটা ভুলেই রেখে এসে রাস্তা দিয়ে আনমনে হাটছে হঠাৎ আচমকা একটা গাড়ি ব্রেক করে কথার সামনে!!!

——- এইযে ম্যাডাম দেখে চলতে পারেনা অল্পের জন্য বেচে গেলেন!!!! ( গাড়িতে বসে থাকা মেয়েটা)

—– এদিকে কথা মুখ ফেরাতেই দেখে যে অপর্ণা নিশাতুল অবনি!!! যে কথার কলেজের বেষ্ট ফেন্ড ছিল!!!

—— কথা তুই হঠাৎ এভাবে রাস্তায় কিছু বুঝতে পারছিনা আর তুই কান্না করছিস কেনো??? (অপর্ণা নিশাতুল অবনি)

——আচ্ছা অন্যদিন বলবো নি কে?? ??? (কথা)

—– অনেকদিন পর দেখা হলো তাই না মনে হয় চার বছর?? (অপর্ণা নিশাতুল অবনি)

—– হুম ওই তোর সাথে বেবি টা কে???( কথা)

—— ওইটা আমার বেবি বুঝলি!! (অপর্ণা নিশাতুল অবনি)

— তোর সাথে কথা নেই তুই আমাকে না বলে বিয়ে করলি?? (কথা)

———- তাই বুঝি আচ্ছা একগাধা সরি চল গাড়িতে উঠ এই বলে দুজন মিলে অবনির বাসায় ডুকেই কথা একটা শর্ক খায় দেয়ালে একটা বড় করে বাধাই করা ছবি সেটাতে অবনির কুলে বেবিটা আর সজিব অবনিকে জড়িয়ে ধরে আছে!!!!
চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে