গল্পঃ ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা পর্ব_১৬ শেষ

3
3636

গল্পঃ ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা পর্ব_১৬ শেষ
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু

— হঠাৎ হসপিটালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বললো ‘ সরি আমাদের কিছু করার নেই!

— মানে!কি বলছেন? কিসের ডাক্তার আপনারা। বিদেশ থেকে কি পড়ালেখা করে এসেছেন?যেমন করে’ই হোক আমার স্বামীকে বাঁচান। তাঁকে ছাড়া যে আমি বাঁচবো না! ( কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বললো ‘ কথা”)

— দেখেন ‘মিসেস রাজ, রাজকে’ আমি বলেছিলাম তোমার শরীলের যে কন্ডিশন এমন কন্ডিশনে তোমার কিডনি দেওয়া উচিত হবেনা।কিন্তুু, রাজ আমার কথা শুনেনি। এখন আমাদের করার কিছুই নেই! (সাথী)

— প্লিজ ওকে যেভাবে হোক বাঁচান। যত টাকা লাগে তাও আমার স্বামীকে বাঁচান! ( কথা)

—আপু প্লিজ কান্না করবেন না! আমরা সকল ডাক্তার’রা ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন করেছি। দেখি সবাই মিলে কোন সমাধানে আসতে পারি কিনা। রাজকে যদি অপারেশন করি হয়তো অপারেশন থিয়েটারের মারা যাবে। আমরা সবাই চিন্তিত! আচ্ছা আপনারা সবাই আল্লাহকে ডাকুন!আল্লাহ ছাড়া কেউ পারবেনা বাঁচাতে! (সাথী)

— ডাক্তারের কাছে এমন কথা শুনে, কথার চোখ থেকে টপ- টপ করে পানি পড়ছে। মনে হচ্ছে কলিজাটা কেউ ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাবা আমি কি খুব পাপী? যার জন্য আল্লাহ আমার স্বামীকে আমার কাছ থেকে কেঁড়ে নিতে চাচ্ছে। (কথা)

– না’রে মা কাঁদিস না। আল্লাহ যা করে সব তার বান্দার মঙ্গলের জন্য’ই করে। ( কথার বাবা)

— মামনি, ও মামনি বাবাই কোথায়। তুমি কাঁদছো কেনো? পাখি আন্টি! মামনি কাঁদছে কেন! বাবাই কোন কথা বলছেনা কেন। বাবার মুখে ওইটা কী? বাবা’ ই ও বাবা’ই কথা বলোনা কেন তুমি? মামনি বাবা’ইকে বলো আমার সাথে কথা বলতে! আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। পাখি আন্টি বাবা’ইকে বলো আমাকে মহারানী বলে ডাকতে। (কাঁদতে, কাঁদতে কথা গুলো বললো রাইসা)

— রাইসার এমন কথা শুনে, পাখি আর রিসানের চোখেও পানি এসে গেল! কথা রাইসাকে কুলে নিয়ে বললো মামনি তোমার বাবাইকে আল্লাহ কথা বলতে নিষেধ করেছে। যখন আল্লাহ তোমার বাবা’ই কে কথা বলতে বলবেন তখন কথা বলবে।

— আচ্ছা আমি আল্লাহকে বললো যে আমি বাবা’ই কে খুব মিস করছি।আল্লাহ যেন বাবা’ই কে বলে আমাকে মহারাণী ডাকতে! মামনী আল্লাহ কোথায় থাকে?

— মহারানী ‘আল্লাহ, ওই দূর আকাশে থাকে।(কথা)

–‘ মিসেস রাজ, আপনার স্বামীকে সিঙ্গাপুর মাইঊ – এলিজাবেথ হসপিটালে নেওয়ার কথা ভাবছে সবাই। সেখানে উন্নত চিকিৎসায় হয়তো রাজের অপারেশন সাকসেসফুল হতে পারে! এখন আপনি টাকা রেডি করেন। বাকিটা আমরা দেখছি( ডাক্তার সাথী)

— আপনি টাকা নিয়ে কোন চিন্তা করবেন না সব রেডি করেন। (কথা)

— রাফি ‘ অপরিচিতাকে, হন্ন হয়ে খুজছে। রাফি নিজেই, নিজেকে দোষারোপ করছে, আর মনে মনে ভাবছে অপরিচিতা’কে ভুল বুঝে ডির্ভোস দেওয়া ঠিক হয়নি।

— আব্বু তুমি কাঁদছো কেনো? (রোজা)

— না মামনি কাঁদছি না’ তো। (রাফি)

— আব্বু তুমি না বলেছে,যারা মিথ্যা বলে তাদেরকে’ আল্লাহ্ ‘ পছন্দ করেনা। তুমি মিথ্যা বলোনা, চোখের পানি মুছে ফেলো আব্বু!( রোজা)

— হুমমমম! আমার মামনি বলেছে, চোখেরর পানি তো মুছতে’ই হবে। (রাফি)

– আচ্ছা! আব্বু, তুমি কাঁদছো কেনো? (রোজা)

— তোমার মামণি’কে কষ্ট দিয়েছি তাই অভিমান করে চলে গিয়েছে! ( রাফি)

— ওহ! মামণি পঁচা আব্বুকে কষ্ট দেয়। আব্বু তুমি মামণীকে ফোন দাও কোথায় আছে! (রোজা)

— মামনি তোমার মম অভিমান করে ফোন বন্ধ করে রেখেছে! (রাফি)

— আবার ফোন দাও। (রোজা)

— এবার রাফি ফোন দিতে’ই কল রিং হচ্ছে। অপরিচিতার ফোনে রিং হতেই রাফির মনে হয় প্রাণ ফিরে এলো। দু’বার রিং হতেই ওপাশ থেকে কল রিসিভ করতে’ই ”’ হ্যালো অপরি কেমন আছো? কোথায় তুমি? আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দাও। প্লিজ অভিমান ভুলে ফিরে এসো। এক সাথে অনেকগুলো প্রশ্ন করে ফেললো রাফি!

— হ্যালো ভাইয়া আপনি যার কাছে ফোন দিয়েছেন সে এখন হসপিটালে। ( অপরিচিত কন্ঠে কেউ কথাটা বললো)

— অপরিচিতা হসপিটালে কথাটা শুনে রাফির পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে! পৃথিবীটা কেমন যেন চারপাশে ঘুরছে। বুকের মাঝে চিন- চিনে ব্যথা করতে লাগলো। “কাঁপা কাঁপা কন্ঠে রাফি বললো আমার অপরির তো কিছু হয়নি”

— না চিন্তা করবেন না সামান্য মাথায় আঘাত পেয়েছে আপনি ঢাকা এপ্যালো হসপিটালে এসে পড়েন!

— রাফি হসপিটালে গিয়ে দেখে অপরিচিতা শুয়ে আছে! কি হয়েছে তোমার?

— রাফির কন্ঠ শুনে, অপরিচিতা বিস্ময়ের দৃষ্টিতে রাফির দিকে তাকায়। এই তুমি কাঁদছো কেন? (অপরিচিতা)

—আমাকে ক্ষমা করে দাও। তোমার কিছু হয়ে গেলে আমি বাঁচবোনা! (রাফি)

— আরে পাগল তুমি কাঁদছো কেনো? একদম কান্না করবেনা। তোমার অপরাধের ক্ষমা নেই। তবে ক্ষমা করতে পারি একটা শর্তে। (অপরিচিতা)

—-কি শর্ত?

— আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে হবে কোন দিন আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবেনা?(অপরিচিতা)

— অপরিচিতার বলতে দেরি হয়েছে। কিন্তু রাফির জড়িয়ে ধরতে দেরি হয়নি।

— বাবা মমকে জড়িয়ে ধরবে আমায় নিবে না? (রোজা)

— অপরিচিতা রোজার গালে- মুখে চুমু দিয়ে রোজাকে কুলে তুলে নেয়।

— হাসপাতাল থেকে বের হতেই দেখে রাইসা কথার কুলে বসে আছে। মনে হচ্ছে সবাই কোথায় যাবে। অপরিচিতা ভাবছে, কথা হাসপাতালে কেন? রাজের আবার কিছু হলো না’ তো?

— রাইসা, অপরিচিতাকে দেখে দৌঁড়ে অপরিচিতার কাছে এসে, ‘ বলতে লাগলো মামনি আমাকে ক্ষমা করে দাও! আমি তোমাকে পঁচা কথা বলেছি, বাবাই আমাকে সব বলেছে। আমি অন্যায় করেছি, ক্ষমা করে দাও মম আমাকে? আর এমন হবেনা। আব্বু মম কে বলোনা আমাকে বুকে জড়িয়ে নিতে।” ( কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বললো)

— অপরিচিতা রাইসাকে বুকে জড়িয়ে নিলো! মামনি লক্ষী মা আমার একদম কাঁদেনা। মম রাগ করেনাই। আচ্ছা মামনি তোমার এখানে কেন? (অপরিচিতা)

— কথা এসে অপরিচিতাকে রাজের ব্যাপারে সব বলে!

— কথা আপু কিছু না মনে করলে আমরাও কি সিঙ্গাপুর যেতে পারি? যে আমার মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছে তার এ অবস্হায় কিছুনা করতে পারলেও তার কাছে থেকে আল্লাহকে ডাকতে পারবো! ( অপরিচিতা)

— হুম! রাফি ভাইয়া আপনিও আসতে পারেন। এদিকে রাতের ফ্ল্যাইটে সবাই রাজকে নিয়ে সিঙ্গাপুর চলে যায়।

— আজ রাজের অপারেশন! একটু পর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাবে। কথা রাজের কপালে চুমু দিয়ে, কানে কানে বললো, “কখনো ছেড়ে যেয়োনা। তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে আমি যে বাঁচবোনা। তুমি যে আমার জীবন। তোমাকে নিয়ে আমি যে আমার কল্পনায় পৃথিবী সাজিয়ে ফেলেছি। তুমি ছাড়া যে কেউ তা বাস্তবে পরিণত করতে পারবেনা। ”

—- রাজ এখন অপারেশন থিয়েটারে! সবাই বাহিরে বসে আছে। সবার একটাই, আশা রাজের যেন কিছু না হয়। রাইসা বারে, রারে, বলছে মামনি, বাবাই কখন আমার সাথে কথা বলবে?

— এর উওর কারো কাছে নেই! সবাই অপারেশন থিয়েটারের বাহিরে। সবাই অপারেশন থিয়েটারের দরজার দিকে তাকিয়ে আছে। কখন ডাক্তার বের হবে, কখন বলবে রাজের অপারেশন সাকসেসফুল। রাজ আবার আগের মতো চলতে ফিরতে পারবে!

—-২ ঘন্টা পর অপারেশন থিয়েটার থেকে ডাক্তার বের হতেই সবার হার্টবিট কাঁপছে।কেউ জানেনা ডাক্তার কি বলবে!

..সরি, আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে ২৪ ঘন্টার মাঝে পেশেন্টের যদি সেন্স না ফিরে তাহলে আর কোনদিন তার সেন্স ফিরবেনা। তার সেন্স ফিরার চান্স ১০ পারচেন্ট। প্রচুর রক্ত গিয়েছে একই জায়গায় দু’বার অপারেশন। আমাদের ডাক্তারি বিজ্ঞানে পেশেন্ট এখন অ-ঘোষিত মৃত। যা ঘোষিত হতে, সময়ের ব্যাপার। কষ্ট হলেও এটা নির্মম সত্য যা আমাদের বলতেই হতো। তবে একটি কাজ করতে পারেন। আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষমতা যেখানে শেষ মহান আল্লাহ্ তায়ালার রহমত সেখান থেকে শুরু। আপনারা আল্লাহকে ডাকুন। তিনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে পেশেন্ট ভালো হতে পারে। আল্লাহ্ আপনাদের সহায় হোক বলে ডাক্তার চলে গেলো।

—- ডাক্তারের মুখে এমন কথা শুনে সবার চোখ দিয়ে অশ্রুর ফোয়ারা নামতে শুরু করলো।

— কথার মনে হচ্ছে, তার প্রাণটা বেড়িয়ে যাচ্ছে! বুকটা ফেটে যাচ্ছে।মনে মনে আল্লাহকে ডাকছে সবাই।রাত তিনটা সকালের মাঝে যদি রাজের সেন্স না ফিরে তাহলে রাজেরর সেন্স কোনদিন ফিরবেনা। রাইসাটা পর্যন্ত কাঁদছে। কথা সবার কাছ থেকে ওঠে গিয়ে রাজের বেডের পাশে নামাযে দাঁড়িয়ে গেলো। রুমে আর কেউ নেই সব ডাক্তার’রা জানে সকালের আলো রাজ কখনো দেখবেনা। রাত ৩.৩০ বাজে সব কিছু নিঃস্তব্দ, কথা দু’রাকাত নফল নামায শেষ করে। আল্লাহ তায়ালার কাছে দু’খানা হাত উঠিয়ে বলতে লাগলো; হে রহিম – রহমান। জন্ম- মৃত্যুর মালিক, এই পৃথিবীতে তুমি ছাড়া যে কেউ নেই যার কাছে দু’খানা হাত তুলে কিছু চাইবো। আল্লাহ এ কোন পরীক্ষা নিচ্ছো আমায়। তুমিতো জানো আমি আমার স্বামীকে ছাড়া বাঁচবোনা। আল্লাহ্ আমি আমার নিজের জীবনের বিনিময়ে আমার স্বামীর জীবন ভিক্ষা চায়। আল্লাহ ফকিরের বেশে তুমার দরবারে হাত তুলে ধরেছি।তুমি যে মহান।তুমি না রহিম -রহমান! দয়ার সাগর তুমি, আল্লাহ তোমার কুদরতি রহমত দ্বারা আমার স্বামীকে তুমি সুস্হ করে দাও! এসব বলতে বলতে আবারো সিজদায় পড়ে যায় কথা।

— এদিকে রাইসা “কথার “পিছনে দাঁড়িয়ে সব শুনতেছিল। কথার কান্না দেখে রাইসার বুঝতে বাকি থাকেনা যে তার বাবাইটা কিছুনা – কিছু হয়েছে। রাইসা ভাবছে তার মমের মতো সেও আল্লাহকে ডাকবে, এই ভেবে কথার পাশে গিয়ে বসে,পিচ্চি মেয়েটাও কথার মতো দুইটা হাত তুলে বলতে থাকে, আমার আল্লাহ তুমি না আমার আল্লাহ তুমি কি আকাশে থাকো? ও আল্লাহ তুমি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছো। ওহ! আল্লাহ বাবাই এর কাছে শুনেছি তুমি সব শুনতে পাও! আল্লাহ আমি পিচ্চি বলে ছোট মেয়ে বলে কি আমার কথা শুনতে পাওনা। আল্লাহ আমাদের বইতে পড়েছি তুমি নাকি আমাদের কথা শুনার জন্য কখনো ঘুমাও না। আচ্ছা তুমি তো এখনো জেগে আছো! জানো আল্লাহ ছোট মেয়েদের কথা কেউ না শুনলেও তুমি নাকি শোন। তুমি অনেক ভালো ” তুমি আমার বাবাইকে কেন কষ্ট দাও! তুমি জানোনা আল্লাহ তুমি যদি বাবাইকে কষ্ট দাও তাহলে রাইসা কষ্ট পায়। আল্লাহ শুনেছি বাচ্চা মেয়েরা নাকি ফেরেশতা হয় তাদের আবদার গুলো,, আরজিগুলো কেউ না শুনলে তুমি শোন। আচ্ছা আমি একাই কথা বলে যাচ্ছি তুমি তো কিছুই বলছোনা! ওহ! আল্লাহ তুমি কি অভিমান করেছে আমায় প্রতি, অভিমান করোনা আমি বড় হয়ে নামায পড়বো, তবুও আমার বাবাইকে ফিরিয়ে দাও! ফিরিয়ে দাও আল্লাহ ফিরিয়ে দাও!

— রাইসার কথাগগুলো পিছনে সবাই দাঁড়িয়ে শুনছে। ডাক্তার’রা পর্যন্ত ছোট মেয়েটার মর্ম সপর্শ কাতর কথা শুনে কেঁদে দিয়েছে। রাফি আর অপরিচিতাও কাঁদছে।

— হঠাৎ, ডাক্তার চিৎকার দিয়ে বললো! আন-বিলিরএভল, পেশেন্টের সেন্স ফিরেছে।আমাদের ডাক্তারি জীবনে প্রথম কোন রোগিকে দেখলাম নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ফিরে আসতে। রাইসা দৌঁড়ে গিয়ে রাজের বুকের ওপর শুয়ে পড়লো। কথা খুশিতে কেঁদেই ফেলেছে।

—–সবাই খুশিতে আত্মহারা।

— কথা তুমি কাঁদছো কেনো? (আমি)

— কাঁদছি নাতো এটা আমার সুখের কান্না। আমার জীবনকে আমি ফিরে পেয়েছি। ( কথা)

—- তোমরা সবাই শুনো আমার বাবা’ই একটা আব্বু একটা, মম একটা মামনি একটা! তাই আদরটাও বেশি। ওহ! হ্যাঁ আমার একটু বোনও আছে! ঠিক বলেছিনা বাবা’ই? ( রাইসা)

— রাইসাকে কপালে একটা পাপ্পি দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলতে লাগলাম। হ্যাঁ তো আমাদের রাইসা কখনো মিথ্যা বলেনা।

— সবাই মিলে দেশে ফিরে আসলাস! আজ আমাদের ৩য় বাসর রাত।দু’বার ফেল মারছি এবার যদি না পারি রেজিস্টেশন বাতিল হয়ে যাবে। এসব ভাবতে ভাবতে বিছানায় গিয়ে বসতেই দেখি, পূর্ণিমার চাঁদটা আজ আমার মনের আকাশটায় জ্যোৎসনা ছড়াচ্ছে। হাজারো ফুলের সুবাসের মাঝে কথার চুলের সেই মুগ্ধ করা গন্ধ আমাকে মাতাল করে তুলছে!.

— বিছানায় বসতেই কথা আমাকে সালাম করলে। কথাকে বুকে টেনে নেয়। তারপর কুলে করে বিছানায় শুয়ে দিয়ে। আস্তে আস্তে কথার ঠোঁঠ টা আমার ঠোঁঠের দখলে নিয়ে নেয়।

– হঠাৎ, ওই কথা আমি আর পারছিনা!!

— ওই জীবন তোমার কী হলো? প্লিজ ওমন ভাবে বলোনা! ( কথা)

— এভারো বুঝি আমার ফুলশর্য্যা হবে না।( আমি)

— আমার মুখে এমন কথা শুনতেই দেখি কথার চোখে পানি এসে গেছে!

ওই তুমি আবার কাঁদছো কেন?( আমি)

— কাঁদবো না কী করবো? প্লিজ বলো তোমার কী হয়েছে? ( কথা)

— আরে দেখো তো পায়জামার গিট টা খুলছে না! এই জন্যই বলি লুঙ্গি কেন ছেলেরা রাতের বেলা পড়ে!.

— কথাটা বলর আগেই আবারো ঠোঁঠ দুটি বন্ধ হয়ে গেলো। হারিয়ে গেলাম এক অজানা ভালবাসার রাজ্যে!

..কি হলো? গল্প তো শেষ। কত কষ্ট করলাম একটু রোমান্স করবো তাও আপনাদের জন্য করা যাবেনা।যান – যান শীতের দিন সবাই বিয়ে করে ফরয কাজ আদায় করে নেন।
….
বিঃদ্রঃ ভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। গল্পটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাশে থাকার জন্য। নিজে ভালো থাকুন। আশেপাশের মানুষগুলোকে ভালো রাখুন

3 মন্তব্য

  1. অসাদারণ গল্প।
    শেষে রাইসার মোনাজাত শুনে তো কেঁদেই ফেলেছিলাম।
    সবশেষে বলব পুরো গল্পটাই খুব খুব খুব ভালো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে