গল্পঃ ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা পর্ব_০৪

0
3101

গল্পঃ ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা পর্ব_০৪
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু
——– সরি আমি জানতামনা ফুলটা নিয়ে আসলে আপনি এমন করবেন!!(আমি)
!
—— শোন আর ন্যাকামি করবিনা এই বলে ফুলটা পায়ের নিচে ফেলে নষ্ট করে ফেললো!!! (কথা)
!
—— এদিকে কথার এমন ব্যবহার দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলামনা তাই বারান্দার দিকে রওনা দিলাম!!(আমি)
!
——- ওই শোন কখনো মনে করবিনা ফুল বা অন্য কিছু এনে আমাকে invole করবি তোর প্রতি মনে রাখিস তোদের মতো এতিমকে করোনা করা যায় ঘর বাধা যায়না!(! কথা)
!!
——- রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবছি
যে কথার কাছে নিজেকে এতিম বললে কান্না করতো আজ সেই কথাই এতিম ছাড়া সম্বোধন করেনা!! ডাইয়িটা তে এইসব লিখে রেখে ডাইয়ির মাঝখান থেকে পায়েলটা বের করে পায়েলটা হাতে নিয়ে বলছি তুমি না বলেছিলে সেই শৈশবে যে পায়েলটার সাথে কথা বললে মনে করবে আমার সাথে কথা বলবে কিন্তুু আজ তোমার দেয়া পায়েলটাকে নিয়েই বেচে আছি আর তুমি আমার আকাসের চাদ হয়ে অন্যের হৃদয় আকাশে জোৎসা বিলাচ্ছো কি অপরাধ ছিল তুমি না বলেছিল আমি কখনো নিজেকে এতিম মনে করবো না কিন্তুু আজ তুমিই এতিম বলে সম্বোধন করে বলো না কেনো ও সরি এইটা তো পায়েল তুমি না চোখ থেকে অশ্রুকণা গড়িয়ে পড়রো এই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম!!!
———সকালে ঘুম থেকে উঠতেই দেখি ফোনটা কাপছে ফোনটা হাতে নিতেই দেখি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন!! তাই ফোনটা রিসিভ করতেই!!!ফোনের ওপাশ থেকে? একটা মেয়েলি কন্ঠস্বর ভেসে ওঠলো!!!
!
——হ্যালো রাজ!!!!!
!
———– জি কে বলছেন!! (আমি)
!
——— আমি অপরিচিতা তোমায় বিরক্ত করার জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!!! (অপরিচিতা)
!
——- না ম্যাডাম বিরক্ত কেনো হবো হঠাৎ ফোন করলেন কেনো কোনো সমস্যা!! (আমি)
!
——– শোনো রাজ মেয়েটা সকাল সকাল জিদ্দি ধরেছে তোমায় সাথে কথা বলবে কি করবো বলো তাই তোমাকে বিরক্ত করলাম!!!( অপরিচিতা)
!
———- হ্যালো বাবাই তুমি আমায় ভুলে গেছো কাল অফিস থেকে যাওয়ার সময় আমাকে বলে যাওনি!!! (রাইসা)
!
——- এদিকে রাইসার মুখে বাবাই ডাকটা শুনে কেমন জানি লাগতেছে মনে মনে কি বলবো তাই চুপ করে আছি!! (আমি)
!
——– বাবাই তুমি তো খুব দুষ্ট তুমি মহারানীর সাথে কথা বলছো না!! যানো না আমার সাথে কথা না বললে তোমার চাকরি থাকবেনা (রাইসা)
!
——– ও মামনি সরি আর এমন হবেনা তুমি কি করছো এখন? (আমি)
!
——বসে আছি আর শুনো যে কারনে ফোন দেয়া অফিসে আসার সময় আমার জন্য আইসক্রিম নিয়ে আসবে বাবাই এখন রাখি হোমওয়াকক করবো!! (রাইসা)
!
—— ফোনটা রাখতেই চেয়ে দেখি পিছনে কথা তাই ফোনটা রেখে ফ্রেস হতে চলে গেলাম!!!
!
—— রুমে আসতেই অবাক হয়ে গেলাম দেখি কথা কাপড় পড়তেছে তাই চোখ দুটি হা দিয়ে বন্ধ করে ফেললাম!!! (আমি)
!
—— এদিকে চোখটা বন্ধ করতে না করতেই অ্যা অ্যা করে মনে হলো আকাশ থেকে বিদুৎ চমকালো!!!
!
—— ওই ছোটলোকের বাচ্চা বলেই ঠাস করে থাপ্পর দিয়ে বলতে লাগলো তোকে কতবার বলেছি রুমে আসলে নর্ক করে আসবি এর আগে সব দেখেছিস আবার এখনো না আমার সব শেষ আল্লাহ এই লুচ্চা আমার সব দেখে নিয়েছে!!! (কথা)
!
——- আপনি ভুল ভাবছেন যা মনে করছেন তার কিছুই দেখেনি!! (আমি)
!
——-তোদের মতো ছোটলোকদের আমার চেনা আছে মেয়েদের শরীল দেখার শখ!!! (কথা)
!
——– আপনি কিন্তু limit cross করতেছেন বললাম তো কিছুই দেখিনি!! (আমি)
!
——– কি তোর মতো ছোটলোকের কাছে limit শিখতে হবে না আর না তোর সাথে একি ছাদের নিচে থাকা কোনো ভাবেই পসিবল না তোই আমাকে ডিভোর্স দে আমি বাবাকে খবর দিচ্ছি সামনে মাসে আমার জীবন সজিব আসবে!!! (কথা)
!
—– আচ্ছা আপনি যা বলছেন তাই হবে তবে প্লিজ মামাকে ডিভোর্স এর আগে কিছু বলবেনা না?? (আমি)
!
——- আচ্ছা তবে আজ থেকে আমার রুমে থাকবিনা পাসের রুমে থাকবি তোম মতো ছোটলোককে বিশ্বাস নাই!! (কথা)
!
—— মনে মমনে ভাবছি আল্লাহর কাছে কি এমন অপরাধ করছি যার জন্য বিয়ের রাতেও স্বামীর অধিকার থেকে বন্চিত থাকতে হয়!!
—— কি কথা বলছো না কেন!(কথা)!
!
—–আচ্ছা থাকবো কেমন এখন আসি তাহলে এই বলে চোখটা মুছে পিছন দিকে তাকাতেই দেখি পাখি দরজায়!!! পাখি তুমি কখন আসলে আর আমার বাসা কিভাবে চিনলে!!!? (আমি)
!
——না আমি তোমার বাসাটা আগে থেকেই চিনি আর তোমার পাশের যে বাসাটা আছে ওইটা আমি কিনে নিয়েছি তাই অফিস যাচ্ছি তোমাকে সাথে নিয়েই যাই? (পাখি)
!
—— আচ্ছা চলো তাহলে!! (আমি)
!
——– হুম চলো!! (পাখি)
!
——- আচ্ছা রাজ একটা কথা বলবো??( পাখি)
!
—— হুম বলো কি বলবে এমন?? (আমি)
!
—— যাকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসলে আজ সেই মেয়েটা তোমাকে এতিম বলে ডিভোর্স চাচ্ছে!! (পাখি)
!
—– পাখি আমি জানিনা তুমি কি দেখছো না কি শুনছো তবে যাই দেখে বা শুনে থাকো তা কাউকে প্লিজ বলোনা!! (আমি)
!
——– তাই বলে আচ্ছা ঠিকআছে কেউ জানবেনা!! (পাখি)
!
——- এদিকে অফিসে আসতেই দেখি রাইসা চেয়ারে বসে আছে!!!
!
—— বাবাই বাবাই তুমি লেট করে আসলে কেন আর আমার আইসক্রিম কই!!না নিয়ে আসলে তোমার সাথে কথা নেই!! (রাইসা)
!
—— মহারানী ভিক্টোরিয়া এই যে নাও তোমার আইসক্রিম!! (আমি)
!
——– রাজ তোমার সাথে কিছু কথা আছে!!( অপরিচিতা)
!
—– জি ম্যাডাম বলেন!! (আমি)
!
—— মা রাইসা তুমি তোমার পাখি আন্টির সাথে খেলো কেমন!! শোন রাজ আমি জানি তুমি বিরক্ত বোধ করতেছে আমার মেয়েটা তোমাকে সারাক্ষণ জ্বালায় তোমাকে বাবাই ডাকে কি বলবো বলো জীবনে তার বাবাকে দেখেনি তো তাই জানো আমার মেয়েটা কারো সাথেই তেমন কথা বলতো না কিন্তু অফিসে তোমাকে দেখায় পর মেয়েটা কথা বলতে শিখেছে মেয়েটা হাসতে শিখেছে আর আমার মেয়ের জন্য তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!!( অপরিচিতা)
!
—– না ম্যাডাম কি বলছেন আপনি এইসব!!! আচ্ছা ম্যাডাম আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?( আমি)
!
——- হুম বলো!! (অপরিচিতা)
!
——- ম্যাডাম রািসার বাবার কি হয়েছে বলবেন একটু!!! (আমি)
!
—- আচ্ছা শোনো তাহলে আমার আর রিয়াদ এর বিয়েটা হয় arrange marriage খুব ভালোই চলছিলো দিনগুলো এরই মাঝে আমাদের ঘরে নতুন মেহমানের আবির্ভাব ঘটে মনে হচ্ছিল পৃথিবীর সব সুখ যেন আমাদের দোয়ারে এসে কাড়া নাড়ছিল কিন্তুু সুখ যে চিরস্হায়ী নয় যেদিন রাইসা পৃথিবীতে আসবে সেদিন রিয়াদ আমেরিকা থেকে ব্যবসা সক্রান্ত একটা কাজ সেষ করে বাড়ি ফিরছিল কিন্তুুু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ৯৭২ জন যাএী সহ বিমানটা নিখোজ হয়ে যায় জানো রিয়াদের মুখটা পর্যন্ত দেখতে পারিনি আম মেয়েটা তার জন্মদিনে তার সবচেয়ে বড় আপনজন হারায় !এসব বলতে গিয়ে ম্যাড্যাম কেদে ফেললো!!
!
——- সরি ম্যাডাম আপনার কাছে আমার জানতে চাওয়াটা ঠিক হয়নি!! (আমি)
!
—– না রাজ সেইটা আমার ভাগ্যে ছিলো জানো রাজ তুমি ও অনেক বড় মনের মানুষ তুমি যে সেদিন একটা ফুল ওয়ালা মেয়েকে বোনের মর্যাদা দিলে সত্যি বলার মতো কিছু নেই!! (অপরিচিতা)
!
—— না ম্যাডাম তেমন কিছু না
আচ্ছা এইতো রাইসা মামনি তুমি কোথায় থেকে আসলা! “(আমি)
!
——– জি বাবাই আমি লুকোচুরি খেলছি অফিসের সবার সাথে এই বলে দৌড়ে কুলে আসার জন্য আসতেই পড়ে গেলো মাথা ঘুড়িয়ে রাইসা!!!
——– এদিকে রাইসার পড়ে যাওয়া দেখে ম্যাডাম দৌড়ে রাইসার কাছে গেলো!!!!
!
——- মা মা কথা বল মা কথা বল এই বলে ডাকছে রাইসাকে ( অপরিচিতা)
!
——– এদিকে রাইসার কাছে গেতেই দেখি মহারাণীটা সেন্স লেন্স হয়ে গেছে!! ”
!
—— রাজ দেখো আমার মহারাণীটা কথা বলছেনা জানো রাজ একে নিয়েই বেচে আছি জীবনের সবটা হারিয়ে এই বলে কাদতে লাগলো (অপরিচিতা)
!
——— ম্যাডাম প্লিজ কাদবেন না ম্যাডাম চলেন রাইসাকে হসপিটালে নিতে হবে!! (আমি)
!
—– হুম চলো ( অপরিচিতা)
“!!
—— এদিকে হসপিটালে নেওয়ার পর যা শুনলাম তাতে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলামনা রাইসার নাকি জন্মের পর থেকে কিডনির সমস্যা ইতিমধ্যে একটা কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে এসব শুনে হসপিটালের একটা কোণে বসে আছি !!!
!
——– রাজ রাজ আমার মহারানীর জ্ঞান ফিরেছে!!! (অপরিচিতা)
!
——- রাইসার জ্ঞান ফিরার কথা শুনে রাইসার বেডের কাছে গেতেই দেখি একটা সন্ধ্যা প্রদিপ যেনো নিভু নিভু জ্বলছে কি সুন্দর মায়াবী মুখটা কাছে গেতেই!!
!
—— বাবাই বাবাই তুমি আসছো বসো তো মামনির কাছে!!! (রাইসা)
!
——- রাইসার কথা শুনে কি বলবো কিছু বুঝতে পারছিনা!!! (আমি)
!
——-বাবাই তুমি না পচা বললাম না মামনির পাশে বসতে??? (রাইসা)
!!!
—- হুম এইতে পাশে বসছি এই বলে ম্যাডাম পাশে বসতেই দেখি ম্যাডাম কেমন যানি করুণ দৃষ্টিতে তাকালো জানিনা এই করুণ দৃষ্টির মাঝে কি রহস্য লুকায়িত আছে!!! (আমি)
!
—— হি হি হি কত সুন্দর লাগছে বাবাই আর মমকে!! (রাইসা)
!
——- হুম মা তুমি এখন ঘুমাও কেমন? (অপরিচিতা)
!
——- মম আমার না এখানে থাকতে ভালোলাগেনা চল মা বাসাই যাই!! (রাইসা)
!
——– হুম মহারানি তোমাকে নিয়ে যাবো তো!! (অপরিচিতা)
!
——– বাবাই বাবাই তুমি মাকে বকা দিবে আমার না এখানে আসতে ভালো লাগে না তাও মা প্রতিমাসেই এখানে নিয়ে আসে!! আচ্ছা করে বকা দিয়ে দাও তো!!( রাইসা)
!
—— আচ্ছা মহারানী এখন একটু ঘুমাও কেমন আমি তোমার মমকে আচ্ছা করে বকা দিচ্ছি!!(আমি)
!
——— হুম মনে থাকে যেনো আমি আর এখানে আসবোনা ভালো লাগেনা এখানে আসতে!! (রাইসা)
!
——– ম্যাডাম আপনাকে একটা কথা বলবো!!? ( আমি)
——— কি বলবেন বলেন রাজস???( অপরিচিতা)!
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
——– ডাক্তার যা বললো রািসাকে নিয়ে তা কি সত্যি!! (আমি)
!
——– হ্যা রাজ তুমি যা জেনেছো সবি সত্যি রাইসা যেদিন জন্মগ্রহণ করে সেদিনই তার বাবাকে হারায় এতটা মন্দ ভাগ্য নিয়ে সে পৃথিবীতে এসেছে তাই তোমাকে যখন বাবাই বলে কিছু বলতে পারিনা ওর এই পাগলামির জন্য আমি আবারো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কি করবো বলেন বাবাকে দেখে নিতো তাই হয়তো এমন করে মেয়েটা!! (অপরিচিতা)
!
——– না ম্যাডাম কি বলছেন সরি কেনো বলেন আসলে রাইসার দুষ্টামি গুরো খুব মিস করি!! (আমি)
!
—— তাও হলেও সমাজে কেমন দেখায়!! (অপরিচিতা)
!
——- আচ্ছা ম্যাডাম বাদ দেন ওইসব বিষয় শুনেন রাইসার এই সমস্যার ভুগছে কতদিন ধরে এর কোন সমাধান নাই!!?( আমি)
!
—– যানো রাজ রাইসার যখন ১ বছর তখন একদিন রাতে গান শুনাচ্ছিলাম রাইসাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য একসময় রাইসা বলে ওঠলো মা বাবাই কোথায়??
!
—— আমি কিছু না ভেবে পেয়ে বললাম মামনি তোমার বাবাই তারাদের দেশে গেয়েছে??(অপরিচিতা)
!
——- মামনি তারাদের দেশ কি খুব সুন্দর যার জন্য তোমাকে আর আমাকে রেখে সেখানে গিয়েছে??? (রাইসা)
!
—– হুম মা মনে হয় অনেক সুন্দর!!!(অপরিচিতা)
!
——– শোন মা আমিও তারাদের দেশে যাবো বলো কি করে তারাদের দেশে যায় বিমানে করে মনে হয় তাই না জানো মা তারাদের দেশে গিয়ে বাবাই কে আচ্ছা করে বকা দিবো বলবো আমাদের ছেড়ে সেখানে কেনো গেছে!! (রাইসা)
!
——- না মা তারাদের দেসে যাওয়ার কথা বলবে না কেমন আমার লক্ষি মামনি!! (রাইসা)
!
——– মা আমি যদি সত্যি বাবার মতো তারার দেসে চলে যায় তখন তুমি কাদবে নাতো? (রাইসা)
!
——- যানো রাজ তখন মেয়ের এমন কথা শুনে অনেক কেদেছি মেয়েটাকে বুকে নিয়ে আর বলছি না মা তোকো কোথাও যেতে দিবোনা??? (অপরিচিতা)
!
——-হঠাৎ মা মা আমার না পেটে বাম সাইডে খুব ব্যাথ্যা করছে মা আমার খুব কষ্ট হচ্ছে??? (রাইসা)
!
—— মামনি কি হয়েছে তোমায় হু হু বলো???? (অপরিচিতা)
!
—–মামনি আমার না পেটে বামদিকে খুব ব্যাথ্যা করছে এই বলে প্রথমবার সেন্সলেন্স হয়ে যায় রাইসা!!!!
!
—— কি করবো তখনি বাবাকে সাথে নিয়ে রাইসাকে হসপিটালে এডমিন করায় ডাক্তার কিছু টেস্ট দেয় তিনদিন পর রির্পোট আসে আমার মহারানী টার নাকি একটি কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে!! ডাক্তারের মুখে কথাটা শুনার সাথে সাথে কালবৈশাখী ঝড়ের মতো সব উলট পালট হয়ে গেলো? জানো রাইসার রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ আর এই রক্তের গ্রুপ শতকরা তিনজনের কত জায়গায় খুজেছি একটা কিডনি কিন্তুু কোথাও পায়নি জানো ডাক্তা আজ বলেছে ৩ মাসের মাঝে যদি কিডনি প্রতিস্হাপন না করা যায় তাহলে আমার মহারানীটা আকাশের একটি সন্ধ্যা তারা হয়ে যাবে এই বলে কাদতে লাগলো!! (অপরিচিতা)
!
—– ম্যাডাম প্লিজ কাদবেন না?? (আমি)
!
—– বল কি করবো আমি চোখের সামনে নিজের মেয়ের মৃতু্্য দেখবো তার মরার দিন গুনবো বলো???( অপরিচিতা)
!
—— না ম্যাডাম এসব বাজে কথা বলবেন না তো রাইসার কিছুই হবেনা!!(আমি)
!
——– জানো রাজ সবকিছু হারিয়ে শুধু রাইসাকে নিয়ে বেচে আছি রাইসার যদি কিছু হয়ে যায় আমি সত্যি মারা যাবো কারণ রাইসাই যে আমার বেচে থাকার শেষ অবলম্বন!! (অপরিচিতা)
!
——- ম্যাডাম আল্লাহ তায়ালার রহমতে রাইসার কিছুই হবেনা চলেন ডাক্তারকে বলে রাইসাকে নিয়ে বাসাই চলে যাবেন!! (আমি)
!
——— হুম চলো রাজ????
!
——– বাবাই তুমি আসছো চলো আমরা আর এখানে থাকবো না কেমন?? (রাইসা)
!
—— হঠাৎ ডাক্তার এসে বলল আমাকে আপনি রোগীর কি হন আমার পাশেই ম্যাডাম দাড়িযে আছে তাই কি বলবো ভাবতে পারছিনা!!
!
——- হঠাৎ রাইসা বলে ওঠলো কি আপনার একটুও বুদ্দি নেই ওনি আমার বাবাই আর সাথে আমার মামনি হু আপনি যে কি করে ডাক্তার হইছেন আচ্ছা আপনি তো নকল করে পরীক্ষা দেননি???? (রাইসা)
!
——– এদিকে রাইসার কথা শুনে সবাই হেসে দিলো!!
!!!
—-রাইসাকে নিয়ে ম্যাডাম বাসায় চলে গেলো এদিকে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১১ টা বাজে তাই বাসাই এসে কয়েকবার কলিং বেল চাপলাম!!!!
!
——- এই যে ছোটলোক তোর কি কমন সেন্স নাই রাত কয়টা বাজে এখন কি নেশা করে আসলি নাকি দেখে তো তাই মনে হচ্ছে মনে রাখবি এর পর দেরি করে আসলে বাইরে রাত কাটাতে হবে!! (কথা)
!
——- এদিকে কথায় মুখে এমন কথা শুনে তার ওই রাগী মুখটার দিকে একবার এক পলক ফেলে পাশের রিমটাতে গিয়ে শুয়ে পড়লাম!!
—— সকাল সকাল দেখি ফোনটা বাজছে ক্রিং ক্রিং ক্রিং!!
!
—— কি করবো ফোনটা ধরতেই এইযে মিঃ কয়টা বাজে ফোন ধরতে এতো লেট কেনো ঘুমানো হচ্ছে বুঝি!! (রাইসা)
!
——-+ ও মহারানী তুমি ফোন দিয়েছো আমি তোমার কথা ভাবছিলাম!!
!
——– এইযে মিঃ wait তোমাকে না বলছি আমাকে আপনি করে বলতে!! (রাইসা)
!
——– আচ্ছা ভুল হয়ে গেছে আর বলবোনা এখন রাখি!!! (আমি)
!
——- আচ্ছা দিলাম ক্ষমা করে এখন আমায় দুইটা পাপ্পি দিবে বাবাই আর প্রতিদিন সকারে ফোন দিয়ে পাপ্পি দিবে মনে থাকবে??? (রাইসা)
!
——– হ্যা মহারানী মনে থাকবে!!!( আমি)
!
———ফোনটা রেখে দিয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি ঠিক তখনি!!
—— আমার কিছু টাকা লাগবে!! রাজ??( কথা)
!
——– হুম কত লাগবে বলেন???? (আমি)
!
——- দশ হাজার লাগবে আর টাকাটা এখন লাগবে?? (কথা)
!
——- আচ্ছা ঠিকআছে ধরেন আরো লাগরে বলতে পারেন?? (আমি)
!
——– নিজের টাকার গরম দেখাচ্ছো (কথা)
!
——- না আপনি যা ভাবছেন তা নয়!! (আমি)
!
——-শুনো টাকাটা আমি কেনো নিচ্ছি জানতে চাইলেনা!! (কথা)
!
—-না জানার প্রয়োজন মনে করিনি????(আমি)
!
——— শুনো তাহলে সামনে মাসের এক তারিখে সজিব আসবে তার জন্য কেনাকাটা করবো তুমি চিন্তা করোনা সজিব আসলে সব দিয়ে দিবো!!( কথা)
!
——— আচ্ছা আপনার যা ইচ্ছা??(আমি)
!
——— শুনো কখনো বলোনো তুমি আমার সাথে ছিলে তাহলে সজিব কষ্ট পাবে??(কথা)
!
—– আচ্ছা আপনি চিন্তা কইরেন না এতিম তো কাউকে কিছু দিতে না পারলেও কারো স্বপ্ন কেড়ে নিতে পারিনা?!! (আমি)
!
—- হুম তোর মতো একটা এতিমের জন্যই আমার সাজানো স্বপ্নগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে!!(কথা)
!
———- আচ্ছা আমার অফিসের লেট হয়ে যাচ্ছে পিছন দিকে ঘুরতেই একটা শর্ক খেলাম!!!!
চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে