গল্পঃ ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা পর্ব ০৩
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু
——— এদিকে পাখির মুখে আপনি ডাকটা শুনে অনেকটা অবাক হলাম যে পাখি কলেজে থাকা অবস্হায় তুই ছাড়া কোনো কথাই বলে নাই সবসময় ভালবাসি বলে কান ঝালা পালা করে সারতো আমার এখনো মনে আছে কলেজের একটা অনুষ্ঠানে মেয়েয়া শাড়ী আর ছেলেরা পান্জাবী পরবে কিন্তুু অনুষ্ঠানের দিন পাখির আসতে লেট হচ্ছে বলে তাদের বাসায় গেলাম!!!
!
—- বাবা রাজ তা কি মনে করে আসলে ( আঙ্কেল)
!
——– আঙ্কেল কলেজে আজ তো অনুষ্ঠান তাই পাখি কে নিতে আসছি (আমি)
!
— পাখি উপরে আছে যাও ( আঙ্কেল)
!
——- এদিকে উপরে পাখির রুমের কাছে গেতেই একটা শর্ক খেলাম কে জানি হাতটা টান দিয়ে রুমে ডুকিয়ে নিলো -!
——-এদিকে মেয়েটার দিকে তাকাতেই দেখি পাখি ওই তুমি ওমন করে ভেতরে নিয়ে আসলে কেনো আমায় এই বলে দরজায় দিকে রওনা দিতেই!!
!
——– রাজ তুমি যদি রুম থেকে বাহির হও তাহলে আমি চিল্লানি দিবো তুমি কেনো বুঝনা কলেজে কত বুঝিয়েছি ইশারার এই বলে এসে জড়িয়ে ধরলো!! (পাখি)
!
——— হঠাৎ দেখি মেয়েটা ছোট বাচ্চার মতো আকড়ে ধরে আছে মনে হচ্ছে আমি হারিয়ে যাবো!!!
!
——- এদিকে ওকে ছাড়িয়ে বললাম কেনো বুঝছো না তুমি আমার বেস্ট একটা ফেন্ড এছাড়া অন্য কিছুই ভাবিনাই কি মনে করো হু একটা সম্পর্কের সম্মানবোধ আছে??? ( আমি)
!
———- আমি কিছু বুজতে চাইনা আমি শুধু জানি আমি তোমাকে ভালবাসি!!! (পাখি)
!
——– তুমি কি পাগল আমার দ্বারা তোমাকে ভালবাসা কোন দিনই পসিবল না!!! (আমি)
!
——– রাজ দেখো আমি শাড়ি পড়তে পাচ্ছি না প্লিজ পড়িয়ে দাও নইলে আমি চিল্লানি দিবো
!
—— এদিকে পাখির কথা শুনে মনে মনে বলছি আল্লাহ দড়ি ফালাও বাইয়্যা বাইয়্যা ওইঠা পড়ি কি করবো!! (আমি)
!
——- কি পড়িয়ে দিবানা??
!
——— তুমি আমার ফেন্ড কি বলো এইসব প্লিজ পাখি বুঝায় চেষ্টা করো!!? (আমি)
!
——তুমি পড়িয়ে দিবেনা গো নাকি চিল্লানি দিবো অ্যা অ্যা? (পাখি)
!
——-এদিকে মনে মনে ভাবছি এই মেয়ে চিল্লানি দিলে মানস্মান সব চান্দে ওঠে যাবে তাই চিল্লানি দিতেই মুখটা ধরে ফেললাম!! আস্তে আস্তে পাখির কাছে গিয়ে শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছি আর মনে মনে ভাবছি এমন বন্ধু যেন কোন ছেলরর ককপালে ননা ঝোটে!!! (আমি)
!
——– এদিকে শাড়ি পড়িয়ে দেওয়ার সাথে সাথে মেয়েটা আবার জড়িয়ে ধরে বলতে লাগল রাজ একটু জায়গা দাও তোমার বুকে!!?(পাখি)
!
——– এদিকে ওকে বুক থেকে সরিয়ে বললাম পাখি প্লিজ বন্ধুত্বটা রাখো!! (আমি)
!
——–রাজ আমি তোমাকে ছাড়া বাচবোনা কেনো বুঝনা আমার পাগলামি গুলি জানো জীবনে কোন ছেলেকে ভালো বাসিনি কিন্তু যেদিন কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তোমার সাথে ধাক্কা লাগায় তোমার চোখে চোখ পড়ে ঠিক তখনি হারিয়ে যায় তোমার দুষ্ট সে হাসির মাঝে জানো সে রাতটা আমি একমুহুতের জন্যও ঘুমাতে পারিনি সারাক্ষণ শুধু তোমার সেই ছবিটা হৃদয়ের আয়নার ভেসে ওঠে জানো পরের দিন ক্যাম্পাসে তোমাকে কতখুজেছি পড়ে জানতে পারি তুমি আমার ডিপার্টমেন্টে পড়ো তার পর তোমার সাথে বন্দুত্ব প্লিজ রাজ বুকে জায়গা দিতে না পারলেও তোমার বুকের একটা কোণায় জায়গা দাও কেদে কেদে !!!! (পাখি)
——– আমি একটা মানুষ আর কতবার বলবো তুমি আমার ফেন্ড আর হ্যা তুমি যেমন তোমার হৃদয়ে আমাকে জায়গা দিয়েছো আমিও তেমনি আমার হৃদয়ের আকাশ জুড়ে শুধু একজনকেই ঠাই দিয়েছি সেই শৈশব থেকে তাকে হৃদয়ে লালন করে রাখছি আমি মরে গেলেও আমার হৃদয়ের শেষ স্পদনটাও শুধু আমার হৃদয়ের রাজকুমারীটার নাম বলবে!!(আমি)
!
——- রাজ জানতে পারি কি তোমার হৃদয়ের রাজকুমারীটার নাম কে সেই মেয়ে!!! (পাখি)
!
———- হুম সে হচ্ছে আমার হৃদয়ের রাজকুমারী কথা আমার শৈশবের খেলায় সাথী আমি যখন মা বাবাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ি তখন কথা আমাকে খাইয়ে দিয়েছে জানো ওর সাথে স্কুলে গেতাম সবাই এতিম বলে আমার সাথে কথা বলতো না তাই একটা কৃষ্ণচোড়া গাছের নিচে বসে কাদতাম আর আমার কান্না দেখে কথাও কান্না করতো আমার জন্য সে অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলতো না!!! একসাথে ছোটাছোটি করা সেউলি ফুলের মালা গেথে একে অপরকে পড়াতাম আমরা সবসময় জামাই বউ খেলতাম!!
!
——— কিন্তুু একদিন কথায় সাথে ঝগড়া করে তানিয়া নামে পাশের বাসার একটা মেয়ের সাথে বউ জামায় খেলতে দেখে তানিয়াকে কথা গিয়ে একটা থাপ্পর দিয়ে কাদতে কাদতে বাসায় এসে পড়ে!!!
!
——-ওই কথা কান্না করো না প্লিজ!!! (আমি)
!
——– কান্না করবোনা কি করবো এই সব কিছু দেখায় আগে আল্লাহ আমাকে বাচায় রাখলো কেনো যাও তানিয়ার কাছে যাও আমার কাছে কেনো আমি তোমার কে কেউ হলে তুমি তানিয়ার সাথে বউ জামাই খেলতে কান্না করতে করতে কথাগুলো বললো!! (কথা)
!
——- আচ্ছা সরি কথা আর কখনো হবেনা সরি তো!! (আমি)
!
——- রাজ তানিয়া কি আমার চেয়ে সুন্দরী!!( কথা)
!
——— হঠাৎ এমন কথা কেনো? (আমি)
!
——- প্লিজ বলো না বলো প্লিজ রাজ!! (কথা)
!
—— হুম আমার রাজকুমারীটাই সুন্দর ওই তো পেত্নী!!! (আমি)
!
—— হইছে আর বলতে হবেনা আর যদি পেন্তীর সাথে কথা বলতে দেখি তাহলে লবণ খেয়ে সুসাইড করবো বলে দিলাম ওই মেয়ের কওোবড়ো সাহস তোমার সাথে বউ জামাই খেলে!!! (কথা)
!
—— হা হা লবণ খেলে কেউ মরে নাকি??( আমি)
!
—– কি বলছে তুমি শোনা না আশিক ভাইয়ার মা বলে যে আগে যদি জানতো এওো ফাযিল হবে তাহলে ছোটবেলা লবণ খাইয়িরে মেরে ফেলতো হু তাই বললাম এর পর যদি ওই পেন্তীর দিকে তাকাও তাহলে আমি সত্যি সত্যি লবণ খাবো??? (কথা)
!
——–ওই রাজ তোদের ঝগড়া মিটমাট হইছে হলো খেতে আসই!!!( মামি)
!
——-আসতেছি মা তুমি খাবার রেডি করো দিয়ে যাও!!! (কথা)
!
——- এদিকে মামী খাবার দিয়ে গেলো খাবারের প্লেটটা হাতে নিয়ে কথা আমাকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য মুখের কাছে খাবার নিতেই চোখ দিয়ে অশ্রুর ফোয়ারা নামতে শুরু করলো!!!
!
—– ওই কাদো কেনো তুমি হু হু!! (কথা)
!
——-আমার মতো এতিম ছেলেকে কে খাইয়ে দেওয়ার কি আছে!!( আমি)
!
——– ওই পাগল চুপ করবা আরেকবার এতিম বললে কান্না করবো কিন্তুু এবার হা করো সারাদিন তো কিছু খাওনি আমি মনে হয় কিছুই জানিনা!!
!
——- তুমিওতো খাওনি হু হু!! (আমি)
!
——- আচ্ছা হা করো খাইয়ে দিচ্ছি এইভাবে দুজন দুজনকে খাইয়ে দিলাম!!!
!
——- রাজ একটা কথা বলবো রাগ করবে না তো!! (কথা)
!
——- হুম বলো?? (আমি)
——- রাজ প্রভা আপু অন্ত ভাইয়াকে বলে ভালোবাসে রাজ ভালবাসা কি ???(কথা)
!
!
——– আমিও জানিনা কথা ভালোবাসা কি তবে মনে হয় এইটা ভালোকিছু হবে তখন আমরা দুজন ক্লাস ৩য় পড়ে আচ্ছা ম্যাডামকে বলবো কেমন???? (আমি)
!
—— আচ্ছা তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিছো আমাকে একটা পাপ্পি দাও নইলে আড়ি!!!( কথা)
!
——– ওই ছি তুমি পচা আমার বুঝি লজ্জা করেনা!!! (আমি)
!
——- হইছে আমার লজ্জা ওয়ালা বরটা তানিয়ার সাথে বউ জামাই খেলতে লজ্জা কই রাখছিলা তানিয়া বললে তো ঠিকি দিতে এই বলে কাদতে লাগলো!!! (কথা)
!
——- আচ্ছা আমি দিচ্ছি প্লিজ কেদোনা চোখ বন্ধ করো নইলে আমার লজ্জা লাগে??? (আমি)
!
——– ওকে চোখ বন্ধ করলাম? (কথা)
!
——-এদিকে কথার কপালে আলতে করে পাপ্পি একে দিলা!!!! (আমি)
!
——- ভালোই কাটতে ছিল দিনগুলো স্কুল ফাকি দিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া নীল দিঘীর পাশ থেকে কদম ফুল পেড়ে কথাকে দেওয়া সবই স্বপ্নের মতো চলতেছিল কিন্তুু যখনি ক্লাস ফ্লাইভে ওঠলাম তখনি জীবনে নেমে আসলো ভয়ানক এক দুঃস্বপ্ন!!!
সাজ
ানো স্বপ্নগুলো যেনো হারিয়ে যেতে চাইছে কথাকে তার মামা নিতে আসছে বিদেশে থেকে লেখা পড়া করানোর জন্য এদিকে কথা যেতে চাচ্ছে না কিন্তুু মামা অার মামী বললো মা কথা চিরদিনের জন্য তো যাবেনা লেখা পড়া সেষ হলেই এসে পড়বে!!! (মামী)
!
——– এদিকে কথা আজ সন্ধ্যায় চলে যাবে তাই সকালে ওঠে না খেয়ে পুকুড় পাড়ের সেই কদমফুল গাছটার নিচে বসে আছি হঠাৎ কে জানি পাশে বসে আছে মনে হলো তাই ঘুরে তাকাতেই দেখি কথা!!এখানে আসছো কেনো?(অামি)
!
———- কেনো এমন করে না খেয়ে পুকুড় পাড়েরবসে আছো!! (কথা)
!
——- না এমনি ভালো লাগছে নাতো তাই বসে আছি প্রকৃতি দেখছি দেখ কথা কদম ফুলের কি সুগন্ধ বের হয়েছে!! (আমি)
!
—– হুম সত্যি রাজ মিস করবো এইসব!!
!
——- আচ্ছা রাজ আমি চলে গেলে আমার ভুলে যাবে নাতো!কেদে কেদে (কথা)
!
——— এই তুমি কাদছো কেনো কথা একদম কান্না করবেনা!!(আমি)
!
—–কি করবো বলো তোমাকে ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে ভাবছি কান্না করবো না কিন্তুুু কেনো জানি কান্নাটা এসে যাচ্ছে!! (কথা)
!
——-কথা একটা এতিম ছেলের জন্য কেনো কান্না করো!!! (আমি)
!
——– আরেকবার এতিম ছেলে বললে সত্যি আমি মরে যাবো রাজ প্লিজ এমন বলো না!! (কথা)
!
——- অাচ্ছা আর মরার কথা বলবো না কেমন!! (আমি)
!
——- আচ্ছা রাজ আমি চলে গেলে একদম কান্না করবে না বলো আমায় কখনো ভুলে যাবেনা? (কথা)
!
——— না না কখনোই ভুলবো না তোমায় প্রমিজ (অামি)
!
———– রাজ একটা কথা বলবো?( কথা)
!
——- হুমম বলো!! (আমি)
!
—- রাজ আমায় মাথা ছুয়ে প্রমিজ করো কখনো কোনো মেয়েকে ভালোবাসবেনা আমি চলে গেলে কখনো ওই তানিয়া ফানিয়ার সাথে কথা বলবানা ওইভাবে কখনো বউ জামাই খেলবেনা আমার হাতটা তার মাথায় রেখে কেদে কেদে বললো!! (কথা)
!
——- আচ্ছা রাজকুমারী কখনো কাউকে ভালোবাসবোনা, তুমি ছাড়া কথা দিলাম তোমার মাথা ছোয়ে!! (আমি)
——– আচ্ছা চলো খাবে চলো মা বললো তুমি সকাল না খেয়ে এখানে বসে আছে!! (কথা)
!
—–; হুম চলো এই বলে পুকুড় পাড় থেকে বাসায় চলে আসলাম!!!
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
——- এদিকে কথা খাবারের প্লেটটা এনে খাবার হাতে নিয়ে বলতেছে রাজ হা করো!!! (কথা)
!
——– কেনো না খাইয়ে দিলে হয়না!!! (আমি)
!
——- রাজ হা করবে তুমি না আমি কান্না করবো তুমি জাননা আমি চলে যাচ্ছি আর কখনো তোমাকে খাইয়ে দিতে পারবো না প্লিজ হা করো!! (কথা)
!
——— এভাবে খাওয়া শেষ করে রুমে একা শুয়ে শুয়ে কাদছি বালিশের নিচে মুখটা নিয়ে আর মনে মনে ভাবছি ছোটবেলা মা বাবাকে হারিয়ে একটা খেলায় সাথী পেয়েছিলাম কিন্তুুু আজ সেও দূরে চলে যাচ্ছে!!
!!
—– রাজ রাজ তুমি কাদছো কেনো!! (কথা)
!
—— কই নাতো কাদছি নাতো!! (আমি)
!
—– কি মনে করো আমি কিছু বুজিনা (কথা)
!
——– কি করবো বলো তুমি তো চলে যাবে তাই মনটা খারাপ লাগছে!(আমি)
!
———পাগল আমি কি সারাজীবনের জন্য চলে যাবো তোমাদের সাথে তো কন্টাক্ট হবেই!! (কথা)
!
——– আচ্ছা কখন যাবে তুমি!!(আমি)
!
——- এইতো একটু পড়ে যাবো রাজ এই যে এইটা নাও!! (কথা)
!
——— পায়েল কেনো দিচ্ছো কথা (আমি)
!
——— যখন আমি থাকবো তখন এই পায়েল টাকে দেখবে তাহলে মনে হবে আমি তোমার কাছেই আছি এইটার সাথে কথা বললে আমার সাথে কথা বলা হবে এইটা কে সবসময় সাথে রাখবে!! (কথা)
!
——-জানো পাখি আজ পর্যন্ত প্রতি রাতে পায়েলটার সাথে কথা বলি ঝগড়া করি তাই আমার দ্বারা আর কাউকে ভালোবাসা সম্ভব নয় আর প্লিজ আর কখনো এমন করবে না প্রেম ভালবাসা এটা স্বগীয় কাউকে ভালোবাসলেই যে তাকে পেতে হবে এমন নয়!! তুমি যথেষ্ট সুন্দরী আমার চেয়ে ভালো কাউকে পাবে!! (আমি)
!
——— এদিকে পাখি আমার কথাগুলো শুনে কেদো ফেললো রাজ তুমি কথাকে এওো ভালোবাসো সরি রাজ আমার ভুল হয়ে গেছে তবে আমার ভালবাসা চিরকাল তোমার জন্যই রবে!!( পাখি)
!
——–আচ্ছা চলো অনুষ্ঠানে লেট হয়ে যাচ্ছে এই বলে পাখি অার আমি অনুষ্ঠান চলে গেলাম!!!
!
———আজকের পাখি আর সেই দিনের পাখির মাঝে আকাশ -পাতাল ব্যবধান!!! যে মেয়েটা তুমি ছাড়া কখনো কথা বলতোনা সারাক্ষণ দুষ্টমি করতো আজ সেই পাখিটাই কেমন স্রোতহীন নদীর মতো হয়ে গেছে!!!
!
——– স্যার কি ভাবছেন ওমন করে!! (পাখি)
!
——— না কিছু না আচ্ছা কেমন আছো তুমি ( আমি)
!
—— জি স্যার ভালো আপনি!! (পাখি)
!
——-এইতো ভালোই আছি!! (আমি)
!
——– কেনো কথা শুনে মনে হচ্ছে ভালো নেই আপনি কিন্তুু ছোটবেলায় খেলায় সাথী কথাকে জীবন সাথী হিসেবে পাোয়া পরও যদি খারাপ থাকেন তাহলে কেমন হবে!! (পাখি)
!
——— তুমি এতো কিছু জানো কেমনে ?(আমি)
!
—– যাকে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছিলাম তার বিয়ের কথাটা টা জানবো না!! (পাখি)
!
——— আচ্ছা বাদ দাওতো ওই সব বিষয়!! (আমি)
!
——আচ্ছা বাদ দিলাম কেমন চলছে বৈবাহিক জীবন তোমার!! (পাখি)
!
—— হুম অনেক ভালো এই বলে অফিসের একটা জরুরী ফাইলের কাজ শেষ করে বাসায় রওনা দিলাম!! (আমি)
!
——— অফিস থেকে বাসায় আসতেই নিউমাকেট মোড়ে জ্যামে পড়ে যায় হঠাৎ স্যার ভাইয়া একটা ফুলের মালা নেননা নেন স্যার !!
!
—– পিছন দিকে তাকাতেই দেখি একটে ছোট মেয়ে বয়স আনুমানিক ৭ হবে কয়েকটা ফুলের মালা হাতে নিয়ে বিক্রি করতেছে তাই বললাম আপু এগুলো কি ফুলের মালা!!(আমি)
!
—— স্যার এইগুলা শেউলি ফুলের মালা নেন স্যার ম্যাডাম কে দিবেন!! (মেয়েটা)
!
——- হঠাৎ মেয়েটার কাছে শেউলি ফুলের নাম শুনে হারিয়ে গেলাম শৈশবে!
!
—- রাজ রাজ বড় হয়ে আমি যখন তোমার বউ হবো প্রতিদিন আমি অভিমান করে থাকবো আর তুমি আমার অভিমান ভাঙ্গাতে অফিস শেষে নিউমাকেট মোড় থেকে শেউলি ফুলের মালা নিয়ে এসে চুপি চুপি আমার এলোকেশে পড়িয়ে দিবে!!! বলো এনে দিবেনা!!( কথা)
!
——- এসব ভাবতেই চোখের কোণে অশ্রু এসে ভিড় জমায়!!
!
——- স্যার স্যার কাদছেন কেনো স্যার আপনার পায়ে পড়ি একটা ফুল নেননা প্লিজ!(মেয়েটা)
!
——– না চোখেতে ময়লা গেছে মনে হয় আচ্ছা তুমি ছোট হয়ে ফুল বিক্রি করছো কেনো? (আমি)
!
——- স্যার ছোটবেলাই বাবা একসিডেন্টে মারা যায় মা একটা বাসায় কাজ করে সংসার চালায় পাড়ায় একটা স্কুলে পড়ি কিন্তুু একসপ্তাহ ধরে মা অসুস্হ ওষুধ কেনার টাকা নাই তাই মাকে বাচাতে ফুল বিক্রি করতে আসছি স্যার ওষুধ না কিনতে পারলে মাকে বাচাতে পারবো না এই বলে মেয়েটা পায়ে ধরতে আসলো!!
!!
—— এই কি করছো ওঠো আর একটা ফুলের মালা দাও কেমন এই বলে একটা ফুলের মালা নিয়ে মেয়েটার হাতে একহাজার টাকা দিয়ে বললাম ধরো নাও!! (আমি)
!
——- স্যার বিশটাকা দেন এওো টাকা তো ভাংতি নাই আমার কাছে!! (মেয়েটা)
!
—— আচ্ছা শোন আমি তোমাকে একহাজার টাকাই দিয়েছি রেখে দাও কেমন তোমার না মা অসুস্হ মাকে নিয়ে ডাক্তার দেখা!!! (আমি)
!
——– স্যার আমি আপনার টাকাটা নিতে পারবোনা!! (মেয়েটা)
——– শোন আমি তোমার ভাইয়া হলে টাকাটা নিতে না হু ( আমি)
!
——–হঠাৎ দেখি মেয়েটা জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলতেছে সত্যি সত্যি তুমি আমার ভাইয়া!আজ থেকে তোমাকে ভাইয়া বলে ডাকবো ! (মেয়েটা)
!
——- আচ্ছা শোন আপু তোমার ভাইকে প্রতিদিন মালা দিবে কেমন আর শোন প্রতিদিন স্কুলে যেতে হবে কেমন আর এইযে আমার ঠিকানা যদি কোন বিপদে পড়ো বড় ভাইয়ের কাছে যাবে!!! (আমি)
!
——–ভাইয়া তোমার মতো ভাই পাওয়া সত্যি অনেক ভাগ্যের ব্যাপার আচ্ছা ভাইয়া আসি! কেদে কেদে !! (মেয়েটা)
!
———- ভাইয়ার সামনে বোন কি কাদে কখনো আর আপু তোমার নাম কি!! (আমি)
!
—– ভাইয়া আমি জীম আর ভাইয়া খুশিতে কেদে দিছি ( জীম)
!
——- আচ্ছা আর কখনো ভাইটার সামনে কাদবে না তাহলে ভাইয়াটাও কেদে দিবে বলে দিলাম!! (আমি)
!
—– আচ্ছা ভাইয়া কাদবো আমি এখন আসি মা কে ডাক্তার এর কাছে নিতে হবে!! (জীম)
!
———বাসায় এসে দেখি কথা এয়াশ রুমে তাই শেউলি ফুলের মালাটা ডেসিং টেবিলের কাছে রেখে আসলাম!! (আমি
!
—– ওই ছোট লোকের বাচ্চা তুই কি ভাবিস তোই ফুল নিয়ে আসলেই আমি তোর প্রেমে পড়ে যাবো কতবার বলবো আমি সজিবকে ভালোবাসি!!!(কথা)
!
——– সরি আমি জানতামনা ফুলটা নিয়ে আসলে আপনি এমন করবেন!!(আমি)
!
—— শোন আর ন্যাকামি করবিনা এই বলে ফুলটা পায়ের নিচে ফেলে নষ্ট করে ফেললো!!! (কথা)
!
—— এদিকে কথার এমন ব্যবহার দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলামনা তাই বারান্দার দিকে রওনা দিলাম!!(আমি)
!
——- ওই শোন কখনো মনে করবিনা ফুল বা অন্য কিছু এনে আমাকে invole করবি তোর প্রতি মনে রাখিস তোদের মতো এতিমকে করোনা করা যায় ঘর বাধা যায়না!(! কথা)
!!
——- রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবছি
যে কথার কাছে নিজেকে এতিম বললে কান্না করতো আজ সেই কথাই এতিম ছাড়া সম্বোধন করেনা!! ডাইয়িটা তে এইসব রেখে ডাইয়ির মাঝখান থেকে পায়েল….
চলবে____