গল্পঃ ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা পর্ব ০২
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু
—— হা হা হা আচ্ছা সত্যি কি তুমি ভয় পেয়েছো!!! (রাইসা)
——- হ্যা সত্যিই খুব ভয় লাগছে!!! (আমি)
!
—–অাচ্চা এইযে বোতল পানি খাও কেমন!!! (রাইসা)
!
——– মা মা দেখ আঙ্কেলটা সত্যি সত্যি অনেক ভালো এদিকে রাইসার ডাকে ম্যাডাম আমার ডেস্কে এসে হাসতেছে মা মা চল আঙ্কেল কে আমাদের বাসায় নিয়ে যায়!! (রাইসা)
!
——– আচ্ছা মা অন্যদিন কেমন আর মা তোমার মেডিসিন নেওয়ার সময় হৃযে গেছে চলো মা (ম্যাডাম)
!
——এদিকে রাইসা টাটা দিয়ে চলে গেলো আর আমি হাতের কাজটা শেষ করে বাসায় রওনা দিলাম!!!
!
——- বাসায় এসে দরজাটা খুলতেই একটা শর্ক খেলাম দরজাটা খুলতেই দেখি কথা শাওয়ার নিয়ে
এসে রুমে শুধু একটা টাওয়াল পড়ে চুলগুলো আচতেছে এদিকে রুমের দরজাটা খুলতেই চোখদুটি বন্ধ করে ফেললাম!!!!
!
——- এদিকে কথা অ্যা— করে এক চিৎকার করে ওঠলো
— আল্লাহ গো আমার সব শেষ এই ছোটলোকের বাচ্চা তুর কিভাবে সাহস হয় রুমে নর্ক না করে প্রবেশ করার এখন আমার জান সজিব কে কি বলবো ওই তো কি সব দেখে নিয়েছিস ???( কথা)
!
——– আপনে যা ভাবছেন তার কিছুই হয়নি আমি ইচ্ছা করে রুমে আসেনি!!!!
!
——– এদিকে কথা নিজের দিকে তাকিয়ে আবারো এক চিল্লানি!!!আল্লাহ গো আমার সব শেষ এই বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো!!! (কথা)
——- কিছুক্ষন পরে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই দেখি একটা গোধুলির আলো মনে হচ্ছে রংধনুর সাতরঙা রঙ নিয় অন্ধকার জীবনকে আলোকিত করতে আসতেছে এদিকে আমি পলকহীন ভাবে মায়াবতী রাজকন্যার দিকে চেয়ে আছি!!!
!
——— টাস – টাস ——- থাপ্পর টা মেরে বলতে শুরু করলো ওই তোর কি এখনো দেখায় শখ মিটেনি তখন তো সব দেখে নিয়েছিস হু হু শোন আমাকে তোর বউ মনে করলে বা অধিকার ফলানোর চেষ্টা করলে ভুল করবি তোর মতো এতিম কে করুণা করা যায় কখনো স্বামীর আসনে বসানো যায় না?? আজ দুইটা চড় দিলাম এর পর যদি কখনো আমার রুমে নক না করে আসিস তাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবেনা??? (কথা)
!
———
!!
—— এদিকে মাথাটা নিচু করে সব শুনছিলাম চোখ দিয়ে মনে হয় আষাড়ের শ্রাবণো ঝরণা ধারা নামবে তাই চোখটা মুছে মাথা টা তুরে বলতে লাগলাম হ্যা আমরা এতিম এইজন্য নিজের বউয়ের দিকেও তাকানো যাবেনা ও সরি আপনাকে একটা এতিম করুণায় পাএ তো কখনোই আপনার স্বামী হতে পারে না পারলে এতিমটাকে ক্ষমা করে দিবেন!!! (আমি)
!!
—— হুম মনে থাকে যেন এর পর যদি এমন কিছু করতে দেখি তাহলে পায়ের স্যান্ডেলটা হাতে ওঠবে mainded!!!(কথা)
!
—— এদিকে কথায় এমন কথা শুনে বারান্দায় এসে বসে আছি আজকের আকাশটাও কেমন জানি মনে হয় রোদের সাথে করেছে আড়ি কালো মেঘে ডাকা পড়ে গেছে ঠিক আমার জীবনটা কোন এক অদৃশ্য অশোভ ছায়া অমব্যবসার অন্ধকারে ডাকা পড়ে গেছে এগুলো ভাবতে ভাবতে চোখের কোণে বিদনাসিক্ত অশ্রুকণা এসে বিড় করলো এদিকে দেখি রাত হয়ে গেছে তাই গিয়ে রুমের দরজাটা নর্ক করলাম!!
!!
—— কিন্তুু কোনো রেন্সপোন্স নাই তাই আবার নর্ক করতেই ভেতর থেকে শোনা যাচ্ছে সজিব বাবু আমি আর পারছিনা ওই অনাতের সাথে একি ছাদের নিচে থাকতে প্লিজ বাবু সোনা তুমি যতো তাড়াতাড়ি পারো আমাকে তোমার করে নাও গো তা নাহলে আমি যে সন্ধ্যা প্রদীপ হয়ে যাবো!!??
—— না জানু তুমি কোনো চিন্তা করোনা ওই ছোটলোকের কাছ থেকে যতো তাড়াতাড়ি পারো ডিভোর্স নিয়ে নাও!!! (সজিব)
!
——ওম্মা বাবু আমার বাবুটা কওো ভালো আচ্ছা বাবু রাখি ওই এতিম মনে হয় সব শুনতেছে দরজা নর্ক করলো তো!! (কথা)
!
——— আচ্ছা জানু বাই পরে কথা হবে কেমন!! (সজিব)
!
—– এদিকে রুমে আসতেই কথা বলতে শুরু করলো কি আমাকে কবে ডির্ভোস দিবি বল!! (কথা)
!
——-আমি যতো তাড়াতাড়ি পাড়ি আমার এই অশোভ ছায়া থেকে আপনাকে মুক্তি দিবো কেমন আর আপনি নিশ্চিন্তে থাকেন! (আমি)
!
—— হুম যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব করো আর হ্যা এই নে তোর বালিশ সোফায় থাকবি আর কখনো যেন আমার বেডের কাছে আসতে না দেখি!! এই বলে বিছানা থেকে বালিশটা ছুড়ে দিলো!!
!
——— এদিকে বালিশটা নিয়ে সোফায় শুয়ে শুয়ে দিনের কথা গুলো ভাবছি আর মনে মনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি এ আল্লাহ আমি কি অপরাধ করছি তোমায় কাছে বলতে পারো কি আল্লাহ সবাই জন্মের পর মাকে দেখে আর আমার মা হসপিটালের বেডে রেখে তোমার কাছে অভিমান করে চলে গেছে যানো মা ডাকটাতো বড় কথা মায়ের এক ফোটে দুধ পর্যন্ত পান করতে পারিনি!!
!
আস্তে আস্তে বড় হলাম সবে মাএ স্কুলেে যাওয়া শুরু করলাম হাতে কাঠের পেন্সিল আর একহাতে কিছু বই বাবা প্রতিদিন কপালে একটা করে চুমু দিয়ে স্কুলে দিয়ে আসতো স্কুলে প্রতিটা ছেলেরই মা আসতো একটু খেলতে গিয়ে ব্যথা পেলেই মা মা ডেকে চিৎকার দিতো তাই তাদের কাছে মা ডাক শুনে মনে মনে স্হির করলাম বাবাকে বলবো মা কেন ডাকে মা কি জিনিস তাই স্কুল থেকে ফিরে বাবাকে বললাম বাবাই বাবাই একটা কথা বলবো?
!
—- হুম বাবা বলো কি বলবা? (বাবা)
!
—–বাবাই স্কুলের সব ছেলেরা মা মা ডাকে মা কি জিনিস আর আমার মা কই বাবা আমার মা কই জানো স্কুলের ছেলে মেয়েয়া যখন মা মা বলে ডাকে কুলে ওঠে তখন আমার না বুকের মাঝে কেমন জানি লাগে বল বাবা মা কই!!! (আমি)
!
——-এদিকে বাবা আমার কথাগুলো শুনে দুহাতে কুলো তুলে নিয়ে কপালে আর গালে চুমু দিয়ে কিছু বলছে না শুধু চোখের পানি দিয়ে আমার বুকটা টা ভিজিয়ে ফেলছে!!!
!
—– বাবাই তুমি কেদোনা আর আমি মার কথা বলবোনা কেমন তুমি একটু হাসো তো বাবা!!! (আমি)
!
—— এদিকে এই কথায় বাবার মুখে প্রথম অশ্রুসিক্ত হাসি দেখেছিলাম যে হাসির কাছে পৃথিবীর সকল কিছু মূল্যহীন আমি তখনি জীবনের প্রথম বাবার সেই অশ্রুসিক্ত হাসির মাঝে মেঘের কোলে রোদ দেখে ছিলাম!!!!
!
—– ভালোই চলছিল শৈশবের দিনগুলি কিন্তুু সুখ নামক সোনার হরিণটি যে আমার ভাগ্যে নেই!!!
!
—- সবে মাএ পেন্সিল ছেড়ে কলম ধরেছি মনে এখনো আছে সেদিন ছিল আমার বার্থডে আর আমার জীবনের সব চেয়ে কষ্টের দিন তাই বাবা শহরে গেয়েছিল আমার বার্থডে কেক কিনতে কিন্তুু রোড একসিডেন্টে যাকে মা বলে ডাকতাম যাকে বাবা বলে ডাকতাম তার কাছ থেকেও আমাকে দূরে সরিয়ে দিলো!!!
!
—- এদিকে চেয়ে দেখি রাত ৩ টা বাজে তাই মনে মনে প্রার্থনা করলাম আল্লার কাছে যে তোমার এতিম অনাত বান্দাটাকে তোমার কাছে টেনে নাও তাও তোমার একটু ভালোবাসা পাবো মানুষের অবহেলা সইতে সইতে আমি আজ ক্লান্ত এই সব ভাবতে ভাবতে সকাল হয়ে যায়!!!
!
——– এই এতিম কয়টা বাজে এখনো ঘুমিয়ে আছিস
—– চেয়েই দেখি কথা!?
!
—— তাই বললাম আচ্ছা আপনি রেডি হন উকিলের কাছে যাবো!!! কথাটা বলতে গলাটা ধরে এলো!!!!
!
——– আচ্ছা আমি যাচ্ছি তুই ও তাড়াতাড়ি রেডি হও এই বলে চলে গেলো!!! (কথা)
!
—— এদিকে রেডি হয়ে কথাকে নিয়ে কোটে গেলাম সব কিছু শুনার পর বলল তিনমাস পরে ডিভোস লেটার রেডি হবে তখন আপনারা দুজন সাইন করে দিবেন কেমন?? আর হ্যা আমি আবারো বলছি সংসারে এরকম ঝামেলা হতেই পারে আপনারা বাসায় গিয়ে ভেবে দেখবেন!!! (উকিল)
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
———আচ্ছা সেটা আপনাকে বলতে হবেনা আপনার কাজ আপনি যতো ফাস্ট করতে পারেন করেন!!! (কথা)
!
——- আচ্ছা চলেন আমার লেট হয়ে যাচ্ছে বলেন কথাকে নিয়ে শেরপুর কলেজ মোড়ের কাছে আসতেই জ্যামে আকটা পড়লাম এদিকে জ্যাম ছাড়ার কোনো কথায় নেই —-
!
—— হঠাৎ একটা মেয়ে এসে বলতেছে কথাকে ম্যাডাম ম্যাডাম বিশটা টাকা দেন আমার স্বামী টার অপারেশন এর জন্য!!!( মেয়েটা)
!
——– কি হয়েছে আপনার স্বামীর আর অসুস্হ স্বামীকে অপারেশন না করে ছেড়ে যেতেই তো পারেন যওোসব ছোটলোক! এদের জন্য রাস্তায় বের হওয়া যায় না (কথা)
!
——- আপু আমরা বাঙালী মেয়ে আমাদের কাছে বিয়ের পর স্বামীর আমাদের কাছে পৃথিবী?? জানেন আজ যদি আমি অসুস্হ থাকতাম তাহলে সে আমার জন্য এটাই করতো আপনার টাকা আমার লাগবো না পারলে একটু দোয়া করবেন !(মেয়েটা)
!
——– এদিকে মেয়েটার চলে যাওয়া দেখলাম আর কথায় দিকে তাকিয়ে দেখলাম সে অবাক দৃষ্টিতে মেয়েটাে চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে??
!
——–এদিকে অফিসে আসতেই দেখি ডেস্কের দিকে তাকিয়ে আমার চেয়ারে রাইসা বসে আছে কাছে গেতেই বলতে শুরু করলো এই যে মিঃ কয়টা বাজে আপনার চাকরি নেই আসতে পারেন!!! (রাইসা)
!
—— আপনি কি আমাকে ক্ষমা করতে পারেন। না আর ভুল হবে না!! (আমি)
——- হা হা হা হবেনা কান ধরতে হবে? (রাইসা)
!
——– মনে মনে ভাবছি এই পিচ্চি মেয়ে মনে হয় আমার মান সম্মানেরর বারোটা বাজিয়ে দিবে রাইসা আম্মু আমার সাজাটা কমানো যায়না!! ( আমি)
!
—– না না বলছি এখন কান ধরে উঠবস করো!!! (রাইসা)
!
———— আচ্ছা টিক আছে এই বলে যখনি কান ধরতে যাবো তখনি দেখি অপরিচিতা ম্যাডাম আর একটা মেয়ে পিছনে দাড়িয়ে হাসতেছে!!!
!
——- মা মা দেখো তো কেমন দেখাচ্ছে আঙ্কেল কে??? (রাইসা)
———খুব সুন্দর দেখাচ্ছে মা এখন না তোমার মেডিসিন নেওয়ার সময় দুষ্টামি করোনা!!! (অপরিচিতা)
!
——– আচ্ছা মম! মম জানো আঙ্কেল না অনেক ভালো আঙ্কেল কে বাবাই বলে ডাকবো কেমন স্কুলের সব মেয়েদের বাবাই আছে আমার বাবাই নেই!!! (রাইসা)
!
——— এদিকে রাইসার কথা শুনে সবাই নিঃস্তব্দ হয়ে গেলো কারো মুখে কোন কথা নেই!!
!
——*–মম বলো কথা বলছো না কেনো তোমাকে বাবার কথা বললেই কোনো কথা বলোনা!! (রাইসা)
!
——— আচ্ছা মা চলো তো! তোমার মেডিসিন নেওয়ার সময় হইছে!!! (অপরিচিতা)
!
——- হুম চলো মম আর এইযে দুষ্ট তোমাকে আমি বাবাই বলে ডাকবো কেমন?(রাইসা)
!
——— এদিকে রাইসার কথার কি উওর দিবো পৃথিবীর সমস্ত ভাষা যেনো হারিয়ে গেছো!!
!
—— আচ্ছা মা তুমি যাও কেমন আর রাজ আপনার কাছে আমি রাইসার এমন ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কেমন??? (অপরিচিতা)
!
—- আচ্ছা ম্যাডাম আমি কিছু মনে করিনাই!! (আমি)
!
——আর শুনেন আজ থেকে আপনার সহায়ক হিসেবে কাজ করবে মিস পাখি!! (অপরিচিতা)
!
——– এদিকে অপরিচিতা ম্যাডামের মুখে পাখির কথা শুনতেই মনের মাঝে কেমন জানি করে ওঠলো কোন পাখি এটা কলেজের সেই মেয়েটা নাতো যে কিনা সারাদিন পিছনে লেগে থাকতো কতই না চন্চল ছিল মেয়েটা ভাবতে লাগলাম!!! (আমি)
!
——- এইযে মিস পাখি এই হচ্ছে রাজ আর আজ থেকে আপনি ওনার কলিগ হয়ে কাজ করবেন!! (অপরিচিতা)
!
———- পিছন দিকে তাকাতেই একটা শর্ক খেলাম!
এইতো সে পাখি যে কিনা সারাটা দিন মুক্ত পাখির মতো ওড়ে বেড়াতো এখনো মনে আছে তার ভালবাসা নামক সেই পাগলামি গুলির কথা সত্যিই কলেজের সেই দিনগুলি হৃদয়ে গেথে গিয়েছে!!!
—— এদিকে পাখিও আমার দিকে অবাক নয়নে চেয়ে রয়েছে!!
!
——- রাজ আপনাদের দেখে মনে হচ্ছে আপনারা দুজন দুজনকে চিনেন!!!(অপরিচি
তা)
!
——– জি ম্যাডাম আমরা কলেজে বেষ্ট ফেন্ড ছিলাম!! (আমি)
!
—– ও তাহলে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়া মতো কিছু নেয় আপনাদের তাহরে আসি রাজ আসি মিস পাখি ( অপরিচিতা)
!
——— কেমন আছো পাখি???
(আমি)
—– জি স্যার আমি ভালো আছি আপনি??? (পাখি)
!
——— এদিকে পাখির মুখে আপনি ডাকটা শুনে অনেকটা অবাক হলাম যে পাখি কলেজে থাকা অবস্হায় তুই ছাড়া কোনো কথাই বলে নাই সবসময় ভালবাসি বলে কান ঝালা পালা করে সারতো আমার এখনো মনে আছে কলেজের একটা অনুষ্ঠানে মেয়েয়া শাড়ী আর ছেলেরা পান্জাবী পরবে কিন্তুু অনুষ্ঠানের দিন পাখির আসতে লেট হচ্ছে বলে তাদের বাসায় গেলাম!!!
!
—- বাবা রাজ তা কি মনে করে আসলে ( আঙ্কেল)
!
——– আঙ্কেল কলেজে আজ তো অনুষ্ঠান তাই পাখি কে নিতে আসছি (আমি)
!
— পাখি উপরে আছে যাও ( আঙ্কেল)
!
——- এদিকে উপরে পাখির রুমের কাছে গেতেই একটা শর্ক খেলাম কে জানি
চলবে____