গল্পঃঅটুট_বন্ধন(বালিকা বধূ)পর্বঃ৩

0
3028

গল্পঃঅটুট_বন্ধন(বালিকা বধূ)পর্বঃ৩
#লেখকঃShamil_Yasar_Ongkur

স‍্যারের মুখে হঠাৎ আপনি ডাক শুনতে অসস্থি বোধ হলেও নীলা বেশ খুশি স‍্যার তাকে সরি বলেছেন ভাবা যাই…?

নীলার খুশীতে লাফাতে ইচ্ছে করছে।
নীলা স্বপ্নেও ভাবিনি আবির তাকে সরি বলবে।

নীলা আবির স‍্যারের কেবিন থেকে বের হতেই আকাশ আর বর্ষা তার কাছে এগিয়ে গেল।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


আকাশ:কিরে স‍্যার কি বলল বকা টকা দিয়েছে নাকি…?

নীলা:নারে পাগলা আমার তো খুশিতে তোদের ট্রিট দিতে ইচ্ছে করছে।

আকাশ: কোনো স‍্যার তোকে কিস করেছে নাকি…?

নীলা: দুরু তুই সব সময় একটু বেশি বুঝিস ।আর ঐ চান্দু কিস করবে তাও আবার নীলা চৌধুরী কে।ঐ বেটা চান্দুর এখনো সেই যগ‍্যতা হয়নি বুঝতে পারছিস।

আকাশ: তো ভেতরে কি হয়েছে সেটা তো বলবি।

নীলা: চান্দু আমাকে সরি বলেছে ।

কিহ সত্যি আকাশ আর বর্ষা অবাক হয়ে বলল।

নীলা: হুম সত্যি

বর্ষা নীলার হাত ধরে টানতে টানতে বলল তাহলে এখন ‍ ক্যান্টিনে চল । এতো সুন্দর একটা খবর একটু যদি সেলিব্রেশন না হয় তাহলে কি হবে।আর তোর তো একটা পার্টি থ্রু করা উচিত। কি বলিস আকাশ।

আকাশ: হুম নীলা বর্ষা কথাটা কিন্তু একদম ঠিক বলেছে তোর একটা পার্টি থ্রু করা উচিত।

নীলা: তোরা যখন এতো করেই বলছিস তখন তো একটা পার্টি দিতেই হয়।ঐ চান্দু কে আগে ভার্সিটি থেকে বের করে দিয় তার পর বাবাকে বলে একটা বড়সড় পার্টির ব‍্যবস্থা করবোনি।

বর্ষা মনে মনে বলে ঙঙঙঙ ভার্সিটি ওর বাবার ওই বলল আর ওর কথা মতো ভালো একটা স‍্যারকে ভার্সিটি থেকে বের করে দিল।

নীলা:ঐ বর্ষা বুর বুর করে কি বলিস রে।

বর্ষা: না মানে আজ না হয় পার্টি না দিলি ট্রিট তো দিতেই পারিস।

নীলা: হুম তাহলে এখানে দাঁড়িয়ে না থেকে ক্যান্টিনে চল।

নীলা আকাশ আর বর্ষা ক্যান্টিনে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে।

হঠাৎ আকাশ বলল দেখ নীলা বাইরে একবার দেখ।

নীলা বাইরে তাকাতেই দেখল মুসকান আবির স‍্যারের বাইকে উঠে কই যানি গেল।

বর্ষা: মুসকান তো আবার স‍্যারের সাথে ইটিস পিটিস করতেছে না। তখন দেখলি না স‍্যারের কথা শুনে কেমন রেগে মেগে চলে গেল।আবার স‍্যারের পক্ষ নিয়েও কথা বলল।

আকাশ: এমন কিছুই নয় । আমার যা মনে হয় মুসকান যে কিপটার কিপটা দেখ কোথাও হয়তো যাবে টাকা বাঁচানোর জন্য স‍্যারের বাইকে উঠে পড়েছে। বেয়াদব হলে যা হয় আর কি।

নীলা: আকাশ তুই যেটা যানিসনা সেটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। মুসকান মোটেও কিপটা না।সো পরবর্তী ওর সম্পর্কে কিছু বলার আগে একটু ভেবে চিন্তে কথা বলিস।

আবির বাইক নিয়ে ভার্সিটি থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরোতে মুসকান বাইকের সামনে এসে দাঁড়ায়।

আবির: কি হলো মুসকান এমন পাগলের মত বাইকে সামনে এসে দাঁড়ালে কেন..?

মুসকান: আমিও আপনার সঙ্গে যাবো।

আবির: হঠাৎ আমার সঙ্গে যাবে কেন।

মুসকান: মামুনি যেতে বলেছে তাই যাব আপনার কোন সমস্যা।

আবির: তো আপনার মামুনিকে বলতে পারেন নি আপনার জন্য গাড়ি পাঠাতে।

মুসকান: মামুনি বলেছে আমার এই ভার্সিটিতে তার ছোট ছেলে নাকি মাস্টারি করে ।তাকে বললেই সে নাকি আমাকে মামুনির কাছে নিয়ে যাবে

আবির: তাহলে এখন ভনিতা না করে আপনি উঠে পড়ুন প্লিজ।

মুসকান ঝটপট আবিরের বাইকের পেছনে উঠে আবিরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।

আবির: মুসকান কি করছিস মানুষ দেখছে তো। এখানে এমন চিপকা চিপকি কি না করলেই নয়।

মুসকান: দেখুন আপনি কিন্তু এখন আর আমার স‍্যার নয় সো আমাকে জ্ঞান দিতে আসবেন না।

আমি শুধু জ্ঞানীদের তাইনা মুসকান মলিন কন্ঠে কথাটা বলল আবির।

মুসকান: সরি ভাইয়া আমি ঠিক ওই ভাবে কথাটা বলতে চাইনি। আর তুমি এখনো নীলার বিষয় নিয়ে পড়ে আছ। নীলা একটু জেদি টাইপ মেয়ে। ওর কাছে ও যেটা করে সেটাই ঠিক। আমার মনে হয় ও যা খুশি করুক তোমার আর ওকে নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমি চাইনা অমন ফাজিল মেয়ের জন্য আমার ভাইয়ের মান সম্মান নষ্ট হোক।

আবির: হুম আমিও সেটাই ভাবলাম।
আর তোকেউ যেন ওর সাথে মিশতে না দেখি। এরপর যদি ওর সাথে দেখি তোকে একদম হাত পা ভেঙে বাসায় রেখে দেবো।

মুসকান: তাহলে তো আমার ভালো হবে কোন পড়াশোনা করতে হবে না কোন কাজ করতে হবে না শুধু খাবো আর ঘুমাবো।কি মজা হবে বলো।

মুসকান তুই কিন্তু দিন দিন ফাঁকিবাজ হয়ে যাচ্ছিস আবির বলল।

বোনটা কার সেটা দেখতে হবে না।

রাস্তার মধ্যে আবির আর কোন কথা বলেনি। বাড়িতে এসে সোজা মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়েছে।

মা: কি হয়েছে বাবা শরীর খারাপ।

আবির: না

মা: ভার্সিটিতে কিছু হয়েছে…?

আবির: না না কিছু হয়নি তুমি একটু মাথা মালিশ করে দাওনা খুব যন্ত্রণা করতেছে।

মা: তুই বললেই হলো কিছু হয়নি নিশ্চয়ই কিছু একটা হয়েছে ।

আবির তার মায়ের কোমর জড়িয়ে ধরে বলে আচ্ছা মা আমি কোন কিছু না বললেও তুমি কিভাবে বুঝতে পারো যে আমার মন খারাপ বা আমার সাথে কোন কিছু হয়েছে।

মা মুচকি হেসে বলেন প্রত্যেক মা-ই তার সন্তানের মুখ দেখলেই বুঝতে পারে তার মনের মধ্যে এখন কি চলছে। তুই যদি আমাকে কোন কিছু নাও বলিস তাবুও আমি তোর চোখ মুখ দেখলেই বুঝতে পারি। এটা সব মায়েরা বুঝতে পারে।

আবির: তুমি আমার মুখ দেখে বলতে পারবে আমার মনের মধ্যে কি চলতেছে।

মা: হুম পারবো

আবির: এটা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। আচ্ছা দেখি বলতো আমার মনের মধ্যে এখন কি চলছে।

মা কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে আবিরের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলো এরপর বলল তোর আর এই জব করতে ভালো লাগতেছে না।জবটা করবি নাকি ছেড়ে দিবি সেটাই নিয়ে কনফিউশনে আছিস তাই তা…?

আবির অবাক চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল মা এটা কিভাবে সম্ভব আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না।

মা মুচকি হেসে আবিরের কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল তুই যখন বাবা হবি দেখবি তুইও তোর সন্তানের না বলা কথাগুলো বুঝতে পারবি।

আচ্ছা মা আমি যদি বিয়ে না করি।

মা: এ কেমন অলক্ষণে কথা বিয়ে করবি না মানে কি ? আচ্ছা কি হয়েছে বলতো …?

আবির: কিছু না।

তখনি মুসকান এসে তাদের পাশে বসল।

এ মুসকান তুই বলতো ভার্সিটিতে কি কোন ঝামেলা হয়েছে।

আবির মুসকান কে চোখের ইশারায় চুপ থাকতে বললেও মুসকান গলগল করে সব বলে দেয়।

সব শোনার পর আবিরের মা বলল শিক্ষক হিসেবে তোর যতটুকু দায়িত্ব তুই পালন করেছিস। এখন ঐ মেয়ে তোর আদেশ পালন করবে কি করবেনা সেটা তার বেপার। একজনের জন্য তো তুই আর চাকরি ছাড়তে পারিস না ‌।

সব সময় ফলো করবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ।তিঁনি যখন কাফের দের কাছে দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছেন কাফের রা তাঁকে কতই না অত্যাচার করেছে।এতে তিঁনি কিন্তু দমে যাননি ।তিঁনি বারবার তাদের কাছে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে গেছেন।

তুই আজ সফল হসনি তাতে কি দুদিন পর আবারো চেষ্টা করবি দেখবি একদিন মেয়েটা তোর প্রতি বিরক্ত হয়ে নিজেকে চেন্জ করে নিয়েছে।

আবির তার মায়ের গালে চুমু দিয়ে বলে। East and West my Mom is best…।

হইছে আর পাম দিতে হবে না তাড়াতাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়েনে আমি ডাইনিং টেবিলে খাবার দিচ্ছি।

মা আরো একবার একটু আদর করে দাও না আবির বলল।

তুই কি এখনো ছোট বাচ্চা আছিস নাকি যা ভাগ এখান থেকে।

বাবা-মার কাছে সন্তান সব সময় ছোটই থাকে এখন প্লিজ আমাকে একটু আদর করে দাও।

মা আবিরের কপালে একটা চুমু দিয়ে বলে হয়েছে এখন যা এখান থেকে।

মুসকান মন খারাপ করে বলে হুম শুধু ছেলেকে আদর করে দাও আমি তো কেউ তোমার।

মা: ওরে আমার ছোট মেয়েটা কি রাগ করেছে।

মুসকান কান্না কান্না ভাব নি বলে হুম ভীষণ রাগ করেছে আজ আর তোমার সাথে কথা বলবে না সে।

মা: ওমা তাই !তো কাছে না আসলে আদর করবো কিভাবে।

(মুসকান আবিরের খালাতো বোন।সে যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে তখন তার মা মারা যায়। এরপর আবিরের মা তাকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। আবিরের মা তাকে নিজের মেয়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। আর আবিরের কলিজার টুকরা বোন হলো মুসকান। মুসকান এর সামান্য কিছু হলেই আবির পুরো বাড়ি মাথায় তুলে। আর মুসকান আবির বলতে পাগল। সবমিলিয়ে সে ভুলে গেছে তার জন্ম এবাড়িতে হয়নি)

আবির: মা আমি বলি কি তাড়াতাড়ি ওর একটা বিয়ের ব্যবস্থা করো।

মুসকান: মামুনি ভাইয়াকে বলে দাও আমার বিয়ে নিয়ে তার কোন টেনশন করতে হবে না। আমি অত সহজে এ বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না। ভাইয়ার চুল পেকে যাচ্ছে ওকে আগে বিয়ে করাও। তাছাড়া কয়দিন পর আর পাত্রী খুঁজে পাবে না। তখন আমার চিরকুমার থাকতে হবে বলেই মুসকান হো হো করে হাসতে লাগলো।

কি বললি তুই আমার চুল পেকে যাচ্ছে। আজ তোকে আমার হাত থেকে আর কেউ বাঁচাতে পারবে না বলেই মুসকানে পেছনে দৌড় দিল।

এদিকে মুসকান দৌড়ে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিল পেটে হাত দিয়ে হো হো করে হাসতিছে ।

আজ প্রায় ১০ দিন হলো আবির নীলার দিকে ফিরেও তাকায় না। আগে স্যার প্রতিদিন নীলাকে কিছু না কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেও। সেদিনের সেই ঘটনার পর থেকে স্যার আর নীলার সাথে কোন প্রকার কথা বলেননি। নীলার বিষয়টা মোটেও ভালো লাগছে না।

নীলা কিছুদিন ধরে আরেকটা বিষয় ও লক্ষ্য করেছে স্যার মুসকানের সাথে একটু বেশি কথা বলে মাঝে মাঝে তো কেবিনে ডেকে নিয়ে যায়। আবার ভার্সিটি থেকে যাওয়ার সময় মুসকান কে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে কিছুতো একটা চলতেছে নীলা এটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছে।

আকাশ: এই নীলা একবার বাইরে দেখ হিরো আর হিরোইন চলে এসেছে।

নীলা বাইরে দিকে তাকাতেই দেখলো আবির স‍্যারের বাইকে চড়ে মুসকান ভার্সিটিতে ঢুকলো।

আকাশ: এরা তো রোমিও-জুলিয়েট কেউ ফেল ফালাবে আমার মনে হয়।

নীলা কোন কথা না বলে চুপচাপ ক্লাস রুমে প্রবেশ করল।

আবির ক্লাস একটা পড়া বুঝিয়ে দিয়ে বলল তোমরা সবাই আর একবার করে দেখো কোথায় বোঝোনি সেটা আমাকে বল আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি।

একটু পর আসিফ দাড়িয়ে বলল স্যার আমি কিছুই বুঝিনি।

আবির আসিফকে কাছে ডেকে নিয়ে বুঝিয়ে দিল আরেকবার।

একটু পর নীলা বললো স্যার আমিও কিছু বুঝিনি।

আবির: মিস নীলা আমিতো দুই টাকার স‍্যার আমার পক্ষে তো আপনাকে বুঝানো সম্ভব না। যে শিক্ষক আপনাকে বোঝাতে পারবেন আপনি দয়া করে তার কাছে যেয়ে বুঝে নিও।

নীলা মনে মনে স্যারকে কয়েকটা গালি দিয়ে বসে পড়ল।

একটু পর মুসকান ডাকতে স্যার তার কাছে গিয়ে বুঝিয়ে দিল আর কানে কানে বলল নীলাকে একটু বুঝিয়ে দিস।

মুসকান নীলাকে পড়া বুঝাতে গেলেই নীলা বললো । খুব তো সাধু সেজে ঘুরিস এদিকে তলে তলে স্যারের সাথে লাইন মারতেছিস। স্যারের বাইকে করে যাস আবার স্যারের বাইকে করেই আসিস। আবার স্যারের কেবিনে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকিস। তা কতদূর কি হলো বাচ্চাকাচ্চা হবে । নাকি পটেকশন নিয়েছিলি। এখনকার ছেলেরা তো আবার প্রোটেকশন নিতে চায়না। প্রোটেকশন নিলে নাকি মজা পাওয়া যায়। তা স‍্যার তোকে কেমন মজা দিচ্ছে রে…

নীলা কথাটা শেষ করতে পারেনি তার আগে তার গালে ঠাস ঠাস করে দুইটা থাপ্পর হাঁকিয়ে দিল মুসকান।

এমন জোরে থাপ্পড় মেরেছে যে পুরো ক্লাস কেঁপে উঠেছে।

ক্লাসে সবাই অবাক চোখে মুসকান দিকে তাকিয়ে আছে।মুসকানের চোখ দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছে….
চলবে…..

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে