খেলাঘর/৪০

0
2534

খেলাঘর/৪০
লেখা-সুলতানা ইতি

মিথিলা এক নিশ্বাসে কথা গুলো বলে বেরিয়ে যায় ইভান পিছন থেকে ডাকলে মিথিলা সেদিকে পাত্তা দেয়নি

আয়ান আর নির্ঝর পড়তে বসেছে হঠ্যাৎ আয়ান পড়া বন্ধ করে বল্লো
– নির তোর সাথে কি আয়াপের ঝগড়া হয়েছে

নির্ঝরিণী বিরক্ত হয়ে বল্লো
– কেনো

আয়ান- না আজ প্রাইভেট থেকে ফেরার পথে আয়াপ খানের সাথে দেখা হলো,বল্লো তুই কেনো ওর ফোন রিসিভ করছিস না,আর তুই যা বুঝেছিস সেটা ভুল

নির্ঝরিণী – ভাই ঐ শয়তান টা কে নিয়ে কোন কথা আমাকে বলবি না ওর ব্যাপারে বলতে আমার ভালো লাগে না

আয়ান- নির অনেক সময় আমরা যা দেখি যা বুঝি তার মধ্যে ভুল থাকে সব সময় আমাদের চোখ যে সঠিক টা দেখবে এমন তো নয়

নির্ঝরিণী – ভাইই আর একটা কথা বললে আমি আপু কে ডাকবো

আয়ান- আপু বাসায় ফেরেনি এখন ও

নির্ঝরিণী উঠে অন্য রুমে চলে গেলো যে ভুল সে করেছে আর কোন ভুল করতে চায় না

আয়াপ নির্ঝরিণী দের বাড়ির একটু দূরে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জানে এই ভর সন্ধায় নির্ঝরিণী বের হবে না তবু ও কিছু ভালো লাগছে না, নির্ঝরিণী এমন বাজে ছেলে মনে করে আমাকে ছিঃ আমার ই ভুল ছিলো আগেই ওকে ব্যাপার টা ক্লিয়ার করে বললেই হতো
এতো দিন বুঝিনি নির্ঝরিণী কে আমি কতো টা চাই আজ বুঝে ও নির্ঝরিণী আমার থেকে অনেক দূরে, ভালোবাসি নির্ঝু তোকে,, এই পুঁচকে মেয়ের এতো রাগ,এতো বুঝে, আয়াপ নিজেই হেসে উঠলো নির্ঝরিণী দূরদর্শীতা দেখে, আসলে এখন যে যুগ এই যুগে নির্ঝরিণীর দূরদর্শীতা দেখানো ভুল কিছু নয়
এখানে দাঁড়িয়ে থেকে ও ওর দেখা পাবো না সো বাসায় যাই খুব খিধা পেয়েছে উফফ

মিথিলা বাসায় এসে দেখলো নির্ঝরিণী আলাদা রুমে পড়ছে

মিথিলা- কিরে আজ আবার ঝগড়া করেছিস

নির্ঝরিণী – নাহ ঝগড়া করিনি এমনি পড়তে ভালো লাগছে এখনে নিরিবিলি তে

মিথিলা বোনের কথা শুনে মুচকি হাসলো, এই টুকু মেয়ে ঠিক কথা লুকাতে শিখে গেছে

ছোট খাটো কোন ফাংশান হলে সেখানে নির্ঝরিণী কে ডাকা হয় আয়াপের সাথে থেকে নির্ঝরিণী কে ও এখন অনেক ই ছিনে তাই আর আয়াপের সাথে তার কাজ করতে হয় না
একদিন এক শো তে মিথিলা নির্ঝরিণীর জনপ্রিয়তা দেখে খুব খুশি হয়
যাক বোন আমার একা একাই কিছু করার চেষ্টা করছে এই সাহস টা ও তো সবার থাকে না

মিথিলা অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে যায়,এখন থেকে যেয়ে আবার টিউশনি ধরতে হবে ইচ্ছে থাকা সত্তে ও বোনের পার্ফম দেখা হয়নি

মিথিলা রিক্সা না পেয়ে হাটছে এই শহরে পথ চলার সংগি রিক্সা মিথিলার খুব প্রিয়ো
মিথিলার পাশ ঘেঁষে একটা গাড়ি থেমে যায়
মিথিলা ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি থেকে একটা অচেনা ছেলে নেমে বল্লো
– আপু কোথায় যাবেন চলুন আপনাকে লিফট দিই

মিথিলা কপাল কুঁচকে বল্লো
– কে আপনি, পাগল হয়েছেন নাকি, অচেনা একটা মেয়েকে লিফট দিতে চাইছেন

ছেলেটি আর অন্য কেউ নয় আয়াপ খান ই নির্ঝরিণীর কাছে যেতে না ফেরে বুদ্ধি করে মিথিলা কে ফটাতে আসছে যদি মিথিলা কে মাধ্যম করে নির্ঝরিণীর সাথে কথা বলা যায়
বুদ্ধি টা আসলে আয়ানের দেয়া সেদিন রাতে আয়ানের সাথে অনেক কথা হয় সব কথার মাঝে আয়ান বল্লো নির্ঝরিণী আপুর কথা বেশি শুনে কাজেই আপনার আপু কে ম্যানেজ করতে হবে
সেখান থেকেই আজ সেধে সেধে মিথিলার সাথে কথা বলতে আসা

আয়াপ- কি বলছেন আপু আমি তো আপনাকে ছিনি রোজ দেখিও আপনি চৌধুরী গ্রুপে জব করেন তাই না,,
তাই ভাবলাম আপনি যে পথে যাবেন আমি ও সেই পথেই যাচ্ছি লিফট দিতে প্রব্লেম কি

মিথিলা- কিন্তু আমি আপনাকে আগে কখনো দেখিনি

আয়াপ- তাতে কি আপু সবাই যে সবাইকে ছিনতে হবে এমন কোন কথা নেই, আমি আপনার ছোট ভাইয়ের মতো প্লিজ আসুন

মিথিলার মোটেও গায়ে পড়ে সাহায্য করার ব্যাপার টা ভালো লাগলো না
– স্যরি আসলে আমার পথে একটু কাজ আছে তাই গাড়িতে যেতে পারছি না,বলে মিথিলা হন হন করে হাটা শুরু করলো

আয়াপ – যাক বাবা দুই বোনের ই শুচিবায়ু, একটু বেশিই বুঝে ধেৎ মেজাজ টা ই খারাপ হয়ে গেলো

আয়ানের আজ মন টা ভালো নেই কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না নির টা ও নেই তা হলে ওর সাথে একটা পরামর্শ করা যেতো উতলা কে ছাড়া আমি থাকবো কি করে ওর মা যে ওর বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে
আয়ান টেবিলে হাত রেখে হাতের উপর মাথা দিয়ে বসে আছে

মিথিলা বাসায় ফিরে নিজের কাজ গুলো শেষ করে রিডিং রুমে এসে দেখে আয়ান এমন করে বসে আছে মিথিলা আয়ানের মাথায় হাত রেখে বল্লো
– ভাই তোর কি শরির খারাপ?

আয়ান মিথিলার ছোয়া পেয়ে মাথা উঠিয়ে ঠিক করে বসলো

মিথিলা আয়ানের চোখ দেখে আৎকে উঠে ভাই তুই কেঁদেছিস কেনো? ভাই বল তোর কি হয়েছে?
মিথিলা ব্যাস্ত হয়ে পড়ে আয়ান কে নিয়ে

আয়ান আর নিজেকে ধরে রাখতে না ফেরে মিথিলা কে ঝড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দেয়

মিথিলার খুব ভয় করছে সে কি মনের অজান্তে ভাই কে কষ্ট দিয়ে ফেলেছে নাকি, কিন্তু মনে পড়ছে না তো কিছু
কাঁদছে কেনো আমার ভাই
মিথিলা কয়েক বার কান্না থামাতে বলে ও কোন কাজ হয়নি
পরে আয়ান নিজেকে সামলে নিয়ে বল্লো
– স্যরি আপু কেনো জানি আজ খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছিলো তুই কিছু মনে করিস না, এই বলে আয়ান উঠে চলে যায় মিথিলা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে কি হচ্ছে এই সব কিচ্ছু বুঝতে পারছে না

নির্ঝরিণী বাসায় ফিরতেই মিথিলা বল্লো
– নির্ঝরী আয়ানের কি হয়েছে জানিস

নির্ঝরিণী অবাক হয়ে বল্লো
– কেনো আপি যাওয়ার সময় তো ভালো ই দেখে গেলাম কি হলো ওর

মিথিলা সব কথা নির্ঝরিণী কে বল্লো
নির্ঝরিণী- আপু এমনিতে অনেক রাত হয়েছে তুমি শুয়ে পড়ো আমি দেখছি ভাইয়ের কি হয়েছে

মিথিলা- হুম, আর আয়ান কি বলে আমায় জানাস মিথিলা নিজের রুমে এসে শুয়ে পড়লো
কিন্তু অস্বস্তি কাজ করছে কিছুতেই শান্তি লাগছে না, সারা দিন ভাই বোন কে শাসনের উপর রেখেছি, আর তাই ভাই আমায় ভয়ে তার মনের কথা বল্লো না এতো শাসন করেছি তাদের, এমন টা তো চাইনি আমি ছেয়েছি ভাই বোনে ভালোবাসার সব ধরনের ছোঁয়া দিয়ে আগলে রাখতে, কিন্তু কখন যে ওরা এতো দূরে সরে গেছেহ বুঝতে পারিনি

নির্ঝরিণী আয়ানের রুমে গিয়ে লাইট জ্বালালো
আয়ান উঠে বসলো নির্ঝরিণী আয়ানের মুখের দিকে তাকিয়ে বল্লো
– কি হয়েছে ভাই তোকে এমন দেখাচ্ছে কেনো

আয়ান – তুই ফিরেছিস নির,জানিস সামনের সাপ্তাহে উতলার বিয়ে

নির্ঝরিণী – মানে বলছিস কি,

আয়ান- হুম উতলা খুব কেঁদেছে নির
বলেছে সুইসাইড করবে তবু ও অন্য কাউকে বিয়ে করবে না,আমি আপুকে কিছু বলতে পারছি না, বললে ও আপু মানবে না,না মানার ও যুক্তি আছে, কিন্তু

নির্ঝরিণী চুপ করে শুনছে সত্যি কি করবে ভেবে পাচ্ছে না, আপু কে বললে আপু কি ভাবে নিবে ব্যাপার টা, কিন্তু দুটি জীবন তো নষ্ট হতে দেয়া যায় না, আব্বুর মৃত্যু পর ভাইকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে কতো কষ্ট করতে হয়েছে
আবার যদি ভাই সে রকম হয়ে যায়,না আমি আপু কে ব্যাপার টা জানাই যা আছে কপালে তা ই হবে
নির্ঝরিণী আয়ান কে ছেড়ে উঠে দাড়ালো,আপু এখন ও ঘুমায়নি আমার বিশ্বাস
নির্ঝরিণী মিথিলার রুমের দরজায় এসে নক করে

মিথিলা- ভেতরে আয় নির্ঝর

নির্ঝরিণী ভেতরে গিয়ে চেয়ার টেনে বসলো
মিথিলা শোয়া থেকে উঠে চোখে চশমা টা পরে নিলো,
– কিরে আয়ান তোকে কিছু বলেছে?

নির্ঝরিণী – আপি ব্যাপার টা তোকে কি করে বলি বলতো,আসলে ভাই ভয়ে তোকে কিছু জানাতে চায়নি,

মিথিলা- ছেয়ে ছিলাম ভালোবাসা দিয়ে তোদের জীবনের কানায় কানায় ভরিয়ে দিবো,কিন্তু আমি যে না চাইতেই তোদের মনে ভয় ডুকিয়ে দিয়েছি সেটা বুঝতে পারিনি

নির্ঝরিণী – আপু তুই কষ্ট পাস না প্লিজ,তুমি তো বড়, মা বাবার জায়গাতে আছো ভালো মন্দের জন্য বলতেই পারো,দোষ টা আমাদের আমরা তোমাকে বেশি ভুল বুঝে ফেলেছি

মিথিলার চোখে পানি চশমা খুলে চোখের পানি মুছে বল্লো
– বল তো আয়ানের কি হয়েছে

নির্ঝরিণী কোন ভনিতা না করে বল্লো
– উতলা আপুর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, ছেলে সরকারী চাকুরী জীবি,তাই আন্টি এই সমন্ধ হাত ছাড়া করতে চাইনি,কিন্তু ভাই আর উতলা আপু দু জন দুজনকে ভালোবাসে খুব,
আপু ওদের ভালোবাসা কতো টা গভীর তুমি বুঝতে পারবে না, উতলা আপু বলে দিয়েছে ভাই কে না ফেলে সুইসাইড করবে,আর ভাই তোকে কষ্ট দিতে পারবে না ভেবে নিজেকে কষ্ট দিচ্ছে

মিথিকা নিস্তব্ধ হয়ে শুনছে নির্ঝরিণীর কথা,ভাবছে সে আমি চাইতাম না উতলা আয়ানের সাথে মিশে আয়ানের ছাত্র জীবন টা নষ্ট করে দিক টিনেজ বয়সে এই সব সম্পর্ক ভালো কিছু ভয়ে আনে না তাই তো আলাদা করতে ছেয়েছি, কিন্তু আমার মনে তো ভিন্ন কিছু ছিলো ভাই স্ট্যাবলিশ হলে উতলা কে ভাইয়ের বউ করে আনবো আমার ভাই যদি জীবন নিয়ে সুখি না হয় তা হলে আমরা সুখি হবো কি করে

মিথিলা কে চুপ করে থাকতে দেখে
নির্ঝরিণী বল্লো
– আপু দুটি জীবন এ ভাবে নষ্ট হতে দেয়া যায় না প্লিজ আপু তুই আন্টির সাথে কথা বল এখন ও অনেক সময় আছে

মিথিলা – আমি বললেই কি আন্টি রাজি হবে আমাদের আগের অবস্থান আর এখন কার অবস্থন আলাদা,আয়ান এখন স্টুডেন্ট আর ঐ ছেলে তো সরকারি চাকুরি করে

নির্ঝরিণী – আপু আমার ভাই কম কিসের, পড়া শুনা শেষ করে আমার ভাই যে সরকারি চাকুরি পাবে না তেমন তো নয়

মিথিলা- ওরা কি উতলা কে ততদিন পর্যন্ত রাখবে

নির্ঝরিণী – চেষ্টা করে দেখিনা,চেষ্টা করতে তো কোন দোষ নেই

মিথিলা- ঠিক আছে আমি কাল আন্টির সাথে কথা বলবো তুই আয়ান কে গিয়ে বল চিন্তা না করতে

নির্ঝরিণী চলে যায় মিথিলা ভাবছে ইহানের কথা এখন কার ছেলে মেয়েরা আমাদের থেকে এগিয়ে, তখন যদি আমি ভাগ্যকে মেনে না নিয়ে ইহান কে সব বলতাম তা হলে এতো গুলো জীবন নষ্ট হতো না,হয়তো অরণি ভালো থাকতো ,হয়তো আমি ও ইহানের সাথে ভালো থাকতাম,কিছুতেই আর দু চোখের পাতা এক করতে পারেনি মিথিলা,রাত টা তার এভাবেই কেটে যায়,

সকাল সাত টায় মিথিলা উতলাদের বাসায় চলে
যায় পাশা পাশি বাসা হওয়ায় এই এক সুবিধা, সারা রাত ছটফট করেছে মিথিলা ভাইয়ের কথা ভেবে তাই সকাল না হতেই চলে এলো
উতলার মা মিথিলাকে দেখে তো অনেক খুশি

আন্টি- আরে মিথিলা তুই,আজকাল তো আমাদের বাসার পথ টা তুই ভুলেই গেছিস

মিথিলা হেসে বল্লো এখন থেকে রোজ আসবো আন্টি, আসলে সময় করতে পারি না বুঝো ই তো কতো ব্যাস্ত থাকি সারা দিন

আন্টি- তা আর বলতে হবে না মা,
বাপ মা মরা নির্ঝরী আর আয়ানের পাশে তুই না থাকলে তাদের যে কি হতো,,তোর মতো বোন যেন সবার ঘরে ঘরে হয়

মিথিলা হেসে বল্লো
– আন্টি আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো
উতলা ততক্ষনে পর্দার আড়ালে এসে দাড়িয়েছে

আন্টি- কি কথা বল মা

মিথিলা- আন্টি শুনলাম উতলা কে বিয়ে দিচ্ছেন

আন্টি হেসে বল্লো
– হ্যা মা ভালো ছেলে পেয়েছি তাই হাত ছাড়া করতে ইচ্ছে হয়নি

মিথিলা- কিন্তু উতলা তো এখন ও ছোট এই বয়সে বিয়ে

আন্টি- তোর কি এই বয়সে বিয়ে হয়নি,তবু কি তুই পড়া শুনা ছেড়েছিস

মিথিলা- আন্টি সবার জীবন চক্র এক নয়

আন্টি- কি বলতে চাইছিস তুই

মিথিলা- আন্টি উতলা কে চাই আমার ভাইয়ের বউ হিসেবে নয় আমার আরেক বোন হিসেবে,নির্ঝরিণী আয়ান কে যেমন আগলে রেখে বড় করেছি, উতলা কে ও তেমনি রাখব

আন্টি বিব্রত বোধ করতে লাগলো
– কিন্তু ওরা দুজনে তো এখন ও অনেক ছোট

মিথিলা- আমি এখন ই ছাচ্চি না বিয়েটা দিতে তবে আমাদের বড়দের মধ্যে পাকা কথা হয়ে থাক,তার পর ওরা যখন ম্যাছিউর হবে তখন ঢাক ঢোল বাজিয়ে উতলাকে নিবো

আন্টি- কিন্তু মা উতলার বাবা শুনলে মানবে না তা ছাড়া বিয়ের সব কেনা কাটা হয়ে গেছে…

মিথিলা- প্লিজ আন্টি আমি শুধু আমার ভাইয়ের কথা ভেবে বলছি না আমি উতলার কথা ও ভাবছি, উতলা সুখি হবে না,আর যদি খারাপ কিছু করে ফেলে তখন? আমরা কেউ ই নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না, প্লিজ আন্টি আপনি আংকেল কে বুঝিয়ে বলবেন

আন্টি- তুমি তো আমায় চিন্তায় ফেলে দিলে মা,আচ্ছা তুমি বসো আমি তোমার আংকেল কে ফোন করে আসি
আন্টি উঠে চলে গেলো

– উতলা আর পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না বেরিয়ে এসো

উতলা এসে মিথিলা কে ঝড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয় আপু তুমি খুব ভালো প্রথম যেদিন আয়ানের সাথে দেখা করতে গেছি সেদিন তুমি আয়ান কে মেরেছো আড়ালে দাঁড়িয়ে আমি সব শুনেছি,, সেদিনের পর থেকে ঐ বাসায় যাওয়ার সাহস হয়নি,তোমাকে খুব খারাপ ভেবেছি সেদিন, আজ তুমি আমার ধারনা পালটে দিয়েছো

মিথিলা- পাগলি এতো কাদতে নেই, দেখি আন্টি কি বলে
বেশ কিছু সময় পর আন্টি হাসি হাসি মুখ করে ফিরে এসে বল্লো
– মিথিলা তোমার কথা বলাতে তোমার আংকেল অমত করেন যদি আয়ান কে উনি পছন্দ করেন না তবুও তোর ভাই তাই নিষেধ করেনি,তবে উনি বলেছে,আয়ান পড়া শুনা শেষ করলেই উতলা কে ঘরে তুলতে হবে,জবের জন্য অপেক্ষা করতে পারবে না

মিথিলা খুশি হয়ে উতলার কপালে চুমু খেয়ে বল্লো
– আলহামদুলিল্লাহ আন্টি এতে ই অনেক,আমি আছি তো আমার বোনের কোন কষ্ট হতে দিবো না
কিরে এবার খুশি তো

উতলা লজ্জা পেয়ে মুখ নিচু করে ফেল্লো
আন্টি মিষ্টি নিয়ে এলো
নে মা,শুভ কাজে মিষ্টি মুখ না করলে হয়

মিথিলা বাসায় এসে নির্ঝরিণী আর আয়ান কে কথা টা জানায়, আয়ান অনেক খুশি আজ
আয়ানের থেকে ও অনেক বেশি খুশি আয়ানের দুই বোন ভাইয়ের খুশি তাদের কাছে রাজ্য জয়ের সমান

চলবে
ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে