খেলার পুতুল পর্ব:-(০৪ শেষ)
লেখা_মোহাম্মাদ_সৌরভ
!!!
আব্বা আপনি আমাদের সাথে বিয়ে করবেন? আমার কথা শুনে সবাই আব্বার দিকে না তাকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আব্বা প্লিজ আপনি এখন বিয়েটা করিয়েন না প্লিজ।
আব্বা:- ঠিক আছে তাহলে কাজী সাহেব দুইটা বিয়ের ব্যাবস্থা করেন। (আব্বার কথা শুনে আমি আর আপু অনেক খুশি)
সিমরান:- আঙ্কেল আপনি,,,
আব্বা:- সিমরান তুমি চুপ থাকো। (কাজী সাহেব আমাদের বিয়ের কাজটা শেষ করেছেন)
আমি:- সিমরান তুমি বুঝবে খেলা কাকে বলে।
সিমরান:- হ্যা দেখা যাবে। আপু সাহেদ ভাইয়ের সাথে চলে গেছে। আমি আর সিমরান আর আব্বা সহ আমাদের বাড়ীতে চলে এসেছি।
আমি:- আব্বা তাহলে আমি একটু বাহির থেকে আসতেছি,,,,
সিমরান:- কোথায় যাচ্ছো তুমি?
আমি:- যেখানে খুশি সেখানে তোমার কাছে কয়ফত দিতে বাধ্য নয়।
আব্বা:- সৌরভ সিমরানের সাথে এমন ভাবে কথা বলিস কেনো? বিয়েটা করিনি বলে মনে করিস না আমি সব কিছু মেনে নিয়েছি। সিমরান তুকে যা বলবে তুই তাই করবি।
আমি:- এখন আপুর বিয়ে গেছে আপনি যা খুশি তা করেন তবে আমি সিমরানকে এত সহজে মেনে নিতে পারবো না। আপনারা এখন যা করার করেন এতে আমার কোনো সমস্যা নেই।
সিমরান:- ঠিক আছে তাহলে আমি আজকে রাতে বাড়ীতে বন্ধুদের ডাকবো আর পার্টি দিবো।
আমি:- যা মন চাই করো আমি তো আর বাড়ীতে থাকবো না।
সিমরান:- তুমি কোথায় যাবে? আর আজকে আমাদের বাসর রাত।
আমি:- তোমার মত মেয়ের সাথে বাসর হা হা হা মজা পাইলাম। যেই মেয়ে নিজের শ্বশুড়ের কাছে তার মাকে বিয়ে দিতে চাই তার মত মেয়ের সাথে বাসর। এখুনি তোকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দিবো। সিমরানকে নিয়ে সোজা বাড়ীর বাহিরে বের করে দিয়েছি। আর দরজা লাগিয়ে দিয়ে ভীতরে আসবো তখনি আব্বা এসে আমাকে ঠাসস করে এক থাপ্পড় দিয়ে বলে,,,
আব্বা:- সৌরভ তুই এত খারাপ হয়ে যাবি আমি ভাবতে পারছি না। আজ সিমরানের জন্য আমি বিয়েটা করিনি আর তুই কিনা সিমরানকে এতটা খারাপ মনে করতেছিস।
আমি:- মানে?
আব্বা:- সিমরান তোর বোনের বিয়েটা দিয়েছে আর ও আমাকে না করেছে যেনো আমি ওর মাকে বিয়ে না করি। আর যেহেতু সব কিছুর মালিক সিমরান ওর কথা আমরা ফেলতে পারিনি। সাহেদের আব্বাকে বলছে আজকে তোর আপুকে বউ করে বাড়ীতে তুলতে হবে। তা না হলে সাহেদের আব্বুর সাথে যত চুক্তি আছে সব শেষ করে দিবে। তখন সাহেদের আব্বা সিমরানের কথায় শেলিকে বউ করতে রাজি হয়ে গেছে।
আমি:- তাহলে সিমরান আমার সাথে এমন করে কেনো?
আব্বি:- সিমরান তোকে প্রথম অফিসে দেখে ভালোবেসে ফেলে। আর সেইদিন থেকে তোর সাথে দুষ্টমি করতে চাই কিন্তু তুই সিমরানকে পাত্তা দিতি না তাই তোর সাথে এমন করছে। সৌরভ যা সিমরানকে এই বাড়ীতে নিয়ে আয় আমি বলছি তুই অনেক সূখে থাকবি।
আমি:- ঠিক আছে! বাড়ী থেকে বেড়িয়ে রাস্থায় সিমরানকে খুঁজতে লাগলাম। সিমরানকে কোথাও দেখছি না এত রাতে মেয়েটাকে বের করাটা ঠিক হয়নি। সিমরান কেমন মেয়ে আমাকে আগে বললে পারতো তাহলে তো আমি ওর সাথে এমন ব্যাবহার করতাম না। খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে দেখি রাস্তার একটা ব্যাঞ্চে বসে আছে। সিমরানকে দেখে আমার প্রানটা ফিরে আসছে। কাছে গিয়ে বসেছি আমাকে দেখে সিমরান উঠে যেতেছে তখনি আমি ওর হাত ধরে নিয়েছি।
সিমরান:- হাতটা ছাড়ো বলছি বলে টান মেরে ছাড়িয়ে নিতে চাচ্ছে কিন্তু পারেনি। কি হলো ছাড়তে বলছি কানে শুনো না।
আমি:- লুকিয়ে এত ভালোবাসার কি দরকার। আমাকে প্রথম দিন বলে দিলে হতো তাহলে আমরা দুজনে মিলে সব কিছু করতাম।
সিমরান:- আমার কথা শুনার সময় আছে তোমার। আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছো এখন এসেছো কেনো?
আমি:- আব্বা সব কিছু বলে দিয়েছে। এখব বাড়ীতে চলো আজ না আমাদের বাসর রাত।
সিমরান:- আমার মত মেয়ের সাথে বাসর করতে হবে না। (সিমরান চলে যেতে ছিলো আমি টান মেরে আমার বুকের মাঝে নিয়ে এসেছি। সিমরান একদম চুপ চাপ হয়ে গেছে।
আমি:- সিমরান সরি আই লাভ ইউ।
সিমরান:- মানে?
আমি:- মানে তোমাকে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার জন্য। আর আই লাভ ইউ মানে আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমাকে তুমি অনেক ভালোবাসো তাইনা?
সিমরান:- না এখন থেকে আর ভাসবো না। (তখনি সিমরানকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছি) এত শক্ত করে ধরেছো কেনো মেরে ফেলবে নাকী। তবে তোমার বুকে মাথা রেখে মরতে পারলে আমি সার্থক।
আমি:- তাহলে চলে যেতে চাচ্ছো কেনো?
সিমরান:- রাতটা কি রাস্তায় কাটাবে নাকী বাড়ীতে নিয়ে যাবে?
আমি:- হ্যা আসো। সিমরান আর আমি হেটে হেটে আসতেছি একটা অন্য রকম মোমেন্ট লাগছে। সত্যি পূর্নিমার চাঁদনী রাতে রাতের বেলা বউ নিয়ে রাস্তায় হাত ধরে হাটার মজা অন্য রকম।
সিমরান:- আমার হাটতে ভালো লাগছে না আমাকে কুলে নিবে?
আমি:- ঠিক আছে! সিমরানকে কুলে নিয়ে নিলাম। সিমরান আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি ওর কপালে আদর করে দিয়েছি। বাসর রাতটা দুজনে রাস্তায় কাটিয়ে দিয়েছি। সিমরান তাহলে খেলার পুতুল কে হয়ছে?
সিমরান:- এখন থেকে আমি হবো তবে তুমি যদি কোনো মেয়ের দিকে তাকাও তাহলে কিন্তু।
আমি:- মাথা খারাপ হয়ছে তোমার মত বউ থাকতে অন্য মেয়ের দিকে তাকাবো।
সিমরান:- রাত তো শেষ হয়ে গেলো চলো বাড়ীতে যাই। সিমরানকে নিয়ে বাড়ীতে এসেছি। আব্বাকে সালাম করেছি দুজনে। আব্বা দুআ করে চলে গেছে তখনি সিমরান আমাকে টেনে রুমে নিয়ে গেছে। এরপর কি তা আর আমি জানি না। তবে সিমরান আমাকে সত্যি অনেক কেয়ার করে কোনো কিছু করার আগে আমার সাথে পরামর্শ করে আর আমিও সিমরানকে অনেক কেয়ার করি। দুজনে দুজনের খেলার পুতুল হয়ে গেলাম।
!!
কিছু কথা :- গল্পটা অনেক দিন ধরে জুলে ছিলো তাই সংক্ষেপে শেষ করে দিলাম। নতুন একটা গল্প লিখবো তাই তারা তারি শেষ করে দিলাম। আর হ্যা গল্পটা কেমন হয়ছে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সমাপ্তি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,