খেলাঘর…….
লেখা- সুলতানা ইতি
পর্ব-৯
নায়ার ডাক শুনে রায়হান চৌধরী আর রাইমা চৌধরী ড্রইং রুমে এলো
কিরে ডাকছিস কেনো,রায়হান চৌধরী বল্লো মেয়ে কে উদ্দেশ্য করে
নায়া- জানো ড্যাড তোমার ছেলে প্রেম করছে
রায়হান চৌধরী- বলিস কি
ততক্ষনে সেখানে ইহান চলে আসে
ইহান- আব্বু তুমি আপুর কথা বিশ্বাস করো না
রায়হান চৌধরী স্ত্রী কে বল্লেন- দেখেছো রাই তোমার ছেলে লজ্জা পাচ্ছে আরেহ আমাকে লজ্জা পেলে মেয়ের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবে কে
রাইমা চৌধরী- হা ঠিক ই তো,কিরে ইহান বল সে কে,আমরা আজ ই চলে যাবো মেয়ের বাসায়,(মুখে তার হাসি)
ইহান- আম্মু তোমরা বেশি বুঝো,বললাম না এমন কেউ নেই
নায়া- তা হলে তুই আমাকে দেখে মোবাইল লুকালি কেনো
ইহান- যাক ভাবা কোথায় লুকালাম,ভাবলাম তুমি কিছু বলবে,আর তখন আমার মোবাইল হাতে রাখা ঠিক নয় তাই আর কি
নায়া- হয় হয়,ভাই আমার খুব ই বিনয়ী
ইহান- ভিলিব মি,অরনি কে ফোন করতে যাচ্ছিলাম, এই তো
রাইমা চৌধরী ছেলেকে হাত ধরে টেনে এক পাশে নিয়ে যায়
ফিস ফিস করে বলে, সেদিন যে বললি একটা মেয়েকে পছন্দ করিস,মেয়েটার কি খবর এখন
ইহানের মুখে এক খন্ড কালো মেঘ নেমে এলো
– আম্মু ওটা যাষ্ট ফান ছিলো আর কিছু না
রাইমা চৌধরী- ছেলের দিকে তাকিয়ে বল্লো মায়ের চোখ কে ফাঁকি দিচ্ছিস? বলনা বাবা
রায়হান চৌধরী- রাই কি ফিস ফিস করছো,আমাদের কে ও বলো
নায়া- মোম আমি কিন্তু মানছি না,কি কথা বলছো শুনাও আমাদের
ইহান- আম্মু পাগলামি করো না তো,আসো,আব্বু,আপু কি ভাববে
ইহান ফিরে এলো
– আপু চল তোকে এয়ারপোর্ট এ পৌছে দিয়ে আসি,ফ্রেন্ড দের নিয়ে একটা পার্টি থ্রো করেছি সন্ধ্যা বেলায়
নায়া- ইসস তোর ফ্রেন্ডদের সাথে আমার পরিচয় করালি না
ইহান- অন্য একদিন করাবো এখন চলো
ইহান নায়াকে নিয়ে বেরিয়ে যায়
রাইমা চৌধরী- ছেলেটা বড ছাপা স্বভাবের বুঝতেই পারছি না
রায়হান চৌধরী- হুম পরিক্ষার রেজাল্ট নিয়ে মনে হয় খুশি নয় ছেলেটা
রাইমা- কি জানি হবে হয় তো
মায়ের মনতো তা হয়তো অন্য কিছু বলছে আমার মন
রায়হান চৌধরী- কি ভাবছে তোমার মন?
রাইমা- শিওর না হয়ে, বলতে পারছি না, দেখা যাক কি হয়
রায়হান চৌধরী- ওকে রাই. তা হলে আমার এখন উঠতে হচ্ছে,একটা মিটিং আছে
রাইমা- তোমার তো এখন মিটিং থাকবেই, আচ্ছা বলো তো,কতো দিন আমরা এক সাথে সময় কাটাই না সেই কলেজ লাইফের মতো,
রায়হান চৌধরী- সত্যি সেই দিনন গুলো ছিলো অন্যরকম, তোমার সাথে প্রথম দেখা,তার পর প্রপোজ করা,মনে হয় এই তো সেই দিনের কথা,তুমি কতো লজ্জা পেতে তখন, অবশ্যইই এখন লজ্জা তোমার কম নয়
রাইমা চৌধরী বিব্রত হয়ে বল্লো
– তোমার না মিটিং আছে,তাড়া তাড়ি যাও
রায়হান চৌধরী, স্ত্রীর গালে টোকা দিয়ে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেলো,লজ্জা টা তোমার এক বিন্দু ও কমেনি রাই,
ইহান নায়াকে এয়ারপোর্ট এ নামিয়ে দিয়ে, অরনিদের বাড়ির দিকে গাড়ি ঘুরিয়ে নিলো
আজকের পার্টি অরনিদের বাসায় হচ্ছে, অরনির বাবা মা দেশের বাইরে,,তাই অরনি নিজের বাড়িতেই সব এরেঞ্জ করেছে
ইহান পোঁছে গেলো অরনিদের বাড়িতে, সব ফ্রেন্ডসরা উপস্থিত আছে শুধু মিথিলা ছাড়া
ইহানের চোখ শুধু চারিদিকে ঘুরছে, শুধু এক নজর দেখার জন্য
সাম্মি- তোর চোখ যাকে খুঁজছে সে আসেনি, অরনি অনেক করে রিকুয়েস্ট করেছে আমি করেছি,,রাহি করেছে,তার একটা ই কথা সে আসবে না
ইহান- তা হলে আর কি করা বল
এমন সময় অরনি এসে বল্লো
কিরে ইহান এসে গেছিস, তোর অপেক্ষাতেই ছিলাম চল গিয়ে বসি,আগে বল কি খাবি
ইহান- বিয়ার হলে ভালো হয়
অরনি- ওকে আয়,, সবাই গিয়ে বসলো
ইহান অন্যমনস্ক হয়ে ই বসলো
অরনি খেয়াল করলো ইহান যেন সবার মাঝে থেকে ও নেই
অরনি- কি ভাবছিস
ইহান- ভাবছি আমি মিথিলাকে একটা কল দিই
সাম্মি- তা হলে দে,হয়তো কথা বললে তোর মন টা হালকা হবে
অরনি- আমার মনে হয় কল না দেয়া ই ভালো, মিথিলা কথা বলতে চাইবে না ইহানের সাথে,এতে তার কষ্ট আর ও বাড়বে
ইহান- দীর্ঘ একটা নিশ্বাস নিয়ে বল্লো,তাই হবে হয়তো
রাহি- তোরা সবাই মুড অফ করে বসে আছিস কেনো,এখন এই সব চিন্তা বাদ দে, ইনজয় কর,, লেটস ইনজয় ফ্রেন্ডস
to be continue
ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন