ক্রাশেরসাথেবিয়ে পার্ট_০৭
#jannatul_ferdous
বলেই রোদ এগিয়ে আসলো রাগিনীর দিকে।রাগিনী আইসক্রিম গুলো লুকিয়ে পেললো।রোদ রাগিনীর অবস্থা দেখে হেসে উঠলো।
রাগিনী-দিবো না।
রোদ-সত্যি?
রাগিনী-হুমম।
রোদ-ওকে এর থেকেও একটু বেশি মিষ্টি খেয়ে নেয়।
বলেই রাগিনীর ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিশিয়ে দিলো।
কিছুক্ষন পর…..
রোদ রাগিনীকে ছেড়ে দিলেও রাগিনী চোখ বন্ধ করেই আছে।লজ্জায় লাল হয়ে গেছে রাগিনী।আস্তে আস্তে চোখ খুলতেই রোদের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে পেললো।
রোদ-রাগিনী কী জানে তাকে লজ্জা পেলে আরো সুন্দর দেখাই।
রাগিনী-কি যে বলো তুমি।
রোদ- তুমি তো আমার উপর ক্রাশ খেয়ে আমাকে বিয়ে করে পেললে।তাহলে এখন আমি তোমার ক্রাশ বর।তাই তোমাকে সব কিছু বলার অধিকার আমার আছে।
রাগিনী-আমি যাচ্ছি।
রোদ-কই?
রাগিনী-আম্মুর কাছে।
রোদ-একদম না।
রাগিনী-কেনো?
রোদ-সারারাত তোমাকে ছেড়ে ছিলাম।কত কী ভেবেছিলাম,কিছুই হলো না।
রাগিনী-তো সারারাত তো আমার কথা মনেই ছিলো না।
রোদ-হাসপাতাল থেকে ছাড় পেতেই তোমার কাছে চলে আসছি।
রাগিনী-আম্মু আব্বুকে বলছো?
রোদ-হুম ফোন দিয়ে বলেছি চিন্তা না করতে।
রাগিনী-হাসপাতালে কয়টা নার্স তোমার উপর ক্রাশ খাইছিলো আল্লাহ ভালো জানে।
রোদ-রাগিনী তুমি পারোও অনেক।
রাগিনী-হুম আমার ক্রাশ বরের উপর কেউ ক্রাশ খাবে না।
রোদ-আচ্ছা খাবে না।
রাগিনী-হুম।
রোদ-একটু কাছে আসো প্লিজ।
রাগিনী-তোমার হাতে ব্যাথা তো চুপচাপ বসে থাকো।আমি খাবার আনছি তোমার জন্য।দুপুর তো হয়ে আসলো।
রোদ-আচ্ছা আমি গোসল করবো।
রাগিনী-ওকে যাও।
রোদ-হুমমম।
রোদ আসতেই দেখলো রাগিনী খাবার সাজিয়ে বসে আছে টেবিলে।রোদ গিয়ে বসলো রাগিনীর পাশে।
রাগিনী-ধরো খাবার খাও।
রোদ-খাবো না।
রাগিনী-কেনো?
রোদ-আমার হাতে ব্যাথা তো।
রাগিনী-এই টুকুই তো ব্যাথা।
রোদ-ব্যাথার জন্য রোমান্স করতে পারবো না তাহলে খাবো কীভাবে?
রাগিনী-এখন কী আমাকে খাইয়ে দিয়ে হবে?
রোদ-এটাও বুজিয়ে বলা লাগে?
রাগিনী-ওকে খাইয়ে দিচ্ছি।
রোদ-হুমমম দাও।
রাগিনী রোদকে খাইয়ে দিচ্ছে,রোদ রাগিনীর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
রোদ-তুমি খেয়েছো?
রাগিনী-না।
রোদ-আচ্ছা আমি খাইয়ে দিবো।
রাগিনী-তোমার তো হাতে ব্যাথা।
রোদ-তোমাকে দিতে পারবো।
রাগিনী-হিহি অভিনয় ভালো জানো।
রোদ-তোমার হাতে খাওয়ার অন্য রকম অনুভূতি আছে।নাও আমি তোমাকে এখন খাইয়ে দিচ্ছি।
রাগিনী-ঠিক আছে।
বিকেলে রিয়া রাগিনীকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বললো।
রাগিনী-কেনো?
রিয়া-আমি একটা বিপদে আছি।প্লিজ হেল্প করো রাগিনী।প্লিজ….
রাগিনী-আচ্ছা আমি আসছি।
রিয়া-হুম আমি ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি।
রাগিনী সেখানে যেতেই কয়েকজন মিলে রাগিনীকে তুলে নিয়ে গেলো।বিকেল গড়িয়ে রাত নেমে আসলো রাগিনীর কোনো খবরও নেই।
রোদ গাড়ি নিয়ে নিজেই রাগিনীকে খুজে বের করার চেষ্টা করলো।কিন্তু কোথাও পেলো না।পুলিশকে খবর দেওয়া হলো।
অফিসার-আচ্ছা রাগিনীর কারো সাথে শত্রুতা আছে?
রাগিনীর আম্মু-না নেই।
অফিসার-একটু মনে করে বলুন।
রাগিনীর আম্মু-আমি সত্যি বলছি অফিসার আমার মেয়ের কারো সাথে শত্রুতা নেই।
অফিসার-রোদ আপনার ক্ষতি চাই এমন কেউ আছে।
রোদ-অফিসার তা তো সঠিক জানি না।একটু ওয়েট করেন আমি একটা কল দিবো।
হ্যালো আম্মু.
রোদের আম্মু-হ্যা রাগিনীর কোনো খবর পেলি?
রোদ-না আম্মু।দেখো তো রিয়া বাসায় আছে কিনা।
রোদের আম্মু-না তো রিয়া তো বিকেলে বাসা থেকে বের হইছে আর আসে নাই।
রোদ-আচ্ছা ঠিক আছে।
ফোন রেখে রোদ অফিসারদের বললো,,,,
আমার মনে হয় এই কাজটা রিয়াই করছে।রিয়া সম্পর্কে আমার কাজিন হয়।বিদেশ থেকে এসেছে কয়েক দিন হলো।
অফিসার-রিয়ার সম্পর্কে সব বলুন।আর আপনার সন্দেহ ওর দিকে কেনো?
রোদ-ওর সাথে আমার কিছু শত্রুতা আছে।আমার কাজিন রিয়া।
অফিসার-করে ফোন নম্বর দেন।
রিয়াকে ফোন দিয়ে দেখলো রিয়ার ফোন বন্ধ।রোদ রিয়াকে কই পাবে কিছু ভেবে পাচ্ছিলো না।রাগিনীর কোনো ক্ষতি হইছে কিনা সেটাই ভাবছে রোদ।২-৩ দিন কেটে গেলেও রাগিনীর কোনো খবর পাওয়া গেলো না।সবাই ভেবে নিলো রাগিনী হয়তো আর নেই।
হঠাৎ করেই খবর আসলো একটা মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে।শনাক্ত করার জন্য রোদ সহ সবাইকে পুলিশ যেতে বললো।লাশ টা দেখতে গিয়ে রোদের হাত কাপছে।চোখ দিয়ে পানি ঝরছিলো।আজ রোদের জন্যই রাগিনী বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে সেটাও জানে না কেউ।
চলবে……
দয়া করে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।