ক্রাশেরসাথেবিয়ে পার্ট ০৪
#jannatul_ferdous
খাবার মুখে দিতেই নিশাত,রোদ আর রোদের আব্বু অবাক হয়ে গেলো।
রোদ-খাবার রান্না করলো কে?
রাগিনী-কেনো ভালো হয়নি?
রোদ-না তা না।কিন্তু রনি যে বললো তোমার রান্না ভালো না।
রাগিনী-ওই সব তো আগে করছিলাম।আর আজকে শাশুড়ি আন্টি থুক্কু আম্মু ছিলো তো।আমাকে সব দেখিয়ে দিয়েছে।
রোদ-যাক একটা কাজ অন্তত ঠিক ভাবে করতে পারে।
রাগিনী-আমি আরো কাজ করতে পারি।
রোদ-কী পারো শুনি।
রাগিনী-তোমার পিক গুলোতে লাভ রিয়েক্ট দিতে।
রোদ-খেতে পারি,ঘুমাতে পারি তা বললেও হতো।
রাগিনী-ওইটাও পারি।
রোদ-হুম জানি।
রাগিনী-আমি ভাবছি তুমি জানো না।
রোদ-উফফ অসহ্যকর।
রাগিনী-আম্মু।
রোদের আম্মু-ওকে একদম অসহ্যকর বলবি না।
রাগিনী-হুমম।
রোদ-সব দেখি আমার বিরুদ্ধে।
রাগিনী-শ্বশুড় আঙ্কেল বলছিলো তো তুমি এই বাড়ির জামাই।
রোদের আব্বু-রাগিনী শ্বশুড় আঙ্কেল না বাবা বলবা।
রাগিনী-ঠিক আছে।
রোদ-কথাগুলা এত সহজে তোমার মাথায় ডুকে গেলো?
রাগিনী-হুম ডুকছে।
রোদ-ভালোই।
রাগিনী-ক্রাশ বর তুমি আমার ফ্রেন্ড রিকু এখনও ঝুলাই রাখছো।
রোদ-সারাদিন তো এমনিতেই বকবক করে পাগল করে দিচ্ছো।আবার কী দরকার?
রাগিনী-দরকার আছে।
রোদ-(করি আর তিনি আমাকে ওইখানেও বাঁশ দিবে)–মনে মনে।
রাগিনী-কিছু বললে ক্রাশ বর?
রোদ-না আমি কী বলবো?
রাগিনীর আম্মু-আজ তো রিয়া আসবে।রোদ ওকে নিয়ে আসিছ।
রাগিনী-রিয়া কে?
রোদ-আমার কাজিন।
রোদের আম্মু-মেয়েটা তো বিয়ের আগেই আসতে চেয়েছে।আসতে পারে নি এখন আসবে বলছে।
রাগিনী-ভালো।
রোদের আব্বু-আজকে আমার কিছু ফ্রেন্ড, রাগিনীর বাড়ি থেকে ওর বাবা মা ভাই আসবে।অনেক মেহমান হবে বাড়িতে।
রাগিনী-আমার আম্মু,আব্বু,ভাই আসবে।
রোদের আম্মু-হুম তোদের পরিবারকে তো ভালো মত চিনিই না তাই আসতে বলছি।
রাগিনী-রিত্ত আসবে না?
রোদের আম্মু-রিত্ত কে?
রাগিনী-আমার ফ্রেন্ড।
রোদের আম্মু-আচ্ছা ফোন দিয়ে আসতে বলো।
রাগিনী-সত্যি আসতে বলবো?
রোদের আম্মু-হুমমম বলো।
রাগিনী সাথে সাথেই ফোন দিলো রিত্তকে।
রাগিনী-ওই হনুমানের বউ কই তুই?
রিত্ত-আমি তো ভার্সিটি যাচ্ছি।
রাগিনী-আজকে আসতে পারবি?
রিত্ত-কই পালিয়ে যাওয়ার পর তো আর কোনো খবর পেলাম না তোর।
রাগিনী-ক্রাশকে বর বানিয়ে নিয়েছি।
রিত্ত-কোন ক্রাশ?
রাগিনী-আমার একমাত্র ক্রাশ।
রিত্ত-সেই রোদ।
রাগিনী-হুম ক্রাশের সাথে বিয়ে হয়ে গেছে আমার।
রিত্ত-তাহলে তোর ক্রাশ বর এখন।
রাগিনী-হুমমম।
রিত্ত-কীভাবে হলো?
রাগিনী-আয় সব বলবো।
রিত্ত-ওকে বিকেলে দেখা হবে।
রাগিনী-হুমমম।
রিত্ত-ঠিক আছে ভালো থাকিস।
রাগিনী-হুম।
রিত্ত ফোন রেখে দিলো।রাগিনী ফোনটা দিয়ে চলে যেতে চাইলে রোদ ডেকে বললো খাবার খেয়ে যেতে।রাগিনী মাথা নেড়ে খেতে বসলো।রোদ উঠে চলে গেলো
রোদের আব্বু-কি রে কি ভাবছিস?
রাগিনী-আমি না রিত্তের হেল্পে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলাম।
রোদের আব্বু-তো কি হয়েছে?
রাগিনী-রিত্ত তো এসে আমাকে মারবে।আমি তো বিয়ে করবো না তাই পালাইছি,কিন্তু বিয়ে তো করে পেললাম।
রোদের আব্বু-হাহাহা মেয়ের কী টেনশন।যা তো খেয়ে রুমে যা,সাজগোজ কর।
রোদের আম্মু-দাঁড়া আমি শাড়ি এনে দিচ্ছি।
রাগিনী-আবার শাড়ি।আমি মরে যাবো এই সব শাড়ির প্যারায়।
রোদের আম্মু গিয়ে শাড়ি,জুয়েলারী আনলো।তারপর রাগিনীর হাতে দিয়ে বললো,,,,,,,
রোদের আম্মু-আজকেই শেষ।কাল থেকে তোর যা মন চাইবে তা-ই পরবি।
রাগিনী-ঠিক আছে।
রোদের আম্মু-আমি পরে তোকে শাড়ি পড়িয়ে দিবো।যা এইগুলা সব তোর রুমে রেখে আয়।
রাগিনী-এই ভারি জুয়েলারী গুলা…….
রোদের আম্মু-তুই পরবি,শুধু আজকের দিনের জন্য।
রাগিনী-হুম শুধু আজকের দিন।
রোদের আম্মু-ওকে।
রাগিনী রুমে এসে শাড়ি গুলা বিছানায় রাখলো।
রোদ-এতগুলা শাড়ি।
রাগিনী-আম্মু দিয়েছে।বলছে যেকোনো একটা পছন্দ করতে।ক্রাশ বর প্লিজ হেল্প করো।
রোদ-মানে?
রাগিনী-আমি ফিল্মে দেখি বউ এর শাড়ি বর পছন্দ করে দেই।তুমিও করো প্লিজ।
রোদ-তোমার আবার শুরু।
রাগিনী-প্লিজ।
রোদ-আচ্ছা আয়নার সামনে চলো।
রাগিনী-হুমম ঠিক আছে।
রোদ ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে একটা একটা শাড়ি নিয়ে দেখছিলো।রাগিনী চুপচাপ বসে আছে।
রোদ-এই শাড়িটা তোমাকে ভালো লাগবে।
রাগিনী-সত্যি তো?
রোদ-হুম সত্যি।
রাগিনী-তাহলে এটাই।
রোদ-আমি তোমাকে আবার সাজিয়ে দিবো?
রাগিনী-কিন্তু আম্মু???
রোদ-আম্মু নিছেই বিজি থাকবে,এত কিছু মনে থাকবে না।
রাগিনী-আচ্ছা ঠিক আছে।
রোদ-ওকে দুপুরে সাজিয়ে দিবো।
রাগিনী হেসে উঠলো খুশিতে।রোদ রাগিনীর দিকে তাকিয়ে আছে।
রোদ-(সত্যিই মেয়েটার পিচ্চি পিচ্চি ভাব,দুষ্ট মিষ্টি কথাগুলো আর হাসিটা খুব সুন্দর।যতটা ভেবেছিলাম ততোটা বলদ না)–মনে মনে ভেবে হেসে উঠলো।
চলবে…….