ক্যালেন্ডার! পর্ব: ০৬!

0
912

গল্প: ক্যালেন্ডার!
পর্ব: ০৬!
লেখক: তানভীর তুহিন!

মিছিল সন্দেহের দৃষ্টি ছুড়ে মারে মুবিনের দিকে। মুবিন মিছিলের ছুড়ে মারা দৃষ্টির মানে বুঝে বাকা হেসে ভ্রু নাচায়। মিছিল শীতল শব্দে মুবিনকে জিজ্ঞেস করে, ” কিসের শর্ত? ”
মুবিন একমুহুর্তও দেরি না করে বলে, ” আজও শাওনকে স্কুটার চালাতে দিয়ে, আমার সাথে গাড়িতে যেতে হবে। ”
মিছিলের চেহারায় স্পষ্ট হতাশার ছাপ। সে কি না কি ভেবে নিয়েছিলো। মুবিন হয়তো শক্ত কোনো শর্ত রাখবে কোথাও ঘুরতে যেতে-টেতে বলবে বা অন্যকিছু। অথচ…! মিছিল আর কিছু না ভেবে মুবিনকে বলে, ” তোমার কথা শোনার জন্য শাওনকে কেনো স্কুটার চালাতে দিতে হবে? আজিব! ”
মুবিন দাত কেলিয়ে হেসে বলে, ” যাতে তুমি আমার সাথে গাড়িতে যেতে পারো। আর আমি তোমার সাথে একান্তে কথা বলতে পারি। ”
– ” এতো একান্ত মারানো লাগবে না। এখানে বললে বলো নাহয় বলাই লাগবে না! ”
– ” শাওন কী তোমার স্কুটার খেয়ে ফেলবে নাকি? ওটা কী খাবার জিনিস? কী হয় ওকে চালাতে দিলে? ”
– ” শাওনকে স্কুটার চালাতে দেওয়াটা সমস্যার না। সমস্যা তোমার সাথে একান্তে গাড়িতে যাওয়া! ”
– ” কেনো তুমি কী খাওয়ার জিনিস? আমি খেয়ে ফেলবো তোমায়? অবশ্য তুমি চাইলে তোমায় খেতেই…..! ”
মুবিনের কথা শেষ হবার আগেই মুবিনের বাহুতে থাপ্পড় মেরে মিছিল বলে, ” একদম অসভ্য কথা বলবি না। এজন্যই তো যেতে চাচ্ছি না তোর সাথে! ”
– ” গতকালকেও তো গেলা, কিছু করেছি আমি? শুধু শুধুই মিথ্যে অভিযোগ দিবা না মিছিল মনি! ”
– ” গতকাল গাড়িতে আমি আর তুমি ছাড়াও মানুষ ছিলো। আজ তো শুধু আমি আর তুমি তাইনা? ”
– ” বিশ্বাস করে একদিন যেতেই পারো। আমি অতোটাও অবিশ্বাস যোগ্য না মিছিল মনি! ”
– ” আমি গাড়ির ব্যাকসিটে বসবো! ”
– ” আমি কী তাহলে গাড়ি পার্ক করে পিছনে তোমার দিকে ফিরে কথা বলবো? ”
মিছিল চুপ মেরে যায়। মুবিনের সাথে তর্ক বাড়ানোর আর কোনো যুক্তি খুজে পায় না সে। মুবিনও তর্কে জিতে ভেতরে ভেতরে নিজের বিজয় উদযাপন করে।

মিছিল পাশের সিটে বসে তাকিয়ে আছে মুবিনের দিকে। একদম পলকহীন নয়নে তাকিয়ে আছে। একজন আগন্তুক যদি মিছিল মুবিনের এমতাবস্থার স্থিরচিত্র দেখে তাহলে সে নিঃসংকোচে বলবে মিছিল মুবিনকে চোখ দিয়ে গিলে খাবার পায়তারা করছে। কিন্তু না এটা একদমই ভুল ধারনা। মিছিল আসলে মুবিনকে না বরং মুবিনের কথাগুলো গিলে খাচ্ছে। হ্যা একদম গিলছেই, কারন মুবিনের কথায় মিছিলের তীব্র মনযোগ রয়েছে। মুবিন বলছে,
– ” আমি খুব ছোট থাকতেই বাবা-মায়ের ঝগড়া দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। ওনারা অবশ্য ক্লাস মেন্টেইন করে ঝগড়া করতেন। ক্লাস মেন্টেইন মানে হলো, ঝগড়ায় কোনোপ্রকার গালাগালি নেই, কোনোপ্রকার হাতাহাতি কিংবা মারামারি নেই, কোনো প্রকার তেমন মারাত্মক কিছুও নেই, শুধু ওনাদের মাঝারি ধরনের চেঁচামেচি’র আওয়াজে কিছু যুক্তি প্রদর্শন করাই ছিলো ওনাদের ঝগড়া। বিতর্ক প্রতিযোগিতা হয় না? অনেকটা বিতর্ক প্রতিযোগিতার মতো। আসলে ওনাদের মেন্টালিটি সিঙ্ক হতো না, মানসিকতায় প্রচন্ড ব্যাবধান ছিলো নাকি ওনাদের। যদিও এই কথাটা ওনাদের দুজনেরই। ওনারা প্রতিদিনই ঝগড়া করতেন, প্রতিদিন বলতে মুখোমুখি হলেই। কারন ওনারা তেমন বেশি মুখোমুখি হতেন না। শুধু রাতের বেলাতেই বাড়ি দেখতাম ওনাদের। দুজনই কর্পোরেট দুনিয়ার মানুষ ছিলো কিনা। দু’দুটো টাকা পয়দা করার মেশিন যাকে বলে আরকি। একসময় ওনাদের একজনের প্রতি আরেকজনের ফ্রাস্টেশন কাজ করতে শুরু করে, ফেড-আপ অবস্থার সৃষ্টি হয় একে অপরের প্রতি। তারপর দুজনেই মিউচুয়াল ডিভোর্স নিয়ে নেয়। ওনারা দুজনই ম্যাচিউড ছিলো। ওভার ম্যাচিউড যাকে বলে, সেজন্যই সংসার টেকেনী। যদি একজন কম্প্রোমাইজ করতো, যদি একজন খানিক স্যাক্রিফাইস করতো তাহলেই সংসার টিকে যেতো আর আমার ছেলেবেলাটাও সুন্দর যেতো! ” কথাগুলো বলেই একটু চাপা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে মুবিন। মিছিল খুব কাছ থেকে গভীর ভাবে মুবিনের এই দীর্ঘশ্বাসের পেছনের দুঃখটাকে অনুভব করে। কিছুক্ষন দুজনেই চুপ থাকে। তারপর মিছিল বলে, ” ছোটোবেলায় কার কাছে ছিলে? আর এখন কার কাছে থাকো? ”
– ” আমি কোনোদিন’ই বাবা কিংবা মায়ের কাছে ছিলাম না। শুধু ওনাদের বাড়িতে থাকতাম। অনেকটা ভাড়াটে কিংবা পেয়িং গেষ্টের মতো। ওনারা শুধুই আমার ভরন-পোষন চালাতো এই ই যা। আর কিছুই না। আমায় কোনোদিন বাবা-মায়ের ভালোবাসার স্বাদ কেমন হয় সেটা বুঝতে দেয়নি ওনারা। হাইস্কুল অবধি ওনাদের কাছেই ছিলাম ভাড়াটে’র মতো, নাইন-টেন ছিলাম হোস্টেলে, তারপর ডিপ্লোমার শুরু থেকেই নিজে একা আলাদা ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেছি। এখন একাই থাকি, নিজের ফ্ল্যাটে। ”
– ” একদম একা থাকো? একা লাগে না? বোরিং লাগে না? আর রান্নাবান্না করে কে তোমার জন্য? ”
মুবিন প্রানখুলে তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলে, ” আমি তো সেই জন্ম থেকেই একা। না চাওয়া সত্তেও একা থাকাটা অভ্যেস হয়ে গেছে কেমন যেনো। জানো ছোটো বেলায় খুব চাইতাম, একটু বাবা-মায়ের সাথে থাকতে। ওনাদের একটু সময়ের জন্য একটু ভালোবাসার জন্য আমার আত্মাটা শুকিয়ে থাকতো। কিন্তু ওনারা কোনদিনই সেসব দিয়ে আমার আত্মার তৃষ্ণা মেটায় নী। তাই এখন একা থাকতে তেমন অসুবিধা হয় না। আর বোরিংও লাগে না কারন সারাদিনই ইন্টারনেট, গেইম, গ্যাজেট, মুভি এসব নিয়ে পড়ে থাকি। আর রান্নাবান্নার জন্য হোটেলের বাবুর্চিতো আছেই। হোটেলের খাবারই বেশি খাই। যখন হোটেলের খাবার একঘেয়ে লাগে তখন কিছুদিনের জন্য রান্নার বুয়া রেখে দেই। এভাবেই চলে যায় আমার! ”
– ” ওহ! ”
মিছিলে ‘ওহ’-তে খানিক আশাহত হয় মুবিন। সে মিছিলের কাছ থেকে শুধুমাত্র ওহ এর থেকে একটু বেশি কিছু আশা করেছিলো। থাক ব্যাপারনা! তার আশাহত হবার অভ্যাস আছে। আসলে মিছিলও ওহ এর বাইরে গিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছিলো। কিন্তু বলতে পারেনি! কেনো বলতে পারে নি তা সে জানে না। হয়তো তার ছোটবেলাটা আটকে দিয়েছে তাকে এই বলে যে, ” তুই কাকে সহমর্মিতা দেখাবি? তুই’ও তো সহমর্মিতার কাঙালি। যেখানে তোর জীবন সহমর্মিতার কাঙালি সেখানে অন্যকে সহমর্মিতা দেখানোটা কেমন যেনো বিলাসিতা হয়ে যায় না? ”
মিছিল চুপ মেরে বসে থাকায় মুবিন নিরবতা দূরীকরণে মিছিলকে জিজ্ঞেস করে, ” তোমার ফ্যামিলির কী হাল-চাল? কে কে আছে ফ্যামিলিতে? ”
মিছিল মুবিনের প্রশ্নের উত্তর দেয় না। চুপ করে বসে থাকে। মুবিনও আর জিজ্ঞেস করে না। শুধু বুকচেপে একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কেনো যানে ভেতরে একটা চাপা কষ্ট অনুভব করছে সে। মিছিলকে সবটা বলতে গিয়ে তার বাবা-মায়ের দেওয়া কষ্টগুলো তাজা হয়ে ফুলে-ফেপে উঠেছে তার বুকে। আর সে কষ্টগুলো ফুলে যাবার ফলেই হয়তো তার বুকে খানিক চিনচিনে ব্যাথা অনুভব করছে সে। এইমুহুর্তে ঠিক একইরকম ব্যাথা অনুভব করছে মিছিলও। মিছিল মোটেই চাচ্ছিলো না মুবিনকে কথা গুলো বলতে, কিন্তু মিছিলের অবচেতন মন বারবার সংকেত দিচ্ছিলো মিছিলকে যে, ” বলেই ফেল না। কী করবি এই চাপাকষ্ট লুকিয়ে রেখে? প্রকাশ করে নাহয় একটু হালকা’ই হয়ে নে। এতে দোষ কথায়? ”
মিছিল ঠিক মুবিনের মতোই একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ” আমার পরিবার শুধু আমার বাবা’ই। উনি আমার বাবাও, উনি আমার মা’ও। আমার মা মারা যায়নি, হারিয়ে যায়নি, পালিয়েও যায়নি, ছেড়ে চলে গেছে! আমাকে আর আমার বাবাকে ফেলে রেখে চলে গেছে। ওই মহিলাকে নাকি জোর-জবরদস্তি করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিলো আমার বাবার সাথে। বিয়ের আগে নাকি তার প্রেমিক ছিলো। মস্তবড় ব্যাবসায়ী প্রেমিক, তার প্রেমিক বড়লোক হবার কারনেই নাকি তার বাবা তাকে তার প্রেমিকের সাথে বিয়ে দেয়নি। কারন তার বাবার ইচ্ছে ছিলো সে তার মেয়েকে একটা গরীব ছেলের সাথে বিয়ে দেবে। আর সে গরিব ছেলেটাই ছিলো আমার বাবা, এক গরিব স্কুলমাস্টার। বিয়ের পরের কোনো এক অঘটনের ফল আমি। আমার মা, মানে ওই মহিলা বলেছিলেন বাবাকে যে, ‘ আমি তোমার সাথে থাকতে পারবো না। যেটা হয়েছে সেটা একটা দূর্ঘটনা। তোমায় কোনো বোঝা বইতে হবে না বাচ্চা নষ্ট করে ফেলি। ‘ কিন্তু বাবা রাজি হয়নি। সে বলেছিলো, ‘ বাচ্চার কোনো দ্বায়ভার তোমার নিতে হবে না, শুধু যতদিন বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন ততদিন বাচ্চাটাকে তোমার কাছে রেখো। তারপর তুমি মুক্ত। তুমি যাবার পর আমি আর বিয়ে করবো না। সারাটাজীবন কাটানোর জন্য শুধু বাচ্চাটাকে আমায় দিয়ে যাও। তোমার সাথে ঘটে যাওয়া আমার এই দূর্ঘটনা, এ অঘটনটাই আখড়ে ধরে আমি সারাটাজীবন কাটিয়ে দিতে পারবো। প্লিয বাচ্চাটা আমায় দিয়ে যাও। ‘ মহিলার বিবেকে বেধে যায় কথাগুলো। সে আর বাবাকে না করতে পারেনি। আমি জন্মানোর ৮ মাস পরেই সে বাবার থেকে তালাক নিয়ে তার প্রেমিকের কাছে চলে যায়। তার প্রেমিক সোকলড হাই সোসাইটির মানুষ হওয়ায় তার সবকিছু জেনেও তাকে মেনে নেয়। ব্যাস তারপর থেকেই বাবা আমায় নিয়ে আর আমি বাবাকে নিয়েই বেচে আছি। শুনেছি মহিলা যেদিন চলে যাচ্ছিলো সেদিন নাকি বাবাকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলো যে বাবা যাতে কোনোদিন এই সন্তানের দোহাই দেখিয়ে তার সামনে গিয়ে না দাঁড়ায়। আর এই সন্তানও যাতে কোনোদিন তারকাছে কোনো দাবি নিয়ে না দাঁড়ায়। তারপর থেকে বাবা কোনোদিন খোজ নেয়নি ওই মহিলার, আমিও কোনোদিন খোজ নেবার চেষ্টা করিনি ওনার, উনিও নেয়নি আমাদের খোজ, এমনকি আমি কোনোদিন মহিলার মুখও দেখিনি, কোনো ছবিতেও না। ” কথাগুলো বলেই তাজা হয়ে যাওয়া চাপাকষ্টের তাড়নায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে মিছিল। মুবিন ঠোট বাকিয়ে তাচ্ছিল্যের স্বরে বলে, ” এই মানুষজাতিটা খুবই বিচিত্রকর! তাই না মিছিল? কারো কাছে সম্পর্ক মানে তাজমহল আর কারো কাছে সম্পর্ক মানে তুচ্ছ ধুলোবালি! ” থেমে যায় মুবিন। হয়তো একটু কান্না পাচ্ছে। গলা ধরে এসেছিল তাই আর কথাটা এগিয়ে নিতে পারেনি সে। মিছিলের চোখ থেকে নোনাজল গড়িয়ে পড়েছে দু’ফোটা। সেগুলো মুছতেই ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে মিছিল। কান্না যেনো চিরশত্রু তার, তাই একদম অস্তিত্ব মিটিয়ে দিচ্ছে নোনাজল দু’ফোটার। মুবিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বলে, ” আচ্ছা মিছিল আঙ্কেল তো নাকি গরিব স্কুল মাস্টার ছিলেন। তা হঠাৎ এতো প্রগ্রেস করলো কীভাবে? তুমি প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ছো, আর তোমাদের বাসাও তো আবাসিক এরিয়ায়! ”
মিছিল তাচ্ছিল্যের স্বরে বলে, ” গরীব ছিলেন কিন্তু ওই মহিলার বাবা আরকি আমার নানুভাই মরে যাবার আগে সব সম্পত্তি আমার নামে করে দিয়ে যায়। সেই খাতিরেই বাবার বড়লোক হওয়া। বাবা নিতে চায়নি সম্পত্তি। সম্পত্তি যখন দিচ্ছিলেন তখন আমি এইটে পড়ি। একপ্রকার অনুশোচনা আর অপরাধবোধের কারনেই জোর করে সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে দেয় আমায়। নানুর সম্পত্তি ভোগ করেই আমরা দুজনে বিলাশবহুল জীবন যাপন করছি। আমার নিজের তিনখানা গাড়িও আছে। শখের বশে কিনেছিলাম। কিন্তু তেমন ব্যাবহার করি না। গাড়ির ভেতরে কেমন যেনো দমবন্ধ দমবন্ধ লাগে। তাই ওই স্কুটারটায় যাতায়াত করি, একদম ফুরফুরে বাতাস পাই চালানোর সময়। বেশ ভালো লাগে! ”
মুবিন আর কিছু বলে না। মিছিলও নিশ্চুপভাবে বসে বাইরেটা দেখতে থাকে আনমনে। মিছিল গাড়ি থেকে নেমে জানালা দিয়ে ভেতরে উকি মেরে বলে, ” থ্যাংকস ফর দ্যা টাইম। তোমার সাথে কথাগুলো শেয়ার করে অনেকটা হালকা লাগছে, আসলে আমার তেমন কোনো ভালো বন্ধু নেই যার সাথে এভাবে এসব মনখুলে শেয়ার করতে পারবো। তোমার সাথে কিছুদিনেরই পরিচয় তবুও মন খুব করে বলছিলো তোমার সাথে কথাগুলো শেয়ার করতে। তাই মনের বাধ্যগত হয়ে বলেই ফেললাম, থ্যাংক্স এগ্যাইন! ”
– ” আই লাভ ইউ, বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে মুড ঠিক করে নাও। আমি বাসায় গিয়ে ফোন দিচ্ছি! ”
অন্যসময় মুবিন যদি এভাবে অধিকার ফলিয়ে কথা বলতো মিছিল নিশ্চিত ক্ষেপে যেতো। কিন্তু এখন মুবিনের অধিকার ফালানোটা কেমন যেনো সঠিক মনে হয়েছে তার। এক অজানা ভালোলাগা যেনো বিদ্রোহ ঘোষনা করেছে তার অনুভুতিতে…!

চলবে!
#thetanvirtuhin

প্রিয় গল্পপ্রেমিরা যুক্ত হয়ে যান পরিবারে!♥
” Tanvir’s Writings “

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে