কোনো এক শ্রাবণে পর্ব-২১(খ)

0
149

#কোনো_এক_শ্রাবণে
লেখনীতে #মেহরিমা_আফরিন

(২১)[দ্বিতীয় অংশ]

‘নাচ না জানলে উঠান বাঁকা
যে বলে বলুক রে।
তাল বেতালে হেলেদুলে
কোমর টা দুলুক রে।’

সাউন্ড বক্সে এইটুকু অংশ বাজার পর আরহাম,আদি আর আরিশ সমস্বরে চেঁচিয়ে ওঠল,
‘লে চান্স রে
লে চান্স রে
লে চান্স চান্স চান্স
লে পাগলু ডান্স ডান্স ডান্স ডান্স ডান্স ডান্স।’

তাদের চিল্লাফাল্লায় অ’তিষ্ঠ হয়ে তাসনুভা দুই হাত কান চেপে ধরে।এরা সেই তখন থেকে বেরস গলায় চেঁ’চিয়ে চেঁ’চিয়ে গান গাইছে আর উড়াধুরা নাচ দিচ্ছে।কোনো স্টেপ নাই,কোনো ছন্দ নাই।কেবল ইচ্ছে মতো লাফালাফি।তাসনুভা বিরক্ত হয়ে বলল,’থামবে তোমরা?তোমাদের চিৎ’কারে মাথা ধরে যাচ্ছে আমার।’

আরিশ লাফাতে লাফাতেই বলল,’না থামব না।আজকে নাচার দিন।থামবো কেন?’

আদি শ্বাস টানতে টানতে বলল,’ভাইরে পা ব্যথা হচ্ছে আমার।তবুও শুধু নাচতে ইচ্ছে হচ্ছে।ফাহাদ কট,ফাহাদ কট।ইয়েসসস ইয়েসসস।শা’লা একদম জায়গা মতো ধরা খেয়েছে।

আরহাম চি’ৎকার করতে করতে আর লাফালাফি করতে করতে রীতিমতো হাঁ’পিয়ে উঠেছে।তার গায়ে এখন শুধুমাত্র ফকফকে সাদা এক্সারসাইজ গেঞ্জি।পাঞ্জাবি সে সেই কখনোই খুলে ফেলেছে খুশির ঠেলায় তার কোনো ইয়াত্তা নেই।

সে ক্লান্ত পায়ে হেঁটে সোফার কাছে গেল,ঠিক ওয়াজিদের পাশটায় গিয়ে বসল।ওয়াজিদ তার দিকে ফিরে কিছুটা চোখ গরম করে বলল,’বাচ্চা হয়ে যাস তুই মাঝে মাঝে?হাতের ঘা শুকায়নি এখনো,আর তুই এই হাত নিয়ে নাচাকুদা করছিস?

আরহাম কতোক্ষণ জিরিয়ে নেয়।তারপরই উৎফুল্ল হয়ে বলে,’কি করব ভাই?আমার তো মারাত্মক আনন্দ হচ্ছে রে।’

আজ আরহামের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে অন্যরকম একটি দিন।বলা যায় যেদিন মনোনয়ন পত্র হাতে পেয়েছিল,তারপর থেকে এই দিনটিই তার সবচেয়ে ভালো দিন।

সে জানতো রাকিব আর ফাহাদ মিলে কোনো না কোনো ফন্দি আটছে।কিন্তু সেটা কি সে ঠিকঠাক ঠাহর করতে পারছিল না।সে গু’লি খাওয়ার পর থেকে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছিল জনগণের মনে।এছাড়া রাকিবও তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছিল।তাই তারা পরিকল্পনা করে নিজেরাই নিজেদের সম্মেলনে হা’মলা করেছে,যেন জনগণ ভাবে এই কাজ আরহাম করেছে প্রতি’শোধ নেওয়ার জন্য।মোদ্দা কথা আরহামকে টেনে নিচে নামানোর জন্য আর নিজে নতুন করে সিম্পেথি পাওয়ার জন্য রাকিব এই কাজ করেছে।নিজের লোক দিয়ে নিজের সমাবেশে ঝামেলা বাধিয়েছে,যেন সব দোষ আরহামের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে পারে।

কিন্তু হলো টা কি?তার দলের ছেলেরাই পুলিশের কাছে ধরা খেয়ে স্বীকার করে নিল যে রাকিবই তাদের নির্দেশ দিয়েছিল নিজের সমাবেশে হা’মলা করে চারদিকে গন্ড’গোল বাধানোর জন্য।

আরহাম ফিচেল হাসে।লিভিং রুমের বড়ো টেলিভিশনের স্ত্রিনে প্রচার হওয়া সংবাদগুলো দেখে।আজকের পুরো ঘটনার খন্ড চিত্র গুলো টেলিভিশনে প্রচার করা হচ্ছে।রাজারবাগ থেকে শুরু করে শান্তিনগর।পুরো রাস্তার কিছু কিছু জায়গায় ভিডিও ফুটেজ কালেক্ট করা হয়েছে।দেখা যাচ্ছে রাকিবের দলের ছেলেরাই চোখ মুখ বেঁধে দু’র্বৃত্ত সেজে এই কাজ করছে।আরহাম হঠাৎই শান্ত হয়।স্থির দৃষ্টিতে টেলিভিশনের দিকে চোখ নেয়।অপেক্ষা করে কর্ণফুলী শপিং মলের সামনের ফুটেজটি সামনে আসার।

সেই ফুটেজ সামনে আসতেই সে প্রশস্ত হাসে।এ নিয়ে কয়বার সে এটা দেখেছে সে নিজেও জানে না।চারদিকে গু’লি আর সাউন্ড গ্রে’নেডের শব্দ।এদিকে সেদিকে পুলিশ।মুখ পেঁচিয়ে রাখা দুর্বৃ’ত্তরা এলোপাতাড়ি গু’লি ছু’ড়ছে।এরই মাঝে কোথা থেকে উল্কা বেগে একটি মেয়ে ছুটে এলো তার দিকে।এসেই এক থা’বায় তার মুখের সামনে থাকা কাপড়টি সরিয়ে নেয়।সজোরে একটা চ’ড় বসায় তার গালে।এই দৃশ্য আরহামের বুকের মাঝে এক পশলা বৃষ্টি নামায়।ইশশ কি শান্তি! ফাহাদকে এমন একটা দাবাং চট’কনা খাওয়ানোর কতো শখ ছিল তার।কিন্তু তার মনে রাখা উচিত ছিল দাবাং নবনীতা ছাড়া এই শখ পূরণ হওয়া সম্ভব না।

ফাহাদ আপাতত হাজতে আছে।হয়তো ছাড়া পাবে,নয়তো দুই একদিন থাকতে হবে।সেটা বড় বিষয় না।বড় বিষয় হচ্ছে ফাহাদ নিজেই প্রতি’হিংসার বশবর্তী হয়ে নিজের দলের ক্ষতি করেছে।আরহামকে ডিফেম করার জন্য সে অন্য দলের সাথে হাত মিলিয়ে।এই খবর জানাজানি হতেই কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তাকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে।উফফ! এতো আনন্দ আরহাম একদিনে কি করে সইবে?

সে উঠে দাঁড়িয়ে টেলিভিশনের সামনে যায়।বার বার শুধু এই মেয়েটিকেই দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে তার।এতো সাহস এই মেয়ের! তোফায়েল ঠিকই নাম দিয়েছে তার।আরহাম একপেশে হাসে।হাসতে হাসতেই বলে,’পুরাই একটা লেডি ডন!’

আদি ক্লান্ত শ্বাস ছেড়ে বলল,’আমি শিউর নবনীতা কোনো ছদ্মবেশী বাঘ।সে মানুষ হতেই পারে না।’

তাসনুভা নাক ছিটকে বলল,’ছদ্মবেশী সাপ হয় শুনেছি,বাঘও হয় নাকি?’

‘হু হয়।নবনীতাই সেটা।বাপরে! পুরোটাই কলিজা।কোনো হা’ড্ডি মাং’স নাই এই মেয়ের।একেবারে গ্যাংস্টার।’

আরিশ চঞ্চল হয়ে বলল,’সেই সেই।নবনীতা আপু আমার দেখা সবচেয়ে স্ট্রংগেস্ট গার্ল।কি সাহস তার! চোখে মুখে কি তেজ! আপুর একটা বায়োপিক বানানো যাবে।’

আরহাম তার কথা শুনেই একগাল হাসে।আদি ঠিকই বলেছে।সে সত্যিই বাঘ।একে আরহাম কেমন করে নিজের মনের কথা বলবে?তার পরিনতিও কি ফাহাদের মতো হবে?আনমনেই সে একহাত তার গালে ছোঁ’য়ায়।কিছু একটা কল্পনা করতেই নড়েচড়ে উঠে।নাহ ভাই,লেডি ডন দূর থেকেই সুন্দর।কাছে গেলেই বিপদ।আরহাম আবারো কিছু মনে করে হাসল।বিড়বিড় করে বলল,’আই অ্যাম সো প্রাউড অফ ইউ পরী।তোমার তুলনা শুধু তুমিই।তোমায় কি করে বোঝাই তোমায় আমি কতোখানি পছন্দ করি! তুমি তো সেই কথা শুনলেই তেড়ে আসবে আমাকে মা’রার জন্য।তোমার কোনো ভরসা নেই।’

কয়েক মিনিট পরেই আরহামের মোবাইল ফোনটি শব্দ করে বেজে উঠে।আরহাম ফোন রিসিভ করতেই অন্যপাশ থেকে তোফায়েল চিন্তিত গলায় বলল,’ভাই আজকে রাকিবের দলের লোকদের গু’লিতে যে কয়জন আহত হয়েছে তার মধ্যে একটা এগারো বছরের বাচ্চাও আছে,শাহাদাত নাম।তার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।পেটে গু’লি খেয়েছে বেচারা।’

আরহাম আঁতকে উঠে বলল,’বলিস কি?ঐ শা’লা বাচ্চাকেও ছাড়ে নাই।যাকগে,অবস্থা কি বেশি খারাপ?’

‘জ্বী ভাই একটু খারাপই।আমি এতোক্ষণ সেখানেই ছিলাম।ঐ নবনীতা নূরও এখানে আছে ভাই।’

আরহাম বিস্মিত হয়।চমকে উঠে বলে,’নবনীতা হসপিটালে আছে।’

‘জ্বী ভাই।’

আরহাম গাঢ় স্বরে জবাব দেয়,’আচ্ছা তুই থাক।আমি আর ওয়াজিদ এখনি আসছি।’
.
.
.
.
স্ট্রেচারের কটকটে শব্দে নবনীতার মাথা ধরে যাচ্ছিল।তবুও সে চুপচাপ হাসপাতালের করিডোরে ফালানো বেঞ্চিতে বসে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা।বাড়ির বাটন ফোনে ফোন দিয়ে সে জানিয়েছে তার ফিরতে দেরি হবে।

সে নিজের মুখটা দুই হাতে ঢেকে একটা ক্লান্তির নিশ্বাস ছাড়ে।তার চোখ একটু পর পর আর্দ্র হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু সে মানুষের সামনে কাঁদতে পারে না।সে কান্নাটুকু গিলে নেয়।তারপর পাশ ফিরে তার পাশের চেয়ারে বসে থাকা তিন বছর বয়সী ফুটফুটে কন্যা শিশুটিকে দেখে।তার নাম বিভা।যার পৃথিবীতে ভাই বাদে কেউ নেই।সেই ভাইটিও হাসপাতালে।হয়তো বাঁচবে,নয়তো চিরতরে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে।তারপর?তারপর কি হবে?বিভার কি হবে?

সে হাত বাড়িয়ে তাকে নিজের কোলে নেয়।তার চুলগুলো ঠিক করতে করতে বলে,’কিছু খাবে সোনা?খিদে পেয়েছে?’

বিভা কিছু বলল না।কেবল বড় বড় চোখ করে তাকে দেখল।নবনীতা তার কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে বলল,’কোনো ভয় নেই পাখি।তোমার শাহাদাত ভাইয়ার কিচ্ছু হবে না।সে বলেছিল আমার দোয়া কবুল হবে।আমি দোয়া করেছি সে খুব বড় হবে।সেই দোয়া পূরণ করা অব্দি তার কিচ্ছু হবে না বিভু।’

সে শক্ত করে বিভাকে নিজের সাথে চেপে ধরে।বিভা আজ থেকে তার ছোট্ট বাচ্চা।সে বিভাকে এই নোংরা পৃথিবীতে একা ছাড়বে না।এখন থেকে বিভাও তাদের সাথে থাকবে।কোথায় রাখবে,কি খাওয়াবে সে জানে না।কিন্তু নবনীতার ভেতরের মাতৃসত্ত্বাটি বিভাকে এভাবে ফেলে দিতে পারবে না।

আরো আধঘন্টা অতিক্রম হওয়ার পর হাসপাতালের স্টাফদের মাঝে একটু হম্বিতম্বি দেখা গেল।নবনীতা কয়েকজনের কথা শুনে বুঝল শাহরিয়ার আরহাম এসেছেন হাসপাতালে গু’লিবি’দ্ধ রোগীদের দেখতে।সবাইকে দেখার পর সবশেষে সে এলো শাহাদাতের ওয়ার্ডের সামনে।

শাহাদাতের তখন হুশ নেই।তার পাকস্থলীর তেমন ক্ষতি হয়নি,তবে কিডনিতে আঘাত লেগেছে।সেখানে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।আরহাম তার ওয়ার্ডের সামনে আসতেই ত্যাছড়া নজরে একবার নবনীতাকে দেখল।তারপরই আবার চোখ সরিয়ে ডিউটিরত নার্স কে বলল এই ওয়ার্ডের ডাক্তার কে ডেকে পাঠাতে।

সরকারি হাসপাতাল।ওয়ার্ডে শাহাদাত বাদেও আরো অনেকে ছিল।ডাক্তার হাফিজ ঘর্মাক্ত শরীরে কেবিন থেকে বেরিয়ে এলেন।আরহাম কে দেখতেই করমর্দন করলেন।আরহাম জানতে চাইল শাহাদাতের অবস্থা কেমন।জনাব হাফিজ কিছুটা মলিন মুখে বললেন খুব একটা ভালো না।প্রচুর র’ক্তক্ষ’রণ হচ্ছে।

‘মা বাবা আসেনি এখনো?’

‘মা বাবা নেই তার।’
ডাক্তার হাফিজ চোখ দিয়ে নবনীতার দিকে ইশারা করে বললেন,’এই মেয়েটাই তাকে নিয়ে এসেছে।’

আরহাম কোনো উত্তর না দিয়ে কেবল মাথা নেড়ে এগিয়ে যায় তার দিকে।কোমল গলায় বলে,’এটা কে নবনী?’

নবনীতা উদাস মুখে জবাব দেয়,’বিভা।শাহাদাতের বোন।’

আরহাম ছোট করে কেবল বলল,’ওহহ আচ্ছা।’
কথা শেষ করেই সে চটপট কিছুক্ষণ নবনীতাকে দেখে নেয়।কি স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে তাকে! তার কোলের বাচ্চাটি তার কেউ না,অথচ সে এমন করে তাকে বুকে চেপে রেখেছে যেন এটা তার সন্তান।আরহামের ইচ্ছে হচ্ছে তাকে শক্ত করে জাপটে ধরে বলতে,’তুমি এতো ভালো কেন পরী?তুমি কি সত্যিই কোনো পরী?’

অথচ সে তেমন কিছুই বলল না।কেবল গম্ভীর স্বরে বলল,’চিন্তা করো না তুমি।আমি শাহাদাতের চিকিৎসা করাবো।আমি সমস্ত খরচ বহন করব।এখানে না,প্রয়োজনে স্কয়ার কিংবা বার্ডেমে ট্রান্সফার করব।’

নবনীতা চোখ তুলে।একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঠান্ডা গলায় বলে,’জ্বী করতে পারেন।এতে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়বে।’

আরহাম থমথমে মুখে শুধু তাকে দেখে।হাসপাতাল মন ভরে ঝগড়া করার জন্য উপযুক্ত না।তাই সে আর কথা বাড়ায় না।সমস্যা কি?ঝগড়া করার জন্য তো পুরো জীবনই পড়ে আছে।পরে না হয় কোনো একদিন তাকে বলা যাবে,’শুনো নবনীতা।তুমি যে সবসময় সবকিছুতে ভাবো আমি শুধু রাজনৈতিক স্বার্থে সবকিছু করি,এটা একদমই ঠিক না।আমি মাঝে মাঝে মন থেকেও মানুষের জন্য করি।এই যে বিগত কিছুদিন ধরে আমি তোমার বিরহে বদ্ধ উ’ন্মাদ হয়ে যাচ্ছি,এটাতে কি কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ আছে বলো?পরীকে না দেখলে যে আমার বুকে ঝ’ড় উঠে সেটার পেছনে কি কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ আছে বলো তো?’

সে অবশ্য সবটাই মনের ভেতর চেপে গেল।কেবল বিভার দিকে হাত বাড়িয়ে বলল,’দেখি আমাকে একটু দাও তো।’

নবনীতা চুপচাপ উঠে দাঁড়ায়।হাত বাড়িয়ে বিভাকে আরহামের কাছে দেয়।আরহামের বাম হাতটা হঠাৎ ছুটে যাওয়ার নবনীতা দ্রুত তার হাতটা বিভার পিঠের সাথে চেপে ধরল।আরহামের শক্ত খড়খড়ে হাতটি স্থান পেল নবনীতার রুগ্ন আর কোমল হাতের নিচে।ঘটনার আকস্মিকতায় দু’জনই চমকে উঠে দু’জনের দিকে তাকায়।দু’জনের দৃষ্টি বিনিময় হতেই নবনীতা চোখ সরিয়ে নেয়।কিন্তু আরহাম সাথে সাথেই চোখ সরায় না।সে আরেকটু মন ভরে দেখে,দেখতেই থাকে।সে অনুভব করতে পারছে কোনো এক গভীর মহাসমুদ্রে সে রোজ একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছে।সে হেরে গেছে।তার পক্ষে আর এই মোহ থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব না।কিছুতেই সম্ভব না।

ওয়াজিদ তাদের দেখতেই দুই কদম পিছিয়ে গেল।বাস্তব কিংবা কল্পনা,সবকিছু থেকেই পিছিয়ে গেল।তার হাত কাঁপছে।গলার কাছে কিছু একটা এসে কাঁ’টার মতো বিঁ’ধেছে।সে ঢোক গিলে।আরো দু’কদম পিছায়।পেছাতেই থাকে।

চলবে-

[কোনো রিচেক নাই।অনেক টাইপিং মিস্টেক হয়েছে]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে