কোনো এক শ্রাবণে পর্ব-১০

0
123

#কোনো_এক_শ্রাবণে
লেখনীতে #মেহরিমা_আফরিন

(১০)

একটা A4 সাইজের কাগজ।কতোই বা মূল্যবান হতে পারে সেই কাগজটা?কিন্তু আরহামের কাছে এই কাগজটার মূল্য কোটি টাকার চেয়েও বেশি।অবশেষে,,অবশেষে একশো একটা ঝামেলার শেষে আরহাম তার দল থেকে আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছে।

মনোনয়ন পত্র হাতে পাওয়ার পর সে কয়েক মিনিট কোনো প্রতিক্রিয়া পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারছিল না।মনোনয়ন পাওয়া নির্বাচনের একটা অংশ মাত্র।এরপরই শুরু হয় মূল লড়াই।তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই নিয়মে কিছু ব্যতিক্রম আছে।এখানে সরকার দল থেকে যেই প্রার্থী মনোনয়ন পায়,তার অর্ধেক নির্বাচন সেখানেই জেতা হয়ে যায়।আরহাম সরকার দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছে।সবকিছু ঠিক থাকলে মোটামুটি নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় আসন্ন নির্বাচনে এই আসন থেকে শেখ শাহরিয়ার আরহামই বিজয়ী হবে।

নমিনেশন লেটারটা হাতে পাওয়া মাত্রই আরহাম খুশিতে চেঁচিয়ে উঠল,’ইয়েস! ইয়েস! ইয়েস!’
তারপর দীর্ঘসময় সে সেটাকে হাতে নিয়ে বসে রইল।চারদিক থেকে কতো জনের কতো রকম ফোনকল আসছিল।সে কোনোটাই রিসিভ করল না।

প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে তার ছেলেরা ভিড় জমিয়েছিল।মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত হতেই তারা এক প্রকার আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠল।লম্বা সময় স্লোগান চলল।সচিবালয়ের সামনে অগণিত মানুষ আর গাড়ির ভিড়ে চারদিক কেমন গিজগিজ করছিল।আরহাম কয়েক বার হাত তুলে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করল।অথচ মনে মনে সে চাইছে এরা যেন গলা ছেড়ে চিৎকার করে।সেই চিৎকারে যেন ফাহাদ আর তার দলের লোকদের কানের পর্দা ফেটে যায়।

ফাহাদ আর তার লোকজন দাঁড়িয়েছিল প্রশাসনিক ভবনের উত্তর দিকে,আরহামের লোকজনের চেয়ে বেশ কিছুটা দূরে।তাদের উল্লাস,উচ্ছ্বাস সবকিছুই ফাহাদের কান পর্যন্ত আসছিল।ফাহাদ দাঁতে দাঁত চেপে সবটা সহ্য করে নিল।এতো চেষ্টা,এতো কৌশল অবলম্বন করার পরেও মনোনয়ন পেয়েছে ঐ আরহাম।অথচ দলের জন্য ফাহাদ কি না করেছে?আরহামেরও বহু আগে সে রাজনীতিতে জড়িয়েছে।রাজনীতির চক্করে তাকে জেলের ভাতও খেতে হয়েছে।দলের জন্য তার অবদান কি ঐ দুইদিনের ছেলে শাহরিয়ার আরহাম থেকে বেশি না?আরহামের যোগ্যতা কি?তার বাবা খুব বড় রাজনীতিবিদ ছিলেন,মানুষ তাকে খুব পছন্দ করত।এই ঠুনকো কারণে আরহাম নমিনেশন পেয়ে গেল?বাবা ভালো রাজনীতিবিদ।এর মানে কি ছেলেও ভালো রাজনীতিবিদ হবে?ফাহাদ কি প্রতিদান পেল?সে তো কেবল দলের জন্য করেই গেল।

ফাহাদ শীতল চক্ষু মেলে সবটা দেখল।এই উচ্ছ্বাস,এই আনন্দ।সবকিছু।শরীরের ভেতরটা পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে।আরহামের সাথে তার চোখাচোখি হতেই আরহাম কুটিল হাসল।হাত তুলে সালাম দিল।তার চোখে মুখে রাজ্য জয়ের হাসি।

ফাহাদ চোখ সরিয়ে নিল।ঐ ছেলেকে দেখলেই তার মাথায় খুন চেপে যায়।অস্থির লাগে।নিজেকে কলুর বলদ বলে মনে হয়।ফাহাদ আর এক মুহুর্তও দাঁড়াল না।পার্কিং এরিয়া তে তার গাড়ি রাখা ছিল।সে দ্রুত গাড়িতে উঠে সেখান থেকে কেটে পড়ল।তার গন্তব্য তার বাসভবন।

সে চলে যেতেই আরহামের দলের ছেলেরা সমস্বরে চেঁচিয়ে ওঠল।তোফায়েল দাঁত কেলিয়ে বলল,’শালা লজ্জায় পালাইছে।’

আরহাম সানগ্লাসটা একবার খুলে পুনরায় সেটা চোখের উপর চাপিয়ে সামনে হাঁটতে হাঁটতে বলল,’অনেক হয়েছে।এবার চল।হাতে তেমন সময় নেই।কাজে লেগে পড়তে হবে।’
.
.
.
.
রাগ উঠলে জিনিস ভাঙচুর করা কিছু মানুষের জন্মগত স্বভাব।ফাহাদ তাদের একজন।বাড়িতে ফিরতেই সে সবার প্রথমে তাদের ড্রয়িং রুমের খুব দামি টি টেবিলটি এক আছাড় মেরে ভেঙে গুড়িয়ে দিল।কাঁচ ভাঙার বিকট শব্দে পুরো ঘর ঝনঝন করে উঠল।

আমেনা খাতুন আওয়াজ পেয়েই এক প্রকার ছুটে এলেন।আঁতকে উঠে বললেন,’কি হয়েছে ফাহাদ?এমন করছিস কেন?’

ফাহাদ টি-টেবিল ভেঙেই ক্ষান্ত হয়নি।সে তারপর খুব সুন্দর দেখতে কয়েকটা ফুলদানি ভাঙল।শো কেসে অসংখ্য কাঁচের জিনিস,মার্বেল পাথরের শো পিস সহ আরো অনেক জিনিস তাকে তাকে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল।ফাহাদ সেগুলোর অর্ধেকের বেশি ভাঙলো।আমেনা খাতুন সাবধানে পা ফেলে তার কাছে এগিয়ে এসে শক্ত করে তার হাত ধরে বললেন,’এসব কি ফাহাদ?এভাবে জিনিস ভাঙছিস কেনো?’

ফাহাদ থামল।মায়ের উৎকন্ঠা মেশানো মুখটা দেখে সে তার হাতে থাকা মার্বেল পাথরের শো পিস টি না ভেঙে সোফার উপর ছুড়ে মেরে হনহনিয়ে নিজের ঘরে চলে গেল।

তাসলিমা ভাঙচুরের আওয়াজ পেয়ে এলোমেলো পা ফেলে ড্রয়িং রুমের দরজা পর্যন্ত এসেছিলেন।ফাহাদের এসব ভাঙচুর নতুন না।তবে আজ তাকে বেশ ক্ষিপ্ত দেখাচ্ছে।আমেনা খাতুন তাকে দেখামাত্রই আদেশের সুরে বললেন,’তাসলিমা ঝাড়ু এনে দ্রুত রুমটা পরিষ্কার করো তো।’

তাসলিমা মাথা নিচু করে মিনমিন করে জবাব দিলেন,’জ্বী আপা করছি।’

আমেনা খাতুন ছেলের দুশ্চিন্তায় মরিয়া হয়ে ড্রয়িং রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।তাসলিমা শাড়ির আঁচলটা কোমরে গুজে কাজে লেগে পড়লেন।দোতালা থেকে নোমান সাহেবের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।তিনি গলা উঁচিয়ে ডাকছেন,’তাসলিমা! এ্যাই তাসলিমা।তোমাকে না বলেছিলাম আমার পাঞ্জাবিটা ইস্ত্রি করে রাখতে?কোথায় আমার পাঞ্জাবি?’

তাসলিমা ফ্লোরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাঁচগুলো দেখতে দেখতেই দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,’একটু অপেক্ষা করুন।আমি আসছি।’

ফাহাদদের যৌথ পরিবার।কাজের কোনো শেষ নেই।বাড়িতে কাজ করার জন্য পরিচারিকা থাকলেও সব কাজ তাদের হাতে করানো হয় না।বাড়ির অধিকাংশ কাজ করতে হয় তাসলিমাকে।তাসলিমার অবস্থান এই বাড়িতে ঠিক ধুলো মাখানো ফার্নিচারের মতো।যাকে ভালোবাসা তো হয়ই না,উল্টো যেই ন্যুনতম যত্ন করার প্রয়োজন সেই টুকুও করা হয় না।তাসলিমা হাসলেন।সেই হাসির আড়ালে অসংখ্য গল্প লুকিয়ে আছে।অনেকগুলো দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে আছে।তাসলিমা জানে তার সাথে কোনো অন্যায় হচ্ছে না বরং প্রকৃতি তার কাছে একটু একটু করে সব ফিরিয়ে দিচ্ছে।

পুরো ঘর পরিষ্কার করে তাসলিমা গেলেন তার আর নোমান সাহেবের শোয়ার ঘরে।আলমারিতে পাঞ্জাবি রাখা আছে।তিনি পটু গৃহিণীর মতো নিঃশব্দে একে একে সবগুলো কাজ করলেন।পাঞ্জাবি আর পায়জামা ইস্ত্রি করার পর আলমারির ভেতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাপড় গুলো ভাজ করলেন।

নোমান সাহেব বিরক্ত মুখ করে বললেন,’এতোক্ষণে তোমার ইস্ত্রি করার কথা মনে পড়েছে?সারাদিন কি করো তুমি?’

তাসলিমা জবাব না গিয়ে কাজে মন দিলেন।সে সারাদিন কি করে এটা বাড়ির কারো অজানা না।বাড়ির ছোট বড় সব কাজই তাসলিমা তার হাতে সামলান।তাসলিমার মাঝে মাঝে মনে হয় এই কাজ গুলো তার প্রাপ্য।এই অবহেলা,ভৎসনা,বাজে ব্যবহার কিংবা তুচ্ছতাচ্ছিল্য-পুরোটাই তার প্রাপ্য।তাসলিমা তো কর্মফল ভোগ করছে।কথায় আছে,পাপ বাপকেও ছাড়ে না।তাহলে সেটা তাসলিমাকে ছাড়বে কেনো?

বিকেল হতেই নাস্তার টেবিলে নোমান সাহেব,তার ভাই খালেদ সাহেব আর ফাহাদকে পাওয়া গেল।বাকিরা কেউ বাড়ি নেই।খালেদ সাহেব তার ছেলের আজকের আচরণে খানিকটা বিরক্ত।তিনি কিছুটা শাসনের সুরেই ছেলেকে বললেন,’এসব বাচ্চামো কেন করছ ফাহাদ?তুমি তো এতোটাও অবুঝ নও।অল্প বিষয়েই ভাঙচুর করার অভ্যাসটা বাদ দাও।যা হয়েছে তা মেনে নাও।’

‘মেনে নেব?যা হয়েছে সেটা মেনে নেব বাবা?’ চেঁচিয়ে উঠে ফাহাদ।
‘আমি এই দলের জন্য কি না করেছি?পরিশ্রম করে করে এই জায়গা পর্যন্ত আসতে হয়েছে।যখন এই সরকার ক্ষমতায় ছিল না,তখন আমাকে জেলেও যেতে হয়েছে।চৌদ্দ শিকের ভাত খেয়ে আজ আমি এখানে এসেছে।রাজনীতির জন্য কতোটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমার জানো?আর নমিনেশন পেয়ে গেল ঐ আরহাম?কি যোগ্যতা আছে তার?কি স্যাক্রিফাইস করেছে সে তার দলের জন্য?কিছুই তো না।কেবল বাবার রাজনৈতিক ট্যাগ গায়ে মাখিয়ে দিব্যি নমিনেশন নিয়ে নিল।রাস্তা অবরোধের বিষয়টি নিয়ে কয়জন তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে?তার উপর ঐ মেয়েটিও নিজের কথা ফিরিয়ে নিয়েছে।সবকিছু তো ঐ আরহামের মন মতোই হচ্ছে।আমি কিভাবে শান্ত আর নির্লিপ্ত থাকবো কেউ বলতে পারো?’

তাসলিমা কেতলি থেকে সবার কাপে চা ঢেলে দিচ্ছিলেন।ফাহাদের কথা শুনতেই আচমকা তার হাত থেকে কেতলিটা সামান্য অবস্থানচ্যুত হলো।ফলস্বরূপ কিছুটা চা ছিঁটকে এদিক সেদিক গিয়ে পড়ল।নোমান সাহেব বিরক্ত হয়ে কর্কশ গলায় বললেন,’সমস্যা কি তোমার?দেখো না নাকি?এভাবে এদিক সেদিক চা ফেলছ কেন?’

তাসলিমা দ্রুত টিস্যু দিয়ে টেবিলের উপর পড়ে থাকা তরল টুকু মুছে নিলেন।সামনে থাকা কাপে ঠিকমতো চা ঢালতেই নিঃশব্দে সরে এলেন।ফাহাদ একটু আগে কার নাম বলল?আরহাম?আরহামের কথাই কি বলছিল সে?তাসলিমার ভেতরটা ছ্যাঁৎ করে ওঠে।চোখ দু’টো মনের অজান্তেই আর্দ্র হয়।

তিনি ধীর গতিত এগিয়ে লিভিং রুমে আসেন।দরজা চাপিয়ে দেন অতি সন্তর্পণে।তার হৃদপিণ্ড চলছে স্বাভাবিকের চেয়েও ভীষণ দ্রুত গতিতে।তাসলিমা নিজেকে শান্ত করতে গিয়ে আবিষ্কার করল তিনি সময়ের সাথ সাথে ভীষণ রকমের অস্থির হয়ে যাচ্ছেন।

আর কিছু না ভেবে তিনি টেবিলের উপর পড়ে থাকা রিমোট চেপে টেলিভিশন চালু করলেন।দেশীয় সংবাদ মাধ্যম গুলোতে নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে,কোথাও আবার টক শো চলছে মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে।কোথাও আবার মনোয়ন পাওয়ার পর তাদের প্রতিক্রিয়া কিংবা অনুভূতি ব্যক্ত করার ভিডিও ক্লিপ প্রচার করা হচ্ছে।

তাসলিমা প্রচন্ড উৎকন্ঠা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।একটি চ্যানেলে সরকার দল থেকে মনোনীত প্রার্থীদের নাম আর মনোনয়ন পাওয়ার পর তাদের প্রতিক্রিয়ার পর্যায়ক্রমিক ভিডিও দেখানো হচ্ছে।প্রতিটি আসন থেকে মনোনীত প্রার্থীরা কয়েক বাক্যে সামান্য কিছু বলেই যার যার গাড়িতে চেপে প্রশাসনিক ভবন ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

তাসলিমা অপেক্ষা করছেন একটি মুখ দেখার।তার সেই কাঙ্ক্ষিত মুখটি কখন আসবে?একটার পর একটা প্রার্থীর মুখ স্ক্রিনের সামনে ভেসে উঠে আর তাসলিমার নিশ্বাসের গতি বাড়ে।মনে হয় একটু পরেই তার দম বন্ধ হয়ে আসবে।

অবশেষে তাসলিমার অপেক্ষার পালা শেষ হলো।৪২ ইঞ্চি টেলিভিশনের বিরাট পর্দায় ভেসে উঠল একটি হাস্যোজ্জ্বল মুখ।বাকি সদস্যদের চেয়ে সে আলাদা,বয়সে তাদের চেয়ে বেশ খানিকটা ছোট।কতই বা হবে বয়স?একত্রিশ কিংবা বত্রিশ।সে মহানগর-০৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী।তার নাম শেখ শাহরিয়ার আরহাম।

তামলিমা শাড়ির আঁচলটা মুখে চেপে ধরে পিছিয়ে গেলেন দুই কদম।টেলিভিশনের পর্দায় দেখানো ছেলেটার মুখটা এতো স্নিগ্ধ কেন?সাংবাদিক তার হাতের মাইক যুবকের দিকে বাড়িয়ে দেয়,জানতে চায় তার প্রতিক্রিয়া।যুবকটি হাসে।স্নিগ্ধ হাসি ধরে রেখেই জবাব দেয়,’মনোনীত হয়েছি।বিজয়ী হইনি এখনো।বাবার আদর্শে দেশ গড়তে চাই।ইনশাআল্লাহ দেখা হবে বিজয়ে।”

তাসলিমা এক দৌঁড়ে ছুটে গেলেন টেলিভিশনের সামনে।হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিলেন পর্দায় ফুটে উঠা সেই সুপুরুষ মুখখানা।কতো বড় হয়ে গেছে আরহাম! তীব্র অভিমানে মুখ ফুলিয়ে নেওয়া,দিনভর মায়ের ন্যাওটা হয়ে ঘুরে বেড়ানো ছেলেটার কথা তাসলিমা কেমন করে ভুলবে?ঐটুকু বাচ্চা ছেলেটা নাকি নির্বাচন করবে।আবার নাকি প্রথম চেষ্টায় মনোনয়নও পেয়ে গেছে।

তাসলিমার চোখ একটু পর পর ভিজে যাচ্ছে।মুখে শাড়ির আঁচল গুজে কান্না থামানোর ব্যর্থ প্রয়াসে তিনি ব্যস্ত।এই যুবকটিকে তিনি একবারের জন্য ছুঁয়ে দেখতে চান,জড়িয়ে ধরতে চান শক্ত করে।যুবকটি কি তার সেই আর্তনাদ বুঝতে পারবে,শুনবে কি তাসলিমার বিভৎস জীবনের গল্প?

আচমকা ফুপিয়ে উঠলেন তাসলিমা।ধপ করে বসে পড়লেন মেঝেতে।ফোঁপাতে ফোঁপাতে বললেন,’আরহাম! আমার আরহাম! খুব বড় হও বাবা।জয়ী হও।দূর থেকে জানবে কেউ একজন তোমার জন্য এক আকাশ ভালোবাসা পাঠিয়েছে।তুমি বড্ড অভিমানী! কিন্তু তা সত্ত্বেও মা তোমায় ভালোবাসি!’

চলবে-

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে