কোনো এক শ্রাবণে পর্ব-০৮

0
18

#কোনো_এক_শ্রাবণে
লেখনীতে #মেহরিমা_আফরিন

(৮)

লুবনা পণ করেছে সে নবনীতাকে দুই দন্ডও শান্তি দিবে না।তাকে পড়াতে শুরু করার পর থেকে আজ পর্যন্ত নবনীতা কোনোদিন তার কাছ থেকে হোমওয়ার্ক পায়নি ঠিকঠাক।লুবনার তিনটে হাত।ডান হাত,বাম হাত আর সে সবচেয়ে বেশি যেটা ব্যবহার করে তা হলো অযুহাত।লুবনার কাছে অযুহাতের শেষ নেই।

আজকের দিনে তার অযুহাতটা কিছুটা অদ্ভুত।লুবনা জানাল সে আজ বাড়ির কাজ করতে পারেনি কারণ তাদের পাশের বাড়ির বিড়ালটা কাল কোথাও হারিয়ে গিয়েছিল।

নবনীতা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলল,’কি?পাশের বাড়ির বেড়াল হারিয়ে যাওয়ার সাথে তোমার বাড়ির কাজ না করার কি সম্পর্ক?’

‘সম্পর্ক আছে মিস।স্বর্ণাদের বাড়ির বেড়ালটা প্রায়ই আমাদের বাড়ি আসতো।খুবই মিষ্টি একটা বিড়াল।সে হারিয়ে যাওয়ার পর থেকেই স্বর্ণার মন খুব খারাপ।আমি তাকে স্বান্তনা দিতে তার বাড়ি গিয়েছিলাম।যেহেতু আমি বাড়িতেই ছিলাম না,সেহেতু আমার আর বাড়ির কাজও করা হয়নি আপু।’ দু’হাত নেড়ে নেড়ে উত্তর দিল লুবনা।

নবনীতা চোখ গরম করে আপাদমস্তক লুবনাকে দেখল।তার মুখ থমথমে।দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরেছে শক্ত করে।চোখের পাতা ফরফর করে লাফাচ্ছে।অনেকক্ষণ চেষ্টার পর ব্যর্থ হয়ে নবনীতা শেষমেশ ফিক করে হেসে দিলো।হাত বাড়িয়ে লুবনার মাথায় একটা গাট্টা মেরে বলল,’খুবই নিম্নমানের অযুহাত লুবনা।জোর করেও বিশ্বাস করা যায় না।’

লুবনা নিজেও হেসে ফেলল।দাঁত কেলিয়ে বলল,আজ সময় পাইনি আপু।তাই এক্সকিউজ ভালো হয়নি।”

লুবনা কে পড়ানো শেষ করে নবনী কুরিয়ার অফিসে গিয়ে তার যাবতীয় কাজগুলো সেরে নিল।মাগরিবের সামান্য কিছু সময় আগে সব ঝামেলা মিটিয়ে সে বাড়ির পথ ধরল।মালিবাগ আসতেই সাদা রঙের একটি গাড়ি ঠিক তার মুখোমুখি এসে থামল।নবনীতা খুব দ্রুত হাঁটছিল।হঠাৎ সামনে একটা গাড়ি এসে থামায় সে খানিকটা চমকে গিয়ে এক কদম পিছিয়ে গেল।

গাড়ির দরজা খুলে যেই লোকটি বেরিয়ে এলো তাকে নবনী চেনে।তার নাম ফাহাদ।শুভ্রাকে যখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তখন নবনী তার কাছে গিয়েছিল।ভদ্রলোক সেদিন তাকে কোনোভাবেই সাহায্য করেনি।

নবনীতাকে দেখতেই ফাহাদ দাঁত বের করে হাসল।এমনভাবে হাসল যেন নবনীতা তার খুব পরিচিত কেউ।নবনীতা কাটখোট্টা স্বরে প্রশ্ন করল,’কি হয়েছে?কি চাই?’

তৎক্ষনাৎ ফাহাদের মুখের হাসি মিলিয়ে গেল।সেদিন কতো অনুনয় বিনয় করে কথা বলছিল।আজ একদম রুক্ষভাষায় কথা বলছে।ফাহাদ সেসব পাত্তা দিল না।উল্টো আন্তরিক হেসে বলল,’আমি আসলে সেদিন আপনাকে চিনতে পারি নি।আপনি আমায় ভুল বুঝবেন না মিস।’

অত্যন্ত অমায়িক আচরণ।অথচ ফাহাদের সামনে দাঁড়ানো মেয়েটি এতেও নরম হলো না।খ্যাট খ্যাটে স্বরে বলল,’আমায় চিনবেন মানে?আমি কে?আমাকে চেনার কি আছে?পথ ছাড়ুন আমার দেরি হচ্ছে।’

কথা শেষ করেই সে বিরক্ত মুখে তাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে গেল।ফাহাদ তার পিছু পিছু ছুটে দুই হাত ছড়িয়ে তার পথরোধ করে দাঁড়াল।তার আচরণে নবনীতার রক্ত টগবগ করে ফুটছিল।মনে চাইছিল এই মুহুর্তে একটা কষিয়ে চড় দিতে ফাহাদের গালে।কিন্তু সেটা করা সম্ভব না।ফাহাদ নেতা শ্রেণির মানুষ।এদের সাথে কথা বাড়ানোই বোকামি।

নবনীতার নির্লিপ্ততা দেখে ফাহাদ নিজেই বলা শুরু করল,’আসলে আপনি খুবই সাহসী একটা মেয়ে।ঐ লাফাঙ্গা,বেয়াদব আর উচ্ছৃঙ্খল আরহামের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য যেই সাহস প্রয়োজন সেটা আপনার আছে।আমি তো আপনার সেই ভিডিও ক্লিপটা দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম।সত্যিই,আপনার সাহসের কোনো তুলনা নেই।’

নবনীতা কপাল কুঁচকে দাঁড়িয়ে রইল যতক্ষণ না তার কথা শেষ হলো।ফাহাদ কথা শেষ করতেই সে ছোট্ট করে জবাব দিল,’জ্বী ধন্যবাদ।’

সে কোনোরকমে জবাব দিয়েই আবার দু’কদম এগিয়ে গেল।ফাহাদ ছুটে এসে তার পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে বলল,’সেদিন আপনি আমার কাছে এসেছিলেন সাহায্যের জন্য।দুঃখীত,আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারি নি।পরে অবশ্য আপনি আপনার বোনকে খুঁজে পেয়েছিলেন।কিন্তু আমি শুনেছি এসবের পেছনে নাকি শাহরিয়ার আরহামের হাত আছে?’

সহসা পা জোড়া থেমে গেল নবনীতার।ফাহাদ থেকে নিজের দূরত্ব আরো কিছুটা বাড়িয়ে সে শীতল কন্ঠে বলল,’দুঃখীত! আমি সে বিষয়ে কিছু জানি না।’

বলেই সে পুনরায় হাঁটা ধরল,আগের চেয়েও দ্রুত।

ফাহাদ হাল ছাড়ল না।নবনীতার সাথে পা মেলাতে মেলাতে সে খানিকটা আশ্বাস দিয়ে বলল,’আপনি কিছুতেই ভয় পাবেন না নবনীতা।আমি কথা দিচ্ছি।আপনি সম্পূর্ণ সেইফ থাকবেন।কিন্তু আমি আশা করি আপনি অন্যায় মেনে নিবেন না।যদি সত্যিই আরহাম ওমন কিছু করে থাকে,আপনাকে জিম্মি করে কোনো বিবৃতি নিয়ে থাকে তাহলে সেটাও খুলে বলুন।ঐ কপট আর ভুয়া ছেলেটার আসল চেহারা উন্মোচন করে দিন নবনীতা।’

ফাহাদ আরো কিছু বলতে চাইছিল।কিন্তু তার আগেই নবনীতা তাকে থামিয়ে দিলো।কিছুটা বিরক্ত,কিছুটা অস্থির আর কিছুটা চঞ্চল হয়ে সে উত্তর দিলো,’শুনুন জনাব।আমি খুবই সাধারণ একটি মেয়ে,সাধারণ পরিবার থেকেই উঠে এসেছি।এসব রাজনীতির বিষয় আমি বুঝি না।দয়া করে এসবের সাথে আমাকে জড়াবেন না।জনাব আরহামের সাথে আমার কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই।আমি সেদিন যা বলেছি,বিবেকবোধ থেকে বলেছি।আপনি আমাকে এসবে জড়াবেন না প্লিজ।আমি এসবের কিছুই বুঝি না।নির্বাচনে যেই জয়ী হোক,সেটা আমার মাথাব্যথা না।আমি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক মানুষ।আমি কারো ব্যপারেই কিছু বলতে পারব না।আমি এসব প্রেস-মিডিয়ার ঝামেলায় আসতে চাই না।প্লিজ,,এসব বিষয়ে আর কখনো আমাকে ডাকবেন না।ভালো থাকবেন।চললাম আমি।’

ফাহাদ নিরুত্তর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল সবুজ চুড়িদার পরিহিত মেয়েটি একটু একটু করে সামনে এগিয়ে একসময় হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।তার আর কোনো অস্তিত্ব পর্যন্ত পাওয়া গেল না।ফাহাদের ঠোঁটে ক্ষণিকের জন্য সূক্ষ্ম হাসির রেখা ফুটে উঠল।মেয়েটার স্পষ্টভাষী,স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড।কথা বলার সময় তার মধ্যে জড়তা কিংবা ভয় কিছুই কাজ করে না।ফাহাদ মাথা ঝাকালো।বাঁকা হেসে বলল,’ইম্প্রেসিভ।ভেরি ভেরি ইম্প্রেসিভ।’
.
.
.
.
বাড়ি ফিরতেই মিসেস রোকেয়া নবনীতার মুখোমুখি এসে দাঁড়াল।তার চোখ মুখ শক্ত।যেন নবনীতার উপর তার কোনো কিছু নিয়ে ভীষণ রাগ।

‘এসব কি হচ্ছে পরী?’ কর্কশ গলায় প্রশ্ন করলেন রোকেয়া।

নবনীতা স্থির হয়ে জানতে চাইল,’কিসের কথা বলছ মামি?’

‘তুমি জানো না?ইফাজ যে তোমার সাথে আজ দেখা করতে চেয়েছিল,তুমি সেটা জানো না?’

জুতো জোড়া পা থেকে খুলে সেটাকে একপাশে রেখে নবনীতা ডাইনিং টেবিলের চেয়ার টেনে বসল।জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে সেটা মুখে দেওয়ার আগেই রোকেয়া শক্ত করে তার হাত চেপে ধরলেন।ধমক দিয়ে বললেন,’কথা কানে যায় না?বেশি লায়েক হয়েছো তুমি?’

নবনীতা থামল।ভেতরের সকল গ্লানি,সকল চাপা আর্তনাদ কেবল দু’টো দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে প্রকাশ করল।তারপর সরাসরি মিসেস রোকেয়ার চোখে চোখ রেখে বলল,’ইফাজ দেখা করতে চেয়েছিল,আমি চাইনি।’

‘কেন চাওনি?সমস্যা কি তোমার?’

রোকেয়ার বচনভঙ্গি এতোটাই রুঢ় ছিল যে কিছু সময়ের জন্য নবনীতার দম বন্ধ হয়ে আসল।কন্ঠনালির কাছে অনুভূতি গুলো সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিল।তবুও সে দমে গেল না।বরং অত্যন্ত শীতল কন্ঠে জবাব দিল,’আমি এই মুহূর্তেই বিয়ে করতে চাই না মামি।আমি এখন সেসবের জন্য প্রস্তুত না।’

‘কেনো?তুমি কি এখনো কচি খুকি?বিয়ে করতে সমস্যা কি তোমার?ইফাজের মতো একটা ছেলে তোমায় বিয়ে করতে চাইছে।এটা কি তোমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয় না?তোমার কি মনে হয় এমন সম্বন্ধ তুমি অহরহ পাবে?’

নবনীতা ঢকঢক করে পুরোটা পানি খেয়ে শেষ করল।একহাত কপালে রেখে নিরুদ্বেগ হয়ে বলল,’আমি আমার বিয়ে নিয়ে চিন্তিত নই মামি।শুভি আর চিত্র এখনো অনেক ছোট।তাদেরকে ফেলে আমি বিয়ে করতে পারব না।এই কথা আমি আর কয়বার বলব তোমাকে?’

মিসেস রোকেয়া তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন।চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন,’তুমি চিন্তিত হবে কেমন করে?তুমি তো সারাদিন বাইরে ঢ্যাং ঢ্যাং করো।কথা তো সব আমাকে শুনতে হয়।বয়স হয়েছে বিয়ে করবে না এটা কেমন কথা?’

নবনীতা টেবিল ছেড়ে উঠে দাঁড়াল।দৃঢ় কিন্তু স্পষ্ট কন্ঠে বলল,’আমি কথা বাড়াতে চাই না মামি।শুধু বলে রাখি,এই মুহূর্তে আমার পক্ষে বিয়ে করা অসম্ভব।আমি আমার দুই বোনকে অথৈ সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে বিয়ের পিরিতে বসতে পারব না।আমি এতোটা বেঈমান হতে পারব না।প্লিজ মামি।একটু শান্তি দাও।আমি ইফাজকে,এমনকি পৃথিবীর কোনো ছেলেকেই বিয়ে করতে পারব না।তুমি তাকে জানিয়ে দাও দয়া করে।আর পরবর্তীতে কাউকে আমার অনুমতি না নিয়ে আমার নম্বর দিবে না।এটা আমার ভালো লাগে না।’

নবনী হনহন করে তার ঘরে চলে গেল।মিসেস রোকেয়ার উত্তর শোনার কোনো প্রয়োজনীয়তা সে অনুভব করছে না।ঘরে গিয়েই সে হাত পা ছড়িয়ে কতোক্ষণ খাটের উপর পড়ে রইল।মাথার উপর ঘটঘট শব্দ করে ফ্যান ঘুরছে।কি বিদঘুটে শব্দ! কান ধরে যায়।

শুভ্রা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছে।নবনীতা মাথার নিচে হাত রেখে একমনে কতোক্ষণ তাকে দেখল।শুভ্রানী যখন পড়ে তখন নবনীতার মন ভালো হয়ে যায়।শুভ্রানীর ইচ্ছে সে ডাক্তার হবে।নবনীতার স্বপ্ন সে বোনকে ডাক্তার বানাবে।নবনীতা আধ শোয়া অবস্থায় ভাবল,আচ্ছা শুভি যখন স্টেথোস্কোপ গলায় জড়িয়ে তার সামনে এসে দাঁড়াবে,তখন তার কেমন লাগবে?সেদিন সম্ভবত নবনীতা অধিক সুখে পাগল হয়ে যাবে।তারপর একদিন কোনো একটা রাজপুত্র ঘোড়ার পিঠে চড়ে এসে শুভিকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে।শুভির একটা সংসার হবে।নবনীতা ছলছল চোখে শুভির ছোট্ট সংসারটা দেখবে।নবনীতার মন বলে শুভি খুব ভালো বউ হবে,আর চিত্র হবে দুষ্টু বউ।নিজের চিন্তায় নবনীর নিজেরই হাসি পেল।কতোদূর ভেবে ফেলেছে সে!

আচমকা বুকের ব্যাথায় তার এই চিন্তায় ভাটা পড়ল।নবনীতা দাঁত খিঁচে খাটের একপাশে পড়ে রইল,সাদা রঙের বেডশিট টা খাঁমচে ধরল শক্ত করে।ব্যথায়,যন্ত্রনায় তার চোখে আপনাআপনি পানি চলে এসেছে।সেই টলমল চোখে নবনী সম্পূর্ণ অন্যরকম দৃশ্য দেখল।সে দেখল শুভির সংসার হচ্ছে,চিত্র ঘর করছে।অথচ সেই গল্পের কোথাও নবনীতা নেই।চিত্র দেশ বিদেশ ছুটে বেড়াচ্ছে,অথচ তার মস্তিষ্কের কোথাও পরী আপাইয়ের অস্তিত্ব নেই।জীবন এগিয়ে যাবে জীবনের মতো।সেই জীবনে পরী আপাইয়ের কোনো চিহ্ন থাকবে না।

নবনীতা শক্ত করে তার মুখ চেপে ধরল।তার চোখের পানিতে বালিশ ভিজে যাচ্ছে।একটু দূরেই চিত্র খেলছে,ছুটোছুটি করছে।নবনীতার ইচ্ছে করছে এক দৌঁড়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরতে।কিন্তু নবনীতা সেসব কিছুই করল না।সে চুপচাপ খাটের একদিকে শুয়ে রইল।তার অভিমান হচ্ছে শুভ্রা আর চিত্রার উপর,সেটাও সম্পূর্ণ কাল্পনিক কারণে।কিন্তু অভিমান তো মিথ্যে না।নবনীতা ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে পড়ে শুধু কেঁদেই গেল।সে জানে না সে কেনো কাঁদছে,সে জানে না তার কি হয়েছে।সে শুধু জানে সে প্রতিদিন একটু একটু করে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।এই মস্ত বড় পৃথিবীতে একটা মানুষও কি নেই যে কি-না নবনীতার মাথায় হাত বুলিয়ে দিবে?ভরসা দিয়ে বলবে,’কোনো ভয় নেই পরী,আমি আছি।আমি থাকতে তোমার কিসের ভয়?’

নবনীতা চোখ মুছে নিল।পৃথিবীতে সবাই সব পায় না।পৃথিবী সবার জন্য একরকম হয় না।লুবনার জন্য পৃথিবী একরকম,রিমির জন্য একরকম,নবনীতার জন্য আবার আরেক রকম।

পৃথিবী সবার ক্ষেত্রে দাঁড়িপাল্লার মতো সমান সমান হয় না।তবে নবনীতার জন্য পৃথিবীর পরিকল্পনা ছিল বিশাল।নবনীতার গল্প শেষ হয়নি,কেবল মাত্র শুরু হয়েছে।

চলবে-

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে