কুসুমিত কামিনী পর্ব-০৭ এবং শেষ পর্ব

0
1052

#কুসুমিত_কামিনী ( ৭ )
#রেহানা_পুতুল
রবিউল একটা কাজী অফিসের ঠিকানা দিয়ে বলল পুত্রকে,
কাজী সাহেবকে নিয়ে আয়। খালেদ আর উনার বিয়ে হবে এক্ষুনি।

নাহ বলে বজ্রকন্ঠে বাধা দিল জান্নাত।
সবাই দৃষ্টি তাক করে চাইল জান্নাতের দিকে।

বৌমা শান্ত হও বলছি। এমন উম্মাদ হলে হবে।

জান্নাত অনুযোগের দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো শাশুড়ির দিকে।

” কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।
বুঝিবে সে কিসে কি যাতনা বিষে।”

তাই আপনি উপলব্ধি করতে পারছেননা মা। আপনার ননদের হাজব্যান্ড অন্যায় করেছে আমার মায়ের সাথে। আপনার ছেলে অন্যায় করেছে আমার সাথে। আজকেও আমার চুলের মুঠি চেপে ধরছে নিষ্ঠুর দানবের মতন। উনার এটা হাত না লোহার দন্ড। সুতরাং আমিও আর আপনার ছেলের সাথে নাই। টলমল চোখে বলল জান্নাত।

মেহনাজ কিছুই বলতে পারলেন না। কেবলই নিরব ভূমিকা পালন করে গেলেন শান্ত ভঙ্গিতে।

খালেদ মধুলতার দিকে চেয়ে বলল,
তুমি জান্নাতকে বোঝাওনা একটু। আমিতো তোমাকে এখন স্ত্রীর মর্যাদা দিতে চাই। ওকে দিতে চাই পিতৃ পরিচয়।

মধুলতা বসা থেকে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। ঠোঁটের কোণে কটাক্ষ হাসির রেখা টেনে বলল,
কি হবে আমার মেয়েকে বুঝিয়ে সুজিয়ে?

তখন আমার সময় ছিল,পরিবেশ ছিল,বয়স ছিল,মন ছিল, প্রয়োজন ছিল,স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ছিলেন না আপনি।

আজ এসবের কিছুই যে নেই। তাই আপনার ও কোন প্রয়োজন নেই আমাদের মা মেয়ের জীবনে। কেবলই দলা বেঁধে বিষাদের ফেনা সৃষ্টি হবে। যন্ত্রণার বুদবুদ আর দেখতে চাইনা।

তুমি এতকথা কবে থেকে শিখলে মধু? বিষ্পোরিত চোখে বলল খালেদ।

সময়। সময় মানুষকে অনেক কিছুই শিখিয়ে দেয়।

এই কামিনী চল। মধুলতা ও জান্নাত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বেরিয়ে যায় হাসপাতালের কেবিন থেকে ।

মাহতিম রবিউলের দিকে চেয়ে বিড়বিড়িয়ে বলল,বাবা থামাও জান্নাতকে।

রবিউল হাত উঁচিয়ে মাহতিমকে থামালেন। বললেন,

” ক্ষ্যাপানো পাগলকে না ক্ষেপিয়ে তার মত করে যেতে দিতে হয়। সময় হলে সে নিজেই শান্ত হয়ে যায়।”

ওরা চলে যাক৷ যেভাবে থাকতে চায় থাকুক। সময়ের উপর ছেড়ে দাও।

দুইদিন পর খালেদের রিলিজ হয় হাসপাতাল থেকে। সে তার বাসায় চলে যায়। খালি বাসাটাকে নতুন করে সাজায় মধুলতার জন্য। এত সুন্দর মানবিক একটা মেয়ের পিতা হয়েও কি বঞ্চনার দূর্দশাগ্রস্ত জীবন উপহার দিল তাদের মা মেয়েকে। শেইম শেইম! চিন্তা করতেই দমকা বাতাসে গাছপালার মতন ভেঙ্গেচুরে যায় খালেদ।

দুরাশার মাঝেও ক্ষীণ আশার বীজ বুনে খালেদ। অস্থির হয়ে সেই নিষিদ্ধ পল্লীতে যায় মধুলতার খোঁজে৷ কিন্তু সেখানে আর মধুলতা নেই। সর্দারণী বাসন্তীবালা জানাল মিনারার বাসায় উঠতে পারে মধুলতা। তার থেকে মিনারার বাসার ঠিকানা নিল। কিন্তু গিয়ে পুরোদমে হতাশ হলো। সেই বাসা ছেড়ে দিয়েছে কিছুদিন আগেই মিনারা। কারণ মিনারার প্যরালাইজড স্বামী মারা গিয়েছে। জান্নাত তাকে সেভাবে কাছে পায়নি। সে বহুবছর ধরে বিছানাবন্ধী ছিল। আর জান্নাত একটু বড় হয়েই তার আসল পরিচয় জেনে গিয়েছে মিনারার কাছ থেকে। এবং মিনারার স্বামীকে জান্নাত আংকেল বলত সবসময়। কেউই মিনারার নতুন বাসার সন্ধান দিতে পারলনা খালেদকে।

এই ব্যস্ত নগরীতে জীবনের প্রয়োজনে জীবিকার তাগিদে কে কখন কোথায় যায়,কি করে,কেন করে,সেই খবর কেউই রাখেনা।

হতাশ মনে খালেদ ফিরে গেল মাহতিমদের বাসায়। গিয়ে তাদের অনুরোধ করল যেকোন কিছুর বিনিময়ে সে জান্নাতকে ও মধুলতাকে ফিরে পেতে চায়।

জান্নাতকে মাহতিম নিত্য ফোন দেয় মুঠোফোনে। অজস্রবার দেয়। মেসেজ দেয়। বয়েজ রেকর্ড দেয়। কিন্তু জান্নাতের দিক হতে নো রেসপন্স। সামান্যতম সাড়া পায়না। রবিউল ও মেহনাজ পুত্রকে আচ্ছামতে ঝাড়লেন সম্পূর্ণ দোষ দিয়ে। এত নির্মম আচরণ করলে যে কেউই দূরে চলে যাবে।

রবিউল ছেলের দিকে চেয়ে বিজ্ঞের মত করে বললেন,

” আন্দাজ করে কখনো কাউকে ব্লেইম দেওয়া একেবারেই অনুচিত। তুমি তোমার স্থানে দাঁড়িয়ে কল্পনাও করতে পারবেনা সেই মানুষটির জীবনের সত্যতা। ”

মাহতিম মাথা নিচু করে থাকে বাবার সামনে। রবিউল ছেলেকে আদেশ দেয়।
একসপ্তাহের ভিতরে যে করেই হোক বউকে বাসায় দেখতে চাই। কিভাবে ম্যানেজ করবে তাকে সেটা তোমার বিষয়। কারণ সে চলে গিয়েছে একমাত্র তোমার উপরে জেদ করেই।

আব্বু ঠিকই বলছে ভাইয়া।

তুই মাঝখান দিয়ে সাইকেল চালাতে আসবিনা। পন্ডিত কোথাকার।

মাহতিম আজ বিকেলে মিনারার নতুন বাসায় গেল অনেককিছু নিয়ে। দেখল সেখানে জান্নাতের মা মধুলতাও আছে। মিনারা অনেক অসুস্থ। জান্নাত ও মাহতিমের জন্য এক রুম খালি করে দেওয়া হলো।

মাহতিম জান্নাতকে সর‍্যি বলল। তবুই জান্নাত নাছোড়বান্দা। সে কিছুতেই মাহতিমের জীবনে ফেরত যেতে চায়না৷ শুনতে চায়না কারণে অকারণে মিথ্যে অপবাদ।

মাহতিম দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিল। জান্নাত খাটের উপরে বসা ছিল কুন্ডলী পাকিয়ে।

মাহতিম জান্নাতের পা দুটো নিচে নামিয়ে নিল। হাঁটু ভেঙ্গে বসে পড়ল জান্নাতের হাঁটু বরাবর। জান্নাতের দুপায়ের পাতায় বলিষ্ঠ হাতের নরম ছোঁয়া দিতে লাগল। বলল,
জান্নাত এই তোমার পা ধরে মাফ চাচ্ছি। আমি স্বীকার করছি। সমস্ত দোষ ও ভুল আমার। না জেনে আন্দাজে আর কোনদিন ও তোমাকে ভুল বুঝবনা। প্রমিজ। দেখ অনেক শাস্তি হয়েছে। তুমি না #কুসুমিত_কামিনী? কি সুন্দর সুগন্ধীময় প্রষ্ফুটিত একটা ফুলের নামে নাম তোমার। অথচ আচরণে তার বিপরীত।

” পরিস্থিতিতে কোমল ও কঠিন হয়। শীতল ও উষ্ণ হয়। ”

ঠোঁট ফুলিয়ে রুষ্ট কন্ঠে বলল জান্নাত।

হ্যাঁ। কিসের শাস্তি পাচ্ছেন আপনি? আমি কি আপনাকে গালমন্দ করেছি। মেরেছি?

অমন করে বলনা প্লিজ। শুধু গায়ে হাত দিয়ে মারাকেই শাস্তি বলে? বিয়ে করেছি সেই কবেই। অথচ আজো আমি একা একা ঘুমাই সঙ্গী ছাড়া। তোমাকে না নিয়ে আজ বাসায় যাবনা।

আমার মিনারা আম্মু অসুস্থ। তাকে রেখে কোথাও যাবনা আমি।

উনাকেও নিয়ে যাব আমাদের সঙ্গে। তোমার মাও আসুক। প্লিজ তবুও চলনা জান্নাত।

জান্নাত রাজী হয় তার দুই মাকে নিয়ে যেত বলল বলে।

তবে মিনারা রাজী হয়না যেতে অসুস্থ শরীরে।

মাহতিমদের বাসায় খালেদ অপেক্ষারত। সাক্ষীসহ কাজী রেডি। জান্নাতের অনুমতিক্রমে মধুবালা বিয়েতে রাজী হয়। এই বয়সে কিসের সাজ বলে বাড়তি কোন সাজ ও আয়োজন ছাড়াই ধর্মীয় ও আইন মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন হয় খালেদ ও মধুলতার।

রবিউল মধুলতাকে খালেদের হাতে তুলে দিয়ে বলে,
আজ হতে বহুবছর আগে আমার ছোটবোনকে তোমার হাতে তুলে দিলাম। নিয়তি তাকে কেড়ে নিল। উনি আমার বৌমার মা। আমার বোন। আজ আমার এইবোনকে তোমার হাতে তুলে দিলাম। অমর্যাদা করনা।

কখনই হবেনা দুলাইভাই। খালেদ মাহতিমের হাতে জান্নাতের হাত রেখে অনুরোধ করে বললেন,
বাবা আমি জান্নাতের জন্মদাতা পিতা। তোমার স্বশুর। আমার মেয়েটাকে যত্নে রেখ।

সবার আঁখিকোনে অশ্রু জমা হলো। আনন্দঘন পরিবেশটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল।

খালেদ মধুলতাকে নিয়ে চলে গেল তার বাসায়। মাহতিম ও জান্নাতের সুখরজনী কাটল নিবিড় আলিঙ্গনে। উষ্ণতায়।

পরেরদিন জান্নাত মিনারাকে ফোন দিল শরীরের খবর নেওয়ার জন্য। মিনারার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে চলছে ক্রমশ। জান্নাত কাঁদতে কাঁদতে ছুটে গেল। মাকে ফোন দিয়ে জানাল। খালেদ মধুলতাকে নিয়ে আসল। জান্নাত গিয়ে মিনারার মুখে একটু পানি দিল। মিনারা আধভাঙ্গা গলায় অস্পষ্ট করে জান্নাতকে ধরে বলল,
মারে সন্তান হওয়ার সাধ মিটেছে তোকে কোলে পেয়ে। আমার আর কোন দুঃখই রইলনা এই দুনিয়াতে। নিজের মাকে পেয়েও এই অভাগী মাকে ভুলে যাসনি। অসম্মান করিসনি। অনাদর করিসনি। এতেই আমার যত শান্তিরে মা। মায়ের কবরটা তুই গিয়ে দেখিস মাঝে মাঝে। তাহলে আমি কবরে ঘুমিয়ে থেকেও বুঝে নিব আমার জান্নাত মা আমার বুকেই আছে।

মিনারার মাথা নিজের কোলে তুলে নিল জান্নাত। আম্মু তোমার কষ্ট হচ্ছে না? তুমি ভালো হয়ে যাবা। তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পারনা।

মিনারার আপন এক ভাই রয়েছে। সে ডাক্তার নিয়ে এলো খবর পেয়েই। অল্পসময়ের মধ্যেই মিনারা জান্নাতের কোলে শেষ নিঃশ্বাস ফেলল। বিদায় নিল এই মোহমায়ার জগৎ থেকে।

মাহতিমের পরিবারের সবাই এসেছে। তারা মর্মাহত মিনারার মৃত্যুতে। তারচেয়েও বেশি মর্মাহত একজন মিনারাকে হারিয়ে তার পালিত ও আশ্রিত কন্যা জান্নাতের পাঁজরভাঙা আর্তনাদ দেখে। শান্তনার ভাষাই কেউ খুঁজে পাচ্ছেনা। ডুকরে কাঁদছে মধুলতাও। মিনারার সাথে ছিল তার বোন বন্ধুর মতো সম্পর্ক। জান্নাতের এলোমেলো চুলগুলোকে হাতখোঁপা করে দিল তার মা মধুলতা। মেয়েকে ছোট্ট শিশুর মতো বুকে লেপ্টে ধরলেন।

মিনারার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়ে গেল মাহতিম, রবিউলদের সহযোগিতায়। জান্নাত মিনারার শোক না কাটিয়ে উঠতেই,শুনতে পেল তার বাবা খালেদ মারাত্মক অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। দুইমাসব্যাপী নানাভাবে চিকিৎসা করিয়েও খালেদকে বাঁচানো গেলনা। অতিরিক্ত সিগারেট পানে মরণব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে তার পাকস্থলীতে।

জীবনের ক্রান্তিলগ্নে পছন্দের মানুষটাকে কাছে পেয়েও হারালো মধুলতা। তার দুচোখ জুড়ে কেবলই আক্ষেপ। কিন্তু নেই কোন শূন্যতা। আজন্ম যাকে বাস করতে হয়েছে পরিবার,প্রিয়জন ছাড়া। নতুন করে তাকে শূন্যতা আঁকড়ে ধরার কোন পথ নেই। তার বেঁচে থাকার ভালো থাকার অবলম্বন একটাই। তার একমাত্র কন্যা কুসুমিত কামিনী।

জান্নাত শোকে, বেদনায় বিপযস্ত। একদিকে মৃত মা মিনারার জন্য। আরেকদিকে জীবিত মা মধুলতার সঙ্গিহীন একলা জীবনের জন্য। মধুলতাকে জান্নাত তার কাছে সারাজীবনের জন্য নিয়ে আসতে চাইল। কিন্তু মধুলতা নাছোড়বান্দা। মেয়ের জামাইর বাসায় থাকার চেয়ে একা আলাদা থাকা তার জন্য মর্যাদার ও কল্যানের। তাকে দুই রুমের ছোট্ট একটি বাসা নিয়ে দিল রবিউল তাদের বাসার কাছাকাছি।

বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেলেও জান্নাত মানসিল বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারছেনা। এখানে ওখানে ঝিমানো মুরগীর মত পড়ে থাকে। তাই পরিবারের সবার চাওয়ানুযায়ী মাহতিম জান্নাতকে নিয়ে দুইদিনের জন্য ঢাকার অদূরে গাজীপুরের ‘ অঙ্গনা’ রিসোর্টে ঘুরতে গেল। একটু একটু করে জান্নাতের বির্দীণ মুখে হাসির আভাস ফুটে উঠছে৷

নির্জন নিশুতি রাত। গ্রামীন আবহে তৈরি রিসোর্টের বারান্দায় এসে দাঁড়াল মাহতিম ও জান্নাত। কি মায়া মায়া শীতল পরিবেশ। মৃদুমন্দ সমীরণে উড়ছে রুমের বাতায়ন। দোল খাচ্ছে জান্নাতের বুকের উপরে মেলে থাকা সাদাপাথর খচিত পিনপিনে সাদা ওড়নাটি। আকাশ জুড়ে তারাদের লুকোচুরি খেলা। তার মাঝে ক্ষয়ে আসা রূপোলী চাঁদ। মাহতিম জান্নাতের ওড়নাটি নিজের হাতে পেঁচিয়ে নিল। কপালের উপরে উড়ে আসা অবাধ্য চুলগুলোকে কানের পাশে গুঁজে দিয়েই জান্নাতের শুকনো অধরদুটিকে ভিজিয়ে দিল নিমিষেই।

একি! ওড়না দেন বলছি। কি অসভ্যতামি হচ্ছে৷ ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল জান্নাত।

দেখনা ডিস্টার্ব করছে তোমার ওড়না আমাকে। বারবার মুখের উপরে এসে পরছে৷

এদিক দেন আমি সামলে নিচ্ছি।

আমি সামলে নিলাম যে হয়নি কামিনী?

কিই?

হুম বলে মাহতিম পিছন থেকে জান্নাতকে নিবিড়ভাবে কোমর জড়িয়ে ধরল। সেই বন্ধনকে আরো মজবুত করে বলল,
আজ থেকে তুমি আমারও কুসুমিত কামিনী। এই কয়দিনে দেখলাম সত্যিই তোমার নামটা সার্থক। তুমি ফুলের মতই সুরভিত কোমল।

মাহতিম জান্নাতের ঘাড়ে নিজের চিবুক ঠেকিয়ে ধরল। তার খোঁচা খোঁচা দাঁড়ির স্পর্শ পেয়ে জান্নাতের সমস্তটা শিহরিত হয়ে উঠল। দুচোখ বুঁজে এলো তার। মাহতিম গুনগুন করে গাইতে লাগল নিজের পছন্দের একটি গান।

“শীতল ও বাতাসে, দেখেছি তোমায়
মেঘ মিলনে চেয়ে রাগ করোনা।
মন চায় তোমায় আজি রাতেএএএ…

বৃষ্টি তো থেমেছে অনেক আগেই
ভিজেছি আমি একাই। আসতো যদি বিভীষিকা, খুঁজেও পেতেনা আমায়।

ভুলে গিয়েছি মনো শত অভিমান
মন চায় তোমায় কাছে পেতেএএ…

শীতল বাতাসে, দেখেছি তোমায়
মেঘ মিলনে চেয়ে রাগ করোনা..”

জান্নাত মাহতিমের চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিতে দিতে মিটমিটিয়ে হেসে ফেলল।

কুসুমিত কামিনীর আলতো ছোঁয়ায় বীরদর্পে জেগে উঠল মাহতিমের প্রেমিক সত্তা।

এই আমার কামিনী ফুল। একবার বল ভালোবাসি?

ভালোবাসি আমার মধুলতা মাকে। ভালোবাসি মিনারা আম্মুকে। ভালোবাসি মেহনাজ মা,রবিউল বাবা,নুপুর বোনকে। আর ভালোবাসিইই…

আমার সিরিয়াল এত পরেএএ? বলেই মাহতিম ও জান্নাত খলবলিয়ে হেসে উঠল। দুজনের প্রাণবন্ত চিত্তহরন করা সেই হাসির আওয়াজ রাতের নির্জনতায় হাওয়ার পিঠে চড়ে ভেসে গেল দূর দিগন্তে। অসীম সীমানায়।

( সমাপ্তি ) ( নতুন গল্প আসবে।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে