#কালো_মেঘের_আভাস
[ ৮ও শেষ পর্ব]
লেখক – শহীদ উল্লাহ সবুজ
মেঘলা এম্বুল্যান্স এর সামনে গিয়ে দেখে গাড়ির ভিতরে সাদা কাপড় মুড়ানো একটা লাশ। এবার কয়েকজনে মিলে লাশ বের করে নিয়ে আসে। লাশ দেখে মেঘলা বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। এবার লাশটি মেঘলার সামনে নিয়ে আসে। লাশের মুখ থেকে কাপড় সরাতেই মেঘলা চমকে উঠে। মেঘলার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। মেঘলা এবার হেলাল সাহেবের কাছে গিয়ে বলল — বাবা এটা কার লাশ? এই পোড়া লাশ আমাদের বাসায় কেন নিয়ে আসা হলো?
— বউমা এটা অর্ণব।
হেলাল সাহেবের কথা শুনে মেঘলা একটা চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। এবার কয়েকজনে মিলে মেঘলাকে রুমের ভিতরে নিয়ে গেলো। আর অর্ণবের লাশ নিয়ে ভিতরে চলে আসে। অর্ণবের লাশ টা দাফন করার জন্য রেডি করতে থাকে। সাদা কাফনে অর্ণবের লাশ সাজিয়ে রেডি করে রাখে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মেঘলার জ্ঞান ফিরে আসে। মেঘলা উঠে লাশের কাছে ছুটে যেতেই হেলাল সাহেব মেঘলাকে আঁটকে দেয়।
— বাবা এই মৃত লাশ কিছুতেই অর্ণবের হতে পারেনা। আমি বিশ্বাস করিনা।
— আমিও বিশ্বাস করতে চায়নি। কিন্তু অর্ণব যে গাড়িতে ছিল সেই গাড়ির এক্সিডেন্ট হয়। আর গাড়িটা তে আগুন ধরে যায়। আর সব থেকে বড় প্রমাণ হলো অর্ণবের হাতের আংটি।
হেলাল সাহেব এবার অর্ণবের আংটি মেঘলার দিকে এগিয়ে দেয়। মেঘলা আংড়ি হাতে নিয়ে কান্না করতে থাকে। সবার থেকে বিদায় নিয়ে অর্ণবের লাশ নিয়ে চলে গেলো। দাফনের কাজ শেষ করতে।
অর্ণবের মৃত্যুর একমাস পরে হেলাল সাহেব মেঘলার কাছে এসে বলল — মেঘলা তুমি তোমার বাবার বাড়িতে চলে যাও। আর তুমি নতুন করে তোমার জীবন শুরু করো। তোমার তো একটা সুন্দর জীবন এখনও পড়ে আছে।
— বাবা আমি কোথাও যেতে চাইনা। আমি আপনাদের সাথে থেকে আপনার আর মায়ের সেবা করে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই।
— দেখো মা। এতো দিন অর্ণবের ইনকামের উপরে আমাদের সংসার চলত। এখন আমাদের অবস্থা তো তুমি দেখতেই পাচ্ছ। আমাদের খেতেই কষ্ট হচ্ছে। তুমি আমাদের সাথে থেকে নিজের সুন্দর জীবন নষ্ট করে দিয়ো না।
— বাবা আমি আর কিছুদিন পরে একটা চাকরি নেব। তখন আমাদের আর কোনো কষ্ট হবেনা। আর কোনো কষ্টও থাকবেনা।
— না মা। তুমি তোমার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন ভাবো। আমরা কোনো রকমে আমাদের বাকি জীবন কাটিয়ে দেন।
মেঘলা এবার তার শ্বাশুড়ির কাছে যায়। তার ও সেইম কথা। মেঘলা কিছুদিন পরে সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসে।
কারো ডাকে মেঘলা বাস্তবে ফিরে আসে। মেঘলা তাকিয়ে দেখে নীলা দাঁড়িয়ে আছে কনের সাজে। নীলাকে দেখে মেঘলার চোখের পানি পড়তে থাকে।
ঐদিকে অর্ণব দাঁড়িয়ে আছে। অর্ণবের কাছে সব কিছু কেমন যেনো লাগছে। অর্ণবকে বর বেশে সাজাতে আসছে। অর্ণবের কাছে বার বার মনে হচ্ছে এই ভাবে তাকে আরো একবার সাজানো হয়েছে। অর্ণব মাথা থেকে সব জেড়ে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু সে পারছেনা।
এইদিকে নীলা মেঘলাকে বলল — কিরে তুই এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? চল আমার সাথে। নীলা মেঘলার হাত ধরে নিয়ে চলে গেলো। এবার কাজী সাহেব চলে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অর্ণব ও চলে আসে। বিয়ের জন্য সবাই প্রস্তুত হয়ে আছে।
মেঘলা অর্ণবের কাছে গিয়ে বলল — অর্ণব তুমি কীভাবে সব কিছু এতো সহজে ভুলে গেলে? আমাদের কোনো স্মৃতি কী তোমার মনে পড়ছেনা? প্লিজ অর্ণব একটু মনে করার চেষ্টা করো আমাদের বিয়ে হয়েছিল।
অর্ণব মনে করার চেষ্টা করে। কিন্তু সে পারছেনা। অর্ণবের মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেলো।
নীলা এবার মেঘলার কাছে এসে রাগী কণ্ঠে বলল — মেঘলা তুই এসব কি শুরু করলি?
— প্লিজ আমাকে শেষ একটু সুযোগ দে। অর্ণব প্লিজ তুমি মনে করার চেষ্টা করো।
— আমি পারছিনা। আমার মাথা ব্যাথা করছে।
কাজী এবার বিয়ের কাজ শুরু করে। তখনই অর্ণবের মেঘলার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা মনে পড়তে থাকে। অর্ণবের প্রচুর পরিমাণে মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। অর্ণবের চোখের উপরে ভাসতে থাকে মেঘলার সাথে বিয়ে হওয়ার সেই সময়। আর মেঘলার সাথে কাটানো সময়।
কাজী সাহেব এবার অর্ণবকে বলল — অর্ণব বাবা বলো কবুল।
অর্ণব কাজীর কথা শুনিতেও পাচ্ছে না। অর্ণব এবার একটা চিৎকার দিয়ে বলল — আমি আর পারছিনা আমার প্রচুর মাথা ব্যাথা করছে। এই কথা বলে অর্ণব অজ্ঞান হয়ে যায়। এবার অর্ণবের মাথায় পানি ঢেলে অর্ণবের জ্ঞান ফিরিয়ে আনা হলো। অর্ণবের জ্ঞান ফিরে আসতেই অর্ণব নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে দেখে তার শরীরে বিয়ের সাজ। অর্ণব সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে মেঘলা কান্না করছে। অর্ণব এবার মেঘলার কাছে গিয়ে বলল — মেঘলা তুমি কান্না করছ কেন? আর আমি এখানে কীভাবে আসলাম?
অর্ণব এবার পাশে তাকিয়ে দেখে তার বাবা বসে আছে। বাবার কাছে গিয়ে বলল — বাবা আমাকে এভাবে সাজানো কেন হয়েছে?
অর্ণবের সব কিছু মনে পড়তে দেখে নীলার গলা শুকিয়ে আসে।
অর্ণব এবার নীলার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায়।
আর অর্ণবের শরীরে রাগ চলে আসে। অর্ণব তার বাবার কাছে গিয়ে বলল — বাবা এই মেয়েটা এখানে কেন? এই মেয়ে এখানে কী জন্য এসেছে? আর আমাকে কী জন্য বর সাজানো হয়েছে? কি হচ্ছে এখানে এসব? মেঘলা তুমি কিছু বলছ না কেন?
— অর্ণব তোমার সব কিছু মনে পড়ে গিয়েছে?
— মানে? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
— আজ চার বছর পরে আমাকে তুমি চিনতে পারলে।
এবার সব ঘটনা মেঘলা অর্ণবের কাছে বলল। প্রথম থেকে শুরু করে সব কিছুই বলল। কথা গুলো শুনে অর্ণব যেনো আকাশ থেকে পড়লো। রাগে অর্ণবের পুরো শরীর আগুন হয়ে যায়। অর্ণব আর দেরি না করে নীলার কাছে চলে গেলো। নীলার হাত ধরে দাড় করায় নীলাকে।
— তোর জন্য আমার জীবন থেকে চারটি বছর হারিয়ে গিয়েছে। তোকে তো আমি খু*ন করেই ফেলবো।
অর্ণবের এমন ব্যবহার দেখে মেঘলা বেশ অবাক হয়ে গেলো। মেঘলা অর্ণবের কাছে গিয়ে বলল — অর্ণব তুমি এসব কি করছ? নীলাকে ছেড়ে দাও। নীলার সাথে তুমি এমন করছ কেন?
— মেঘলা তুমি জানোনা এই মেয়ের জন্যই আজ এতো কিছু হয়েছে।
— কি বলছ তুমি এসব? মেঘলা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
অর্ণব এবার একটা হাসি দিয়ে বলল — বাহ নীলা এর মধ্যে তুই মেঘলাকেও হাত করে ফেললি? আর বাবা তুমি সব কিছু জেনেও নীলার সাথে আমার বিয়ে দিচ্ছ? তুমি কী বাবা? তোমাকে বাবা ডাকতেও আমার লজ্জা করছে। ছিহ!
হেলাল সাহেব নিশ্চুপ,,,
মেঘলা কোনো কিছুই বুঝতে পারছেনা। কি হচ্ছে এসব? নীলা কি তাহলে অর্ণবের পূর্বের পরিচিত?
— অর্ণব আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা। নীলাকে তুমি আগে থেকেই চেনো নাকি? আর তুমি কেন ওর উপরে এতো রেগে আছো।
— মেঘলা এই মেয়েটার জন্যই আমি এতোদিন ধরে তোমার থেকে দূরে ছিলাম। সেদিন বাসা থেকে বের হওয়ার পরে নীলার সাথে আমার দেখা হয়। নীলা আর আমি একি কোম্পানিতে জব করতাম। ওর জন্য আমি সেই কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দিলাম। নীলা আমার সাথে জরুরি কথা বলবে বলে একটা রেস্ট্রুরেন্টে নিয়ে যায়। তারপর ও আমাকে বিয়ের প্রপোজাল করে। আমি না করে দেয়। তারপর দেখলাম কয়েকজন লোক ভিতরে আসে। হুট করে একজন এসে আমার মাথায় ভাড়ি দেয়। তারপর কী হয়েছে আমার কোনো কিছুই মনে নেই।
অর্ণবের কথা শুনে মেঘলা এবার নীলার কাছে গিয়ে বলল — নীলা অর্ণব যা বলছে তা কি সত্যিই?
— হ্যাঁ সব সত্যি। আমি অর্ণবকে ভালোবাসি। আর আমি অর্ণবকে পাওয়ার জন্য সব কিছু করছি৷
— কেন করলি এমন তুই? আমি তোর কি ক্ষতি করেছি? তোকে তো আমি নিজের আপন বোনের আসনে বসিয়েছি। তাহলে কি তুই সব কিছু করছিস?
— সব কিছুই তো জেনে গেছিস আর লুকানোর কিছু নেই। হ্যাঁ সব কিছুই আমি করছি। সব কিছুই আমার মাস্টার প্ল্যান ছিলো। সেদিন অর্ণবকে মারার পরে আমি আবার অর্ণবকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। অর্ণবের আগের সব স্মৃতি মুছে দেওয়ার জন্য ডাক্তারের সাথে কথা বলে সব ঠিক করে নিলাম। তারপর আমি হেলাল সাহেবকে ফোন দিয়ে নিয়ে আসি। আমি ডাক্তারকে টাকার লোভে দেখালাম। ডাক্তার আমার কথায় অর্ণবের বাবার কাছে মিথ্যা কথা বলে ডাক্তার। ডাক্তার হেলাল সাহেবকে বলে অর্ণবের অপারেশন এর জন্য ২০ লক্ষ্য টাকা লাগবে। আমি জানি হেলাল সাহেব কখনও এতো টাকা দিতে পারবেনা। তখন আমি ওনাকে সাহায্য করার নামে অর্ণবকে বিয়ে করার কথা বলি। উনি প্রথমে রাজি না হলেও অর্ণবের কথা ভেবে রাজি হয়। হাসপাতালে অনেক আগে থেকেই একটা পোড়া লাশ এখানে ছিল। হেলাল সাহেব আমার প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করেন। তারপর তোকে আমি বাড়ি থেকে বের করতে বলি। যেনো অর্ণবকে বাসায় নেওয়া যায়। কয়েকমাস পরে অর্ণবকে বাসায় নিয়ে গেলো। আর আমি অর্ণবের সব খেয়াল রাখতে শুরু করি। অর্ণবকে আমি আমার ভালোবাসার জালে ফেলে দেই৷ আমার আরেকটা উদ্দেশ্য ছিলো মেঘলার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করা। আমি চেয়েছি আমি যেমন কষ্ট পেয়েছি ঠিক তেমন কষ্ট মেঘলাকেও দেবো। তবে সেটা কেউ বুঝতে পারবেনা। আর আমাকেও যেনো কেউ সন্দেহ না করে তাই আমি সবার চোখে ভালো হওয়ার চেষ্টা করছি।
মেঘলার চোখের পানি পড়তে শুরু করে।
— আমি হেলাল সাহেবের থেকে তোর ঠিকানা নিলাম। তারপর আমার নেক্সট প্ল্যান করি তোর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করব। তাই সেদিন এক্সিডেন্ট হওয়ার নাটক করি। আর তুই যে রক্ত আমাকে দিয়েছিস সেই রক্ত আমার কোনো কাজেই আসেনি।
— নীলা তাহলে কি তুই আমাকে কিডন্যাপ করেছিলি সেইদিন?
— হ্যাঁ। আমি যখন শুনলাম তোর কাছে তোদের বিয়ের কাবিন নামা আছে তখনই আমি তোকে কিডন্যাপ করাই। কিন্তু যখন অর্ণব আমাকে তার প্ল্যানের কথা বলে তখন আমি আর কোনো ঝামেলা করতে চায়নি। তোকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দিতে বললাম। তারপর তোকে আমরা হাসপাতালে নেওয়ার সময় তোর কোমরের চাবির গোছা আমি নিয়ে নেই। আর সেদিন রাতে হাসপাতালে আমার লোজ এসেছিলো। ওর কাছে আমি চাবি দিয়ে দিলাম। ও তোর বাসায় গিয়ে কাবিন নামা নিয়ে আসে। আর অর্ণবের বাসার টাও সরিয়ে ফেলতে বলি। কারণ আমি কোনো রিক্স নিতে যাচ্ছিলাম না। সব কিছুই আমি করছি। সব কিছুর মাস্টার প্ল্যান আমি।
নীলা এবার অর্ণবের কাছে গিয়ে বলল — অর্ণব আমি তোমাকে পাওয়ার জন্য সব কিছু করছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।
অর্ণব ঠাস করে নীলার গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিল। নীলা সাথে সাথে গালে হাত দিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে কান্না করতে থাকে।
— আমার ভাবতেও খারাপ লাগছে তুই এতোটা নিচু মনের মানুষ! তুই একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের সংসার নষ্ট করতে ছেয়েছিস। তোর সাথে কথা বলতেই আমার ঘৃণা করছে।
নীলা এবার মেঘলার কাছে গিয়ে বলল — মেঘলা তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস। আমি বুঝতে পারছি জোর করে কোনো কিছু হয়না। ভালোবাসা আসলেই মন থেকে আসে। জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায়না। আমি আমার ভুলের জন্য অনুতপ্ত প্লিজ আমাকে পারলে তুই ক্ষমা করে দিস। আমি তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি।
মেঘলা এবার নিজের চোখের পানি মুছে বলল — যে নিজের ভুল বুঝতে পারে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উত্তম। পাপকে ঘৃণা করা যায় পাপীকে নয়। তোর উপরে আমার আর কোনো রাগ নেই। শুধুই একটা কথা মনে রাখিস তুই শুধুই আমার ফ্রেন্ড চিলি না আমার বোন চিলি। আমি কখনও ভাবতে পারিনি তুই এমন কিছু করবি।
নীলা কান্না করতে করতে বলল — আমি জানি আমি খুব অন্যায় করেছি। আমাকে তুই পারলে ক্ষমা করে দিস।
নীলা এবার অর্ণবের কাছে গিয়েও ক্ষমা চায়। কিন্তু অর্ণব কোনো কথাই বলল না। হেলাল সাহেব এসে মেঘলাকে বলল — বউমা আমাকে পারলে তুমি ক্ষমা করে দিয়। আমি নিরুপায় ছিলাম। আমার কিছুই করার ছিলনা।
— বাবা আপনি আমার কাছে ক্ষমা ছেয়ে আমাকে লজ্জা দিচ্ছেন কেন? আপনার উপরে আমার কোনো রাগ নেই।
হেলাল সাহেব এবার মেঘলা কান্না করে বলতে থাকে — তোমার মতো মেয়ে হয়না। এমন একটা মেয়েকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি। অর্ণব বাবা তুই পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিস।
এবার অর্ণব নীলাকে আর তার বাবাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অর্ণব তার বাসায় চলে গেলো। অর্ণবের সব স্মৃতি ফিরে আসছে শুনে তার আম্মুও অনেক খুশি হয়ে যায়। সবাই এখন খুব হ্যাপি।
দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেলো। রাতের খাবার খেয়ে অর্ণব আর মেঘলা নিজেদের রুমে চলে গেলো।
অর্ণব মেঘলার কাছে গিয়ে বলল — মেঘলা আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিয়।
— তুমি আবার কেন ক্ষমা চাইছো? এখানে তো তোমার কোনো দোষ নেই। আর আমি সব কিছু ভুলে নতুন করে তোমাকে সাথে নিয়ে এই সংসার সাজাতে চাই। ফেলে আসা অতীত আমি আর মনে করতে চাইনা অর্ণব। আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি।
— আমি সত্যিই লাকি যে তোমার মতো একটা মিষ্টি বউ পেয়েছি। আমিও তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি মেঘলা।
এবার দু’জন দু’জনকে জড়িয়ে ধরে। তারপর থেকে শুরু হয় মেঘলা আর অর্ণবের নতুন জীবন। কালো মেঘটা কেটে যায় তাদের জীবন থেকে। দু’জনেই খুব হ্যাপি। এবার আপনারা হ্যাপি তো?
সমাপ্ত।