কাব্যের বিহঙ্গিনী পর্ব-০৯

0
437

#কাব্যের_বিহঙ্গিনী
#পর্ব_৯
#লেখিকা_আজরিনা_জ্যামি

কমিশনার সাহেব বাড়িতে এসেই দেখলো তার ভাই খবর দেখছে। তাকে দেখে তার ভাই আছলাম শাহরিয়ার বললেন,,

“ভাইয়া আজ খবর দেখেছো?’

ভাইয়ের কথায় মাহফুজ শাহরিয়ার হেঁসে বলল,,

‘পুলিশদের কি খবর দেখার সময় আছে? খবর তো বেশিরভাগ তারাই তৈরি করে।”

“মহুয়াপুরের ডাক্তার সম্পর্কিত হাসপাতালের খবর দেখেছো?”

“না দেখিনি তবে আমি পুরোটাই জানি। ও আমাকেই প্রথমে জানিয়েছে এ ব্যাপারে। প্রথমে তো সেই ডাক্তারটা ওকেই ফাঁসিয়ে দিয়েছিল পরে ও ওর বুদ্ধিমত্তায় জোরে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করেছে। তা হোম মিনিস্টার কোথায়??

“নিজের ঘরে তাই তো তোমাকে এখন এসব বলছি নাহলে তো জেনে যেতো মুখর আর সে এক জায়গায়ই আছে।”

মাহফুজ শাহরিয়ার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। আর বললেন,,

“মেয়েটার সাথে বারবার এমন হয় কেন? ওর তকদিরে কি আছে সেটা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কেউ জানে না। ও নিজেও একটু আঁচ করতে পারলেও ও নিজেও জানে না ওর ভেতরে কি চলে আর ও কি চায়।”

বলেই তিনি চলে গেলেন। তার ভাই ও কিছু বললো না। শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।

______________

“কি হয়েছে আমার মিশুমনির?”

মিশু বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে ছিল। কারো আওয়াজে মুখ তুলে তাকে দেখে আবার উপুড় হয়ে শুয়ে রইলো। তা দেখে আরবাজ বলল,,

“পেট নিচে রেখে উপুড় হয়ে শোয়ার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে রাসূল (সঃ) এক ব্যক্তিকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে বললেন” এভাবে শোয়া আল্লাহ তায়লা পছন্দ করেন না ”
(মুসনাদে আহমদ ২/২৮৭-৩০৪)

অন্য এক হাদিসে এসেছে ” উপুড় হয়ে শোয়া হলো জাহান্নামীদের শোয়া”
(ইবনে মাজা-৩৭২৫;
শামায়েলে তিরমিযী হাদিস ২৫৪)

এ কথা শুনে মিশু উঠে বসলো আর বলল,,

‘আমি আর এভাবে শুবো না বাজপাখি। আল্লাহ তায়ালা অপছন্দ করেন এভাবে শোয়া তাহলে আমি শুবো না। এভাবে শুলে আল্লাহ আমাকেও অপছন্দ করবেন তাই না। আমি তো আল্লাহর প্রিয় হতে চাই।”

“হুম! তো কি হয়েছে মিশুর যে বাজপাখি কে দেখেও সে উঠলো না?”

“বন্ধু খুব পচা! বন্ধু একটুও ভালো না বাজপাখি।”

“কেন কেন ভালো না কেন? আর সে পচা কেন?”

“কারন বন্ধু আমায় বকেছে।”

“তুমি কি করেছো যে তোমায় বকেছে?”

“তুমি জানো আমি বন্ধুকে ফোন দিয়েছিলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম সে কেন আমায় ছেড়ে গিয়েছিল? সে বলল প্রয়োজন ছিল তাই গেছিল।আমি আবারও জিজ্ঞেস করলাম কেন গিয়েছিল সে বললো মেয়েটাকে বাঁচাতে গিয়েছিল ‌ আমি আবার ও বললাম বারবার বললাম তারপর সে আমায় বকে দিয়েছে। আমি আর বন্ধুর সাথে কথা বলবো না।”

“তুমি একটা কথা বারবার বললে সে তো রাগ করতেই পারে তাই না। তা তুমি ওকে বারবার এক প্রশ্ন করছিলে কেন? সে তো কয়েকবার উত্তর দিয়েছে তারপরেও কেন জিজ্ঞেস করেছিলে?”

“আমাকে তো ম ক না না সেটা বলা যাবে না সেটা সিক্রেট রাখতে বলেছে।”

“কে সিক্রেট রাখতে বলেছে?”

“বললাম তো বলা যাবে না। বলা গেলে কি সিক্রেট থাকতো নাকি‌।”

“বললেই বলা যাবে তুমি বলো আমায়!”

“না বলবো না। আচ্ছা বন্ধু তো আমার বন্ধু হয় তাহলে বকলো কেন? আমি আর বন্ধুর সাথে কথা বলবো না বন্ধু অনেক পঁচা।”

তখন পেছন থেকে আওয়াজ আসলো,,

“বন্ধুদের মধ্যে সব জায়েজ বন্ধুদের ওপর রাগ , অভিমান, অভিযোগ সব করা যায়। তুমি একই প্রশ্ন বারবার করছিলে দেখে তোমার বন্ধুর রাগ হয়েছিল একটু তাই তোমার ওপর রাগ ঝেড়ে ফেলেছে।

“রাগ কি ঝেড়ে ফেলার জিনিস নাকি পুরোনো বন্ধু নতুন অথিতি?”

মুখর মিশুর কথা শুনে হাসে। মিশু মুখরের দিকে তাকিয়ে বলল,,

“কি হলো বলো?”

“আচ্ছা যখন তোমার রাগ হয় তখন তোমার কি করতে ইচ্ছে হয়?”

“মনে হয় সবকিছু ভেঙে ফেলি।”

“ভেঙ্গে ফেলার পর শান্তি লাগে তাই না।”

“হ্যা শরীরে আর রাগ থাকে না তো।”

“তাহলে এখানে কি হলো তোমার সব রাগ জিনিসগুলোর কাছে গেল তাই না। এটাই হলো রাগ ঝেড়ে ফেলা।”

“ওহ আচ্ছা তাহলে বন্ধু আমার ওপর রাগ করেছিলো?”

“হ্যা করেছিল হয়তো। দেখো আমি যদি বারবার জিজ্ঞেস করি আকাশে চাঁদ কেনো উঠে তাহলে তোমার কেমন লাগবে?”

“আমার তো মনে হয় ভালোই লাগবে। তুমি জিজ্ঞেস করো তো কেমন লাগে দেখি।”

আরবাজ মুখরের দিকে তাকিয়ে হেঁসে উঠলো। আর বলল,,

“জিজ্ঞেস করেন পুরোনো বন্ধু নতুন অথিতি !”

মুখর হেঁসে জিজ্ঞেস করলো প্রথম প্রথম কয়েকবার মিশু ভালোভাবে জবাব দিলেও পরে বিরক্ত লাগলো‌ শেষমেশ বলেই দিল,,

“ধুর আমি আর উত্তর দেবই না। তুমি একই প্রশ্ন বারবার কেন করছো? আমার কিন্তু বিরক্ত লাগছে।”

এ কথাটা শুনেই মুখর এর মুখে বিশ্বজয়ের হাঁসি ফুটলো। তখনি শেখ শাহনাওয়াজ এলেন মিশুর ঘরে।তিনি এসেই বললেন,,

‘মিশু তুমি কি তোমার বন্ধুকে ফোন দিয়েছিলে আমার ফোন থেকে?”

মিশু মাথা নাড়িয়ে বলল,,

“হ্যা দিয়েছিলাম তো। কিন্তু বন্ধু আমায় বকেছে?”

মিশুর কথায় শেখ শাহনাওয়াজ ভ্রু কুঁচকে বলল,,

“তুমি কিভাবে জানলে ওটা তোমার বন্ধুর নাম্বার?

‘ওটা তো আমি জানি না। ওটা তো ম না বলা যাবে না কে দিয়েছিল পরে আমার কোন কাজে সে সাহায্য করবে না।”

“বলো না একটু কে বলেছিল?”

“বলবো না। এখন যদি আবার জিজ্ঞেস করো তাহলে কিন্তু আমি তোমার সাথে কথা বলবো না।”

‘আচ্ছা ঠিক আছে আর জিজ্ঞেস করবো না। এখন বলো বন্ধু তোমায় কেন বকেছে?”

“আমি একটা কথাই বারবার জিজ্ঞেস করছিলাম তাই বকে দিয়েছে।”

“তুমি একটা কথা বারবার কেন জিজ্ঞেস করবে। তুমি জানো তোমার বন্ধুর কতো কাজ থাকে। তুমি একটা কথা বারবার বলছিলে বলে তোমার বন্ধু তোমার ওপর রাগ করেছে তাই বকে দিয়েছে।”

“বন্ধু আমার ওপর রাগ করেছে বাবা? আমি তো বুঝতেই পারিনি। কিন্তু বন্ধু তো বলল আমার রাগ উঠিও না। তারমানে বন্ধু সত্যি সত্যি আমার ওর রাগ করেছে। তুমি বন্ধুকে একটা কল দাও আমি সরি বলবো।”

তখন আরবাজ বলল,,

“তুমি না বন্ধুর সাথে কথা বলবে না।”

“আরে আমি তো বুঝতে পারি নি বন্ধু আমার ওপর রাগ করেছে। আমি শুধু ভাবছি বন্ধু আমায় বকে দিয়েছে। বাবা তুমি ফোন দাও আমি কথা বলবো। বন্ধু যদি এখনো বকা দেয় তবুও আমি কথা বলবো। বন্ধুর সাথে কথা না বললে ভালোই লাগে না।”

‘আজ আর দিতে হবে না মিশু আবার কাল দিও।”

“না আমি এখন দেব!”

শেখ শাহনাওয়াজ মেয়ের কাছে হার মেনে মেহবিনকে ফোন করলো। এদিকে মেহবিন ভাবছিল হয়তো মিশুর সাথে এভাবে রুড হওয়া উচিত হয় নি। হুট করে মেহবিনের ফোনে চেয়ারম্যান সাহেব এর ফোন আসে এবার মেহবিন বিরক্ত না হয়েই ফোন রিসিভ করে সালাম দিল।

‘আসসালামু আলাইকুম!”

‘ওয়ালাইকুমুস সালাম। মিশু আপনার সাথে কথা বলবে?”

“দিন।”

শেখ শাহনাওয়াজ মিশুর কাছে ফোনটা দিল। মিশু ফোন কানে নিয়ে বলল,,

“সরি বন্ধু!”

“সরি কেন?”

“তুমি আমার ওপর রাগ করেছো তাই।”

‘আমি রাগ করি নি বরং আমি সরি তখন তোমার ওপর রুড হয়েছিলাম।”

“আরে না না আমিই তোমাকে বিরক্ত করছিলাম।সরি!”

“সরি বলতে হবে না।”

“তুমি কেমন আছো বন্ধু?”

হুট করে এমন প্রশ্নে মেহবিন হকচকিয়ে উঠলো। কারন এই প্রশ্নের উত্তর সবসময় তার জন্য কঠিন হয়ে পরে। মেহবিন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,,

“আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি কেমন আছো?

“আমিও ভালো আছি। তুমি জানো আমার না তোমাকে না দেখলে আমার ভালো লাগে না। তাই তো তোমায় ফোন দিয়েছিলাম।”

“আমি যখন থাকবো না তখন কি করবে তুমি?”

মেহবিনের এমন প্রশ্নে মিশু থমকে গেল। কিছু একটা মনে পরলো ওর ও উত্তেজিত হয়ে বলল,,

“না না তুমি আমার সাথে থাকবে তুমি কোথাও যাবে না। তুমি আমার সাথেই থাকবে সবার মতো হাড়িয়ে যাবে না।

মিশু কথায় মেহবিন ঠিকই বুঝলো মিশু উত্তেজিত হয়ে গেছে। তাই বলল,,

“রিল্যাক্স আমি এখন কোথাও যাচ্ছি না। তুমি খেয়েছো রাতে?”

‘না খাইনি। তুমি খেয়েছো?

“না খাবো !”

“তুমি কি করছিলে?”

“আমি তো শুয়ে ছিলাম তারপর বাজপাখি এলো তারপর পুরোনো বন্ধু নতুন অথিতি এলো তারপর বাবা এলো তারপর আমি তোমার সাথে কথা বলছি এখন।”

মিশুর এরকম কথায় মেহবিন হাসলো। কিন্তু একটা প্রশ্ন ওর মনে উকি দিল। তাই ও বলল,,

“পুরোনো বন্ধু নতুন অথিতি কে?”

“কি জানি এই পুরোনো বন্ধু নতুন অথিতি তোমার নাম কি?”

মুখর হেঁসে বলল,,

“মুখর শাহরিয়ার!”

“তার নাম মুখর শাহরিয়ার।”

“ওহ আচ্ছা। তাহলে আমি এখন ফোন রাখি।”

“তুমি আমার সাথে দেখা করবে কবে?’

“সামনে শুক্রবার।”

“আচ্ছা আমি কিন্তু তোমায় রোজ ফোন দেব। কারন তোমার সাথে কথা না বললে আমার ভালো লাগে না।”

“আচ্ছা ঠিক আছে। রাখছি আল্লাহ হাফেজ।’

“আল্লাহ হাফেজ।”

মেহবিন ফোন কেটে দিল। মিশু তো সেই খুশি। সে ফোন রেখেই একগাল হেসে বলল,,

“বন্ধু আমার সাথে রাগ করে নেই বাবা। সে শুক্রবার আমার সাথে দেখা করবে। আর রোজ আমার সাথে কথাও বলবে।”

মিশুর হাঁসি দেখে সবাই খুশি হলো। তারপর এক এক করে বেরিয়ে গেল মিশুর ঘর থেকে।

_______________

“মিস্টার মুখর শাহরিয়ার আপনার জয়েন কবে থেকে? বলেছিলাম আপনাকে আজ থেকেই জয়েন হতে। আপনার জন্য মেহবিনের কতটা সমস্যায় পরতে হয়েছে জানেন? আপনি যদি আজকে থেকে জয়েন হতেন তাহলে মেহবিনের জন্য সুবিধা হতো।”

“এখানে কি বলা উচিত জানা নেই স্যার। তবে একদিন বেশি ছুটি কাটানোর জন্য দুঃখিত।”

“যার জন্য আপনাকে ওখানে পাঠিয়েছিলাম তার প্রথম ধাপে মেহবিন আপনাকে পৌঁছে দিয়েছে।আশা করি এর পর আপনাকে কি করতে হবে? সেটা ভালো মতোই জানেন।”

“জি স্যার। আমি ওর থেকে সব কালেক্ট করে নেব।”

‘গাধা তোর জন্য ওর কতোটা সমস্যা ভোগাতে হয়েছে তুই জানিস। ও যদি আমায় মেসেজ করে সব না জানতো তাহলে ওকে পুলিশে ধরে নিয়ে যেতে পারতো।”

“সরি স্যার!”

‘রাখ তোর সরি স্যার আমি এখন তোর স্যার নয় তোর বাপ হয়ে কথা বলছি।”

‘সরি বাবা আমি জানি নাকি আজকেই কিছু হবে।”

“হুম প্রথম ভুল দেখে কিছু বললাম না। এরপর যদি তুই থাকতে কোন অসুবিধা হয় তাহলে তোর খবর আছে।”

“ওকে বাবা।”

“স্যার বল এখন!”

‘ওকে স্যার! আপনার বাবা আর স্যারের চক্করে আমি যেন কবে অক্কা পাই।”

এ কথা শুনে মাহফুজ শাহরিয়ার হাসলেন। ছেলের মন একটু খারাপ ছিল তিনি ফোনে কথা বলতেই বুঝেছিলেন । তাই তো ছেলের মন ভালো করার জন্য একটু মজা করলেন। মুখর ও হাসছে। হুট করেই মুখর বলল,,

“বাড়ির সবাই কেমন আছে?”

“আলহামদুলিল্লাহ ভালো তোর খবর বল?”

“ভালোই চলছে।”

“ও শোন নাফিয়া কে একটা ছেলের খুব পছন্দ হয়েছে। সে পারিবারিক ভাবে সবার সাথে দেখা করে বিয়ের কথা বলতে চায়।

এ কথা শুনে মুখর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,,

“সে ছেলেটা কি নাফিয়ার ব্যাপারে সব জানে বাবা?”

ওপাশ থেকেও একটা দীর্ঘশ্বাস শোনা গেল। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,,

“হয়তো বা না!”

‘সব জেনে যদি নাফিয়াকে রিজেক্ট করে সবার সামনে তাহলে নাফিয়া খুব কষ্ট পাবে বাবা। এমনিতেও ও কষ্ট পায় আমার কথা ভেবে আমি চাই না ও আরও কষ্ট পাক।”

“তাই বলে হাল ছেড়ে দেব নাকি। তিন তিনটা জীবন একসাথে কষ্ট পাচ্ছে শুধু মায়ের ঐ একটা কথার জন্য। তোদের দুই ভাইবোনের কথা ছাড় তোরা তো তাও ফ্যামিলির সাথে থাকিস। কিন্তু ও, ওতো ভিশন একা তাই না।”

“ওর কথা ভেবেই আমার বুকটা ভার হয়ে আসে বাবা। কিন্তু কিছুই করার নেই। তুমি আগে ছেলেটাকে নাফিয়ার সমস্যার কথা জানাও তারপর দেখো ছেলেটা কি বলে। যদি বলে সব মেনেই সে নাফিয়াকে বিয়ে করবে তাহলে ঠিক আছে।”

“আচ্ছা ঠিক আছে।”

“আচ্ছা রাখছি বাবা আল্লাহ হাফেজ। নিজেদের খেয়াল রেখো।”

“আল্লাহ হাফেজ।”

বলেই মাহফুজ শাহরিয়ার ফোন রেখে দিলেন। মুখর ফোনটা রেখেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,,

“তাওয়াক্কালতু আলাল্লহ্ ইনশাআল্লাহ সব একদিন ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। তবে সে আর আমি সেই অপেক্ষা করতে প্রস্তুত। এ কথা আমাকে সেই বলেছে।

______________

মুখরের আজ প্রথম দিন। সে একবারে পুলিশের ইউনিফর্ম পরে তারপর নিচে এলো। নিচে আসতেই মিশু বলল,,

‘ও বাবাহ!! পুরোনো বন্ধু নতুন অথিতি তুমি দেখি পুলিশ?”

মুখর হেঁসে মাথা নাড়ালো। তা দেখে মিশু বলল,,

‘তাহলে আজ আমরা চোর পুলিশ খেলবো ঠিক আছে। তোমার বন্ধুক দিয়ে সব লুকানো চোরকে ডিসকাউ ডিসকাউ করে মেরে ফেলবো।”

“আজ তো আমায় যেতে হবে পুলিশ স্টেশনে আমরা বরং রাতে খেলবো ঠিক আছে।”

“ঠিক আছে।”

তখন আরবাজ বলল,,

‘আমাকে একটু স্টেশনে নামিয়ে দিস আমার কাজ আছে।”

‘কেন তোর গাড়ি করে যা না?”

‘আরে তোর সরকারি পুলিশি গাড়ি। আমরা সরকারকে কতো ট্যাক্স দিই সেগুলো তো উশুল করতে পারি না।এখন যখন সরকারি গাড়ি পেয়েছি তাহলে সুযোগের সদ্ব্যবহার করবো।”

‘আচ্ছা ঠিক আছে।”

“বাবা কাকা কে কয়েকদিন যাবৎ বাড়ি দেখছি না দাদুভাই ও এসে গেছে কিন্তু কাকা কোথায় সে?”

ছেলের কথায় শেখ শাহনাওয়াজ বললেন,,

“পুরো একটা হাসপাতালের দায়িত্ব ওর ওপর। একজন বড় ডাক্তার সে । কাজের চাপ ছিল তাই এই সপ্তাহে বাড়ি আসেনি। তবে বলেছে খুব তাড়াতাড়িই আসছে।”

‘ওহ আচ্ছা।”

“তুমিও তো আমাদের হাসপাতাল থেকে ঘুরে আসতে পারো আরবাজ।”

“হাসপাতাল কোন ঘোরার যায়গা হলো নাকি? আমি ব্যারিস্টার মানুষ আমি হাসপাতালে গিয়ে কি করবো? তোমাদের হাসপাতাল তোমরা দেখো আমার কি?”

“তাই বলে নিজেদের হাসপাতাল একটু দেখবে না।”

“না দেখার ইচ্ছে নেই।”

তখন মুখর বলল,,

“আপনাদের হাসপাতালের নাম কি আঙ্কেল?”

মুখরের জবারে শেখ শাহনাওয়াজ বললেন,,

“এস এস হাসপাতাল।!”

~চলবে,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে