#কাঠগোলাপের_আসক্তি
#পর্ব_১০ . [বিবাহ স্পেশাল]
#ইসরাত_তন্বী
❌অনুমতি বিহীন কপি করা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ ❌
সুবিশাল অম্বর তার নিজের বর্ষণ থামিয়েছে প্রায় দশ মিনিট মতো হতে চলল।আনন্দপুর থানার এসআই এসেছে শেখ বাড়িতে। জলিল শেখ ভালো মন্দ টুকটাক কথা বলে ওনাদের কে ড্রয়িং রুমে বসিয়ে রেখে মেহরিমার ঘরে আসে।
“অবনী এসআই অমিত সাহা এসেছে।”
“ওনাদের কে বসতে বলো আসছি আমি।”
জলিল শেখ হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়িয়ে ওখান থেকে চলে আসেন। ওনাদের নাস্তার ব্যবস্থা করেন।পাঁচ মিনিট পরে অবনী শেখ উপস্থিত হন ড্রয়িং রুমে।সালাম বিনিময় করে জিজ্ঞাসা করে,
“আমরা তো আপনাকে ইনফরম করি নাই স্যার?”
“চৌধুরী বাড়ি থেকে আমাদের ইনফরম করা হয়েছে।আর গ্রামের মানুষের থেকে সবটা শুনেছি আমরা। এখন আপনার দুই মেয়ের মুখ থেকে সবটা শুনতে চাই।প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছাড়া তো আমরা কিছু করতে পারি না।”
“প্রথমত চৌধুরী বাড়ির কারোর সাহায্য আমাদের প্রয়োজন নেই স্যার।দ্বিতীয়ত আমার মেয়ে দুইটা মানসিক ভাবে ঠিক নেই এখন।তাই আমি চাই না ওদের কে আর মেন্টালি কোনো স্ট্রেস দিতে। তৃতীয়ত যদি প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেয়েই থাকেন তাহলে কি ওই ছেলের ফাঁ সি হবে?”
“ফাঁ সি হয়তো হবে না।কারন ছেলেটা অনেক বেশি আঘাত পেয়েছে।আর এইরকম কেসে সচরাচর ওই সর্বোচ্চ দশ বারো বছর জেল হয়।”
“আর আমার মেয়ে যে আঘাত টা পেয়েছে সেটার কি হবে স্যার?আজ যদি ও নিজেকে রক্ষা করতে না পারতো।নিজের সর্বস্ব হারিয়ে ফেলতো তখন কি হতো?এই যে এখন গ্রামের মানুষের মুখে মুখে আমার মেয়েকে নিয়ে হাজারো বাজে কথা শোনা যাচ্ছে এর দায়ভার কে নেবে? যদিও এই সোসাইটির এইসব সো কলড রুলস কথা বার্তা আমি ডোন্ট কেয়ার করে চলি তবুও একটা নিষ্পাপ মেয়ে এতকিছুর দায়ভার কেনো নেবে?সব সময় মেয়েদের দিকেই কেনো আঙ্গুল উঠবে?”
অবনী শেখের কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে কিছুক্ষণ থমকে বসে থাকেন অমিত সাহা।বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর উনি বলেন,
“আপনার মেয়ে সাহসী।নিজেকে রক্ষা করেছে। ক্রি মি না ল কে শা স্তি ও দিয়েছে। আশাকরি ও এইসব কিছু খুব শিঘ্রই কাটিয়ে উঠতে পারবে।”
“না স্যার আমার মেয়ে সঠিক শান্তি দিতে পারেনি।ওর উচিত ছিলো বডি থেকে মাথা টা আলাদা করে দেওয়া।ওই জা নো য়া রে র ভাগ্য ভালো ও নিলাক্ষী শেখের হাতে পড়েছে।”
অবনী শেখের কথায় অমিত সাহা সহ ওনার সহযোগী পুলিশ হতভম্ব হয়ে যান!এ কি কঠিন সত্তা নারী জাতির!অমিত সাহা ওনার এত বছর চাকরির জীবনে এমন সুন্দর মুখশ্রীর কঠিন সত্তার নারী দেখেননি!উনি নিজের হতভম্ব ভাব কাটিয়ে বলেন,
“তাহলে আপনারা কোনো কেস ফাইল করতে চাচ্ছেন না?”
“আপতত না স্যার।প্রয়োজন পড়লে আমরা নিজেই আপনার দৌড় গড়ায় যাবো।”
তারপর আরও কিছু কথা বলে অমিত সাহা ওনার সহযোগী কে নিয়ে শেখ বাড়ি ত্যাগ করেন।অমিত সাহার খুব করে মন চাইলো পিছু ফিরে কঠিন সত্তার নারী মুখটা শেষ বারের মতো একটাবার দেখতে। কিন্তু উনি নিজের ইচ্ছায় এক বালতি পানি ঢেলে আর পিছু ফিরে তাকালেন না।
______
অমিত সাহা চলে যাওয়ার প্রায় দশ মিনিট পর ডক্টর সিয়াম এসে মেহরিমা,মাধবী কে চেক আপ করে প্রেসক্রিপশন দিয়ে যায়।মেহরিমার ক্ষত গুলোর জন্য মলম সাজেস্ট করেন।ডক্টর সিয়াম চলে যাওয়ার পরপরই জলিল শেখ তার পরিচিত একজন কে দিয়ে গ্রামের মোড়ের ফার্মেসি থেকে মেডিসিন সহ মলম আনিয়ে নেয়।অবনী শেখ দুই মেয়েকে জোর করে একটুখানি খাইয়ে দিয়ে মেডিসিন গুলো খাওয়াই।মাধবীর ঠান্ডা লেগেছে অতিরিক্ত তাছাড়া মোটামুটি সুস্থ।এদিকে মেহরিমার শরীর কাঁপিয়ে জ্বর এসেছে। বিছানায় মায়ের কোলে ঘাপটি মেরে পড়ে আছে। অবনী শেখ মেহরিমার মাথায় জলপট্টি দিচ্ছেন।মাধবী গরম গরম আদা চা খাচ্ছে। জলিল শেখ অতিরিক্ত মাথা যন্ত্রণার জন্য নিজের ঘরে রেস্ট নিচ্ছেন।
জ্বরের মেডিসিন নেওয়ার সাথে জলপট্টি দেওয়ায় প্রায় আধাঘণ্টা পরে মেহরিমার জ্বর নেমে যায়। অবনী শেখ মেহরিমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন,
“এখন কেমন লাগছে মা?”
“ভালো।”
“কিছু খেতে মন চাচ্ছে?”
“উহু।”
ওদের কথার মাঝেই ঘরের সামনে উপস্থিত হয় হৃদিত,তাবান,তাইফ, আয়েশা চৌধুরী,আতিয়া চৌধুরী, আজাদ চৌধুরী ও তৃধা।ওদের সাথে গ্রামের কাজী সাহেব কে দেখতেই অবনী শেখ ঘটনা যা বোঝার বুঝে যায়।হৃদিতের দিকে তাকিয়ে অবনী শেখ মুচকি হাসেন।তার বিপরীতে হৃদিতের ঠোঁটে ক্ষীণ বাঁকা হাসি ফুটে ওঠে।তৃধা দৌড়ে এসে মেহরিমার পাশে বসে।মেহরিমার সাথে টুকটাক কথা বলে।বাকিরাও এগিয়ে আসে।সবাই কে রুমে আসতে দেখে অবনী শেখ বেডের সাথে বালিশ রেখে মেহরিমা কে হেলান দিয়ে বসিয়ে দেয়।মেহরিমা মলিন মুখেই সবার সাথে খুবই সীমিত কথা বলে।মেহরিমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে ওকে কেউ আর ডিস্টার্ব না করে সবাই ড্রয়িং রুমে চলে যায়।মাধবীও অবনী শেখ কে কাজে সাহায্য করার জন্য রুম থেকে বেরিয়ে যায়।থেকে যায় হৃদিত,তৃধা আর মেহরিমা।হৃদিত তৃধার দিকে তাকাতেই তৃধা ও রুম থেকে চলে যায়।মেহরিমা এইসবের কিছুই খেয়াল করেনি।চোখ বন্ধ করে আধশোয়া হয়ে বসে আছে মেহরিমা।চৌধুরী পরিবারের সবাই কেনো এসেছে এই প্রশ্নটা মেহরিমার মাথায় একবারের জন্যও আসেনি।হৃদিত কয়েক কদম এগিয়ে যেয়ে মেহরিমার পাশে বসে।আলতো করে মেহরিমার হাত ধরতে নিতেই মেহরিমা এক ঝটকায় নিজের হাত সরিয়ে নিয়ে আঁতকে উঠে বলে,
“আমাকে ব্যাড টাচ করবেন না প্লিজ।”
মেহরিমার কথায় হৃদিতের কপালে সুক্ষ্ম ভাঁজের সৃষ্টি হয়।চোখ দুটো ছোট ছোট করে মেহরিমার দিকে তাকিয়ে থাকে। পরক্ষণেই ওর মস্তিষ্ক উপলব্ধি করতে পারে ওর লিটল কিটি গতরাতের ঘটনা নিয়ে এখনো ট্রমার মধ্যে আছে। থাকাটাই স্বাভাবিক।মেহরিমা ভয়ে ভয়ে চোখ খুলে হৃদিত কে দেখতেই থতমত খেয়ে যায়। তাহলে কি হৃদিত ভাই? তৎক্ষণাৎ মেহরিমা নিজের ভুল বুঝতে পেরে বলে,
“আ..আসলে হৃদিতা ভাই আমি বুঝতে পারিনি।আ..আ আমি সব…”
মেহরিমার এলোমেলো কথা শেষ করার আগেই হৃদিত মুচকি হেসে শান্ত কন্ঠে আদর মিশিয়ে বলে,
“হাইপার হওয়ার কিছু নেই জান।আমি বুঝেছি সবটা।টেক ইট ইজি বেইবি।আমি মাধবী আর তৃধাকে তোর রুমে পাঠাচ্ছি।লাগেজের ভেতরে পার্পল কালারের একটা শাড়ি আছে সেটা পড়ে রেডি হয়ে নে।সময় বিশ মিনিট।আজ তোকে নিজের করে নিতে এসেছি।আজকের পর থেকে তোর সব দুঃখ কষ্ট আমারও।তারপর একসাথে মিলে না হয় তোর দুঃখ কষ্টের মোকাবেলা করবো।”
হৃদিতের কথায় মেহরিমা ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে বলে,
“আ..আমি ক ল ঙ্কি ত হৃদিত ভাই। আমার সব কেড়ে নিয়েছে ওই পশু টা।”
মেহরিমার চোখের পানি হৃদিতের বক্ষ স্থলে তীরের মতো করে বিঁধে।হৃদিত হাত জোড়া মুঠো করে দু’চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করে মেহরিমার আরেটু সন্নিকটে এগিয়ে যেয়ে বসে।মেহরিমা তখনও নিচের দিকে তাকিয়ে অনবরত কেঁদেই চলেছে।হৃদিত মেহরিমার থুতনি ধরে মুখটা সামান্য উঁচু করে গালে আলতো করে হাত রেখে চোখের পানি মুছিয়ে দিতে দিতে আদুরে গলায় বলে,
“হুশশশ আর একটাও কথা না।তুই আমার অ্যানাবেলা, আমার সানসাইন, আমার স্নিগ্ধপরী। তুই আমার কাছে এখনও আগের মতোই পবিত্র আর স্নিগ্ধ সোনা।তোর পবিত্র আলোয় সবসময় আমাকে আলোকিত করে রাখিস তুই।পৃথিবীর চাঁদের গায়ে ক ল ঙ্ক থাকতে পারে কিন্তু আমার ব্যক্তিগত চাঁদের গায়ে কোনো ক ল ঙ্ক থাকবে না। আমার ভালোবাসায় সব মুছে বিলীন হয়ে যাবে অ্যাঞ্জেলা।শুধু সময়ের অপেক্ষা।ততদিন একটু মানিয়ে নে প্লিজ।”
হৃদিতের এহেন প্রথম স্পর্শে মেহরিমার তনু,মন কেঁপে ওঠে।পরক্ষণেই ওর মনে হয় এই অ্যানা বেলা,সানসাইন নামগুলোর সাথে ও পরিচিত। কিন্তু অসুস্থ শরীর আর ক্লান্ত মস্তিষ্ক নামগুলো পরিচিত লাগার কারণ টা ঠিক ধরতে পারে না।মেহরিমা কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই হৃদিত উঠে রুম থেকে বের হয়ে যায়। তারপর তৃধা আর মাধবী এসে অসুস্থ মেহরিমাকে জাস্ট শাড়ি টা পরিয়ে দেয়।হৃদিতের কথা মতো কাটায় কাটায় বিশ মিনিট পর মেহরিমা কে ড্রয়িং রুমে নিয়ে আসা হয়। জলিল শেখ হঠাৎ প্রশ্ন করে ওঠে,
“হৃদিত তোমার মা ,বাবা কোথায়? তাদের অনুপস্থিতিতে বিয়ে কিভাবে সম্ভব?”
“কেনো বাবা?আপনি আর মা তো আছেনই।আর আমার পুরো পরিবার এখানেই উপস্থিত।এর বাইরে জাস্ট ছোট কাকা আছে। তাছাড়া কেউ নেই।”
হৃদিতের কথার পরিপ্রেক্ষিতে কেউ আর কিছু বলে না।সব নিয়ম মেনে হৃদিত,মেহরিমার বিয়ে টা হয়ে যায়। তারপর সবাই মিলে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে চৌধুরী পরিবার চৌধুরী ভিলায় ফিরে যায়।হৃদিত অনেকক্ষণ আগেই চলে গেছে তাবান,তাইফ কে সঙ্গে নিয়ে।মেহরিমাও বিয়ের সব নিয়ম পালন করে তক্ষুনিই রুমে এসে শাড়ি পরিবর্তন করে শুয়ে পড়েছে। মেডিসিনের মধ্যে ঘুমের মেডিসিন থাকায় মেহরিমা শুয়ে পড়তেই ঘুমের দেশে পাড়ি দেয়।
______
মেহরিমার রাত সাতটার সময় ঘুম ভাঙ্গে।মাঝে দুপুরে ওকে একবার তুলে দুপুরের খাবার খাইয়ে রেখে গেছেন অবনী শেখ।রাতে তিন ঘন্টা মতো জেগে থেকে একটু রাতের খাবার খেয়েই আবারও ঘুমিয়ে পড়ে মেহরিমা।আজ মাধবীও মেহরিমার সাথেই ঘুমিয়েছে।ফজরের আজানের শব্দে মেহরিমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ করে নামাজ পড়ার জন্য উঠে বসে। ঠিকঠাক ভাবে ঘুম হওয়াতে মেহরিমার মাথা টা এখন বেশ পাতলা লাগছে। হঠাৎ টিউবওয়েল চেপে পানি ওঠানোর শব্দ কর্ণগোচর হতেই মেহরিমা বিছানা থেকে নেমে ড্রয়িং রুমে আসে।এখন আর শব্দ টা শোনা যাচ্ছে না।দুই মিনিট পরে আবারও সেইম শব্দ শুনতে পাই মেহরিমা।মেহরিমা দরজা খুলতে নিলেই খেয়াল করে দরজা টা জাস্ট লক করা।মেহরিমা দরজার লক খুলে সিঁড়িতে এসে দাঁড়াতেই দেখতে পাই অবনী শেখ র ক্তা ক্ত রা রাম দা ধুচ্ছে।মেহরিমা যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না!চোখ দুটো বড় বড় করে অবনী শেখের দিকে তাকিয়ে থাকে।অবনী শেখ নিজের কাজ সম্পূর্ণ করে ওজু করে পিছন ফিরতেই মেহরিমা কে দেখে মুচকি হাসে। অতঃপর দা টা ওখানে রেখেই মেহরিমার নিকট এগিয়ে এসে বলে,
“শরীর ঠিক আছে মা?”
অবনী শেখের কথায় কোনো প্রত্যুত্তর না করে মেহরিমা পাল্টা প্রশ্ন করে,
“তুমি কোথায় গেছিলে মা আর ওটাতে র.. র ক্ত ইং বা কোথায় থেকে আসলো?”
“পৃথিবীর থেকে পাপ মুছে দিয়ে আসলাম।ওই পাপের সাথে সাথে তোর সব কলঙ্ক ও আমি মুছে দেবো।”
অবনী শেখের স্বাভাবিক কথাটা মেহরিমা একদম স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে না।ও থরথর করে কেঁপে উঠে পড়ে যেতে নিলেই অবনী শেখ দু’হাতে মেহরিমাকে আগলে নেয়।
সকাল সাতটা বেজে দশ মিনিট।মেহরিমা চোখ খুলে নিজেকে নিজের বিছানায় আবিষ্কার করে। চোখজোড়া খুলে পাশে তাকাতেই মাধবীর বিবর্ণ মুখটা চক্ষুগোচর হয়।মেহরিমা মাধবী কে কিছু জিজ্ঞাসা করতে নিবে তার আগেই ওদের বাড়ির পাশের দশ বছরের মায়া নামের একটা ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে মেহরিমার ঘরে প্রবেশ করে।মেহরিমার সাথে খুব মিল মেয়েটার।
“মেহুপু এখন ভালা আছনি?”
“আলহামদুলিল্লাহ। তুই কেমন আছিস?”
“আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালা আছি। গ্রামে কি ঘটে গেছে শুনবার পারিছো তোমরা?”
মেহরিমা ভ্র জোড়া কুঁচকে মায়ার দিকে তাকাতেই মায়া হড়বড়িয়ে বলতে শুরু করে,
“হাসপাতাল থেইকা তোমগোর চাচার সেই ছেলেডা লাপাত্তা হয়ে গেছে।নিজের শাস্তির ভয়ে বোধহয় জ্ঞান ফিরতেই পালিয়েছে।ধরা পইরা গেছে যে। আবার আইজ সক্কালে তোমার মেজো চাচিরে ওগো বাড়ির উঠানে বেহুঁশ অবস্থায় পাওন গেছে। শুধু কি তাই!তার কনুই থেইকা দুটো হাতই কেডায় কাইটা পাশে রাইখা গেছে গা। মাথাডাও ন্যাড়া করে রাইখা গেছে।হগ্গোলে বলতাছে জ্বিনেদের কাজ এইডা।ওরা ওগো বাড়িতে বড় কবিরাজ আইনাছে।”
মায়ার কথা শুনে মেহরিমা খুব অবাক হয় তবে কথাগুলো শুনে হঠাৎ ওর হৃদয় প্রশান্তি তে ছেয়ে যায়।একটা মানসিক শান্তি অনুভব করে।মেহরিমার ওর মায়ের বলা সেদিনের কথাটা মনে পড়ে যায়।
“তোকে কেউ কলুষিত করার আগেই সেই জ ঞ্জা ল ছেঁ টে পরিষ্কার করে দেবো আমি।এটা তোর মা অবনী শেখের ওয়াদা।”
পরক্ষণেই মেহরিমার মনে পড়ে যায় হৃদিত কে সেই গতকালের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে আর দেখেনি।আর না একটাবার কথা হয়েছে।সে কি ভুলে গেলো নাকি তার একটা বউ আছে?নাকি আমি নিজেই হৃদিত ভাইকে বেশি মিস করছি?কথাগুলো ভাবতেই মেহরিমার মুখে লাজুক হাসি ফুটে ওঠে।
#চলবে_______