কাঠগোলাপের আসক্তি পর্ব-০৮

0
81

#কাঠগোলাপের_আসক্তি
#পর্ব_০৮
#ইসরাত_তন্বী

❌অনুমতি বিহীন কপি করা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ ❌

হৃদিত গাড়ি থামিয়ে গাড়ির ডোর ওপেন করে দিতেই মেহরিমা এক ছুটে হসপিটালের ভেতরে চলে যায়।ওর পিছন পিছন তৃধা ও দ্রুত পা চালায়। তখন মেহরিমা দৌড় দিয়ে আসতে যেয়ে হোঁচট খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে।অতঃপর হৃদিত নিজের গাড়িতে করে নিয়ে এসেছে তৃধা আর মেহরিমা কে।মেহরিমা সারাটা রাস্তা কান্না করতে করতে এসেছে। রীতিমত সে হৃদিত নামক মানুষ টা কে ভুলতে বসেছে!এখন তার ধ্যানে জ্ঞানে সব যায়গা জুড়ে শুধুই তার বাবা নামক মানুষ টা।

হৃদিত গাড়ির ডোর অফ করে সিটে মাথা এলিয়ে চোখ জোড়া বন্ধ করে রাখে।মেহরিমার এই ইগনোর হৃদিত একদমই মেনে নিতে পারছে না।হৃদিতেরও তো হাত কেটে গেছে কৈ তখন তো কান্না করলো না!তাহলে এখন কেনো কান্না করছে?মেহরিমা কান্না করবে,হাসবে শুধুমাত্র হৃদিতের জন্য।একমাত্র হৃদিত ছাড়া আর কারোর জন্য মেহরিমার মনে একটুও ভালোবাসা,ফিলিংস থাকবে না।একটুও না।হৃদিতের চোখ মুখ কঠিন হয়ে ওঠে।পরক্ষণেই নিজেকে সামলিয়ে নেয়।এখন ওর নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে।একবার নিজের লিটল কিটিকে পেয়ে গেলেই তখন সব দেখা যাবে।একপ্রকার বাঁকা হিংস্র হাসি দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে হৃদিত।

মেহরিমা দৌড়ে এসে হসপিটালে পা রাখতেই করিডরেই অবনী শেখ আর মাধবী কে দেখতে পাই।ও দৌড়ে যেয়ে অবনী শেখ কে জড়িয়ে ধরে। অতিরিক্ত কান্নার ফলে হেঁচকি উঠে গেছে। ঠিকভাবে কথাও বলতে পারছে না মেহরিমা।

“ব..ব..বাবা কেমন আছে মা?বাবা কে দে..দেখবো।”

“আরে বোকা মেয়ে এভাবে কান্না করছিস কেনো?তোর বাবা ঠিক আছে।মাথায় দুইটা সেলাই গেছে। এখন স্যালাইন চলছে।আজকে রাতে স্যালাইন টা শেষ হলে কালকে সকালেই আমরা বাসায় চলে যাবো।”

মেহরিমা তবুও শান্ত হয় না।কান্না করেই চলেছে। পাশেই মাধবী দাঁড়িয়ে ফুপাচ্ছে। অবনী শেখ সময় নিয়ে দুই মেয়েকে শান্ত করে।তারপর জলিল শেখ যেই ওয়ার্ডে অ্যাডমিট আছে সেখানে নিয়ে যায় মেহরিমা,মাধবী আর তৃধা কে।তৃধার সাথেও ভালো মন্দ অনেক কথা বলেন অবনী শেখ।সন্ধা হয়ে যাওয়ায় জলিল শেখ কে দেখে টুকটাক কথা বলে সকলের থেকে বিদায় নিয়ে তৃধা বাইরে চলে আসে।এতক্ষণ সবকিছুই নিরব চোখে দেখছে হৃদিত।ওর ভেতরে এখন কি চলছে তা মুখ দেখে বোঝা মুশকিল!

“ভাইয়া বাসায় যাবো।”

“বাইরে তাবান,তাইফ দাঁড়িয়ে আছে ওদের সাথে চলে যা।”

তৃধা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়িয়ে হৃদিতের দিকে এক পলক চেয়েই ওখান থেকে প্রস্থান করে।

সময় রাত আটটা। ইতোমধ্যে মেহরিমার একমাত্র মামা আর মামি হসপিটালে উপস্থিত হয়েছে। অবনী শেখের আপন বলতে ওনারা দু’জন ই আছে শুধু। নদীর ওপারে কুসুমপুরে বাড়ি ওনাদের।মেহরিমাদের বাসা থেকে মামার বাসায় ব্রিজ পার হয়ে যেতে মাত্র পনেরো মিনিট সময় লাগে।উনি জলিল শেখের সাথে পার্টনারশিপে ব্যবসায় কর্মরত আছেন।

মেহরিমা জলিল শেখের এক হাত ধরে নির্বিকার ভাবে নিজের বাবার দিকে তাকিয়ে আছে।

“ওও বাবা তোমার কি খুব খারাপ লাগছে?”

“না রে আম্মু।এখন বেশ ভালো লাগছে। বাসায় চলে যেতে পারলে আরও ভালো লাগতো।”

মেহরিমা মুচকি হেসে বলে,

“কালকে সকালেই তো বাসায় চলে যাবে বাবা। আজকে রাতটা একটু কষ্ট করে মানিয়ে নেও।আর কাল সকালে তোমার জন্য আমি তোমার পছন্দের গরুর মাংস আর খেচুরি রান্না করে রাখবো বাবা। বাসায় যেয়ে তখন মন ভরে খেও কেমন।”

“ওরে আমার পাকনি বুড়ি রে!”

জলিল শেখের কথায় মেহরিমা খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে।পাশে বসা মাধবী ও মুচকি হাসে।

“এই মিনাক্ষী, নীলাক্ষী শাহিন ভাই আর ভাবীর সাথে তোরাও বাসায় চলে যা।রাত বাড়ছে।সাবধানে থাকবি রাতে।মেইন ডোর ভালোভাবে লক করবি।আজ দুই বোন একসাথে থাকিস।কোনো সমস্যা হলেই আগে আমাকে কল করবি।”

অবনী শেখের কথায় মেহরিমা আর মাধবী হ্যাঁ সূচক মাথা দোলায়।তারপর বাবা মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে মামা মামির সাথে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।মেহরিমা হসপিটাল থেকে বের হতেই ওর দৃষ্টি যায় ওদের অপোজিট সাইডে থাকা পরিচিত বিএমডব্লিউ টার দিকে।ল্যাম্পপোস্টের আবছা হলুদ নিয়ন আলোতে গাড়ির হুডের উপর বসা একটা অবয়ব দেখতে পাই।দুই আঙ্গুলের ভাঁজে জলন্ত সিগারেট রাখা।অবয়ব টা যে ওর কাঙ্ক্ষিত পুরুষের সেটা মস্তিষ্ক উপলব্ধি করতেই মেহরিমার বক্ষ স্থলে তীব্র ঝড় শুরু হয়!হৃদিত যে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে সেটাও খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারে মেহরিমা।হঠাৎ ওর মনে পড়ে যায় বিকালের কথা।আর তাতেই মেহরিমার মুখটা আরও ফ্যাকাশে হয়ে যায়।হৃদিত ভাই কি রেগে আছেন?আজতো মাধুপু থাকবে কাছে তাই রাতেও কথা বলা যাবে না।হঠাৎ আকাশ ফেটে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়।মেহরিমা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে দ্রুত ভেনে উঠে বসে।

______

মেহরিমারা বাসায় এসেছে প্রায় তিন ঘন্টা হতে চললো।ওদেরকে নিজের বাসায় পৌঁছে দিয়েই শাহিন শেখ আর ওনার ওয়াইফ সাইমা শেখ নিজেদের বাসায় চলে গেছে।এখন রাত এগারোটা বেজে চল্লিশ মিনিট।বাইরে তুমুল বর্ষণ হচ্ছে।ক্ষণে ক্ষণে শব্দ তুলে মেঘ গর্জন করে উঠছে।দুই বোন রাতের খাওয়ার পর্ব সেরে পড়তে বসেছে।মেহরিমা ম্যাথ করছে।ওর পাশেই বিছানায় বসে বসে মাধবী ও অ্যাডমিশনের জন্য বায়োলজি বিচিত্রা পড়ছে। মাঝে মাঝে দুই বোন টুকটাক গল্পও করছে।

“এই মেহু ক্ষুধা লেগেছে। কিছু বানিয়ে দে।”

“কিছুক্ষণ আগেই না খেলে তুমি!এতো রাতে আবার কি খাবে?”

“নুডুলস! রান্না করে দে না বোন।”

“আচ্ছা তবে একটা শর্ত আছে।”

“কি?”

“আমাকে হেল্প করতে হবে।আমি একা পারবো না।”

“অবশ্যই সোনা।চল তাড়াতাড়ি।”

মেহরিমা মুচকি হেসে খাতা বন্ধ করে কিচেনের দিকে হাঁটা ধরে।মাধবী ও পিছু পিছু আসে।হঠাৎ ওদের কলিং বেল বেজে ওঠে।মাধবী আর মেহরিমা চমকে ওঠে।এতো রাতে কে আসবে?

“এই মাধুপু তুমি মেইন গেইটে তালা লাগাওনি?”

“লাগিয়েছি তো।”

“তাহলে এই বৃষ্টির মধ্যে এতো রাতে কেউ বাসার ভেতরে কি করে আসবে?”

ওদের কথার মাঝেই ওদের মেজ চাচা জিহাদের ছোট ছেলে শিহাবের কন্ঠস্বর ভেসে ওঠে,

“এই মেহরিমা তাড়াতাড়ি দরজা খোল।ছোট আব্বুর অবস্থা ভালো না।তোদের কে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছোট আম্মু আমাকে পাঠিয়েছেন।”

বাবা নামক মানুষ টার কথা শুনতেই মেহরিমা নিজের হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে তাড়াতাড়ি করে দরজা খুলে দেয়।কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে,

“ভাইয়া,বাবার কি হয়েছে?সন্ধ্যায় ও তো সব ঠিকঠাক ছিল।তাড়াতাড়ি আমাদের কে বাবার কাছে নিয়ে চলুন।এই মাধুপু জলদি ছাতা নিয়ে এসো।”

মেহরিমা তাড়াতাড়ি করে ঘর থেকে বের হতে নিলেই শিহাব ওকে এক ধাক্কা দিয়ে ড্রয়িং রুমের ফ্লোরে ফেলে দিয়ে তড়িৎ গতিতে ভেতর থেকে দরজা লক করে দেয়।কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে নিজের সাথে কি ঘটে গেল সেটা মস্তিষ্ক জানান দিতেই মেহরিমার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ ফুটে ওঠে।আজ তো মা নেই ও একা এই প শু টাকে কিভাবে সামলাবে।বাবার কথা শুনে সব কিভাবে ভুলে গেলো মেহরিমা! শিহাব ওর আটাশ পাটি দাঁত বের করে কুৎসিত হেসে বলে,

“আজ তোকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে মেহুপাখি?সেদিন তো তোর মায়ের জন্য ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছিলিস।আজ তো তোকে আমার হতেই হবে।”

কথাটা বলেই মেহরিমা কে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চোখ দিয়ে গি লে খেতে থাকে। ঘৃ ণা য় মেহরিমার শরীর রি রি করে ওঠে।মাধবী ভয়ে ইতোমধ্যে কান্না করে দিয়েছে।ভয়ে থরথর করে কাঁপছে।মেহরিমা চিৎকার করে তীব্র ক্ষোভের সাথে বলে,

“জা নো য়া র আমাদের থেকে দুরে থাক বলছি। নাহলে আমি কিন্তু চিৎকার করবো বলে দিলাম।”

“তো কর চিৎকার নিষেধ করছে কে?এই বৃষ্টির মধ্যে তোর চিৎকার কে শুনবে?আর চিৎকার শুনে যদি সবাই এসেও থাকে তাহলে তোদের কে এই অবস্থায় দেখে সবাই ছিঃ ছিঃ করবে।তোদের বাবা, মায়ের সম্মান মাটিতে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। তুই বে শ্যা নামে নতুন রুপে পরিচিত হবি।আর তোর এই আবাল বোন তো নির্ঘাত সু ই সা ই ড করবে। যাইহোক তোর সাথে ওইটা ফ্রি।আগে তোর ব্যবস্থা করে নিই।”

কথাটা বলেই হো হো করে হেসে ওঠে শিহাব।মেহরিমার দিকে আস্তে আস্তে এগোতে থাকে।মেহরিমা ফ্লোর থেকে উঠতে নিলেই ঝড়ের গতিতে ওকে আবারও ফেলে দিয়ে ওর কোমরের উপর উঠে বসে শিহাব।মেহরিমা ধস্তাধস্তি না করে মাধবী কে চোখ দিয়ে কিছু একটা ইশারা করে।মাধবী আস্তে আস্তে ওখান থেকে সরে যায়।শিহাব একটানে মেহরিমার জামার হাতা ছিঁড়ে ফেলে।মেহরিমা তখনও নিশ্চুপ। হঠাৎ পিছন থেকে মাধবী ভাস্ক দিয়ে শিহাবের মাথায় আঘাত করতেই শিহাব মেহরিমাকে ছেড়ে ওর পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে।মেহরিমা উঠে মাধবীর হাত ধরে দৌড় দেয় রুমের দিকে। রুমে ঢোকার আগ মূহূর্তেই মেহরিমার হাত ধরে ফেলে শিহাব।মেহরিমা নিজের হাত ছাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। মেহরিমা বুঝতে পারে এই প শু র হাত থেকে আজ আর ওর নিস্তার নেই। নিজের বোনকে বাঁচাতে মাধবীর হাত ছেড়ে দেয়।মাধবী ধাক্কা দিয়ে রুমের ভেতরে ফেলে দেয়।

“মাধুপু তোমার দোহাই লাগে দরজা ভেতর থেকে লক করে দেও। বিছানায় বালিশের পাশে আমার ফোন আছে। দরজা লক করে মায়ের কাছে কল দেও ফাস্ট। ততক্ষণে এই জানোয়ারকে আমি দেখছি।”

“মা গি র মা ই য়া তোর কল দেওয়া আমি বের করছি।”

কথাটা বলেই শিহাব মেহরিমার হাত ছেড়ে ওর চুলের খোঁপা শক্ত মুঠি বদ্ধ করে ধরে ঘরের ভেতরে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু তার আগেই মেহরিমা নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে শিহাবের গলা চেপে ধরে।মাধবী ফ্লোরে বসে শব্দ করে কান্না করছে।মেহরিমা মাধবীর উদ্দেশ্যে আবারো বলে,

“মাধুপু আমার কসম তুমি দরজা লাগাবে। নিজেকে রক্ষা করে মাকে কল দেও।তাহলে আমরা দুজনেই বেঁচে যাবো।নাহলে আমরা কেউ এই ন র প শু র হাত থেকে বাঁচতে পারবো না।আবেগ রেখে নিজের বুদ্ধি কাজে লাগাও।”

এবার মাধবী হয়তো মেহরিমার কথাটা বুঝতে পারলো। শিহাব মেহরিমা কে এক ধা ক্কা দিয়ে নিজের থেকে সরিয়ে দেয়।নিজের গলা ধরে কাশতে থাকে।মাধবী ততক্ষণে ভেতর থেকে দরজা লক করে দিয়েছে।সেকেন্ডের ব্যবধানে শিহাব উঠে দাঁড়িয়ে নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে মেহরিমার গালে থা প্প ড় বসায়।মেহরিমা ব্যালেন্স হারিয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়।ওর ঠোঁ ট কেটে র ক্ত ঝরতে থাকে। শিহাব রাগে গজগজ করতে করতে মেহরিমাকে টেনে হিচড়ে পাশের রুমে নিয়ে যেয়ে বিছানায় এক প্রকার ছুড়ে ফেলে ওর উপরে হামলে পড়ে।মেহরিমা নিজেকে বাঁচাতে ধস্তাধস্তি শুরু করে দেয়।

“ভাইয়া আপনার পায়ে পড়ি আমার এতো বড় ক্ষতি করবেন না প্লিজ।আমি বাবাকে বলবো সব জমি,যায়গা আপনার বাবার নামে লিখে দিতে। তবুও আমার সাথে এমন করবেন না।আমাকে বাঁচতে দেন ভাইয়া।আমি এখনও দীর্ঘদিন বাঁচতে চাই ভাইয়া।আমার কিছু হয়ে গেলে আমার মা কিন্তু আপনাকে টু ক রো টু ক রো করে কুকুর দিয়ে খাওয়াবে।”

মেহরিমার কোনো কথায় কানে নেয় না শিহাব। হিং স্র প শু র মতো মেহরিমার গা ল গ লা য় আঁ চ ড় দিতে থাকে।মেহরিমার দু’চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ে চলেছে।ও চোখ জোড়া বন্ধ করে নেয়।এই ষাঁ ড়ে র মত পশুর শক্তির সাথে ওর পেরে ওঠা সম্ভব না।বুদ্ধি দিয়েই কিছু করতে হবে।বাইরে প্রকৃতি নিজস্ব রুপে কান্না করতে ব্যস্ত।নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে নিজের মন খারাপের কথা জানিয়ে চলেছে সকলকে।অপরদিকে বদ্ধ ঘরে এক তরুণী নিজের সম্ভ্রম হারানোর ভয়ে অনবরত কান্না করে চলেছে।আজ প্রকৃতি মেহরিমার পক্ষে নাকি বিপক্ষে মেহরিমা ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না!মেহরিমার চোখের সামনে নিজের মায়ের মুখটা ভেসে ওঠে।মা তো কথা দিয়েছিল সব খারাপ পরিস্থিতিতে সবসময় পাশে থাকবে।তাহলে এখন কোথায় মা?মা তোমার মেহরিমা খুব কষ্ট পাচ্ছে।একটু কষ্ট কমিয়ে দেও না মা!তোমার মেহরিমা এই যন্ত্রনা আর সহ্য করতে পারছে না মা।ডুকরে কেঁদে ওঠে মেহরিমা।পরক্ষণেই ওর মানসপটে হৃদিতের গম্ভীর মুখটা ভেসে ওঠে।মন ও শরীরে তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ও মনে মনে আওড়ায়,

“এই জীবনে আর আপনাকে নিজের করে পাওয়া হলো না হৃদিত ভাই।”

#চলবে_______

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে