কাঠগোলাপের আসক্তি পর্ব-০৫

0
4

#কাঠগোলাপের_আসক্তি
#পর্ব_০৫
#ইসরাত_তন্বী

❌অনুমতি বিহীন কপি করা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ ❌

চৌধুরী পরিবার।চৌধুরী নামটার সাথেই কেমন যেন একটা আধিপত্য মিশে আছে!আনন্দপুর গ্রামে যদি ধনী পরিবারের তালিকা করা হয় নিঃসন্দেহে চৌধুরী পরিবার সবার উপরে থাকবে।আর এইজন্য চৌধুরীদের গ্রামের কর্তা মানা হয়। চৌধুরীদের এক কথায় গ্রামের মানুষ ওঠে বসে।বলা বাহুল্য চৌধুরীদের এক প্রকার ভয় পেয়েই চলে তারা।

দুই তালা বিশিষ্ট চৌধুরী বাড়িটা বিশাল যায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে। বাড়ির প্রতিটা কোনায় যেন আভিজাত্যের ছোঁয়া মিশে আছে!চৌধুরী ভিলার পিছনে রয়েছে বড় বড় দুটো পুকুর যার চারি পাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে বেশ অনেক ধরনের ফলের গাছ।চৌধুরী ভিলা থেকে মেইন গেইট পর্যন্ত হেঁটে যেতে পাঁচ মিনিট মতো সময় লাগে। বাড়ির সামনে রয়েছে সুবিশাল যায়গা তার ঠিক মাঝ বরাবর রাস্তা। রাস্তার ডানপাশে নাম না জানা হাজারো ফুলের সমাহার।বাম পাশে রয়েছে শত শত নারিকেল ও সুপারি গাছ সাথে আরও একটা পুকুর। পুকুরের সামনে,গাছের নিচে বাঁশ দিয়ে বসার যায়গা ও করা আছে।

চৌধুরী বাড়ির কর্তা ছিলেন মৃত হান্নান চৌধুরী ।তার স্ত্রী ছিলেন মৃত রেণুবালা চৌধুরী।মৃত হান্নান চৌধুরী চার পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। প্রথম পুত্র এমপি আরিফ হাসান চৌধুরী ।যিনি পঁয়ত্রিশ বছর আগে এই চৌধুরী বাড়ি ত্যাগ করে ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন।আজও চৌধুরী বাড়িতে পায়ের ধুলো দেননি তিনি।ওনার অর্ধাঙ্গিনী শ্রেয়া চৌধুরী। যিনি বর্তমানে ঢাবিতে কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের প্রোফেসর পদে কর্মরত আছেন।বর্তমানে দুই পুত্র সন্তানের জনক আরিফ চৌধুরী। প্রথম সন্তান তথ্য মন্ত্রী আয়াশ চৌধুরী,যার স্ত্রী বানিজ্য মন্ত্রী মামুন তালুকদারের একমাত্র মেয়ে আরিশা তালুকদার।দ্বিতীয় সন্তান সবার বড্ড আদুরে তাহমীদ হৃদিত চৌধুরী।

দ্বিতীয় পুত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজাদ চৌধুরী। বর্তমান চৌধুরী পরিবারের সকল ব্যবসা ও কোম্পানির দায়িত্বে তিনিই আছেন।স্ত্রী আয়েশা চৌধুরী।আজাদ চৌধুরী দুই সন্তানের জনক। প্রথম সন্তান তাবান চৌধুরী। দ্বিতীয় সন্তান তৃধা চৌধুরী।মৃত হান্নান চৌধুরীর তৃতীয় পুত্র আয়মান চৌধুরী ছত্রিশ বছর আগে আ ত্ম হ ত্যা করে প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন। আদৌও সেটা আ ত্ম হ ত্যা ছিলো নাকি খু ন ছিলো !তা সময়ের আড়ালে চাঁপা পড়ে গেছে।

চতুর্থ পুত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবরার চৌধুরী। তিনি একজন আর্মি অফিসার। স্ত্রী আতিয়া চৌধুরী। ওনার একমাত্র পুত্র সন্তান তাইফ চৌধুরী।মৃত হান্নান চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে আয়রা চৌধুরী যে বিয়ে করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে।বর্তমানে তার বসবাস যুক্তরাষ্ট্রে।অলিভিয়া ও অ্যামেলিয়া দুই মেয়ে সন্তানের জননী আয়রা।

____________

মেহরিমা ক্লাসে বসে আছে।এখন বায়োলজি ক্লাস চলছে। কিন্তু মেহরিমার সেদিকে কোনো মনোযোগ নেই।সে ব্যস্ত তার গভীর চিন্তায়।

“এই মেহু কি হয়েছে তোর?”

মেহরিমাকে হাল্কা ধাক্কা দিয়ে কথাটা বলে তৃধা।মেহরিমা হুঁশে ফিরে।

“কিছু বলবি?”

“ক্লাস শেষ। পরবর্তী ক্লাস করবি তুই?”

“না,রে আজ ভালো লাগছে না। বাসায় যাবো।”

“ওকে।”

মেহরিমা আর তৃধা কলেজের মাঝ বরাবর রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছে।

“মেহরিমা তুই কি গতকালের ঘটনা নিয়ে আপসেট?”

“উহু!”

“তাহলে কি পলাশের বি ভ ৎ স অবস্থার কথা শুনে?”

মেহরিমা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ায়। কিছু একটা মনে পড়তেই বলে,

“হৃদিত ভাইয়া বিকালে কোথায় থাকে রে?”

মেহরিমার কথা শুনে তৃধা দুষ্টু হেসে বলে,

“কেনো রে? আমার ভাইকে দিয়ে তোর কি? আমার হ্যান্ডসাম, ড্যাসিং, সুচরিত্র ভাইয়ের সাথে প্রেম করার ফন্দি আটছিস নাকি?”

“সুনাম একটু বেশিই করে ফেললি না?যাই হোক বল‌ না হৃদিত ভাই বিকালে কোথায় থাকেন।”

“ভাইয়া আর কোথায় থাকবে!তার যা কাজ।নিজের রুমের ব্যালকনিতে বসে ছবি আঁকবে, নাহলে বাড়ির পিছনে পুকুরের সামনের বাগানে বসে গিটার বাজাবে।আর মাঝে মাঝে একটু বাইরে আসে।বিকালে বাসায় ই থাকে ভাইয়া।”

“ওওও আচ্ছা।”

ওরা কথা বলতে বলতে কলেজ গেইটের সামনে চলে আসে।এই অসময়ে রাস্তার ওপাশে চেনা পরিচিত গাড়িটা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই মেহরিমা অবাক হয় বেশ! তবে মনে মনে খুশি ও হয় খুব।মেহরিমাকে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে তৃধা মৃদু ধাক্কা দিয়ে বলে,

“মেহু বেইবি তোর হ্যান্ডসাম ওয়েট করছে।যা মিট কর।আমি বাসায় যাই।”

কথাটা বলেই একটা ভ্যান ডেকে সেটাতে উঠে পড়ে তৃধা।মেহরিমাকে হাতের ইশারায় বাই জানায়। বেচারি মেহরিমা অসহায় চোখে তৃধার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।তৃধা গতকাল বাসায় যেয়ে যখন জানতে পারলো ওর মা ওকে ডাকেনি তখন ও তাইফ আর তাবানের পিছনে এক প্রকার কাঁঠালের আঠার মতো করে চিপকে থেকে সব সত্যিটা জেনেছে। আর তাতেই খুশিতে আত্মহারা তৃধা।মেহরিমা ওর ভাবী হবে ভাবতেই ওর মন টা খুশিতে ঝলমলিয়ে উঠছে!তৃধা মেহরিমার দিকে তাকিয়ে ওর ঝকঝকে সাদা দাঁত গুলো বের করে হাসতে থাকে।মেহরিমা মনে মনে ভেংচি কাটে।সময় মেহরিমার ও আসবে হু! হঠাৎ নিজের ব্যাগে থাকা ফোন টা ঝনঝনিয়ে বেজে উঠতেই মেহরিমার ভাবনায় ছেদ পড়ে।বাবা ফোন দিয়েছে ভেবে মেহরিমা তাড়াতাড়ি ব্যাগ থেকে ফোনটা বের করে। অপরিচিত নাম্বার দেখতেই ভ্রু জোড়া কুঁচকে ফোনের স্ক্রিনে তাকায়।কেটে দেবে দেবে করেও কি যেন মনে করে কলটা রিসিভ করে আর সাথে সাথেই ফোনের ওপাশ থেকে গম্ভীর কন্ঠস্বর কর্ণগোচর হয়।

“ইয়্যু হ্যাভ জাস্ট টু মিনিটস।আ’ম ওয়েটিং।এক সেকেন্ড ও লেইট করলে কো লে তুলে নিয়ে আসবো।”

কথাটা বলেই হৃদিত কল কেটে দেয়।মেহরিমা এমন লাগামহীন কথা শুনে ল জ্জা য় লাল হয়ে যায়।বিশ সেকেন্ড মতো ল জ্জা য় লাল হওয়া গাল নিয়ে মাথা নিচু করে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়।তারপর হৃদিতের দেওয়া থ্রে টে র কথা মনে পড়তেই একপ্রকার দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে গাড়ির নিকট আসে।মেহরিমা গাড়ির নিকট আসতেই দরজা টা খুলে যায়। আশেপাশে ভালোভাবে নজর বুলিয়ে তাড়াতাড়ি করে গাড়িতে উঠে বসে।হৃদিত গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেয়।সেদিনের মতো আজও জানালার গ্লাস ওঠানো।

“কাল থেকে বোরকা পরে,হিজাব করে কলেজে আসবি।মেয়েরা হাতে,পায়ে কি যেন পরে ওগুলো পরবি।চোখের উপর কি একটা কাপড় লাগায় সেটাও লাগাবি।মোট কথা তোর শরীরের একটা পশম ও যেন দেখা না যায়। ইভেন চোখ ও না।”

হুট করে হৃদিতের মুখে এমন কথা শুনতেই মেহরিমা যেন আকাশ থেকে পড়ে!মেহরিমা আজ নিয়ত করেই এসেছে হৃদিত কে একটুও ভয় পাবে না।উনি বাঘ নাকি ভাল্লুক যে ভয় পেতে হবে!কিন্তু এই যমের সামনে আসলে মেহরিমার সব হাওয়া বেরিয়ে যায়।তবুও মনে সাহস জুগিয়ে দৃঢ়তার সাথে আস্তে করে বলে,

“বাবা ব্যবসায়ের কাজে শহরে গেছে।মা স্কুল আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত।আজ বাসায় যেয়ে মা কে বলব।মা ফ্রি হয়ে কিনে এনে দেবে।”

“তোকে কি বললাম তোর কানে যায়নি? কালকে থেকে মানে কালকে থেকেই তোকে ওভাবে আসতে হবে। নাহলে তোর কলেজে আসার দরকার নেই। আমার ভালোবাসাতেই তোর সারাজীবন কেটে যাবে তাহলে তুই আবার চাকরি করবি কেনো?”

হৃদিতের ধমকে বলা কথাগুলো শুনে মেহরিমা ভয় পেয়ে যায়।ও জানালার দিকে চেপে যায়।মাথা নিচু করে ঠাঁয় বসে রয়।

“যা আরও এগিয়ে যা ওইদিকে।একেবারে গাড়ির ডোর ভেঙ্গে নিচে পড়ে যা।”

হৃদিতের এবারের বলা কথায় মেহরিমা আরও জড়সড় হয়ে বসে।ভয়ে ওর প্রাণ পাখিটা উড়ে যাওয়ার উপক্রম!

হঠাৎ হৃদিতের দৃষ্টি মেহরিমার রক্তজমা হাতের দিকে পড়তেই ওর মুখভঙ্গি পাল্টে যায়। নীল মণির চোখজোড়া লাল হয়ে ওঠে।হৃদিত ব্যাক ছিট তুলে পানি আর হ্যান্ড ওয়াশ বের করে।মেহরিমা তখনও নিজের অহেতুক ভাবনায় বিভোর হয়ে মাথা নিচু করে বসে আছে। হঠাৎ ডান হাতে টান পড়তেই মেহরিমা চকিতে চোখ তুলে তাকায় হৃদিতের দিকে।হৃদিত ততক্ষণে মেহরিমার হাতের রক্তজমা স্থানে পানি ঢেলে দিয়েছে।সেই পানিতে গাড়ির সিট, মেহরিমার জামা,হৃদিতের শার্ট ভিজে একাকার। হঠাৎ হৃদিতের এমন কর্মকাণ্ড মেহরিমা ঠিক বুঝতে পারছে না!ও থমকে তাকিয়ে আছে হৃদিতের মুখের দিকে।ফর্সা লম্বাটে মুখ টা লাল টকটকে হয়ে আছে। শক্ত শানিত চোয়াল যেন আরও শক্ত হয়ে গেছে। কপালের নীল রগ গুলো ফুলে উঠেছে।নীল রঙের চোখজোড়া হঠাৎ ই কেমন ভয়ংকর বর্ণ ধারণ করেছে।মেহরিমা ভয়ে শুকনো ঢোক গিলে।হঠাৎ করে হাতে ব্যথা আর জ্বলা অনুভব হতেই মেহরিমা আঁতকে ওঠে।হৃদিতের সেদিকে কোনো খেয়ালই নেই। ও বিড়বিড়িয়ে কিছু একটা বলে চলেছে আর হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে মেহরিমার হাত এমন ভাবে ডলে চলেছে যেনো হাতের চামরা টাই তুলে ফেলবে।মেহরিমা নিজের ব্যথা দাঁত চেপে সহ্য করে কান টা একটু এগিয়ে হৃদিতের কথা শোনার চেষ্টা করে।

“মাই লিটল কিটি,ইয়্যু আর অনলি মাইন।নো ওয়ান ক্যান টাচ ইয়্যু।”

এই কথাগুলোই হৃদিত বিড়বিড় করে বলে চলেছে। এবার আর ব্যথা,জ্বলা সহ্য করতে না পেরেই মেহরিমা শব্দ করে কান্না করে দেয়।মেহরিমার কান্নার শব্দ কর্ণগোচর হতেই হৃদিতের হাত জোড়া থেমে যায়‌।ও হুঁশে ফেরে।মেহরিমার সাথে এতক্ষণ ও কি করেছে সেটা ভাবতেই ওর চোখে মুখে অসহায়ত্বের ছাপ ফুটে ওঠে।হাতটার অবস্থা খুবই শোচনীয়।চামড়া ছিঁ ড়ে র ক্ত বের হওয়ার উপক্রম।মেহরিমা তখনও নিচের দিকে তাকিয়ে কান্না করে চলেছে।

“শীট!শীট!ড্যাম ইট!”

কথাটা বলেই হৃদিত হাত দিয়ে স্টিয়ারিংয়ে জোরে আঘাত করে।সেই শব্দে মেহরিমা কেঁপে ওঠে।তারপর দ্রুত টিস্যু দিয়ে মেহরিমার হাত মুছে দিতে দিতে বলে,

“আ’ম সরি লিটল কিটি। প্লিজ ফরগিভ মি।আই প্রমিজ নেক্সট টাইম আর কখনো তোকে এভাবে ব্যথা দিবো না। প্লিজ কান্না করিস না।এই দেখ কানে ধরছি।জান আমার এগেইন ছরি।”

হঠাৎ হৃদিতের কন্ঠস্বরের এমন পরিবর্তন দেখে মেহরিমার কান্না থেমে যায়।ও ফুলো ফুলো চোখ মুখ নিয়েই হৃদিতের দিকে চোখ তুলে তাকায়।হৃদিত বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টে ইনোসেন্ট ফেইসে কানে হাত দিয়ে মেহরিমার দিকে তাকিয়ে আছে।আজ হৃদিতের এই ব্যবহার,এই রুপ,এই সম্পূর্ণ হৃদিতটাকেই যেন নতুন লাগছে মেহরিমার কাছে!এমন কিউট লুক দেখে না চাইতেও মেহরিমা মুচকি হাসে।হৃদিত এবার গাড়ি স্টার্ট দিয়ে আস্তে আস্তে চালাতে থাকে।পরক্ষণেই বলতে শুরু করে,

“সোনা,তুই তো জানিস আমি তোকে কতোটা ভালোবাসি!তোর উপর অধিকার শুধুমাত্র আমার।আর কারোর না।তোকে কেউ স্পর্শ করবে, দেখবে এটা আমি সহ্য করতে পারি না।তাই তো রাগের মাথায় এমনটা করে ফেলেছি ।আ’ম সরি সোনা।”

কথাগুলো কর্ণগোচর হতেই মেহরিমার বক্ষ স্থল প্রশান্তি তে ছেয়ে যায়। নিজের হাতের ব্যথা ভুলে ওর মাথার মধ্যে হৃদিতের বলা শুধু একটা কথাই ঘুরপাক খেতে থাকে ‘তোর উপর অধিকার শুধুমাত্র আমার,আর কারোর না’।কিছুক্ষণ আগের হৃদিতের হিংস্র রুপটা যেনো অতি সহজেই ভুলে যায়! হয়তোবা কথায় বশীভূত হয়ে!তা নয়তো কি?মেহরিমা খুশি খুশি মনে মুচকি হেসে জিজ্ঞাসা করে,

“কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে?”

“হসপিটালে।ডক্টর দেখিয়ে তোর হাত ব্যান্ডেজ করতে হবে।খুব ব্যথা করছে জান?জ্বলছে খুব?”

হৃদিত কথাটা বলেই মেহরিমার ডান হাতটা ধরে ফুঁ দিতে থাকে।মেহরিমা প্রশান্তির হাসি দিয়ে বলে,

“এতক্ষণ জ্বলছিল।এখন শান্তি অনুভব হচ্ছে।”

#চলবে_________

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে