কাছে_আসার_গল্প পার্ট ১৬

0
3306

কাছে_আসার_গল্প পার্ট ১৬
লেখা আশিকা

সকালে দেখি হিমেল আমার উপর এক পা তুলে মরার মত ঘুমুচ্ছে।
আমি সাবধানে ওকে সরিয়ে উঠে আসলাম।
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে সবার জন্য নাস্তা বানালাম।
তখন দেখি মা আসছে..
— হিয়া তোমাকে এত সকালে সব কিছু কে করতে বলছে??
— মা আমি নিজেই করেছি। ক্যান তুমি খুশি হও নাই মা।
— ছি!! মা ক্যান খুশি হবো না।
যাও হিমেলকে ডেকে নিয়াসো।
আমি আচ্ছা বলে হিমেলকে ডাকতে গেলাম..
এখনো ঘুমুচ্ছে….
— এই উঠো, প্লিজ উঠ…..

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


উহু উঠছে না…
কি মরা ঘুম দিছে রে..
এই যে আমি গেলাম আর ডাকতে পারবোনা…
আমি যখনি উল্টো দিকে ঘুরে হাটা শুরু করলাম, তখনি হিমেল আমার হাতটা ধরে একটা হ্যাচকা টান দিলো…
আমি সরাসরি তার বুকে গিয়ে পড়লাম…
— কোথায় যাওয়া হচ্ছে??
হু??
সকাল বেলা আমি তোমাকে বিছানায় খুজি, না তুমি নাই।
কই গেছিলা??
— আচ্ছা আমার কি আর কোনো কাজ নাই। কিচেনে গেছিলাম রান্না করতে,আর এইবার আমাকে ছাড়ো..
আর ফ্রেশ হয়ে খেতে আসো..
— হুম খাবোতো অবশ্যই তবে..
তার আগে…
হিমেল আমার ঠোটের দিকে তার ঠোট এগিয়ে দিতে লাগলো..
আমি ঠোট সরিয়ে নিতে লাগলাম, আর সে আমার দুই গাল দুই হাত দিয়ে ধরে তার দিকে এগিয়ে নিলো…
উত্তেজনায় আমার শরির কাপছিলো…
এইসময় মিথি এসে পড়লো রুমে…
— ভাবী তুমি ভাইয়াকে খুজতে এসে নিজেই উধাও হয়ে গেলা…
বলেই আমাদের দিকে তাকায়…
মিথি এই অবস্থা দেখে উল্টো দিকে ঘুরে বলে ভাবি আমি কিছু দেখি নাই।
হিমেল এইটা শুনে আমাকে ছেড়ে দিয়া ওয়াশরুমে দৌড় লাগায়…
আমমি ক্যাবলাকান্তের মত মিথির দিকে তাকাই…
— মিথি তুমি যাও আমি আসছি।
আমি নিচে গেলাম। একটু পর হিমেল ও আসলো…
খাওয়া শেষ করে আমরা রুমে চলে আসলাম।

রুমে আসতেই হিমেল আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো..
— ইস, একটু যে রোমান্স করবো তারো উপায় নেই।
আমি তার দিকে ঘুরতেই সে আমাকে আরো ভালো করে জড়িয়ে ধরলো..
আমি হিমেলের দিকে তাকালাম..
তার চোখে মুখে দুষ্টুমি খেলা করছে…
হঠাৎ আমার ফোনটা বেজে উঠল…
আমি হিমেলকে সরিয়ে দিয়ে ফোনটা রিসিভ করতে গেলাম।
হিমেল ও আমার পিছে জোকের মত লেগে আছে।
আমি ফোনট হাতে নিতেই স্ক্রিনে দেখি তুষার..
আমি বিছানায় বসে ফোনটা হাতে নিয়া রিসিভ করে কানে ধরলাম…
হিমেল আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আমার ঘারে ঠোটের ছোয়া দিতে লাগল…
ওপাশ থেকে তুষার বলতে লাগল…
— এই মিউ মিউ তোর ফোন ধরতে এতক্ষণ লাগে…
কি করছিলিরে??
আমার তখন অন্যরকম অনুভুতি কাজ করছিলো…..
তাই ওর ফোনে আমি কিছুটা বিব্রত বোধ করছিলাম…
— তেমন কিছুই না।
— ও গেটটা খুল আমি তোর বাসার সামনে??
— মানে??
আমি তো বাসায় নাই।
আমি তো শ্বশুরবাড়ি…
— মানে?? তুই কেন গেছিস??
তোর যদি মিনিমাম আত্নসম্মান বোধ থাকতো, তাহলে তুই ওইখানে যেতি না। যে ছেলে তোকে ভালবাসেই না,তুই তার কাছে গেলি…
যদি তোকে ভালোই বাসতো তাহলে বিয়ের কয়েকদিন পরেই তোকে এইভাবে দিয়া যেতে পারতো না।
না। আর এতো কষ্ট ও দিতো না।
আমার মেজাজ পুরা খারাপ হয়ে যায়।
আমি বিছানা থেকে উঠে পড়ি
— তুই এইভাবে ওভার রি এক্ট করছিস ক্যান?? আমিতো সেটাই বুঝতে পারছিনা। আর আমি যা খুশি তাই করবো তাতে তোর কি??
তুই আমাকে ফোন দিবি না।
বলেই ফোন কেটে দিলাম।
আমি ফোনটা সাইলেন্ট করে দিলাম।
পিছনে তাকাতেই হিমেল বললো…
— কি হইছে??
কে ফোন দিছিলো??.
— আমার এক ফ্রেন্ড।
তেমন কিছু না।
হিমেল আমার কাছে আর এই বিষয়ে কিছু জানতে চাইলো না।
একটু পরেই শুনি বাবা আমাদের ডাকছে।
আমি আর হিমেল মা- বাবার রুমে গেলাম।
মা বললো..
মামা খুব অসুস্থ, তাই নানুর বাসায় যাবে, সাথে মিথিকে নিয়ে।
যেহেতু আমার এক্সাম সেহেতু আমি আর হিমেল যেতে পারছি না। মা আমার হাতে সংসারের চাবি তুলে দিলো।
কিছুক্ষণ পর সবাই চলে গেলো…
আর আমাকে বলে গেলো, আমি যেনো হিমেলের খেয়াল রাখি।আমি আর হিমেল একা বাসায়।
আমার খুব মুড অফ ছিলো।
তুষারের এই অপ্রাসঙ্গিক কথাগুলো শুনে আমার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে।
আমি শুয়ে পড়লাম।
হিমেল এসে আমার পাশে শুয়ে পড়লো…
— তোমার কি কোন কারনে মুড অফ??
— নাহ।
হিমেল অন্যদিকে ঘুরে শুয়ে পড়লো..
আমার মাথায় শুধু তুষারের কথাগুলোই ঘুরছিলো।
হঠাৎ মনে হলো হিমেল মনে হয় রাগ করছে?
— ওই কি হইছে??
অন্য দিকে শুয়ে আছো ক্যান??
আমার দিকে তাকাও।
— কি হবে তাকিয়ে…
তোমার পেচার মত মুখ দেখবো।
— হিমেল তুমি আমাকে কখনো ভুল বুঝে দূরে সরে যেও না।
হিমেল আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো….
–কি হইছে ময়না। তুমি হঠাৎএইগুলা বলছো ক্যান??
— না মনে হলো তো তাই বললাম।
প্লিজ বলোনা…
— নাহ রে আমার পাগলীকে ছেড়ে কোথায় যাবো।
তুমি ছাড়া এ জীবন ধু ধু মরুভুমি।
আই লাভ ইউ ময়না।
হিমেল একদম আমার কাছে চলে আসলো..
ওর নিঃশ্বাসের শব্দ আমার কানে বাজছে??
নিঃশ্বাস গভীর থেকে গভীরতর হতে লাগল
— হিয়া আজকে আর তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিও না।আমি তোমাকে আমার নিজের করে পেতে চাই..
খুব কাছে যেতে চাই..
খুব কাছে…
আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম..
হিমেল বুঝে গেলো…
নিরবতাই সম্মতির লক্ষন
আর সেই রাতে আমরা ভালবাসার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছে গেলাম…
চলবে।।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে