কাছে_আসার_গল্প পার্ট ১৪

0
3200

কাছে_আসার_গল্প পার্ট ১৪
লেখা আশিকা

সকাল হতেই আমার ঘুম ভেংগে যায়…
মিথিটা আমাকে এতো সকালে দেখে যাহ করলো…
–কি ভাবি চোখে ঘুম আসলো না?? আজকে তো অন্তত বেশি করে ঘুমিয়ে নিতে পারতা??
এর পর…….
তো
— এরপর কি??
খুব পাকনা হয়ে গেছো না…
— ভাবি মুই আগেই পেকে বসে আছি…
— সেই তো
তাইলে কি বর নিয়াসবো??
দেই বিয়ে??

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


হু
— নাহ ভাবি।আগেতো পড়াশোনা শেষ করি পরে বিয়ে।
— গ্রেট ননদিনী।
সকাল থেকেই আমার অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করতেছিলো।
আম্মুকে কালকে থেকে আর কল দেয়া হয় নাই।
আমার শাশুড়ি মা বলেছেন, কালকে আমার বাসার সবাই নাকি আমাকে খুজছিলো আর খুব টেনশন করছিলো।
পরে এই বাসায় ফোন করে নিশ্চিত হয়েছে।
সেই থেকে আর ফোন করেনি…
— কি হলো ভাবি কি ভাবছো??নিশ্চয় ভাইয়ার কথা??
— আরে নাহ, আমি একটু মাকে ফোন করে আসি।
— আচ্ছা যাও।
আমি মাকে ফোন দিলাম..
— হ্যালো মা, তোমরা কেমন আছো??
— তুই তো ভাল আছিস।আমরা কেমন আছি সেটা তোর জানার দরকার নাই।
— মা প্লিজ তোমরা আমার উপর রাগ করোনা।
— এই তোর কি কোন মান সম্মান নেই??
তোর নেই তো ভালো কথা তোর বাবার মান সম্মানের কথা তুই ভাবিলি না?
— কেনো??
আমিএমন কিছু করিনাই যাতে তোমাদের মান সম্মান যায়।
— ও তুমি কিছুই করো নাই??
যে স্বামী তার বউকে বাপের বাড়িদিয়া উধাও হয়ে যায়, আর কেমন শ্বশুর শ্বাশুড়ি খবর নিলো না তুমি তাদের কাছে চলে গেল।
তোমার বাবা খুব রাগ করেছে।
হিমেল তোমাকে যেমনে দিয়া দিছে সেইভাবে পায়ে ধরে নিয়া যেতে হতো। তুমি কি ফেলনা নাকি??
আর তুমি কি করলা, ব্যাকুল হয়ে চলে গেলা।
সে পর্যন্ত যেতেই দিলা না।
— মা হইছে তো। এবার থামো।
— হুম, এইবার থেকে নিজের ভালো নিজেই বুজার চেষ্টা করবা কেমন??
ভালো থেকো। আমি রাখি।
মা স্পষ্ট রাগ নিয়ে ফোনটা কেটে দিলো।
আমি একরাশ বিরক্তি নিয়া বসে আছি মার এই উদ্ভট কথাগুলো শুনে।
— ভাবী এইদিকে আসো।
মিথি ডাকছে, আজকে আমি হিমেলের প্রছন্দের সব রান্না করবো।
রান্না কম্পলিট করেই আমি শাওয়ার নিলাম।
আজকে আমি একটা লাল শাড়ি পড়েছি, কানে বড় বড় ঝুমকা, গলায় একটা লম্বা চেইন পড়েছি।
হাতে আমি বালা পড়ছিলাম।
তখন লাল কাচের চুড়ির দিকে আমার চোখ আটকে যায়…
— ভাবি তুমি কাচের চুড়ি পড়বা??
ভালোই লাগবে..
— নাহ…
অসম্ভব।
— কেনো ভাবি??
— এমনি
— উ হু..
আমি জানি তুমি ভয় পাচ্ছো।
বলেই মিথি হাসতে লাগল।
— দেখো হাসবা না??
তোমার ভাই রেগে গেলে পুরা ররক্তারক্তি অবস্থা হয়ে যাবে।
তখন…
— তখন আবার কি??
একটু বেশি ভালবাসা দিয়া পুষাই দিবে।
— এই পাকনামো না কর সাজটা কমপ্লিট করো।
— হুম দিচ্ছি…
তবে ভাইয়া আসলে আমার কমিশনটা কিন্তু আদায় করে দিবা??
— হুম দিবো।
আমি হালকা সাজলাম, বেশি সাজ আমার প্রছন্দ না।
ওইদিকে হিমেল আসার সময় হইতেছে…
ভয়ে আমার কলিজায় পানি চলে আসতেছে…
কলিং বেল বাজছে…
কেউ খুলছে না..
কই গেলো সবাই…
অগত্যা আমাকেই যেতে হল…
দরিজা খুলতেই দেখি হিমেল,
কেমন কালো হয়ে গেছে, চোখগুলো কোটরে ঢুকে গেছে…
কেমন শুকনো লাগছে…
ওকে দেখে আমার ধুকপুকুনি শুরু হয়ে গেছে…
শেষ রক্ষা আর করতে পারলাম না সোজা হিমেলের বুকে গিয়ে পড়লাম।
শক্ত করে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
হিমেলের হৃৎপিন্ডের ধক ধক শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছি..
আমার ভিতরটা তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে….
আমি অনবরত কেদেই চলেছি..
আমার নাকের জলে, চোখের জলে হিমেলের শার্ট ভিজে যাচ্ছে।
হিমেল নির্বিকার ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
কোন কথা নাই। কিছুক্ষণ চুপ।
না সে আমাকে সরিয়ে দেয় নাই।
আমি আরো শক্ত করে পেছন থেকে তার শার্ট খামচে ধরে আছি।
ও শান্ত গলায় বলে উঠলো,
— হিয়া কি হচ্ছে??
পিছনে তাকাও দেখো মা আর বাবা। কি ভাবছে??
সরো, ভিতরে যেতে দাও।
এই কথা বলতেই আমি বর্তমানে ফিরে এলাম।
এতক্ষণ যেনো এক অন্য জগতে ছিলাম।
এই জগতে শুধু হিমেল বিরাজ করে অন্য কেউ না।
চলবে।।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে