কাকতাড়ুয়া পর্ব-০৮

0
995

#কাকতাড়ুয়া
#পর্ব_৮
#লেখিকা_নূরজাহান_ফাতেমা
_____
মাথার উপরে ইলেকট্রিক পাখা তার পূর্ণ গতি নিয়ে ঘূর্ণায়মান।ঠান্ডা বাতাসে শিরায় শিরায় ছড়িয়ে যাচ্ছে শীতল অনুভূতি।পিট পিট করে চোখ মেলে তাকালাম আমি।নিজেকে আবিস্কার করলাম এক হসপিটালে কেবিনে।আশ্চর্য বনে গেলাম।আমি এখানে এলাম কি করে।ধরফড়িয়ে উঠতে নিতেই মাথায় চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হল।মাথায় হাত দিয়ে বুঝতে পারলাম ব্যান্ডেজ বাধা।পাশাপাশি হাতের কনুইয়েও টান অনুভব করলাম।ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখি জায়গায় জায়গায় ছিলে গিয়েছে।হাতের দিকে পুর্ণ দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আশ্চর্যের চড়ম পর্যায়ে পৌঁছে গেলাম আমি।হাতের ক্ষত অংশ কালচে রঙ ধারণ করেছে।বুঝতে বাকি নেই কয়েক দিন আগে কেটেছে।তারমানে মাঝে বেশ কয়েকদিন সেন্সলেস ছিলাম।আশেপাশে তাকিয়ে মানুষ খুজতে লাগলাম।জানা দরকার কতদিন হল এখানে আছি।আর আমাকে হসপিটালে ভর্তিই বা করেছে কে?নিজের শরূরে সর্বোচ্চ ভর দিয়ে দাড়ানোর চেষ্টা করলাম।সাথে সাথেই শরীর জানান দিলো তার অক্ষমতার কথা।বার কয়েক চেষ্টা চালিয়ে শুয়ে পড়লাম আবার।ধীরে ধীরে সময় গড়ালেও কারো উপস্থিতি মিলছে না।নিথর দেহে হসপিটালের বেডে পড়ে রইলাম আমি।মষ্তিস্ক ধীরে ধীরে সচল হচ্ছিলো।এক এক করে ফিরতে লাগলো আমার সকল স্মৃতি।সেদিন রাতে সিএনজির ভিতরে ছিলাম আমি।সিএনজি ওয়ালার মতলব বুঝতে পেরে চিন্তায় অধীর ছিলাম।চোখ বন্ধ করতেই অক্ষিপটে নিশান ভাইয়ের মুখটা ভেসে উঠেছিলো।তার বলা প্রতিটা কথা থেমে থেমে নিউরনে কম্পন তুলেছিলো।

“যতদিন পরই ঢাকা থেকে ফিরি তোকে যেন অক্ষত দেখতে পাই।……নিজের সব বিপদ থেকে মুক্তির পথ নিজেকেই বের করতে হয়।…সব সময় স্ট্রং থাকিস।”

কিছুসময় নিশ্চুপ থেকে ছক আঁকছিলাম কি করা যায়।কিয়ৎপরিমাণ সময় অতিবাহিত হলে বুঝে গিয়েছিলাম আমার কর্তব্য।কোন কিছু না ভেবেই হুট করে পিছন থেকে সিএনজি ওয়ালার শার্টের কলার স্বজোড়ে টেনে ধরলাম আমি।আকষ্মিক আক্রমণে সি এন জি ওয়ালা তাল সামলাতে পারেনি।হারিয়ে ফেললেন গাড়ির নিয়ন্ত্রণ।এলোমেলো গতিতে চলতে চলতে রাস্তার সাইডের পুরাতন গাছের সাথে সংঘর্ষ লাগল গাড়ির।ততক্ষনাৎ গাড়ি উল্টে গেল।মারাত্মক আঘাত পেলাম মাথায়।গলগল করে লাল বর্ণের তল পদার্থ চুইয়ে পড়ছে সেখান থেকে।হাত দিয়ে রাস্তা আকড়ে ধরে সি এন জি এর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলাম।পাকা রাস্তার পিচের আচড়ে ছিলে গেল শরীরের বিভিন্ন অংশ।অনেক কষ্টে অর্ধেক শরীর বের করলাম কোনমতো।মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় ধীরে ধীরে সব ঝাপসা হয়ে গেল আমার।আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও সেখান থেকে পূর্ন রুপে বের হতে পারিনি।তারপরে আর কিছু স্মৃতিতে নেই।হাজার চেষ্টা করেও আর কিছু মনে করতে পারলাম না।তখনই হয়তো সেন্সলেস হয়েছি।হঠাৎ কেবিনের দরজা খোলার শব্দ হলো।তড়িৎবেগে সেদিকে তাকালাম আমি।অক্ষিগোচড়ে ভেসে উঠল একটি অপরিচিত পুরুষ কায়া।আমাকে সজ্ঞান দেখে পুলকিত হলেন তিনি।স্মিত হাস্যে আমাকে বললেন,

“আলহামদুলিল্লাহ আপনার সেন্স ফিরেছে অবশেষে।আমি তো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।”

“আ..আপনি কে?”

মিনমিনে স্বরে প্রশ্ন করলাম আমি।অপরিচিত একটা লোকের সামনে শুয়ে থাকতে বেশ অসস্তি হচ্ছে আমার।দুই হাতের তালুতে ভর দিয়ে উঠার চেষ্টা করলাম।ব্যস্ত হলেন তিনি।

“রিলাক্স।আমাকে দেখে ইতস্তত হওয়ার কিছু নেই।
আপনাকে এখানে আমিই নিয়ে এসেছি।এবং এতোদিন আমিই ছিলাম আপনার পাশে।এখন আপনার বাবা অথবা মায়ের নাম্বার বলুন।
এতদিন তাদের মেয়ে বাড়িতে নেই।নিশ্চয়ই
চিন্তিত আছে তারা।আপনার অবস্থানটা তাদের জানানো দরকার।আপনার সাথে কোন ফোন বা এড্রেস কিছুই না পাওয়ায় যোগাযোগ করতে পারিনি কারো সাথে।তাদের হাতে আপনাকে তুলে দিলেই দ্বায় মুক্ত হব আমি।”

প্রতিক্রিয়ায় কিয়ৎকাল নীরব রইলাম আমি।আব্বুর নাম্বারটা বেশ বাচ্চকালে মুখস্থ করেছিলাম।সেই নাম্বার ছাড়া অন্য কারো নাম্বার মনে থাকে না আমার।কিন্তু তাকে কল দিয়ে কোন ফায়দা হবে না।তিনি কখনোই আসবেন না।বড়জোড় মামাদের কল দিবেন।কিন্তু কল দিব না তাকে।আমার জীবনের সকল বিপদ ও অশান্তির মুল শিকড় যারা পুতে দিয়েছে তাদেরকে নিজের বিপদে পাশে কখনোই ডাকব না আমি।বুক চিরে বেরিয়ে এল দীর্ঘশ্বাস।প্রত্যেকটা সন্তানই তাদের খারাপ সময়ে বাবা-মাকে কাছে চায়।বিভিন্ন বায়না করে সেই সময়ে।বাবা,মাও তখন সন্তানের কষ্টটা একটু লাঘব করতে সব আবদার পুরন করে।আলাদা আইটেম রান্না হয় সন্তানের জন্য।আমি এমনি এক হতভাগা এতো আদর আহ্লাদ পাওয়া তো দুরে থাক তাদের উপর বিন্দু মাত্র অধিকারটুকু নেই আমার।কষ্টে বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল।বহিঃপ্রকাশ করলাম না।নিজেকে দ্রুত ধাতস্থ করে ফেললাম।শাণিত কন্ঠে প্রশ্ন করলাম,

“আমি কতদিন হলো এখানে আছি?আমাকে পেয়েছেনই বা কীভাবে?”

তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,

“সেদিন ওই রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম আমি।একটা উল্টানো সিএনজিএর পাশে আপনার অর্ধেক দেহ দেখে সাহায্য করতে এগিয়ে যাই।ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করে দেখি ভিতরে গাড়িওয়ালার উপস্থিতি।গাড়িওয়ালা ও আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি দ্রুত।লোকটা ঘটনাস্থলেই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেছিলেন।আপনি গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন না।কিন্তু আঘাতটা মাথায় পড়ায় এবং প্রচন্ড ভয় পাওয়ার দরুন সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলেন।মাঝে দুইদিন কেটে গেছে।এতোদিনে আপনার জ্ঞান ফিরল।”

ওনার কথার প্রতিক্রিয়া স্বরুপ ছোট করে বললাম,

“ওহ।”

“আচ্ছা এক্সিডেন্টটা হয়েছিলো কিভাবে?আশেপাশে তো অন্য কোন বিধ্বস্ত গাড়িও ছিলো না।”

যেই মানুষটা আমার প্রান রক্ষায় সাহায্য করেছে ওই ঘটনা জানার অধিকার আছে তার।গট গট করে সব কাহিনি বর্ননা করলাম তার কাছে।শুনে মনটা খারাপ করে ফেললেন তিনি।একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,

“লোকটা একা এক মেয়ে পেয়ে সুযোগ নিতে চেয়েছিলো।হয়তো সে কোন নারী পাচার চক্রের সাথে জড়িত না হয় আপনার সম্মান নষ্ট করার আকাঙ্খা জেকে বসিয়েছিলো।আসলে আমরা পরিকল্পনা করি এক।আর আল্লাহ করে আরেক।অবশ্যই আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী।হায়েনাদের সব নষ্ট পরিকল্পনা ভেস্তে নিষ্পাপদের তিনিই রক্ষা করেন।”

অধরে ফুটিয়ে তুললাম সেই রহস্যময়ী হাসি।তার কথায় সায় মিলিয়ে বললাম,

“ঠিক বলেছেন।লোকটা আমার ক্ষতি করতে চেয়েছিল।বিনিময়ে প্রান হারালেন তিনি।সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা তারই হল।”

“হুম।আপনার বাবা-মা’র নাম্বার তো বললেন না?”

টপিক চেঞ্জ করে প্রশ্ন করলেন তিনি।ভাবলেশহীন ভঙ্গিতে জবাব দিলাম,

“বাবা-মা নেই আমার।মামা বাড়ি আশ্রয়স্থল।”

“তো আপনার মামার নাম্বারটাই বলুন।”

“দরকার নেই।আমি একাই চলে যেতে পারব।আপনি শুধু রিলিজের ব্যবস্থা করে দিন।যতটাকা খরচ হয় জানাবেন।আমি পরে মিটিয়ে দিব।”

কিছুটা অবাক হলেও সম্মতি জানালেন তিনি।আমার ব্যক্তিগত ব্যপারে হস্তক্ষেপ করা তার নীতি বহির্ভুত।

_______
নিজেদের গ্রামের রাস্তায় ঢুকতেই আমাকে নামিয়ে দিতে বললাম ওনাকে।আমি একা আসতে চাইলেও একা ছাড়েন নি তিনি।শরীরের অবস্থা ততটা জটিল না হলেও আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে তবেই ক্ষ্যান্ত হবেন জানিয়েছেন।নিজের কাছে কোন টাকা না থাকায় আমিও আর আপত্তি করিনি।মটর সাইকেলের গতি কমিয়ে তিনি প্রশ্ন করলেন,

“কি ব্যাপার এখনই নেমে যেতে চাইছেন যে।আপনার বাড়িই তো পেলাম না।আর আপনার কাছে টাকাও নেই।আমার টাকা পরিশোধ করবেন না?”

“হুম অবশ্যই করব।আপনার নাম্বারটা দিন।আমি টাকা নিয়ে নিজে আপনার হাতে পৌঁছে দিব।”

প্রতিউত্তরে স্মিত হাসলেন তিনি।লুকিং গ্লাসে স্পষ্ট ফুটে উঠল তার গালের ডিম্পল।

“আরে আমি তো মজা করেছি।টাকা লাগবে না আমার।সরকারি হসপিটাল।অত খরচও হয়নি।”

“তবুও ঋন রাখতে চাই না।আমাকে কেউ সাহায্য করলে তা ফিরিয়ে দিতে না পারলে ভীষণ খারাপ লাগে আমার।”

“তাহলে ঋনটা তুলে রাখেন।সময় হলে সুদে আসলে চেয়ে বসব।তখন ফিরিয়ে দিয়েন।”

“সুদ নেওয়া দেওয়া উভয়ই পাপ।আমি আসলটাই দিব শুধু।তার আগে আপনি দয়া করে গাড়িটা থামান।”

“এত নামতে চাচ্ছেন কেন?আমাকেও কি ওই সিএনজি ওয়ালার মতোই ভাবছেন?ভয় পাচ্ছেন?শোনেন অতটা খারাপ ছেলেও না আমি।দুইদিন আমার সাথেই নিরাপদে ছিলেন ভুলে যাবেন না।”

হাজার বলেও গাড়ি থামাচ্ছিলেন না তিনি।ব্যাপারটা পেচিয়ে ফেলছিলেন।গ্রামের প্রায় সব মানুষই আমাকে চিনে।একটা অপরিচিত ছেলের সাথে এভাবে দেখলে প্রচুর বাজে কথা শুনতে হবে।তার উপর দুইদিন বাড়ি ছিলাম না।যত খারাপই হোক মামা মামি নিশ্চয়ই তলব করেছেন।লোকেও জানাজানি হয়ে গেছে ব্যাপারটা।

“ভয়টা আপনাকে নয়।ভয় তো অন্য জায়গায়।আপনার সাথে আমাকে কেউ দেখে ফেলবে এটাই প্রধান ভয়।”

“আমার সাথে আপনাকে কেউ দেখলে কি সমস্যা?”

“গ্রামের মানুষ বাজে ভাবে ব্যাখ্যা দিবে এটাকে।কলঙ্ক লাগবে গায়ে।এমনিতেই এতিম মেয়ে আমি।”

“কলঙ্ক লাগলে বিয়ে করে ফেলব আপনাকে।আমার তো মনে হয় এতিম মানুষ বউ হিসেবে উত্তম।ঝগড়া লাগলেও বাবার বাড়ি যাওয়ার গরম দেখাবে না।”

ওনার এমন বক্তব্যে ভ্যাবলাকান্ত হয়ে গেলাম।চোখ গোল গোল করে তাকিয়ে রইলাম।উনি স্বজোড়ে হেসে দিলেন।মটর সাইকেলে ব্রেক কষিয়ে বললেন,

“নামেন এখন।ওইযে আপনাদের বাড়ি দেখা যাচ্ছে।এখন হেটে চলে যান।”

এখনও ঠায় বসে রয়েছি আমি।নিস্কম্প নয়নে ওনার দিকে তাকেয়ে আছি।উনি পিছে ঘুরে আমার চোখের সামনে হাত নাড়া দিলেন।

“এই যে ম্যাডাম।কি হল নামেন।”

সম্বিৎ ফিরে আমার।তড়িঘড়ি করে নেমে পড়লাম।
আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম কেউ নেই।দ্রুত প্রস্থান করতে লাগলাম।হটাৎ মনে পড়ল ঋন যে পরিশোধ করব কোথায় পাবো ওনাকে।নামটাও তো জানা হল না ওনার।দ্রুত ঘুরে দাঁড়ালাম।কিন্তু আগেই ঘ্যাড় ঘ্যাড় আওয়াজ তুলে মটর সাইকেল ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।কার্বন মনো অক্সাইডের কালো ধোয়া উড়িয়ে নিমিষেই মিলিয়ে গেলেন চোখের আড়ালে।নামটা আর জানা হল না আগন্তুকের।

________
বাড়িতে পা রাখতেই মামির ব্যকুল কন্ঠ কানে বাজল,

“এই দুইদিন কোথায় ছিলি তুই এরিন?তোর কিছু হয়নি তো?কতটা চিন্তায় পড়েছিলাম আমরা ভাবতেও পারবি না তুই।আচ্ছা তুই যে আসবি না এটা আমাদের একবার ফোন করে জানালেও তো পারতি।”

“আমার মামার নাম্বারটা জানা নেই।”

“কতবার করে বলি তোর মামার নাম্বারটা মুখস্থ রাখতে।কতশত বইয়ের পড়া মনে রাখিস আর একটা নাম্বার মনে রাখতে পারিস না?আমাদের এভাবে চিন্তায় পড়তে হয় না তাহলে।”

মামির কথাবার্তায় আশ্চর্য হচ্ছি আমি।তার এই ব্যবহার আমার জন্য অপ্রত্যাশিত।এর চেয়ে যদি তিনি আমাকে বলতেন,

“শেষ পরীক্ষা উদযাপন করতে কোন নাগরের কাছে গিয়েছিলি তুই?যে নাগরের কাছে দুই রাত কাটিয়ে এসেছিস তার কাছেই ফিরে যা।এ বাড়িতে নষ্টা মেয়ের কোন জায়গা নেই।”

একটুও অবাক হতাম না আমি।এমন কিছু শোনার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই বাড়িতে প্রবেশ করেছি।কিন্তু বিপরীতধর্মী আচরণ পাওয়ায় প্রতিক্রিয়া শূন্য হয়ে রইলাম।ঘরে প্রবেশ করার আগেই বোরকা খুলে ফেললাম।এই ধুলোময় বোরকা ঘরে তোলা যাবে না।লগা করে মুখ ও মাথায় পেচানো হিজাব সড়াতেই আঁতকে উঠলেন মামি।

“আল্লাহ এটা কি হয়েছে তোর?”

মামিকে এক্সিডেন্টের ঘটনা খুলে বললাম আমি।একটা ভদ্রলোক আমাকে হসপিটালে নিয়ে গিয়েছিল তা না হলে আমি প্রানে বাঁচতাম না তাও জানালাম তাকে।মামি আমাকে আচমকা জড়িয়ে ধরলেন।মামির শরীরের মৃদু কম্পন জানান দিচ্ছে ওনার চাপা কান্না।কান্নামিশ্রিত কন্ঠেই তিনি বললেন,

“আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া তোর কিছু হয় নি।কাল মাদরাসায় বাড়ির বড় মোরগটা ছদকা করব।”

কানে বাজল এক বোবা বাচ্চার কন্ঠ ধ্বনি।কি বলবে ইশারা করতেই মামির দিকে এগিয়ে দিলো একটি চিরকুট।তাতে লেখা,

“যত দান ছদকা আছে করে নাও এসমতয়ারা।তোমার ননদের মেয়ের ভাগ্য সব সময় সুবিধাজনক হবে ভেবো না।আমার জালে পা তাকে রাখতেই হবে।”

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে