#উপন্যাস
#কনে_দেখা_আলো
#পর্ব_সাত
মানুষের এসব অন্ধ বিশ্বাসের শেকড় অনেক শক্ত হয়। এটা জানে বলেই চুপ করে থেকেছে জামান শিকদার সাহেব। চাকরিজীবনে নয়, তার নিজের ব্যক্তিগত জীবনে এমন একটি অভিজ্ঞতা আছে।
তখন জামান শিকদার কলেজে পড়ে। মফঃস্বল শহরের একটি কলেজ। তারা তিন বন্ধু হোস্টেলের একটা রুম শেয়ার করে থাকত। তিন বন্ধুতে দিনমান পড়াশুনা আড্ডাবাজি আর এটা সেটা মৌজমাস্তি করেই মজারসে দিন পার করত। মা-বাবাকে ছেড়ে প্রথম বাইরে থাকতে এসে তাদের তিনজনেরই কিছুটা পাখনাও গজিয়ে গিয়েছিল। প্রথমদিকে মাসে কদাচিত একটা সিনেমা দেখতে যেত দূরের সিনেমা হলে। হোস্টেলে ফিরে হোস্টেল সুপারকে কী কৈফিয়ত দিবে, সেটার ফর্দ বানানো চলত দু’দিন আগে থেকে। তারপরও ধরা পড়ে গেলে শাস্তি জুটত বিস্তর। সেসব দিনের কথা মনে পড়লে এখনও স্মৃতিকাতর হয়ে ওঠে জামান শিকদার।
সেই হোস্টেলে থাকাকালীন সময়েই তারা একটি গুঞ্জন শুনতে পেয়েছিল। এক কান দু’কান হয়ে সেই গুঞ্জন ছড়িয়ে গিয়েছিল পুরো হোস্টেলে। এল শেপড হোস্টেলটার পেছনের ফাঁকা জায়গাটায় আম জাম নারকেল তেঁতুল এসব নানারকম ফল ফলারীর গাছ ছিল। গাছের ফল ছাত্রদের জন্যও বরাদ্দ ছিল। হোস্টেল সুপার এসব ব্যাপারে অনুদার ছিলেন না। হোস্টেলের বাথরুমগুলোর অবস্থান ছিল পেছন দিকটায়। সেটার জানালা দিয়ে এই গাছগুলো চোখে পড়ত।
একদিন বেশ অনেক রাতে বাথরুমে গিয়ে এক ছেলে ভীষণ ভয় পেল। ভয়ের চোটে তার মুখ দিয়ে গোঙানির মতো আওয়াজ বেরুতে লাগল। ভাগ্য ভালো যে, হোস্টেলের চৌকিদারের নজরে পড়ে বিষয়টা। সে ধরাধরি করে ছেলেটাকে তার রুমে পৌঁছে দিয়ে যায়। ছেলেটা অল্প সুস্থ হওয়ার পরে বলে, সে নাকি তেঁতুলগাছের ডালে বসে একজনকে দোল খেতে দেখেছে। লম্বা চুলের সুন্দরী একটা মেয়ে। জোরে জোরে দোল খেতে খেতে মেয়েটা গুনগুন সুরে গান করছিল।
প্রথম প্রথম দু’একজন এটাকে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কেউ কেউ হাসাহাসি করেছিল। ছেলেটাকে নিয়ে ব্যঙ্গ রসাত্মক সব গল্প বলছিল। কিন্তু দিনে দিনে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করল। আরও দু’একজনও নাকি একই দৃশ্য দেখে ফেলল। আর প্রত্যেকেই প্রায় মাঝরাতের দিকেই এই দৃশ্য দেখতে শুরু করল। একটু বেশি রাত জেগে যেসব ছেলেরা পড়ত, তারা আর কেউ বেশি রাতে বাথরুমে যেতে সাহস করত না।
জামান শিকদার ভিতু ছিল না কোনো দিনই। তাই এসব কানকথাকে কখনোই পাত্তা দেয়নি সে। হোস্টেলের ছেলেপুলের এই কুসংস্কার আর অযথা ভীতিকে দূর করার জন্য মাঝরাত্তিরে উঠে বাথরুমের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখেছে। এটা নিয়ে হাসিতামাশা করে বিষয়টাকে হাল্কা করারও চেষ্টা করেছে। কিন্তু এসবের ফলাফল হয়েছে শূন্য। মাঝখান থেকে অনেকেই তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেছে। তাদের রুমের ভীতুর ডিম মানিকের সাথেও একদিন সেই দোল খাওয়া পেত্নির দেখা হয়ে গেল। একদিন কিছুটা কাকতালীয়ভাবেই রাতের বেলা তাদের রুমের বাল্বটা খুব শব্দ করে বার্স্ট করলো। ঝড় নাই বাতাস নাই, আরেকদিন এক রুমমেটের টেবিল ল্যাম্পটা ঠাস করে নিচে পড়ে গেল।
মানিকের স্থির বিশ্বাস জন্মে গেল, এই রুমের দিকে কারো বদনজর পড়েছে। সেখান থেকেই এমনটা হচ্ছে। জামান বাদে অন্য রুমমেটরা তেমন উচ্চবাচ্য করলো না। কিন্তু জামানের কেমন যেন রোখ চেপে গেল। তাকে যেন প্রমাণ করতেই হবে, ঐসব পেত্নি ফেত্নি সব ফালতু কথা। হয়ত কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে ছেলেদের ভয় দেখাচ্ছে। কোনো উদ্দেশ্য হাসিলের ফন্দিও হতে পারে। মাঝরাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বন্ধুদের একরকম জোর খাটিয়েই বাথরুমের কাছে নিয়ে যেতে চাইত জামান শিকদার। এইসব বাড়াবাড়ি করার জন্য মানিক একসময় রুমই ছেড়ে দিলো। অন্য দুজন রুমমেটও তার সাথে খুব বেশি কথাবার্তা বলত না আর। ইচ্ছে করেই সব কাজে এড়িয়ে চলতে শুরু করল। কলেজে পড়ার বাকি সময়টা একরকম একঘরে হয়েই থাকতে হয়েছে তাকে।
মানুষের অন্ধবিশ্বাসের জোরটা সেদিনই প্রথম অনুভব করেছিল জামান শিকদার। কিছু কিছু জিনিস মানুষ চোখ বন্ধ করে মেনে নিতে ভালোবাসে।
এই এলাকাটি বর্ডার অঞ্চলে পড়েছে। ওপাশেই পার্শবর্তী দেশের সীমানা। তাই এমনিতে বড় কোনো খুন খারাপি বা এই জাতীয় ঘটনার ব্যস্ততা না থাকলেও পাচার সংক্রান্ত কিছু কেস আসে থানায়। কাপড়চোপড়, ফসলাদি, মশলাপাতি এমনকি বাসনকোসন… সবকিছুই দুই দেশের মধ্যে পাচার চলে। মাঝে মাঝেই ছুটকো ছাটকা লোকজনদের ধরে নিয়ে আসে থানার হাবিলদার। তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। লুকোছাপাও কিছু করে না। দু’চারটা কিল ঘুষি গায়ে পড়তেই গড় গড় করে সবকিছু উগরিয়ে দেয়। সামান্য কিছু টুপাইস কামানোর জন্য দেশের পণ্য পাশের দেশে পাচার করছে। লেনদেনে মূল্য পরিশোধ হওয়ার পরে অল্প কিছু টাকাই জমা হয় পাচারকারীর ঝুলিতে। নিজেদের অন্য কাজের পাশাপাশি এই কাজ তারা দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। কথা শুনলে বোঝা যায়, চড় থাপ্পড়ের তোয়াক্কা তারা করে না। ওসব কিছু গায়ে পড়লেও তেমন কিছু আসে যায় না। থানা পুলিশ আছে নিজেদের জায়গায়, আর তারা তাদের জায়গায়।
জামান শিকদার বুঝেছে, এদের ঠেকাতে গেলে যে টহল পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে তা সে এই সামান্য লটবহরে সামাল দিতে পারবে না। আর তাছাড়া সামান্য কুলি মজুর শ্রেণীর লোকজন এরা। খুব বেশিকিছু করার সাধ্য এদের নেই। দুই দেশের মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে সামান্যকিছু এদিক সেদিক করে মাত্র। কিন্তু যদিও তা অবৈধ, একটু আধটু শাসন না করলে একেবারে মাথায় চড়ে বসে থাকে।
সেইরকম একজনকে আজ শাসন করতে গিয়েই বেশ বড়সড় চমকের দেখা পেয়েছে জামান শিকদার।
একহারা গড়নের সাদাসিধে দেখতে লোকটাকে ধরে এনেছিল এক হাবিলদারই। হাতে বড়সড় ব্যাগ দেখতে পেয়েই দাবড়ানি দেয়। লোকটা কেমন যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিল। ব্যাগ হাতে সন্দেহজনকভাবে কাউকে দেখতে পেলেই পুলিশের লোক একটা দাবড়ানি দিবে, এটা তারা জানেই। ধরা পড়লে মালপাত্তি কিছু খোয়াতে হবে এটাও ভালোমতই জানা আছে তাদের।
কিন্তু এই লোকটা দাবড়ানি খেয়ে কেমন যেন হতচকিত চোখে তাকাচ্ছিল। ভাব দেখে মনে হচ্ছিল, সে কিছু একটা লুকাতে চাইছে। অথচ অভিজ্ঞতা থেকে হাবিলদার জানে যে, এরা ধরা পড়েও বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় না। জানেই যে, কিছু কিল থাপ্পড় আর কিছু আক্কেল সেলামী…ব্যস! এর বেশি কিছুই হবে না। কিন্তু এর ভাবভঙ্গি এমন দেখাচ্ছে কেন?
সন্দেহ হতেই লোকটাকে জেরা করা শুরু করে হাবিলদার। জেরার এক পর্যায়ে অত্যন্ত ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে লোকটা পালানোরও চেষ্টা করে। ফলে আরও শক্ত করে চেপে ধরা হয় তাকে। সাথের পোঁটলা খুলে ভালোমত দেখতে গিয়েই বড়সড় হোঁচট খায় পুলিশের হাবিলদার। পোঁটলার মধ্যে থেকে উঁকি মারছে একটা পিস্তল। সাথে কিছু গোলাবারুদ। সেগুলো অবশ্য ঢেকে রাখা হয়েছে নানারকম আচার চাটনি এসবের প্যাকেট দিয়ে।
লোকটাকে ধরে আনা হয় থানায়। রাস্তায় সে অনেকবার হাবিলদারের পায়ে পড়ার চেষ্টা করে। নানাভাবে বোঝাতে চেষ্টা করে যে, কেউ তার পোঁটলায় এইসব জিনিস ভরে দিয়েছে। এগুলো মোটেও তার জিনিস নয়। সে সীমানার এই পাড় থেকে পাশের দেশের আচার চাটনি এসব জোগাড় করে। বিনিময়ে সেও এমন কিছু খাবার দাবারের জিনিস ঐ পাড়ে চালান করে। কিন্তু আজকে পোঁটলা খুলে সে হতভম্ব হয়ে গেছে। তার পোঁটলায় এসব পিস্তল গোলাবারুদ কই থেকে এলো সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না। হয়ত কেউ ভুল করে এসব ভরে দিয়েছে।
এমন আজগুবি ব্যাখ্যায় হাবিলদারের মন ভরবে না জানা কথা। সে থানায় ফিরে লোকটাকে আচ্ছামতন উত্তমমধ্যম দেওয়ার ফন্দিফিকির শুরু করে। ওসি স্যারকেও দেখানো দরকার জিনিসটা।
ওসি জামান শিকদার নিজেও হতভম্ব হয়ে পড়ল এই বস্তু দেখে। এই থানায় আসার পরে আজকেই প্রথম এমন চাঞ্চল্যকর জিনিস ধরা পড়ল। সে বেশ বুঝতে পারল, তার একার সিদ্ধান্তে এটার কোনো সমাধানে আসা যাবে না। আর ধরা পড়া লোকটাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে সত্যিই খুব ভয় পেয়েছে। হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে না, লোকটা মিথ্যে বলছে। হয়ত সত্যিই জিনিস অদলবদল হয়ে গেছে। একজনের জিনিস ভুল করে তার সাথে চলে এসেছে।
হাবিলদার কিন্তু এত সহজ ব্যাখ্যা মানতে চায় না। দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলে, ‘স্যার আপনে সিধা লোক তাই বুঝবার পারতাছেন না। এই শালারা দুনিয়ার বজ্জাত! এমন ভাব ধরে থাকে যে, দেখে মনে হয় ভাজামাছ উলটে খেতে পারবে না। এখান থেকে বের হলেই দেখবেন অন্য চেহারা। ড্যাং ড্যাং করে মানুষের কাছে গল্প ছুটাবে যে পুলিশ আমার টিকিও ছুঁইতে পারেনি! আমি এরে একটু খাতিরদারি করি। কষে জায়গামত দুইটা বাড়ি পড়লেই হুড়মুড় করে সব উগরায়ে দিবে! বাড়ি স্টার্ট করব স্যার?’
অহেতুক মারধর করা জামান শিকদারের পছন্দ না। আর লোকটাকে তার মোটেও এমন ধুরন্ধর বলে মনে হচ্ছে না! হাবিলদার যতই তাকে সিধালোক বলে আলগা তোয়াজ করুক না কেন, সে মানুষটা বাস্তবে মোটেও সিধেসাধা নয়। যেখানে ছড়ি তোলার দরকার, সেখানে সে খাতির করে না। কিন্তু এই লোক প্রথম থেকেই ভয়ে সেঁধিয়ে আছে। একে আরও মারধর করলে বলা যায় না, হিতে বিপরীত হতে পারে।
জামান শিকদার হাবিলদারকে মৃদু ধমক দিয়ে নিজেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল। লোকটাকে চেয়ারে বসাল। এতে সে আরও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। কিন্তু ভয়ে ভয়ে বসলোও। জামান শিকদার জিজ্ঞাসা করল,
‘এসব কাজ করো কেন?’
‘ভুল হয়ে গেছে হুজুর! পেটের দায়ে করি। খেতিবাড়ি করে সংসার চলে না। একদিন খাইলে দুইদিন উপোশ দেওয়ন লাগে! এই করে অল্প দু’এক টাকা হাতে আসে হুজুর। দুর্দিনে বউ পোলাপান লইয়া না খাইয়ে মরতাম নাইলে!’
‘হুম! কী পাচার করো? ঠিক করে বলো। তোমার কোনো ভয় নাই।’
‘ডাল, বিড়ি, আচার, আনাজ…এইসবই অইপাড়ে দেই হুজুর। আল্লাহর কসম লাগে…আমি এইগুলান কুনোদিনই আনা নেওয়া করিনি হুজুর!’ বলেই তো ভীতচকিত চোখে নিজের পোঁটলার দিকে তাকায়।
‘হুম…করোনি তাহলে তোমার পোঁটলার মধ্যে এইসব কোথায় থেকে এলো? যার সাথে লেনদেন হইছে সে তো তোমার চেনা তাই না? সে এগুলো এমনি এমনি দিয়ে দিলো তোমার পোঁটলায়? দেখো…সত্যি কথা বলো যদি বাঁচতে চাও!’
লোকটা আর ধরে রাখতে পারলো না নিজেকে। এই পর্যায়ে এসে আবার হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়ল।
জামান শিকদার লোকটাকে হাজতে ঢোকাতে বলে একটু বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।
ভালো করে না জেনেশুনে একে ছাড়া যাবে না। সাথে অস্ত্র পাওয়া গেছে। কে জানে কোনো চক্র ফক্র আছে নাকি এর পেছনে। মনে মনে প্রমাদ গুনল জামান শিকদার। কোথায় একটু আরামে দিন কাটাবে মনে করছিল, এখন যদি কোনো চক্রের কারসাজি প্রমাণিত হয়, ব্যস তাহলেই হয়ে গেল! কোথাকার জল গিয়ে কোথায় দাঁড়াবে কে জানে! শান্তির ঘুম হারাম হয়ে যাবে চিরদিনের জন্য!
টুপিটা মাথায় গলিয়ে নিজের জিপগাড়িটাতে চেপে বসলো জামান শিকদার। একবার চেয়ারম্যান সাহেবের সাথেও বিষয়টা নিয়ে আলাপ করে আসা যেতে পারে। যদিও এসব পুলিশের ভেতরের কথা, কিন্তু চেয়ারম্যান লোকটাকে তার বটগাছের মতো আস্থাশীল মনে হয়। এমন পাণ্ডব বিবর্জিত জায়গায় আস্থার সাথে দুটো কথা বলার জন্য এই একটা লোকই আছে। চেয়ারম্যান সাহেবের ভাইয়ের সাথে তেমন একটা পরিচয় ছিল না জামান শিকদারের। তবে সেই লোকটাও নাকি তার সহচর শমসেরের মতো চুপচাপ গোছেরই ছিল। নিজের কাজ ছাড়া কিছুই বুঝত না। চালডালের আড়তটা তিনিই সামলাতেন। শহর থেকে কাপড় এনে পাইকারী ব্যবসার মূল অংশীদার ছিল সে। এছাড়া আরও নানারকম ব্যবসা তারা দু’ভাই মিলে সামাল দিত। বাইরের লোকের বিশেষ কিছু প্রয়োজন ছিল না। এমন শক্তিশালী অংশীদারকে এরকম দুঃখজনকভাবে হারিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবও পুরোপুরি মুষড়ে পড়েছে।
কিন্তু তবুও এলাকার চেয়ারম্যান বলে কথা! গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসে কাজে নেমে পড়তে হয়েছে তাকে। তিনি হয়ত এই অস্ত্র পাচারের ব্যাপারে কিছু একটা দিক নির্দেশনা দিতে পারবেন। তার এলাকার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটছে, এটা তার এখতিয়ারে থাকা প্রয়োজন। আগেই জেলার এসপি সাহেবের সাথে কথা বলতে চাচ্ছে না জামান শিকদার। এসপি সাহেব একবার এসবে ঢুকে পড়লেই খানাপিনা ঘুম সব একেবারে হারাম করে দিবে। নিজেরা দূরে বসে খালি হুকুম চালাবে, মাসে দুইমাসে একবার ভিজিট করবে। তাদের জন্য মাটন মুরগির ব্যবস্থা করতে হবে তাকেই। আবার এদিকে তাদের হুকুম মোতাবেক লম্ফঝম্ফ করে নাভিশ্বাসও উঠবে তার নিজের। যত্ত সব! (ক্রমশ)