এ্যারেঞ্জ ম্যারেজ পর্বঃ ০২
– আবির খান
নেহাল ওর রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ যখনই ও ভিতরে ঢুকতে নিবে ঠিক তখনই কেউ ওর হাত ধরে পিছন থেকে টান দেয়। নেহাল মাথা ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখে ওর বাবা।
নেহালঃ বাবা?? আশ্চর্য হয়ে।
বাবাঃ কিছু কথা বলার ছিলো নেহাল।
নেহালঃ হ্যাঁ বাবা বলো।
বাবাঃ শোন ভিতরে যে মেয়েটা বসে আছে তার শুধুমাত্র বাবা আছে আর কেউ নেই।
নেহালঃ হ্যাঁ জানি তো। কালই তো বললে তুমি।
বাবাঃ হুম। তবে একটা কথা তোকে বলে নি।
নেহালঃ কি?? কৌতুহল নিয়ে।
বাবাঃ শোন, ওরা অনেক গরীব। ওর বাবা অনেক অসুস্থ। তাই ওর বাবার দায়িত্বটা আমি নিয়েছি আর ওর দায়িত্বটা তোকে দিলাম। মেয়েটাকে ভুলেও কষ্ট দিস না।
নেহালঃ তার মানে তুমি ওকে কিনে এনেছো বাবা??
বাবাঃ নেহালললল…… রাগী আর চোখ বড় করে।
নেহালঃ…..
বাবাঃ ছিহ নেহাল ছিহ। এই আমার শিক্ষা!!! একটা অসহায় মেয়ে আর বাবার জীবন বাঁচানোটা তোর কাছে কেনা বেচা লাগছে রে?? এই তোকে আমি শিখিয়েছি?? হতাশা জড়িত কণ্ঠে।
নেহালঃ সরি বাবা ভুল হয়েছে। আর এভাবে বলবো না। অনুনয়ের স্বরে।
বাবাঃ শোন বাবা, আমরা ধনী বলেই তোর জন্য একটা গরীব ঘরের মেয়ে আমি পছন্দ করেছি যাতে সে তোকে সবসময় সম্মান আর ভালোবাসা দিয়ে চলে। তুই ওকে কষ্ট দিস না বাবা। মেয়েটা বড়ই অসহায়। তবে তাই বলে খারাপ দেখতে মেয়ের সাথে আমি তোর বিয়ে দেইনি। মেয়েটা আমার বেশ সুন্দরী আর ভদ্র। তুই দেখিস, প্রথম দেখাই তুই ওকে পছন্দ করবি। ভালো থাক বাবা। আমাকে কোনো সময় ছোট করিস না।
নেহাল ওর বাবার পা ধরে মাফ চায়।
নেহালঃ বাবা আমার ভুল হয়েছে। এভাবে তোমার সাথে কথা বলা আমার ঠিক হয়নি। আমাকে প্লিজ মাফ করে দেও।
নেহালকে উঠিয়ে,
বাবাঃ আচ্ছা করলাম মাফ। এখন যা। মেয়েটা একা বসে আছে।
নেহালঃ আচ্ছা।
নেহালের বাবা চলে গেলো।
নেহাল বাবাকে অনেক ভালোবাসে। সেই ছোটবেলা থেকেই। শিল্পপতি বাবা হলেও ছেলে মেয়েদের সবসময় আগলে রেখেছেন আর সঠিক শিক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু নেহাল আজ চাইলেও মেয়েটাকে তার অধিকার দিতে পারবেনা। কারণ নেহাল নওশিনকে ভালোবাসে। আর নওশিনও বলেছে যেন বউকে না ছোয়। নেহাল নিজেকে সামলে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলো। দরজাটা আটকে দিয়ে ঘুরে ওর বিছানার দিকে তাকালো আর দেখে,
একটা টুকটুকে লাল শাড়ি পরা মেয়ে বধু সাজে বসে আছে। মেয়েটা নেহালের উপস্তিতি পেয়ে নড়েচড়ে বসলো। নেহাল মেয়েটার দিক থেকে চোখ সরিয়ে পকেট থেকে ফোনটা বের করে পাশে রাখলো। রেখে আবার বিছানার দিকে তাকিয়ে যেন নেহাল ভয় পেয়ে যায়। বিছানায় কেউ নেই। মেয়েটা গেলো কই।
হঠাৎ নেহাল তার পায়ে কারো হাতের স্পর্শ পাচ্ছে। নিচে তাকিয়ে দেখে মেয়েটা পা ছুয়ে সালাম করছে।
নেহালঃ দয়া করে পা ছুবেন না। উঠুন।
বলতেই মেয়েটা চোখের নিমিষে আগের জায়গায় গিয়ে বসে পরে।
নেহাল মেয়েটার চঞ্চলতা দেখে বেশ অবাক। হয়তো এটা স্বামীর প্রতি ভক্তিও হতে পারে। নেহাল আর কিছু না বলে ফ্রেশ হতে চলে যায়। বিয়ের ড্রেসে বেশ অসস্থি লাগছে নেহালের। তাই নরমাল ড্রেস পরে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে নেহাল। এসে চুপচাপ ওর বিছানায় অর্থ্যাৎ মেয়েটার পাশে বালিশ আর কোলবালিশ নিয়ে ঘুমিয়ে পরে। কেমন এক নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে রুমটাতে। এমনকি ফ্যানের শো শো শব্দ পর্যন্ত স্পষ্ট শুনা যাচ্ছে।
নেহাল হঠাৎ ফিল করে কেউ তার কাধে একটা আঙুল দিয়ে গুতা দিচ্ছে। নেহাল জানে এ ভুত না এ তার মাত্র বিয়ে করা বউ।
নেহালঃ ঘুমিয়ে পড়ুন। আমি ক্লান্ত। গম্ভীর কণ্ঠে।
শেষ আর একটি বারও নেহাল তার কাধে কারো স্পর্শ কিংবা কোনো পিন পরিমাণ শব্দ পায়নি।
সকাল ৮.২৯ মিনিট,
নেহালের এলার্ম ঘড়িটা বেজে উঠলো। একটু পরেই তা অটো বন্ধ হয়ে গেলো। নেহালের কেন জানি অন্যরকম একটা ফিল হচ্ছে। কেমন এক মিষ্টি মিষ্টি ঘ্রাণ নাকে আসছে। বুকের মাঝটাও কেমন ভারি ভারি লাগছে। নেহাল অনুভব করে সে অনেক নরম কিছুকে আঁকড়ে ধরে আছে। নেহাল আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে মাথাটা আস্তে আস্তে নিচের দিকে ঝুঁকে। নেহাল যা দেখে তার চেয়ে ভুত দেখলেও হয়তো ভালো হতো। সে দেখে, কাল রাতে যার সাথে বিয়ে হয়েছে তাকে কি সুন্দর করে মানে কোলবালিশের মতো করে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। মেয়েটাও নেহালের বুকে মুখ লুকিয়ে শুয়ে আছে।
নেহালের কেন জানি প্রচন্ড লজ্জা লাগছে। ছেলে হয়েও লজ্জায় কান গরম হয়ে যাচ্ছে। বেচারা বড় ঝামেলায় পরেছে। যেভাবে ধরে আছে, ছাড়াতে গেলেই মেয়েটা মানে বউটা জেগে যাবে। নেহাল কি করবে বুঝতে পাচ্ছে না। অনেক দেরিও হয়ে যাচ্ছে। মেয়েটা মুখ লুকিয়ে শুয়ে থাকায় এখন পর্যন্ত তাকে দেখেনি নেহাল।
নেহাল আর নিজের সাথে যুদ্ধ না করতে পেরে শেষমেশ আস্তে আস্তে মেয়েটার মানে বউয়ের গায়ের উপর থেকে প্রথম পা টা সরায়। কিন্তু হাতটাতো নিচে। নেহাল যখনই হাতটা আস্তে করে টান দেয় মেয়েটা নড়েচড়ে উঠে। নেহাল ভয় পেয়ে যায়। কারণ উঠে গেলে লজ্জায় পরতে হবে। নেহাল আবার আস্তে করে হাতটা সরাতে নিলেই বউটা জেগে যায় আর মাথা তুলে নেহালের দিকে তাকায়।
নেহালের ভীতু চোখদ্বয় আস্তে করে বউএর দিকে নেয়। নেহাল যা দেখে তাতে ওর অবস্থাটা এখন এমন যে, ওর সামনে যেন কেউ চাঁদ তুলে ধরেছে।
চোখগুলো তার হরিণের মতো। আহ পাপড়িগুলো কি যে সুন্দর। নাকটা বেশ লম্বাও না আবার খাটোও না একদম পারফেক্ট। দেখতে সে বেশি ফরসাও না আবার বেশি কালোও না মাঝামাঝি। তবে মুখ তার মায়ায় ভরপুর। তার চাহনির মায়ায় ১০ যুগ পাড় করা যাবে। ঠোঁট তো নয় যেন গোলাপের নরম পাপড়ি। ঠোঁটের সৌন্দয আরো একটু বেশি ফুটিয়ে তুলেছে ঠোঁটের নিচে কালো তিলটা।
নেহালের চোখ জ্বলজ্বল করছে। যেন ওর সামনে কেউ রুবি রেখে দিয়েছে। নেহালের চোখ আটকে গিয়েছে। অপলক দৃষ্টিতে শুধু তাকিয়ে আছে। নেহাল একটু নিজেকে চিমটি কাটলো। উফফ। নাহ সেতো স্বপ্ন দেখছে না।
বউটাও কেমন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নেহালের দিকে। নেহাল পাগল হয়ে যাচ্ছে। মাথা হ্যাং হয়ে গিয়েছে বউকে দেখে।
নেহালঃ আমার কি কাল আপনার সাথে বিয়ে হয়েছে?? বোকার মতো।
বউটা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে।
নেহাল বউকে ছেড়ে দিয়ে উঠে বসে। চুপচাপ বসে আছে। আর ভাবছে, এই চাঁদের টুকরা ও কিভাবে পেলো। নওশিন ওর থেকে স্মার্ট হবে কিন্তু ওর মতো মায়াবতী আর অপরূপা জীবনেও হবে না। নেহাল ফিল করে বউটাও উঠে বসেছে। কিন্তু কোনো কথা বলছে না। বোবা নাকি?? একটু পরীক্ষা করা যাক।
নেহালঃ আপনার নাম কি??
বউঃ নিশি জাহান।
নেহাল আবার মাথা ঘুরিয়ে নিশির দিকে তাকায়। নিশিকে যত দেখে ততই দেখতে ইচ্ছা করে নেহালের।
নেহালঃ আমি নেহাল মানে নেহাল চৌধুরী।
নিশিঃ জানি।
নেহালঃ সকালের জন্য সরি আপনাকে। আসলে ঘুমিয়ে ছিলাম তাই হিসাব ছিলো না।
নিশিঃ সমস্যা নেই। আর দয়া করে আমাকে আপনি করে বলবেন না আমি আপনার থেকে অনেক ছোট।
নেহালের নিশির কথা আর কণ্ঠ শুনে কেমন এক মায়া মায়া লাগছে৷ মনে চাচ্ছে ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকবে অনন্তকাল। কিন্তু নাহ নেহালের বিবেগ বারবার নওশিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। কারো রূপের কাছে নেহালের ভালোবাসা হারতে পারে না। নেহাল নিজের মনকে শক্ত করে ফেলে। আর বলে,
নেহালঃ আচ্ছা। গম্ভীর কণ্ঠে।
নেহাল আচ্ছা বলেই ফ্রেশ হতে চলে যায়।
নেহাল ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে দেখে রুমটা অনেক সুন্দর করে গুছানো। তবে নিশি রুমে নেই। নেহাল ফুল রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে। এসে দেখে বাবা মা টেবিলে বসে আছে। নেহালও গিয়ে বসলো।
বাবাঃ কিরে আসতে এতো দেরি হলো?? মজা করে।
নেহালের লজ্জা লাগছে। কিন্তু বেচারাতো কিছুই করেনি। তাও বাবার কথায় কেমন জানি লজ্জা লাগছে।
মাঃ আরে রাখো। ছেলেটা আমার কেমন লজ্জা পাচ্ছে দেখো না।
বাবাঃ হাহা।
এদিকে নেহালের চোখ শুধু নিশিকে খুঁজছে। নওশিনকে ভালোবাসলেও নিশিকে ওর মনের অজান্তেই চোখে ধরেছে।
নেহালের মা বিষয়টা বুঝতে পেরে বলে,
মাঃ এতো বেকুল হোসনে। মেয়ে আমার রান্না ঘর থেকে আমাকে বের করে দিয়েছে। আর বলেছে আজ নাস্তা ও নিজে বানাবে। তাই নাস্তা বানিয়ে আনছে। বস একটু।
বাবাঃ দেখেছো বলেছি না। ছেলে আমার একদিনেই বউ পাগল হয়ে গিয়েছে। হা হা।
নেহালঃ বাবা তুমিও না। এসব বলো না তো।
বাবাঃ ওকে ওকে। হা হা।
মাঃ ওই যে তোর গুনবতী বউ আসছে।
নেহাল নিশির দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু বেশিক্ষণ তাকাতে পারলো না৷ বিবেগের তারনায়।
নিশি সবাইকে নাস্তা বেরে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বাবাঃ একি মা দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?? বস। নেহালের পাশে গিয়ে বস৷ তোদের দুজনকে একসাথে একটু মন ভরে দেখি।
নিশি নেহালের কাছে গিয়ে বসলো। সবাই খাওয়া শুরু করলো। কিছুক্ষন পরই,
বাবাঃ উহমম…আহ…কি যে মজা হয়েছে না খাবারটা নেহালের মা। এতো সুন্দর করে যে আমাদের বউমা রাঁধতে পারে না খেলে তো জানতেই পারতাম নাহ। আহ খেয়ে প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে।
মাঃ আসলেই নিশি মা, তোমার রান্নার হাততো অনেক ভালো।
বাবাঃ নেহালের মা আমি বলে দিলুম, আজ থেকে আমি নিশির হাতের রান্না ছাড়া আর কারো হাতের রান্না খাবো না। ব্যাস।
মাঃ হা হা। তুমিই যদি খাও তাহলে নিশির জামাই খাবে কি?? হাহা।
নেহাল মায়ের কথা শুনে কাশতে শুরু করে। নিশি তাড়াতাড়ি পানি এগিয়ে দেয়। নেহাল পানি খেয়ে নেয় নিশির দিকে তাকিয়ে।
নেহালঃ থ্যাংকস।
নিশি একটা মিষ্টি হাসি দিলো নেহালকে। হাসিটা যা সুন্দর নাহ। নেহাল শুধু নিশিকে দেখেই হারিয়ে যাচ্ছে।
বাবা হাল্কা কাশি দিয়ে।
বাবাঃ দেখেছো নেহালের মা?? হুম?? মজা করে।
মাঃ হুম দেখছি। এখন একটু খাওয়ার দিকে মনোযোগ দেও। তা নেহাল তোর কেমন লেগেছে বললি না??
নেহালঃ হুম ভালো।
মাঃ শুধু ভালো??
নেহালঃ নাহ অনেক ভালো।
মাঃ হইছে। তুইও তোর বাবার মতো হয়েছিস। এখন কি লজ্জা পরে এই লজ্জা যে কই যাবে নে আল্লাহই জানে। দেখেছো আমরা সবাই কথা বলছি কিন্তু আমার মেয়েটা কোনো কথাই বলছে না। বল না মা কিছু।
নিশিঃ কি বলবো মা??
মাঃ আহ। মারে তোর মুখে মা ডাক শুনে প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো। তা নিশি মা তুমি কোন পর্যন্ত পড়েছো??
নিশিঃ অর্নাস পড়া শুরু করেছিলাম কিন্তু বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে পরায় আর পড়তে পারিনি।
বাবাঃ হুম। এক মাস যাবত ওর বাবা অনেক অসুস্থ। আমি ওর বাবার চিকিৎসা করছি। আশা করি তিনি খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবেন। আসলে ওর বাবার হার্টে সমস্যা। এখন আল্লাহ চাইলেই তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন।
মাঃ দেখো দেখি, তুমি মেয়েটাকে কাদিয়ে দিলে।
নেহালের মা উঠে নিশির পাশে গিয়ে বসে। ওর মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেয়।
মাঃ মারে থাক কেদোনা। তোমার বাবা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে দেখো। আর কেদো না মা।
নিশি নেহালে মাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে থাকে। পাশে নেহালের ও তা দেখে খারাপ লাগছে।
বাবাঃ আরে বোকা মেয়ে কাদিস না। আমরা আছি না। আজ থেকে তোর বাবা আমি, আর ওইযে তোর মায়ের কোলেইতো তুই। আর বোকা লজ্জাবতী জামাইটাকে দেখ কেমন বসে আছে। নিশি কান্নারত অবস্থায় নেহালের দিকে তাকিয়ে হেসে দেয়।
মাঃ বাহ। দেখো নেহালের বাবা, মেয়েটার হাসিটা কি সুন্দর। আহ।
নেহালও নিশি মন মুগ্ধকর হাসি দেখছে।
বাবাঃ হুম সত্যিই। নে মা এই টাকাটা রাখ। তোর এই মিষ্টি হাসি আর রান্নার জন্য। খুশি হয়ে দিলাম।
নিশিঃ না বাবা লাগবে না। আপনারাইতো আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। টাকার কি দরকার।
নেহাল অবাক হয়ে শুধু নিশিকে দেখছে।
মাঃ দেখেছো, এইনা হলো আমার মেয়ে। লাখে না কোটিতে একটা আমার এই মেয়েটা। কত্তো ভালো। আয় মা বুকে আয়।
মিশি নেহালের মাকে জড়িয়ে ধরে। পাশ থেকে নেহাল বলে ওঠে,
নেহালঃ তাহলে আমিতো আর কেউ না তোমাদের তাইনা?? রসিকতা করে।
বাবাঃ দেখেছো হিংসা করে। যা তুই কেউ না। নিশি মাই আজ থেকে আমাদের সব। হাহা। মজা করে।
মাঃ হ্যাঁ ঠিক বলেছো। ও আমাদের কথা শুনে না। হাহা। মজা করে।
নেহালঃ তোমরা না আসলেই। আমি যাই দেরি হচ্ছে।
বাবাঃ দাঁড়া। গম্ভীর কণ্ঠে।
নেহাল ভয়ে বসে থাকে।
বাবাঃ শোন নিশিকে কাল আবার ওর ভারসিটিতে ভর্তি করে দিয়ে আসবি। মেয়েটা আমার পড়বে। ঠিক আছে??
নেহালঃ জ্বি বাবা।
মাঃ আচ্ছা তুই বউরেখে অফিসে যাচ্ছিস কেন??
নেহালঃ আসলে মা হঠাৎ করে বিয়েটা হওয়ায় অফিস গুছাতে পারিনি। তাই যেতে হবে। না হলে সমস্যা হবে৷
বাবাঃ আচ্ছা যা। কিন্তু সামনে ছুটি কাটাতে হবে মাথায় রাখিস। গম্ভীর কণ্ঠে।
নেহালঃ আচ্ছা।
নেহাল ওর বাবাকে যেমন ভালোবাসে তেমনি অনেক ভয়ও পায়।
নেহাল দরজা দিয়ে বের হতেই হঠাৎ পকেটে হাত দিয়ে দেখে ফোন নেই। তাই যেইনা ঘুরে অমনি….
চলবে….?
কোনো ভুল হলে জানাবেন।