#এসো_বৃষ্টি_হয়ে(১০)
#writer_sayuri_dilshad
মায়মুনা সিড়ি দিয়ে উঠে মেইন গেইটের সামনে দাড়ালো কোনোমতে। অসম্ভব রকমের ব্যাথা শুরু হয়েছে তার পেটে। সকাল থেকেই হালকা হালকা ব্যাথা শুরু হচ্ছিলো। সে ততটা গুরুত্ব দেয় নি। রাতে অদ্ভুত কিছু লক্ষণ দেখে সে ডক্টরের সাথে কথা বলেছিলো । ডাক্তার বলেছে চিন্তা না করতে। প্রেগন্যান্সির সময়টাতে নাকি এটা কমন। মায়মুনা ও তারপর পাত্তা দেয় নি বিষয়টা। একপ্রকার জোর করেই বিষয়টা তার মাথা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। কিন্তু এখন তার মনে হচ্ছে বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয়া দরকার ছিলো। মায়মুনা ব্যাথা না সহ্য করতে পেরে মেইন গেইটের সামনেই বসে পড়ে। তার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার। সে সুখনের নাম্বার টা ডায়াল করে। সুখন কল কেটে দেয়। সে আবার কল দেয়। এভাবে পর পর অনেকবার কল দিলেও সুখন রিসিভ করে না। মায়মুনা চোখ বন্ধ করে তার গালে বেয়ে দু ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।
রুনু বেগম ছাঁদে যাচ্ছিলেন কাপড় আনতে। মায়মুনাকে দরজার সামনে বসে থাকতে দেখে এগিয়ে আসেন। বলেন,
– তুমি এখানে বসে আছো কেন? তোমার কি হইছে?
মায়মুনা চোখ খোলে রুনু বেগমকে দেখে বলে,
– আমি আমার সাথে একটু হাসপাতালে যাবেন। আমি একা যেতে পারবো না।
রুনু বেগম বোকা বোকা চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে তার দিকে মেয়েটার মুখটা ব্যাথায় মলিন হয়ে আছে। তিনি মায়মুনার পাশে বসে মাথায় হাত রেখে বলে,
– হাসপাতালে কেন? কি হইছে তোমার?
মায়মুনা রুনু বেগমের দিকে চোখে থাকা পানি না গাল বেয়ে পড়ে। মায়মুনা ঠোঁট কামড়ে বলে,
– বোধহয় মিসক্যারেজ..
বাকি কথাটা আর বলতে পারে না৷ কান্নায় ভেঙে পড়ে।
হাসপাতালের বেডে মায়মুনা চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। ঠোঁট কামড়ে ধরে তার কষ্টগুলো কমাতে চাইছে কিন্তু পারছে না। সে ফুপিয়ে কেঁদে উঠে একটু আগের শারীরিক ব্যাথার চাইতে এখন মনে যে একটা ব্যাথা হচ্ছে এটা ঐ ব্যাথাটার থেকেও বেশি কষ্টের। তার মনে হয় সব তার পাপের ফল। তার করা অন্যায়গুলোর কারণেই আজ সে তার সন্তানকে হারিয়ে ফেলেছে। তার বাবা মাকে দেওয়া কষ্ট, কুলসুমের মনে দেওয়া আঘাত, সবচেয়ে বড় বেলিকে দেয়া আঘাতগুলোর কারণেই হয়তো আজ সে তার সন্তান কে হারিয়ে ফেলেছে। মায়মুনার দম বন্ধ লাগে।
পাশে বসে থাকা রুনু বেগমকে বলে,
– আন্টি আরেকবার চেষ্টা করুন না। যদি রিসিভ করে..
রুনু বেগম মায়মুনার মাথায় হাত রেখে বলে,
– অনেকবার তো দিলাম৷ ধরে নাই।
মায়মুনা ঢোক গিললো। তারপর হাত বাড়িয়ে মোবাইলটা নিয়ে একটা খুদে বার্তা পাঠালো সুখনের কাছে।
” আমি হাসপাতালে আছি। যদি একটটা বার আসতে খুব উপকার হতো। এই শেষবার আর বিরক্ত করবো না।” তারপর হাসপাতালের নামটা লিখে দিলো।
সুখন বার্তাটা দেখে মোবাইলটা পকেটে রাখলো। রিকশা ডেকে রওনা হলো হাসপাতালের দিকে। উদ্দেশ্য
আজ মায়মুনাকে খুব করে কথা শুনাবে৷ সে চাইছেটা কি! এভাবে বারবার বিরক্ত করার কি আছে। সব জায়গায় তার মান সম্মান মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে।
হাসপাতালে পৌঁছুবার পর যখন সব জানতে পারলো সুখন তখন তার মুখ দিয়ে কথা বের হলো না। সে খানিকটা বিব্রতবোধ করলো মায়মুনা কে কি বলে স্বান্তনা দিবে সেটা ভেবে পেল না।
হাসপাতাল থেকে ফেরার পর মায়মুনা একদম গুটিয়ে গেলো। প্রথম এক সপ্তাহ বিছানায় শুয়েই কাটালো। টুকটাক ঘরের কাজ করেই চুপচাপ শুয়ে থাকে বিছানার একটা পাশে। যদি সুখন জিজ্ঞেস করে,
– কি হয়েছে? শরীর খারাপ!
মায়মুনা উত্তর দেয় না। মায়মুনার নির্বিকার স্বভাবে সুখনের রাগ হয়। সে কতোগুলো বিশ্রী কথা ছুড়ে দেয় মায়মুনার উদ্দেশ্যে। অন্য সময় হলে হয়তো মায়মুনা সেই কথাগুলোর জবাব দিতো। এখন আর দেয় না। চুপ করে অশ্রু বিসর্জন দেয়। একটা সময় তার মন বিষিয়ে উঠে সুখনের উপর।
—-
সুখন বেলির হাতটা শক্ত করে ধরে তার দিকে ঘুরিয়ে বলে,
– মানে কি!
বেলি নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,
– মানেটা হলো আমি তোমার সাথে থাকতে চাই না। তাই আমি ডিভোর্স চাইছি।
সুখনের মুখ থেকে বিস্ময়ে কথা বের হলো। খানিকবাদে বললো,
– কেন?
সুখনের এমন প্রশ্নে বেলি হেসে ফেললো। মুখে হাসি রেখেই বললো,
– কেন?
কথাটা বলে কিছুক্ষণ থ মেরে দাঁড়িয়ে থেকে কি যেন ভাবলো তারপর আবার বলতে শুরু করলো,
– আমার স্বামী চরিত্রহীন সে ঘরে বউ রেখে আরেকটা বিয়ে করছে। সে আমাকে সর্বক্ষণ মিথ্যের উপর রেখে, আমার গায়ে হাত তুলেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা তার চরিত্রের মতোই তার মনমানসিকতাও অতন্ত্য নিচু।
এই কারণগুলো কি যথেষ্ট হবে না ডিভোর্সের জন্য।
সুখন নিভে যায় বেলির কথা শুনে। মাথা তুলে আস্তে করে বলে,
– একটা সুযোগ দাও বেলি। আমি সব সমস্যা সমাধান করে ফেলবো। আমি তো তোমাকে আর লিখনকে নিতে এসেছি।
– আর কতো সুযোগ চাও বলোতো! তোমাকে কি কম সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এইতো কয়দিন আগেও আমি ভাবতাম তুমি ঐ মেয়ের সাথে সব একেবারে শেষ করে ফেললেই আমি তোমার কাছে ফিরে যাবো। সব ভুলে আবার নতুন করে শুরু করবো। কিন্তু তুমি কি করলে! তোমার অন্যায় গুলো ঢাকবার জন্য অন্যের উপর দোষ চাপাতে লাগলে। নিজের চরিত্রের দোষ আমার উপরও ঠেলে দিতে লাগলে। একবার নয় বারবার! তাই আর কোনো সুযোগ আমি দিতে চাই না। আর আমি যেতে চাই না তোমার সাথে। আমি ডিভোর্স চাইছি।
– আমি চাইছি না। আমি না চাইলে ডিভোর্স হবে কিভাবে?
বেলি জানতো সুখন এমন কথাই বলবে। সে বললো,
– আমি তোমার সাথে থাকতে চাই না। তুমি আমাকে জোর করে রাখবে নাকি!শুনো আমি তোমার থেকে এক চিমটি পরিমাণ কিছু চাই না। আমার দেনমোহর, আমার আর আমার ছেলের ভরণপোষণের টাকা কিছুই লাগবে না। আমি কিছু চাই না, সব মাফ।
সুখন মাথা নেড়ে হেসে বললো,
– তবুও আমি তোমাকে ডিভোর্স দিবো না। আর তুমি দেনমোহর ভরণপোষণ বাবদ যে টাকা মাফ করে দিচ্ছো তার থেকে বেশি তো আমার মা তোমাকে দিয়েই গেছে।
বেলি হেসে বললো,
– তো এই সম্পত্তির জন্যই কি তুমি আমাকে ডিভোর্স দিতে চাইছো না! তুমি আসলেই লোভী। কোর্টে তোমার নামে মামলা আছে। আমি মামলাটা তুলে নিবো, ডিভোর্স হয়ে গেলে।
সুখন রাগে দাঁতে দাঁত চেপে দাঁড়িয়ে রইল। বেলি কিছুক্ষণ থেমে বললো,
– বাহিরে সবাই আছে। সময় নষ্ট করে ডিভোর্সের কাজটা সেরে ফেললে ভালো হতো।
– আমি ডিভোর্স দিচ্ছি না তোমাকে।মামলা চলতে থাকুক।
সুখন কথাটা শেষ করে আর দাঁড়ালো না। বেলি ঐ জায়গাতেই দাঁড়িয়ে রইলো। সুখন কি করতে চাইছে বেলি বুঝতে পারছে না৷ এখন এমন করার মানে কি সে সেটাও বুঝতে পারছে না।
পান্না বেগমন এতক্ষণ রুমের বাইরে দাড়িয়ে ছিলেন এবার তিনি এগিয়ে আসলেন।
বেলিকে জিজ্ঞেস করলেন,
– কি বললো?
– আমি ডিভোর্সের কথা বলেছিলাম৷ সে মানে নি। সে ডিভোর্স দিবে না।
পান্না বেগম ভয়ে শঙ্কায় বেলির হাত চেপে ধরে বললেন,
-তাহলে এখন!
বেলি পান্না বেগমের মুখের দিকে তাকিয়ে হেসে বললো,
-এভাবে না হলে আদালতের মাধ্যমেই হবে। আমি আর তার সাথে থাকবো না।
বাসায় পৌঁছে মায়মুনাকে ব্যাগ গোছাতে দেখে সুখন অবাক হয়ে বললো,
– কোথায় যাচ্ছো?
মায়মুনা সুখনের দিকে তাকালো। সুখন খেয়াল করলো তার দৃষ্টি নিষ্প্রাণ, মুখ শুকনো। মায়মুনা শুকনো মুখে বললো,
– চলে যাচ্ছি।
সুখন আগের চেয়েও বেশি অবাক হয়ে বললো,
– কোথায় যাচ্ছো?
– বাড়িতে। আমার পরিবার আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে। তারা বলেছে যদি আমি সব ছেড়ে তাদের কাছে যাই তাহলে তারা আমাকে মেনে নিবে। আমি তোমার সাথে আর থাকতে চাই না।
সুখন বললো,
– মানে?
– তুমি দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছো। সেটা তো সম্ভব না বলো। কেউ কি সেটা মেনে নিবে? আর সবচেয়ে বড় কথা তোমার উপর থেকে আমার মন উঠে গেছে। তাই আমি ফিরে যাচ্ছি। আরেকদিন এসে আলোচনা করা যাবে ডিভোর্স আর আমার ভরনপোষণ, দেনমোহরের টাকাটা নিয়ে।
কথাটা শেষ করে মায়মুনা বেরিয়ে গেল। সুখন বিস্ময়ে মুখ দিয়ে কথা বের হলো না।
মায়মুনা সুখনকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কিছুদিনের মাথাতেই তাদের পরিচিত সকলকে জমায়েত করে ঝামেলা শুরু করলো। অবশেষে বিচারসভা বসলো সুখনের নামে। সে তার প্রাপ্য টাকার দাবি জানালো সুখনের কাছে। সুখন টাকা দিতে নাকচ করলো। সুখনের পক্ষের লোক কারণ হিসাবে দেখালো মায়মুনা যে বিয়ের ভিত্তিতে টাকা পয়সা চাইছে সেই বিয়ের কোনো দাম নেই। কারণ তার প্রথম স্ত্রী বিয়ে অনুমতি দেয় নি। তবুও মায়মুনার ক্ষতিপূরণ হিসাবে সুখনকে তিন লাখ দিতে হলো। নাহলে মামালা করবে বলে মায়মুনা হুমকি দিচ্ছিলো। মায়মুনার ঝামেলা মিটে যাওয়ার পর সুখন আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগলো বেলিকে ফিরিয়ে আনার। হঠাৎ একদিন হাতে পেলো বেলির পাঠানো নোটিশ। বেলি একতরফা তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। সুখন মুহূর্তেই ছোটে গেলো বেলির বাড়িতে।
বেলির দিকে কাগজটা এগিয়ে দিয়ে বললো,
– বেলি, এটার তো কোনো দরকার নেই এখন। মায়মুনার ঝামেলা তো মিটে গেছে।
বেলি বললো,
– এটার দরকার আছে কারণ আমি তোমার সাথে থাকতে চাই না তাই।
সুখনের গাল বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো। সে বেলির হাত ধরে বেলিকে অনুরোধ করতে লাগলো।
——
প্রতীক চায়ের কাপটা বেলির দিকে এগিয়ে দিলো। বেলি হেসে চায়ের কাপটা হাতে নিলো। সে বুঝতে পারছে না প্রতীক তাকে এখানে কেন ডেকেছে।
কেন ডাকতে পারে সেটা ভাবতে ভাবতেই চায়ের কাপে চুমুক দেয় বেলি। ঠিক তখনি একটা কন্ঠস্বর কানে ভেসে আসে।
” উইল ইউ ম্যারি মি বেলি”
কথাটা শুনা মাত্রই বেলির হাত কেঁপে কিছুটা চা উপচে বেলির কাপড়ে পড়ে যায়, অতিরিক্ত চা মুখে চলে যাওয়ার তার জিহ্ববা পুড়ে যায়। সে চোখ বড় বড় করে প্রতীকের দিকে তাকিয়ে থাকে৷
প্রতীক একটা টিস্যু এগিয়ে দিয়ে বলে,
– তুমি ঠিক আছো?
বেলি টিস্যু দিয়ে কাপড়ে পড়া চা টা মুছতে মুছতে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,
– এই ধরনের বিশ্রী ঠাট্টা আমি পছন্দ করি না।
প্রতীক চট করে বলে,
– আমি ঠাট্টা করছি না। আমি তোমায় ভালোবাসি। আগে আমি বলার সুযোগ পাই নি, তোমার বিয়ে হয়ে গিয়েছিলো। তাই এখন আর সেই সুযোগ টা হারাতে চাই না সাথে তোমাকেও হারাতে চাই না।
প্রতীকের এমন কথায় বেলির কৌতুকবোধ হয়। আজকাল সে এই শব্দটা বিশ্বাস করে না। এক ঠকেছে সে এই কথা বিশ্বাস করে না। সে উঠে হাটা শুরু করলো। তার এখানে থাকার এক মুহূর্তও ইচ্ছে নেই।
সে শুনতে পেলো প্রতীক বলছে,
” নিরবতা সম্মতির লক্ষণ। তাহলে কি আমি ধরে নিবো তুমি আমার প্রস্তাবে রাজি।”
বেলি থেমে পিছন ঘুরে বললো,
– না, কখনোই না।
বেলি রাস্তায় নামতেই মোবাইলটা বেজে উঠলো। সে তিক্ত মেজাজে মোবাইলটা কানে ধরলো। ওপাশের গলার আওয়াজ পেয়ে তার মেজাজটা আরোও বিগড়ে গেলো। সে বললো,
– তোমাকে কতবার না করেছি আমাকে কল না করতে। কেন তুমি আমাকে বিরক্ত করছো সুখন।
সুখন ওপাশ থেকে ধরা গলায় বললো,
– বেলি প্লিজ, একটাবার লিখনের সাথে দেখা করতে দাও। এই শেষবার।
– না, কখনোই না। তোমার মতো চরিত্রহীন লোকের সাথে আমার ছেলেকে দেখা করতে দিবো না।
সুখন রেগে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে,
– তোর কোনে অধিকার নেই আমার থেকে আমার ছেলেকে দুরে রাখার। আমি ভুল করেছি তা স্বীকার করছি। এই শেষবার আর কোনোদিন বলবো না।
এবার ওপাশ থেকে কান্নার আওয়াজ শুনা যায়। সুখন কাঁদছে, এটা নতুন নয়। ডিভোর্সের পর থেকেই প্রায়েই ফোন করে সে কাঁদে, ক্ষমা চায়। লিখনকে দেখতে চায়। একবার এসবে বেলির মন গলে সে লিখনকে পাঠায় সুখনের কাছে। তখন সুখন লিখনকে আটকে বলে বেলি না গেলে লিখনকে দিবে না। তারপর বেশ ঝামেলা করে সে আনতে পেরেছে লিখনকে। তাই বেলি ওর কান্নার আওয়াজে না গলে বলে,
– না সম্ভব নয়।
বেলি কেটে দিবে ঐ সময় ওপাশ থেকে ভেসে আসে,
– বেলি আমি কি একটাবার তোমার সাথে দেখা করতে পারি!
বেলি হাঁটা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। উত্তর দেয় না কোনো। ওপাশ থেকে আবার বলে,
– থাক। বেলি শুনো! ( কিছুক্ষণ নিরব থেকে আবার বলে) ক্ষমা করে দিয়ো আমায়। হয়তো আর কোনোদিন দেখা হবে না।
ওপাশ থেকে কল কেটে দেওয়ার আওয়াজ আসে। বেলি মোবাইল খানিকক্ষণ কানের সাথে চেপে ধরে রাখে। ভাবে আজ সুখনের গলার আওয়াজ অন্যরকম লাগলো।
সুখন বুক ভরে নিশ্বাস নেই। চারদিক ভালো করে দেখে। এই পৃথিবীতে তো সে আর মাত্র কিছুক্ষণ। যদি এখন সে তার করা পাপের গ্লাণি থেকে মুক্তি পায়।
বেলি ঘুম ঘুম চোখে মোবাইলটা রিসিভ করে বললো
-হ্যালো
ওপাশ থেকে কথাটা শুনে বেলির ঘুম উড়ে গেলো। সে হতবিহ্বল হয়ে বসে রইলো। বারবার কালকের কথাগুলো মনে হতে লাগলো
সমাপ্ত
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)