#এমনই_শ্রাবণ_ছিল_সেদিন
#ইসরাত_জাহান_দ্যুতি
৬.
শরতের স্নিগ্ধ জ্যোৎস্না রাত্রির সৌন্দর্য হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। দখিনের সমীরণ খুলে নির্মল স্নিগ্ধ কোমল চাঁদের আলো সবার কণ্ঠকেই সুরময় করে তুলে। নয়ন ড্রাইভিং স্টিয়ারিং ধরে কান পেতে শুনছে মেহফুজের গুনগুনিয়ে গেয়ে ওঠা সুর। তার স্যার মানুষটা বর্ষাপ্রেমিকই নয় শুধু, খাস প্রকৃতিপ্রেমীই বলা চলে। শ্যুটিং সেট থেকে বের হওয়ার পর থেকেই একটা চাপা আনন্দ তার চেহারাতে বিরাজ করছে। আর এখন সিটে মাথা এলে বসে রাতের আকাশের জ্যোৎস্না আলোকিত চাঁদটাকে দেখতে দেখতে ব্রায়ান অ্যাডমসের গানটি গুনগুন করে গাইছে সে,
‘Please forgive me, I know not what I do
Please forgive me, I can’t stop loving you
Don’t denz me, this pain I’m going through’
হঠাৎ করে তার এমন রোমাঞ্চকর অনুভূতির গানটা শুনতে শুনতে নয়ন প্রথম দিকে স্তম্ভিত হলেও এখন সে মুগ্ধ হয়ে শুধুই শুনছে। প্রথমবার তার স্তম্ভিত হওয়ার কারণ, এই প্রথম সে তার স্যারকে এক নতুন অভিব্যক্তিতে আবিষ্কার করল। এই মানুষটাকে তার বড্ড ভালোই লাগে। যদিও তার সাথে কেবল কাজের কথাবার্তা আর আলোচনা ছাড়া ব্যক্তিগত বিষয়ে খুব কম কথায় হয়। তবুও মানুষটার ভেতরের কোমল মনটার জন্যই সে এই মানুষটার সঙ্গ ছাড়তে চায় না। নয়ন একবার ফ্রন্ট মিররে তাকিয়ে দেখল মুখে ঈষৎ হাসি হাসি ভাব তার স্যারের। আজ এত খুশি কেন সে? মহা কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করেই বসল, ‘কোনো ভালো একটা দিন বুঝি কাটিয়েছেন স্যার?’
মেহফুজ গানটা থামিয়ে হাসিটা মুখে লেপ্টে রেখেই বলল, ‘পুরো দিনটা ভালো না হলেও ভালো কিছু মুহূর্ত ছিল।’
নয়ন বাড়তি আর কোনো প্রশ্ন করল না। তবে সে আন্দাজ করতে পারল হয়তো তার স্যারের আজকের ভালো মুহূর্তগুলো।
***
-‘মন খারাপ?’
প্রশ্নটায় খেয়াম ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল। রাহি দাঁড়িয়েছে তার কাঁধ স্পর্শ করে। কোনো উত্তর এল না খেয়ামের থেকে। দৃষ্টিজোড়া আবার তার উদাসীন হয়ে পড়ল রাতের জ্যোৎস্নালোকিত আকাশ পানে। রাহি জিজ্ঞেস করল, ‘ফিরছিস কখন?’
খেয়ামের থেকে উত্তর এল, ‘সন্ধ্যার পর।’
বলেই পা দুটো চেয়ারে উঠিয়ে হাঁটুতে থুঁতনি ঠেকিয়ে বসল।
-‘কী হইছে রে? রুমে আসার পর শুনলাম তুই নাকি ফিরেই এখানে বসে আছিস। কোনো সমস্যা?’
-‘বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি, আমি যেদিনই রাত করে বা সন্ধ্যা করে ফিরি কেউ একজন আমার পিছু আসে। কয়েকবার মনে হলো আমি গাড়িতে উঠলেও আমার গাড়ির পিছু পিছু এক বাইকার আসে। আমি সেই বাইকারকে বেশ কয়েকবার দেখছি।’
-‘কী বলিস? কতদিন যাবৎ এমন হইতেছে?’
-‘চার পাঁচদিন মনে হয়।’
-‘কখনো তোর কাছে আসেনি? বা এসে তোর সামনে দাঁড়ায়নি?’
-‘না। আর এই ব্যাপারটা হয় শুধু রাতেই যখন ফিরি।’
-‘ভাবনার বিষয় খুব। তোর যদি খুব সমস্যা মনে হয় তাহলে আর কাজে যাস না।’
-‘আল্লাহ ভরসা। আমার কাছে যা থাকে, সে যদি সত্যিই আমার ক্ষতিকারক হয় তবে তাকে দমানো যাবে তা দিয়ে।’
-‘হুঁ, তুই এই কাজটা খ্বু ভালো করিস রে।’
-‘সবারই করা উচিত সাথে সেফটি নিয়ে চলা।’
-‘তুই কি এই কারণে মন খারাপ করে আছিস?’
খেয়াম উত্তর দিলো না এ প্রশ্নের। হাতে বইটা ধরে নাড়াচাড়া শুরু করল উদাসীন মনেই। সেদিন তরঙ্গকে অপমান করার পর তরঙ্গ শ্যুটিং সেটে চিৎকার চেঁচামেচি করে অস্থির করে ফেলেছিল। বারবার সবাইকে বলছিল তাকে কাজ থেকে বের করে দিতে। নয়তো সে নিজেই তাকে বের করে দেবে। তার এসব ঝামেলার মাঝে মেহফুজ এসে বেশ কিছু কথায় শুনিয়ে দেয় খেয়ামকে। এরপর অবশ্য তরঙ্গকে সে বলে খেয়ামকে সে কাজ থেকে বের করবে না। তরঙ্গ অগ্নিমূর্তি হয়ে তার কারণ জিজ্ঞেস করলে মেহফুজ উত্তর দেয়, ‘একান্তই আমার ব্যাপার এটা। যেহেতু সে আমার কথাই কাজে এসেছে।’
এ কথায় তরঙ্গ মেহফুজের সাথে আর কোনো তর্ক না করলেও খেয়ামকে খুব চড়া চড়া ভাষায় অপমান করেছিল। এরপর যতদিন শিডিউল ছিল তরঙ্গের, ততদিন তার খুব খারাপ আচরণের সাথে কাজ করতে হয়েছে খেয়ামের। তবে আজ সব থেকে বেশি খারাপ ছিল তরঙ্গের আচরণ। যাকে বলে মাত্রাতিরিক্ত। আপাতত এই বিষয়েই খেয়ামের মনটা খারাপ। রাহির সঙ্গে আর তেমন কোনো কথা বলল না সে। কিছুক্ষণ আগে তাকে ইব্রাহীমও বেশ ক’বার ফোন করেছিল। সে রিসিভ করেনি। হঠাৎ খেয়াল হলো তার, যে-কোনো খারাপ সময়েই মায়ের সাথে কথা বলে মনটা হালকা হয়ে যায় তার। মাকে কল করার জন্য ফোনটা হাতে নিতেই দেখল তাকে নয়ন দুবার কল করেছিল কখন যেন। সাধারণত খুব দরকার ছাড়া নয়নের থেকে তার কাছে তেমন একটা কল আসেনি কখনো। তাই অতি দ্রুতই সে কলব্যাক করলে নয়ন রিসিভ করে ওপাশ থেকে বলল, ‘সময় মতো ফোন রিসিভ করো না। আবার আমার কাজের সময় ফোন দিয়েছ কেন?’
-‘স্যরি ভাইয়া। আপনি এখন কাজে তা তো আর আমি জানি না।’
-‘যা বলার মেসেজেই তো বলে দিয়েছি।’
-‘ও, আমি তো খেয়াল করিনি। আচ্ছা আমি দেখছি।’
কথাটি শুনেই নয়ন ফোন রেখে দেয়। খেয়াম তার মেসেজটা দেখল। সে লিখেছে, ‘এমন বহু তামাশার শিকার সামনেও হতে হবে। তাই প্রথমদিনের মতোই প্রতিদিন সবটাকে হ্যান্ডেল করার জন্য মাইন্ডসেট রেখো। যেটা মনে রাখার সেটা মনে রেখো, আর যেটা ভুলে যাওয়ার সেটা ভুলে যেয়ো।’
নয়নের এমন ধারার কথাগুলো দেখে খেয়াম একটু নয়, অনেকখানিই বিস্মিত হলো। নয়ন তার এতটা সহায়ক, তা যেন তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না, বিশ্বাস হচ্ছে না এই কথাগুলো নয়নের হতে পারে। এভাবে তো নয়ন কখনো তার সঙ্গে সরাসরিও কথা বলে না। তবে মনটা তার যে কারণে খারাপ ছিল এই মেসেজটা দেখার পর সেই কারণটা সে একেবারেই ভুলে গেল।
***
শ্যুটিং স্পটে আসার পর খেয়াম জানতে পারল মেহফুজের প্রচণ্ড জ্বর। তবুও সে সেটে এসেছে। কারণ, তরঙ্গ এমন একটি চরিত্রের মানুষ যার উগ্র মেজাজ আর বেয়াড়াপনার জন্য তাকে সামাল দিতে মেহফুজকেই উপস্থিত থাকতে হয়। দুজনের মাঝে সাপে নেউলের সম্পর্ক হলেও তরঙ্গ মেহফুজের কথার কাছেই পরাজিত হয়। আজকে অবশ্য আসার পর থেকে কোনো ঝামেলা করেনি তরঙ্গ। মেকআপ নেওয়ার পর শান্তভাবে বসে আছে হাতে গিটারটা নিয়ে। শট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। মেহফুজ সব প্রস্তুতি নিয়ে বসতেই তরঙ্গ রেডি হলো শট দিতে। সবাই খেয়াল করল তরঙ্গের পায়ের দিকে। একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে সে। মেহফুজ লক্ষ করে জিজ্ঞেস করল তাকে, ‘পায়ে কী হলো তোমার?’
তরঙ্গ প্রশ্নটা শুনল। কিন্তু জবাব দিলো না। একই প্রশ্ন পুনরায় আমিন জিজ্ঞেস করলে সে তখন দায়সারাভাবে বলল, ‘আসার পথে হাঁটার সময় কীভাবে যেন পা মোচড় খেল। হালকা ব্যথা।’
*‘হালকা ব্যথা হলে তো খুঁড়িয়ে হাঁটতে না। আর আসার পর কিছু বললেও না তো আমাদের।’ মেহফুজ বলল।
-‘এত বলার কী আছে? আমাকে তো আর শটের মধ্যে দৌড়াতে হবে না। হাঁটার সময় না খোঁড়ালেই হলো।’
তরঙ্গের এমন আচরণের কারণেই মেহফুজ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কখনো কথা বলে না তার সঙ্গে। তরঙ্গের জবাবে সে কোনো কথা না বলে কাউকে ইশারা করল বরফের ব্যবস্থা করতে। শট সে কিছুক্ষণ পরে নেবে। এ বিষয়েও তরঙ্গ বেশি কথা বলা আরম্ভ করল। তাকে আমিন জোর করেই চেয়ারে বসিয়ে দিলো একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য। আর মেহফুজ ক্যামেরার সামনে বসল। মাথা যন্ত্রণায় চোখ বুজে নিজেই নিজের কপাল টিপতে থাকল। আজকের শিডিউলটা অবশ্য ক্যান্সেল করারও উপায় ছিল না। কারণ, তরঙ্গ আজ ছাড়া সময় দিতে পারত আরও তিনদিন পর। এতে মেহফুজের কাজ শেষ হতে বেশ দেরি হয়ে যেত।
আমিনের সঙ্গে কথার মাঝে তরঙ্গ একটু আঁতকে উঠল পায়ে ঠান্ডা কিছুর স্পর্শ পেয়ে। বিরক্ত নিয়ে তাকিয়ে দেখল খেয়াম মচকে যাওয়া জায়গাটুকুতে ছোটো পলিথিনের মতো ব্যাগে বরফ ভরে চেপে ধরেছে। তা দেখেই সে খ্যাক দিয়ে উঠল খেয়ামের ওপর। তার চিৎকারের শব্দ শুনে মেহফুজ চোখ দুটো খুলে তাকাল সেদিকে। তরঙ্গের পায়ে হাত দিয়ে বসে আছে খেয়াম। তরঙ্গ চিৎকার করে বলল, ‘ফালতু মেয়ে একটা! এই তোমারে কে বলছে আমার পায়ে সেঁক দিতে?’
আমিন তাকে শান্ত করার চেষ্টা করল, ‘আমি বলছি ওকে। তোমার দরকার তো। তুমি নিজে তো এটা করতে না। তাই বাধ্য হয়ে ওকেই তোমার পায়ে হাত দিতে হলো।’
তরঙ্গ আমিনের কথায় কোনো পাত্তা দিলো না। খেয়াম বরফটুকু নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে আছে। শ্যুটিং স্পটে আসার পর থেকেই খেয়াম লক্ষ করেছে তরঙ্গের দৃষ্টি। সে যেন তরঙ্গের চক্ষুশূল।
খেয়ামকে দেখলেই তরঙ্গের ইচ্ছা হয় তাকে টেনে ধরে তার গালে একনাগাড়ে কতগুলো থাপ্পড় বসাতে। আর সেই মেয়ে এখন আবার পায়ে বরফের সেঁক দিচ্ছে! তার এত বড়ো স্পর্ধা তরঙ্গ সহ্য করতে পারছে না। সে চেঁচিয়ে আবার বলল, ‘ওই মাতারি! আমার সামনে থেকে যা, সর।’
তরঙ্গের এমন আচরণে আর কেউ বিরক্ত না হলেও মেহফুজ আর ইব্রাহীমের অত্যন্ত মেজাজ খারাপ হচ্ছে। শুধু কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে কেউ তাকে কিছু বলতেও পারছে না। তবে তাদের অবাক করে দিয়ে খেয়ামই তরঙ্গকে অতি শান্তস্বরে বলল, ‘মনের রাগের থেকে শরীরের যন্ত্রণাকে একটু প্রাধান্য দিন স্যার। আমার মনে হয় একটু পর আপনার পায়ের যন্ত্রণা আরও বাড়বে। তখন কষ্টটা আপনারই হবে।’
তরঙ্গের কুঞ্চিত ভ্রু আর ক্রুদ্ধ দৃষ্টিজোড়া হঠাৎ স্বাভাবিক হয়ে গেল খেয়ামের কথায়। রাগটাও গলে যেন পানি হয়ে গেল। হঠাৎ তার কী হলো কে জানে! খেয়ামকে আর রাগ দেখাতে ইচ্ছা হলো না। হয়তো কিছুটা উপলব্ধি করতে পারল, প্রতিদিন সে মেয়েটাকে যা নয় তাই বলে অনেক বাজে কথা শোনায়। তাতে মেয়েটা এক ফোঁটা কাঁদেও না। মেহফুজ তাকে প্রথমদিন ধমকানোর পর তারপর থেকে মাথাটা একদমই নত করে রাখে তার সামনে। তার উচ্চবাচ্যের পরও সে নজর তুলে তাকায় না। আজ আবার এত কিছু বলার পরও তার সামনেই মেয়েটা কত সাবলীলভাবে দাঁড়িয়ে তাকে সেবা দিতে চাইছে, তার পায়ের ব্যথা নিয়ে চিন্তা করছে। এ কদিনে তরঙ্গ দুটো ব্যাপার খেয়াল করেছে খেয়ামের ব্যক্তিত্বের। সবার কথায় মেয়েটা রাগ করে না, কষ্ট পায় না। শুধু মেহফুজের কথাতেই সে নীরব থেকে যায়। আর মেয়েটার মাঝে ভয় বলে ব্যাপারটা খুবই কম যেন। কারণ, তার আচরণ আর তার রাগের কাছে সেটের প্রায় বেশিরভাগ মানুষই তার সামনে দাঁড়ায় কাচুমাচু মুখ করে। অথচ, এই মেয়েটা তাকে এক বিন্দু পরিমাণ ভয় পায় না এত বকা শোনার পরও।
আজ খেয়ামের মুখটা খোলা, কাটা দিয়ে একটা খোঁপা করা তার, ওড়নাটায় মাথার অনেকখানি ঢেকে রাখা। গরম পড়ার পর থেকে মাঝেমাঝেই বোরখা ছাড়া কাজে আসে সে। চোখে, মুখে কখনোই তার প্রসাধনী দেখা যায় না। তরঙ্গ সেই প্রসাধনবিহীন মুখটার দিকেই কাঠিন্য চেহারা করে চেয়ে ছিল। খেয়াম তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘আমি কি সেঁক দেবো স্যার? না আপনি নিজে নেবেন?’
প্রশ্নটা শুনে তরঙ্গ তখন দৃষ্টি ফেরাল তার থেকে। নীরব রইল সে। তাতে খেয়াম তার সম্মতি বুঝে নিলো। তার পায়ে সেঁক দিতে উদ্যত হতেই হঠাৎ পেছন থেকে তার ডাক পড়ল, ‘খেয়াম, স্যার তোমারে ডাকে।’
সৈকত এসে বলল তাকে। খেয়াম জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাতে সে আবার বলল, ‘মেহফুজ স্যার ডাকে। আর বরফ আমার কাছে দাও, আমি দিচ্ছি তরঙ্গ স্যারকে।’
খেয়াম চলে এল সেখান থেকে। মেহফুজ কখনোই তার নিজস্ব কাজে খেয়ামকে ডাকে না। এমনকি কোনো কাজেই মেহফুজ সরাসরি তাকে ডেকে আদেশ করে না। কাজের এই দুটো মাসে এই প্রথম সে ডাকল খেয়ামকে। কিন্তু তার সামনে যাওয়ার পর যেটা হলো তাতে খেয়াম বেশ বিরক্তই তার প্রতি। মেহফুজ ডাকলেও তার হয়ে কথা বলল নয়ন। খেয়াম তার এ আচরণে ভাবে, শুধু তার প্রতিটা ব্যাপারেই কি মেহফুজ নয়নকে ব্যবহার করে? না সবার ব্যাপারেই? এই প্রশ্নের উত্তরটা খেয়ামের বড্ড জানতে ইচ্ছা হয়। তার কারণ, সে দেখে মেহফুজ সেটের প্রায় সবার সাথেই দরকারে অদরকারে কথা বলে, হাসি ঠাট্টা-তামাশাও করে। শুধু তার সঙ্গে ব্যতিত।
আজকে রাত ১০ টার মধ্যে ২০০+ মন্তব্যের টার্গেট পূরণ হলে আরেকটি পর্ব দেব। ইদ করতে দেশের বাড়ি এসেছি বিধায় নেটওয়ার্ক খুবই বাজে আর আমিও ব্যস্ত।
***
চলবে।