এক শহর প্রেম_২ পর্ব-৪৭

0
6

#copyrightalert❌🚫
#এক_শহর_প্রেম_২
লেখিকা: #নুরুন্নাহার_তিথী
#পর্ব_৪৭ (বিবাহ স্পেশাল)
দেখতে দেখতে ফেব্রুয়ারি মাস। প্রকৃতিতে এখনও শীতের আবহ থাকলেও মাঘ মাসের আজই শেষ দিন। আদিরার আজ গায়ে হলুদ। সাবিহা, রিন্তি, সুমি, মৌমি, রাত্রিরা আজকে সকালেই আদিরার গ্রামে এসে পৌঁছেছে। ওরা এখন আদিরার রুমে বিশ্রাম করছে। বিকেল হতেই আত্মীয়-স্বজনরা আসছে। গ্রাম্য পরিবেশে আদিরাদের আশেপাশের বাড়ির মহিলারা হলুদ, মেহেদী বাটছে। সেই সাথে সন্ধ্যায় সবার জন্য খিচুড়ি রান্নার প্রস্তুতি চলছে। মুরগী গো*শত ও সবজি দিয়ে এই খিচুড়ি রান্না হবে। খিচুড়িতে মাখা মাখা একটা ভাব থাকবে। শীতের বিকেল, নিতান্ত ছোটোই হয়। দেখতে দেখতেই সন্ধ্যা নেমে যাচ্ছে। মৌমি আদিরার ঘরের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে সবার তোড়জোড় দেখছে। সে গ্রামের বিয়ের পরিবেশ আগে কখোনো দেখেনি। রিন্তি এসে মৌমির পাশে দাঁড়িয়ে বলে,

“কতো সুন্দর লাগছে, তাই না আপু?”

“হ্যাঁ৷ আমার এর আগে গ্রামে কোনো বিয়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। তবে আম্মুর কাছে শুনেছি অনেক সুন্দর হয়। আশেপাশের বাড়ি ঘরের মানুষজন এসে স্বেচ্ছায় কাজে হাত লাগায়।”

“আমি আমার আব্বুর খালাতো ভাইয়ের বিয়ে খেয়েছি গ্রামে। তখন সাত বছরের ছিলাম। সন্ধ্যা হলেই দেখবে সবাই কিভাবে মেহেদী ও হলুদ নিয়ে বসে। আমরা কিন্তু আদিরার হাতে ডিজাইন করে মেহেদী দিব বলে চট্টগ্রাম থেকেই সব প্রিপারেশন নিয়ে এসেছি।”

“হ্যাঁ হ্যাঁ। আন্টিকে বলেছ?”

“বলেছি। আন্টি রাজিও হয়েছে। আন্টি বলেছেন, রাত নয়টার পর আন্টি আর কাউকে আদিরার রুমে হলুদ লাগাতে ঢুকতে দেবেন না। তখন আমরা মেহেদী দিতে বসব।”

“আচ্ছা। তাহলে ভালোই হয়।”

কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আজান হতেই রিন্তি ও মৌমি ঘরের ভেতরে যেতে নিলে, একটা মেয়ে ওদেরকে একপ্রকার ধাক্কা দিয়ে আদিরার ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। রিন্তি ও মৌমি অবাক হয়ে তাকালেও মেয়েটি পাত্তা না দিয়ে আদিরার সামনে গিয়ে রূঢ় স্বরে বলতে শুরু করে,

“শেষে শহরের ছেলে পটাইলা!”

মেয়েটির কথার প্রত্যুত্তরে আদিরা কিছু বলার আগেই সাবিহা বলে উঠে,
“সরি! আপনি কে? আর এসব কেন বলছেন?”

আদিরা সাবিহাকে উত্তরটা দেয়।
“আমার খালার ননদের মেয়ে। ডালিয়া।”

ডালিয়া আদিরার কথা শুনে ফের বলে উঠে,
“এইটাও বলো যে আমার ভাইয়ের সাথে তোমার বিয়ে ঠিক হইছিল।”

রুমে উপস্থিত সকলের ভ্রুঁ কুঁচকে উঠে। সুমি বসা থেকে উঠে বলতে শুরু করে,
“আমার মা আমাকে বলেছিল, গ্রামে কিছু এমন প্রজাতির মা*নুষ আছে যারা কারও ভালো ঘরে বিয়ে হতে দেখলে বিয়ের আগের দিন ও বিয়ের দিন বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করে বা ঝামেলা বাধায়। তুমিও মনে হয় সেই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত! এদেরকে বলে কর্ডাটা পর্বের ভার্টিব্রাটা উপপর্বের রে*পটিলা শ্রেণীর এক বি*ষধর প্রা*ণী!”

সুমির কথা শুনে ডালিয়া ক্ষীপ্ত দৃষ্টিতে তাকালে সুমি ওর চারদিকে একবার ঘুরে এসে ফের বলতে শুরু করে,
“আমরা সব জানি। তোমাকে নতুন করে জানাতে হবে না। আসলে কি বলতো?….”

কথাটা বলে সুমি মেয়েটির কানের কাছে এগিয়ে গিয়ে ফিসফিস করে বলে,
“লাভ ম্যারেজ বলে কথা! আমাদের বন্ধু তো আদিরার জন্য পুরো দিওয়ানা। যেই ছেলের জন্য পুরো ক্যাম্পাসের মেয়েরা দিওয়ানা, সেই মারসাদ শুধু আদিরার জন্য দিওয়ানা। কাল বিয়ে খেতে এসে আদিরার বরটাকে দেখো! কেমন?”

ডালিয়া ফুঁসতে ফুঁসতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। ও যেতে সবাই হেসে উঠলো। রাত্রি বলে,
“মাহিটাকে মিস করছিলাম। কিন্তু সুমির জবাব শুনে এখন মনে হচ্ছে মাহি তার আ*ত্মাটা সুমিকে দিয়ে দিয়েছে!”

সবাই ফের হেসে উঠে। আদিরা বসা থেকে উঠে বলে,
“নামাজ পড়ো। আজান হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর এই রুমে বসার জায়গাও থাকবে না।”

তারপর আদিরা অজু করতে কলপাড়ে যায়।

———

মারসাদদের পুরো বাড়ি আলোয় সজ্জিত। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ মরিচবাতি দিয়ে দালান ও গার্ডেন ডেকোরেশন করা হয়েছে। আত্মীয় স্বজনরাও সবাই চলে এসেছে। রাত একটার পর সবাই আদিরাদের গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। বিয়ের সাঁজানো এসবে মারসাদকেই দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। আহনাফ, রাফিন, মৃদুল, রবিনরাও মারসাদকে সাহায্য করছে। মারসাদের কাজিনমহল খুব বেশি বড়ো না। আর তাতে বোনদের সংখ্যাই বেশি। ভাই সব ছোটো ছোটো। মারসাদের মামা, ফুফারাও অনেক দিক সামলাচ্ছে তবে মিলির স্বামী রাকিব রুমের ভেতর একদম নিরব বসা। মিলি কয়েকবার বলেছেও যেন সবার সাথে মিলেঝুলে থাকে৷ কিন্তু রাকিব নারাজ। সে আসতেও চায়নি। মিলি হতাশ নিঃশ্বাস ছাড়ে। রাকিবের পরিবারের কেউ বিয়েতে আসবে না। উনারা মিলি ও রাকিবকেও নিষেধ করেছিল। কিন্তু ভাইয়ের বিয়ে বিধায় মিলি নিষেধাজ্ঞা মানেনি।

রাত বারোটা বাজতে আর দুই মিনিট বাকি। মাহির হাতের মেহেদী প্রায় শুকিয়ে গেছে। সে তার বোনদের মাঝ থেকে উঠে ছাদে যায়। কিছুক্ষণ আগেই আহনাফ তাকে ছাদে আসতে বলেছে। ছাদে গিয়ে মাহি অবাক। গোলাপ ফুলের পাপড়ি দিয়ে ছাদের ফ্লোরে মাহির নাম লেখা। সাথে মাটির প্রদীপ দিয়েও সাঁজানো। মাহির চেহারায় খুশির উজ্জ্বলতা ফুটে উঠে। সে বুঝে যায় এটা কার কাজ। তখনি ছাদের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। দরজা বন্ধের শব্দে মাহি পেছনে ঘুরলে দেখে আহনাফ হাঁটু গেড়ে একটা গেলাপ হাতে বসে আছে। আহনাফ বলে উঠে,

“হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে, মাই এংড়িবার্ড!”

মাহি চোখ ছোটো করে তাকালে আহনাফ হেসে ফেলে। তারপর বলে,
“সরি! একজনকে এংড়িবার্ড বললে তো আবার মুখ ফুলিয়ে ফেলে।”

অতঃপর মাহিও হেসে ফেলে।
“আপনি আমাকে এই পর্যন্ত যে কতো নামে ডেকেছেন! তারমধ্যে এংড়িবার্ড নামটা কিউট কিন্তু আমি তো রাগ করি না। কতো ক্লাম, সুইট, কিউট আমি।”

“ওহ তাই?”

“হু হু।”

মাহি চাপা হেসে ফুলটা নেয়। তারপর আহনাফকে নিজের মেহেদী দেখিয়ে বলে,
“আপনার নাম খুঁজুন তো।”

“নাম লিখেছ? ওয়াও! দেখি কোথায়…”

আহনাফ বেশ আগ্রহ নিয়ে মাহির হাতে নিজের নাম খুঁজছে। হুট করে ছাদের দরজা খুলে রাফিন, মৃদুল, রবিন আসে। ওরা তিনজন কিছু দেখেনি এমন একটা ভাব করে। মৃদুল বলতে থাকে,

“ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে কাপলদের দেখতে দেখতে আমি হতাশ! কিছুক্ষণ পর আরেক কাপলের বিয়ের জন্য রওনা হতে হবে। আর আমি এখনও সিঙ্গেল!”

রাফিন বলে,
“আমার জন তো তার বান্ধবীর কাছে। তাই আমিও এখন সিঙ্গেল।”

রবিন বোকার মতো বলে,
“আমি জন্মগত সিঙ্গেল!”

“আরে ব*ল*দ! সবার জন্ম সিঙ্গেল হয়েই হয়!”

ওদের কথোপকথন শুনে মাহি ঠোঁট চেপে হেসে তাড়াতাড়ি করে নিচে চলে যায়। আহনাফ তার তিন বন্ধুর মাথায় চা*টা মে*রে বলে,
“ওর হাতের মেহেদীই দেখছিলাম! আরেকটু পর আসলে কী হতো?”

“ঘড়িতে সময় দেখ। সোয়া বারোটা বাজে। একটা বাজে বের হওয়ার কথা। আমার তো মনে হচ্ছে ২-৩টা বাজবেই। ৬-৭ ঘণ্টা তো লাগবেই সাতক্ষীরা শহরে যেতে। তারপর তো আরও ভেতরে।”

আহনাফ চিন্তায় পড়ে যায়।
“তাও ঠিক। কিন্তু তিনটা বাজলেও সমস্যা নেই। বিয়ে তো যোহরের পর পড়ানো হবে। ফেরার সময় ঝামেলাটা হবে। কখন না কখন ফিরব!”

——–

আদিরার দুই হাত ভর্তি করে মেহেদী দেওয়া শেষে সবাই বসে বসে গানের কলি খেলছে। আহাদ ইতোমধ্যে আদিরার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে। রাত্রি আহাদকে আস্তে করে উঠিয়ে একটা বালিশে শুইয়ে দিয়ে বলে,

“আদিরা, তোমার হাতের মেহেদী প্রায় শুকিয়ে গেছে। তুমি এখন শুয়ে পড়ো। কালকে সারাদিন তো ঘুমাতে পারবেই না। তারউপর জার্নি করেই ক্লান্ত হয়ে যাবে।”

আদিরা মাথা নাড়িয়ে ফোনটা হাতে নেয়। ফোন যে কখন সাইলেন্ট হয়ে আছে তা সে টেরও পায়নি। মারসাদের দুইটা মিসডকল আর একটা মেসেজ এসেছে। আদিরা মেসেজটা দেখে।

“সবার মাঝে আছো? তাহলে আর কল করলাম না। জলদি ঘুমিয়ে পড়ো। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে, মাই লাভ। আমাদের একসাথে এজ অ্যা কাপল এটাই প্রথম বসন্ত। আর দেখো, প্রথম বসন্তেই তুমি আমার বউ হতে চলেছ। টু বি মিসেস আদিরা, আই লাভ ইউ!”

মেসেজটা পড়ে আদিরা লাজুক হাসে। তারপর ফিরতি মেসেজ লিখতে নিয়েও থেমে যায়। একেবারে কালকে মারসাদকে জবাব দিবে ভেবে ফের লাজুক হেসে ফোন রেখে শুয়ে পড়ে।

——-
বরযাত্রী আদিরাদের গ্রামে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় বেলা ১১টা বেজে গেছে। মারসাদের মা, খালা, ফুফি, মামিরা কেউ আসেনি। উনারা কুমিল্লায় নতুন বউ বরণ করার অপেক্ষায় আছেন। কাশেম আলী ও আশা বেগম ফাঁকা ঘরটাতে সবাইকে অ্যাপ্যায়ন করছেন। গ্রামের মুরুব্বিরাও সেখানে বসেছে। সবার মাঝে মারসাদের অস্বস্তি হচ্ছে। ওর বন্ধুরাও সব মুরুব্বিদের মাঝে পুতুলের মতো বসে আছে। আশেপাশে মাহি ও কাজিন বোনেরাও নেই যে এখান থেকে উঠার ব্যবস্থা করবে। মাহি ও তার কাজিন বোনেরা এসেই গহনা নিয়ে আদিরার রুমে চলে গেছে। আদিরা তখনও সাঁজ শুরুই করেনি! সবে গোসল শেষে চুল শুকাচ্ছে। মাহি তা দেখে বলে,

“তুই এখনও রেডি হসনি? মেকাপ এসব কখন করবি?”

সাবিহা হতাশ কণ্ঠে জবাব দেয়,
“সে নাকি মেকাপ করবে না! এতো পথ জার্নি করতে হবে বলে মেকাপই করবে না।”

সাবিহার কথা শুনে মাহি বিরোধ করে,
“মেকাপ করবে না মানে কি? একটু তো করতে হবে। বিয়ে কি বারবার করবে নাকি! উঠ আদু, আমি তোকে হালকা করে মেকাপ করে দিব।”

“মাহি, অনেক জার্নি করতে হবে। আমার আনইজি লাগে।”

আদিরার অসহায় কণ্ঠ শুনে মাহি ওর দুই গালে হাত রেখে বলে,
“হালকা করে করব। আমি জানি, গ্রামের পার্লারে খুব ভারি করে বেস করে। আমি তেমনটা করব না। তাছাড়া তুই তো মা শা আল্লাহ, এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু বিয়েতে একটু মেকাপ না করলে ভালো লাগবে না।”

এবার মৌমি, সুমি, সাবিহারাও মাহির সাথে একমত পোষণ করে। তারপর মাহি আদিরার মেকাপ করা শুরু করে।

এদিকে আশা বেগম রান্নার দিকটা তদারকি করার সময় তার বোনের ননদ ও তার মেয়ে ডালিয়া সেখানে আসে। ডালিয়ার মা ইনিয়েবিনিয়ে আশা বেগমকে বলেন,

“তোমার মাইয়ার জামাইটা তো বেশ সুন্দর। আর বড়ো ঘরের। আমার মাইয়ার জন্যও একটা ছেলে খুঁইজো তো। তোমার মাইয়ার জামাইয়ের বন্ধুগুলাও দেখতে ভালো ঘরের লাগে।”

আশা বেগম কৃত্রিম হাসেন। উনার বদলে আসাদ এসে মজার ছলে বলে,
“খালা, দুলাভাইয়ের বন্ধুগো গালফ্রেন্ড(গার্লফ্রেন্ড) গুলাও অনেক সুন্দর। ডালিয়া আপা তো হেগো কাছে কিছুই না!”

ছেলের কথা শুনে আশা বেগম তাড়াহুড়ো করে ছেলের মুখ চেপে ধরলেন। তারপর জোরপূর্বক হাসার চেষ্টা করে বলেন,
“ওয় ছোটো মানুষ, আপা। কিছু মনে কইরেন না।”

এদিকে ডালিয়া ও ডালিয়ার মা ফুঁসছে। ডালিয়া ফুঁসতে ফুঁসতে বলে,
“ছোটো না! বলেন অতিরিক্ত পাকনা! চলো তো মা,…”

তারপর ডালিয়া তার মাকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। আশা বেগম ছেলেকে শাসন করতে গিয়েও ছেলের হাসি দেখে হেসে ফেলেন।

যোহর নামাজের পর কাশেম আলী মৌলবি নিয়ে আদিরার ঘরে আসে। মৌলবি নাম, ঠিকানা সব বলার পর আদিরাকে কবুল বলতে বললে আদিরা জলে ভরা নয়নে তার বাবার দিকে তাকায়। কাশেম আলী মেয়ের দিকে ছলছল নয়নে তাকিয়ে আছেন। আদিরার চোখ থেকে টুপ করে অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়ে। মৃদু স্বরে সে তিনবার কবুল বলে দেয়। তারপর কাজি মারসাদের কাছে গিয়ে কবুল বলায়। সকলে আলহামদুলিল্লাহ বলে। অতঃপর দুজনে পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

দুপুর সাড়ে তিনটার পর আদিরাকে নিয়ে মারসাদরা কুমিল্লার উদ্দেশ্য রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত। অনেক দূর যেতে হবে বলে বেশি দেরি করছে না। বিদায়ের সময় আদিরা খুব কাঁদছে। নিজের বাবা-মা ও ভাইকে ছেড়ে সে যেতেই চাইছে না। কেঁদেকেটে চোখ-মুখে লাল করে ফেলেছে। তারপর মাহি, রিন্তি ওরা আদিরাকে খুব বুঝিয়ে গাড়িতে বসায়। মারসাদ গাড়িতে বসে ক্রন্দনরত আদিরা হাত ধরে ওর মাথা নিজের কাঁধে এলিয়ে দেয়। অতঃপর ওদের গাড়ি ছুটে চলে নতুন ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে।

চলবে ইন শা আল্লাহ,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে