এক শহর প্রেম_২ পর্ব-২৯+৩০+৩১

0
51

#copyrightalert❌🚫
#এক_শহর_প্রেম_২
লেখিকা: #নুরুন্নাহার_তিথী
#পর্ব_২৯
পরেরদিন দুপুরে আদিরা ব্যাগপত্র গোছাচ্ছে। একটু আগেই খাওয়াদাওয়া শেষ করেছে। এখন বাহির থেকে শুকনো কাপড় গুলো গুছিয়ে ব্যাগে ভরছে। আদিরার ব্যাগ গোছানের সময় আদিরার মা মেয়ের ঘরে আসেন। আদিরা মাকে একবার দেখে আবার ব্যাগ গোছানোতে মন দেয়। আদিরার মা ও-কে জিজ্ঞাসা করেন,

“তোর খালার ননদের ছেলেকে তোর পছন্দ হয়নি, তাই না?”

আদিরা হাতের কাজ রেখে ঘুরে মায়ের দিকে তাকায়। তারপর বলে,
“না। তার সাথে উনাদের পরিবারও আমার পছন্দ হয়নি।”

“পরিবার আবার কী করলো?”

“আমি অন্য শহরে পড়ি এটা তো খালা তাদের আগেই বলেছে। তার মানে তো এই না যে আমার চরিত্র খারাপ! খালার ননদ এমন করছিল যেন আমি তার ছেলেকে বশ করেছি! তার ছেলেরও নজর খারাপ। বারবার আমার দিকে কীভাবে যেন তাকাচ্ছিল আর কয়েকবার মোবাইল নাম্বারও চেয়েছে।”

“তুই ডালিয়াকে কক্সবাজার যাওয়ার কথা কেন বলছিস?”

“সত্যিটা বলেছি।”

“জানিস, তোর খালার শাশুড়ি, ননদ, ননদের মেয়ে তোর খালাকে কতো কথা শুনায় দিছে!”

“তোমারে আমি আগেও বলছি, মা। প্রবাসী বিয়ে করব না। এরা বিদেশে পড়ে থাকে। আর হয় মা-বোনের কথায় উঠে বসে, নয়তো বউয়ের কথায়। ঝামেলা হয় অনেক। এখনি তো উনাদের আমার পড়ালেখা নিয়ে সমস্যা। পরে কী করবে কে জানে?”

“তোর বাপে জানতে পারলে কী হবে জানোস?”

“আমি আজকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য রওনা দেওয়কর পর বাবারে জানাইতে চাইলে জানাও। তার আগে না।”

“তোর বাবা অনেক রাগ করবে।”

আদিরা আর কোনো উত্তর দেয় না। কখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হবে সেই অপেক্ষায় বসে আছে।

——-
পরেরদিন প্রায় ভোর সকালে আদিরা এসে পৌঁছেছে। তারপর ফজর নামাজ পড়ে একটু ঘুমিয়েছে।

সকালে টিউশন পড়াতে যাচ্ছে আদিনা। পথটা যথাসম্ভব প্রতিদিনকার তুলনায় নিরব। ভোরের দিকে বৃষ্টি হয়েছে। তার ছাঁপও রাস্তায় লেগে আছে। বর্ষা পেরিয়ে শরৎ এলেও বর্ষার দাপট এখনও কমেনি! প্রশান্তিপূর্ণ শ্বাস নিয়ে আদিরা আস্তে আস্তে হাঁটছে। কিছুক্ষণ পর আদিরার মনে হতে লাগলো কেউ তার পিছু আসছে। ভয় হতে লাগলো তার। অতঃপর শুকনো ঢোক গিলে থামলো সে। এরপর হুট করে পিছনে ঘুরে দেখলো মারসাদ দাঁড়ানো! মারসাদের মুখে লেগে আছে চমৎকার মৃদু হাসি। মারসাদকে দেখে আদিরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। তারপর আবার সামনে ঘুরে হাঁটা শুরু করলো। আর ধিমি স্বরে বলতে লাগলো,

“আজও এসেছে! এতো নিষেধ করি তারপরও। ভাল্লাগে না আর!”

মারসাদ ইতোমধ্যে আদিরার পাশাপাশি চলে এসেছে। দুজনের মাঝে ১ ইঞ্চি পরিমাণ দূরত্ব। মারসাদ আদিরার শেষে ‘ভাল্লাগে না আর’ এতটুকু কথা শুনে খানিক ঝুঁকে জিজ্ঞাসা করে,

“কী ভাল্লাগে না তোমার?”

“আপনাকে।”

“আচ্ছা! আর বিরক্ত করব না।”

তারপর মারসাদ চলে গেলো। আদিরা সেখানেই দাঁড়িয়ে বারবার মারসাদকে ডাকলেও মারসাদ দাঁড়ায় না।

ধড়ফড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে বসে আদিরা। তারপর ওটা স্বপ্ন বুঝতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে কাছে রাখা বোতল থেকে পানি পান করে। অতঃপর নিজে নিজেই বলতে থাকে,

“আমি এমন স্বপ্ন কেন দেখছি? কোনো কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না কেন? উফ!”

নিজের মাথা চেপে ধরে আদিরা। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে দশটা বাজে। আস্তে আস্তে বিছানা ছেড়ে উঠে নাস্তা আনতে গেলো।

———–

বিকেলের দিকে আদিরা টিউশনি পড়াতে যাচ্ছে। পার্কের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় সে আশেপাশে তাকাচ্ছে। প্রতিদিনকার মতো পার্কে বৃদ্ধ, শিশু ও কিছু উঠতি বয়সীদের আনাগোনা। আদিরা ভাবলো, হয়তো ভার্সিটি বন্ধ বলেই এদিকটায় তিনি বাইক নিয়ে আসেননি। পরক্ষণেই মনে হলো, এসব কেন ভাবছে! তারপর দ্রুত পা চালিয়ে হাঁটতে লাগলো।

স্টুডেন্টকে পড়া দিয়ে দেয়ালে টাঙানো চিত্রলিপিটা দেখছে। আদিরার কাছে মনে হলো, ছবিটাতে শুধু সবুজেরই বিভিন্ন শেড ব্যবহার করে আঁকার চেষ্টা করেছে। অন্য কোনো রঙের মিশ্রণ নেই। আদিরাকে গভীর ভাবে ছবিটার দিকে দেখতে দেখে আদিরার স্টুডেন্ট বলে,

“ম্যাম, ছবিটা সুন্দর না?”

আদিরা মুচকি হেসে মাথা নাড়ায়। স্টুডেন্ট আবার বলে,
“ছবিটা পরশুদিন মামা আম্মুর বার্থডেতে গিফট করেছে। কুমিল্লা থেকে নিয়ে এসেছে। ওখানে আর্ট এক্সিবেশন থেকে নিয়েছে। আচ্ছা ম্যাম? আর্ট এক্সিবেশন কেন করে? আমি কখোনো যাইনি। মামা বলেছে আমাকে পরেরবার নিয়ে যাবে।”

আদিরা বলে,
“আচ্ছা যখন যাবে তখন দেখো। পড়া শেষ হয়েছে প্রশ্নগুলো?”

“আরেকটু বাকি।”

তারপর স্টুডেন্ট আবার পড়তে লাগলো। আদিরা ভাবতে লাগলো এই রকম একটা মৌলিক রঙের চিত্র সে মাহির ফ্ল্যাটেও দেখেছে। ওটাও সবুজের ভেতরেই ছিল। আরও অনেক সুন্দর সুন্দর চিত্র দেখেছে। সে শুনেছে মাহি ছবি আঁকতে ভালোবাসে। কিন্তু কখোনো ও-কে সামনাসামনি আঁকতে দেখেনি। ভাবতে ভাবতেই আদিরা হতাশ নিঃশ্বাস ছাড়লো।

——–
দুই দিন পর, আদিরা তার হোস্টেলের রুমমেটদের সাথে ফুচকা খেতে সন্ধ্যার পর বেরিয়েছে। ফুচকা অর্ডার দেওয়ার পর আদিরার এক রুমমেট বলে,
“কাল একবার চবির ক্যাম্পাসে যেতে চাই। আদিরা, সুরমা আমাকে নিয়ে যাবি?”

সুরমা নামের মেয়েটা বলে,
“চলো, আপু।”

“আসলে এখন তো ভীড় কম থাকবে। তাই যেতে চাইছি। আগেও কয়েকবার গিয়েছি। কিন্তু ছুটির সময় যাওয়া হয়নি।”

আদিরা বলে,
“আমিও অনেকদিন যাই না। চলো তাহলে।”

তখন একটা পুরুষ কণ্ঠস্বর ভেসে আসে।
“কই যাইবা, ফুলকলি? আমারেও লইয়া যাও।”

আদিরা সহ ওরা দুজন কণ্ঠস্বরের মালিকের দিকে তাকায়। আদিরা ভয়ে সুরমার হাত শক্ত করে ধরে। দেলোয়ার হাই তুলতে তুলতে আরেকটা টুল টেনে বসে। তারপর বলে,
“পু*লিশি ঝামেলার লইগ্যা তোমারে প্রত্যেকদিন দেখতে আসতে পারি না। ওই দিন তোমার রিকশা থামানোর জন্য আমার নামে আবার বিচার গেছে। তোমার ওই আশিক অনেক চালু মা*ল বুঝলা! তা ফুচকা খাইতে আইছো? যাও, বিল আমার। তোমরা যতো মন চায় খাও। ওই মামা (ফুচকাওয়ালাকে ডেকে) এগোর বিল নিবা না। বিল আমি দিমু।”

আদিরা চট করে উঠে দাঁড়ালো। তা দেখে দেলোয়ারও উঠে দাঁড়িয়ে শুধায়,
“কী হইলো? দাঁড়ায় গেলা কেন? বসো। মামা ফুচকা বানাইতাছে।”

আদিরা তার দুই রুমমেটের হাত ধরে হাঁটা শুরু করলো। দেলোয়ার আবার সামনে গিয়ে দাঁড়ালে আদিরা বলে,
“সমস্যা কী আপনার? আমার পথ আটকাবেন না। তাহলে এবার আমি নিজে গিয়ে পুলিশ কম্প্লেন করব।”

দেলোয়ার বিশ্রি হাসে। তারপর বলে,
“তোমার লইগ্যা দুই-এক দিন জে*ল খাটা ব্যাপার না। তোমারে যে ভালোবাসি, তা তো বুঝো না। এহনকার যুগে কে কার লইগ্যা জে*ল খাটে কও তো?”

আদিরা বিরক্ত হয়ে পাশ কাটিয়ে সামনের দিকে হাঁটা ধরে। পেছন থেকে দেলোয়ার নানান কথা বলে চলেছে। আদিরার রুমমেট আপুটা বলে,
“এই আদিরা, এই ব*খাটেটা এখনও তোকে বিরক্ত করে?”

“মাঝেমাঝে পথরোধ করে। এতো জে*ল খাটে যে লজ্জা হয় না।”

“লজ্জা হলে কী আর ব*খাটে হতো? তুইও আদিরা! আরেকবার কিছু বললে ঠা*স করে থা*প্প-র লা*গায় দিবি।”

সুরমার কথা শুনে রুমমেট আপুটা বলে,
“তাহলে তুই এখন কিছু বললি না কেন?”

সুরমা আমতা আমতা করে বলে,
“ভয়ে। যদি আবার আমার পিছনে পড়ে?”

“তাহলে আদিরাকে এই বুদ্ধি দেস কেন? পরে ক্ষো*ভে আরও ক্ষতি করতে পারে। এই আদিরা, সুরমার কথা শুনবি না। পু*লিশের কাছে যাবি তাও নিজে মা*র-তে যাবি না।”

আদিরা কোনো প্রত্যুত্তর করে না। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে হাঁটতে থাকে।

চলবে ইন শা আল্লাহ,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। কপি নিষিদ্ধ। রিচেক হয়নি।

#copyrightalert❌🚫
#এক_শহর_প্রেম_২
লেখিকা: #নুরুন্নাহার_তিথী
#পর্ব_৩০
বিকেলবেলা আদিরা টিউশন পড়াতে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার। আশেপাশে সন্ধানী নজর বুলাতে বুলাতে হাঁটছে সে। পার্কের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় আদিরা হঠাৎ থমকে গেলো। কিছুটা দূরে খুব চেনা একজন বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বাদাম খাচ্ছে। আজ সে সবসময়কার ক্যাজুয়াল হুডি, টিশার্ট, জ্যাকেট ছেড়ে অফিসের ফর্মাল গেটাপে। আকাশি রঙের শার্টের স্লিভ কনুই পর্যন্ত গোটানো। হঠাৎ এতোদিন পর তাকে দেখে আদিরার মনে অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে। আদিরা কিয়ৎ দাঁড়িয়ে মানুষটার দিকে তাকিয়ে রইল। যখনই দুজনের চোখাচোখি হলো তখনই আদিরা অপ্রস্তুত হয়ে দৃষ্টি নত করলো। অপরদিকে ওই মানুষটির অবস্থাও তাই। সোজা হয়ে দাঁড়ায় সে। আদিরা ধীর পায়ে সেদিকে এগিয়ে গেলো। তারপর জিজ্ঞাসা করে,

“কেমন আছেন?”

“ভালো। তুমি কেমন আছো?”

“আলহামদুলিল্লাহ ভালো। অফিস থেকে ফিরলেন?”

“হুম। আজ বৃহস্পতিবার তাই কিছুটা তাড়াতাড়ি ছুটি হয়েছে।”

“ওহ। এদিকে কি পার্কে ঘুরতে এসেছেন?”

“হু? হুম হুম।”

দুজনেই আবারও অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। আদিরা বলে,
“আচ্ছা। থাকুন। আমার টিউশনের সময় হয়ে যাচ্ছে।”

তারপর আদিরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলে মারসাদ পিছু ডাকে।
“শুনো?”

আদিরা ঘুরে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায়। মারসাদ বলে,
“তোমার সাথে একটু কথা ছিল।”

“জি বলুন।”

“তুমি টিউশন শেষ করে আসো। তারপর বলব।”

“টিউশন শেষ হতে দেরি হবে। আপনি এতক্ষণ কী করবেন?”

“সমস্যা নেই। তুমি টিউশন পড়িয়ে আসো। আমি ঘুরাঘুরি করব।”

আদিরা আর কোনো প্রত্যুত্তর করে না। চলে যায় টিউশনে।

——–
ঘণ্টা দেড়েক পর আদিরা তাড়াহুড়ো করে সেই জায়গায় এসে দেখে মারসাদ এখনও সেখানে দাঁড়িয়ে। এখন সে দাঁড়িয়ে বাইকের সাথে হেলান দিয়ে এনার্জি ড্রিংক পান করছে। অন্ধকারে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় এই মূহুর্তটাও আদিরা কিছুটা দূর থেকে দেখতে চাইলো। অতঃপর নিজের সম্ভিৎ ফিরে পায়। হঠাৎ নিজের এরকম আচরণে নিজেই বিচলিত সে। নিজের দুই গা*লে আলতো চ*ড়ের মতো করে দিয়ে মারসাদের কাছে এগিয়ে যায়। তারপর বলে,
“বলুন কী বলবেন?”

মারসাদ আদিরার দিকে না তাকিয়ে উত্তর দেয়,
“সরি।”

“কেন?”

এবার মারসাদ আদিরার দিকে তাকায়। আলো আঁধারিতে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় দুজনেই দুজনের মুখ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। আদিরার চোখে-মুখে জিজ্ঞাসু ভাব। মারসাদ হালকা হেসে জবাব দেয়,

“তোমার সেল্ফরেসপেক্টে হার্ট করার জন্য। আমি একটু শর্ট টেম্পার্ড (আঙুল দিয়ে দেখিয়ে), ওই সময়ে আমার ওটাই ভালো মনে হয়েছিল। আমি কিছুদিনের মধ্যেই নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিলাম, তারপর থেকে আর তোমাকে এক্টিং করতে বলিনি। কিন্তু আমি জানি, প্রথমেই তোমাকে এক্টিংয়ের কথা বলাটা আমার সবচেয়ে বড়ো ভুল ছিল। রিয়েলি সরি।”

আদিরা মৃদু হাসলো। তারপর বলল,
“আপনি বুঝতে পেরেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ। আমি আসি তবে।”

আদিরা চলে যেতে চাইলে মারসাদ ইতস্তত করে বলে,
“তুমি কিছু মনে না করলে আমি তোমাকে পৌঁছে দেই?”

আদিরা মারসাদের মুখের দিকে চেয়ে কিছু ভাবলো। তারপর বলল,
“আপনি এমনিতেই আমার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছেন। অফিস থেকে এখনো বাড়ি ফেরেননি। আপনাকে ক্লান্ত লাগছে। বাড়ি গিয়ে রেস্ট করুন।”

“আমি টায়ার্ড না। ভার্সিটি খুললেই তো সন্ধ্যার পর ক্লাস। তখন জব ও ক্লাস একসাথেই হ্যান্ডেল করতে হবে। তাছাড়া কাল অফিস ছুটি। তাই তোমাকে হোস্টেলে পৌঁছে দিতে প্রবলেম নেই। কিন্তু তুমি যেতে না চাইলে জোড় করব না।”

আদিরা ও মারসাদ একে-অপরের মুখের দিকে চেয়ে আছে। অতঃপর আদিরা বলল,
“চলুন।”

মারসাদ অবাক সাথে খুশি। সে দ্রুত বাইকে বসে আদিরাকে হেলমেটটা দিয়ে সেটা পরে পেছনে বসতে ইশারা করে। আদিরাও হেলমেটটা পরে কিন্তু ঠিক ভাবে পারছিল না। মারসাদ সেটা ঠিক করে দেয়। আদিরা নিরবে তা মেনে নেয়। অতঃপর মারসাদের বাইকের পেছনে বসে।

হোস্টেলের সামনে আদিরাকে নামিয়ে মারসাদ বলে,
“মাহি তোমার সাথে কথা বলছে না শুনলাম।”

আদিরা মাথা নাড়িয়ে উত্তর দেয়। মারসার ফের বলে,
“ও ভাবছে তোমার সামনে যদি ভুলে আমাকে নিয়ে কথা বলে ফেলে, তখন যদি তুমি রাগ করো? ও ছোটো থেকেই আমি বলতে পা*গল। তাই তো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও চট্টগ্রামেই ভর্তি হয়েছে। ও না আগে কিছুটা তোমার মতোই ইন্ট্রোভার্ট ছিল। তারপর আমিই বলেছিলাম, ইন্ট্রোভার্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্ভাইভ করা টাফ। তারপর কলেজে উঠার পর থেকে চেঞ্জ হতে থাকে। আগে ফ্রি টাইমে ড্রয়িং নিয়ে বসে থাকতো। আর এখন ও-কে কালেভদ্রে ড্রয়িং করতে দেখা যায়। তবে ইদানীং ও আবার ড্রয়িংয়ে মনোযোগ দিয়েছে। নিজের আঁকা ছবি এক্সিবিশনে দিচ্ছে। কুমিল্লাতে যাওয়ার পর আমাকেও জোড় করে ড্রয়িং করিয়েছে। ও তোমাদের এঁকেছে। দেখবে?”

আদিরা কৌতুহলী হলো। মুচকি হেসে সায় দিলো। মারসাদ ফোন বের করে মাহির আঁকা ছবিটা দেখালো। গাছতলায় চারটা মেয়ে বসা। প্রত্যেকে একেকভাবে হাসছে। আদিরা ছবিটার দিকে চেয়ে মুচকি হাসলো। সেই ছবিটার সাথেই আরেকটা ছবির কিছু অংশ আদিরা দেখলো। তখন তার স্টুডেন্টের বাসার দেয়ালের ছবিটার কথা মনে পড়লো। আদিরা মারসাদকে জিজ্ঞাসা করে,

“পাশের ছবিটা কে এঁকেছে?”

“কোনটা?”

“এই যে এটা। সবুজ রঙের।”

মারসাদ ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো। তারপর মাথা চুলকে লাজুক ভঙ্গিতে বলল,
“ওটা আমি এঁকেছি।”

আদিরা অবাক হয়ে বলল,
“এটা একটু দেখা যাবে?”

“হ্যাঁ ছবি তোলা আছে আমার। কিন্তু এটা মাহি এক্সিবেশনে নিয়ে গেছিলো। সেখানেই সেল হয়ে গেছে।”

তারপর মারসাদ ছবিটা দেখালো। আদিরা ছবিটা দেখে আরও অবাক হলো। কারণ তার স্টুডেন্টের বাড়িতে যে ছবিটা সেটাই এটা। আদিরা বলল,
“ছবিটা অনেক সুন্দর।”

“থ্যাংকিউ।”

“আপনি তবে এবার বাড়ি যান। এখানে বেশিক্ষণ দাঁড়ানোটা ঠিক হবে না।”

“হুম। তুমিও হোস্টেলের ভেতরে যাও।”

তারপর আদিরা হোস্টেলের ভেতরে চলে যায়। মারসাদও দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে যায়।

——–
হসপিটালের বিছানায় সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে মিলি। কিছুক্ষণ আগেই সে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছে। কিন্তু মিলির অবস্থা খুব নাজুক। শেষ রাতের দিকে বাথরুমে গিয়ে পিছলে বাথরুমের ফ্লোরে পড়ে গেছিলো। চিৎকার করে উঠলে মিসের মীরার ঘুম ছুটে যায়। তিনি তার বড়ো মেয়ের সাথে ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি সবাইকে ডাকেন। এখন সকাল ৭ টার কিছু বেশি বাজে। হাতে ক্যানোলা লাগানো। মারসাদ কিছুক্ষণ আগেই হসপিটালে এসে পৌঁছেছে। এখন করিডোরে মাথা চেপে ধরে বসে আছে। রাস্তায় তার একটা ছোটো অ্যাকসিডেন্টও হয়েছে। মাথায় বা*ড়ি খেয়েছে। হেলমেটের জন্য তেমন গুরুতর কিছু হয়নি। হাত ও হাঁটু ছিঁ*লে গেছে। মাহি মারসাদের জন্য জুস এনে পাশে বসে। তারপর বলে,

“তোকে এতো স্পিডে বাইক চালাতে কে বলেছে? এমনিতেই আপিলির জন্য সবাই টেনশনে। তারউপর তুইও! এখন নে, জুস খা।”

মারসাদ প্রত্যুত্তর না করে জুসটা হাতে নেয়। তখন আহনাফ সেখানে এসে বলে,
“আমাকে পর্যন্ত জানায়নি। আমি ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠে দেখি পাশে মারসাদ নেই! রাতে ঠান্ডার মে*ডিসিন খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। সকালে উঠে তোমার মিসডকল না দেখলে জানতেই পারতাম না।”

মাহি আহনাফের দিকে চেয়ে কপট রাগ দেখিয়ে বলে,
“আপনার ঘুম ভেঙেছে কয়টায়?”

“৫টায়।”

“আর আপনাকে আমি কল দিয়েছি ৪টায়।”

“বললাম তো ঔ*ষুধ খেয়েছিলাম।”

মারসাদ এদের কথাবার্তাতে বিরক্ত হয়ে বলে,
“এটা হসপিটাল। তোদের ঝগড়া করতে হলে বাইরে যা। কানের কাছে প্যানপ্যান করবি না।”

মাহি তীক্ষ্ম দৃষ্টি ছুঁড়ে কিছু বলতে চাইলে আহনাফ ইশারায় হাত জোড় করে নিষেধ করে। তারপর মাহি শান্ত হয়।
একটু পর ডাক্তার মিলিকে চেক করে এসে বলে,
“পেশেন্ট এখন স্টেবল। খিঁচুনি কমে গেছে। আর র*ক্ত দেওয়াও শেষ। কিছুক্ষণ পরেই সেন্স ফিরবে।”

অতঃপর সবার মাঝে স্বস্তি ফিরে। আরেকটা নার্স বাচ্চাটার সব চেকাপ করিয়ে দিয়ে যায়। রাকিব তার ছেলেকে কোলে নিয়ে বলে,
“ও-কে মিলির কাছে নিয়ে যাই?”

রাকিবের মা বলেন,
“যা। তবে ওকে আলগা দুধ খাওয়াতে হবে। এক ঘণ্টার মতো হলো নাতি আমার দুনিয়ায় এসেছে। এসেই ভয় পাইয়ে দিয়েছে। অক্সিজেন পাচ্ছিল না। যাক আলহামদুলিল্লাহ, এখন ঠিক আছে। মিলির তো সেন্সই নেই। নার্স কিছু খাইয়েছে কী-না কে জানে!”

তখন মিসেস মীরা বলেন,
“আপনি চিন্তা করবেন না, বেয়ান। ওর খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে।”

চলবে ইন শা আল্লাহ,

#copyrightalert❌🚫
#এক_শহর_প্রেম_২
লেখিকা: #নুরুন্নাহার_তিথী
#পর্ব_৩১
মিলির জ্ঞান ফিরেছে। সবাই এখন মিলি ও তার সদ্যজাত ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত। মাহি কথায় কথায় হঠাৎ মন খারাপ করে বলে,
“আর কয়েকদিন পর আমার ছুটি শেষ হয়ে যাবে, আপিলি। আমি মাহিরের কাছে থাকতে পারব না।”

তখন মিলির ১৫ বছর বয়সী ননদ রিহা প্রতিবাদী স্বরে বলে উঠে,
“ওর নাম মাহির না। রিহাম।”

“বললেই হলো! ওর নাম মাহির। আমি রেখেছি। আমি ওর একমাত্র খালামণি, মানে মামনি।”

“তুমি ওর খালামণি হলে আমিও ও ফুফমণি, মানে ফুইফুই!”

“ফু দিলেই উড়ে যাবে! বুঝছো! ওর নাম মাহির।”

“না না। ওর নাম রিহাম। এই ভাইয়া, ভাবি, দেখো না।”

বলেই রিহা মন খারাপ করে মিলির হাত জড়িয়ে ধরে। অপরপাশ থেকে মাহিও গিয়ে মিলির হাত জড়িয়ে ধরে। সবাই ওদের কাণ্ড দেখে হাসছে। মিলি মৃদু হেসে দুজনকে আগলে নিয়ে বলে,
“দুটোই ওর নাম। আমার দুটোই পছন্দ হয়েছে। আমরা দুই নামেই ডাকব আর দুই নামই লেখা হবে। খুশি?”

ওরা দুজনে কিছু ভাবে, অতঃপর খুশি হয়ে একসাথে বলে উঠে,
“ওকে ডান।”

——-

শুক্রবার বিকেল। আদিরা আজ একটু জলদি টিউশনের জন্য বেরিয়েছে। পার্কের কাছ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে। আবার ঘড়ি দেখছে। প্রায় মিনিট দশেক দাঁড়িয়ে ও পার্কের কাছ দিয়ে ঘুরাঘুরির পর মনে মনে ভাবে,
“আজ তো উনার ছুটির দিন। মনে হয় রেস্ট নিচ্ছে।”

তারপর স্টুডেন্টের বাসার দিকে যেতে নিলেই পথ আগলে দাঁড়ায় দেলোয়ার। আদিরা হঠাৎ করে সামনে কেউ এমে দাঁড়ানোতে ঘাবড়ে যায়। দুই পা পিছিয়ে ভালো করে লক্ষ্য করে দেলোয়ারকে দেখে আরও বেশি ভয় পায়। দেলোয়ার ধা*তুর তৈরি কা*ন খোঁ*চানি দিয়ে কা*ন খোঁ*চাচ্ছে। তারপর বিশ্রি হাসি দিয়ে বলে,

“তোমার ওই আশিকের লইগ্যা অপেক্ষা করতাছো, ফুলকলি?”

আদিরা আশেপাশে তাকাচ্ছে। সে চিৎকার করে লোক জড়ো করার কথা ভাবলো। তখনি দেলোয়ার বলে উঠে,
“তুমি আমারে এতো ডরাও কেন? আমি তোমারে কিছু করছিনি? তোমারে ভালোবাসি তাই দেখতে আহি। কাইলও আইছিলাম, কিন্তু তোমার ওই আশিকের জন্য সামনে আইতে পারি নাই। একদিন ঠিক আমু। তুমি দেইখো খালি।”

আদিরা মনে সাহস সঞ্চার করে বলল,
“আপনাকে যদি আর কোনোদিন আমাকে ফলো করতে দেখি তবে আমি নিজে পু*লিশের কাছে যাব।”

দেলোয়ার হুট করে রেগে গেলো। খপ করে আদিরার বাহু ধরে টান দিলো। আদিরা ভয়ে চিৎকার করে উঠে। দেলোয়ার হিসহিসিয়ে বলে,
“আমারে ভয় দেখাস? তোর তো সাহস অনেক! মাইয়া মানুষের এতো সাহস ভালো না।”

এদিকে আদিরার চিৎকারে আশেপাশের কিছু লোকজন জড়ো হয়। দেলোয়ার তা দেখে আর কালক্ষেপণ না করে আদিরাকে ছেড়ে পা*লায়। এক বৃদ্ধ লোক আদিরাকে বলে,
“এই ছেলে কে, মা?”

আদিরা বড়ো করে নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে,
“আমাকে রাস্তাঘাটে বিরক্ত করে।”

“পু*লিশের কাছে যাও। এসব ব*খা*টে গুলোর বিশ্বাস নেই।”

“পু*লিশে কম্প্লেন করা আছে, আঙ্কেল। জে*লও খাটে। তারপর আবার বিরক্ত করে।”

“কী আর বলব! এদের লজ্জা নাই। পু*লিশও অপেক্ষা করে কখন এরা বড়ো কোনো অ*পরা*ধ করবে! তার আগে ধরে আবার ছেড়ে দেয়।”

আদিরা মলিন হাসে। লোকটা বলে,
“সাবধানে যাও, মা। এদের ভয় পাবা না। আশেপাশের মানুষ ডাকবা।”

আদিরা মাথা নেড়ে চলে যায়।

——–

পরেরদিন ভোরে। আদিরা ফজর নামাজ পড়ে সবে বসেছে। তখনি আদিরার ফোন বেজে উঠে। আদিরা কৌতুহল নিয়ে ফোনটা নিয়ে দেখে মারসাদ কল করেছে। আদিরা দ্রুত রিসিভ করতেই অপরপাশ থেকে মারসাদ বলে উঠে,
“জলদি নিচে নামো।”

আদিরা অবাক হয়ে শুধায়,
“কেন?”

“আসতে বলেছি আসো না। আমি তোমার হোস্টেলের নিচে দাঁড়ানো। তাড়াতাড়ি আসো। আমার বাসায় গিয়ে অফিসেও যেতে হবে।”

আদিরা তাড়াতাড়ি করে জানালার কাছে গিয়ে দেখে দুটো বাইক আর দুজন দাঁড়ানো। আদিরা বলে,
“আপনি তবে এত সকালে এখানে কেন এসেছেন? এখনো তো গেট খুলেনি।”

“তুমি গেইটের কাছে আসো শুধু।”

তারপর মারসাদ কল কেটে দেয়। আদিরা ওড়না ঠিক ভাবে পেঁচিয়ে তাড়াতাড়ি নিচে যায়। কেঁচিগেইটের তালা খোলা দেখে স্বস্তি পেলো। হয়তো নামাজে যাবে বলে পুরুষ কেয়ারটেকার কেঁচিগেইট খুলেছে। আদিরা দেখে মারসাদ দেয়ালের উপর দিয়ে একটা বড়ো আর্ট কাগজ গোল করে মোড়ানো, তা তার দিকে বাড়িয়ে দেয়। আদিরা কাগজটা হাতে নিয়ে কিছুটা পিছিয়ে এসে বলে,

“এত সকালে এসেছেন কেন? এই কাগজটা তো আপনি আমাকে পরে দিলেও পারতেন।”

“তুমি জানো কাগজে কী আছে?”

“না। কী আছে?”

“খুলে দেখো।”

আদিরা তাই করলো। কাগজটা খুলে দেখলো সেখানে একটা মেয়ের ছবি আঁকা। মেয়েটার ফেসের এক পাশ দেখা যাচ্ছে। মুখের আরেকপাশে হাত দিয়ে চুল ঠিক করার মতো করে দেওয়া। খোঁপায় বেলি ফুল আর পরনে আকাশি শাড়ি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটি। সূর্য তখন প্রায় ডুবুডুবু। শাড়ির আঁচল বাতাসে উড়ছে। হলুদাভ রক্তিম আলোতে ছবিটা কেমন জীবন্ত মনে হচ্ছে। আদিরা নিষ্পলক দৃষ্টিতে ছবিটা দেখছে। ছবির মেয়েটার এক পাশের মুখের ছবিটা কিছুটা নিজের মতো লাগাতে আদিরা আরও ভাবুক হয়। ছবিটা থেকে চোখ সরিয়ে মারসাদকে জিজ্ঞাসা করে,

“এটা কি আমার ছবি?”

মারসাদ মা*থা চু*লকে হাসে। পাশ থেকে আহনাফ বলে,
“আমাকে একটু দেখাও তো। রাস্তায় আসতে আসতে এতবার বললাম একটু দেখা। ও দেখালোই না।”

আদিরা ছবিটা মেলে ধরলো। আহনাফ ছবিটা দেখে বলল,
“অনেকদিন পর আঁকার পরও তোর ছবি আঁকার স্কিল এখনও যথেষ্ট ভালো। অ*সাম!”

আদিরা জিজ্ঞাসা করলো,
“আপনি এটা কাল এঁকেছেন? তাই পার্কের ওদিকে যাননি?”

মারসাদ উত্তর দেওয়ার আগেই আহনাফ মুখ ফসকে বলে ফেলে,
“আরে না! ও কালকে কিভাবে আঁকবে? অ্যাকসিডেন্ট করে হাতে যেভাবে ব্যাথা পেয়েছে….!”

আদিরা তৎক্ষণাৎ ভ্রু কুঁচকে তাকালো। মারসাদ অলরেডি আহনাফের বাহুতে একটা লাগিয়ে দিয়েছে। আহনাফ মিনমিন করে বলে,
“সরি, দোস্ত। আমি কখোনো মুখ ফসকে কিছু বলি না। আজ মনে হয় ঘুমটা কম হওয়াতে নাকি গতকালকের ঔ*ষুধের কারণে প্রপার ঘুম না হওয়াতে….!”

মারসাদ শুধু সামান্য চোখ রা*ঙানি দিলো। তারপর আদিরার দিকে চেয়ে মৃদু হেসে বলল,
“এটা অফিসে জয়েন করার আগে যখন কুমিল্লা গিয়েছিলাম, তখনকার আঁকা। আজ নিয়ে আসলাম।”

“আপনি কালকে কুমিল্লা গিয়েছিলেন?”

“হ্যাঁ। আপিলির বেবি হয়েছে। শেষরাতের দিকে বাথরুমে পা পি*ছলে পড়ে গেছিলো তারপর হসপিটালে নিয়ে গেছিল। ছেলে বেবি হয়েছে।”

“এখন আপনার আপিলি কেমন আছে? বেবি কেমন আছে?”

“আলহামদুলিল্লাহ এখন ভালো আছে।”

“আলহামদুলিল্লাহ। আপনার অ্যা*কসি*ডেন্ট কীভাবে হয়েছে? কী অবস্থা হাতের?”

মারসাদ নিজের হাতের দিকে চেয়ে বলে,
“তেমন কিছু না। বেশি স্পিডে তোলার কারণে একটু ব্যালেন্স হারিয়ে গেছিলো। আমরা যাই এবার। অফিসে যেতে হবে।”

আদিরাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মারসাদ বাইকে গিয়ে বসে। আহনাফও নিজের বাইকে বসে। তারপর স্টার্ট দিয়ে চলে যায়। আদিরা ছবিটা নিয়ে রুমে ফিরে আসে। তারপর বিছানায় মেলে ছবিটা ভালো করে দেখতে থাকে।

চলবে ইন শা আল্লাহ,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। কপি নিষিদ্ধ। রিচেক হয়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে