#এক_মুঠো_সুখপ্রণয়
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_০৯
“জানেন শারফান আপনি যতই আমায় কল দেন না কেনো! এতো সহজে আমায় হাতের নাগালে পাবেন না। যে দূরত্বের সূচনা আমি করেছি এর ইতিও আমি টানব। তবে যে ভুল আপনি স্বেচ্ছায় বউ থাকতেও করেছেন সেই ভুলের মাশুল আপনাকে দিতেই হবে।”
আপনমনে শারফান এর ছবির দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বললাম। পেছনে যে কেউ দাঁড়িয়ে ছিল খেয়াল করিনী। ‘আহেম আহেম’ গলা ঝেড়ে নেওয়ায় আমি চোখ মুছে পিটপিট করে তাকালাম। ফুপাতো ভাই মির্জা কে দেখে বিরক্তির চোটে মুখ ফসকে ‘চ’ বের হতে গিয়েও নিয়ন্ত্রণ করে নিলাম। ছেলেটা ফোকলা দাঁতের হাসি দিয়ে বলে,
“কি জুনিয়র সাহেবা পরীক্ষার প্রিপারেশন কেমন! আচ্ছা তুমি পরীক্ষা দেবে কোথায়? তোমার শ্বশুরবাড়িতে নাকি বাপের বাড়িতে। না আমি জানতে চেয়ে ছিলাম তোমার যাওয়া আসার….।”
“আমি জানাতে ইচ্ছুক নয়।”
মির্জার মুখটা ভোঁতা হয়ে গেলো। আসছে থেকে মেয়েটা তার সাথে গম্ভীর গলায় কথা বলছে। মেয়েটার হৃদয়ে প্রেমের অনুভূতি বলতে কি কিছু নেই তাই বুঝে পাচ্ছে না সে। তবুও নিজের ভাবভঙ্গি বজায় রেখে মেয়েটার দিকে ঘুরে তাকাতেই অবাক। মেয়েটা সামনে থেকেই উধাও। মির্জা মুখ ভেঙিয়ে বলে,
“ধ্যাঁত ফালতু মেয়ে একখান। মুখে তিতা রস খেয়ে বড় হয়েছিল মনে হয়। কথার সময় সব তিতামার্কা কথার ঝুলি পড়ে।”
“কিরে নাতী একলা দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করছিস কেন? জ্বীনে টিনে ধরল নাকি-রে তোরে আবার?”
“বাড়ির ভেতর আটাময়দা সুন্দরী কি কম পড়ছে যে এখন জ্বীন-টীন ও দেখতে হবে। ঐ আটাময়দা ওয়ালীদের দেখলেই হবে জ্বীনের তাড়নায় বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকবো।”
নানা ‘হু হু’ করে হেসে দিলো মির্জার কথায়। ছেলেটার নাম মির্জা ফখরুল। তিনি মনে মনে ছেলেটার উপর সন্তুষ্ট। সেদিন ছেলেটাও তার নাতীন এর সাথে এক ট্রেনে এসেছে শুনে স্বস্তি অনুভব করে ছিলেন। ছেলেটার সাথে না এলে পুরো সময় তিনি চিন্তায় বিভোর থাকতেন। তার নাতনীর সম্পর্কে ফুপাতো ভাই হয়। ছেলেটা হাস্যরসক স্বভাবের হওয়ায় তিনি খুব পছন্দ করেন। তার নাতীনও বিগত একমাস ধরে অস্বাভাবিক ব্যবহার করছে। তার কারণ কি সেটাও জানাচ্ছে না মেয়েটা! মির্জা কে নানার সাথে দেখে মুখ ফুলিয়ে বললাম।
“নানু আপনি এখানে রোদে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? নিশ্চয়ই এই ভাইয়া দাঁড় করিয়ে রেখেছে। এই ভাই আপনার আক্কেল জ্ঞান নেই ? মুরব্বি লোককে এভাবে কাঠফাঁটা রোদে দাঁড় করিয়ে রেখছেন। কোথায় আপনার বলা উচিৎ আসেন নানা ভেতরে এসির নিচে গিয়ে বসি। সেই আপনি নানাকে কষ্টে রেখে খেজুরে আলাপ করছেন।”
মির্জার মুখ কাঁদো কাঁদো হয়ে গেলো। বেচারা এই মেয়েটার সামনে বারবার অপদস্থ হয়ে যাচ্ছে। মেয়েটাও একবার ধরলে সহজে ছাড় দেয় না। একের পর এক কথা দিয়েই নাজেহাল অবস্থা বানিয়ে দেয়। সে না পারতে নানার সামনে মাটিতে বসে পড়ল। নানার পা ধরে বলে,
“ও নানা আপনার মেয়ে কি তার মেয়ের জন্মের সময় মধু খাওয়ায় নেই। গণহারে অপমান করেই যাচ্ছে। আরেকটু বললে এখানেই আমার মরণ হবে। তার দায়ী হবে এই মেয়েটা। চুরেল কোথাকার।”
মাথা ধরে গেলো। ছেলেটা আমায় চুরেল বলল। এত সাহস দাঁতে দাঁত চেপে বললাম।
“আরেকবার বলে দেখান তো। চুরেলের গোষ্ঠীদের কাছে পাঠিয়ে দেবো আপনাকে হারামী কোনখান। আসেন নানা এখানে পাগল ছাগলের সাথে দাঁড়িয়ে কালো হওয়ার ইচ্ছে আমাদের নেই।”
নানাকে ধরে নিজের রুমে নিয়ে এলাম। দরজা বন্ধ করে ইতস্তত হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। নানা এতক্ষণ ধরে আমার ভাবভঙ্গি পরখ করছিলেন। তা আমি বেশ বুঝতে পেরেছি। তবুও এখন আমার সত্য জানতে হবে। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে জিজ্ঞেস করলাম।
“নানু আপনি কি শারফান এর সাথে কথা বলেছেন?”
নানা মুখ ফুলানোর ভান ধরে অন্যদিকে ফিরে তাকান। অপরাধী মুখ করে নানার হাত ধরে বললাম।
“আইম সরি নানু। আমি চাই নাই তুমি জেল থেকে বেড়িয়ে আমার সংসারের টানাপোড়েন সম্পর্কে অবগত হয়। এতে তোমার মন মস্তিষ্কে শারফানের প্রতি বিদ্রুপ মনোভাব জাগ্রত হতো। কিন্তু বিশ্বাস করো নানু তিনি ওমন পুরুষ নয়। আমিও তাকে ছেড়ে দেয়নি। শুধু কয়েকদিনের দূরত্ব তারপর সব মিটে….।”
“যাবে না সব মিটে।”
নানার কথায় থমকে গেলাম। অবাক করা দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম।
“মানে কি বোঝাচ্ছেন আপনি নানু?”
“যা শুনেছো তাই। শারফানের দোষ সে তোমায় বিয়ে করেও নিজ স্ত্রীর সামনে পরনারীর কথা তুলেছে। এখন সেই পরনারী তোমার সংসারে এসেছে তাও কোনো রুপ ভুলত্রুটি ছাড়া। নিশ্চয় এর পেছনে কারণ আছে। জারিফা মা’রা গেছে সেটা আমরা সবাই জানি। তার জীবিত হওয়ার কোনো রাস্তা নেই। তাকে এই নিজ হাতে তোমার বাবা সহ মিলে কবর দিয়েছি। তাই আমার মনে হচ্ছে এখানে কারসাজি করেছে তোমার চাচী শ্বাশুড়ি।”
“নানু তোমার কথায় আমিও একমত। জারিফা বেঁচে নেই। এটা নিশ্চয় কোনো বহুরুপী। যে কিনা জারিফার সম্বন্ধে সব জেনেশুনে আমার সংসারে জোরপূর্বক ঢুকতে চাইছে। তবে তুমি চিন্তা করো না নানু। এর ব্যবস্থা স্বয়ং তোমার নাতজামাই করবে। আমার বিশ্বাস এতদিনে তিনি আমার বিরহে জ্বলে পুড়ে ছারখার হচ্ছেন।”
“এই না হলো নাতজামাইয়ের আর্দশ অর্ধাঙ্গীনি। কিন্তু আমার মনে এখনো একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আমার জেল থেকে রেহাইয়ের ব্যবস্থা করলে কেমনে তুমি?”
“আসলে নানু আমার আব্বুর কিছু মেনশনের টাকা ছিল। সেগুলো আর হাতের সোনার বালা বিক্রি করে জোগাড় করেছি। তোমার নাতজামাই কে এসবে জড়ায়নি। কারণ তার আর আমার সম্পর্কের গভীরতা তখনো মজবুত ছিল না। তাইত চাচীর মুখের কথায় বিশ্বাস করে তিনি আমায় বেরিয়ে যাবার সময় থামালেনও না। অন্তত বিশ্বাস করে তো দেখতে পারতেন তিনি। চাচীর কথায় কি সত্যতা ধরা যাবে? যাক গে নানু এসব বাদ দাও। আমি শুধু সময়ের অপেক্ষা করছি। তোমার কয়েকদিন দাদুর বাড়িই থাকতে হবে। যতদিন না ঐ গ্রামে তোমার ভিটেমাটিতে বাড়ি গড়ে উঠে। আমি টাকা দিয়েছি। মিস্ত্রিরা কাল থেকে কাজে লেগে পড়বে। ইট-সিমেন্ট এর টাকা বারতি তোমার ব্যাংক একাউন্টে আছে। শেষ হলে বলিও আব্বুর ব্যাংকের জমানো টাকা থেকে ট্রান্সফার করিয়ে তোমাকে দেবো।”
“সব বুঝলাম তাহলে তোমার এখানে আসার কারণ কি শুধু আমি?”
“আরে নানু তোমাকে মনে পড়ছিল অনেকদিন ধরে। তার চেয়ে বড় কথা তোমাকে রেহাই দেবে শুনে আমার শ্বশুরবাড়িতে মন টিকছিল না। না পারতে কুসমা আপার হাতে টাকা দেওয়ার পর থেকে একেবারে মনস্থির করে রেখেছিলাম তোমার সাথে দেখা করবো। তার মাঝে শারফান কে দূরত্বের মজা কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে দেবো। স্বামীকে যতদিন আমার পেছনে নাকে দড়ি দিয়ে না ঘুরাচ্ছি ততদিন আমি শ্বশুরবাড়ি ফিরছি না। দরকার হলে এইচএসসি পরীক্ষা হোস্টেলে থেকে দেবো। তার চেয়ে বড় কথা সামনের সপ্তাহ থেকে শাহানার পরীক্ষা শুরু তার একমাস পর আমার পরীক্ষা। ওর পরীক্ষার মাঝে শারফান বাড়িতে না থাকায় শ্বশুরবাড়ি ঘুরে আসবো।”
“তুমি আর তোমার শ্বশুরবাড়ি তোমরাই জানো রে বাবা। ছাড়ো এসব আমার শারফানের সাথে কথা হয়নি। কথা হয়েছে তোর শ্বশুরের সাথে। সেই আমাকে বিয়ের দিন থেকে শুরু করে সব কথা কাহিনীর মত শুনিয়েছে। এখন তোমরা স্বামী স্ত্রী। তোমাদের মধ্যকার ঝগড়ার মাঝে আমরা নেই বাবা।”
নানার মুখভঙ্গি দেখে না হেসে পারলাম না।লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)আচমকা ফোন আসায় আমি কল রিসিভ করে ‘হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম বললাম।’ নানা এই ফাঁকে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। কলের অপর পাশ থেকে কোনো রুপ সাড়া না পেয়ে পুনরায় শব্দ করলাম। তাও নিরুত্তর। এবার রুক্ষ গলায় জিজ্ঞেস করলাম।
“আল্লাহ্ জানেন কোন বদ*মাইশ।”
কোনো রুপ সাড়াশব্দ না পেয়ে কট করে কল কেটে দিলাম। ফোনের স্ক্রিনে শাহানার নাম্বার খেয়ালই করেনি। জিভ কামড়ে বিড়বিড় করে বললাম।
“আপনিও কম চালাক নয় শারফান মিয়া। নিজের ফোনে না পেয়ে শেষমেশ আমার ননদীনির ফোন দিয়ে কল। বাহ্ ভালোই উন্নতি হয়েছে আমার স্বামীর। স্ত্রীর বিরহে লোকটা তবে চালাক হতে শুরু করেছে। নট ব্যাড।”
পুনরায় শাহানার কল এলো। এবার রিসিভ করে চুপ করে থাকব ভাবছি। যেই ভাবনা সেই কাজ। কল রিসিভ করে চুপ থাকতে গিয়েও পারলাম না। শাহানার কণ্ঠ শোনা গেলো। মনের এতক্ষণের ভাবনা সবটা ভাববিলাশ মনে হলো। মন উদাস হলেও মৃদু হেসে বললাম।
“কেমন আছো ননদীনি? আব্বু কেমন আছেন? তোমার ভাই দুটা কি করছে? নিশ্চয় তোমার বড়ভাই ঐ জারিফার বাচ্চা কে বিয়ে করছে?”
“আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালো আছি ভাবী। তবে একটা গুড নাকি ব্যাড নিউজ আমি নিজেও জানি না। তবে তুমি শুনে চরম অবাক হবে।”
শাহানার কথাগুলো কোনো আশংকার দিকে ইঙ্গিত করছে। ঢোক গিলে কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলাম।
“কি কি হয়েছে শাহানা তুমি এমনে কথা কেনো বলছো কিছু হয়েছে?”
শাহানার ভয় করছে। সে একপলক ড্রয়িংরুমে বসা তার ভাই আর বাবার দিকে তাকালো। তারা কত উল্লাসী হয়ে কথা বলছে। জারিফা মাঝে বসে আছে। নববধুর ন্যায় লজ্জা পাচ্ছে। এই লজ্জায় পড়ার কথা তো তার ভাবীর ছিল এই নির্লজ্জ মেয়েটার নয়। আচমকা মিসেস জাহানারা আহ্লাদী গলায় ‘শাহানা মা চলে আয় তোর ভাবীর খাওনের সময় হয়ছে।’ সে ভয়ে চটজলদি ফোনের মাইক্রো সাইড চেপে ধরল। কিন্তু ফোনের অপর পাশে আমি কথাটা শুনে থমকে গেলাম। একমাস হলো শ্বশুরবাড়ি থেকে দূরে! এর মাঝে বিয়েও তবে হয়ে গেলো? শারফান আমায় রেখে, আমার অনুমতি ব্যতীত দ্বিতীয় বিয়ে করলো কেমনে? আমার হাত কাঁপছে। মনে হচ্ছে এখনি ফোনটা নিচে মাটিতে পড়ে ভেঙ্গে পড়বে। চোখজোড়া টলমল করছে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে বিড়বিড় করে আওড়ে যাচ্ছি।
‘সব মিথ্যা আমি জানি শারফান আমাকে ভালোবাসে। সে আমায় ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবে না। আমি জানি। একমাসের মধ্যে তেমন কিছু ঘটার মত অবশ্যই কোনো বিশেষ কারণ নেই।”
আবুল তাবুল বকে নিজেকে শান্ত্বনা দিচ্ছি। ফোন চেপে রেখেই শাহানা কে ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
“বোন তাড়াতাড়ি বল তোর ভাবী কে হয়েছে আর আমিই তো ভাবী। আমি ছাড়া আর কে ঐ বাড়ির বউ হয়েছে।”
“আর কার হবে ভাবী? ভাইয়ের বউ।”
চিৎকার করে না বলে ফোনটা বন্ধ করে দিলাম। মাথা চেপে ‘শারফান’ কে উদ্দেশ্য করে মনের তীব্র বেদনা দ্বারা নিজের মনের বিতৃষ্ণা প্রকাশ করছি। লোকটা সত্যিই অন্য কাউকে মন দিয়েছিল বলে বউয়ের উপর তার কোনো মায়া টান হয়নি। নানা ভাত-তরকারির থালা নিয়ে রুমে এসে আমায় দেখে অবাক। হতদন্ত হয়ে ছুটে এসে আমায় বুকে আগলে নিলেন। আমি কান্নার চটে কথা বলতে পারছি না।লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)নানা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলেন আমার শান্ত হওয়ার। নিরবে ফুপাঁচ্ছি। অতঃপর নিরব গেলাম। বেখেয়ালে টলছি।
হুট করে ফোনের নোটিফিকেশনের শব্দ হলো। নানা আমায় শুয়ে দিয়ে ফোন হাতে নিয়ে খুলতে চাইলেন পারলেন না। আমি নিভু নিভু চোখ খুলে উঠে বসলাম। নানা ব্যতিব্যস্ত হয়ে বললেন।
“এই নানুভাই উঠলি কেনো? এই না ঘুমিয়ে পড়তে নিছিলি।”
আমি নিশ্চুপে নানার হাত থেকে ফোন নিয়ে নোটিফিকেশন চালু করলাম। এতে বিয়ের ছবি পাঠানো হয়েছে অচেনা নাম্বার থেকে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বিয়েটা শারফানের। তিনি সামনে মুখ করে পোজ দিয়ে ছবি তুলতে ভালোবাসেন। জারিফার পরণে লাল বেনারসী শাড়ি জড়ানো দেখেই মাথাটা ধরে গেলো। লোকটা আমায় পুতুল পেয়েছে? এই লোককে তো আর ছাড়ছি না। একমাসে কথাবার্তাহীন বিয়ে অব্দি করে নিলো। আজ তার একদিন কি আমার একদিন!
দাঁত কিড়মিড়িয়ে স্যোশাল সাইডে এসে শারফান আইডি আনব্লক করে রেকর্ডিং পাঠাতে তৎপর হলাম।
“জামাই তুই আমাকে চিনস নাই। মেয়ে আমি এইটুকুন হলেও আমার কথার ঝাঁজ আর ঝাড়ুপেটার ঝাঁজ কেমন তা জানস না। আমায় রেখে বিয়ে করেছিস না। আসতেছি আমি। অপেক্ষা কর তুই। আজীবনের জন্য তোর বিয়ে করার শখ মেটাতে এই ফারজানা মারুফ ফিরছে। ভেবেছিস পার পাবি তাই না? বুঝবি এবার আমি কি চিজ।
চলবে…..