এক মুঠো সুখপ্রণয় পর্ব-০৮

0
338

#এক_মুঠো_সুখপ্রণয়
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_০৮

“এ নাও তোমার নতুন ফোন। আর কখনো আমার ফোনে হাত লাগাবে না। পাসওয়ার্ড যা দিয়েছো চেঞ্জ করে দাও। রোজ রোজ তোমার ন্যাকামি আমার সহ্য হয় না। ফোন রেখে কলেজে গিয়ে পড়ানোর সময় লজ্জার সম্মুখীন হতে হয়। কলিগগণ ফোনে না পেয়ে জরুরি বার্তা বলতে না পারায় অসন্তোষ বোধ করেন। পরের বার থেকে নিজের ফোন নিয়ে বসে থেকো আমাকে রেহাই দাও।”

“রেহাই দিলে আমায় ছাড়া থাকতে পারবেন?”

কথাটায় কি ছিল জানে না শারফান। তবে তার বুক কেঁপে উঠে ছিল। সাময়িক সময়ের যন্ত্রণা ভেবে রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেলো। আমি নতুন ফোন হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে বেদনার হাসি দিলাম। ফোন পেলেও সেই হাসিটুকু মুখে ফুটল না যা ফুটে উঠার কথা ছিল।

‘পিপ পিপ’ হর্নের তীব্র শব্দে অতীত থেকে বেরিয়ে এলাম। চোখ খুলে দেখলাম ড্রাইভার আঙ্কেল রেল স্টেশন এর গেইটের সামনে এসে গাড়ি থামিয়েছেন। চোখ কুঁচলে জিজ্ঞেস করলাম।

“কতক্ষণে এলাম আমরা?”

“দু’ঘণ্টা হবে আপা। আচ্ছা আপা আপনি সত্যিই চলে যাইতাছেন?”

কথাটার জবাব দিলাম না। মুচকি এক হাসি দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ড্রাইভার আঙ্কেল কে নাস্তা-পানির টাকা দিয়ে টিকেট কাউন্টারে এসে টিকেট কাটলাম। তবে নিজ গ্রামের নয় অন্য গ্রামের। অঞ্জয়পুর গ্রাম কে সেই কবে বিদেয় জানিয়েছি। সেখানে যাওয়ার আর কোনো ভাবনা নেই। এবার গন্তব্য হবে দোলনপাড়া। যেখানে দাদার ভিটে অবস্থিত। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)টিকেট নিয়ে ট্রেনের ভেতর গিয়ে বসে পড়লাম। যা গরম পড়ছে না। এসি ট্রেন ভাড়া করেছি নিজের জন্য। কিন্তু বুকিং এ একজন ছেলেও আছে দেখে অস্বস্তি হচ্ছে। নিজেকে সামলে বসে পড়লাম জানালার পাশে । সিটে মাথা ঠেকিয়ে ফোনের ওয়ালপেপারের দিকে তাকিয়ে রইলাম। ঘুমন্ত শারফান এর বাচ্চাময় চেহারা। মুখটা স্বল্প আকারে হা করা। দেখে কিউটের ডিব্বা মনে হচ্ছে। তার ঘুমের ফায়দা যে কত বার তুলে ছিলাম। আচমকা কারো গলার ‘উহুম উহুম’ শব্দে পাশ ফিরে তাকালাম। মাথায় টুপি ,চোখে সানগ্লাস, পরণে বড়জড় কটি পরিহিত এক যুবক। দেখে চেনার জো নেই কে সে? চোখ ফিরিয়ে সিটে মাথা হেলিয়ে দিলাম। লোকটা সন্তপর্ণে আমার পাশের সিটে গা হেলিয়ে দিলো। যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে আমি বসেছি। লোকটা চিকন গলার স্বরে জিজ্ঞেস করে।

“আপনি কই যাচ্ছেন?”

“বলতে ইচ্ছুক নয়।”

ব্যস পুরো গন্তব্যে মুখিয়ে ছিলাম। লোকটা বিরক্ত করলেও জবাব দেয়নি। মনমাঝারে স্বামীকে ছেড়ে আসার কষ্ট যে কি পরিমাণ বেদনার্ত তা এক স্ত্রীই বুঝে। দীর্ঘ চার ঘণ্টা সফরের পর বুক ভরা শ্বাস ফেললাম। ফোন বন্ধ রেখেছি প্রায় ছয়-সাত ঘণ্টা। সেই তখন গাড়িতে বসা অবস্থায় বন্ধ করে ছিলাম। এখন না চাইতেও ফোন চালু করতে হবে। নানাকে খবর পাঠিয়ে দাদার ভিটায় ফিরতে হবে। তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে শুনেই মনটা উৎফুল্ল। এ কি শারফান এর এতগুলো আননোন মিস কল কেনো? পুনরায় কল বেজে উঠল! ধরব কিনা ভাবছি। মনে পাথর রেখে ব্ল্যাক লিস্টে নাম্বারটা ফেলে দিলাম। এই আননোন নাম্বার আমার স্বামীর তা আমার বেশ বোঝা হয়ে গিয়েছে। নিশ্চুপে কুসমা আপার নাম্বারে কল চাপলাম। সে রিসিভ করে বলে,

“আপা আপনার কথা মত আমরা দোলনপাড়া গ্রামেই আইসা পড় ছিলাম। ঐ গ্রামে পুড়া বাড়ি ছাড়া আর কিছু নেই আপা।”

“ঠিকাছে নানা কোথায়?”

“আপা নানা খাইয়া ঘুমাচ্ছে। আপনাকে এক পোলা তার সঙ্গে আনবো কইছে। সে নাকি আপনাকে চিনছে। পোলাডা আপনার ফুফাতো ভাই হয় হুনছি।”

“বুঝছি কল রাখছি বাসায় এসে কথা হবে।”

কুসমা আপা ‘আচ্ছা’ বলে কল কেটে দিলো। আমি এপাশ ওপাশ নজর বুলিয়ে ছেলেটা কে খোঁজছি। হঠাৎ কেউ কাঁধে হাত রাখাই পেছনে ফিরে তাকালাম। স্বাভাবিক চোখের নয়নে তাকিয়ে আছি। ছেলেটা উৎফুল্ল কণ্ঠে বলে উঠে।

“ওয়াও হোয়াট এ্যা প্রেজেন্ট সারপ্রাইজ। আপনিই আমার সিট পার্টনার ছিলেন। এখন দেখি আমার মামাতো বোন। আগে বললেই পারতেন। আপনার সাথে পুরো গন্তব্যে গল্পে মজে থাকতে পারতাম।”

ছেলেটা আমার অতি নিকটে এসে ন্যাকামি করে কথাগুলো বলে। তাতে আমার বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই। তপ্তশ্বাস ফেলে বললাম।

“আইম নট ইন্টারেস্টেড।”

ছেলেটার মুখ ভোঁতা হয়ে গেলো। সে আমতা আমতা করে কথা বাড়াতে নেওয়ার পূর্বেই রুদ্ধ গলায় বললাম।

“দেখেন বাসায় নিয়ে চলেন। আমার শরীর খারাপ লাগছে।”

“আচ্ছা চলেন জুনিয়র সাহেবা।”

কথাটা শুনে চোখ রাঙাতেই লোকটা সুরসুর করে গাড়ি ভাড়া করতে স্টেশনের বাহিরে গেলো। আমিও তার পিছু এগিয়ে গেলাম। সে কথা বলে এক লোককে ভাড়া করে। দু’জনে এক সিটে বসব তা নিয়ে ইতস্তত বোধ করছি দেখে ছেলেটা স্বেচ্ছায় বলে,

“আমি সামনে বসছি আপনি পেছনে বসুন। ওতটাও খারাপ নয় আমি।”

ছেলেটার কথায় স্বস্তি পেলাম। সন্তপর্ণে বসে গেলাম। ছেলেটা হাঁসফাঁস করছে কেনো করছে তাও বুঝতে পারছি। কিন্তু আমার মন তো সেই শারফান এর কাছে পড়ে আছে। ফোন বের করে শারফান এর ছবি ঘাঁটতে লাগলাম। ছেলেটা ব্যাক মিরর দিয়ে দেখে ভ্রু কুঁচকালো। বিড়বিড় করে আপনমনে বলে,

“মেয়েটা জুনিয়র তবে এটিটিউট আকাশচুম্বী উফফ।”

তার ফোন বেজে উঠল। সে ফোন কল ধরে ‘হ্যালো’ বলতেই অপরপাশ থেকে কে কথা বলল বুঝতে পারলাম না। ছেলেটা নিজমনে কথা বলে চলেছে। আমি গাড়ির বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছি। কুসমা আপা বার্তা পাঠালো। ‘কতদূর এসেছি’ জানতে চাওয়ায় বার্তা পাঠিয়ে লিখলাম,

“আসছি ছেলেটা সঙ্গে আছে।”
অপরপাশে থেকে আর কোনো সাড়া পেলাম না। গাড়ি থামার শব্দে অবাক হয়ে বললাম।

“এত জলদি চলে এলাম?”

“জ্বি জুনিয়র সাহেবা বেরিয়ে আপনার পদচারণ বাড়ির চৌকাঠে ফেলুন।”

ছেলেটার ন্যাকামি শুনতে মোটেও ইচ্ছে করছে না। রেগে মুখ খুলার আগেই সে সুরসুর করে পালালো। ভেতরে ঢুকতেই সকলে এসে বরণ করতে ভীড় জমালো। খুশি হলাম তবে একজনের কণ্ঠে স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করে। নানাকে দেখে নিরুত্তর ভঙ্গিমায় এড়িয়ে কান্না করে জড়িয়ে ধরলাম। নানা দেখে অবাক হয়েছে বটে। কিন্তু আমি চাই না স্বামীর নামে কারো মুখে কটু শব্দ শুনতে।

____
দুসপ্তাহ পর….
ফারজানার যাওয়ার পর থেকে বাড়িটা নিস্তদ্ধ হয়ে পড়েছে। আগের মত সেই কোলাহল নেই। এতে অবশ্য ফায়দা উঠিয়েছে জারিফা আর মিসেস জাহানারা। তবে পরখ করেও বলেনি ফারজানার শ্বশুর নির্লিপ্ত। তিনি আসলে মুখ খুলতে গেলে তার বাচ্চাদের ক্ষতি করে দেওয়ার আশংকায় ভয়ে জরাজীর্ণ। জারিফা আজ অন্যরকম মনোভাব পোষণ করছে দুপুরের খাবারের সময়। মিসেস জাহানারা ও তাল মিলিয়ে শারফান কে বুলাছিল। জনাব জয়নালের কাছে বিষয়টা খটকা লাগছে। তবে প্রেসার ফল হবে ভেবে চিন্তাধারা অব্যাহত রাখলেন।
রাত প্রায় বারোটা,
জারিফা আজ ফারজানার শাড়ি পরেছে। সে আজ আবেদনময়ী রুপে শারফান এর সামনে যাবে। মিসেস জাহানারা শারফান এর রুমে ‘ক্যান্ডেল লাইট’ ডিনারের ডেকোরেশন করে সবে মাত্র জারিফার রুমে এলেন। জারিফাকে ধরে বিছানায় বসিয়ে নিজের কাজল থেকে এক টুকরো কাজল তার ঘাঁড়ের পাশে দিয়ে বলেন,

“বাহ্ মাশাআল্লাহ আজ আমার মাকে কোনো পরীর চেয়ে কম মনে হচ্ছে না। দেখব শারফান কেমনে তোর কাছ থেকে দূরে থাকে?”

“হ্যা মা শারফান ভাইয়াকে ছোট থেকে পছন্দ করতাম। কিন্তু বড় আব্বু শারফানের জন্যে কোথাকার কোন ছোট-জাত কে পছন্দ করে কথাবার্তা ছাড়াই বিয়ে দিয়ে ফেলল। আমার তো সেদিন থেকে মাথায় ঘুরছিল কেমনে শারফান এর জীবনে ঢুকে মেয়েটা কে বের করবো? তাইত নিজের কালো রুপ ছেড়ে এই আবেদনময়ী রুপ কে আবরণ করে ফেললাম। জানো মা সেদিন জারিফার ছবি তুমি জোগাড় না করলে কখনো আমি শারফান এর নিকটে আসতে পারতাম না। এই জারিফার রুপই পারে আমায় শারফান এর কাছাকাছি যেতে।”

“হ্যা আমার মা তুই আর ভাবিস না। এই তোর বড় আব্বুর সম্পত্তি থেকে শুরু করে সবকিছুতে এখন তোরই অধিকার বিরাজ করবে। ঐ মেয়ের নামে শারফান এর কানে অনেক বিষ ঢুকিয়েছি। আমার লাগছে শারফান বাবার অন্তরে ঐ মেয়ের জন্য ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই নেই।”

“এমনটাই যেনো হয় মা।”

বাড়ির গেইট খোলার শব্দে মিসেস জাহানারা বিছানায় জারিফাকে বসে থাকতে বলে নিজে চলে গেলেন। তিনি আজ নিজ হাতে রান্না করেছেন। শারফান কে খাবারের মাঝে নেশার ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ে রুমে পাঠিয়ে দিবে সেই পরিকল্পনা নিয়ে তিনি পৈশাচিক হাসি দিলেন। শারফান আর শেরহাজ একসঙ্গে বাসায় এসেছে। শেরহাজ এর চোখজোড়া ভিজে আছে। কেনো তা বোঝা দায়। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)শাহানা দরজার পাশ থেকে সরে দু ভাইকে ঢুকতে দিলো। দু’জনের চোখজোড়া রক্তিম লাল হয়ে আছে। মনে হচ্ছে কান্না করেছে দু’জনে। শাহানা দুভাইকে বসতে বলে ঠান্ডা জল এনে দিলো। দুজনে খেয়ে নেয়। শেরহাজ কাঁপা হাতে শারফান এর হাত ধরে কাঁপা গলায় বলে,

“আইম সরি ভাইয়া। রিয়েলি সরি।”

শারফান চুপ করে রইল। সে তার হাতের উপর থেকে ছোট ভাইয়ের হাত ছড়িয়ে বলে,

“মাত্র দু’দিন তুই বাসার খাবার যত ইচ্ছে খেয়ে নেহ্। দু’দিন পর তোকে রিহাবে নেওয়া হবে।”

শেরহাজ চিৎকার করে কান্না করে বড় ভাইয়ের পা চেপে ধরে বলে,

“ভাইয়া প্লিজ আমি রিহ্যাবে থাকতে পারব না। এতটা অবিচার আমার সাথে করো না ভাইয়া। মাফ করে দাও প্লিজ ভাইয়া।”

“এই কথা তোর নেশায় জোড়ানোর আগে ভেবে নেওয়া উচিৎ ছিলো। নেশা করে তুই তোর ভাবীর সাথে ছিঃ আমার তোকে নিজের ভাই বলতেও ঘৃণা লাগছে। আরে তোর ভাবী পরের মেয়ে বুঝলাম কিন্তু তোর যে নিজের বোন আছে। সেই কথা তো তোর ভাবা উচিত ছিলো।”

শেরহাজ কাঁদছে। শাহানা শুনে হতভম্ব তার মেজো ভাই কিনা নেশায় আসক্ত। সে আর ভাইদের মাঝে নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। দৌড়ে রুমে গিয়ে দরজা লাগালো। তার চোখজোড়াও ভিজে গিয়েছে। নিজেকে সামলাতে ফোন নিয়ে ভাবীর কাছে কল দিতে গিয়েও থেমে গেল। ভাবল,
‘না ভাবী বাড়ি গিয়েছেন সপ্তাহ দুয়েক হবে। ব্যস্ত থাকবেন হয়ত। ইশ্ ভাবী গেলেন বাড়ির সুখসমৃদ্ধি ও হারিয়ে গেলো।’

পরক্ষণে তার মস্তিষ্কে ভেসে উঠে ভাবীর দেওয়া চিরকুটের দৃশ্য। সে ভুলেই গিয়েছিল চিরকুট এর ব্যাপারটা। ভাবী চলে যাবে এ আশা করেনি সে। তাইত কান্না কষ্টের মাঝে চিরকুট দেখার সময় পায়নি। তার পরণের জিন্স হাতড়ে খুঁজে দেখে সেখানে চিরকুটটি নেই। না পেয়ে সে হুলুস্থুল হয়ে রুমের মধ্যে খুঁজে বেড়ায়। জিনিসপত্র এলোমেলো করে না পেয়ে মাথায় হাত চেপে ধরে বসে পড়ে।

“আল্লাহ আমি ভাবীর দেওয়া চিরকুটটা কোথায় রাখছিলাম? কোথায় হারিয়েছি সেটা আল্লাহ?”

বিড়বিড় করে কপাল চাপড়ে তার নজর পড়ল ছোট বালতিতে। সেখানে আধোয়া কাপড় রাখা। উপরে জিন্স দেখে তার মনে পড়ল সে এই জিন্স পরে ছিল তার ভাবী যাওয়ার সময়। খুশি হয়ে আধোয়া বালতি থেকে জিন্সটা নিয়ে পুরো জিন্সের পকেট হাতড়ে চিরকুটটা পেয়ে যায়। উৎফুল্ল হয়ে চিরকুট খুলে ভেতরের লিখা পড়তেই আনন্দে লাফিয়ে উঠল। কেননা সেখানে ফারজানা লিখে ছিল,

“ভালোবাসায় গুরুত্ব যেমন দরকার, দূরত্ব তেমনি আবশ্য।তোমার পাগলা ভাইয়াকে দু’মাসের জন্য দেখে রেখো ননদীনি। আই হোপ তারও দরকার হবে না। কোজ হি ইজ অলরেডি মিসিং মি।”
পাশেই চোখ টিপ দেওয়া ইমেজ আঁকা।

শাহানা নিজের আনন্দ চেপে রাখতে না পেরে লাফাতে লাগল। আনমনে বলে উঠে।

“ইয়েস ইয়েস এই না হলো আমার ভাবী। আমি জানতাম ভাবী কখনো ভাইয়া কে একা করে যাবেন না। নিশ্চয় এর পেছনে কোনো কারণ আছে বলেই তিনি নিজের বাড়ি গিয়েছেন। উফফ কত খুশি লাগছে।”

হঠাৎ দরজায় টোকা পড়ায় শাহানা ঘাবড়ে গেলো। সে তার পুরো রুমের দিকে চোখ বুলিয়ে নিজেই ‘ইয়ু’ বলে দরজার কাছে গিয়ে বলে,

“আমার রুম অগুছালো। এখন এসো না কেউ।”

“এই মেয়ে নিজের বাপকে রুমে আসতে মানা করছিস। ওমন কত তোদের অগুছালো রুম সাফসুতরো করছি জানিস তুই? দরজা খুলে দেয় এখনি। আমিও একলা বসে হাঁফিয়ে গেছি। বউমাও নেই যে গল্প করব।”

বাবার কথা শুনে সময় বিলম্ব না করে দরজা খুলে দিলো। বাবাকে ভেতরে নিয়ে চিরকুট এর কথা শুনিয়ে দেয়। বাপ-মেয়ে তো মহাখুশি। একসাথে কাজে লেগে পড়ে।

চলবে…….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে