এক মুঠো সুখপ্রণয় পর্ব-০৪

0
380

#এক_মুঠো_সুখপ্রণয়
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_০৪

“আম্মু দেখলা তোমার বউমা কেমন বেশরম। এ মেয়ে কি দিয়ে তৈরি হলো? চ*ড় দিলাম কি কারণে তা না জেনেই গাঁ ঘেঁষাঘেঁষি বাড়িয়ে দিলো। চ*ড় খেয়ে মাথার তাঁর ছিঁড়ে গেলো নাকি। আম্মু দেখে রাখো তোমার বউমার বেহুদা আচরণ। অভিযোগ দিলাম তোমার কাছে।”

হঠাৎ পায়ের উপর পায়ের পারা খেয়ে কাশি উঠে গেল শারফান এর। এতক্ষণ যাবত সে তার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মনেমনে কথাগুলো ভাবছিল। আমিও কম কিসে? দায়িত্বশীল স্ত্রীর মত স্বামীর কাছে পানি এগিয়ে দিলাম। সে চোখ বড়বড় করে আমার দিক তাকিয়ে পানি গিলল। চাচী শ্বাশুড়ি আড়চোখে আমাদের দেখছে। শ্বশুর আব্বুর পাশেই আমার স্বামী বসেছে নাস্তা করতে। তিনি শারফান এর পিঠে মৃদু মালিশ করতে থেকে জিজ্ঞেস করলেন।

“বাবা কি হলো তোর এতো কাশি কেন দিচ্ছিস কয়েকদিন ধরে?”

“আর বলো না আব্বু কাশি দেওয়ানোর মানুষ যে পেয়ে গেলো ভাইয়া। এখন থেকে এই কাশিই ভাইয়ার নিত্যদিনকার সঙ্গী হিসেবে আবহমান থাকবে। কি ভাইয়া সত্যি বললাম না?”

শেরহাজ এর কথায় ঢোক গিললাম। তবে মুখের ভাবভঙ্গি পরিবর্তন করলাম না। শারফান এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম লোকটার মুখে লাজুকতা ফুটে উঠেছে। দেখেই চরম হাসি পেলো আমার। পুনরায় পা দিয়ে টুকা মা*রলাম। শারফান বেচারা আর সইতে না পেরে হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেল। শ্বশুর আব্বু তার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে।

“কি হলো দাঁড়িয়ে গেছিস কেন?”

“আব্বু আমার পায়ে পারা দিতে মানা করে দাও এই বেয়াদব কে।”

“কে তোর পায়ে পারা দিচ্ছে বাবা?”

স্বামীর কথায় চোখ রাঙিয়ে তাকালাম। স্ত্রী হিসেবে ফাজলামি করতেই পারি স্বাভাবিক। তাই বলে শ্বশুরের সামনে স্ত্রীর ফাজলামিটা টানবে নাকি এই বলদ মাস্টারে? শারফান মনেমন নিজেকে গা*লি দিলো। এই মেয়ের কারণে তার মাথা হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। বাপের সামনে মুখ ফসকে কি বলে দিলো! এখন সামলাবে কেমনে? আমতা আমতা করে তার ভাই শেরহাজ কে ইঙ্গিত করে বলে,

“দিন দিন বেয়াদব হচ্ছিস তুই। ঠিকমত খাবার খেতে দিচ্ছিস না। পায়ের উপর পারা দেওয়া অফ দেয় নাহলে আজকে তোর রেহাই নেই বলে দিলাম।”

শেরহাজ মুখের ভেতর চীজ পটেটো বল আটকে নিজের ভাইয়ের দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকালো। অবাক কণ্ঠে বলে,

“ভাই এত বড় অপবাদ দিলা? আজ পর্যন্ত নিজের ক্লাসমেট তো দূর হবু গার্লফ্রেন্ড কে শুদ্ধ পায়ের উপর পারা দিলাম না। সেখানে তুমি আমার বড় ভাই হয়ে তোমাকে পারা দেওয়া মানে নিজের জান কবজ হাতে নিয়ে রাস্তায় ঘুরাঘুরি করা।”

“শেরহাজ চুপচাপ নিজের নাস্তা শেষ করে পড়তে বসো গিয়ে।”

“আব্বু ভার্সিটি থেকে আসলাম একদিনও হলো না। সেই তুমি আবারো ঐ বোরিং পড়ার মাঝে ডুব দিতে বলতেছো। তার চেয়ে ভালো আমি এই সাঁঝ সন্ধ্যায় নদীতে গিয়ে ডুব মা*রি। এতে অত্যন্ত গরম কম লাগবে।”

শারফান তার চেয়ার ছেড়ে শেরহাজ কে ধরতে নিলে বেচারা মুখের ভেতর আরো কয়েকটা চীজ পটেটো বল ঢুকিয়ে তার চীজ পাস্তা নিয়ে রুমে ছুটে পালালো। শ্বশুর আব্বু সহ আমরা হেসে দিলাম। তখনি নজর গিয়ে পড়ল চাচী শ্বাশুড়ির উপর। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)তিনি বিরক্তির মত মুখ করে আছেন। বুঝলাম না আসছেন দিন থেকে আমাকে দেখার পর এ মহিলার চেহারার রঙ ফ্যাকাশে হয়ে আছে কেনো? শ্বশুর আব্বুর নাস্তা শেষ প্রায়। চায়ের মগ এগিয়ে দিলাম। শারফান এর দিকে তাকাতেই সে অন্যদিকে তাকালো। মনেমন হাসছি লোকটার ভয়ার্ত চাহনী দেখে। গলা ঝেড়ে শ্বশুর আব্বুকে বললাম।

“আব্বু আমি চাই কাল থেকে কলেজে যেতে। সেই সাথে অনুরোধ করবো আমায় উদ্ভাসে ভর্তি করিয়ে দিতে। আমার জন্যে সহজ হবে পড়াগুলো আয়ত্তে রাখতে।”

“কি বলছো এসব তুমি মা? শারফান যে কলেজে শিক্ষকতা করে সেখানেই তুমি নিঃসন্দেহে ভর্তি হয়ে যেতে পারো। সেখানে উদ্ভাসের ব্রাঞ্চ আছে। কলেজের পাশাপাশি উদ্ভাসে কোচিং করতে পারবে। তাই না বল শারফান‌ বাবা?”

শারফান থতমত খেলো। মাথা নেড়ে না না করে ইঙ্গিত করল। শ্বশুর আব্বু দেখে চোখ সরু করে বলে,

“না বলিস কেন-রে? তোর বউ হয় তারে তুই ভর্তি করাবি এই না হলো স্বামী কর্তব্য। নাকি তুই আমার বউমাকে না পড়িয়ে বসায় রাখতে চাস? এমনটা হলে তোকেই বাড়ির থেকে বের করে দেবো।”

না পারতে ফিক করে হেসে ফেললাম। শারফান জ্বলন্ত চোখে তাকালো। আজ বেচারা ভালোই জব্দ হচ্ছে। আমায় চ*ড় মারা একে বারে কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দিচ্ছে তার শাস্তি। কেননা আজ পরিস্থিতি আমার হাতে। ঢং করে নাস্তার আধোয়া বাটি-মগ রান্নাঘরে বেসিনের সামনে রেখে চলে গেলাম শারফান এর রুমে। সে এখনো আসেনি। জানি আসলে আমার উপর ভূকম্প লাগিয়ে দেবে। তার চেয়ে ভালো নিজেকে পাগলাটে প্রেমিকা বউ বানিয়ে রাখা। উড়না ঠিকঠাক গলায় এলিয়ে বালিশে মাথা দিলাম। দরজার কট করে খুলার শব্দে সেদিক তাকালাম। শারফান নিশ্চুপে এসে জামা নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। অপেক্ষা করছি কবে সে বের হবে। চোখ বুজে কালকে গোপনে নানার সাথে দেখা করার কথা ভেবে চলেছি। এর মাঝে খেয়াল ছিলো না কতটা বেজে গেলো?
চোখ খুলে ঘড়ির দিকে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলাম। একি এক ঘণ্টা বিশ মিনিট পার হয়ে গেলো। এখনো সে বের হলো না। কি হলো তার? ধীর পায়ে মনেমন ভাবতে থেকে ওয়াশরুমের দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। দরজায় টোকা দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।

“আপনি কি আজ সারারাত ওয়াশরুমে কাটানোর প্ল্যানিং করেছেন?”

অপরপাশে থেকে কোনো সাড়া শব্দ আসছে না। পুনরায় দরজায় টোকা দিলাম। এবার যেনো আমার পরাণে পানি আসল। লোকটা ‘হুম’ শব্দ তো বের করল। কপট রাগ দেখিয়ে দরজায় বা*রি দিয়ে বললাম।

“এই আমার ভয়ে কি আপনি আজ ওয়াশরুমে ওয়ান নাইট আউট করবেন? দেখেন আমি ওত নিষ্ঠুর নয় যে আমার অবলা স্বামী কে পাগলা বানিয়ে ছাড়বো। তাকে মাথার তাজ বানাতে হবে না? তাইত বিয়ের পরের দিন থেকে আপনার ঘাড়ত্যাড়ামির সঙ্গে আমিও পাল্লা দিয়ে ত্যাড়ামির ত্যাড়াবাঁকা বুঝিয়ে দিচ্ছি।”

শারফান মেয়েটার ফাজিল মার্কা কথায় কাঁদো কাঁদো মুখ করে পাশের দেওয়ালে কপাল ঠেকিয়ে বার কয়েক বা*রি দিলো। ব্যথা অনুভব করায় থেমে গেলো। নিজেকে শান্ত রেখে বলে,

“দেখো মেয়ে আমি কি করি না করি এতে তোমার নাক না গলালেই হবে। আরে বোন আমাকে নিজের মত থাকতে দাও না। এমনিতে জারিফাকে ছাড়া আমি ভালো নে….।”

শেষ শব্দ মুখ থেকে বের করার পূর্বেই রুমের ভেতর থেকে জোরালো শব্দ হলো। শারফান ভয় পেয়ে গেলো। চিৎকার দিয়ে জিজ্ঞেস করল।

“এ মেয়ে কি ভেঙ্গেছো? দেখো আমি খুব নিট এন্ড ক্লিন
পার্সন। আমার রুমের কোনো জিনিস যদি ভেঙ্গেছো তবে তোমার নানার থেকে যৌতুক চাইবো বুঝতে পারছো মেয়ে?”

“আহেম আহেম” আমি গলা ঝেড়ে শারফান এর মোবাইল নিয়ে আরামে বিছানার উপর বসে গেলাম। আজ দেখি লোকটা আমার সাথে কেমনে লড়াই করে? কারণ তাকে বাহির থেকে আটকে দিলাম। এর মধ্যে তার জন্য চমৎকার এক অডিও ক্লিপ তৈরি করতে তৎপর হয়ে পড়লাম।

_______
“দেখ তুই আমার হাতে টাকা কড়ি দিয়ে দিলে আমি তোকে বড় ভাইয়ার বাসায় নিয়ে আসতে পারবো। তুই শুধু টাকার ব্যবস্থা করে দেয়। এ নেহ আমার বিকাশ নাম্বার পাঠিয়ে দিলাম।”

অপরপাশ থেকে কিছু কটু কথা শুনে তার মাথা ধরে গেলো। সে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,

“এই জাহানারা কোনো কাঁচা কাজ করেনা। এমনিতে শারফান এর ফুপি বাসায় আসেওনি আর আসবেও না।”

অপরপাশের কথা শুনে হঠাৎ তার ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটল। পরক্ষণে তিনি গম্ভীরতা-র সুরে আদেশ করে কল রেখে দিলো। মিসেস জাহানারা আয়নার সামনে নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে জোরালো হাসি হাসল। যা শুধু চার দেওয়ালের মাঝেই সীমাবদ্ধ।
টুং করে শব্দ হয়ে বিকাশের নোটিফিকেশন এলো। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)তিনি তৎক্ষণাৎ বিকাশের নোটিফিকেশন চালু করে দেখে বিকাশে টাকা চলে এসেছে। সে এ নিয়ে কাউকে কিছু না বলেই বাড়ির থেকে রাতবিরেতে বেরিয়ে গেলো। দরজা স্বাভাবিক ভাবেই আটকে গেলো। দারোয়ান রাতের দশটায় বাড়ির অতিথি মহিলাকে বের হতে দেখে ভ্রু কুঁচকে দাঁড় করিয়ে দেয়। এতে তিনি ঘাবড়ে গেলেও আমতা আমতা করে বলে,

“আমার স্বামী এসেছে মুদি দোকানের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছে। তাই আমি চলে যাচ্ছি। এটা আমি ভাইয়াকেও জানিয়েছি।”

দারোয়ান মালিকের নাম শুনে দ্বিমত পোষণ করল না যেতে দিলো মহিলাটিকে। মিসেস জাহানারা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। তিনি চৌপাশে চোরা চোখে তাকিয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে মুদি দোকানের সামনে গেলেন। তবে সেখানে না দাঁড়িয়ে সোজা সেলুন পার করে রাস্তার পাশে এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে বিকাশের টাকা ক্যাশ আউট করে হাতে ধরিয়ে দিলো। ফিসফিসিয়ে তিনি বলেন,

“আর বাকি ষোলো হাজার টাকা তুই ব্যাংকে পাবি। তারপর আমাদের কাজ সম্পন্ন করতে কোনো সমস্যা হবে না গ্যারান্টি !”

মেয়েটি খুশি হলো সে মিসেস জাহানারা কে জড়িয়ে ধরে ছেড়ে দিলো। সেও মাথা নেড়ে চলে যাচ্ছি ইশারা করল। মিসেস জাহানারা ‘ঠিকাছে’ বলে মেয়েটিকে গাড়িতে বসিয়ে দিলেন। তিনিও সময় ব্যয় না করে নিজ স্বামীর বাড়ি রওনা দিলেন। এ মুহূর্তে বড় জায়ের বাড়ি প্রবেশ করার মানে হলো প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া। এ পরিস্থিতিতে তিনি মোটেও পড়তে চান না বলে দারোয়ান কে বলে চলে এসেছেন। সিএনজি ভাড়া করে চলে গেলেন।

_______.
আমার অডিও ক্লিপ বানানো শেষ। স্বামী আমার সাথে ঘাড়ত্যাড়ামি দেখাচ্ছে। তার প্রতিশোধ মিষ্টিভাবেই নিবো আমি। সেই হিসেবে প্রস্তুতি নিলাম। স্বামীর ফোন নিয়ে ওয়াশরুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি দুঘণ্টা হয়ে গেলো তিনি ভেতরে বসে আছেন। মনেমন শাঁসালাম।

“দাঁড়া বাচ্চু আজ তোকে জব্দ করব মারাত্মক ভাবে।”

পুনরায় ওয়াশরুমের দরজায় টোকা দিলো। শারফান হাঁসফাঁস করছে। আমি আদুরীয় গলায় স্বামীকে ডাকলাম।

“ওওওও আমার স্বোয়ামী জী।”

আদুরীয় গলার টান শুনে শারফান ঢোক গিলল। এ মেয়ে যা পাঁজি। আদরের ডাক দেওয়া মানেই হলো তাকে ফাঁদে ফেলা। না সে পণ করেছে আজকে মেয়েটার ফাঁদে পা দেবে না মোটেও। দুদিনেই তাকে কাহিল বানিয়ে দিলো। আমি স্বামীর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে দাঁতে দাঁত চেপে পুনরায় ডাক দিলাম। তবুও সে পাত্তা দিলো না। মুখ ফুলিয়ে বিড়বিড় করে বললাম।

“ওমা এ লোকটা তো দেখি হুদাই ঝগড়া করার ফন্দি আঁটছে। দাঁড়ান এখন অডিও ক্লিপ শুনিয়ে আপনার ঢিলামি বের করছি।”

‘আহুম আহুম’ করে কেশে দিয়ে শারফান এর ফোনটা দরজার কাছ বরাবর ধরে অডিও চালু করলাম।
অডিওতে চালু হয়েছে শারফান আর আমার কথোপকথন।

“দেখো মেয়ে আমার মোটেও তোমার সাথে থাকার ইচ্ছে নেই।”

“কিন্তু আমি করেছি কি?”

“একটাই দোষ তুমি যৌতুক আনোনি। বাড়ির কনে বিয়ে দেওয়ার সময় কি বলতে হয় যৌতুক দেওয়ার কথা? এমনিতেই উপহারের নাম করেও দেওয়া যায়। সেখানে তোমার পরিবার একখানা কুড়িও দিলো না।”

তারপর আমার কান্নার শব্দ হয়ে অডিও শেষ হয়ে গেলো। শারফান হতভম্ব। মেয়েটা তার কথার উল্টো অর্থ বের করেছে ভাবা যায় ব্যাপারটা কি হলো? কেউ এই অডিও ক্লিপ শুনলেই ধোলাই দেবে। আমতা আমতা করে বলে,

“হেই মেয়ে আমি এসব কবে বললাম? তুমি এআই ইউজ করে আমার মান-সম্মান ডুবাতে চাইছো কেনো?”

“কারণ একটাই জানকবজ আমার। আপনি যে আমায় চ’ড় মে*রে ছিলেন। তারপর এটিটিউড দেখিয়ে নাস্তার টেবিলে মুখ ফসকে আমায় লজ্জা ফেলতে চাইছিলেন। এখন আমার সাথে বেড শেয়ার করতে না চাওয়ার অপরাধের একমাত্র শাস্তি হল আপনার এই অডিও ক্লিপ। জানেন তো আমি আবার খুব শ্বশুর ভক্ত। আব্বুও আমায় খুববব পছন্দ করেন। এখন যদি গিয়ে অডিওটা আব্বুকে শুনায় তাহলে কি হবে নিজেই কল্পনা করে নেন। নিঃসন্দেহে আপনার সিক্স সেন্স প্রখর মাস্টার জান।”

কথাটা বলে আরামে আমি বিছানার উপর গিয়ে বসে পড়লাম। হঠাৎ দরজা গুলার শব্দে ওয়াশরুমের দিকে নজর গেলো। কিন্তু যা দেখলাম হাসি আটকে রাখতে পারলাম না। হুহা করে হাসতে হাসতে বিছানার উপর গড়াগড়ি খেতে লাগলাম।

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে