এক মুঠো সুখপ্রণয় পর্ব-০১

0
568

#এক_মুঠো_সুখপ্রণয়
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#সূচনা_পর্ব

বিয়ের দ্বিতীয় রাতে স্বামী কে নিজের বান্ধবীর ছবির সাথে প্রেমালাপ করে কাঁদতে দেখে মুখের ভাষা হারিয়ে ফেললাম। লোকটা নির্দ্বিধায় প্রেমের আলাপ করে কেঁদে যাচ্ছে। এতে আমি বিচলিত হয়ে পড়লাম। সদ্য বিবাহিত বধু আমি। এই ঘর, এই স্বামী আমার। সেই স্বামীর সম্পর্ক কিনা আমার বান্ধবীর সাথে চলছে? তার কাছে গিয়ে যা দেখলাম। জ্ঞান হারানোর মত অবস্থা আমার। লোকটা আমার মৃত বান্ধবীর ছবি নিয়ে প্রেমের প্রলেপ আওড়ে কাঁদছে। ভেবে ছিলাম আমার বান্ধবী নিশার সাথে তার সম্পর্ক চলছে। এইতো দেখি উল্টো কেস। যে পুরুষ আমার জীবনে প্রথম পুরুষ বলে গণ্য হওয়ার কথা ছিল। সেই পুরুষ কিনা আমার মৃত বান্ধবীর পাগল প্রেমিক ছিল। বুকের ভেতরটা চুরমার হয়ে যাচ্ছে। স্বামীর কাছে গিয়ে একপলক তার হাতে থাকা আমার প্রিয় মৃত বান্ধবীর ছবির দিকে তাকালাম। সেই চোখ ফিরিয়ে স্বামীর চেহারায় চোখ পড়ল। লোকটা এক কথায় সুদর্শন বটে। গলায় একটা ঘন কালো তিল দেখা যাচ্ছে। এমন সুপুরুষ কয়জনের কপালে জুটে। যে কিনা তার প্রেমিকার মৃত্যুর শোক না মিটিয়ে বয়ে বেড়ায়? ঢোক গিলে জিজ্ঞেস করলাম।

“খুব বেশি ভালোবাসেন জারিফা কে?”

আমার মুখ থেকে বিয়ের দ্বিতীয় রাতে এরুপ কথা লোকটা বোধহয় আশা করেননি। তিনি বিস্ময় নজরে তাকিয়ে আছেন। লজ্জা পেলাম তার চাহনীতে। চোখ নামিয়ে বললাম।

“আমি জারিফার ঘনিষ্ঠ ফ্রেন্ড ছিলাম। আমিই সেই ফারজানা যার সাথে জারিফা একসময় আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়ে ছিল।”

চোখ তুলে স্বামীর দিকে তাকালাম। যেই চোখে কিছুক্ষণ আগেও শোকের ছায়া বিরাজ করছিল, সেই চোখে এ মুহূর্তে গম্ভীরতা ছড়িয়ে গেছে। মনে হচ্ছে ভুল কিছু বলে ফেলেছি। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান) লোকটা কোনো জবাব দিচ্ছেন না কেনো? তৎক্ষণাৎ বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লেন। আমার খুব খারাপ লাগল। চিৎকার করে বলতে মন‌ চাচ্ছে।

“যদি আমাকে পছন্দই না করেন তবে বিয়ে করে ছিলেন কেনো? বিয়ের প্রথম রাতে স্বামী সোহাগ পাওয়ার কথা ছিল। অথচ সেই রাত স্বামী সঙ্গহীন নিদ্রায় কেটে গেল। সেই যখন আপনাকে রুমে আসতে দেখলাম মনটা খুশিতে ভরে গিয়ে ছিল। বিয়ের প্রথম রাত না হোক দ্বিতীয় রাতকে সুখের রাত ভেবেই পার করবো আশা করে ছিলাম। সেই আশায় ও গুঁড়ে বালি।”

কিন্তু মনের কথা মনেই রয়ে গেলো।‌ নিশ্চুপে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম। স্বামী কে দুয়েক এক বার কাছ থেকে মৃদু গলায় ডাকলাম। সাড়াশব্দ না পেয়ে বুঝলাম লোকটা ঘুমিয়ে পড়েছেন। এদিকে আমার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। এ কাকে বিয়ে করলাম? এক টুকরো সুখের আশায় এ গৃহে সংসার সাজাতে এসে ছিলাম। ভাবিনী সংসারটা আগেই অন্যের হওয়ার কথা ছিলো।

আমি ফারজানা তায়্যিবা। মা মিসেস জুবাইদা বেগম আর বাবা জনাব আব্দুল মোল্লা। তিনি গ্রামের চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার যখন সতেরো বছর তখন বাবা-মা শহর থেকে আসার পথে রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। সে সময় আমি হয়ে যায় এতিম কন্যা। আমার বাবার এক সৎ ভাই ছিলেন। তিনি হঠাৎ এসেই আমার নানীর কাছে আবদার করেন তিনি আমায় বিয়ে করবেন। নানী আর আমি হতবাক হয়ে গিয়ে ছিলাম কথাটা শুনে। বাবার ভাই অথবা সৎ ভাই মানেই চাচার সমতুল্য। এ পুরুষের বয়স ছিল চল্লিশের কাছাকাছি। আমার বাবার চেয়েও বয়সে বড় ছিলেন। তার আবদারে আমার নানা-নানী ক্ষেপে গিয়ে ছিলেন। গ্রামের সকলের সামনে সেদিন চাচাকে অপমানিত করে তাড়িয়ে দিয়ে ছিলেন।
আমি ছিলাম নীরব দর্শক। আমার এতিম জীবনে শুধু নানা-নানী সাহারা রুপে ছিলেন। দাদা-দাদীর ভালোবাসা কখনো পায়নি। কারণ বাবা নাকি মা কে ভাগিয়ে বিয়ে করে ছিলেন। তাই বাবাকে তার পরিবার ত্যাজ্য পুত্র করে দিয়ে ছিলেন। জীবনটা তখন আমার কাছে ধ্বংস স্তূপের মনে হচ্ছিল। বাহিরে গেলেই একপ্রকার ভয়ে আতঙ্কে সময় পার হতো। নানা সঙ্গে গেলেই কিছুটা স্বস্তি পেতাম। তবুও বেশিদিন টিকতো না। গ্রামের বখাটে ছেলেরা একটু আধটু উ্যক্ত করতেও পিছপা হতো না। বাবা-মা হীন মেয়েকে কেনোই বা তারা গ্রামের সম্মানিত চেয়ারম্যান এর মেয়ে বলে সম্মান দেখাবে? অথচ এই গ্রামের প্রতিটা কষ্টের মাঝে আমার বাবা তার জীবন বাজি রেখে দিতেন। সেই কষ্ট ভুলে এখন তারা আমায় কলঙ্কিত করার পিছনে লেগে পড়ে আছেন।
এভাবে একবছর কেটে যায়। আমি এখন আঠারো বছরের যুবতী নারী। এবার এইচএসসি দেবো। আমার যৌবনে ভরা রুপ দেখেই সেই সৎ চাচা পাগল হয়ে গিয়েছেন। তার সেই কু’দৃষ্টির থেকে কি বাঁচতে পেরে ছিলাম?
নানা-নানী আর আমি মিলে টিনের ঘরের মধ্যে ভালোই চলছিলো আমাদের দিনকাল। তাদের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলো আমার জীবন। ভেবেছিলাম আর কোনো বিপদ ছুঁইবে না। তবে ভাবনাটা শুধুই ভাব বিলাস মাত্র তা পরে বুঝে ছিলাম।
ঘরের দরজায় কারো কড়া নাড়ার শব্দে নানা লাঠি নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে দরজা খুলে দিলেন। দেখলেন সৎ চাচা দাঁড়িয়ে আছেন। সঙ্গে তার দুই ছেলেপেলে। নানা-নানী আর আমি ভয়ে আঁতকে উঠলাম। সৎ চাচা নম্র গলায় বললেন,

“দেখেন মোল্লা মিয়া আপনার নাতনীকে মনে ধরেছে দেইখা বিয়ের পীড়িত বসাইতে চাইতেছি। বিয়ে কইরা নিলে দেখবেন সুখে খালী চিৎকার করবো। ওমন সুখ দেবো আপনার নাতনী কে চাদর ছাইড়া উঠবো না। আপনি একবার রাজি হইয়া যান মিয়া।”

“দেহো বাপ তুই এখান থেইকা চইলা যা। আমি আমার নাতনীর বিয়ে তোর লগে দিমু না। মরে যামু আমরা তবুও তোর লগে বিয়ে দিতাম না। আইছে কোথাকার কোন বুইড়া ব্যাটা।”

সৎ চাচার দেখলাম মাথা গরম হয়ে গেল। তিনি রাগে বলেন,

“এই হা*রাম*জাদা কি বললি খাড়া আজই তোর নাতনীর এমন হাল করমু সকালে ওর মুখ দেইখা সবাই থুথু মারবো।”

আমি ভয়ে নানী কে চেপে ধরে বসে ছিলাম। নানা লাঠি দিয়ে মা*রা আরম্ভ করলেন। আমাকে নানী কৌশলে পালাতে দিতে সহায়তা করতে নিলে নানীর গলায় কোপ বসালো সৎ চাচা। নানী বলে চিৎকার করে উঠলাম। সেই রাত ছিলো বৃষ্টির রাত। কেউ আমাদের কোলাহল শুনতে পাচ্ছিল না। নানী ঐ অবস্থায় মা*রা গেলেন। সৎ চাচা পৈশাচিক হেসে আমাকে টেনে রুমে ঢুকিয়ে বিছানায় ফেলে দিলেন। বুকের উপর থেকে ওড়না টেনে ফেলে দিয়ে নিজের লুঙ্গি, শার্ট খুলতে লাগলেন। আমি ভয়ে ‘নানা নানা বাঁচাও’ বলে চিৎকার দিচ্ছি। নানা নীরবে নানীর দিকে তাকিয়ে ছিলেন। আমি কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। নিজের জীবন রক্ষার্থে এক মেয়েকে সাহসী হতেই হয় নাহলে এরুপ লোকেরা জীবনটায় ছাড়খার করে দিয়ে কলঙ্ক লেপ্টে দেয়। বিছানার পাশেই নানীর সুপারি কাটার মেশিন অর্থাৎ যাঁতি রাখা ছিলো। নানী ঘুমানোর আগেই সুপারি কেটে পান খেয়ে ঘুমাতেন। আমি সেই যাঁতি নিয়ে সৎ চাচার লুঙ্গির উপর দিয়ে তার গো*পনা*ঙ্গ কেটে দিলাম। লোকটা চিৎকার করে গ*লা কাটা মুরগীর মত চেঁচামেচি করতে লাগল। এতে তার ছেলেপেলে দুটা তেড়ে আসলে তাদের মাথায় জোরেসরে আঘাত করে বেরিয়ে পড়ি। নানা কে বিধ্বস্ত দেখে তৎক্ষণাৎ নানার হাত ধরে পালাতে চাইলে নানা থেমে রইলেন। আমি অসহায় চোখে তাকিয়ে রইলাম। নানা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,

“গোসল সেরে সুন্দর জামা পইড়া আয়। তোকে রেল স্টেশনে ছাইড়া দিমু। কাল থেকে তুই তোর জয়নাল আঙ্কেলের বাসায় থাকবি। ওর হাতে তোর যাবতীয় জিনিস কয়েক দিনের মধ্যেই পাঠিয়ে দিমু। আর হুন জয়নালের পোলার লগে তোর কালকেই বিয়ে হইবো। আমি তোর নানীরে কবর না দিয়া কোথাও যামু না। এ ঘরও সামলানো লাগবো। আমার চিন্তা করিস না। তোর নানা বহুত শক্ত মানুষ। কখনো জামাইরে অবহেলা করিস না। সবসময় তারে ভালোবাসবি। জামাই যা বলবো মানিস। জামাই রাইগা থাকলে তুই চুপ থাকবি। দেখবি ঘর-সংসার শান্তিতে পূর্ণ থাকবো। যা এবার গোসল করে আয়।”

সে রাতে নানার কথামতই হলো সব। স্টেশন থেকে জয়নাল আঙ্কেল তার নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন। সেখানে আন্টিকে দেখলাম না। পরে আঙ্কেল থেকে জানতে পারলাম আমার শ্বাশুড়ি মা নেই। আঙ্কেল আমার নানার কথা অনুযায়ী সেই রাতে তার ছেলের সাথে বিয়ে পাকা করে রাখেন। তার পরের দিন দুপুরে বিয়ে পড়িয়ে দিলেন। সে সময় ছেলে কোনো রুপ অমত পোষণ করেনি। বরং নির্লিপ্ত চাহনী নিয়ে এক প্রকার ঘোরের মাঝে আমাদের বিয়ে হয়ে গেলো। ছেলে কবুল বলেই আমায় রেখে বাহিরে চলে যায়। কোথায় গেল আঙ্কেল কে জানায়নি। সে সময় আঙ্কেলের কাছ থেকে জানতে পারলাম আমার স্বামী যার নাম শারফান মারুফ। তিনি একজন সরকারি কলেজের শিক্ষক। শুনে খুশি হয়ে ছিলাম বটে। কারণ আমার একনিষ্ঠ ইচ্ছে ছিল আমার জীবনসঙ্গী যেনো কোনো শিক্ষক হোন। কারণ তারা শিক্ষার মর্যাদা বুঝেন। অবশ্য লোকটা আমায় পড়াবেন সেই আশায় আমি একটু হলেও মনে শান্তি বোধ করছি। পুরো একদিন শারফান কে দেখলাম না। একেবারে বিয়ের দ্বিতীয় রাতে পেলাম মৃত প্রাক্তনের জন্য কান্না করার মাঝে। সে সব চিন্তাভাবনায় কবে ঘুমিয়ে গেলাম বুঝতে পারলাম না।
সকাল বেলা মুখের উপর পানির জোয়ার পরায় চমকে জেগে উঠলাম। মুখের উপর থেকে পানি মুছে সামনে তাকাতেই অবাক। শারফান রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। তার হাতে মগ দেখে বুঝলাম লোকটাই পানি নিক্ষেপ করেছেন আমার উপরে। বুঝতে পারলাম না আমি কি কোনো ভুল করেছি কিনা? মৃদু গলায় জিজ্ঞেস করলাম।

“কি হলো আপনি আমার উপর পানি ঢাললেন কেনো?”

“তবে কি আপনার মুখ দর্শনে টাকার বর্ষণ করা উচিৎ ছিল? দেখেন আজ প্রথম তাই মাফ করলাম। পরবর্তীতে আপনি বিছানায় ঘুমাবেন না। আমি আমার পাশে জারিফা কে ছাড়া অন্য কাউকে কল্পনা করতে পারি না।”

চুপটি করে তাকিয়ে রইলাম। শারফান ভ্রু কুঁচকে পুনরায় বলেন,

“বুঝেছেন কি বলেছি আমি?”

একে তো আমার ঘুমের তেরোটা বাজিয়ে দিলো এই লোক। এখন সাতসকালে পাগলের প্রলেপ গাইছে। দাঁড়া বাচ্চু তোর খেলাফত করছি এখনি। শারফান এর সামনে গিয়ে মুখোমুখি দাঁড়ালাম। লোকটা থতমত খেলো। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)তার পা দুয়েক পদ পিছিয়ে গেলো। তাতে আমিও এগোলাম। লোকটা মৃদু কাঁপছে। তার থরথর করে কাঁপা ঠোঁট দেখে আমার মনমাঝারে উম্মাদনার সৃষ্টি হচ্ছে। তার সেই কাঁপা ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে বললাম।

“একটা কথা কান খুলে শুনে রাখুন। আজ প্রথমদিন তাই আপনাকে মাফ করলাম। নাহলে বাসর রাতে সদ্য বিবাহিত বউ রেখে হঠাৎ উধাও হওয়া আবার বাসরের দ্বিতীয় রাতে কোথাকার কোন মইরা ভূত হয়ে যাওয়া প্রেমিকার শোকে কান্না করার অপরাধে বিছানার উপর বেঁধে আপনার উপর বেধম প্রহার চালাতাম‌। আপনি হয়ত আমার ব্যাপারে কিছুটি জানেন না। সিয়ানা আমি বুঝছেন। আমার সাথে পাঙ্গা তো আপনি লুঙ্গি ছাড়া বুঝলেন?”

লোকটা কাঁপতে কাঁপতে সোফার বসে গুটিয়ে গেলেন। মাথা নেড়ে সায় দিলেও মুখ ফুটে বলেন,

“দেদেদেদেখুন আপনি কিন্তু মেয়ে হয়ে আমার মত পুরুষের গায়ে অশ্লীলমার্কা ভাবনায় স্পর্শ করতে পারেন না। না হলে আপনাকে পুলিশে দেবো।”

“দেন যান এখনি যান। এই নেন আপনাকে জোরালো ঘন চুমু খেয়ে দিচ্ছি।”

লাজ লজ্জা ভুলে নিজ স্বামীর ঠোঁটের উপর ঘন চুমুক খেয়ে ছেড়ে দিলাম। বিয়ের পর এ প্রথম স্পর্শ দু’জনের মাঝে বিরাজিত হলো। লোকটা কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলেন,

“আপনি আমার ইজ্জত লুট করেছেন। আপনাকে আমি পুলিশে দেবো তাদের বলব আপনি আমার ইজ্জত হরণ করেছেন রুমে অবলা একা পুরুষ পেয়ে।”

“মাস্টার হবেন আপনি বাহিরের লোকদের জন্যে, আমার কাছে আমার স্বামী বুঝলেন? তার গোরা মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত আমার অধিকার কুট কুট করে ভরা। চাইলে যান গিয়ে দেখান আমার অধিকার রোধের কোনো ফায়সালা পান কিনা। যদি না পেয়েছেন বাসর রাতে যেটা আপনার কাজ, সেটা আমি করিয়ে দেখাবো। তাও আবার আপনাকে অজ্ঞান করে।”

চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে