#এক_মুঠো_প্রণয়
#সিজন_টু
#পর্ব_০৬
লেখনীতেঃ একান্তিকা নাথ
তৃতীয় বারের মতো মোহেরাজের স্পর্শ!চিকন হাতের কৃষ্ণরঙ্গা ত্বকের কাঁটা স্থানটাতেই পুরুষালি হাতের আলতো হাতের ছোঁয়া। জ্যোতি হাত সরাল দ্রুত।বসা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল মুহুর্তেই। মনে পড়ল গ্রামেও মেহেরাজ তার হাত ধরেছিল দুই দুইবার।একবার মালা গাঁথার দিন, আরেকবার সাঈদের মোবাইল দেওয়ার দিন!তাকে গায়ে পড়া মেয়ের সম্বোধন দিয়ে এখন ব্যাক্তিত্ববান মেহেরাজ ভাই এভাবে বারবার তার হাত ধরবেই বা কেন?মুহুর্তেই বিরক্ত হলো সে। যে মেহেরাজের ব্যাক্তিত্বে মুগ্ধ হতো, সম্মান করত সেই মেহেরাজেরই এহেন কান্ডে কপালে ভাজ ফেলল চরম বিরক্তিতে। বলল,
“ কি আশ্চর্য! হাত ধরার জন্য বসতে বলেছিলেন আপনি? ”
মেহেরাজ পুরু ঠোঁটজোড়া চেপে শ্বাস ফেলল। মেয়েটার প্রতি ভেতরে ভেতরে বিরক্ত হলো প্রচুর। এত ভাব কেন এই মেয়ের? কথায় কথায় ত্যাড়া জবাব! অসন্তুষ্ট দৃষ্টিতে তাকিয়ে শুধাল,
“ তুই কি আমায় টিপিক্যাল ছেলেদের মতো ভাবিস যে মেয়ে দেখলেই সুযোগ নিতে চাইব,হাত ধরতে চাইব? ”
জ্যোতির থমথমে উত্তর,
“ এটিপিকাল ভাবার মতোও তো কোন কারণ নেই মেহেরাজ ভাই।আর পাঁচ-দশটটা ছেলের মতোই তো সেদিনও আমার হাত ধরেছিলেন, আজও। তো?”
মেহেরাজ ভ্রু জোড়া কুঁচকে নিল। মুখ টানটান করে প্রশ্ন ছুড়ল তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে,
“তার মানে আর পাঁচ-দশটা ছেলেও তোর হাত ধরেছিল? ”
“ যেখানে এইসব হাত ধরাধরি পছন্দই করিনা সেখানে হাত ধরার সুযোগটা দিব কেন আমি তাদের?”
উত্তরটা গম্ভির, শক্ত গলায় আসলেও মেহেরাজ মনে মনে খুশি অনুভব করল। আর যায় হোক সে ব্যাতীত তো কেউ ছোঁয়েনি এই ঘাড়ত্যাড়া মেয়েকে। এটুকুতেই শান্তি! কিন্তু সে শান্তিরূপ বাহিরে প্রকাশ না করেই গম্ভীর মুখে তাকাল জ্যোতির দিকে। ভ্রু উঁচিয়ে ত্যাড়া গলায় শুধাল,
“তোর সাথে প্রেম করার উদ্দেশ্যে হাত ধরিনি নিশ্চয় ? ”
জ্যোতি তাকাল। কাঠকাঠ গলায় উত্তর দিল,
“ যে উদ্দেশ্যেই হাত ধরুন।আমি নিশ্চয়ই আপনি আমার হাত ধরেছেন বলে খুশিতে আনন্দহারা হয়ে যাবো না মেহেরাজ ভাই। ”
মেহেরাজ এবারে আড়ালে চাপা হাসল। বিড়বিড় করে বলল,
“ কোন একদিন ঠিকই খুশতে আনন্দহারা হবি। ”
জ্যোতি শুনল না৷ কপাল কুঁচকে শুধাল,
“ কি?”
“ কিছু না, বসে যা চুপচাপ। চতুর্থবারের মতো তোর হাত ধরব এবারে। ”
মেহেরাজের গম্ভীর গলায় সরাসরি এমন কথা শুনে ভ্রু জোড়া কুঁচকে নিল জ্যোতি৷ যে হাত ধরা নিয়ে এতক্ষন এত কথা বলল, অথচ সেই হাত ধরার কথাই কেমন আদেশের স্বরে শোনাচ্ছে এই লোক। তপ্তশ্বাস ফেলল জ্যোতি। পা বাড়িয়ে অন্যদিকে ঘুরতে নেওয়ার আগেই মেহেরাজ ফের তার হাত স্পর্শ করল। পাশ থেকে ফার্স্ট এইড বক্স থেকে ঔষুধ নিয়ে ধীর হাতে লাগাল জ্যোতির হাতের কাঁটাস্থানটায়। পরপরই হাত ছেড়ে উঠে দাঁড়াল।পকেটে হাত গুঁজে জ্যোতির দিকে কিছুটা ঝুঁকে নিচু গলায় বলল,
“ চোখের সামনে আহত প্রাণী দেখলে সেবা করতে হয়। আম্মুই শিখিয়েছিল ছোটবেলাতে। বুঝলি? ”
কথাটা বলেই জ্যোতিকে পাশ কাঁটিয়ে চলে গেল। জ্যোতি একনজর সেদিক পানে তাকিয়ে আরেক নজর চাইল নিজের কাঁটা জায়গাটায়। তবে এই কারণেই হাত ধরেছিল মেহেরাজ ভাই? মনে মনে এবারে লজ্জ্বিত হলে না জেনে দোষারোপ করার জন্য। অস্বস্তিও ঘিরে ধরল কিঞ্চিৎ৷ ততক্ষনে মেহেরাজ গিয়ে দাঁড়িয়েছে মেহুর ঘরের সামনে। দরজায় টোকা দিয়ে বলে উঠল
“মেহু?এই মেহু?দরজাটা খোল।জ্যোতি এসেছে তোর সাথে দেখা করতে। ”
মেহু বালিশে মুখ গুঁজে শুয়ে ছিল। এতোটা সময় কান্নার দাপটে চোখমুখের বেহাল দশা তার।ফোলা চোখ, লালচে নাক,এমনকি মুখেও ফোলা ফোলা ভাব স্পষ্ট!তবুও চোখের পানি মুঁছে দরজা খুলল। বলল,
“কোথায় জ্যোতি?
মেহেরাজ উত্তর দিল না। বোনের দিকে তাকিয়েই উদাসীন হয়ে গেল এক মুহুর্তেই। মুখের এই অবস্থা? যা বুঝার বুঝা হয়ে গেল। উদ্গ্রীব গলায় জিজ্ঞেস করতে লাগল,
“ কেঁদেছিস মেহু? তোর চোখমুখ এমন হয়ে আছে কেন?কি হয়েছে মেহু? বল ভাইয়াকে। ”
মেহেরাজের আহ্লাদি গলা শুনেই মেহুর গলা ধরে আসল। ইচ্ছে হলো ভাইকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে। আহাজারি করে বলতে তার প্রিয়তম বন্ধুকে তারই একমাত্র বোন কতোটা ভালোবাসে। অথচ সেই বন্ধুই কি ভয়ানক ভাবে তার বোনকে বলে দিয়েছে, সে ভালোবাসে না। একটুও ভালোবাসে না মেহুকে। তাদের মাঝে নাকি কিছুই নেই। মেহুর চোখ ফের টলমল করল। ধরে আসা গলায় শুধাল,
“ কিছু হয়নি ভাইয়া৷ ”
মেহেরাজ মানল না সে কথা। ফের বলল,
“ কথা লুকাতে শিখেছিস মেহু? বল কি হয়েছে। ”
“সত্যিই কিছু হয়নি ভাইয়া। এমনিই কান্না পাচ্ছিল তাই। ”
মেহেরাজ কিছুক্ষন চুপ থাকল। উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল বোনের দিকে। পরমুহুর্তেই চোখজোড়া জ্বলে উঠল। যেন কিছু একটা মনে পড়েছে।সঙ্গে সঙ্গেই জিজ্ঞেস করল,
“ কালকের বিষয়টা নিয়েই কি কান্না করেছিস মেহু?স্যরি,
ভাইয়া স্যরি হুহ?আমি আর এই বিষয়টা নিয়ে একটুও এগোব না। একটুও না। বলে দেব বিয়েটা সম্ভব না।ভাইয়াকে ক্ষমা করে দে। ”
মেহু হাসল এবারে কিঞ্চিৎ। অলস পায়ে জ্যোতির দিকে যেতে যেতেই বলল,
“ উহ, ভাইয়া। তুমি শুধু শুধুই চিন্তিত হচ্ছো, তেমন কিছু না। তুমি যাও। ”
মেহেরাজ এবারেও দম মানল। মিনমিনে চোখে চেয়ে বলল,
“ ভাইয়াকে বলা যায় না সত্যিটা মেহু ? এতোটা দূরত্ব তৈরি করে নিয়েছিস? ”
মেহুর নিভু নিভু দৃষ্টি। মুখে হাসি নিয়ে শুধাল,
“ এই পৃথিবীতে কেউ যদি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো চেয়ে থাকে সেটা তুমি ভাইয়া। কেউ যদি আমায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে সেটাও তুমি।আর সে মানুষটার সাথেই দূরত্ব তৈরি করব যে আমার মা-বাবা দুইজনেরই ভূমিকা পালন করে আসছে এতকাল?এতোটা বোকা আমি? ”
মেহেরাজের দৃষ্টব এবারেও মিনমিনে। মেহু এবারও হাসল। জ্যোতির হাত ধরে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
“তুমি ঘরে যাও ভাইয়া।জ্যোতির সাথে কিছু কথা ছিল বলেই ডেকেছিলাম। বলে নিই? ”
মেহেরাজের দৃষ্টি অসহায়৷ তবুও বোনের কথাতে সাই দিয়ে নিজ ঘরের উদ্দেশ্যে পা বাড়াল। যাওয়ার পথে একবার আড়চোখে তাকাল জ্যোতির পানেও। মেয়েটার দৃষ্টি হয়তো তার দিকেই স্থির ছিল। নজর মিলতেই দৃষ্টি সরাল। মনে মনে মুগ্ধ হলো ভাই বোনের এই মুহুর্তটায়। সত্যিই ভাই হিসেবে কতোটা ভালোবাসলে এভাবে বোনের দুঃখ জানার জন্য উদ্গ্রীব হয়? আসলেই বোনের প্রতি কতোটা যত্নশীল এই মানুষটা!
.
মেহু ঘরে গিয়ে সবটাই খুলে বলল জ্যোতিকে। টলমল করা পানি গুলো ততক্ষনে গড়িয়ে পড়েছে গাল বেয়ে। জ্যোতি অবাক হলো। বিস্ময়ের স্বরে বলল,
“ সাঈদ ভাই সত্যিই ভালোবাসেন না তোমায়?কথাটা ঠিক আমার বিশ্বাস হলো না আপু। উনার মাঝে একটু হলেও তো কিছু ছি..”
কথাটা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই অন্যমনস্ত মেহু উত্তর দিল,
” নেই, কিছুই নেই। উনি নিজ মুখেই বলেছেন সেটা। ”
“কিন্তু কেন বলেছে? সত্যিটা স্বীকার করার সাহস নেই বলেই? ”
মেহু তাচ্ছিল্য নিয়ে হাসল এইবারে। জবাব দিল,
“ উনি অতোটাও ভীতু নয় জ্যোতি। বলার হলে সবকিছু সরাসরিই বলতেন। ”
“ কিন্তু তুমি? ”
এবারে চাপা দীর্ঘশ্বাস মুক্ত করল মেহু। নরম গলায় উত্তর দিল,
“মানিয়ে নিব।আমার মৃত বাবা মায়ের ও তাই ইচ্ছে ছিল জ্যোতি। মেয়ে হিসেবে কি দায়িত্ব না আমার তাদের এই ইচ্ছেটা পূরণ করা? তাছাড়া বাবা,মা, চাচা, চাচী, ভাইয়া সবাই মিলে যাকে পছন্দ করেছে সে নিশ্চয়ই আমার জন্য খারাপ হবে না।আর সাঈদ ভাইয়ার কথাটা কাউকে বলিস না জ্যোতি। দয়া করে বলিস না।”
জ্যোতি ঠোঁটে ঠোঁট চাপল। মেহুর দিকে তাকিয়ে অস্ফুট স্বরে বলল
“বলব না,কিন্তু তোমার পছন্দ? ”
উত্তর এল,
“ আমি ছোটবেলা থেকেই খুব নরম মনের মেয়ে মেহু। আমার মনে কারোর জায়গা হওয়াটা খুব একটা কঠিন না।মেঘের জায়গাও হয়ে যাবে বল?তাছাড়া দীর্ঘদিন কোন কুকুর বিড়াল পুষলেও তো আমরা তাদের মায়ায় পড়ি। আর আস্ত একটা মানুষের সাথে সংসার করে মায়ায় পরব না? ”
জ্যোতির কান্না পেল এবারে। তবুও কাঁদল না। নিষ্প্রভ গলায় বলল,
“ আপু জানো? ছোটবেলা থেকে মা বাবার সংসারের এমন দশা দেখার পর থেকে আমি ভালোবাসায় বিশ্বাসী ছিলাম না। মনে হতো ভালোবাসা বলতে কিছু হয়না। কিন্তু আজ সত্যিই আমার কষ্ট হচ্ছে।”
জ্যোতির এমন কথা শুনেই মেহুর কান্নার বেগ দ্বিগুণ হলো। ঝাপটে জড়িয়ে ধরল জ্যোতিকে। জ্যোতি লম্বা শ্বাস ফেলল। মেহুর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
“আর কান্না করো না আপু। দেখবে যা হবে ভালো হবে। ঠিক হবে! সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনা তোমার পরিকল্পনার চেয়েও উত্তম আপু! ”
.
সে রাতটা মেহুদের বাসাতেই কাঁটল জ্যোতির। সকাল হতেই চোখে পড়ল বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা মেহুকে। জ্যোতি একপলক চাইল।মুহুর্তেই মন খারাপ হলো। বাস্তবতা এতো নিষ্ঠুর কেন? কি হতো মেহুর মতো নরম মনের মেয়ে এই আঘাতটা না পেলে? কি হতো সাঈদ ভাই এই মেয়েটাকে ভালোবাসলে? কি হতো এই দুইজনের মিল হলে? ক্ষতি হতো? খুব বেশি ক্ষতি হতো? কথাগুলো ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ফেলল। পরমুহুর্তে মনে পড়ল তার ক্লাস আছে।ভার্সিটিতে যেতে হবে। তার আগে হোস্টেলে যেতে হবে। তাই ঘুমন্ত মেহুকে না ডেকেই চুল বেঁধে, তৈরি হয়ে ঘর ছেড়ে বের হলো। বাইরে দেখা মিলল মেহেরাজের সাথে। জিজ্ঞেস করল,
“ মেহু উঠেছে?”
“ উঠেনি, ঘুমাক। ডাকবেন না আপুকে। আর ঘুম থেকে উঠলে বলবেন আমার ক্লাস ছিল বলেই চলে গিয়েছি। ”
এই বলেই জ্যোতি পা বাড়াল দরজার দিকে। মেহেরাজও পিছু পিছু এসে প্রশ্ন করল,
“ এখন কোথায় যাচ্ছিস? ”
“ হোস্টেলে,তারপর ভার্সিটিতে যাব।”
কথাটা বলেই দরজা পার হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে লাগল। মেহেরাজ দাঁতে দাঁত চাপল। যাচ্ছে এটা তাকে বলার মতো নূন্যতম ভদ্রতাটুকুও নেই এই মেয়ের মাঝে?পরমুহুর্তেই জ্যোতির সাথে সাথে নামল মেহেরাজও।বাসার বাইরে এসে রিক্সা ডেকে দিয়ে বলল,
“ রিক্সায় উঠে বস। ”
জ্যোতি কথা না বাড়িয়ে উঠে বসল। কিন্তু পরমুহুর্তেই মেহেরাজকেও উঠে বসতে দেখে বলে উঠল,
“ আপনি উঠলেন কেন?”
গম্ভীর গলায় উত্তর আসল,
“তোকে পৌঁছে দিয়ে আসব। ”
সে প্রস্তাব নাকোচ করে জ্যোতি বলল,
“ আপনার যাওয়ার প্রয়োজন নেই মেহেরাজ ভাই৷ নেমে যান। ”
“ আমার প্রয়োজন আছে বলেই যাচ্ছি। ”
“ ঠিক আছে তাহলে আপনি যান, আমি নেমে পড়ছি। ”
কথাটা বলে বিরক্তি নিয়ে কপাল কুঁচকাল জ্যোতি। রিক্সা থেকে নেমে পড়তে নিতেই মেহেরাজ শান্ত অথচ দৃঢ় স্বরে বলে উঠল,
“নামবি না, দরকারটা তোর সাথেই। ”
জ্যোতি ফিরে চাইল এবারে।ততক্ষনে রিক্সা চলতে শুরু হয়েছে।জিজ্ঞেস করল,
“ কি দরকার?”
“মেহু কেন কান্না করেছে? কি কারণে? তোকে বলেছে নিশ্চয় ও? ”
“বলেছে। ”
“আমায় বল তাহলে। ”
”বলব না। ”
মেহেরাজ দাঁতে দাঁত চাপল। প্রশ্ন ছুড়ল,
“কেন বলবি না? ”
“আপনাকে বলার অনুমতি নেই তাই। ”
“মেহু বলেছে এমনটা? ”
“না, বলেনি। তবে কাউকে জানাতেও বলেনি মেহেরাজ ভাই।”
মেহেরাজ তপ্তশ্বাস ফেলল।পরমুহুর্তেি মাঝপথে হঠাৎ রিক্সা থামাতে বলে নেমে পড়ল রিক্সা থেকে। ভাড়া মিটিয়ে ফের চালককে রিক্সা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল। জ্যোতি অবাক হলো কিঞ্চিৎ। আশ্চর্য!
.
মেহুর ঘুম যখন ভাঙ্গল তখন বেলা বারোটা। অলস গতিতে বিছানা ছেড়ে মোবাইল নিতেই ফের সে অচেনা লোকের ম্যাসেজ পেয়ে অবাক হলো। স্ক্রিনে ভেসে উঠল,
“ আপনার অজান্তেই আপনাকে ভালোবেসে গিয়েছিলাম এতকাল। আপনার অনুমতি না নিয়েই প্রেম পড়েছিলাম আপনার।স্বপ্ন সাঁজিয়েছিলাম আপনার-আমার সংসারের।কিন্তু আজ হঠাৎই শঙ্কিত হচ্ছি আমি, ভীত হচ্ছি আপনাকে হারানোর ভয়ে। আপনি আমার হবেন তো? আমার আগেই অন্য কেউ জায়গা করে নেয়নি তো আপনার মনে? তাহলেও নাহয় এইটুকু জায়গা আমায় দিয়েন?প্লিজ!আমি সে অল্পটুকুতেই খুশি হবো। ”
#চলবে….
[ ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন। ]