এক পশলা ঝুম বর্ষায় পর্ব-৫৫ এবং শেষ পর্ব

0
527

#এক_পশলা_ঝুম_বর্ষায়❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ৫৫ #অন্তিম_পর্ব

সময়ের স্রোত বড্ড অদ্ভুত জিনিস। একে কখনোই ধরে রাখা যায় না। আদ্রিতারাও ধরে রাখতে পারে নি। দেখতে দেখতে তাদের জীবন থেকে চলে গেল পাঁচটি বছর। ফারিশ নেই। এটা যেন পুরো বাংলাদেশে কঠিন এক ঝড় উঠিয়ে ছিল। আদালতে রায় পাওয়ার পর কোনো আসামির এমন পরিণতি এটা কেউ মানতে পারলো না। কিন্তু ধীরে ধীরে সবটা ঘুচে গেল। মানুষ ভুলতে বসলো বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানির মালিক ফারিশ মাহমুদকে। ভুলতে বসলো সেই দেশ বিরোধী মাফিয়াকে। সাধারণত আমাদের জীবন থেকে কোনো জীবিত মানুষ হারিয়ে গেলে আমরা তার অপেক্ষা করি তাকে ভুলতে পারি না। কিন্তু কেউ মরে গেলে দু’রাতের মাঝেই মোটামুটি আমরা তাকে ভোলার চেষ্টা করি। এ যেন প্রকৃতিরই নিয়ম। মৃত মানুষকে আমরা কেউই বেশিদিন মনে রাখি না বা রাখতে পারি না। সময়ের তালে তালে আমরা তাদের ঠিকই ভুলে যাই। ফারিশকেও কেউ মনে রাখে নি। তার কুকর্ম, তার সাথে হওয়া পুরো ঘটনা কোনোটাই কেউ মনে রাখে নি তেমন। সময়ের তালে তালে হারিয়ে গেল সবটা।’

জাপানের রাজধানী টোকিও শহর। বর্ষাকাল চলছে। বর্ষাকাল চললেও আজ চারদিন যাবৎ বৃষ্টি নেই এই শহরে। রাস্তাঘাট সবই শুঁকনো। বিশাল এক মাঠে সুন্দর এক ফুলগাছের নিচে বসে আছে আদিব। চোখ জোড়া তার আকাশপানে। জীবন তাদের সাথে কি খেলটাই না দেখালো। আদিবের অভিযোগ নেই। তবুও কোথাও গিয়ে শূন্যতা। আদ্রিতার একটা ছেলে হয়েছে বয়স চার। কি ফর্সা দেখতে। চেহারার গঠন পুরো ফারিশ মতো। আর গায়ের রঙটা আদ্রিতার মতো। তবে আদ্রিতার চেয়েও উজ্জ্বল সেই রঙখানা। ছেলের নাম রাখা হয়েছে ফায়াজ। ফারিশের ছেলে ফায়াজ। আদিবের তিন’বছরের একটা ছোট্ট মেয়ে আছে এত দুষ্ট। ফায়াজকে সারাদিনই বিরক্ত করে। নাম স্রোত। আদিব শুনেছে চারবছর আগে আশরাফ আর নয়নতারার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেই বিয়েতে আদ্রিতারা কেউই যায় নি। নয়নতারা প্রেগন্যান্ট খুব শীঘ্রই নতুন সদস্য আসবে। বিয়ের চার বছর পর আশরাফ বাবা হতে চলেছে খুশিতে পরিবেশ খুবই সুন্দর। রনি আর মুনমুনের একটা মেয়ে আছে। মৃদুল আর নীলিমার ছেলে। মোটামুটি সবাই তাদের নিজস্ব জীবন নিয়ে ব্যস্ত। আদিব দীর্ঘশ্বাস ফেললো। জীবনটা কেমন এলোমেলো হয়ে গেল। হঠাৎ গম্ভীর এক আওয়াজ আসলো। আদিবের পাশেই শুয়ে থাকা যুবকটি বলল,“তুমি এত সেন্টিখোর কেন আদিব?”

আদিব চমকে উঠল ফারিশের কথা শুনে। অবাক কান্ড ফারিশ ভাই বুঝলো কেমন করে সে সেন্টি খাচ্ছিল। এই ফারিশ ভাইয়ের কাছে কিছুই লুকাতে পারে না আদিব। আদিব ফারিশ পানে তাকিয়ে বলল,“তেমন কিছু না ভাই জীবন নিয়ে ভাবছিলাম।”

ফারিশ শোয়া থেকে উঠে বসলো। গত পাঁচ বছরে ফারিশের জীবন আর চেহারায় এসেছে বিরাট পরিবর্তন। ফারিশের মুখ ভর্তি দাঁড়ি-গোফ,চোখে কালো ফ্রেমের মোটা চশমা। গায়ে জড়ানো মেরুন রঙের শার্ট, কালো প্যান্ট। ফারিশ আদিবের পানে তাকালো। তপ্ত নিশ্বাস ফেলে বলল,
“জীবন নিয়ে ভাবার মতো কিছু নেই আদিব। জীবনকে জীবনের মতো থাকতে দেও আর তুমি তোমার মতো থাকো।”

আদিব নিরাশ ভঙ্গিতে বলল,
“ভাই তুমি কি আজও সেদিনকার ঘটনার জন্য রাগ করে আছো?”

ফারিশ মিষ্টি হেঁসে বলে,
“না তো। তবে আমি বুঝি নি তোমার এমন ভয়ানক কোনো বুদ্ধি থাকবে।”
“সত্যি বলতে ভাই ওই বুদ্ধি আমার ছিল না। ছিল তিশার। আমি শুধু তার কথা মতো কাজ করেছি।’
“গুলিটা কি করে মারলে আদিব?”

উত্তর দেয় না আদিব। চুপ করে রয়। ফারিশ মৃদু হাসে। বলে,“বাদ দেও এমনি জিজ্ঞেস করেছি। আসলে কি বলো তো মাঝে মাঝে প্রিয় মানুষদের ভালোর জন্যও আমাদেরকে তাদের আঘাত করতে হয়।”

আদিব মাথা নুইয়ে বলে,
“দুঃখিত ভাই।”

ফ্ল্যাসবেক–
পাঁচবছর আগের সেদিনকার ঘটনায় ফারিশের বুকে গুলি করা আগন্তুকটি আদিব ছিল। যে কি না তার জীবনের প্রথম অস্ত্র হাতেই গুলি করে বসলো ফারিশকে। কারণ এ ছাড়া আদিবের কাছে আর কোনো উপায় ছিল না। ফারিশ ভাইকে বাঁচাতে হলে তাকে মারতে হবে। আদিবকে এই বুদ্ধি দিয়েছিল তিশা। তিশা দিনরাত ভেবেছে যে করেই হোক ফারিশ ভাইয়াকে বাঁচাতে হবে। তিশা আদিবকে চিনতো। বহু কষ্টে আদিবের ঠিকানা যোগাড় করল। এরপর.. ফারিশকে বাঁচানোর মিশনে কাজ করেছে আদিব তিশা ছাড়াও আরো ছয়জন মানুষ। মৃদুল, আশরাফ,রনি, মুনমুন, চাঁদনী আর পুলিশ রূপে নয়নতারা। আদ্রিতাকে এগুলো জানানো হয় নি। ফারিশের বুকে গুলি এটাতে হয়তো আদ্রিতা রাজি হতো না। ফারিশ যখন অজ্ঞান হয়ে যায়। সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করে মৃদুল। আদালত মহলে তখন চাপা উত্তেজনা। মৃদুল যেহেতু ফরেনসিক ডক্টর। তাই ফারিশের বডি পোস্টমর্টেম করার দায়িত্ব তাকেই দেয়া হয়। সেই সুযোগটাই লুফে নেয় সবাই। বডি তদন্তের বদলে ফারিশের চিকিৎসা চলে। তবে এখানেও একটা ঝামেলা ছিল সেটা হলো ফারিশের মৃত দেহ পুলিশকে দেখানো লাগতো যেহেতু ফারিশ একজন আসামি। এই প্ল্যান বহুদিন আগেই করানো হয়। যার দরুন ফারিশের দৈহিক বৈশিষ্ট্যের মতো আরেকজন মৃত ব্যক্তিতে খোঁজা হয় এবং তার মুখটাকে করা হয় প্ল্যাস্টিক সার্জারী। তাকে দেয়া হয় ফারিশের মুখ। সঙ্গে ফারিশের নামটাও। আর আসল ফারিশকে ইমারজেন্সি চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় জাপানে। শুরু হয় নতুন ফারিশের গল্প। যেখানে ফারিশের নাম নির্ধারণ করা হয় ফারহান হোসেন নামে। প্রায় দু’মাস ফারিশ বেডরেস্টে থাকে। আদিবের সে কি অনুশোচনা? তবুও সে নিজেকে সামলায়। শুরু হয় তাদের নতুন জীবন কাহিনী। আদ্রিতাকে এই ঘটনা জানানো হয় ঘটনার দু’দিন পরই। প্রথমে সবার ওপর রাগ করলেও ধীরে ধীরে সবটা স্বাভাবিক হয়। শুরু হয় নতুন রূপের এক পশলার গল্প। কিশোর ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিল কি না আদিব জানে না। তবে আদিবের মনে হচ্ছে কিশোর জানে। না হলে হঠাৎ হঠাৎ ফোন দিয়ে বলবে কেন ফারহান সাহেব কেমন আছেন?”

পরপর সব ঘটনাগুলো মনে পড়তেই আদিব চুপ হয়ে গেল। এসব ভাবলেই তার সারা শরীর ভয়ে শিরশিরিয়ে ওঠে। যদি কোনোভাবে তারা দেশ থেকে আসার সময় ধরা পড়তো। যদি ফারিশ ভাই সত্যিই সত্যিই মারা যেত। ভাবলো না আদিব। আতঙ্কে সর্বাঙ্গ ঝলসে যাচ্ছে তার। ফারিশের পুরো বিষয়টা মানতে একটু সময় লাগে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেও মেনে নেয়। যতই হোক ফারিশ শাস্তি তো পেয়েছে। সে আর ফিরতে পারবে না বাংলাদেশে। আদ্রিতার সাথে কাটানো সেই সব জায়গাগুলোতে আর যাওয়া হবে না। ফারিশ তার আসল নাম খুইয়েছে। তাকে এখন আর কেউ ফারিশ নামে চেনে না। চেনে ফারহান হোসেন নামে।’

তপ্ত নিশ্বাস ফেললো ফারিশ। পুরনো কথা ভুলে বলল,“আদিব কাজ বাজ কি করবে বলে ভেবেছো?”

আদিব কিছু বলে না। কারণ গত পাঁচবছর যাবৎ তারা কিছুই করছে না। ফারিশ বলল,
“চলো আদিব তুমি আমি মিলে ঝালমুড়ির দোকান দেই।”
“বিদেশের বাড়িতে ঝালমুড়ি।”
“তাইলে সবজির দোকান দিবা। দুজন মিলে দেশি ড্রেস লুঙ্গি আর ফতুয়া পড়ে সবজি বেচবো।”
“ভাই বিদেশীরা আমাদের ভিখারি ভাব্বে।”
“তুমি না আদিব। চলো বাড়ি যাই বউ ছাড়া ভালো লাগে না।”
“ভাই তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো ভাবি এখনও হসপিটাল থেকে আসে নি।”
“ধুর এইসব হসপিটালের কেতায় আগুন। যে হসপিটাল বউকে আঁটকে রাখে সে হসপিটাল বয়কট করা উচিত।”
“কি যে বলো ভাই?”

আদিব আর ফারিশ উঠে দাঁড়ালো। তখন বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা হওয়ার মুখোমুখি। আদিব ফারিশ পাশাপাশি হাঁটছে। ফারিশ বলল,
“দেখো আদিব আমরা আর কতদিন বউদের টাকায় বসে বসে খাবো চলো তুমি আমি মিলে সবজির ব্যবসা করি।”
“কি ভাই আপনি পড়ে আছেন সবজিতে। আমাদের বউরা ডাক্তার আর আমরা কি না সবজি বেচবো।”
“তাতে কি? শোনো আদিব, আমরা হালাল ব্যবসা করবো। আর হালালে পান্তা ভাতেও তৃপ্তি। কিন্তু হারামে বিরিয়ানিতেও মজা নেই।”
“ভাই তাইলে পাঁচ বছর আগে যে বিরিয়ানিগুলা খাইছিলাম ওগুলো মজা লাগছিল ক্যান।”

চোখ গরম দিল ফারিশ। এই আদিবটা না সব কথার উল্টো মিনিং বের করবে। আদিব চুপ হয়ে গেল। ফারিশ আদিবের কাঁধে হাত রেখে বলল,
“যত যাই বল আদিব সবজির ব্যবসা করবোই। তুমি আমি লুঙ্গি পড়ে গান গাইতে গাইতে সবজি বেচবো।”

ফারিশের এবারের কথায় আদিব আর কিছু বললো না। কারণ সে জানে তার ফারিশ ভাই তার কথা শুনবে না। ফারিশ সত্যি সত্যিই সবজির ব্যবসা দিয়েই ছাড়বে। এতদিন হাওয়া গরম ছিল যার দরুন এসব নিয়ে ভাবাভাবি হয় নি। কিন্তু এখন হাওয়া ঠান্ডা এবার ফারিশ সবজির ব্যবসা দিয়েই ছাড়বে।’


বাড়ি আসতেই দেখা হয়ে গেল চাঁদনীর সাথে। সে ফায়াজ আর স্রোতকে নিয়ে বসা। দুজন খেলছে। চাঁদনী বসে বসে দেখছে। ফারিশকে দেখতেই ফায়াজ দৌড়ে গেল। বলল,“পাপা।”

ফারিশ খুশি মনে ছেলেকে কোলে তুলে নিল। কপালে চুমু এঁটে বলল,“তোমার আম্মা এসেছে ফায়াজ?”

ফায়াজ মাথা নাড়িয়ে বলল,“হু।”
জাপান আসার পর শুরুতে একটু সমস্যা হয়েছিল তাদের। আশরাফের এক বন্ধু ছিল যে কি না টোকিও এক হসপিটালে চাকরি করে। তার সুবাদেই হসপিটালে চাকরি হলো আদ্রিতা আর চাঁদনীর। তারপর ধীরে ধীরে জীবন সুন্দর।’

ফারিশ ফায়াজকে কোল থেকে নামিয়ে বলল,“তুমি স্রোতের সাথে খেল আমি এক্ষুণি আসছি।”

ফায়াজও বলল,“আচ্ছা পাপা।”
ফারিশ তাদের রুমের দিকে গেল। ফারিশ যেতেই চাঁদনীর পাশে গিয়ে বসলো আদিব। বলল,
“তোমায় আজ খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।”

খানিকটা লজ্জা পেল চাঁদনী। বলল,“তোমাকেও।”
হাসে আদিব। চাঁদনী তার কাঁধে মাথা রাখে। আদিব আবেশে তাকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকে। চেয়ে থাকে ফায়াজ আর স্রোতের দিকে।’


রুমে ঢুকেই আদ্রিতাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো ফারিশ। আদ্রিতা প্রথমে একটু চমকে উঠলেও পরক্ষণেই মানুষটার স্পর্শটা উপলব্ধি করে হাসল। মিষ্টি স্বরে বলে,“হঠাৎ এত প্রেম?”

ফারিশ বলে,
“তোমাকে দেখলেই আমার খালি প্রেম প্রেম পায়।”
“আর তোমায় দেখলে আমার রাগ হয়।”

ফারিশ অবাক হয়। আদ্রিতাকে ঘুরিয়ে বলে,“কেন?”
মলিন চোখে ফারিশের দিকে তাকালো আদ্রিতা। হাত রাখলো ফারিশের বাম দিকের বুকে। সেখানে এখনও গুলির দাগ বিদ্যমান। ফারিশ বলে,
“আজও ভুলতে পারলে না?”
“এটা কি ভুলে যাওয়ার মতো বিষয় বলো।”

আদ্রিতার কপালে চুমু কাটে ফারিশ। বলে,
“তোমায় ভীষণ ভালোবাসি বেলীপ্রিয়া।”

আদ্রিতা মিষ্টি হাসে। বলে,
“আমিও।”
“তাহলে রাগ করলে কেন?”

উত্তর দেয় না আদ্রিতা। অনেক সময় পর বলে,
“জানো বখাটে, আমি যখন তোমায় বিয়ের করেছিলাম তখন আমার দুটো উদ্দেশ্য ছিল যার একটা ছিল তোমায় বিশ্বাস করানো আমি তোমায় সত্যি ভালোবাসি। আর দুই নাম্বার উদ্দেশ্য ছিল আমি শুরুতে সত্যি চেয়েছিলাম তুমি আত্মসমর্পণ করো। কিন্তু তোমার সাথে দু’মাস কাটানোর পরই আমি আমার উদ্দেশ্য বদলে ফেলি কারণ এর পরিণতি ভেবে আমি ঘাবড়ে যাই। এরপরই আমি স্বার্থপর হয়ে উঠি। কিন্তু তুমি কি করলে? যদি আদিব ভাইয়া ওই কাজটা না করতো তখন কি হতো?”
“কিছুই হতো না। তবে এখন ভালো হয়েছে আরশাদসহ আমার যত শত্রু আছে তারা আমি মরে গেছি ভেবে আনন্দ পাচ্ছে আর আমি সস্তি পাচ্ছি। আচ্ছা শোনো আমি কি ভেবেছি জানো আমি আর আদিব মিলে সবজির ব্যবসা দেবো।”

আদ্রিতা খানিকটা বিস্মিত কণ্ঠে বলল,
“আর কিছু নেই।”
“আছে কিন্তু আমি এগুলোই করবো।”
“আচ্ছা করো।”
“আমায় জড়িয়ে ধরো?”

আদ্রিতা ধরলো। হঠাৎ আকাশ পথে মেঘ ডাকলো। শুরু হলো বৃষ্টি। এক পশলা বৃষ্টি। ফারিশ বলল,
“তোমার কি মনে আছে সেই “এক পশলা ঝুম বর্ষায়” আমার আগমনের কথা?”

আদ্রিতা ধ্যানমগ্ন কণ্ঠে শুধায়,
“ভুলে যাওয়ার মতো বিষয় এটা। তুমি জানো আমি কতটা ভয় পেয়েছিলাম সেদিন?”

ফারিশ মৃদু হেসে বলে,
“হু মনে থাকবে না কেন ডাক্তার ম্যাডাম আমায় কাঁপা কণ্ঠে বলেছি, আমার কি আপনাকে ভয় পাওয়া উচিত?”

পুরনো কথা ভেবে হেঁসে ফেলে আদ্রিতা। বলে,
“আর তুমি উত্তর কি দিয়েছিলে, আপনার ভয় পাওয়া উচিত কি না বলতে পারছি না কিন্তু আপনি যে ভয়ে কাঁপছেন তা কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি।”

ফারিশ হাসে। কি নিদারুণ সুন্দর দেখায় সেই হাসি। আদ্রিতা মুগ্ধ নয়নে চেয়ে চেয়ে দেখে সেই হাসি।’

#সমাপ্ত!’

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ। শেষটা পরিপূর্ণ রূপে ইতি টানতে পারলাম কি না ধরতে পারছি না। ইদানীং শেষ পর্বে আমি আঁটকে যাই। অজানা এক খারাপ লাগা কাজ করে যার দরুণ এই অবস্থা। আশা করি পুরো উপন্যাসটা তোমাদের ভালো লেগেছে। এই উপন্যাসে অনেক গ্যাপ দিয়েছি। অনেকেই দারুণ বিরক্ত হয়েছো। তবুও এতটা পথ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আশা রাখি পরবর্তী গল্প বা উপন্যাসে এমন গ্যাপ যাবে না। অতঃপর পুরো উপন্যাসটা তোমাদের কেমন লাগলো জানাতে ভুলো না। আর ছোট্ট একটা কথা,“ঈদ মোবারক।”🥰]

#TanjiL_Mim♥️.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে