#এক_ঝড়ো_হাওয়ায়
#লেখনীতে-ইনসিয়া আফরিন ইমারা
#পর্বঃ১০
সেদিন সারা দিন প্রত্যাশা নাওয়াসকে খুঁজেছিলো। কিন্তু পায়নি। নাওয়াসকে না পেয়ে অজানা কারোনেই প্রত্যাশা মন বিষণ্নতায় মূঢ় হয়ে গেছিলো। প্রত্যাশা কাজের জন্য শহর থেকে একটু দূরে আসে। নির্জন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়, প্রত্যাশার নজর কৃষ্ণচূড়া গাছের দিকে যায়। আর সেই গাছের নিচে নাওয়াসকে দেখতে পায়। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে,কাঙ্ক্ষিত মানুষকে দেখে তুরন্ত রিঁকশা থামায়। নাওয়াসের দিকে ছুটে যায়। উত্তেজনায় প্রত্যাশা এটাও ভুলে যায়,রিঁকশা করেই সে দ্রুত পৌঁছাতে পারতো। প্রত্যাশাকে নিজেদের দিকে এমন ছুটে আসতে দেখে মিন্টুর অন্তর আত্মা কেঁপে ওঠে। কম্পিত কণ্ঠে বলে,
“এই মেয়ে এখানে কী করছে?”
সকলে ভ্রু কুঁচকে মিন্টুর দিকে চাইল। মিন্টুর দৃষ্টি অনুসরণ করে সামনে তাকাতেই, বাকিরাও অবাক হয়। প্রত্যাশা নাওয়াসের সামনে এসে রাগান্বিত কণ্ঠে বলল,
“অ্যাই, নিজেকে কী ভাবো হ্যাঁ? বলা নেই কওয়া নেই, এমন দুম করে কর্পূরের মতো উধাও হয়ে গেছো। তোমার বাড়ির লোক যে তোমার চিন্তায় অস্থির হয়ে আছে। সে খবর রাখো?
তোমার ছোটো ভাই সে তোমার শোকে দুনিয়াদারি ভুলে, সন্ন্যাস গ্রহণ করেছে। তার খবর কী রেখেছো?”
প্রত্যাশার এহেন ব্যবহারে নাওয়াস হতভম্ব বনে চেয়ে থাকে। পরপর নিজের চোখ মুখ শক্ত করে বলে,
“আমি কী করলাম না করলাম, তার কৈফত কী তোমায় দিতে হবে?”
নাওয়াসের শক্ত কণ্ঠের পরিবর্তে প্রত্যাশা দ্বিগুন তেজ নিয়ে বলল,
“আলবাত দেবে।”
“কেন দেবো? কে হও তুমি আমার?”
“আমি…”
প্রত্যাশা থেমে যায়। মনে মনে ভাবে,সত্যিই তো কে হয় আমি? কোন অধিকারে আমি কৈফত চাইছি? নাওয়াস এক ভ্রু নাচিয়ে শুধাল,
“বলো?”
প্রত্যাশা নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল,
“আমি তোমার ভাইয়ের বেস্ট ফ্রেন্ডের আপু হয়। তোমার ভাই তোমার কারণে, আমার বোনের সাথে যোগাযোগ করছে না। স্কুলে আসছে না। এতে আমার বোন দুঃখ পাচ্ছে। আমি আমার বোনের দুঃখ দেখতে পারিনা। আর তাই আমি কৈফত চাইতেই পারি।”
নাওয়াস এখনও ভ্রু কুঁচকে চেয়ে আছে। প্রত্যাশা বলল,
“এভাবে তাকানোর কী আছে?”
“আমার তোমার কথা বিশ্বাস হয় না।”
“হ্যাঁ তো করো না বিশ্বাস।”
নাওয়াস সন্দিহান লোচনে প্রত্যাশাকে অবলোকন করল। বুকে হাত গুজে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
“শুনলাম তুমি না-কি আমার খোঁজ করছিলে? তা সেটা কী নিজের বোনের দুঃখের হিসেব নিতে?”
প্রত্যাশা হকচকায়। ও-যে নাওয়াসের খোঁজ করছিলো। বিষয়টা নাওয়াস জানলো কী করে? নাওয়াস প্রত্যাশার সামনে তুড়ি বাজায়। প্রত্যাশার ধ্যান ছোটে।
“হ্যাঁ করেছি। কারণ আমার তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো তাই।”
নাওয়াস তাচ্ছিল্য হাসে।
“আমার মতো বখাটের সাথে, তোমার আবার কীসের কথা?”
নাওয়াসের নিঃসৃত বাক্যে প্রত্যাশার বক্ষস্থল ধ্বক করে ওঠে। প্রত্যাশা শান্ত কণ্ঠে বলল,
“আমার তোমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার ছিলো।”
নাওয়াসের ভ্রু সংকুচিত হয়। বলে,
“কীসের ধন্যবাদ?”
“মাস দুয়েক আগে তুমি শুধু আমায় প্রাণেই বাঁচাওনি। আমার সম্মানও বাঁচিয়ে ছিলে। তার জন্য ধন্যবাদ শব্দটাও ভিষণ নগণ্য।”
“তার বিনিময়ে, তুমিও নিহানকে আমায় হসপিটালে নিতে হেল্প করেছিলে। হিসেব বরাবর।”
প্রত্যাশা গাল ভরে শ্বাস টানে। বলে,
“আই আ’ম স্যরি! প্রথম দিন আমার তোমাকে থা’প্প’ড় মা’রা উচিত হয়নি।”
প্রত্যাশার নিঃসরণকৃত বাক্যে নাওয়াস সহ ওর বন্ধুরাও বিস্মিত হয়। নাওয়াস নিজেকে সামলে বলল,
“একজন বখাটেকে থা’প্প’ড় মে’রেছো। এতে স্যরির কী আছে?”
“বখাটে বলে কী মানুষ নও?”
“খারাপ মানুষ।”
“কেউ ইচ্ছে করে খারাপ হয় না নাওয়াস। তুমিও হওনি। ইন ফ্যাক্ট তুমি তো খারাপও নও।”
“কে বলেছে তোমায়? যে আমি খারাপ নয়?”
“প্রত্যাশা ইমাম মানুষ চিনতে জানে।”
“আমাকে চেনার ক্ষমতা তোমার নেই।”
“তাই?”
“হুম!”
প্রত্যাশা হাসলো। বলল,
“যদি তুমি খারাপ হতে,তোমাকে বিনা কারণে থা’প্প’ড় মা’রার জন্য। তুমি অবশ্যই আমার থেকে প্রতিশোধ নিতে। যেমনটা হিট্টু নিতে চেয়েছিলো। তাও কারণ থাকার সত্ত্বে।”
নাওয়াস কোনো প্রত্যুত্তর করে না। প্রত্যাশা নাওয়াসের দিকে হাত বারিয়ে দিয়ে বলল,
“আমরা বন্ধু হতে পারি?”
নাওয়াস হতবুদ্ধির ন্যায় চাইল। নাওয়াসের বন্ধুদের অবস্থা আরো শোচনীয়। বিশেষ করে মিন্টুর সে যেন আজ দফায় দফায় ঝটকা খাচ্ছে। নাওয়াস নিজেকে সামলে বিদ্রুপের সহিত বলল,
“আমি এই সমাজের নোংরা। আমার সাথে কথা বললেও, তুমি নোংরা হয়ে যাবে। আর তুমি কি-না নোংরা ঘাটতে চাইছো?”
“আমি সত্যিই তোমার বন্ধু হতে চাই।”
“আমি চাই না। আমার কোনো বন্ধুর প্রয়োজন নেই। আমি একাই ঠিক আছি।”
নাওয়াসের নিরেট চোয়াল। কাঠ কাঠ উত্তরে,প্রত্যাশা আহত দৃষ্টিতে নাওয়াসের দিকে চাইলো। নাওয়াস সহসাই মুখ ফিরিয়ে নিলো। প্রত্যাশা নতমস্তকে সেখান থেকে চলে যেতে নিয়ে ফিরে। বলল,
“মানুষ কখনো সারা জীবন একা কাটাতে পারে না।
আমাদের সকলের জীবন-যাপনের জন্য, কাউকে না কাউকে প্রয়োজন হয়। সেই জন্যই তো পরিবার, বন্ধু-বান্ধব আর জীবন সঙ্গি হয়…”
_________
সেদিন হসপিটালে নাওয়াসের বলা কথা গুলো কামাল মাহমুদের মনে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেন। এই একমাস উনি সেই কথা গুলো বারংবার স্মরণ করছেন। এবং শেষে ওনার মনে হয়েছে। সত্যিই উনিই দায়ি। ওনার কারণেই ওনার প্রথম স্ত্রী মা’রা গেছেন। এবং ওনার কারণেই নাওয়াস বখে গেছে। এই সব নিয়ে চিন্তা করতে করতে কামাল মাহমুদ স্টোক করেন। বিগত একমাস উনি ঘর থেকে বের হননি। অফিসে কিছু ঝামেলা হয়েছিলেন। বিধায় অফিসে যান। নাগাদ দুপুর অফিস থেকে বিধ্বস্ত অবস্থায় ফেরেন। সিঁড়ি ভেঙে ওপরে ওঠার সময় অবচেতন হয়ে নিচে পড়ে যান। রিনা রান্না ঘরে কাজ করছিলো। কোনো কিছু পড়ার আওয়াজে বাইরে আসেন। বাইরে আসতেই স্বামীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন, পড়ে যাওয়ার ফলে মাথার পিছন দিকে ফেঁটে র’ক্ত পড়ছে। এমন দৃশ্যে রিনা আতঁকে ওঠে। দিক বেদিক শূন্য হয়ে পড়েন। বাড়িতে উনি একাই আছেন। নিহান স্কুলে আছে। উনি ছুটে বাইরে বেরিয়ে আসেন। চিৎকার করে আশেপাশের লোক ডাকেন সাহায্যের জন্য। তবে কেউ এগিয়ে আসে না। একটা সিএনজি আসতে দেখে উনি সেই সিএনজির সামনে চলে আসেন। হঠাৎ সামনে আসায় সিএনজি চালক জোরে ব্রেক কষে। ফলে ভিতরে থাকা প্যাসেঞ্জার সামনে ঝুঁকে আসে। সিএনজি চালক রিনাকে অকাট্য ভাষায় গালি দেন। রিনা সেসব কানে না নিয়ে আকুতি করে সিএনজি চালককে বলে,
“আমাকে একটু সাহায্য করেন না। দয়া করুন।”
সিএনজির ভিতরে প্রত্যাশা ছিলো। একটা বিয়ের লেহেঙ্গার অর্ডার এসছে। কনের মাপ আর ডিজাইন সম্পর্কে আলোচনা করতে এদিকে এসেছিলো। সাধারণত প্রত্যাশা এই সব কাজ গুলো নিজেই করে। গন্তব্যে যাওয়ার সময় এমন ঘটনা ঘটে। রিনা কে এমন বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে তড়িৎ প্রত্যাশা বাইরে বেরিয়ে আসে।
“আন্টি আপনি এখানে? আপনি এমন করছেন কেন?কী হয়েছে?”
প্রত্যাশাকে দেখে যেন মরুভূমিতে পানির সন্ধান পেলেন রিনা। প্রত্যাশাকে আকঁড়ে ধরে ক্রন্দনরত স্বরে বললেন,
“নাওয়াসের বাবা সিঁড়ি থেকে পড়ে গেছে। মাথা ফেঁটে র’ক্ত পড়ছে।”
সহসাই প্রত্যাশা চমকে ওঠে। সিএনজি চালককে সাথে নিয়ে বাড়ির ভিতরে যায়। তিনজন ধরাধরি করে ওনাকে সিএনজি পর্যন্ত আনেন। এবং হসপিটালে নিয়ে যায়। কামাল মাহমুদকে ইমারজেন্সি ক্যাবিনে নেওয়া হয়। ডাক্তার জানান কামাল মাহমুদ ব্রেন স্টোক করেছেন। আরেকটু দেরী করে হসপিটালে আনলে ওনাকে বাঁচানো যেতো না। ডাক্তারের কথা শুনে রিনা ভেঙে পরেন। রিনার নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। তিনি বুঝে পাননা কী করবেন, না করবেন। কামাল মাহমুদের কোনো আত্মীয়ও নেই। রিনা এক ভাই আছে। যে দেশে থাকে না। আর নিহান যথেষ্ট ছোটো। ওর পক্ষে এই সব সামলানো সম্ভব না। এক মাত্র নাওয়াসই আছে। কিন্তু তিনি তার কোনো খোঁজ জানেন না। ছেলেটার ফোনও বন্ধ। প্রত্যাশা হয়তো ওনার মনের অবস্থা বোঝেন। আশ্বস্ত করে বলল,
“আন্টি চিন্তা করবেন না। আঙ্কেল সুস্থ হয়ে যাবেন।”
রিনা নিহানের স্কুলের স্যার কে ফোন করে কামাল মাহমুদের বিষয়ে জানায়। সাথে এটাও অনুরোধ করে যাতে নিহান কে স্কুল থেকে ছুটি দিয়ে দেন। নিহানের স্যার নিহানকে ছুটি দিয়ে একটি সিএনজিতে তুলে দেন। নিহান হসপিটালে পৌঁছে, মাকে শান্ত করতে চাই। ভাই না থাকায় এমনিতেই নিহানের মন-মস্তিষ্ক বিক্ষিপ্ত ছিলো। বাবার এই খবর পেয়ে তা বাড়লো বই-কী কমলো না। প্রত্যাশা হসপিটালের ফর্মালিটি গুলো সম্পূর্ণ করে। প্রত্যাশার একা একা ছোটাছুটি করতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে। নিহান যতটা সম্ভব প্রত্যাশাকে সাহায্য করে। প্রত্যাশার মনে হলো এই মুহূর্তে রিনা এবং নিহানের নাওয়াসকে প্রয়োজন। আর নাওয়াসেরও বিষয়টা জানা দরকার। প্রত্যাশা উঠে দাঁড়ালো। হ্যান্ড ব্যাগ কাঁধে তুলে নিহানের উদ্দেশ্যে বলল,
“আন্টির খেয়াল রেখো। আমার একটু কাজ আছে, আমি সেটা সেরে আসি। কোনো প্রয়োজন হলে আমায় ফোন করবে।”
নিহান ছোট্ট করে বলল,
“আচ্ছা!”
.
.
.
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে এসছে। প্রত্যাশা নাওয়াসকে খোঁজার জন্য সেদিন কার সেই জায়গায় যায়। এবং পেয়েও যায়। প্রত্যাশা নাওয়াসদের সামনে রিঁকশা থামায়। এই সময় প্রত্যাশাকে এখানে দেখে নাওয়াসের ললাটে ভাঁজের সৃষ্টি হয়। বরাবরের মতো মিন্টু আতঙ্কিত,ভীতু হয়।
“তুমি আবার এখানে কেন এসেছো?”
“তোমাকে গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলার ছিলো।”
“আমি তোমার কোনো কথা শুনতে আগ্রহী নয়।”
“নাওয়াস তোমার বাবা স্টোক করেছেন।”
প্রত্যাশার নিঃসৃত বাক্যে নাওয়াস চমকিত প্রত্যাশার পানে চায়।
কাঁপা কণ্ঠে শুধায়,
“কী বললে? বা-বাবা স্টোক করছে?”
নাওয়াসের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে। প্রত্যাশা বলে,
“হ্যাঁ নাওয়াস। উনি স্টোক করেছেন। নিহান ছোটো ও এতো কিছু সামলাতে পারবে না। আন্টি আর নিহানের এই সময় তোমাকে প্রয়োজন।”
“বাবা এখন কোথায় আছেন।”
নাওয়াসের কম্পিত কণ্ঠ স্বর। প্রত্যাশা উত্তরে বলল,
“হসপিটালে। তুমি যাবে?”
নাওয়াস তুরন্ত হ্যাঁ বোধক মাথা নাঁড়ায়। নাওয়াস শকের ভিতরে আছে। এই ভাবে বাইক চালে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেকারণে প্রত্যাশা নাওয়াসকে রিঁকশা করে নিয়ে যায়। নাওয়াসের বাইক নিয়ে, পিয়াশ, তন্ময় আর মিন্টু প্রত্যাশাদের পিছু যায়। নিহান আর রিনা কামাল মাহমুদের ক্যাবিনের সামনে বসে আছেন। নাওয়াসকে প্রথমে নিহানই দেখতে পায়। নাওয়াসকে দেখা মাত্রই নিহান ছুটে আসে। জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলে,
“ভাইয়া তুমি এসেছো? বাবা না-কি স্টোক করছে। বাবার অবস্থা না-কি সংঙ্কা জনক। বাবা ফিরবে তো?”
নাওয়াস নিহানের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
“বাবা সুস্থ হয়ে যাবেন। তুমি কান্না করো না। তুমি না স্ট্রোং বয়?”
নাওয়াসের একটুখানি ভরসায় নিহান শান্ত হয়ে যায়। এই ভরসার হাতটার-ই তো দরকার ছিলো। এই দৃশ্যে রিনা শাড়ির আঁচলে মুখগোঁজ করে চাপা স্বরে কান্না করেন। ডাক্তারকে বের হতে দেখে নাওয়াস এগিয়ে যায়। কথা বলে। ডাক্তার জানায় আল্লাহ রহমতে কামাল মাহমুদ এখন বিপদ মুক্ত আছেন। ভাগ্য ভালো ছিলো,সময় মতো হসপিটালে আনা হয়েছিলো। বিধায় যা কিছু হতে পারতো। ডাক্তার নাওয়াসকে আরো কিছু কথা বলে। ওনার ব্যাপারে সব বুঝিয়ে বলে। সব শেষে মেডিসিন আনতে বলে। পিয়াশ আর তন্ময় এগিয়ে এসে বলে,
“ভাই আমরা ঔষুধ এনে দিচ্ছি। আপনি এখানেই থাকুন।”
নাওয়াস প্রেসক্রিপশন ওদের হাতে দেয়। মিন্টুকে বলে কিছু শুকনো খাবার আনতে। মিন্টুও তাই করে। নাওয়াস একপলক রিনা কে দেখল। এগিয়ে এসে দ্বিধা-দ্বন্দিত কণ্ঠে বলল,
“আপনি চিন্তা করবেন না। বাবার কিছু হবে না।”
নাওয়াসের আশ্বস্তবানীতে বিস্মিত হন রিনা। পরপরই খুশিও হন। এই বিপদের সময় নাওয়াসের এই ভরসা বাক্য ওনার মনে সাহস যোগাতে সক্ষম হন। এতক্ষণ মনের মধ্যে থাকা সকল ভয়ডর কেটে যায়।
চলবে…
(ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।)