#এক_ঝড়ো_হাওয়ায়
#লেখনীতে-ইনসিয়া আফরিন ইমারা
#পর্বঃ০৯
নাওয়াসের জ্ঞান ফিরেছে বেশ কিছুক্ষণ সময় হয়েছে। রিনা নাওয়াসের কাছে বসে আছেন। মাথায় আদুরে ভাবে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। পাশেই নিহান দাঁড়িয়ে আছে। সেই সময় কক্ষে প্রবেশ করেন, কামাল মাহমুদ। কামাল মাহমুদ কামরাই প্রবেশ করেই রোষানল কণ্ঠে বললেন,
“আর কী ভাবে বললে তুমি শুধরাবে? তোমার এই উগ্র জীবন ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে? কবে তুমি আর পাঁচজন মানুষের মতো বাঁচবে?”
রিনা ত্রস্ত উঠে দাঁড়ান। স্বামীর নিকট এগিয়ে এসে ত্রাসস্বরে বললেন,
“আপনি দয়া করে শান্ত হন। এসব কথা এখন বলবেন না। ছেলেটা অসুস্থ। দেখুন কত চোট পেয়েছে।”
কামাল মাহমুদ রাগে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে বললেন,
“ওর চোটের কথা ভাবছো? ওর জন্য তোমার নিজের ছেলে ম’রতে জাচ্ছিল…”
রিনা চমকে ওঠেন। আতঙ্কিত সুরে বললেন,
“ওরা দুজনেই আমার ছেলে। আপনি দয়া করে এভাবে বলবেন না।”
“নাহ্! ও তোমার ছেলে না। ও যদি তোমার ছেলে হতো, তাহলে এমন বখে যেতো না। শুধুমাত্র ওর কারণে নিহানের আজ প্রাণ সংশয় ঘটতে যাচ্ছিল।”
নাওয়াস অত্যন্ত শান্ত ভঙ্গিতে শোয়া থেকে উঠে বসে। রিনা ওকে ধরতে নিলে হাতের ইশারায় থামতে বলে। ধীর ভাবে নাওয়াস কামাল মাহমুদের মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়। চোখ জোড়া শান্ত।
“তুমি ঠিক বলেছো। আমি ওনারা সন্তান নয়। কিন্তু আমি তোমার সন্তান। আমার শরীরে তোমার র’ক্ত বয়ছে। এমন একজনের র’ক্ত যার কাছে সম্পর্কের কোনো মূল্য নেই। যার ভূবন ঘিরে শুধু টাকার ছড়াছড়ি।
মা বলতো,আমি না-কি তোমার মতো হয়েছি। অ্যান্ড ইট’স ট্রু! আমি সত্যিই তোমার মতো হয়েছি।
জাস্ট দুটো পার্থক্য আছে। আমি তোমার মতো টাকার কাঙাল নয়।”
কামাল মাহমুদের ভ্রুদ্বয়ের মাঝে ভাঁজের সৃষ্টি হয়। সহসাই শুধান,
“কী বলতে চাও তুমি? আমি লো’ভী?”
নাওয়াস দূর্বল চিত্তে হাসল। তা দেখে কামাল মাহমুদের কপালের ভাঁজ প্রগাঢ় হয়।
“হাসচ্ছো কেন? আমি হাসার মতো কী বলেছি?”
“তুমি হয়তো লো’ভী নও। কিন্তু তুমি টাকাকে যতটা মূল্যায়ন করো। ততোটা মূল্যায়ন যদি আমার মাকেও দিতে,তবে হয়তো আমার মাকে এতো অল্প বয়সে ম’রতে হতো না।”
কামাল মাহমুদ রেগে যান।
“তুমি বোঝাতে চাইছো নাসরিন আমার জন্য মা’রা গেছে? আমি ওকে মূল্যায়ন করিনি?”
নাওয়াসের কাঠ উত্তর,
“হ্যাঁ! তোমার কারণেই আমার মা মা’রা গেছে। তোমার নির্লিপ্ততা আমার মা’য়ের মৃ’ত্যু’র কারণ।”
কামাল মাহমুদ আর নিজেকে সামলাতে পারেন না। থা’প্প’ড় মে’রে বসেন নাওয়াসের বা গালে। অকস্মাৎ ঘটনায় রিনা চমকে ওঠেন। নিহানও বিস্মিত হয়। তবে নাওয়াসের মাঝে ভাবাবেগ হয় না। সাবলীল ভাবে আবারও বলে,
“সত্যি কথা গায়ে লাগলো? তুমি কী অস্বীকার করতে পারবে? পারবে না। কারণ তুমিও জানো আমি ভুল নয়।”
“অবশ্যই পারবো। ততুমি ভুল বলছো। মিথ্যে অভিযোগ করছো তুমি। আম-আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম নাসরিন কে বাঁচানোর।
ওকে সুস্থ করার জন্য আমি সব কিছু করেছি। বিদেশ থেকে ডাক্তারও নিয়ে এসেছি…”
কামাল মাহমুদের কম্পিত স্বর। নাওয়াস তাচ্ছিল্য হাসে।
“সেই চেষ্টাটা যদি শুরুতেই করতে, তাহলে হয়তো মা আজ জীবিত থাকতো।”
“তুমি আমাকে মিথ্যে দোষারোপ করছো।”
“মিথ্যে? তুমি টাকার পিছে ছুটতে গিয়ে, মাকে অবহেলা করেছো এটা মিথ্যে?”
“আমি তোমার মাকে কখনও অবহেলা করিনি। আমি সব সময় চেয়েছি ওকে ভালো রাখতে। সুখে রাখতে। তোমাদের জন্যই আমার এতো পরিশ্রম। যাতে তোমাদের একটা লাক্সুরিয়াস লাইফ দিতে পারি।”
“টাকা দিলেই সব দায়িত্ব পূরণ হয়ে যায় না বাবা।”
কামাল মাহমুদ কম্পিত কণ্ঠে বললেন,
“নাওয়াস!”
“মা তোমার থেকে একটু সময় চাইতো বাবা। মায়ের সব থেকে বেশি প্রয়োজন ছিলো তোমাকে। যতটা না মা রোগে ভুগেছে। তার থেকেও বেশি একাকিত্বে ভুগেছে। মা জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তোমার একটুখানি সঙ্গ চেয়েছিলো। আফসোস মা সেই সঙ্গ পায়নি।”
নাওয়াস থামে। টলমলে চোখে কামাল মাহমুদের দিকে চেয়ে পুনরায় বলল,
“আমি জানি তুমি মাকে অসম্ভব ভালোবাসতে। এখনও বাসো। কিন্তু কী জানো তো বাবা। তুমি মাকে বিলাসিতা দিতে গিয়ে, ভালোবাসা দিতে ভুলে গেছিলে। শখ, আহ্লাদ পূরণ করতে গিয়ে, মায়ের অতিব শখের তুমি ব্যস্তার বেড়া জালে আটকে গেছিলে। আর এই জিনিসটায় মা মেনে নিতে পারেনি।
তোমার প্রতি একরাশ অভিমান নিয়ে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে।
যাই হোক,আমার জন্য যখন নিহানের জীবন সংশয় ঘটেছিলো। তখন আমার তোমাদের জীবনে না থাকায় ভালো।”
নাওয়াসের নিঃসৃত বাক্যে সকলে চমকে ওঠে। আতঙ্কিত হয়ে রিনা বললেন,
“থাকবে না মানে?”
নাওয়াস একপলক রিনা দিকে চাইলো। তারপর বলল,
“নিহানের খেয়াল রাখবেন। আর আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। পারলে নিহানকে আমার মতো হতে দেবেন না।”
নাওয়াস খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বেরিয়ে যায়। দরজার অব্দি যায়। দরজার হাতলে হাত রেখে পিছে না ঘুরেই বলল,
“পারলে ওনাদের সময় দিবেন। ওনার পরিনতি যেন আমার মায়ের মতো না হয়। আর না আরেক জন নাওয়াস আফফান জন্ম নিক।”
নাওয়াস আর দাঁড়ায় না। পিছেও ফেরে না। নিহান এখনও স্তব্ধ হয়ে আছে। ঘটনা মস্তিষ্কের নিউরনে পৌঁছানো মাত্রই অস্থির হয়ে বলল,
“মা ভাইয়া কোথায় গেলো? ভাইয়া কী আর আসবে না?”
রিনা নিহানকে জড়িয়ে ধরেন। তিনি জানেন না এখন তার কী করা উচিত। কী ভাবে সব ঠিক করবেন। এতবছর কম চেষ্টা তো করেননি। রিনা একপলক কামাল মাহমুদের আনন পানে চাইলেন। মুখটা কেমন পাংশুটে হয়ে গেছে। চোখ মুখ অস্বাভাবিক লাগছে। আর কেউ না জানুক উনি তো জানেন, যে কামাল মাহমুদ নিজের মৃ’তা স্ত্রীকে কতটা ভালোবাসেন। যার দিনের শুরু এবং সমাপ্তি হয়, নিজের মৃ’তা স্ত্রীর মুখ দেখে। উনি তো দেখেছেন কতটা কষ্ট বুকে চেপে রেখেছেন এই মানুষটা। ওনাকে বিয়েও করেছিলেন নাওয়াসের কারণে। নাওয়াসকে দেখাশোনার করার জন্য। বিয়ের কয়েক বছরের ওনাদের মাঝে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হয়নি। রিনাকে নিজের মনে জায়গা দিতে কামাল মাহমুদের কয়েক বছর লেগেছিলো। তবুও পুরো-পুরি ভাবে দিতে পারেননি। তবে ওনাকে কখনও অবহেলা করেনি। মানুষটা প্রথম যেদিন কাছে এসেছিলো। সেদিনই বলেছিলো।
“রিনা তোমাকে আমি সন্মান করি। তোমার ধৈর্য, নিষ্ঠার দ্বারা তুমি আমার মনে জায়গা করে নিয়েছো। আমি হয়তো নাসরিনকে যেমন ভাবে ভালোবাসতাম। তোমায় সেভাবে পারবো না। তবে তুমি আমায় যেভাবে ভালোবাসো,তোমাকে আমিও সেভাবে ভালোবাসবো। নাসরিন আমার প্রথম ভালোবাসা। আমার অস্বস্তি। ওকে আমি কখনও ভুলতে পারবো না।
কিন্তু তোমার জন্য আমি নতুন ভাবে আবারও বাঁচতে পেরেছি। কথা দিচ্ছি কখনও তোমার কোনো অসন্মান হতে দেবো।”
সেদিন কামাল মাহমুদের কথায় রিনার একটুও রাগ বা হিংসে হয়নি। বরং বিমুগ্ধ হয়েছিলেন। কোনো মানুষ ঠিক কতটা ভালোবাসলে নিজের মৃ’ত স্ত্রীর ভালোবাসার ভাগ দ্বিতীয় কোনো নারীকে দেননা। উনি কামাল মাহমুদের থেকে ভালোবাসা পেয়েছেন। ওনাকেও কামাল মাহমুদ প্রচন্ড ভালোবাসেন। আলাদা ভাবে। যেমনটা উনি কথা দিয়েছিলেন। কখনও ওনাদের মাঝে কামাল মাহমুদের প্রথম স্ত্রী আসেনি। আর না ওনার প্রথম স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার মাঝে রিনা এসছেন।
___________
প্রায় এক মাস কেটে গেছে নাওয়াস বাড়ি ফেরে না। এই এক মাসে বদলে গেছে অনেক কিছু। নিহানকে আর কারণে অকারণে হাসতে দেখা যায় না। ঠিক মতো পড়াশোনা করে না। কেমন চুপচাপ হয়ে গেছে। নিজের প্রিয় বড়ো ভাইয়ের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়াটা ছেলেটা মানতে পারেনি। এই এক মাস স্কুলেও যায়নি। ছেলের এমন দশায় রিনার বুকটা হুঁহু করে কেঁদে ওঠেন। সেদিন নাওয়াসের বলা কথা গুলো কামাল মাহমুদকে চুপচাপ করে দিয়েছেন। একেই নাওয়াসের চিন্তা। তার ওপর স্বামী ছেলের এরূপ ঘরকুনো দশা। রিনা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। রিনা নিহানকে আজ জোর করে স্কুলে নিয়ে যান। ছেলেটা ঘরের ভিতরে থেকে থেকে কেমন হয়ে গেছে। স্কুলে গেলে বন্ধুদের সাথে মিশলে। হয়তো একটু স্বাভাবিক হবে।
এই এক মাসে প্রত্যাশার মাঝেও অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। প্রত্যাশার অবচেতন মনে বারংবার নাওয়াসের চিন্তা ঘুর পাক খায়। এই এক মাসের মধ্যে নাওয়াসের সাথে প্রত্যাশার দেখা হয়নি। পরের দিন প্রত্যাশা হসপিটালে গেছিলো। সেখানে কাউকে পায়নি। এমন কী পিউয়ের স্কুলে নিহানের সাক্ষাৎও মেলেনি। আজ প্রত্যাশা যখন পিউকে স্কুলকে রাখতে এসেছিলো। তখন রিনা কে স্কুলের সামনে দেখে প্রথমে অবাক হয়। পরপর উৎফুল্ল চিত্তে প্রত্যাশা ওনার নিকট যায়। হাসি মুখে বলল,
“কেমন আছেন আন্টি?”
অকস্মাৎ কণ্ঠে কিঞ্চিৎ ভরকান রিনা। পিছে ফিরে প্রত্যাশাকে দেখে মুখে হাসি টেনে বললেন,
“এই তো আছি। তা তুমি কেমন আছো?”
“জ্বি আমিও ভালো আছি। আন্টি নাওয়াস কেমন আছে?”
প্রত্যাশা জড়তাহীন প্রশ্ন। চোখে মুখে উৎকণ্ঠা। রিনা একপলক প্রত্যাশাকে অবলোকন করেন। প্রত্যাশার ওনার চোখ মুখ ঠিক লাগে না। তাই ফের শুধাল,
“আন্টি সব ঠিক আছে?”
রিনা প্রত্যাশার বিচলিত লোচন পানে চেয়ে বললেন,
“নাওয়াস আজ এক মাস হলো বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।”
সহসাই প্রত্যাশা চমকায়,থমকায়, বিস্ময়ভূত হয়ে বলল,
“কিহ্?”
“হুম!”
.
.
.
একটি পার্কে প্রত্যাশা আর রিনা বসে আছেন। প্রত্যাশা বিস্তারিত সব জানতে চাই। সেকারণেই রিনাকে সাথে নিয়ের স্কুলের কাছের পার্কে আসে।
“এবার বলুন আন্টি এমন কী হয়েছে, যে নাওয়াস বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে?”
“সেদিন তুমি হসপিটাল থেকে চলে আসার পর,নাওয়াসের বাবা আসেন। আর নাওয়াসের উগ্র জীবন-যাপনকে,ওই ঘটনার কেন্দ্র ভাবেন। নাওয়াসকে বকাবকি করেন। নাওয়াস সেদিন নিজের বাবার প্রতি জমে থাকা অভিযোগ করে। নিজের মাকে হারানোর জন্য দায়ি মনে করে।”
প্রত্যাশার ভ্রু কুঁচকে আসে। সন্দিহান হয়ে শুধায়,
“মাকে হারানোর দায় মানে?”
রিনা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
“তুমি নিশ্চয়ই জানো না আমি নাওয়াসের নিজের মা নয়। আমি ওর সৎ মা।”
প্রত্যাশা কিংকর্তব্যবিমূঢ় বনে যায়। রিনা বললেন,
“নাওয়াস যখন বারো বছরের ছিলো। তখন ওর মায়ের ক্যান্সার ধরা পরে। আর সেটাও লাস্ট স্টেজ। তবুও নাওয়াসের বাবা অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু বাঁচানো যায় না। এটা নিয়ে নাওয়াসের অভিযোগ।”
“ওনি তো অসুস্থ হয়ে মা’রা গেছেন? তাহলে নাওয়াস আঙ্কেল কেন দোষী করছে?”
“নাওয়াসের বাবা আর ওর মা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো। নাওয়াসের বাবার থেকে মায়ের পারিবারিক অবস্থা অনেক ভালো ছিলো। ওনাদের বিয়ের পর নাওয়াসের বাবা ভয় পেতেন। অভাব আসলে যদি, নাওয়াসের মা দূরে চলে যায়।
সেকারণেই নাওয়াসের বাবা দিন রাত এক করে কাজ করতেন। টাকা রোজকার করতে। যাতে নাওয়াসের মা কে সুখে রাখতে পারেন।”
রিনা একটু থামল। শ্বাস নিয়ে ফের বলল,
“আর এই সব কিছু করতে গিয়ে নাওয়াসের বাবা ওনাকে সময় দিতে ভুলে গেলেন। নাওয়াসের মায়ের মনে হতে লাগল, উনি আর ওনাকে ভালোবাসেন না। বাবার থেকে সময় না পাওয়ার জন্য মাকে কষ্ট পেতে দেখে, ছোটো নাওয়াসের মনেও বাবার প্রতি অভিমান হয়। নিজের মায়ের মৃ’ত্যু’র পর সেই অভিমান বৃদ্ধি পায়।
নাওয়াস নিজেকে গুটিয়ে নেয়। একা হয়ে যায়। আর তারপর এমন বাউণ্ডুলে হয়ে ওঠে। ওকে সবাই বখাটে বলে, কারণ ও বেপরোয়া, উগ্র। কিন্তু আজ পর্যন্ত নাওয়াস কখনও কোনো অন্যায় করেনি। বরং অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। যার নাম লোকে বখাটে দিয়েছে।”
প্রত্যাশা মনোযোগের সহিত সব কিছু শোনে। নাওয়াসের সাথে সাক্ষাতের পর থেকে সব কিছু মনে করে। প্রত্যাশা কখনও নাওয়াসকে কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখেনি। এমনকি ও থা’প্প’ড় মা’রার পরও প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো তাগিদ দেখেনি। যেমনটা হিট্টুর মধ্যে দেখে ছিলো। প্রত্যাশা অনুভব করে নাওয়াসের মাঝে অনেক কষ্ট চাপা আছে। নাওয়াস ভিষণ একা। প্রত্যাশা উঠে দাঁড়ায়। রিনার উদ্দেশ্যে বলে,
“আন্টি আমি আসি। আপনি সাবধানে বাড়ি যাবেন।”
প্রত্যাশা আর দাঁড়ায় না। ত্রস্ত চলে যায়। প্রত্যাশার গমন পথে চেয়ে একটা ভারি শ্বাস ছাড়েন রিনা।
চলবে…
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।)
চলবে…