এক ঝড়ো হাওয়ায় পর্ব-০৪

0
8

#এক_ঝড়ো_হাওয়ায়
#লেখনীতে-ইনসিয়া_আফরিন_ইমারা
#পর্বঃ০৪

টিফিনের ঘণ্টা বাঁজতে সকলে হৈ হৈ করে ওঠে। স্কুল জীবনের সব থেকে মুধুর স্মৃতি, এই টিফিন টাইমেই তৈরি হয়। একে অন্যের টিফিন ভাগ করে খাওয়া। এক সাথে গোল টেবিল বৈঠক করা। স্যারদের নামনে সমালোচনা করা। আরো কতশত মজার মজার অনুভূতি তৈরি হয়। তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। পিউ টিফিন খাওয়া শেষে বোতলে পানি আনতে বাইরে যায়। তখন দেখে রিহান তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। বলা বাহূল্য রিহানের ভাই বখাটে বলে সবার মা-বাবাই, সবাইকে ওর সাথে মিশতে মানা করেছে। তারপরও অনেকেই মেশে। কিন্তু সেটা ব্যক্তি স্বার্থে। রিহান পরিষ্কার মনের মানুষ কোনো প্যাচগোচ নেই মনে। যাদের কে বন্ধু ভাবে, তারা সবাই ওর থেকে সুবিধা নিতে ওর সাথে মেশে। যখন যার যা প্রয়োজন পরে রিহানের সাথে চাই। টাকা হোক কিংবা অন্য কিছু। বোকা রিহান হাসি মুখে ওদের সব আবদার মেটায়। পিউয়ের নিকট রিহান কে সত্যিই বোকা মনে হয়। বোকা না হলে কেউ এমন করে? মানছি তোর বাবার মেলা টাকা। তাই বলে কী তুই বিলিয়ে বেড়াবি। হুঁহ্! হঠাৎ পিউয়ের গত কাল প্রত্যাশার বলা কথা মনে পড়ে। কালকের জন্য নিহানের আসলেই একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য। নিহানের বন্ধুরা প্রয়োজন শেষে এটা সেটা বাহানা দিয়ে চলে যায়। নিহান হাসি মুখে বিদায় দিলো।

“নিহান!”

অকস্মাৎ মেয়েলি কণ্ঠে নিহান ভরকাই। পিছে ফিরে পিউকে দেখে কিঞ্চিৎ চমকায়। পরপর হেসে বলে,

“আরে পিউ কেমন আছিস?”

“ভালো।”

“কিছু বলবি?”

“হ্যাঁ মানে না। মানে আসলে…”

“কি বলবি বল। এত মানে মানে কেন করছিস?”

“থ্যাংঙ্ক’স! কালকে আমার হেল্প করার জন্য।”

নিহান হেসে বলে,

“বন্ধুদের সাথে এত ফরমালিটি করতে নেই।”

“বন্ধু?”

“হুঁ আমরা তো একসাথে পড়ি। তাহলে তো বন্ধুই হলাম। তোরা সবাই আমার বন্ধু। যদিও সবাই আমাকে বন্ধু ভাবে না।”

নিহানের শেষক্ত কথায় পিউয়ের বেশ খারাপ লাগে। পরপর নিহান নিজের মুখে হাসি টেনে বলে,

“ঘণ্টা দিয়ে দিলো। ক্লাসে চল। দেরী হলে স্যার বকবে।”

নিহান চলে যেতে নিলে পিউ পিছু ডাকে। নিহান প্রশ্নবিদ্ধ চোখে ফিরে চায়। পিউ বলল,

“ওরা কেউ তোমায় নিজের বন্ধু ভাবে না। নিজের প্রয়োজন মেটানোর মেশিন ভাবে। প্রয়োজন মিটে গেলে, ওরা তোমায় চিনেও না। বিপদে কখনও তুমি ওদের নিজের পাশে পাবে না।”

নিহান ম্লান হাসে। তারপর বলল,

“জানি! আমি ওদের প্রয়োজন, প্রিয়জন না। কিন্তু তবুও প্রয়োজনের খাতিরে মিথ্যে মিথ্যে হলেও বন্ধু তো হয়…”

নিহান আর দাঁড়ায় না। ক্লাসের দিকে চলে যায়। পিউয়ের মনটা খারাপ হয়ে যায়। কাল প্রত্যাশা ঠিকই বলেছিল। এতদিনে আজ যেন পিউ সব কিছু বুঝতে পারছে। একটা মানুষ কতটা একা হলে, সব জেনেও তাদের সাথে মিশে নিঃস্বার্থ ভাবে সবার উপকার করে। ছোটো বড়ো সবার বিপদে নিহান সবার আগে ছুটে যায়। ছেলেটা এই অল্প বয়সেও অনেক বুঝদার। পিউয়ের মনটা বিষণ্ন হয়ে যায়।
.
.
.
আজ পিউদের স্কুল চারটার আগে ছুটি হয়ে গেছে। কোনো এক অগ্যাত কারণে টিফিনের পরের তিনটে ক্লাসের শুধু একটি ক্লাস হয়েছে। টিফিনে পর থেকে পিউয়ের পেটে চিনচিনে ব্যথা অনুভব হয়। পিউ সেরকম পাত্তা দেয়না। ছুটির পরে পিউ বাড়ি যাওয়ার জন্য যখন ব্যাগ গোছাছিল। তখন খেয়াল করে বেঞ্চে লাল তরল পদার্থ লেগে আছে। পিউ আতঁকে ওঠে। স্কুল ড্রেসের সফেদ কামিজেও সেই দাগ লেগে গেছে। এতক্ষণে পেট ব্যথার কারণ উপলব্ধি করতে পারে পিউ। সঙ্গে সঙ্গে পিউয়ের মুখশ্রী গভীর তিঁমিরে ডুবে যায়। স্কুলের পিয়ন তালা দেওয়ার জন্য, পিউকে তাড়াতাড়ি কক্ষ থেকে বের হতে বলে। পিউ নিজের স্কার্ফ খুলে কোমড়ের দিকে নামিয়ে বাধে। ধীর পায়ে কক্ষ থেকে বেড়িয়ে যায়। পেটে ব্যথা বেড়েছে। এভাবে বাড়ি যাওয়া সম্ভব না। ওর কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসটাও নেই। পূর্ব ইমাম ওকে নিতে আসবেন, এখনও এক ঘণ্টা পর। পিউয়ের ভিষণ কান্না পায়। কান্নার তোপে শুভ্র মুখশ্রী লাল হয়ে যায়। স্কুলের মাঠের বেঞ্চে বসে পিউ নিজের কান্না নিয়ন্ত্রণ করছিল। নিহান বাড়ি যেতে গিয়ে পিউকে দেখে থেমে গেল। ওর কাছে এগিয়ে এসে বলল,

“পিউ তুই এখানে বসে কেন? বাড়ি যাবি না?”

পিউ ঠোঁট কামড়ে বলল,

“বাবা নিতে আসবে। তাই বসে আছি।”

“তাহলে তুই স্যারকে বলল, আঙ্কেলকে ফোন করে বলতে। তোর তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে গেছে।”

“বাবার গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। এখন ফোন দিলেও আসতে পারবে না।”

“তোর আপু কে ফোন দে।”

“আপু বাসায় নেই। আর আমি আপুর নাম্বার জানি না।”

“ওহ্!”

নিহান পিউয়ের লালচে মুখশ্রী দেখে সন্দিহান হয়ে বলল,

“তোর কী কোনো সমস্যা হয়েছে?”

পিউ চমকিত মাথা তুলে তুরন্ত বলে,

“সসমস্যা? কই না তো আমার কোনো সমস্যা হয়নি তুমি যাও। এখন তো দিন। আর স্কুলের ভিতরে আছি। একা অপেক্ষা করতে পারবো। যাও তুমি যাও।”

নিহান গাল ভরে শ্বাস নিলো। বুঝল পিউ ওকে বলতে চাই না। তাই কথা না বাড়িয়ে চলে গেল। বাইরে গিয়ে নাওয়াসের সাথে দেখা হয়। অবাক হয়ে বলল,

“ভাইয়া তুমি?”

“হুম! তোমার নাকি তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে গেছে। সেজন্য বাবা তোমায় বাসায় নিয়ে যেতে বলল।”

নিহান ছোটো করে বলল, “ওহ্!”

“আসো!”

“ভাইয়া!”

নিহানের ডাকে নাওয়াস থেমে বলল,

“হুম!”

“তোমার সেদিন সন্ধ্যেবেলার ওই মেয়েটার কথা মনে আছে? ওই যে পিউ বলে মেয়েটা? যার জন্য আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম?”

নাওয়াস ভ্রু গুটিয়ে চেয়ে থাকে। নিহান জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে পুনরায় বলে,

“আমার মনে হয় ও আবার কোনো প্রব্লেমে পড়েছে।”

“হুম তো?”

“আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিন্তু ও আমায় বলেনি। তুমি একটু গিয়ে দেখবে ওর কী সমস্যা হয়েছে?”

নাওয়াস বিরক্তিতে ‘চ’ সূচক শব্দ করে বলল,

“সে যখন নিজের প্রব্লেম শেয়ার করতে চাইছে না। তখন তুমি কেন তাকে সাহায্য করতে চাইছো? আর তাছাড়া ও প্রব্লেমে পড়লে তোমার কী?”

“ও আমার বন্ধু হয় ভাইয়া। আমার বন্ধু প্রব্লেমে আছে। কোনো কারণে সেটা সে শেয়ার করতে পারছে না। এটা বুঝেও আমি হাত গুটিয়ে রাখতে পারবো না। তুমি প্লিজ একটু দেখো না। যদি তোমায় বলে তো।”

নিহানের নিঃসৃত বাক্যে নাওয়াস স্তব্ধ হয়ে যায়। ছেলেটা বয়সের তুলনায় অধিক বুঝদার। বিষয়টা নাওয়াসকে বিস্মিত করছে। নাওয়াস ছোট্ট করে বলে,

“চলো!”

নিহান খুশি হয়ে যায়। নাওয়াস নিহানকে সাথে নিয়ে স্কুলের ভিতরে আসে। পিউ পেট চেপে ধরে আছে। অক্ষি কোটরে জল জমা হয়েছে। এতক্ষণ আটকে রাখলেও, টুপ করে এক ফোঁটা অশ্রু কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে। নাওয়াস সেই দৃশ্য দেখে দাঁড়িয়ে যায়। নাওয়াসের আর বুঝতে বেগ পেতে হয় না। পিউয়ের কী হয়েছে।

“কী হলো ভাইয়া? দাঁড়িয়ে গেলে কেন?”

নাওয়াস নিজের পকেট থেকে বাইকের চাবি বের করে নিহান কে দিয়ে বলল,

“তুমি বাড়ি চলে যাও। তোমার মা চিন্তা করবে।”

“কিন্তু ভাইয়া পিউ…”

“এক কথা বার বার বলা আমার পছন্দ না।”

নিহান কথা না বাড়িয়ে চলে যায়। নাওয়াস নিজেও চলে যায়।
________

পিউ যখন ঠোঁট কাঁমড়ে কান্না আটকাতে ব্যস্ত ছিলো। তখন কেউ একজন ওর সামনে একটি প্যাকেট এগিয়ে দিলো। পিউ বাড়িয়ে রাখা হাতের মালিক কে দেখতে মাথা তুলে চাইলো। নাওয়াসকে দেখে পিউ ভয় পায়। ভয়ে গুটিশুটি হয়ে ব্যাগ আকঁড়ে ধরে। নাওয়াস পিউকে অবলোকোন করে। মুখ ভরে শ্বাস নিয়ে বলল,

“ভয় নেই। তোমার যা প্রয়োজন এতে আছে।”

পিউ চমকিত নাওয়াসের চিত্ত পানে চাইল। নাওয়াস ইশারায় প্যাকেট নিতে বলল। পিউ কাঁপা হাতে প্যাকেট নিয়ে,ভিতরে দেখা মাত্রই লজ্জা পেল। লজ্জায় মাথা নিচু করে নিল।

“আমাকে তোমার বড়ো ভাইয়া মনে করতে পারো। এত আনইজি ফিল করার কিছু নেই।”

পিউ ছোট্ট করে বলল,

“ধন্যবাদ ভাইয়া!”

প্যাকেটটা নিয়ে পিউ ওয়াশরুমে চলে গেলে। কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে। নাওয়াস তখনও ওখানেই দাঁড়িয়ে ছিলো। নাওয়াস কে দেখে পিউয়ের ভিষণ অস্বস্তি হয়।

“এটা লজ্জা পাওয়ার বিষয় না। এটা একটা ন্যাচারাল সার্কেল। প্রতি মেয়েকে নারী এবং একজন মা হিসেবে, পূর্ণতা দেওয়ার প্রসেস এর মাধ্যমেই শুরু হয়। আমার তেমন ধারণা নেই। তোমায় ওতো ভালো বোঝাতেও পারবো না। শুধু এতটুকু জানি, এই প্রক্রিয়া একজন মেয়েকে পরিপূরণ ভাবে নারীতে রূপান্তর করে।”

পিউ নাওয়াসের বাক্যে বিস্মিত হয়। আবারও বলে,

“আমাকে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।”

“আমায় ধন্যবাদ দেওয়া লাগবে না। তোমাকে সাহায্য নিহান করেছে। আমি মাধ্যম মাত্র। এখন আসো তোমায় বাসায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিই।”

নাওয়াস আগে চলে গেলো। পিউ পিছন পিছন গেল। নাওয়াস একটা রিঁকশা ডেকে পিউকে তুলে দেয়। এবং ভাড়াও মিটিয়ে দেয়। পিউ ভাড়া দিতে মানা করলেও নাওয়াস শোনে না। সাথে পিউ অবাকও হয়। ও তো জানে বখাটেরা ভাড়াটারা দেয়না। এমনিই ফ্রি ফ্রি যাতায়াত করে, ভয় দেখিয়ে।

রাতে পিউ আজ প্রত্যাশার সাথে ঘুমাতে চাই। প্রত্যাশা দ্বিমত করে না। বরং বোনকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে, বোনের মাথা নিজের কোলে নিয়ে বিলি কেটে দিতে থাকে। পিউ বোনের আদর উপভোগ করতে করতে হুট করেই অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসে।

“আচ্ছা আপু মানুষ বখাটে কেন হয়?”

হঠাৎ পিউয়ের এহেন প্রশ্নে প্রত্যাশা ভ্রু সংকুতি করে শুধাল,

“হঠাৎ করে এমন প্রশ্ন করছিস?”

পিউ ওঠে বসে বলল,

“বলো না আপু। মানুষ বখাটে কেন হয়?”

প্রত্যাশা পিউকে বালিশে শুয়ে দিয়ে নিজে আধ শোয়া হয়ে বলে,

“মানুষ বিভিন্ন কারণে বখাটে হয়, কেউ পরিবারের জন্য, তো কেউ একাকিত্বের জন্য, কেউ আবার সঙ্গ দোষে। আসলে কী জানিস তো কোউ শখের বসে খারাপ হয় না। কোনো না কোনও কারণ থাকে।
কিন্তু আমরা মানুষের খারাপ রূপ দেখে ভেবে নিই সে জন্মগতই খারাপ। এমনকি এটাও ভাবি তার ফ্যামিলি, বন্ধু রিলেটিভ সবাই খারাপ। যার কারণে তার সাথে তার পরিবার,আত্মীয়-স্বজনদের কেউও এড়িয়ে চলি। কিন্তু তুই এগুলো কেন জিজ্ঞেস করছিস?”

“আজকে না নাওয়াস ভাইয়া আমাকে হেল্প করে ছিলো।”

প্রত্যাশ কুঁচকে বলল,

“নাওয়াস?”

“এলাকার বখাটে নাওয়াস আফফান।”

এবার প্রত্যাশা অবাক হয়। পরপর জানতে চাই কী সাহায্য করেছিলো। পিউ সব কিছু প্রত্যাশাকে বলে। প্রত্যাশা সব শুনে বড়ো সড়ো ধাঁক্কা খায়। তবে কিছু বলে না। পিউ কে ঘুমিয়ে যেতে বলে।

নিহান আজ নাওয়াসের সাথে শোয়ার জন্য বায়না করে। নিহানের জেদের কাছে হার মেনে নাওয়াস ওকে ঘুমাতে নিল। নাওয়াস চোখ বন্ধ করে আছে। নিহান একবার নাওয়াস কে দেখে বলল,

“ভাইয়া!”

“হুম!”

“তুমি পিউকে হেল্প করেছিলে?”

“তোমার কী মনে হয়?”

“আমি জানি তুমি করেছিলে। সবাই তোমায় খারাপ বলেও তুমি খারাপ নও।”

নাওয়াস নিরেট কণ্ঠে বলল,

“কথা বলার হলে,নিজের রুমে যাও।”

নাওয়াসের নিরেট স্বরে নিহান চুপ হয়ে যায়। কিয়ৎক্ষণ পর নিহান ফের বলল,

“আমার মানুষকে হেল্প করতে খুব ভালো লাগে। ঠিক তুমি যেভাবে করতে।”

নাওয়াস নিহানের নিঃসৃত বাকদ্বয়ে চমকায়। নিহান ফের বলে,

“আমি বড়ো হয়ে তোমার মতো হতে চাই।”

নাওয়াস তাচ্ছিল্যপূর্ণ কণ্ঠে বলে,

“আমার মতো হলে তোমাকে নিয়েও বাবার লজ্জা হবে।”

“উহুঁহ্! তোমায় নিয়ে বাবা গর্ব করবে। আগে যেমন করতো।”

নাওয়াস উত্তর করে না। চুপচাপ চোখ বন্ধ করে। মিনিট দশেক পরে নিহান ঘুমিয়ে যায়। ঘুমের ঘরে নাওয়াসকে ঝাপটে ধরে। নাওয়াস নিহানের মাথা হাত বুলিয়ে বলল,

“তুমি কখনোই আমার মতো না হও।”

চলবে…

(ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে