একাকী বিকেল পর্ব-০৫ এবং শেষ পর্ব

1
1600

#একাকী_বিকেল
#লেখনীতে-ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব-৫

আমার বিয়ের জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে বলে আত্মীয়রা অনেক ভালো ভালো পাত্রের খোঁজ দিতে লাগলেন বাবাকে। পুলিশ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি চাকুরিজীবীওয়ালা, লন্ডন – আমেরিকান সিটিজেন কোনোটাই বাদ রাখলো না তাঁরা। কিন্তু বাবা সেসব পাত্র পছন্দ করলেন না। বাবার চাই নিজের পছন্দমতো ছেলে। যে থাকবে হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছল বইপড়ুয়া ব্যক্তি। বাবার মতে, এমন ছেলেই নাকি আমার পাশে মানাবে। আমি বাবার কথা শুনে হাসতাম। আত্মীয়দের আনা পাত্রদের রিজেক্ট করে দেওয়ার পর তাঁরা বাবার পাত্র খোঁজাখুঁজি দেখে কটাক্ষ করে বলতো অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে খুঁজলেও মনের মতো জামাই পাবে না। কিন্তু বাবা সবার কথাকে ভুল প্রমাণিত করে তাঁর একমাত্র মেয়ের জন্য পুরো শহর আঁতিপাঁতি করে খুঁজে একটা ডালিমকুমারই নিয়ে এসেছিলেন। সেই ডালিমকুমার একদিন দুপুরবেলা দেখতে এলেন আমায়। সাথে তাঁর মা-বাবা আর বোন। অসময়ে দেখতে আসায় আমি বেশ বিরক্ত হয়ে মায়ের সঙ্গে চিল্লাচিল্লি করলাম। তবে আমার মা তো আমার মা-ই। কোনোকিছুতেই তিনি রাগেন না। আমার কথার পিঠে মা ঠান্ডা মেজাজে বললেন, ‘রেডি হয়ে নে নুহা। ছেলেপক্ষ বসে আছে৷ রাগারাগি করে লাভ কী একদিন তো বিয়ে করতেই হবে!’

মায়ের কথায় মাথা গরম হয়ে গেলো আমার। তবে বাবা যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য যেতে রাজি হলাম।দেখি কোন ডালিমকুমারের খোঁজ পেয়েছে বাবা। চোখমুখ শক্ত করে কোনো সাজগোজ ছাড়াই খুব স্বাভাবিকভাবেই গেলাম। সবাই বসে কথা বলছে। আমি ঘরে না ঢুকে দরজার পর্দা একটু ফাঁক করে দেখতে লাগলাম সবাইকে। ড্রইংরুমের সোফায় একজন অর্ধবয়সী মহিলার পাশে বসে আছে বিশ-বাইশ বছরের একটি মেয়ে। সম্ভবত ডালিমকুমারের মা-বোন। আর ষাটোর্ধ্ব একজন ভদ্রলোক আয়েশ করে চায়ের কাপে চিনি মেশাচ্ছেন, এটা নিশ্চয়ই ডালিমকুমারের বাবা হবে। এবার আমি আড়চোখে তাকালাম দক্ষিণের সোফার দিকে। ফর্সামতো একজন লম্বা লোক বসে আছেন সেখানে, গালে হালকা দাঁড়ি, পরণে নেভি ব্লু রঙের পাঞ্জাবি। দেখতে বেশ সুদর্শন। বাবার সাথে কথা বলার ফাঁকে ফাঁকেই হাসছে সে। প্রথম দেখায়ই বুঝে গেলাম এটাই বাবার পছন্দকরা সেই ডালিমকুমার। মা আমাকে পেছন থেকে একনাগাড়ে ঠেলে যাচ্ছেন। ফিসফিস করে বলছে, ‘আরে এখানে দাঁড়িয়ে উঁকিঝুঁকি মারছিস কেন? লুকোচুরি খেলার ইচ্ছা জাগলো নাকি? শোন এসব ইচ্ছা জাগলে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল, যা ভেতরে যা।’

আমি গাইগুই করে বললাম, ‘আমি তোমার সঙ্গে যাবো।’

মা রেগে গিয়ে বলল, ‘পাগল? এতবড় মেয়ে হয়েছিস তাও মায়ের আঁচল ধরা ছাড়া চলতে পারিস না৷’

‘উফ মা, এত কথা বলছো কেন!’

মা ধমক দিয়ে আমার ডানহাত চেপে ধরে টেনে নিয়ে বলল, ‘চল আমার সাথে।’

মায়ের পিছুপিছু আমি পর্দা ঠেলে ভেতরে ঢুকলাম। সবাই আমার দিকে তাকালো। প্রচন্ড অস্বস্তিতে গাঁট হয়ে দাঁড়ালাম আমি। ডালিমকুমারের বোন হাস্যোজ্জ্বল মুখে আমাকে নিজের পাশে বসালো। বড়রা সবাই আমাকে সহজ হওয়ার জন্য বললেন। সবাই খুব হাসিখুশি। যার ফলে মানিয়ে নিতে আমার তেমন সমস্যা হলো না। ওদের যে বিষয়টা আমার পছন্দ হয়েছিল তা হলো, ডালিমকুমারের পরিবারের সবাই শিক্ষিত। ওরা কেউই আমাকে অন্য সবার মতো
হেঁটে দেখাতে বললেন না, উচ্চতা মাপলেন না, গায়ের রঙ ঘষে দেখলেন না, চুলের সাইজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন না। আমাকে তাঁরা খুব পছন্দই করলেন এবং আমাকে বেশকিছু বই উপহার দিলেন। সর্বোপরি আমি ডালিমকুমারের পরিবারের ওপর মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমাকে আর ডালিমকুমারকে বলা হলো আলাদা করে কথা বলতে। মা আমাকে ওনার সাথে জোর করে ব্যলকনিতে পাঠিয়ে দিলেন। আমি কিছু জিজ্ঞেস করলাম না। ডালিমকুমারই প্রথমে কথা শুরু করলো এবং আমার পছন্দ-অপছন্দ জানতে চাইলো। আমি বই পড়তে ভালোবাসি কি-না, ঘুরতে যেতে পছন্দ করি কি-না এসবকিছু! আমিও নিদ্বির্ধায় উত্তর দিলাম। কথা বলার এক পর্যায়ে জানতে পারলাম ডালিমকুমারের নাম নুহাশ। এই নাম শুনে আমি এতোটাই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম যে বেশ কিছুক্ষণ একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। কী বলবো তা ভেবেই পাচ্ছিলাম না। আমার নামের সাথে এত মিল? কোনোক্রমে যদি আমাদের বিয়ে হয়ে যায় তাহলে লোকে নাম শুনে ভাববে আমরা বুঝি একই মায়ের পেটের ভাইবোন। ব্যাপারটা কেমন বিদঘুটে লাগলো আমার। ডালিমকুমার বোধহয় সেটা বুঝতে পারলেন। তাই হেসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মিস নুহা, আপনি কী আমাদের নামের ব্যাপারটা নিয়ে ইরিটেটিং ফিল করছেন?’

আমি হতচকিত হয়ে বললাম, ‘না মানে নুহা, নুহাশ নাম দুটো কেমন মিল না? কেমন ভাইবোন টাইপ লাগে।’

ডালিমকুমার মুচকি হেসে বললেন , ‘আংকেল মানে আপনার বাবা’র আমাকে পছন্দ করার পেছনে এটা কিন্তু প্লাস পয়েন্ট।’

‘মানে? বাবার সাথে আপনার পরিচয় কীভাবে?’

‘পাবলিক লাইব্রেরিতে। আমি আর আব্বু নিয়মিত সেখানে বই পড়তে যাই৷ আংকেলও তো বইপড়ুয়া মানুষ, ওখানেই দেখা আব্বুর সাথে। ওনি প্রায়ই আমাদের বাসায় যেতেন, ফলে ওনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।’

‘বিয়ের প্রসঙ্গ কীভাবে উঠলো তাহলে?’

‘বাসা থেকে বাবা-মা বিয়ে দিতে চাচ্ছে শুনে আংকেল আমাকে পছন্দ করলেন এবং আব্বুকে জানালেন যে, আমার সাথে তিনি তাঁর মেয়ের বিয়ে দিতে চান। তাছাড়া নুহাশ নামটাও নাকি আংকেলের মেয়ের সাথে যায়। আমার প্রতি ওনার একটা আলাদা অনুভূতি আছে বুঝতে পারি, যেটা বাবা-ছেলের সম্পর্কে থাকে। আপনার বাবাকে আমার খুব পছন্দ। ওরকম সহজ-সরল মানুষ আমি আদতে দেখিনি। কাকতালীয় ব্যাপার তাই না? নুহা আর নুহাশ নামদুটো আসলেই খুব মিল! আমাদের খুব মানাবে।’

আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম, ‘তাতেই আপনি রাজি হয়ে গেলেন?’

ডালিমকুমার স্পষ্ট গলায় বলল, ‘হুম। তবে আপনি চাইলে আপনার দেওয়া নামেও ডাকতে পারেন মিস নুহা!’

আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘আমার দেওয়া নাম মানে?’

ওনি কপালে ভাঁজ ফেলে খানিকটা ঝুঁকে বলল, ‘ডালিমকুমার!’

আমি থতমত খেলাম। এই লোক জানলো কীভাবে এটা? নিশ্চয়ই বাবা বলে দিয়েছেন। ওফ, বাবাকে নিয়ে আর পারা যায় না। ওদিকে নুহাশ আমার দিকে তাকিয়ে ছোটছোট চোখ করে হাসছে। গা জ্বলে গেল আমার। কঠোর গলায় জিজ্ঞেস করলাম ‘আপনি যেন কীসের চাকরি করেন?’

নুহাশ আগের মতোই হেসে হেসে বলল, ‘কলেজে বাংলা পড়াই।’

আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি কী আমার সম্পর্কে সবকিছু জানেন? আমার আগে একটা প্রেম ছিলো এবং সে আমায় ধোঁকা দিয়েছিলো। সে কাকে বিয়ে করেছে জানেন? আমারই কাজিনকে। আমার মনে হচ্ছে এগুলো সব আপনার জেনে রাখা উচিৎ।’

নুহাশ মনোযোগী শ্রোতার মতো বলল, ‘ওয়েল। তাহলে আমারটাও বলে ফেলি?’

আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘কী বলে ফেলবেন?’

নুহাশ আলতো হেসে বলল, ‘কলেজ জীবনে ওঠার পর আমারও একটা প্রেম ছিলো। কিন্তু সেটা বেশিদিন টেকেনি। কারণ আমি বই পড়তে খুব পছন্দ করতাম, যেটা ওর মোটেও পছন্দ ছিল না৷ তাই দুজনের সম্মতিতেই ব্রেকআপ করে ফেলি।’

বিস্মিত কন্ঠে আমি বললাম, ‘এতো সামান্য কারণে কেউ ব্রেকআপ করে? আপনি প্যাঁচাপ করে নিতেন?’

‘তার দরকার পড়েনি। ও অন্যকাউকে খুঁজে নিয়েছিলো এবং বিয়ে করে তাঁরা সুখীও আছে।’

আমি জিজ্ঞাসু চোখে তাকালাম, ‘তারপর?’

নুহাশ নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলল, ‘এরপর আর সম্পর্কে জড়াইনি। ভাবলাম বিয়ে করে একেবারে বউয়ের সাথেই প্রেম করবো। আমার পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে আছে বইপড়ুয়া মেয়ে। যে বইয়ের সাথে সাথে স্বামীকেও ভালোবাসবে।’

আমি আগ্রহ নিয়ে নুহাশের কথাগুলো শুনছিলাম। কেন জানিনা ওর চিন্তাভাবনা, ধ্যানধারণা আমার পছন্দ হয়ে গিয়েছিলো। যেমনটা আমি চাইতাম, ঠিক সেরকমই ছিলো সে। আলাপচারিতার শেষপর্যায়ে নুহাশ আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ডালিমকুমারের কুমারিনী হতে রাজি আপনি মিস নুহা?’

আমি লজ্জাবতীর রুপ ধারণ করে উত্তর দিয়েছিলাম, ‘ডালিমকুমারের কুমারিনী হতে রাজি আমি, মিস্টার নুহাশ।’

আমার উত্তর শুনে নুহাশ মুচকি হেসে তাঁর পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটা সাদা রঙের ছোট বক্স বের করলো। সেটা খুলে একটা আংটি বের করে আমার আঙুলে পরিয়ে দিয়ে কেঁপে যাওয়া গলায় বলল, ‘আপনি আমার ব্যক্তিগত ডালিমকুমারিনী। তাই চিহ্ন এঁকে দিলাম। ভালোবাসার নতুন আরেক অধ্যায় শুরু করতে চাই আপনার সাথে, পবিত্র ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখতে চাই সারাজীবন। আপনার সুখ-দুঃখের ভাগীদার হতে চাই।’

আমি মুগ্ধ হয়ে শুনে গেলাম নুহাশের কথা। অতঃপর বিয়েতে পিছিয়ে যাওয়ার কথা ভাবলাম না। জীবনকে নতুন রুপে গড়ে তোলার জন্য বিবাহে চূড়ান্ত সম্মতি দিলাম আমি আর নুহাশ। দুই পরিবারই যখন রাজি তখন তাঁরা আর দেরি করতে চাইলো না। বিয়ের দিনতারিখ ঠিক করে ফেললো সেদিনই। বিয়েতে কোনো দেনা-পাওনা ছিলো না। গুণে গুণে ঠিক পনেরোদিন পর জাঁকজমকভাবে আমার বিয়ে হয়ে গেলো নুহাশের সাথে। আমি লিগ্যালি ডালিমকুমারের ডালিমকুমারীনি হয়ে গেলাম। সংসার জীবন শুরু হলো তখন। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে ভালোবাসাটাও হয়ে যায়। আমি নিজের চাকরি, সংসার সবই সামলাতে পারছিলাম শুধু শ্বশুরবাড়ির সাপোর্টের কারণে। নুহাশদের মতো ভালো পরিবার আমি কোথাও দেখিনি। সবাই এতো বন্ধুত্বপূর্ণ যে, সেই পরিবারে আমার কখনো কষ্ট হয়নি। আমি নুহাশকে ডালিমকুমার ডাকতাম বলে ও আমার নাম দিলো ব্যাঙ। এভাবেই খুনসুটিতে কেটে যাচ্ছিলো দিনগুলো। একসময় আমার কোল আলো করে এলো আমার ছেলে। নুহাশ প্রায়শই ভেঙিয়ে বলতো, ‘নুহা! এ আমার ব্যাঙাচি।’ আমি রেগে জ্বলন্ত চোখে তাকালেই মিনমিন করে বলতো, ‘না না, তুমি আমার ডালিমরাণী, এ আমার ডালিমপুত্র।’

মানুষের জীবনে উত্থান-পতনের ঢেউ জনমভরে বইতেই থাকে। কখনো সুখের চাদরে জীবন ঘেরা তো কখনো দুঃখ ভরপুর জীবন। তবে এগুলো ক্ষণস্থায়ী। কেননা, দুঃখের পরেই সুখ আসে। জীবনের চলার পথকে মৃসণ করতে প্রচেষ্টার পাশাপাশি একজন ভালো মনের মানুষও প্রয়োজন। আমাদের জীবনের চলার পথ সবসময় বন্ধুর। আজ যখন নিরবে-নিভৃতে বসে বিগত দিনগুলোর কথা ভাবি এবং গভীরভাবে চিন্তা করি, তখন বুঝতে পারি সেসব ছিলো আমার ডায়েরির একটি দুঃসময় ঘেরা পৃষ্ঠা। জীবনের নেওয়া অন্যতম এক কঠিন পরীক্ষা৷ তবে শেষ অবধি সবার সহযোগিতায় সেই কঠিন পরীক্ষাতে আমি পাশ করতে পেরেছি এবং আজকের জীবনটা লাভ করেছি। মিথিলা আপুর আর তৌহিদ জাপানেই থাকে। তাঁদের একটা তিন বছরের মেয়ে আছে। তবে তৌহিদের অসুখটা আজও পুরোপুরি সারেনি। আর কোনোদিন সারবে কি-না তা-ও জানা নেই কারোর!

তবে এপর্যায়ে এসে বলতে পারি, মানুষের জীবনে ভালোবাসা একবার আসে না, দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারও আসতে পারে। বরং কোনো ভালোবাসাকেই আমরা ভুলতে পারি না। তৌহিদের প্রেমে পড়াটা ছিলো মরীচিকা, যার পেছনে ছুটতে গিয়ে একসময় আমি দহনক্রিয়ায় পুড়তে পুড়তে কয়লা হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু দিনশেষে আমি ভালো আছি। আমার মতো এমন কতো মেয়ে আছে, যারা কমবয়সের একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের জীবনটাকে ভুল পথে চালিত করে মরুভূমিতে হারিয়ে যায়। দিনশেষে তাঁরা আফসোস করে। তবে আমার জীবনে একাকী বিকেল এখন খুব কমই আসে। সব বিকেলেই নিজের ভালো লাগা, মন্দ লাগা প্রকাশ করার জন্য নিজস্ব একটি ডায়েরি থাকে। নুহাশ নামক সেই ডায়েরিটি আমার সব দুঃখযন্ত্রণা নিজের করে নেয়। আলাদিনের দৈত্যের মতো আমার সব চাওয়া-পাওয়া পূরণ করায় মগ্ন থাকে সে। একইভাবে আমিও তাঁর আবদার পূরণে সচেষ্ট থাকি। দুজনেই একেঅপরের একাকী বিকেলের সঙ্গী যেন। আমার জীবনের আকাশে নুহাশের মতো কোনো চাঁদ ছিল বলেই চারপাশের জগৎটা হয়ে উঠেছে নক্ষত্রের ন্যায় উজ্জ্বল। নুহাশ নামক ডালিমকুমারটাকে আমার সকল রক্তিম বিকেলের সঙ্গী হিসেবে আজীবন পাশে চাই, খুব করে চাই!

সমাপ্ত…

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে