#গল্পপোকা_ছোটগল্প_প্রতিযোগিতা_আগস্ট_২০২০
একটি বর্ষণমুখর সন্ধ্যা
সাইমা ইসলাম তামান্না
“তুমি কি শুনতে পাচ্ছো পাখির কলরব? বাতাসের স্নিগ্ধতার গন্ধ? হেঁটেছো কাদাময় মাটিতে কখনো? পেয়েছো কি মাটির সুভাস? পাও নি, পাবে না। তুমিতো বসবাস করো কংক্রিটময় দালান কোঠায়।”
এই কথাগুলো মনে হয় তাকেই তাচ্ছিল্য করে বলছে তার নিজ সত্তা। এরকমটা মনে হলো নবনীতার।
আচ্ছা, সে-কি কখনো গ্রামে যেতে পারবে না? কাদামাটিতে হাঁটা হবে না? এই কংক্রিটের মধ্যে থাকতে থাকতে তার নিজেকে কেমন জানি রোবট রোবট লাগে। মনে হয় তার অনুভূতিগুলো সব জমা পড়ে আছে এই ঘরটিতে। ঘরটিতে কি নেই? সবই আছে, সময় কাটানোর জন্য। কিন্তু মনের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য এই সকল ইলেকট্রনিক ডিভাইস সবই মূল্যহীন তার কাছে।
“হোয়ার ইজ মাই চাইল্ড? হোয়াট আর ইউ ডুইং স্টেনিং বাইদা উইন্ডো?” (আমার বাচ্চাটা কই? কি করছো তুমি জানালার ধারে বসে?)
একটা ভাসা ভাসা কন্ঠ শুনে নবনীতা তার ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে এসেছে। ভাসা ভাসা কন্ঠের উৎসের দিকে তাকিয়ে রইলো। দেখতে পেলো জুরিন তার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। এই মহিলাকে তার একদম ভালো লাগে না। সব সময়ই অসহ্য আর বিরক্ত লাগে।
তারপর জিজ্ঞেস করলো,
“হয়্যার আর ইউ টেল মি সামথিং?” (তুমি কি আমায় কিছু বলছিলে?)
জুরিন তার দিকে হতাশ হয়ে তাকিয়ে বললো “নাথিং, কাম ইট। (কিছু না, খেতে আসো।)
যাওয়ার সময় জুরিন মনে মনে ভাবলো, এই মেয়েটা তাকে এই পাঁচ বছরেরও একবারের জন্য আপন করতে পারে নি। এটা কি তার নিজের ব্যর্থতা? না-কি মেয়েটাই চায় না তাকে আপন হিসেবে গ্রহণ করতে?
.
.
.
বাসার সামনের পার্কটা আসছে নবনীতা। মন খারাপ থাকলে এই একটা জায়গায় আসে সে। আজ তার মন খারাপ হয়েছে জুরিনের জন্য। জুরিনের সাথে যেতে হবে পার্টিতে, এতো বার না করা শর্তেও জোর করছে। তাই নবনীতা কিছু না বলে চলে এসেছে এখানে।
.
সামনে কতো কপোত-কপোতীরা ঘোরাঘুরি করছে। অনেকের সাথে রয়েছে ছোট ছোট বাচ্চা। এক বয়স্ক দম্পতিদের দেখে চোখ আটকে যায় নবনীতার। তারা দুইজন দুইজনের দিকে কতোটা আবেগ নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে। যে কেউ দেখলেই বুঝবে। তাদের চামড়ার বয়স হলেও মনের বয়স হয় নি একদম। হঠাৎ নবনীতার বুকটা ধুকধুক করে উঠলো। কিন্তু কিসের জন্য সে বুঝলো না।
.
“আরে,নবুতা। কেমন আছো? আজকাল তো তোমার দেখা পাই না।”
এই ছেলেটার উচ্চারণ আর ঠিক হবে না। কতবার বলছি নবুতা না নবনীতা। তারপরও নবনী বললেও হতো। এই ছেলে কেনো? তার সাথে যারা পড়ে প্রায় সবাই কখনো নবিতাও বলে ফেলে।
স্মিত হেসে নবনীতা বললো,
“এই তো ভালোই আছি এলেক। তুমি কেমন আছো?”
এলেক মুখে হাসি রেখে বললো,
“ভালো আছি। আচ্ছা, তোমার সাথে পরে কথা হবে। আমার এখন তাড়া আছে।”
এলেক চলে গেল তার গন্তব্যে।
নবনীতা মাঝে মাঝে ভাবে, এলেকের জীবনটা কতটা মর্মান্তিক। তারপরও ছেলেটাকে দেখে কেউ এতটুকু আঁচ করতে পারবে না। হাসিখুশি দেখানোর চেষ্টা করে সকলকে। যখন এলেক এর বয়স তিন বছর তখনই এলেক এর মা তাকে ছেড়ে চলে গেছে আরেক পুরুষের কাছে। তার সাথে না-কি তার মায়ের অনেক আগে থেকেই সম্পর্ক ছিলো। তাই তার বাবাকে ছেড়ে চলে গেলো। আর এলেক বাবা বছর ছয়েক আগে গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গেছে।
নবনীতার চোখ পড়লো লেকের পানিতে গিরিয়া হাঁস দেখতে পেলো। হাঁসটির বৈজ্ঞানিক নাম: Anas querquedula। পৃথিবীর সকল কিছুরই বৈজ্ঞানিক নাম আছে বর্তমানে। এই তো মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens (হোমো স্যাপিয়েন্স)।
আর ঘন্টাখানিক বসে থেকে নবনীতা তার বাসার দিকে গেল।
.
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
.
দেখতে পেলো বাসা লক করা। ব্যাগ থেকে চাবি বের করে লকটা খুললো। নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরের দিকে গেল। ফ্রিজ থেকে বার্গার বের করে ওভেনে গরম করে নিলো। অর্ধেক খেয়ে বাকিটা ফেলে দিলো। কিছুই ভালো লাগছে না তার।
তার মনে আছে আমেরিকায় এসেছিলো পাঁচ বছর বয়সে। আর এখন বয়স পনোরো। তার মা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ফলে তার বাবা তাকে নিয়ে ভীনদেশে পাড়ি জমায়। তার বাবা তার মা’কে ভীষণ ভালোবাসতো সে দেখেছে। কিন্তু এদেশে এসে কীভাবে ভুলে গেলে তার মা’কে? সেই সাথে তাকেও। তার খোঁজ নেওয়ার সময় হয় না এখন।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে থাকতো নবনীতারা। তার বাবা শহরে থাকলেও তার মায়ের টান ছিলো গ্রামের সবুজ শ্যামলা পরিবেশের দিকে। তারও ঠিক তার মায়ের মতো এই দিকে ঝোঁক আছে। তার বাবা তাকে এই কথা প্রয়াই বলে। আর সে-ও মানে। তার গ্রাম ভালোলাগে। যেখানে থাকবে কাদাময় রাস্তা আর সে হাঁটবে আর দৌড়াবে। সকালে ঘুম ভাঙ্গবে শালিক,ঘুঘু,কোকিল এর কলরবে। খোলা মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শ্বাস নিবে স্নিগ্ধ শীতল বাতাসের। পুকুরের পানিতে পা নামিয়ে বসে থাকবে।
.
.
“মামণি, মামণি।”
কারো ডাকে নবনীতার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দরজার দিকে তাকালো,দরজার অপর পাশ থেকে পুরুষালীর কন্ঠ আসছে। নবনীতা সব সময় দরজা আটকিয়ে থাকতে পছন্দ করে না। দরজার খুলে দিয়ে দেখলো তার বাবা দাঁড়িয়ে আছে।
“কখন আসলে বাবা?”
নবনীতা হাসার চেষ্টা করছে। কিন্তু তবুও কেনো ঠোঁটে কোণে হাসি ফুটছে না সে নিজেও বুঝতে পারছে না।
“অনেকক্ষণ হলো আসছি। তা তুমি কি বাংলাদেশে সত্যিই যেতে চাচ্ছো?”
“হ্যাঁ, কয়েকদিনের জন্য ঘুরে আসতে চাচ্ছি। আর আমার স্কুল তো বন্ধ।” অকপটে বলে দিলো নবনীতা।
“আচ্ছা, তৈরি হয়ে নাও বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য । নেক্সট উইক ফ্লাইট তোমার।”
বাবার কথাটা শুনে খুব খুশি হলো নবনীতা। লাস্ট তিন বছর ধরে কম বলে নি সে। আজ তাহলে তার যাওয়া হবে বাংলাদেশে।
“আর শোনো, এটা কিন্তু তোমার মমের জন্য। সে না বললে আমি রাজি হতাম না। তাকে থ্যাংকস দিও। আর তাঁর সাথে একটু ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা করলো।”
বলে চলে গেলেন নবনীতার বাবা।
নবনীতা কিছু বললো না।
.
.
.
প্লেনের জানালার দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে নবনীতা। সাদা মেঘের আনাগোনা দেখছে চারদিকে। মনে হচ্ছে একটু হাত দিলে ছুঁতে পারবে মেঘগুলোকে।
বাংলাদেশে মামার কাছে থাকবে সে। তার বাবা মামার সাথে কথা বলে নিয়েছে আগেই। সে তার মামাকে বলছে সরাসরি তাকে গ্রামে নিয়ে যেতে হবে। শহরে থাকবে না একদিনও। নবনীতার মামা ঢাকা শহরে একটি ফ্ল্যাট কিনে থাকে।
আসার সময় তার দ্বিতীয় মা অনেক কান্নাকাটি করছে। আর সাবধানে থাকতে বলছে। সে বুঝছে তাকে ভালোবাসে। তারপরও ও-ই মহিলাকে সে একদমই পছন্দ করে না।
.
.
ফ্লাইট অবতরণ করার পর সব কাজ মিটিয়ে স্যুটকেস হাতে নিয়ে বাহিরে এলো নবনীতা। বাহিরে এসে সে এদিক ওদিক তাকিয়ে মামাকে খুঁজতে লাগলো। মামার সাথে ভিডিও কলে কথা হয়েছে অনেকবার। হঠাৎ দেখতে পেলো রোগা পাতলা একটা লোক এদিক ওদিক তাকাচ্ছে আর তার সাথে রয়েছে আর তিনেক ছেলেমেয়ে।
তারপর মামার দিকে যাওয়ার পরই মামা ডাক দিলো,
“নবনীতা? আরে আমার ভাগনি নবনীতা। মা এদিকে আয়।”
নবনীতা কুশল বিনিময় করে বললো,
“জি মামা, আপনি ভালো আছেন তো।”
“এমা, তোর বাংলা বলার শ্রী এরকম কেন? সমস্যা নাই। যতদিন থাকবি ততদিন আমি তোকে পুরাপুরি বাংলা ভাষা রপ্ত করাবো। ও হ্যাঁ, এখন বেশ আছি। তোকে দেখার পর।”
পাশে দাঁড়িয়ে আছে দুইটা মেয়ে আর একটা ছেলে।
ছেলেটা তার মামাকে বললো,
“আব্বু এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলবে না-কি বাসায় যাবে আপুকে নিয়ে?”
বাসার কথাটা শুনে নবনীতা তার মামার দিকে তাকালো জিজ্ঞাসা দৃষ্টিতে। মামা বুঝতে পেরে বললো,
“আচ্ছা তুই বাংলাদেশে এসেছিস কেন?”
নবনীতা অকপটে বললো,
“গ্রাম ঘুরতে, বৃষ্টিতে ভিজতে আরও অনেক কিছু করার জন্য। যা শুধু গ্রামেই সম্ভব।”
মামা বললো,
“তাহলে আমরা এখন বাসায় যাবো। দুপুরে খেয়ে রওয়ানা দিবো। কারণ আমাদের গ্রামে বেশিরভাগ সময়ে সন্ধ্যায় বৃষ্টি হয়। ভাগ্য ভালো হলে আজই হতে পারে।”
নবনীতা বললো,
“সন্ধ্যায় বৃষ্টি হয়! বৃষ্টি কি মামা তোমায় বলছে যে সন্ধ্যায় আসবে?”
ছেলেটি বললো,
“আপু, আব্বু সত্যি বলছে। জানো একবার শ্রাবণ মাসে গ্রামে গেছি এক সপ্তাহের জন্য। ৭ দিনের মধ্যে ৪ দিন বৃষ্টি হয়েছে। তারমধ্যে ৩ দিনই সন্ধ্যায় আর একদিন সকালে হয়েছে। আর তুমি তো শ্রাবণ মাসেই এলে।”
এরমধ্যে মামা বললো,
“তোর সাথে তো পরিচয়ই করাই নি তোর ভাইবোনের সাথে। তুই তো ওদের চিনিস না।”
ছোট মেয়েটা হাসি দিয়ে বললো,
“আমি কিন্তু আপুকে চিনি। আপুর ছবি দেখছি অনেক।”
নবনীতা বললো,
“তাই না-কি!
মেয়েটা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো।
মামা ছেলেটাকে দেখিয়ে বলে, ওর নাম রাজু। আর বড় মেয়েটার নাম এশা আর এই পিচ্চিটার নাম রিমি।
” বাহ! সুন্দর সুন্দর নাম তো।”
নবনীতা আগে কখনো ওদের দেখি নি।
তখনই গাড়ি থেকে এক মাহিলা ডাক দিলো,
“তোমরা কি আজ বাড়ি যাবে না? না-কি রাস্তায় সব কথা বলবা।”
মামা সবাইকে তাড়া দিলো আর নবনীতাকে বললো,
“দেখছিস, তোর মামি বেজায় রেগে গেছে। তাড়াতাড়ি চল মা।”
নবনীতা বুঝতে পারলো, তার মামা আমিকে বড্ড ভয় পায়।
গাড়িতে উঠে আর বোঝার অপেক্ষায় রইলো না যে, মামা প্রচন্ড কথা বলতে ভালোবাসে।
.
.
.
আজকের খাবারটা ভালো হয়েছে। নবনীতার মনে হলো খাবার গুলো কখনো খায় নি। এমন স্বাদ যা জিহ্বা লেগে আছে। খেলেও জুরিন কখনো এরকম রান্না করতে পারে নি। আজ রান্না হয়েছে গরুর মাংস, ইলিশ মাস, মুরগির গোশত আর পাঁচমিশালি তরকারি।
পৌঁছানোর ঘন্টাখানিকের পরই নবনীতার বাবা কল দিয়ে নবনীতার কথা জানছে। আর নবনীতাকে বলছে, তার মা কাঁদছে তার জন্য। তাকে অনেক মিস করছে এই জন্য। নবনীতা আর এটা নিয়ে ভাবলো না।
.
.
অনেক রেস্ট নেওয়া হয়েছে। সবাই তৈরি হয়ে নাও। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য।
আর নবনীতাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
“আশা করি আজ তোর ‘একটি বর্ষণমুখর সন্ধ্যা’ কাটানোর সুযোগ হবে।”
গাড়িতে ওঠার পর আরেক বিপত্তি রিমি পিছনে বসবে। কিন্তু পিছনে জায়গায় নাই। সে তার আব্বুর কোলো বসবে না। ওদিকে মামি সামান্য অসুস্থ কোলে নিতে পারবে না। অনেক বুঝানোর পর সে শান্ত হয়েছে।
গাড়িটা কিছুক্ষণ চলার পরই অবিরাম বৃষ্টি পড়ছে। থামছে না, একইভাবে অশান্ত বর্ষণ। মেঘের কালো ঝাঁপির মধ্যে হারিয়ে গেছে বিকেলের সূর্য। মেঘের কালো ছায়ায়, বৃষ্টিতে, ঝড়ো হাওয়ায়, ঘনঘন মেঘের গুর গুর ডাকে মায়াবী পরিবেশ। গাছের ডালের পাতায় ঝড়োহাওয়া আর বৃষ্টির ফোঁটার চলছিলো অবিরাম মাতামাতি।
এরমধ্যে মামা বললো, তার একটি রবীন্দ্রসংগীত গাইতে ইচ্ছে করছে এই বৃষ্টি দেখে। নবনীতা মাঝে মাঝে রবীন্দ্রনাথের গান শুনতো। তার কাছে রবীন্দ্রনাথের গানগুলো বেশ লাগে। সে খুশি হলো শুনে যে মামা গাইবে।
মামা সুর ধরলো,
“মন মোর মেঘের সঙ্গী
উড়ে চলে দিক-দিগন্তের পানে
নিঃসীম শূন্যে
শ্রাবণ-বরষণ সঙ্গীতে।”
মামার গান শুনতে শুনতে তারা গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে গেলো।
গাড়ি থেকে নামার আগেই,
রাজু, এশা আর রিমি বলে দিলো তারা আজ বৃষ্টিতে ভিজবে।
মামা নবনীতাকে বললো, “ওদের সাথে ভিজো।”
ওরা সবাই বাড়ির সামনের উঠানে ভিজছে। নবনীতার বেশ ভালো লাগছে বৃষ্টিতে ভিজতে। সে তার জীবনে দেখেছে বৃষ্টি মানেই টিপটিপে ঠান্ডা মন খারাপ করা একটা ব্যাপার। কিন্তু এই বৃষ্টি জীবন্ত লাগছে তাঁর কাছে। সারা শরীরে এক ভালো লাগা কাজ করছে। সাথে কাদায় লাফালাফি। উফ, কী আনন্দ!
অনেকক্ষণ ভেজার পর তাদের বাড়িতে ঢুকতে বলা হয়েছে। সবাই কাপড় পাল্টে সামনের বারান্দায় এসেছে। আর তখনই উপরের টিনের বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে আর শব্দ হচ্ছে। আর জানালার ধারে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ।
নবনীতা মনে মনে বললো, তার ‘একটি বর্ষণমুখর সন্ধ্যা’ কাটানো হলো।
সমাপ্ত