#এই_ভালো_এই_খারাপ(১০)
#Jannat_prema
” স্যার! বাসায় যাবেন না? অনেক রাত তো হলো। অপারেশনটাও তো অনেক আগে শেষ। ”
আবদ্ধ চেয়ার থেকে মাথা তুলে তাকালো শাওনের দিকে। ছেলেটা এখনো যায়নি? আবদ্ধ হাত ঘড়ির দিকে তাকালো। রাত এগোরটা বেজে গেছে। ভোর আর আদিল নিশ্চয় এখন তাদের বাসায়।
” স্যার! ”
আবদ্ধ চোখ মুখ ডলে বললো,
” তুমি এখোনো গেলেনা কেনো? ”
শাওন হাসলো। বললো,
” আপনিবএখনো বাসায় যাননি। তাহলে আমি যাবো কিভাবে ”
শাওনের কথায় এক চিলতে হাসি ফুটলো আবদ্ধর মুখে। চেয়ার থেকে উঠে দাড়ালো। ফোন, ওয়ালেট পকেটে রেখে বললো,
” আমি যাচ্ছি। তুমিও চলে যেও৷ বাসায় আবার তোমার ম্যাডামের রাগ ভাঙ্গাতে হবে৷ ”
আবদ্ধ কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো। শাওন কিছু না বুঝে মাথা নাড়ালো।
ভোর মাথা থেকে সব কিছু ঝেড়ে মুছে এক সাইডে রেখে আবদ্ধর জন্য চিন্তা করতে লাগলো। কত বার যে ঘড়ির দিকে তাকিয়েছে হিসেব ছাড়া। সকাল বেলা তার বলা কথায় মনে হয় রেগে আছে। আবদ্ধর রাগ আবার খুব কড়া৷ আবদ্ধর চিন্তায় সে নিচে কারো সাথে খেলোও না ঠিক মতো৷ এ নিয়ে সবাই হাসলেও তার অত কিছুতে কি আর খেয়াল থাকে। নায়েলি বেগম ভোর আর আবদ্ধর জন্য রুমে খাবার রেখে গিয়েছেন। চিন্তায় ভোরের হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে৷ আদিলের কাছ থেকে আবদ্ধর নম্বর নিয়ে কল করতে গিয়েও করলো না। ভোর বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো৷ সেখান থেকে আবদ্ধদের মেইন গেট দেখা যায়। ভোর কিছুক্ষণ বারান্দার এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত পায়চারী করার মাঝেই গাড়ির হর্নের আওয়াজে থেমে গেলো৷ ওই তো আবদ্ধর গাড়িটা গেটের ভিতর প্রবেশ করেছে৷ ভোর বারান্দার রেলিংয়ে হাত রেখে দেখতে লাগলো আবদ্ধ বের হচ্ছে কিনা। ভোর তীক্ষ্ণ চোখে আবদ্ধর দিকে নজর দিলো। উসকোখুসকো চুল, সাদা ইন করা শার্টটা অনেকটা কুঁচকে আছে। আবদ্ধ হুট করে তার বারান্দার দিকে তাকাতেই ভোর চট করে নিচে বসে পড়লো। আবদ্ধ হাসলো। ভোরকে সে দেখেছে। আবদ্ধ জানতো ভোর বারান্দায় দাড়িয়ে থাকবে তার জন্য। মেয়েটাকে তো সে ভালো করে চিনে। ভোর জ্বীভ কাটলো৷ ইশ! আবদ্ধ নিশ্চয় তাকে দেখে ফেলেছে। ভোর চটপট হাতে শাড়ি ধরে দৌড়ে রুমে এসে বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর ভাণ করে আছে৷ আবদ্ধ শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে রুমে ঢুকে তাকালো ভোরের দিকে৷ ভোর চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। আবদ্ধ কিছু না বলে পকেট থেকে ফোন ওয়ালেট বের করে ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখলো। তাওয়াল নিয়ে চলে গেলো ওয়াশরুমে। ভোর তৎক্ষনাৎ উঠে বসলো। আবদ্ধ কিছু বললো না তাকে। ভোর মনে মনে সব কিছু সাজিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করলো৷ আজকে আবদ্ধকে সব কিছু বলতে হবে। আর কোনো লুকোচুরি নয়। ফ্রেশ হয়ে বের হতেই আচমকা ভোর সামনে আসায় কপাল কুঁচকালো আবদ্ধ। ভোর আবদ্ধকে কিছু বলতে হা করতেই আবদ্ধ তাকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো বারান্দায়। ভোর থতমত খেয়ে খানিক্ষন দাড়িয়ে থেকে ধুপধাপ পা ফেলে এসে দাড়ালো আবদ্ধর পাশে৷ আবদ্ধ তখন সিগারেটে আগুন জ্বালাচ্ছিলো৷ ভোর চরম অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আবদ্ধর হাতে থাকা সিগারেটের দিকে। ভোরের এমন চাহনি দেখে আবদ্ধ নির্লিপ্ত ভাবে সিগারেটের ধোয়া উড়াতে লাগলো। ভোর তখনো হতবাক। যে কথাগুলো সে বলতে এসেছিলো সেগুলো যেনো তার গলায় আটকে আছে। যে ছেলে কিনা সিগারেট দেখলে বিরক্তি প্রকাশ করতো৷ তীব্র নিন্দা জানাতো যেটাতে সেই জিনিসটা তার হাতে দেখা যেনো চরম অবাকের বিষয়৷ আবদ্ধ কেনো স্মোক করছে বিষয়ট জানার জন্য ভোর আবদ্ধর পানে তাকালো। সে আকাশ পানে তাকিয়ে সিগারেটের ধোয়া ছাড়ছে৷
” তুই সিগারেট খাচ্ছিস কবে থেকে? তুই তো এমন ছিলি না৷ ”
আবদ্ধ নিরব চাহনিতে ভোরের দিকে তাকালো। আবদ্ধর ওমন দৃষ্টিতে কিছু একটা ছিলো৷ যেনো কত বছরের কষ্ট তার বুকে জমা। ভোর দমে গেলো। তার বুকটা ধক–ধক করছে৷ সিগারেটের ধোয়ার কারণে কয়েক বার খুক খুক করে কেশেছও৷ ভোরকে কাঁশতে দেখে হাত থেকে নিরবে সিগারেটটা নিচে ফেলে দিলো আবদ্ধ। আবদ্ধ অন্যদিকে তাকিয়ে বললো,
” সিগারেটের ধোয়া তোর সহ্য হয় না। তাহলে এখানে কেনো এসেছিস? ”
” তাহলে তুই খাস কেনো সিগারেট? ”
” সেটা তোর না জানলেও চলবে৷ ”
” কি বলতে চাইছিস তুই? জানতে চাইবো না মানে? তোর সাথে আমার পুরো জীবন জড়িয়ে আছে, আবদ্ধ! ”
হুট করে আবদ্ধ রেগে গেলো। ভোরকে বারান্দার রেলিঙের সাথে চেপে ধরে চোয়াল শক্ত করে বলে উঠলো,
” আচ্ছা তাই! আমার সাথে তোর পুরোটা জীবন জড়িয়ে আছে। তাহলে আমার? আমি পুরোটাই যে তোর মধ্যে আটকে আছি সেটা? তুই যখন যা বলেছিস আমি চুপচাপ শুনেছি৷ মানছি তোর অভিমান করাটা জায়েজ। কিন্তু আমার দিকটা? একবারো তুই জানতে চেয়েছিস আমি কেনো এতো বছর তোর থেকে দূরে ছিলাম? যেই আমি একদিন তোকে না দেখে থাকতে পারতাম না। সেই আমি তোর সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ না রেখে ছয়টা বছর বিদেশে কাটিয়েছি। কেনো? জানতে চেয়েছিস? ”
ভোর অশ্রুসিক্ত চোখে তাকিয়ে আছে আবদ্ধর দিকে। আবদ্ধ হাত চেপে ধরায় ব্যাথায় মুখ লাল হয়ে আছে। আবদ্ধর শেষ কথার জবাবে ভোর তোতলানো সুরে বললো,
” ততোর ক্যারিয়ারের জজন্য। ”
ভোরের কথায় প্রচন্ড রেগে গেলো আবদ্ধ। ভোরকে নিজের একদম কাছে এনে রক্তলাল চোখে তাকিয়ে বললো,
” তুই ভালো করেই জানিস আমার ক্যারিয়ারের থেকেও তুই কতটা ইম্পোর্টেন্ট আমার লাইফে৷ সামান্য একটা ক্যারিয়ারের জন্য এই আফিয়ান আবদ্ধ তার ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে দেওয়ার মানুষ নয়। এই ছয়টা বছর তোর থেকে দূরে থাকার জন্য দায়ী কে জানিস? সেটা হলো তুই। তোর জন্য আমি ছয়টা বছর তোর থেকে দূরে ছিলাম। শুধুমাত্র তোকে পাওয়ার জন্য। ”
ভোর হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আবদ্ধর মুখের দিকে। অথচ তার চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরছে। আবদ্ধ এসব কি বলছে! ভোর যেনো নিজের মাঝেই নেই। আবদ্ধর ওই লাল চোখের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আবদ্ধ হাতের বাঁধন হালকা করলো। লম্বা করে শ্বাস টেনে শান্ত হলো খানিকটা। ভোরের দু’গালে হাত রেখে কাতর গলায় বললো,
” বিশ্বাস কর ভোর পাখি। তোকে ছেড়ে যাওয়ার পর একটা দিনও আমি শান্তিতে কাটাতে পারিনি৷ মনে হচ্ছিল এই যেনো আমার দমটা বন্ধ হয়ে আসছে৷ বুকে তীব্র এক যন্ত্রণা হতো। প্রতিটা মুহূর্তে হাসফাস করতাম। রাতে ঘুম হতো না। তখন আমার নিঃসঙ্গতার সঙ্গী হলো সিগারেট। তবুও আমি স্থির হতে পারতাম না। এই ছয় বছরের একেকটা, সময়, একেকটা দিন আমার বিষাক্ততায় কেটেছে। তবুও আমি দমে যায়নি। তোকে পাওয়ার জন্য আমি মনোযোগ দিলাম নিজের ক্যারিয়ার সাজাতে৷ কারণ আমি কথা দিয়ে এসেছিলাম। অথচ দেখ নিজের ক্যারিয়ারও সেটেল্ড হলো, তোকেও পেলাম কিন্তু আগের সেই তোর মনটাকে পেলাম না আমি৷ যার কারণে আমার এতো লড়াই, তাকেই নিজের করেও নিজের করতে পারিনি। ”
” ককাকে কথা দিয়েছিলি তুই? ”
আবদ্ধ ভোরের থেকে সরে দাড়ালো৷ আড়ালে চোখের একফোঁটা পানিটা বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে মুছে বললো,
” তোর বাবাকে। ”
ভোর চোখ বড় করে বললো,
” ববাবাকে মানে? ”
আবদ্ধর চোখে ছয় বছর আগের সেউ দিনটা ভেসে উঠলো।
.
ছয় বছর আগে..
আজকে আবদ্ধ আর ভোর কলেজে না গিয়ে কলেজ থেকে একটু দূরেই একটা লেকের ধারে যাচ্ছিলো৷ রাস্তায় সেদিন প্রচুর জ্যাম ছিলো৷ তবুও বিরক্ত হয়নি আবদ্ধ আর ভোর। দুই জনে তখন রিকশায় খুনসুটিতে ব্যস্ত ছিলো। কিছুক্ষণ এই ভালো তো আবার এই খারাপ। আবার ভোর কখোনো খিলখিল করে হেসে উঠতো। অথচ ওরা খেয়ালই করেনি কারো নজর ওদের উপর স্থির হয়ে ছিলো। বাদল সাহেব গাড়ির কাঁচ উঠিয়ে দিলেন। মেয়েকে এভাবে অন্য ছেলের সাথে দেখে খটকা লাগলো। এটা নিয়ে পরে দেখবেন। আজকে তার একটা বিজনেস ডিল রয়েছে। ডিলটা আগে ফাইনাল করে আসুক।
.
” আসব স্যার? ”
বাদল সাহেব হাসলেন। কাঙ্ক্ষিত মানুষটা এসেছে তাহলে।
” আসো। ”
আবদ্ধ দরজা ঠেলে ঢুকলো৷ ভোরের বাবাকে দেখে হেসে সালাম দিলো।
” আসসালামু আলাইকুম স্যার! ”
বাদল সাহেব সালামের জবাব নিয়ে বললেন,
” বসো। ”
আবদ্ধ বিনাবাক্য ব্যায় না করে বসলো। বাদল সাহেব আবদ্ধর আগা গোড়া একবার দেখলেন। লম্বা, চওড়া সুন্দর একটা ছেলে আবদ্ধ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আরো সুদর্শন হবে। তবে এতো অল্প বয়সে তো আর সব কিছু করা যায় না। বাদল সাহেব আবদ্ধকে জিজ্ঞেস করলো,
” আমাকে চিনো নিশ্চয়? ”
” জ্বি আপনি ভোরের বাবা। ”
” যাক চিনো তাহলে! ”
” জ্বি! ”
আবদ্ধ মনে মনে কোনো এক আশংকায় আটকে আছে। ভোরের বাবা তাকে ডেকেছে মানে তিনি সব জেনে গেছেন৷ বাদল সাহেব হঠাৎ বলে উঠলেন,
” তোমার বাবা মিস্টার আফিল রহমান একজন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি। তাই না? ”
আবদ্ধ অবাক হলো। মাথা নেড়ে বললো,
” জ্বি আংকেল৷ ”
বাদল সাহেব হেসে বললেন,
” উনার সাথে অনেক খাতির আছে আমার জানো? ”
” জ্বি! জানি। ”
বাদল সাহেব অবাক হলো না। তিনি সব খোজ খবর নিয়েই আবদ্ধকে ডেকেছেন। বাদল সাহেব এবার মূল কথায় আসলেন।
” তুমি আমার মেয়েকে ভালোবাসো? ”
আবদ্ধ জানতো এমন কিছুর সম্মুখীন তাকে হতে হবে৷ আবদ্ধ কোনো ভণিতা ছাড়াই বলে দিলো।
” জ্বি আংকেল। ভোরকে আমি ভালোবাসি৷ ”
” ভোরকে যখন ভালোবাসো নিশ্চয় ওকে নিয়ে সারাজীবন থাকতে চাও? ”
” জ্বি! ”
” তাহলে তোমাকে ভোরের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে আবদ্ধ। কোনো যোগাযোগ রাখতে পারবে না তার সাথে। ”
সহসা আবদ্ধ চেয়ার থেকে দাড়িয়ে গেলো৷ চমকিত কন্ঠে বললো,
” অসম্ভব আংকেল। কি বলছেন এসব। আমি সেটা কিছুতেই পারবো না। ”
বাদল সাহেব আবারো হাসলেন। ছেলেটাকে ভালো লেগেছে উনার। কিন্তু বেকার ছেলের হাতে তো আর মেয়ে দেওয়া যায় না। তিনি শান্ত সুরে বললেন,
” তুমি তো বেকার আবদ্ধ। আর কোনো বাবাই চাইবে না নিজের মেয়েকে কোনো বেকারের হাতে তুলে দিতে৷ সেখানে তোমরা দুজন ক্লাসমেটও৷ অবশ্য তুমি ভোরের থেকে দুই বছরের বড়। কিন্তু আমি চাই, তুমি ভোরের থেকে দূরে থেকে কিছু একটা করো। নিজের একটা ভালো ক্যারিয়ার সাজাও। আমি কথা দিচ্ছি। আমি নিজ হাতে ভোরকে তোমার হাতে তুলে দিবো। প্রতিদিন তোমাকে ভোরের সব কিছু আপডেট দেওয়া হবে। কিন্তু ভোরকে কিছু জানাতে পারবে না। ”
আবদ্ধ বাকরূদ্ধ হয়ে বললো,
” তাহলে যে ভোর আমাকে ভুল বুঝবে আংকেল।”
” আবদ্ধ তুমি নিশ্চয় জানো ভালো কিছু পেতে হলে কিছু ত্যাগ করতে হয়। এখন যদি তুমি ভোরকে সারাজীবন পেতে চাও তাহলে এতোটুকু নাহয় ত্যাগ করলে। ”
আবদ্ধ হুট করে বলে উঠলো,
” কিন্তু যদি আপনি ভোরকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেন? ”
বাদল সাহেব দাড়িয়ে বললেন,
” আমার কাছে আমার মেয়ের ভালো আগে। সে তোমার সাথে ভালো থাকতে চাইলে আমি কখোনো সেখানে বাঁধা প্রকাশ করবো না। তবে তোমাকে যেটা বললাম সেটা করতে হবে। ভোরের কথা চিন্তা করো না৷ আমি সামলে নিবো। ”
আবদ্ধ সেদিন কিছু না বলে চলো এসেছিলো বাসায়। সব কিছু ভেবে রুমে দরজা লাগিয়ে কেঁদে উঠলো। তার কলিজাটা যেনো ছিড়ে আসছে ভোরের থেকে দূরে থাকবে ভেবে। সেদিন ই বাবাকে বলে ভিসার জন্য সব বন্দোবস্ত করেছিলো। পরিবারের সবাইকে বলায় নায়লি বেগম একটু অমত করলেও পরে রাজি হোন। কিন্তু আবদ্ধ এ ব্যাপারে ভোরকে কিছু বললো না বিদেশে যাওয়ার আগে সে বেশির ভাগ সময় ভোরের সাথে কাটিয়েছে। বিদেশে তার মামা ঝটপট ভিসার ব্যাবস্থা করেছিলেন বলে তাড়াতাড়ি ভিসা চলে আসলো। সেদিন আরো একবার চিল্লিয়ে কেঁদেছিলো আবদ্ধ। ইচ্ছে করছিলো ছুটে যেতে ভোরের কাছে। সব ইচ্ছে কি আর পূরণ হয়৷ আবদ্ধ ভোরকে পাওয়ার আশায় সেদিন রাতেই পাড়ি জমালো বিদেশে।
চলবে !