উধয়রনী পর্ব-০১

0
622

#উধয়রনী
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
||পর্ব-০১||

০১।
চার বছর পর দেশে ফিরছে আহি। মনে এলোমেলো ভাবনা। যেই মানুষটার স্মৃতি ভোলার জন্য সে পরিচিত শহর ছেড়ে নতুন শহরে গিয়েছিল, তাকে আজও ভুলতে পারে নি। মনটা অস্থির হয়ে আছে তার। বুকে হাত দিয়ে সে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। তার পাশে বসা যাত্রীটি বার কয়েক ঝুঁকে তার দিকে তাকালো। লোকটা হয়তো ভাবছে, আহি শারীরিকভাবে অসুস্থ। একমাত্র আহিই জানে এই অসুস্থতার যন্ত্রণা কতোটা ভয়াবহ।
আহি নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো। পাশে থাকা অপরিচিত লোকটি পানির বোতল এগিয়ে দিতেই আহি বোতলের ছিপি খুলে ঢকঢক করে পানি খেতে লাগলো। হুড়োহুড়ি করে খেতে গিয়ে নাকে-মুখে পানি উঠে গেছে। আহি কাশতে শুরু করলে লোকটি তার হাত থেকে পানির বোতলটি নিয়ে বলল,
“এমন তাড়াহুড়ো করছেন কেন? আপনার কি প্লেনে চড়তে সমস্যা হয়?”

আহি হাতের ইশারায় বোঝালো, তার কোনো সমস্যা হয় না। একটু পর স্বাভাবিক হয়ে আহি সিটে হেলান দিয়ে বসলো। আগন্তুকটি স্বাভাবিক সুরে জিজ্ঞেস করলো,
“আপনি হয়তো অনেকদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছেন।”

আহি চকিত দৃষ্টিতে আগন্তুকটির দিকে তাকালো। লোকটা স্মিত হেসে বলল,
“আমি নায়ীব তামজিদ, একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।”

আহি বলল, “আমি ওয়াসিকা কবির।”

নায়ীব একটু পর আবার জিজ্ঞেস করলো,
“দেশে কোথায় থাকেন?”

“চট্টগ্রামে।”

“আমিও। এতোদিন লন্ডনে ছিলেন?”

“জ্বি, পড়াশুনা শেষ করে এখন দেশে ফিরছি। আপনি?”

“আমি একটা প্রোগ্রাম এটেন্ড করতে এসেছিলাম।”

আহি সৌজন্যমূলক হাসি ফেরত দিয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো। নায়ীব খেয়াল করলো, আহি তার দুই হাত বার-বার ঘষছে। তার কপালেও বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। নায়ীব ভ্রূ কুঁচকে আহির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ঠোঁটে মৃদু হাসি টেনে জিজ্ঞেস করলো,
“সেই সৌভাগ্যবান মানুষটা কে?”

নায়ীবের প্রশ্নে আহি চমকে উঠলো। পরক্ষণেই তার ঠোঁটের কোণে এক চিলতে মিষ্টি হাসি ফুটে উঠলো। অপরিচিত একজন তার প্রিয় পুরুষকে সৌভাগ্যবান সম্বোধন করেছে! আহি ভাবতে লাগলো,
“সত্যিই তো সে সৌভাগ্যবান। আমি তাকে ভীষণ ভালোবাসি। এতোটা ভালোবাসি যে এর চেয়ে বেশি ভালোবাসলে সে আমার উপর আধিপত্য নিয়ে ফেলবে। আর তখন হয়তো আমি নিজের জ্ঞান বুদ্ধি হারিয়ে ফেলবো।”

নায়ীব গলা খাঁকারী দিয়ে বলল, “এতোক্ষণ কি ভাবছেন?”

আহি নায়ীবের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “আপনাকে কে বলেছে আমি কারো জন্য ডিপ্রেশনে আছি?”

নায়ীব নিঃশব্দে হাসলো। আহি নায়ীবকে নীরবে হাসতে দেখে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো। নায়ীব বলল,
“আমি তো মোটেও এই কথা বলি নি। আপনি নিজেই স্বীকার করলেন, আপনি কারো জন্য ডিপ্রেশনে আছেন। আপনার চেহারা দেখে আমি বুঝেছি আপনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। আর আমার প্রশ্নের উত্তরটা আপনি আমাকে এক নিমেষেই দিয়ে দিলেন।”

আহি মিনমিনিয়ে বললো, “কাউকে ভালোবাসা কি মানসিক রোগ?”

নায়ীব মৃদু হেসে বলল,
“ভালোবাসা অবশ্যই কোনো রোগ নয়। ভালোবাসা মানেই শান্তি। ভালোবাসার চেয়ে চমৎকার অনুভূতি দ্বিতীয়টা হয় না। তবে ভালোবাসা ততক্ষণ সুন্দর, যতক্ষণ সেটা ঠোঁটের হাসি ধরে রাখবে, বেঁচে থাকার প্রেরণা দেবে। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লে ভালোবাসার চমৎকার রূপটা হারিয়ে যায়।”

নায়ীবের কথা শুনে আহি নীরবে ভাবলো,
“চার বছর ধরে মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। আমি তো এখনো সেখানেই আটকে আছি, যেখানে তাকে ফেলে এসেছিলাম।”

(***)

নায়ীব আর আহি চুপচাপ বসে আছে। হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে তারা। দেশে পৌঁছাতে প্রায় বারো ঘন্টা সময় লাগবে। আহি নায়ীবের পাশে বসে এই দীর্ঘ সময় পার করতে চায় না। কারণ নায়ীব মনোরোগের চিকিৎসক। যে-কোনো মুহূর্তে তার উদ্ভট প্রশ্নে আহি ফেঁসে যেতে পারে। আর সে তার অতীতের কোনো অংশই কাউকে জানাতে চায় না। প্রিয় মানুষটিকে ঘিরে সৃষ্টি হওয়া অনুভূতিগুলো সে নিজের মাঝে দাবিয়ে রাখা শিখে গেছে। এখন আর সেই স্বভাব সে পরিবর্তন করতে চায় না। অল্প সময়ের পরিচয়ে যদি নিজের মন হালকা করার লোভ চড়ে বসে, তখন দেখা যাবে যখন-তখন তার কাউকে না কাউকে প্রয়োজন হবে। কিন্তু আহির জীবনের একমাত্র সত্য তো এটাই যে সে মানুষের ভীড়েও নিঃসঙ্গ।
নায়ীব প্রায় ঘন্টাখানেক পর আহিকে জিজ্ঞেস করলো,
“যার জন্য ডিপ্রেশনে আছেন, সে কি জানে?”

আহি নায়ীবের দিকে তাকালো। নায়ীব আহির চাহনি দেখে বলল, “খুলে বললে মন হালকা হয়।”

আহি বিনীত হাসি ফেরত দিয়ে বলল,
“আমার মনটা ভারী থাকুক। আমি এভাবেই ভালো আছি।”

নায়ীব প্রতিত্তোরে মৃদু হাসলো। আহি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চোখ বন্ধ করলো। তার চোখের সামনে সেই মুহূর্তটি ভেসে উঠলো, যেদিন সে মানুষটিকে প্রথম দেখেছিল।

………………….

মাসটি ছিল বর্ষার মাস। আহির বয়স তখন মাত্র পনেরো। বয়সটাই ছিল বর্ষার মতো ঝড়ে গিয়ে নতুন করে ফোঁটার। বর্ষা যেমন বিদায় নেওয়ার পর এক চমৎকার পরিবেশ দিয়ে যায়, তেমনি এই বয়সটা পার করার পর আহিও হয়তো একটা মূল্যবান বয়সে চলে যাবে, যেই বয়সে সে সব নতুন করে শিখবে। কিন্তু আহি পনেরো বছরের সেই আবেগী বয়সেই দেখেছিল একটা চমৎকার স্বপ্ন। সবার কাছে যেই স্বপ্নটা ছিল আবেগ, তার কাছে ছিল বেঁচে থাকার সমীরণ।
ছোটবেলা থেকেই আহির ছবি আঁকতে খুব ভালো লাগতো। রং পেন্সিল হাতে পেলেই ঘরের দেয়ালে দেয়ালে তার চারু শিল্পের ছাপ পড়তো। মা, সালমা ফাওজিয়া মেয়ের চারুকলার প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন। স্বামীকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তিনি আহিকে ‘চারুশিল্প’ নামে একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দেন। রিজওয়ান কবিরের কাছে এসব সময় নষ্ট করা ছাড়া কিছুই নয়। তবুও একমাত্র মেয়ের খুশির জন্য তিনিও আর না করেন নি। পনেরো বছর বয়সেই আহি তার শখের গতি পেয়ে যায়। আর তার এই শখের প্রতি আগ্রহই তাকে তার স্বপ্নের কাছে নিয়ে যায়।

(***)

আহি সপ্তাহে দু’দিন চারুশিল্পে ক্লাস করতে যায়। কারণ সপ্তাহের বাকী দিনগুলোতে স্কুলে ক্লাস থাকে। প্রথম দিন রিজওয়ান কবির মেয়েকে চারুশিল্পে নামিয়ে দিয়ে কর্মস্থলে চলে যান। কবির সাহেব চলে যাওয়ার পরই আবার বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। যেহেতু বর্ষার মাস, তাই থেমে থেমেই বৃষ্টি পড়ছে। ছাতাটা গাড়িতেই ফেলে এসেছিল আহি। তাই বৃষ্টির ছাট থেকে বাঁচার জন্য সে ব্যাগ থেকে প্লাস্টিক মলাটের একটা খাতা বের করে মাথার উপর ধরলো। নতুন খাতা, তাতে ছবিও আঁকা নেই। খাতাটা ভিজলে সমস্যা নেই, কিন্তু তার মাথাটা না ভিজলে হলো।
বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই আহি খুব গোছালো। সবসময় পরিপাটি থাকতে পছন্দ করে। আর সকাল থেকেই সে তার শখের স্কুলে আসবে বলে এক ঘন্টা ধরে চুল বেঁধেছিল। কিন্তু এখন বৃষ্টিতে চুলগুলো ভিজে এলোমেলো হয়ে গেলে, তার এক ঘন্টা বৃথা যাবে।
আহি খাতাটা মাথার উপর ধরে সামনে এগুতে গিয়েই থমকে গেলো। একটা ছেলে খুব ধীর গতিতে স্কুলের মাঠে হাঁটছে। চারুশিল্পের গেট থেকে স্কুল ভবনটির দূরত্ব প্রায় পাঁচশো মিটার। এতো ধীরে হাঁটলে তো সে বৃষ্টিতে ভিজে যাবে। কিন্তু ছেলেটাকে দেখে মনে হচ্ছে, তার ভিজে যাওয়ার কোনো চিন্তা নেই।
ছেলেটা নিজের মনে হেঁটে আহিকে অতিক্রম করে গেট দিয়ে বেরিয়ে গেলো। আর আহিও স্কুল ভবনে ঢুকে পড়লো। ক্লাসে এসে বসতেই সে দেখলো এখানে বিভিন্ন বয়সী ছাত্র-ছাত্রী আছে। কেউ আহির চেয়ে বড়, তো কেউ অনেক ছোট। মূলত স্কুলটিতে ভর্তি করানো হয় চিত্রাঙ্কনের দক্ষতা দেখে। বয়স এখানে কোনো ব্যাপার না।
চারুশিল্পে মোট তিনটি শ্রেণি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চতর। আহি মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে। কিছুক্ষণ পর ক্লাসে শিক্ষক আসলো। আর সাথে সাথেই ছেলেটিও ক্লাসে ঢুকলো যাকে আহি একটু আগে স্কুলের মাঠে ভিজতে দেখেছিল। ছেলেটিকে দেখেই আহি চমকে উঠলো। সে সেকেন্ড খানিক ছেলেটির দিকে তাকিয়ে ছিল। আর ছেলেটিও এসে তার পাশের সারিতে বসলো। এরপর ক্লাস শুরু হয়ে গেলো। স্কুলের সময় সীমা মোট আড়াই ঘন্টা। এক ঘন্টা ক্লাস শেষে, আধা ঘন্টার বিরতি। তারপর আবার এক ঘন্টা ক্লাস। এরপর ছুটি। প্রথম দিন ক্লাস করে আহির খুব ভালোই লাগলো। আর তার ভালো লাগার মূল কারণটা ছিল তার পাশের সারিতে বসে থাকা সেই ছেলেটি। একটু পর পরই অজানা কারণে আহির চোখ দু’টি তার দিকেই স্থির হচ্ছিল। ছেলেটা আট-দশটা ছেলের মতোই অতি সাধারণ। বিশেষভাবে আকর্ষণ করার মতো কিছুই তার মধ্যে ছিল না। তার পরণের সাদা শার্টটিও ভিজে গায়ের সাথে লেপ্টে আছে। তার ভেজা এলোমেলো চুলগুলো দেখে মনে হচ্ছে সে অনেকদিন নিজের যত্ন নেয় নি। তবুও সেদিন ছেলেটির শান্ত চোখ দু’টিতে আহি হাজার হাজার গল্প খুঁজে পেয়েছিল৷ সেদিন বাসায় ফেরার পর থেকেই আহির ভাবনা জুড়ে সেই ছেলেটি স্থান দখল করে নিয়েছিল। আহি তখন ছেলেটির নামটিও জানতো না। অথচ নামহীন কেউ প্রথম দেখায় যে তার মস্তিষ্কে তীব্রভাবে গেঁথে গেছে, এটাই আহির ভাবতে অবাক লাগছিল।

০২।

বিমানবালার কন্ঠে ঘুম ভাঙলো আহির। সে নাস্তার ট্রে দিতে এসেছিল। ট্রে রেখে চলে যাওয়ার পর আহি একনজর নায়ীবের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো। ঘুম ভাঙার পর থেকেই আহি এদিক-ওদিক তাকিয়ে সময় পার করছে। নায়ীবের দিকে দ্বিতীয় বার তাকানোর সাহস তার নেই। যদি আবার প্রশ্ন করা শুরু করে? নায়ীব আহির এমন চোরাচাহনি ধরতে পেরে মৃদু হাসলো আর বলল,
“এমন লুকোচুরি করছেন, মনে হচ্ছে আপনার ভালোবাসা চুরি করে নিয়ে যাবো!”

আহি নায়ীবের দিকে আচন্বিত দৃষ্টি ছুঁড়ে বলল,
“আমি মোটেও লুকোচুরি করছি না।”

“স্বাভাবিক আচরণও করছেন না। আমি আপনাকে চিনি না, তবুও আপনি যখন জানতে পারলেন আমি মনের রোগ সারাতে পারি, তখন থেকেই দেখছি আপনি একটু ইতস্ততবোধ করছেন। আমি যদি আপনার মনের সমস্যা জেনেও যাই, তাহলে খুব একটা ক্ষতি হবে না।”

আহি ঠোঁটে শুকনো হাসি টেনে বলল,
“কেউ একজন আমাকে বলেছিল, যেই ভালোবাসা নিষিদ্ধ হয়ে গেছে, সেই ভালোবাসা প্রকাশ না করাই ভালো। পৃথিবী গোল। কখন কার সাথে আবার দেখা হয়ে যায়, বা কে কার পরিচিত, তাতো বলা যায় না। আমার অনুভূতি আমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাক। কষ্ট হলে আমার হোক। আজকাল অন্যের কষ্ট দেখার সময় কারো হয় না।”

আহির কথা শুনে নায়ীব দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।

(***)

পুরোনো কথা মনে পড়তেই আহির মুখটা অন্ধকার হয়ে গেলো। কানে ভাজতে লাগলো সেই পরিচিত কন্ঠস্বর,
“তুই কি পাগল হয়ে যাবি নাকি? শোন আহি, যেই ভালোবাসা তোর জন্য নিষিদ্ধ হয়ে গেছে, তাকে আর কারো সামনে প্রকাশ করতে যাবি না। এটাই তোর জন্য ভালো হবে। সবকিছুর একটা সীমা থাকে৷ তোর ভালোবাসা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বেহায়া হয়ে যাস না। এমন বেহায়াদের কেউ ভালোবাসে না।”

কথাগুলো গুঞ্জরিত হয়ে কানে পৌঁছাতেই আহির মনে হতে লাগলো, সে কথা শুনছে না, বরং কেউ তার কানে গরম তেল ঢেলে দিচ্ছে। আর সেই তেল গড়িয়ে যেন পুরো শরীরটা ক্ষত করে দিচ্ছে। গলায় কথা আটকে গেছে আহির। হাত কাঁপছে। চোখে অশ্রু জমতে শুরু করেছে। সিট থেকে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলো আহি। আয়নায় নিজেকে একবার দেখে নিলো। তারপর নিজের মুখ হাতড়াতে হাতড়াতে বলল,
“আমি বেহায়া না। আমি ভালোবেসেছিলাম। ভীষণ ভালোবেসেছিলাম তাকে। আমার মতো করে কি কেউ ভালোবাসতে পারবে? কেন আমি বেহায়া হবো? আমি তো একবারো তাকে জোর করি নি। আমার ভালোবাসায় তাকে কখনো বন্দী করি নি। আমি তো তাকে ছেড়ে দিয়েছি। স্বাধীনতা দিয়েছি। তবুও সবাই আমাকে বেহায়া কেন বললো? কেউ একবারো আমার ভালোবাসা বুঝলো না? আমার পাঁচ বছরের অপেক্ষাটা বুঝলো না? কেউ যদি আমাকে একটু বুঝতো, আমার ক্ষতের গভীরতাটা যদি দেখতে পারতো, তাহলে কেউ আমাকে বেহায়া বলতো না। আমাকে নিঃস্ব করে কেউ চলে যেতো না।”

চলবে-

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে