উড়ো ফোন পর্ব-০১

0
867

#উড়ো_ফোন। (প্রথম পর্ব)

“আপনি কি সাদিয়া?” খুব গম্ভীর ম‍্যাচিউরড মহিলা কন্ঠস্বর। হঠাৎ করা এ প্রশ্নটায় ভীষণ অবাক হলাম। সচরাচর অপরিচিত কোন নাম্বার থেকে কল পাই না। তাইতো কিছুটা দ্বিধা নেই বলা “জ্বি, বলছি। আপনি কে বলছেন?” ভদ্রমহিলা আমার পরিচয় নিশ্চিত হতেই দ্রুত বলতে শুরু করলো

“অনেকদিন ধরেই আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি, আপনার নাম্বারটা পেতে অনেক কষ্ট হল। একজন শুভাকাংখী হিসেবেই একটা কথা বলছি, অন‍্যভাবে নিবেন না প্লিজ। আপনার স্বামী বেলাল সম্ভবত অন‍্য কোন মহিলার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে। অফিসের লাঞ্চ ব্রেকে আমি নিজে বেলালকে একই মহিলার সাথে বেশ কয়েকবার দেখেছি। সেদিন দুপুরে এক খাবার হোটেলে আর আজ রিকশায় ঐ মহিলার সাথেই ঘনিষ্ঠভাবে দেখার পর মনে হল, বিষয়টা আপনাকে জানানো দরকার। বেলালকে আমি ভালোই জানি। তবে পুরুষ মানুষেরতো আর বিশ্বাস নেই। কিছু কিছু জিনিস বাড়ার আগে অল্পতেই শেষ করে দিতে হয়। আশা করি আমি কি বলতে চাচ্ছি বুঝতে পেরেছেন, এখন এর চাইতে বেশি কিছু বলছি না। ভালো থাকবেন।” একটানা হরহর করে ভদ্রমহিলা এরপর আমাকে অন‍্য কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ফোনটা কেটে দেয়।

মাত্রই কলেজের ক্লাস নেওয়া শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিব, রাস্তায় রিকশা খুঁজছি। আর ঠিক এমন সময় আসা এই ফোনটায় মাথা রীতিমতো ঘুরছে। আমার স্বামী বেলাল অন‍্য আরেক মহিলার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে, কথাটা কিছুতেই ভাবতে পারছি না। আমাদের পনের বছরের মেয়ে আরিশা আর এগারো বছরের ছেলে তামজিদ, বাচ্চা দুটোর মুখ এখন বারবার ভেসে উঠছে। বেলালতো অন্ততপক্ষে ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করেও এসব করতে পারে না, এটা কিছুতেই সম্ভব না!

মুহূর্তেই ভীষণ টেনসড এই আমি কল করা মহিলার পরিচয় জানতে নাম্বারটায় ফিরতি কল দেই। এবার ওপাশ থেকে এক পুরুষ কন্ঠ “এটা মতিঝিলের একটা ফোন ফ‍্যাক্সের দোকান, কিছুক্ষণ আগে এক ভদ্রমহিলা আপনার নাম্বারে ফোন করেছে। আমি তাকে চিনি না।” দোকানির এতটুকু তথ‍্যেই অনুমান করলাম, বেলালের কোন ব‍্যাংকার কলিগই হয়তো উপযাজক হয়ে আমাকে কল করেছিল। ভদ্রমহিলা হয়তো নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে চান না। আবার পরক্ষণেই মনে হল আজকাল অনেকেই ফোনে এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদ পাতে, হয়তো এটা এই ধরনেরও কোন কল হতে পারে!

সন্দেহের দোলাচলে পড়লেও কিছুদিন ধরে বেলালের আচরণ সত‍্যই আমাকে মহিলার কথার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়। সংসারে ওর এখন বিন্দুমাত্র মনোযোগ নেই। আরিশার সামনে এসএসসি পরীক্ষা, আমি কলেজের চাকুরী সামলিয়ে বলতে গেলে একহাতে সংসার আর বাচ্চা দুটোর পড়াশোনা দেখছি। আর বেলাল যেন এখন অন‍্য জগতের মানুষ। প্রায় দিনই ও রাত করে বাসায় ফিরে। উদভ্রান্তের মতো থাকা এই বেলাল কিন্তু কিছুদিন আগেও এমন ছিল না। আমার সাথেও এখন পারতপক্ষে ঘেষে না, শেষ কবে ও আমার শরীর স্পর্শ করেছে মনে করতে পারলাম না। তাইতো হঠাৎ আসা উড়ো ফোনের সাথে অনেক কিছুরই মিল খুঁজে পেলাম। কলটাকে ঝেড়ে ফেলে না দিয়ে বরঞ্চ আমলেই নিলাম।

রাস্তায় রোদ গরমে অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থেকে অনেক কষ্টে আদাবরে যাওয়ার জন‍্য একটা রিকশা পেলাম। প্রতিদিনের যাতায়তের এই পথটাকে আজ অন‍্যরকম লাগছে, ভর দুপুরে মানুষগুলোও যেন আজ আমার দিকে করুনার দৃষ্টিতে। সব মিলিয়ে নিজেকে ভীষণ অসহায় বলে মনে হল। জীবনে হঠাৎ করে আসা এই কঠিন মুহূর্তে আমার কি করা উচিৎ, কিছুতেই মাথায় আসছে না। শিয়া মসজিদের কাছাকাছি আসতেই রিকশাটাকে ছেড়ে দিলাম। কেন্দ্রীয় কলেজে আমার ভার্সিটির বান্ধবী জলি চাকুরী করে, ও সবসময়ই আমার বিশ্বস্ত একজন। ওর কাছে ফোন কলের বিষয়টি খুলে বলতেই সে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বললো “বেলাল ভাই পরকীয়া করছে।”

আর এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে মেয়েদের সাথে যোগাযোগ করা সহজ আর বেশিরভাগ পুরুষই নাকি এসব করে বেড়ায়! ওর নিজের স্বামীরও না কি এ ধরনের স্বভাব আছে। তাইতো জলি সারাক্ষণ স্বামীকে মনিটরিংয়ে রাখে, জামাইয়ের ফোনও চেক করে। মাঝে মধ‍্যে অফিসেও নাকি ওর গোয়েন্দাগিরি করা!

জলির এসব কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। আমি নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে নেই, প্রয়োজন মনে করিনা বলেই ওখানে নেই। স্বামীর একটা ফেইসবুক একাউন্ট আছে, এটা আমার বেশ জানা। কিন্তু তাই বলে ওর একাউন্ট বা ফোন চেক করবো, এটা আমার মাথাতে কখনোই আসেনি। সত‍্য বলতে কি, কলেজ, সংসার আর বাচ্চা দুটোর পড়াশোনা টিউটর এসব করতে করতে কখন যে আমার সময় চলে যায় টেরই পাই না। বেলাল ব‍্যস্ত ব‍্যাংকার, প্রফেশনেও ও বেশ ভালো করছে। আর সবচাইতে বড় কথা ওর সাথে আমার আন্ডারস্ট‍্যান্ডিং সবসময়ই ভালো। আমাকে ছাড়া অন‍্য কোন মেয়েকে নিয়ে বেলাল চিন্তা করবে, এটা কখনো ভাবতেও পারি না। তবে জলির সাথে আজকের এই গোপন কথোপকথনে নিজেকে ভয়ানক বোকা বলেই মনে হল। সময়ের সাথে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে, ঘরের পুরুষ লোকদের এখন চোখে চোখে রাখা সময়ের একটা দাবি। চাঁপা আফসোস তৈরী হল, বেলালকে বিশ্বাস করে সত‍্যিই কি ভুল করেছি? ভালোবাসার মানুষটি শেষ পযর্ন্ত এভাবে আমার সাথে প্রতারণা করলো, কিছুতেই ভাবতে পারছি না!

বাসায় এসে আজ লম্বা শাওয়ারে দুচোখ দিয়ে একটানা পানি ঝরছে, নিজের অজান্তে। আমাদের প্রায় দেড় যুগের সংসার। বেলালকে আমি বলতে গেলে একেবারে ফকির অবস্থায় কোন কিছু পাওয়ার আশা না করেই বিয়ে করেছিলাম। বেলাল তখন একেবারেই বেকার কপর্দকশূন‍্য একটা ছেলে, ওর পরিবারের সাথে ভীষণ ঝামেলাপূর্ণ সম্পর্কে ছিল। ওদের পরিবারে তখন রিটায়ার্ড বাবার জায়গায় বড় ভাই সংসারের দ্বায়িত্বে। মাস্টার্স পাশ করার দু বছরের মধ‍্যেও ছোটখাটো কোন চাকুরী যোগাড় করতে না পারা বেলাল বরঞ্চ বন্ধু বান্ধবের সাথে পাড়ায় চা সিগারেটের আড্ডায় থাকে। ভীষণ কেলাস বেলাল হাত খরচের টাকার জন‍্য বাবা মা বা ভাবীকে চাপ দেয়। এসব কারণেই বাসার সাথে ওর ঝামেলার শুরুটা। এরপর কোন একদিন হাতাহাতি মারামারির পর ওর বড় ভাই ওকে বাসা থেকে বের করে দেয়। এরপর বাধ‍্য হয়েই বেলাল হাজারীবাগে এক মেসে গিয়ে উঠে। আমি তখন মাস্টার্স পরীক্ষার্থী, ওর সাথে চার বছরের প্রেমের সম্পর্কে। পরিবারের সাথে ওর ঝগড়া ঝাটির বিষয়টি হালকা জানলেও ভাবতাম ওগুলো ওদের ব‍্যক্তিগত বিষয় ও অভিমান। একটা সময় পর এসব ঠিক হয়ে যাবে। যশোরে আমার বাড়ির লোকজন স্হানীয় এক কলেজ শিক্ষকের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে, এ সংবাদটা জানার পর কোন কিছু না ভেবেই ভালোবাসার মানুষটাকে সবাইকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেললাম।

আমি তখনো শামসুন্নাহার হলেই থাকি, আমার প্ররোচনাতেই বেলাল একদিন নতুন বৌ এই আমাকে নিয়ে জাকির হোসেন রোডের ওদের বাসায় আসলো। জীবনের সবচাইতে বড় অপমানিত হওয়া আমার সেদিনই। আমার সামনেই ওর বাবা জুতো নিয়ে বেলালকে তেড়ে আসে আর ওর মা ভাবী আমাকে ওর মতো “কান্ডজ্ঞানহীন” কে বিয়ে করার অপরাধে ভীষণ গালমন্দ করলো। আমাদের জন‍্য যে এ বাড়ির দরজা সবসময়ের জন‍্য বন্ধ, এটা বেশ বুঝেছিলাম। ভীষণ অপমানিত এই আমি সেদিন শ্বশুরবাড়ির লোকদের আচরণে যারপরনাই অবাক হয়েছিলাম। কোন গর্ভধারিনী মা তার নিজ সন্তানের সাথে এরকম ব‍্যবহার করতে পারে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। সেদিন ফেরার পথে বেলাল আমার সাথে একটা টু শব্দও করেনি। আমি অবশ‍্য ভেবেছিলাম হয়তো বিয়ের প্রথম প্রথম রাগের মাথায় ওদের বাসার লোকজন এসব করেছে। একটা সময় পর সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে, বাড়ির ছোট বৌয়ের স্বীকৃতি পাব। প্রত‍্যেকে মেয়েরই শ্বশুরবাড়িই যে তার সামাজিক আইডেনটিটি, এটা আমি বান্ধবীদের সাথে কথা বলে অনুভব করতাম। মনে মনে ভাবি বা আশায় থাকি শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হয়তো একদিন আমাদেরকে কাছে টেনে নিবে।

শ্বশুরবাড়িতে সংসার শুরু করতে পারছি না, এটা নিশ্চিত হয়ে নিজেদেরই কিছু একটা করার তাগিদ ছিল। বেলাল তখনো বেকার, এক দুইটা টিউশনি করে নিজের মেসে থাকার খরচের টাকাটা উঠায়। যশোর থেকে আমারও টাকা আসা বন্ধ, নিজেও বাধ‍্য হয়ে টিউশনি শুরু করে দেই। আমাদের সংসার জীবনের শুরুর এই ধাক্কাটায় কিন্তু একটা বড় উপকার হল। বেলালের মধ‍্যে আমূল পরিবর্তন এলো, কিছু একটা করে নিজেকে দাড়াতে হবে এই উপলব্ধিটাও ওর প্রবল। চাকুরীর জন‍্য পড়াশোনা আর মানুষের দ্বারে দ্বারে চাকুরীর ধর্ণায় থাকে বেলাল। আমি অবশ‍্য ভীষণ লাকি, মাস্টার্সের রেজাল্ট পাবলিশের পরপরই কলেজ শিক্ষকতার চাকুরীটা পেয়ে যাই। এরপরই আমাদের নিজেদের ছোট্ট একটা বাসা হল, টোনাটুনির সংসার। আর এর পরপর আমার বড় খালুর সহায়তায় বেলালের বেসরকারি একটা ব‍্যাংকেও চাকুরী হয়। দুজনেরই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা। এরপরই আমাদের শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে চলার গল্প। আশ্চর্য হলেও সত‍্য এরপরও বেলালের পরিবারের সদস‍্যরা কিন্তু আমাদেরকে এড়িয়েই চলেছে।

আমার নিজের বাড়ি মনিরামপুরে। ঢাকায় আমার নিজের আত্মীয় স্বজন বলতে তেমন কেউ নেই। শ্বশুরবাড়ির এতো কাছে থাকি, তাইতো সবসময়ই ঐ বাসায় যাওয়ার একটা টান অনুভব করতাম। আমি কিন্তু বরাবর আশাবাদী ওরা আমাদেরকে একদিন ডাকবে। কিন্তু চরম হতাশ হয়েছিলাম সেদিনই যেদিন আমাদের বড় মেয়ে আরিশার জন্মের সংবাদ পাওয়ার পরও যখন কেউ দেখতে আসেনি। ভীষণ ঝড় ঝাপটা আর কষ্টের মধ‍্য দিয়ে আসা এই ছোট্ট বাচ্চাটার মুখ ওর দাদা দাদি পযর্ন্ত দেখেনি, কষ্ট পেয়েছিলাম। এ নিয়ে বেলালের সাথে আমার প্রচন্ড রাগারাগিও হল। বিষয়টিতে আমার মতো বেলালও ওর পরিবারের সদস্যদের উপর ভীষণ বিরক্ত ছিল। আমি কিন্তু সেবারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ওরা চাইলেও আর কখনো ওদের সাথে সম্পর্কে যাবো না। পৃথিবী কারো জন‍্যই থেমে থাকে না আর এভাবেই আমাদের দিন চলতে লাগলো। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছাড়া এখন আমরা দিব‍্যি ভালো আছি। আমাদের ছেলে মেয়েরাও কখনো বিষয়টি ওভাবে ফিল করেনি।

মহিলার উড়ো ফোনটা পাওয়ার পর থেকেই পুরনো হাজার কথা মনে পড়ছে। শুধুমাত্র বেলাল আমার পাশে ছিল, এই ভরসাটুকুতে জীবনে কতসব বড় বড় ঝড় যে সামাল দিয়ে গেছি, তার হিসেব নেই। আমাদের খুব বেশি টাকা না থাকলেও সুখের কিন্তু কমতি নেই। বাচ্চা দুটোও ভীষণ লক্ষী, রাইফেলসে পাবলিকে পড়ে। লেখাপড়াতেও ওরা ভীষণ মনোযোগী। আমার সাথে বেলালের সম্পর্কটাও কিন্তু বরাবরই স্টেবল। হয়তো সময়ের সাথে সম্পর্কের উত্তাপটা আগের মতো নেই, কিন্তু তাই বলে ভালোবাসা কখনো মরে যায়নি। তাইতো বেলালের এভাবে আরেকজনের সাথে জড়িয়ে যাওয়ার সংবাদটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারলাম না। এটা অসম্ভব বড় রকমের একটা অন‍্যায়।

শাওয়ার শেষ করে এসে প্রতিদিন দুপুরের খাবার খাই, আজ মুখে কিছু রুচলো না। বিষন্ন মনে বেলালকে ফোন দিতেই, ওর মোবাইল ব‍্যস্ত পেলাম। টানা কয়েকবার ফোন দিয়ে না পেয়ে অফিসের নাম্বারে ফোন করলাম। অফিস থেকে আজ ও দুপুরেই ছুটি নিয়ে বের হয়ে গেছে, কথাটা শোনার পর সন্দেহের মাত্রাটা আরো বেড়ে গেল। বাসায় আসলে ও অনেক আগেই চলে আসতো। ওর ফোনটাও বন্ধ। সব মিলিয়ে এখন আমি রীতিমতো ঘামছি।

এরপর সম্ভাব‍্য দু এক জায়গায় ফোন করেও বেলালের খোঁজ পেলাম না। কি করবো ভাবছিলাম, খানিকটা সন্দেহ থেকেই আমাদের জয়েন্ট ব‍্যাংক একাউন্টটা খুলতেই আমার চোখ একেবারে ছানাবড়া। একটা ফ্ল‍্যাট বুকিং দেওয়ার জন‍্য আমাদের তিল তিল করে কিছু টাকা জমানো, আর এখান থেকেই গত দুই মাসে বেলাল প্রায় সাড়ে তিনলাখ টাকা উঠিয়েছে। আমাকে না জানিয়ে। মানুষ চরিত্রহীন বা বিপথে গেলে যে কোন কিছুরই তোয়াক্কা করে না, এটা বেলালের এই আচরণে আমি নিশ্চিত হলাম। বেলাল ঠিক পথে নেই, সামথিং ভেরি রং।
চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে