#উজান_ঘাটের_মাঝি
#জাকিয়া_সুলতানা_ঝুমুর
#পর্ব_১৩(সমাপ্ত)
জয়তুন বেগম মুখ ভার করে বসে আছে।আরফান উনার মনোবাসনা এমন এক তুড়িতেই যে নষ্ট করে দেবে তা উনি কল্পনাও করেনি।উনার কথার অবাধ্য হওয়ার সাহস কি করে হলো?ছেলেটা এতো বেয়াদব তা আগে কখনো চোখে পরেনি।নাতীর সামান্য আবদার রাখতে না পারার কষ্টে মুখ ভার করে সোফায় বসে আছে।এই বাড়ির ছেলে মেয়েগুলো এতো খারাপ!একটা আরেকটার সাথে প্রেমে মশগুল হয়ে গেছে।মানসম্মান পুরো শেষ।
আরশ রুম থেকে বেরিয়ে তার নানীর বিষন্ন চেহারা দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকায়।তার নানী আর মা একটু বেশীই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে যা মোটেও শোভন না।হ্যাঁ সে তিতিরকে পছন্দ করেছিলো,বিয়ে করার আশা বুকে মাথানাড়া দিয়ে উঠেছিলো।কালকে তিতির আর আরফানকে স্বামী স্ত্রী রূপে দেখে তার যে খারাপ লাগেনি এটা একদম মিথ্যা কথা তারও কিঞ্চিৎ খারাপ লেগেছে,ঘন মেঘে মনটা নিমিষেই ভরে গিয়েছিলো কিন্তু সে তো আর বাচ্চা না সঠিক ভুল বুঝার ক্ষমতা তার রয়েছে।সে তিতিরকে পছন্দ করেছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার আগে তিতিরের থেকে সম্মতি নেয়া উচিত ছিলো,ওর পছন্দ অপছন্দ আছে কিনা সেটা জানা উচিত ছিলো কিন্তু সে তা না করে বিয়ের আয়োজন শুরু করেছে কিন্তু তার পছন্দেই কি বিয়ে হবে! সে পছন্দ করেছে তিতিরকে কিন্তু তিতির!সে যে পছন্দ করে আরফানকে।দুজনেই মতেই তো বিয়ে হয় একজনের মতে কিছু হয় না।এখন অবশ্য আরফানের কোনো আফসোস নেই তিতির আরফানের কাছে সুখি, সে ও না হয় তার সুখ সন্ধানী পাখি খুঁজে নেবে।কিন্তু তার নানীর প্রতিক্রিয়া সবার চোখে পরার মতো।আরশের ধারনা জয়তুন বেগমের এমন প্রতিক্রিয়ার জন্যই তার মামা আরফান আর তিতিরকে এমন শাস্তি দিয়েছে।বিয়ে করার পরেও আলাদা থাকবে এমন হবে কেনো?এটা কি ঠিক!সে জয়তুন বেগমের কাছে গিয়ে বসে।
“নানী!”
জয়তুন বেগম নাতীর দিকে তাকায় কিন্তু কোনো কথা বলে না।
আরশ তার নানীর নিশ্চুপ চেহারার দিকে তাকিয়ে বললো,
“নানী!তোমার কি মন খারাপ?”
জয়তুন বেগম বললো,
“না।”
“তোমরা ব্যাপারটা শুধু শুধুই বাড়াচ্ছো।”
জয়তুন বেগম নাতীর দিকে তাকিয়ে বললো,
“তোর চাওয়াটা পূরণ করতে পারলাম না,তিতিরকে এনে দিতে পারলাম না।”
আরশ তার নানীর হাত ধরে বললো,
“নানী,তিতিরকে আমি পছন্দ করেছিলাম তাই বিয়ে করতে চেয়েছি কিন্তু তিতির আরফানকে ভালোবাসে তাহলে আমি বিয়ে করবো কিভাবে?তিতির কি কোনো পন্য নাকি যে কিনে আনবো তিতির যদি কোনো পন্য হতো তাহলে আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে হলেও তিতিরকে আমার করে নিতাম।এখন অন্য কাউকে নিজের করে নেবো।দেশে কি মেয়ের অভাব নাকি?”
জয়তুন বেগম চুপ করে থাকে।আরশ বললো,
“তুমি আর আম্মা এমন করা বন্ধ করো।”
“কি করলাম আমরা?”
“এমন মন খারাপ করে থাকো বলেই তো মামা আরফানকে এমন শাস্তি দিলো।”
“ভালো হয়েছে।”
“এটা ভালো হলো কি করে?ওরা এখন স্বামী স্ত্রী তাদের আলাদা করার সিদ্ধান্ত কখনোই ভালো হতে পারে না।”
“আমি কি করতে পারি?”
“তুমি মামাকে বললে মামা নিশ্চয়ই এতোবড়ো সিদ্ধান্ত নেবে না।”
জয়তুন বেগম আরশকে যেমন ভালোবাসে তেমনি আরফান আর তিতিরকেও ভালোবাসে।আরশের মনোবাসনা পূরন করতে না পেরে তাদের উপর ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন কিন্তু বিয়ে যেহেতু হয়েই গিয়েছে এখন আর আলাদা করা আসলেই ঠিক হবে না।একে অপরের উপর সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।উনি মাথা নেড়ে বললো,
“আচ্ছা, আমি বলবো।”
শাহাবুদ্দিন খান আর মহিবুল্লাহ খান একসাথে বসে আছে।দুজনেই বিভ্রান্ত।মায়ের কথা রাখতে পারেনি তাই তাদের মুখ বিমর্ষ।জয়তুন বেগমকে দেখে শাহাবুদ্দিন খান নড়েচড়ে বসে বললো,
“আম্মা,আপনার কথা রাখতে পারিনি,আমি লজ্জিত।”
জয়তুন বেগম চুপচাপ বসে।শাহাবুদ্দিন বললো,
“আম্মা আপনি চাইলে ওদেরকে আরো বড়ো শাস্তিও দিতে পারবো।”
জয়তুন বেগম মাথা নেড়ে না করে।
ছেলেদের নিজের মনোবাসনা জানায়।শাহাবুদ্দিন আর মুহিবুল্লাহ দুজনেই জানে তাদের সিদ্ধান্তটা ভুল ছিলো কিন্তু ছেলেমেয়ে অনুমতিবিহীন এমন কাজ করে ফেলাতে প্রচুর রাগ হয়েছিলো।পারতপক্ষে তারা দুইভাই’ই মায়ের বাধ্যগত সন্তান; ছেলে-মেয়ের এমন কাজে শুধু উনারা না বিশেষ করে জয়তুন বেগম অখুশি ছিলেন।এখন মায়ের সিদ্ধান্ত শুনে তারা চুপচাপ বসে থাকে।শাহাবুদ্দিন খান গলা উঁচিয়ে উনার স্ত্রী সালমা বেগমকে ডাকে।
আরফানকে ঢাকা যেতে নিষেধ করে।ছেলে ঢাকা না যেতে বলার কারণ শুনে উনি খুশী হয়ে যায়।আর কারো নজরে না পরলেও ছেলের গম্ভীর, বিষন্ন চেহারা উনার নজরে ঠিকই পরেছে।সারাটাদিন কেমন ছটফট করে কাটিয়েছে।উনি দেরী না করে ছুটে রুমের দিকে যায়।
আরফান ঠাস ঠুস করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যাগে নিচ্ছে।রাগে নাকের পাটাতন ফুলে ফুলে শ্বাস বের হচ্ছে।তার বাপ তার সাথে এতোবড়ো শ,ত্রুতা কি করে করতে পারলো?কতোদিনের আশা ছিলো তিতিরকে নিজের করে পাওয়ার কিন্তু এখন বিয়ে করার পরে কাছে পাবে দূরের কথা একটু কথা বলারও ফুসরত মিলছে না।আর তিতির!গাধাটাও চোখের ইশারা-টিশারা বুঝে না আরফান কয়েকবার কাছে ডেকেছে কিন্তু ও দূরে দাঁড়িয়ে ছলছল চোখে তাকিয়ে থেকেছে।আরফানের মনে হচ্ছে সে উত্তাল সমুদ্রে আছে,ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে সে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে।তখনি সালমা বেগম এসে তাকে শাহাবুদ্দিন খানের কথাটা বলে।উনার বলা কথাটা যেনো উত্তপ্ত মরুভূমির মাঝে একপলশা বৃষ্টির মতো আরফানের মনকে শীতল করে দিলো।গোছানো ব্যাগ বিছানার একপাশে রেখে সে বসে পরে।
রাত বারোট।মাহমুদ খাটে বসে মারিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।মারিয়া অনেকক্ষণ যাবত মাথার চুল আঁচড়াচ্ছে।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আঁচড়ানো চুল আবার আঁচড়াচ্ছে আজকে যেনো মাথার চুল সব প্যাচ লেগে গেছে।মাহমুদ একদৃষ্টিতে মারিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,তার মুখে মিষ্টি হাসি।
মারিয়া আয়নার মাঝে মাহমুদের এমন দৃষ্টি দেখে চুপসে যায়।গতোকাল রাতে মাহমুদ বারান্দা থেকে আসার পূর্বেই সে ঘুমিয়ে গিয়েছিলো,আসলে ঘুমানোর ভান করছিলো যেনো মাহমুদ কিছু বলার সুযোগ না পায় কিন্তু তার চিন্তাভাবনায় গুড়েবালি দিয়ে মাহমুদ তার পরিকল্পনা বুঝে যায় তাইতো লাইট অফ না করে কাত হয়ে শুয়ে একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে ছিলো।মারিয়া মাঝে একবার চোখ খুলে এমন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকতে দেখে মিহিয়ে যায়।আজ সারাদিন দূরে দূরে থেকেছে,ভুলেও রুমে আসেনি অথচ যখন মাহমুদ তাকে পাত্তা দিতো না তখন সে ঠিকই পিছুপিছু ঘুরতো।এই যে এখন এতো লজ্জা লাগছে আগে কোথায় ছিলো এতো লজ্জা?এখন মাহমুদ কাছে আসলেও যেনো ভয়ে বুকটা ধিমধিম করে উঠে।এই মানুষটার জন্যই কতো নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানিয়েছে তা একমাত্র সে আর তার আল্লাহ জানে।কালকে রাতে নাহয় ঘুমিয়ে যাওয়ার নাটক করে পার পেয়ে গিয়েছিলো কিন্তু আজকে!আজকে পার পাবে কি করে?এতোসব ভাবনার মাঝেই মারিয়া খেয়াল করে মাহমুদ বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ায়।ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসছে।
মাহমুদ মারিয়ার পেছনে এসে দাঁড়ায়।
“চুলে কি হয়েছে?”
ধরা পরে যাওয়ার মারিয়া ভড়কে যায়।সে নিভু গলায় বললো,
“কিছু না। ”
মাহমুদ হাসে;চুল আঁচড়ানোর বাহানায় তার থেকে দূরে যাওয়ার সামান্য দূরূত্বটুকু গুচিয়ে মারিয়ার হাতের চিরুনি তার হাতে টেনে নেয়।আলতো হাতে মারিয়ার চুল আঁচড়াতে শুরু করে।চুল আঁচড়ানোর সময় মাহমুদের মৃদু হাতের স্পর্শে সে কেঁপে উঠে।মাহমুদ স্ত্রীর সুক্ষ্ম কাঁপন টের পায়।কাঙ্ক্ষিত নারীর সানিধ্যে এসে তার বুক কেমন করে উঠে।মারিয়াকে পেছন থেকে আঁকড়ে ধরে।মারিয়া কুকড়ে যায়,কেঁপে উঠে।মাহমুদের তপ্ত অধর মারিয়ার ঘাড়ে এসে লাগে।সে ছটফট করে উঠে,মাহমুদ তাকে পাজকোলা করে কোলে নেয়।বিছানায় শুয়ে মাহমুদ বললো,
“আজকেও কি ঘুমের ভান করবে?”
মারিয়ার ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসির রেখা ফুটে উঠে।সে হাসে।মাহমুদ মারিয়ার ঠোঁটের কোনে লেগে থাকা হাসিতে হাত ভুলিয়ে বললো,
“হাসলে হবে?”
মারিয়া আস্তে করে বললো,
“কি করতে হবে?”
“কালকে রাতে বলেছিলাম ভালোবাসি,তার উত্তর চাই। ”
মারিয়া মনে মনে শতোবার মাহমুদকে ভালোবাসি বলতে পারলেও কেনো জানি মুখে বলতে পারছে না।
“বলতে হবে?”
“অবশ্যই।”
মারিয়া মাথা নাড়ে।মাহমুদ নাকের সাথে নাক ঘষে বললো,
“কি হলো?”
“লজ্জা লাগে।”
“আগে পিছুপিছু ঘুরতে আর বলতে এখন আমি তোমার বর এখন বলতে লজ্জা লাগে?”
মারিয়ার সত্যিই আগের মাহমুদকে দেখলে এতো লজ্জা লাগতো না এখন যতো লজ্জা লাগে।সে আবারো মুচকি হাসে।
মাহমুদ তার দিকে ভিষণ মায়া মায়া চোখে তাকায়।
“বলোনা।বলো!”
এতো মায়াবী আবদার ফেরানো যায়?মারিয়া পারলোনা।সে মুগ্ধ চোখে মাহমুদের দিকে তাকিয়ে থাকে।মাহমুদ মারিয়ার চোখে চোখ রেখে বললো,
“আগে তো ভালোবাসি ভালোবাসি বলে পাগল করে ফেলতে।এখন এতো লজ্জা পাচ্ছো কেনো? ”
“জানি না।”
“লজ্জাবতী বউকে দেখতে ভালোই লাগছে কিন্তু ওই কথাটা বলতেই হবে।”
মারিয়ার এতো সুখ লাগছে ; সে অতি সুখে সুখের হাসি হাসে।হাত বাড়িয়ে সামান্য দূরে থাকা মাহমুদের গলা আঁকড়ে ধরে ফিসফিস করে বললো,
“ভালোবাসি,আমার সুপুরুষ।”
মাহমুদ মুগ্ধ চোখে হাসে।অধরের ছোঁয়া দেয় তার প্রিয়তমার কপালে।মারিয়া কিছু বলতে চায় কিন্তু অতি শান্তপুরুষ যেনো অশান্ত হয়ে গিয়েছে,মারিয়াকে কথা বলার সুযোগ দেয় না।মারিয়া চোখ বুজে নেয়,উল্লাসে মুখরিত হয় হৃদয় প্রাঙ্গন।
আরফান রুমে এসে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।সামনে আগাতে পারছেনা।তিতির খাটের একপাশে বসে ছিলো আরফানের আসার শব্দে উঠে দাঁড়ায়।আরফানকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিতির মাথা নিচু করে নেয়।আরফান হাসে,খুশী হয়,প্রিয়তমার লাজুক মুখের দিকে তাকিয়ে মনের ভেতরটা সুখে কানায় কানায় পূরণ হয়ে যায়।সে এগিয়ে আসে।তিতির হাসতে গিয়ে কেঁদে ফেলে আরফানের হাসিমুখ নিমিষেই হতভম্ব হয়ে যায়।এগিয়ে গিয়ে তিতিরের মুখটা হাতের আজলায় তুলে বললো,
“কি হলো?”
তিতির ফুপিয়ে উঠে বললো,
“তুমি আমার কাছে সেটা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না ।”
আরফান বললো,
“কেনো?”
“জানি না।”
আরফান পুষ্পর কপালে নিজের কপাল লাগিয়ে বললো,
“আমি তোমার খুব কাছে ছুঁয়ে দেখো,তাহলে বিশ্বাস হবে।”
তিতির আরফানকে জড়িয়ে ধরে।আরফান হেসে তিতিরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।সে বললো,
“এমন রাতে কাঁদতে হয় না তিতিরসোনা।”
তিতির অবুজ গলায় বললো,
“কি করতে হয়?”
আরফান তিতিরের নাকের ডগায় চুমু দিয়ে বললো,
“শুধুই আদর করতে হয়।”
তিতির লজ্জা পায়।লাজুক হেসে আরফানের বুকে মুখ লুকায়।আরফান তিতিরের নরম,মোলায়েম হাতের আঙ্গুলে নিজের আঙ্গুল দিয়ে পেচিয়ে বললো,
“তিতির!”
আরফানের কন্ঠে এমন কিছু ছিলো যেটা তিতিরের বুকের ভেতরটা একদম ছাড়খার করে দেয়,প্রচন্ড বাতাসে নাড়িয়ে দেয়।সে আরফানের দিকে তাকায়,আরফান কেমন আদরমাখা মায়াবী চোখে তাকিয়ে আছে।আরফান তিতিরকে ছেড়ে দাঁড়ায়।তিতিরের শরীর মৃদু কাঁপছে।আরফানের চোখে তার সবই পরিলক্ষিত হয়।সে তিতিরের হাত ধরে বললো,
“আমার তিতিরপাখি।আমি তোমার মাঝি হই?কথা দিচ্ছি সারাজীবন এর থেকেও বেশী ভালোবাসবো।”
তিতির মাথা নাড়ে।আরফান আর তিতির কেমন ঘোরলাগা এক
চোখের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তারপর একে অপরকে জড়িয়ে ধরে।আরফান আধো আধো কথায় তিতির খিলখিল করে হাসে।আরফান পরম মমতায় বিবাহিত স্ত্রীর কপালে ভালোবাসার স্পর্শ দেয়।দুজনের মনে ভালোবাসার উচ্ছাস ,কাঙ্ক্ষিত মানুষকে কাছে পেয়ে সমুদ্রের গর্জন উঠে হৃদয় মাঝে।আরফান তিতিরকে পাখির মতো উড়তে দেয়,তিতির আরফানের গালে ভালোবাসার ছোঁয়া দিয়ে বললো,
“তুমি আমার উজান ঘাটের মাঝি,আমার মাঝি।”
আরফান হাসে,ভালোবাসে তার প্রিয়তমাকে।অনেক অনেক অনেক বেশী।
নিঝুম নিস্তব্ধ রাত।চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকারে চারিপাশ ছেয়ে আছে।রাতের দুটো পাখি জোড়ায় জোড়ায় উড়ে যায়।নিঝুম রাত দুই রুমে সার্থক কপোত-কপোতীরা একসাথে সারাজীবন কাটানোর প্রতিজ্ঞা করে,ভালোবাসার জোয়ারে ভেসে যাওয়ার চেষ্টা করে।
সব ভালোবাসাই এমন পূর্নতা পাক।শত বাধা অতিক্রম করার সাহস হোক।আরফান-তিতির;মাহমুদ -মারিয়ার মতো সবাই পূর্ণতা পাক।
সমাপ্তি