#উজান_ঘাটের_মাঝি
#জাকিয়া_সুলতানা_ঝুমুর
#পর্ব_০৫
মাঝরাত! আরফান বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।পাশের রুমেই তার প্রাণভোমরা ঘুমিয়ে আছে।আরফানের পরিনত বয়স; মাথায় হাজারো উল্টাপাল্টা চিন্তা ঘুনেপোকার মতো কিলবিল করছে।আরফান দীর্ঘশ্বাস ফেলে।তার ইচ্ছেগুলো বড়োই অবাধ্য, আজকাল লাগামহীন ঘোড়ার মতো বেশামালভাবে ছুটে যায়।সে ডাক্তারি পড়ছে, সাথের মেয়ে সহপাঠীগুলো দেখতে খুব সুন্দর ; মাঝে মাঝে কয়েকজন তাকে ভালোবাসার জালে আটকানোর চেষ্টা করে তার সাথে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটাতে চায় কিন্তু এতো সৌন্দর্য কাছে টানার হাজারো আকুতি দূরে ঠেলে দেয় শুধুমাত্র এই মেয়েটার জন্য।ছোট বেলা থেকেই তিতিরকে কেমন আপন লাগতো নিজের মনে হতো, তখন ব্যাপারটা স্বাভাবিক লাগলেও একটুখানি বড়ো হবার পরে সে বুঝতে পারে এটা মোটেও স্বাভাবিক ব্যাপার না সে আসলে এই পিচ্ছির প্রেমে পরে গেছে।শুধু প্রেমে পরা বললে ভুল সে আজন্ম পা,গল হয়ে গেছে যে পা,গলের পা,গলামি তিতিরের ভালোবাসার পরশ ছাড়া ভালো হবে না।তাছাড়া আরফান ভালো হতেও চায় না বরং তিতিরকে নিজের করে পেয়ে গেলে পা,গলামির পরিমান বাড়াতে চায়,ভালোবাসার পা,গলামিতে ছোট পাখিটাকে ছাড়খার করে দেয়ার প্রয়াশ বুকের ছোট কুঠুরিতে আস্তে আস্তে জমা হচ্ছে।
বারান্দার বাহিরে লাগানো বেলী ফুল থেকে ভুরভুর করে সুগন্ধ আরফানের প্রেমে দগ্ধ হৃদয় আরো পাগলপারা করে দিচ্ছে,তার কেমন নেশা লাগছে,মনে হচ্ছে এখন যদি তিতিরকে কাছে পেতো তাহলে আদরে, ভালোবাসায় ঠিক কাঁদিয়ে ফেলতো।আরফান চোখ বন্ধ করে বারান্দার গ্রিলে মাথা ঠেকায়,ফোসফাস করে নিঃশ্বাস ফেলে দাঁড়িয়ে থাকে।
তিতির হাত বাড়িয়ে মোবাইল হাতে নেয়। রাত দুইটা বাজে অথচ চোখের তারায় একরত্তি ঘুম নেই।ভেতরটা কেমন ছটফট করছে।এর আগে কখনোই তার এমন অসহ্য অনুভূতি হয়নি,সবসময় নিশ্চিত মনে ঘুমাতে পেরেছে কিন্তু আজকের রাতটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।এতোদিন কোন হাভার জগতে বাস করতো ভাবতেই কেমন লাগছে।আরফানের শাসন,বকা,অকারনেই কথা কাটাকাটি,লুকিয়ে চুড়িয়ে দেখা এসব সে কখনোই খেয়াল করেনি কিংবা খেয়াল করার কোনো কারনই খুঁজে পায়নি। কিন্তু আজকে বেখেয়ালে তার প্রতি আরফানের নরম অনুভূতি দেখে তিতিরের ছোট হৃদয় পাহাড়ের হাজার মিটার উচ্চতায় টাঙ্গানো দোলনার মতো হু হু করে দুলে উঠে।কেমনতর ভ,য়ে গলা শুকিয়ে আসে।আরফান তার দিকে ভালোবাসার উষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় ভাবতেই বারংবার চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।এটা কি লজ্জা নাকি ভ,য় নাকি সংশয় তা সে জানে না শুধুমাত্র এটা জানে এখন থেকে আরফানের থেকে লুকিয়ে বাঁচতে হবে, না লুকালে আরফান তাকে শেষ করে দেবে।হাজারো চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ভোরের দিকে তিতির ঘুমিয়ে যায়।
এরপর মাস চলে যায় আরফান বাড়ি আসলে তিতির আরফানের সামনে যায় না একপ্রকার লুকিয়ে বাঁচে।যদি সামনে পরে যায় আস্তে করে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।তিতিরের এই উপেক্ষা আরফানের চোখে লাগে।আগে বাড়িতে আসলেই তিতিরের হইচই শোনা যেতো আর এখন এমন নিষ্প্রাণ হয়ে থাকে কেনো এটাই তার বুঝে আসে না।মেয়েটার হঠাৎ এই পরিবর্তন বাড়ির সবাই যেনো দেখছেই না কেননা সবাই বেশ স্বাভাবিক।আরফানের মনে হয় তিতির সবাইকে না বরং শুধুমাত্র তাকেই উপেক্ষা করছে।আর তিতিরের এমন ব্যবহার তাকে মানসিক অশান্তি দিচ্ছে,বাড়িতে যে সুখটুকুর জন্য আসা হতো তা যেনো দুঃখ রুপে প্রকাশ পাচ্ছে।রাতের খাবার খাওয়ার জন্য সবাই যখন টেবিলে বসেছে তখন তিতির চুপচাপ নিজের খাবার গলাধঃকরণ করতে ব্যস্ত।পাশের একজোড়া গাঢ় চোখ যে তাকেই দেখছে সে ব্যাপারে অজ্ঞ হলেও না বুঝার ভান করে জলদি নিজের খাবার খেয়ে যাচ্ছে যেনো টেবিল থেকে যেতে পারলেই বাঁচে।
আরফান আড়চোখে সবটাই পর্যবেক্ষণ করে, ভ,য়ের নিশানা খামচে ধরে কলিজা। তার হওয়া পাখি কি অন্যকেউ দখল করে নিলো?তা না হলে একটা মেয়ে এতো দ্রুত কিভাবে পালটে যাবে?সে শুনেছে মেয়েরা প্রেমে পড়লেই নাকি পরিবারকে সময় দিতে চায় না,সারাদিন বদ্ধ রুমে থাকতে পছন্দ করে। সবাই খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে যাওয়ার পরে আরফান ছাদে যায়।মোবাইল বের করে তিতিরকে ফোন দেয়।আজকে এর সমাধান বের করবেই,তাকে এতো উপেক্ষা কেনো?মেয়েটা কি তাকে বাঁচতে দেবে না?এভাবে কি বাঁচা যায় নাকি?আজকে এর একটা বিহিত করতেই হবে।
আরফানের ফোন পেয়ে তিতিরের শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।গতো একমাস ধরে মনের গোপন ঘরে জন্ম হওয়া ভাবনাটা বেশ যাচাই বাছাই করা হয়েছে কিন্তু প্রতিবারই পজিটিভ রিভিউ পেয়ে ভ,য়ে আরো কুকড়ে গিয়েছে আবার নিজেকে এটাও বুঝিয়েছে যে সব মনের ভুল।চাচাতো ভাই বোন হয় তারা, তাকাতেই পারে এতে ক্ষতি কি?হয়তো তার আবেগপ্রবণ মন বেশী চিন্তা করে ফেলেছে।একমাস যাবত সে আরফানকে উপেক্ষা করছে যদিও আরফান মুখে কিছু বলেনি কিন্তু তার সুচালো দৃষ্টি তিতির ঠিকই দেখেছে তারপরও সে আগের মতো স্বাভাবিক হতে পারেনি।আরফানের কথা ভাবতে ভাবতে তিতিরের মনেও হাজারো দুষ্টু চিন্তা এলোমেলো ঘুরে যায়,লজ্জায় কাঁপিয়ে দিয়ে যায় তিতিরের ছোট দেহ। তিতির আবারো ফোনের মৃদু রিনিঝিনি শব্দে চমকে উঠে।আরফান এই নিয়ে পনেরো বার ফোন দিলো কিন্তু একবারও তিতির ফোন উঠায়নি।সে ফোন যেমন উঠাবেনা তেমন আরফানও যেনো ফোন দেয়া বন্ধ করবেনা।অগ্যতা নিরুপায় হয়ে তিতির ফোনটা রিসিভ করে কানের সাথে লাগিয়ে নেয়।উপাশ থেকে ঘন গলায় এক পুরুষালী কন্ঠ কেমন মায়াময় আবেগ মিশিয়ে ডাকে,
“তিতির…”
আরফানের এমন নেশামাখা ঘন গলার স্বর তিতিরের আগে কখনো শোনার ভাগ্য হয়নি অথবা এমন করে শুনেনি।আজকে আরফানের গলার স্বর শুনে তিতির কেমন কেঁপে উঠে।বুকের হৃদপিণ্ড ধিমধিম করে তার গতিবেগ বাড়িয়ে দেয়।মুহূর্তেই গলার থেকে পুরো মুখ শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, কথা বলার সর্বশক্তি যেনো নিমিষেই উধাও হয়ে যায়। আচ্ছা সে কি এই ডাক্তারের প্রেমে পরে যাচ্ছে?নিজের আবোল তাবোল চিন্তায় নিজেই মুর্ছা যায়।হুশ ফিরে আরফানের কথায়,
“আমার কথা শুনতে পাচ্ছিস?হালো!তিতির।”
তিতির সাহস সঞ্চয় করে বললো,
“জ্বী ভাইয়া বলুন।”
তিতিরের কন্ঠ শুনে আরফান চোখ বন্ধ করে নেয়।ভ,য়ংকর!এই মেয়ের কন্ঠ ভ,য়ংকর সুখের।সে বললো,
“কি করছিস?”
তিতির মিথ্যা মিথ্যা বললো,
“পড়ছি।”
আরফান বললো,
“এতো রাতে পড়ছিস?”
“সামনে পরিক্ষা তো তাই। ”
“ভালো মেয়ে হয়ে গেছিস। ”
আরফানের কথায় তিতির কি প্রতিউত্তর দেবে ভেবে পেলো না সে বললো,
“হ্যাঁ। আচ্ছা তাহলে রাখি । ”
“না।”
আরফানের ধমকে তিতির কেঁপে উঠে।আরফান বললো,
“ছাদে আয় তো।”
“এতো রাতে?”
“হ্যাঁ। কোনো সমস্যা? ”
আগেও অনেকবার সে আরফানের সাথে ছাদে দুষ্টুমি করেছে কিন্তু আগের অনুভূতি আর এখনের অনুভূতি যে সম্পূর্ণ ভিন্ন।সে বললো,
“সকালে দেখা করবো।”
“তাহলে আমি তোর রুমে আসি?”
“না না।”
“তাড়াতাড়ি আয় তিতির।”
তিতির ভ,য়ে ভ,য়ে বললো,
“কেনো ভাইয়া?”
আরফান যেনো গলার শক্তি কমিয়ে দিলো আস্তে করে বললো,
“আমি খুব অসুস্থ তাই।”
তিতির চিন্তিত্ব হয়ে বললো,
“তাহলে কি বড়োমাকে জাগাবো?”
“তোকে এতো পাকনামি করতে বলেছে কে?তুই আয়। কুইক। ”
তিতির কিছু বলার আগেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় । তিতির ধীর পায়ে ছাদের দিকে যায়।সিড়িকোঠায় জ্বালানো ছোট লাইটের আলো ছাদের নিকষ কালো অন্ধকার দূর করে দিয়েছে।সেই আলোয় তিতির ছাদের এককোনে আরফানকে আবিষ্কার করে।আলতো পায়ে এগিয়ে যায় সেদিকে। তিতিরের উপস্থিতি টের পেয়ে আরফান তিতিরের দিকে ফিরে তাকায়।নিশ্চুপ হয়ে কিছুক্ষণ সামনে দাঁড়ানো রমনীকে পর্যবেক্ষণ করে।আরফানকে কিছু না বলে এমন করে তাকিয়ে থাকতে দেখে তিতির হাফসাফ করে উঠে।তিতিরের অসস্থি বুঝতে পেরে আরফান অন্যদিকে তাকায়।তারপর বললো,
“কেমন আছিস?”
এক বাড়িতে থেকেও এমন প্রশ্নে তিতির চমকায়।মাথা নাড়িয়ে আলতো স্বরে বললো,
“ভালো।”
আরফানের মনে হলো এবার অনুভূতি প্রকাশের সময় এসেছে, আর কতো এই পাথরের মতো গভীর ভালোবাসা একা একাই বয়ে বেড়াবে?সে সোজাসাপটা প্রশ্ন করলো,
“এমন ব্যবহার করার মানে কি?”
তিতির যা ভ,য় পাচ্ছিলো ঠিক তাই,আরফান তার ভাবনা অনুযায়ী এগুচ্ছে।সে না বুঝার ভান করে বললো,
“কি ব্যবহার?”
আরফান অন্ধকার থেকে চোখ সরিয়ে তিতিরের দিকে তাকায়।তাকে তাকাতে দেখে তিতির অন্যদিকে তাকিয়ে নেয়।
“তুই বুঝিস না?”
তিতির অবুজ গলায় বললো,
“কি বুঝবো?”
আরফান গভীর চোখে তাকিয়ে থাকে।
“আমাকে এমন এড়িয়ে যাচ্ছিস কেনো?”
“কই এড়িয়ে যাচ্ছি?”
“যাচ্ছিস না?”
“না।”
“আমার দিকে তাকিয়ে বল। ”
তিতির আরফানের দিকে তাকায়।মায়াময় গভীর চোখের দৃষ্টি তাকে ঘোরে নিয়ে যাচ্ছে।সে বললো,
“কি বলবো?”
“আমাকে উপেক্ষা কেনো?”
“এমনি। ”
“ঢাকা থেকে এতো জার্নি করে এই উপেক্ষার জন্য আসি?”
“কেনো আসেন?”
“কেনো আসি! তুই বুঝিস না?”
“কি বুঝবো?”
“আমার সুখটা এভাবে কেড়ে নিচ্ছিস কেনো?”
“আমি কিভাবে সুখ কেড়ে নিলাম?”
আরফান একটু সামনে এগিয়ে আসে।
“বুঝেও না বুঝার ভান করবিনা। ”
তিতিরের বুকটা ধুকপুক করে বলে সে এখনি ম,রে যাবে। সে বললো,
“আপনি কি বলছেন?”
আরফান হাল ছেড়ে দেয়,বিরক্তিভাজন হয়ে হাত নেড়ে বললো,
“কিছুনা।”
তিতির কি বলবে ভেবে পায় না। তারপর আস্তে করে আরফানকে ডাকলো,
“ভাইয়া!”
“রুমে যা।”
তিতির পুরুষটার দিকে তাকিয়ে থাকে।হঠাৎ সে খেয়াল করে আরফানের কাছে থাকতে তার ভিষণ ভালো লাগছে, নিঝুম রাত, হালকা ঠান্ডা বাতাস,এতোদিনের চাপা অশান্তি যেনো নিমিষেই কেমন সুখসুখ ভাবে তাকে আলোড়িত করছে।ছাদ থেকে যেতে একটুও ইচ্ছে করছেনা বরং মাথায় ভ,য়ংকর সব ছেলেমানুষী চিন্তা খুচিয়ে যাচ্ছে,হাত পা শিরশির করে তাকে সাহস দিচ্ছে,কাছে যাওয়ার বাহানায় উষ্কে দিচ্ছে।কিন্তু পুরুষটি যে নিজেই তাকে চলে যাওয়ার জন্য বলেছে সেখানে সে থাকবে কিভাবে? তিতির আস্তে করে বললো,
“চলে যাবো?”
তিতিরের কন্ঠে আরফান তিতিরের দিকে তাকায়।এমন অশান্ত,অগোছালো আরফানকে তিতির চিনে না,আরফানের চোখের দিকে তাকিয়ে তিতিরের কেমন সুখের ঘন্টা ঝনঝন করে বেজে উঠলো।কেঁপে উঠলো ছোট দেহ।আরফান আর তিতির একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে।আরফান কিছু বলার আগে তিতির চলে যেতে চায়,ভ,য়ংকর কিছুর আশংকা তাকে দোলা দিচ্ছে কিন্তু পা দুটো বড়োই সর্বনাশা,একদম নড়তে চাচ্ছে না। হঠাৎ তিতিরের সামনে আরফান ঝড়ের গতীতে এসে উপস্থিত হয়।তিতিরকে কিছু বুঝে উঠার আগে নিজের সাথে আঁকড়ে ধরে তিতিরের ছোট দেহ।তিতির কেঁপে উঠে,দম বন্ধ করে নেয়।আরফানের মাথায় যেনো এতোদিনের সব নেশা একসাথে চেপে এসেছে,জগৎ-সংসার,সম্পর্ক সবকিছুর কথা ভুলে আলতো করে চুমু খায় তিতিরের নরম ঠোঁটে।পরপর কয়েকটা চুমু দিয়ে থেমে যায়,আবছাভাবে তিতিরের প্রতিক্রিয়া বুঝার চেষ্টা করে,তিতিরকে চুপচাপ থাকতে দেখে আরেকটা মিষ্টি চুম্বন দেয়।আরফানের এমন হঠাৎ আক্রমনে তিতিরের বুকে নতুন জোয়ার এনে দেয়,তাকে পরিচয় করিয়ে দেয় ভালোবাসার এক অন্যন্য সুখের সাথে।বালিকার বুকে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পরে,এলোমেলো করে দেয় তাকে।দুহাত দিয়ে আঁকড়ে ধরে লম্বা,বলিষ্ঠ পুরুষটাকে।থেমে যাওয়া ঠোটের স্পর্শ আবারো নতুন করে জাগিয়ে দেয়।তিতিরের এইটুকু আহব্বান আরফানকে পাগল করে তুলে,এতোদিনের জমিয়ে রাখা সবটা ভালোবাসা পাগলের মতো মাথা নাড়া দিয়ে উঠে।অথচ দুজনের কেউই কাউকে ভালোবাসার কথা বলেনি,বুকের ভেতর অনুভূতির ডানা ঝাপটানোর কথা বলেনি,অনুভূতির সুক্ষ্ম বাঁকগুলো জেউ কাউকে দেখায়নি কিন্তু তাদের কাছাকাছি আসা হয়ে গেছে,মিষ্টি ঠোঁটের কোনে একটু আধটু ভালোবাসার ছাপ দৃশ্যমান।আরফান ফিসফিস করে বললো,
“আমার তিতিরপাখি,খুব ভালোবাসি সোনা।”
চলবে……