( প্রাপ্ত বয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত)
#ইরোরা
#পর্ব_তিন
#কাওসার_আহমেদ
সারারাত কারো চোখে ঘুম নেই। ঘুম আসবেই বা কী করে! কারো মৃ*ত্যু হবে, আর সেটা মৃ*ত্যু*র আগের দিনই জানতে পারা, যেন ভবিষ্যত জানার মতোই ভ*য়*ঙ্ক*র। ডিবি পুলিশ ভালো করেই জানে যে সকালে তারা দুটো লা*শ পাবে। নাহিদ আর লিমনকে খুঁজতে অনেক চেষ্টা করলেও, তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে হার মানা ছাড়া উপায় নেই।
সকাল ঠিকই হলো, তবে অবাক করার মতো ঘটনা ঘটে গেল। দুটো লা*শে*র বদলে তি*ন*টা লা*শ পাওয়া গেল! নাহিদ ও লিমনের লা*শ ছাড়াও, তৃতীয় লা*শ*টি এক মহিলার। বয়স চল্লিশের কাছাকাছি হবে। ঘটনাস্থল স্যামুয়েলের বাড়ির কাছেই হওয়ায়, সে আগে থেকেই সেখানে পৌঁছে যায়। একটা পরিত্যক্ত বাড়ির এক রুমে তিনটা লা*শ, র*ক্তে ভেসে যাচ্ছে পুরো রুম। খুনের পদ্ধতি একদম একই—ড্রিল মেশিন দিয়ে বুকের উপরে এমনভাবে ছিদ্র করা হয়েছে, যেন ছিদ্র দিয়ে অন্যপাশটা দেখা যাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর আরমান, ইশিতা এবং ডক্টর মেহতাবের টিম এসে উপস্থিত হয়। ডক্টর মেহতাব স্যামুয়েলকে দেখে বললেন,
“তুমি এখানে?”
“একা একা ভালো লাগছিল না, তাই আপনাদের সাথে কাজ করতে চলে এলাম। চলুন, লাশের কাছে যাই,” স্যামুয়েল বলল।
“কাছে গিয়ে কোনো লাভ হবে বলে মনে হয় না। আগের চারজনের ক্ষেত্রেও তো কিছু খুঁজে পাইনি। মনে হচ্ছে, খুনি এমনভাবে কাজ করছে যে কোনো সূত্র বা প্রমাণ রেখে যাচ্ছে না। নিজের কাছে খারাপ লাগছে যে তোমাদের কোনোভাবে সাহায্য করতে পারছি না,” ডক্টর মেহতাব হতাশ সুরে বললেন।
“তবুও চলুন, একনজর দেখে আসি,” স্যামুয়েল বলল।
ঘটনাস্থল ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার পর তারা সবাই স্থান ত্যাগ করল।
পুলিশ স্টেশনে পৌঁছানোর পর, অমিত এসে জানালো যে ওই পাঁচজন বন্ধুর মধ্যে চারজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
“তোমাদের তো নজর রাখতে বলেছিলাম। তারপরও কীভাবে তারা নিখোঁজ হলো?” স্যামুয়েল ক্ষুব্ধভাবে জিজ্ঞাসা করল।
“বাকি একজন কোথায়?” এবার আরমান জানতে চাইল।
“ভিতরে আছে,” অমিত উত্তর দিল।
“সে কিছু বলেছে?” স্যামুয়েল জানতে চাইল।
“কারো সাথে বিজনেস মিটিং করার কথা বলেছিল। তার মতে, ভোরের দিকে তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। কাল রাতে সবাই একসাথে ছিল,” অমিত জানাল।
“কোথায় বা কার সাথে দেখা করতে যাবে, এই বিষয়ে কিছু বলেছিল?” স্যামুয়েল আরও জানতে চাইল।
“না স্যার, কিছু বলেনি।”
“ওদের ফোন কোথায়? ফোন খুঁজে বের করো। ফোন থেকে কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে,” স্যামুয়েল নির্দেশ দিল।
“ওকে স্যার,” বলে অমিত তৎক্ষণাৎ কাজে লেগে গেল।
এক ঘণ্টা পর, ইশিতা খুশিমুখে একটা ফাইল হাতে নিয়ে হাজির হলো। তখন আরমান নিখোঁজ চারজনকে খুঁজতে ব্যস্ত ছিল। ইশিতা ফাইলটা স্যামুয়েলের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
“একটা ক্লু পেয়েছি। আমার মনে হচ্ছে, এই সূত্র ধরেই আমরা খুনির কাছে পৌঁছাতে পারব। দেখো, ওই দশজন বন্ধু আর আজকে খুন হওয়া মহিলার মধ্যে একটা মিল আছে—সবাই সিমিরাতি কলেজের (কাল্পনিক নাম) প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী। আর ওই মহিলা এই কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন।” ফাইলের মধ্যে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলল ইশিতা।
স্যামুয়েল ফাইলটা ভালো করে দেখল এবং বলল, “ঘটনা তাহলে এখানে। র্যাগিং বা বুলিং কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ব্যাপার। হতে পারে, এরকম কিছু ঘটেছিল। চলো, কলেজে গিয়ে অনুসন্ধান করি।”
_______________
এক ঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে ইশিতা এবং স্যামুয়েল পৌঁছাল সিমিরাতি কলেজে। খোঁজ নিয়ে তারা সরাসরি প্রিন্সিপাল স্যারের অফিসে প্রবেশ করল। পরিচয় দেওয়ার পর প্রিন্সিপাল তাদের বসতে বললেন।
“বলুন, কীভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি?” তিনি জিজ্ঞেস করলেন।
প্রিন্সিপাল তখনও জানতেন না যে তার কলেজের এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। ইশিতা একটি ছবি বের করে দেখিয়ে বলল, “উনি আজ সকালে মা*রা গেছেন। মা*রা গেছেন বললে ভুল হবে, হ*ত্যা করা হয়েছে উনাকে।”
ইশিতার কথা শুনে প্রিন্সিপাল চশমা খুলে টেবিলে রাখলেন এবং শোক প্রকাশ করলেন। চোখ মুছে বললেন, “উনার মৃ*ত্যু*র খবর শুনে আমি মর্মাহত। খুব ভালো শিক্ষিকা ছিলেন। গত বছর রিটায়ারমেন্ট নিয়েছেন। একটা ছোট এক্সিডেন্টে পায়ে সমস্যা হয়েছিল, তাই বাধ্য হয়ে অবসর নেন।”
স্যামুয়েল জানতে চাইলেন, “আপনি কতদিন ধরে এই কলেজে আছেন?”
“তিন বছর হলো,” প্রিন্সিপাল উত্তর দিলেন।
“পাঁচ-সাত বছর পুরনো কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকা থাকলে তাদের একটু ডাকবেন কি?” স্যামুয়েল বললেন।
প্রিন্সিপাল ফোন করে চারজন শিক্ষিকাকে ডাকলেন।
“উনারাই আট বছর ধরে আছেন। বাকিরা ট্রান্সফার হয়েছে বা রিটায়ার করেছেন। আপনারা তাদের সাথে কথা বলতে পারেন,” প্রিন্সিপাল জানালেন।
ইশিতা প্রিন্সিপালের রুম থেকে বেরিয়ে কলেজটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে লাগল। এদিকে, স্যামুয়েল চারজন শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে বলল, “আপনাদের এক প্রাক্তন শিক্ষিকাকে আজকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছি, এই ঘটনার সাথে এই কলেজের কোনো ছাত্র বা শিক্ষক জড়িত থাকতে পারে। গত পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে এই কলেজে কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষক কোনো ধরণের অন্যায় করেছে কি না, সেটা আমাদের জানতে হবে। হয়তো কোনো টিচার্স কোনো স্টুডেন্টের সাথে অন্যায় করেছেন বা কয়েকজন স্টুডেন্ট একজন ছাত/ছাত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার, আচরণ করেছে।”
একজন শিক্ষিকা উত্তর দিলেন, “আমাদের কলেজের এমন কোনো রেকর্ড নেই।”
“ভালো করে ভাবুন,” স্যামুয়েল বলল। “হয়তো ছোট কিছু ঘটেছে যা আপনারা ভুলে গেছেন। র্যাগিং, বুলিং, কিছু হতে পারে।”
তখন অন্য একজন শিক্ষক বললেন, “হ্যাঁ, মনে পড়েছে! প্রায় ছয় বছর আগে রায়হান নামের একটি ছেলে এবং জুতি নামের একটি মেয়েকে কিছু ছাত্র বুলিং করেছিল। তাদের নাম ছিল রাইছা, লিমন, রাকিব, আর… বাকিদের নাম মনে পড়ছে না।”
“আপনার কাছে জুতি এবং রায়হানের ডিটেইলস আছে?” স্যামুয়েল জিজ্ঞেস করল। “এবং আপনার আগের প্রিন্সিপালের তথ্যও দরকার।”
প্রিন্সিপাল বললেন, “আমাকে একটু সময় দিন। অনেক আগের ঘটনা, তাই খুঁজে বের করতে কিছুটা সময় লাগবে।”
স্যামুয়েল সম্মতি জানাল।
ডিটেইলস পাওয়ার পর স্যামুয়েল প্রিন্সিপালকে ধন্যবাদ জানিয়ে অফিস রুম থেকে বেরিয়ে এল এবং ইশিতাকে সব খুলে বলল।
“ওদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ?” ইশিতা জানতে চাইল।
“বড়লোকের ছেলে-মেয়ে ওরা। কলেজ কর্তৃপক্ষের সাহস ছিল না ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। জুতির বাড়ির লোকেশন হচ্ছে বি-৩৬, পুরান পড়া, ৭ নাম্বার বাড়ি। তুমি সেখানে যাও। আমি রায়হানের বাড়িতে যাচ্ছি, লোকেশনটা আবার দেখা নেই, সি-৮, নয়া পড়া, ১০ নাম্বার বাড়ি।” স্যামুয়েল বলল। (লোকেশনগুলো কাল্পনিক)
লোকেশন দুইটাই কাছাকাছি, তাই একসঙ্গে যাওয়াই সিদ্ধান্ত নিল তারা। স্যামুয়েল গাড়ি চালাচ্ছিল, কলেজ থেকে পঁচিশ মিনিটের দূরত্ব। সময় মতো পৌঁছে দুজন দুদিকে চলে গেল।
অনেকক্ষণ কলিং বেল বাজানোর পর অবশেষে দরজা খুলল দুজন। চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তারা রায়হান বা জুতি কেউই নয়। চোখে এক ধরনের ঘুম-ঘুম ভাব ছিল তাদের। পরিচয় দেওয়ার পর দুজনকে ভেতরে আসতে বলল তারা।( দুই লোকেশনের কাহিনী একসাথে বলা হয়েছে)
_______________
“অমিত, তাদের ফোন থেকে কিছু জানতে পেরেছো?” স্যামুয়েল জিজ্ঞেস করল।
“হ্যাঁ স্যার। গত দশ দিন ধরে দুটি অপরিচিত নাম্বার থেকে মেসেজের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে,” অমিত জানাল।
“নাম্বার দুটি কার, তা জানতে পেরেছো?” স্যামুয়েল আবার জিজ্ঞেস করল।
“যাদের নামে নাম্বার দুটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, তারা আর বেঁচে নেই, স্যার,” অমিত উত্তর দিল।
“নাম্বার দু’টোর লোকেশন ট্র্যাক করতে পেরেছো?”
“হ্যাঁ স্যার, গত দশদিন ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাম্বারগুলো সচল ছিল,” অমিত বলল।
অমিত বিভিন্ন লোকেশনের তথ্য শেয়ার করতে শুরু করল। দুটি লোকেশন শুনে আরমান তাকে থামিয়ে নিজের ফোন বের করে স্যামুয়েলের দেওয়া লোকেশনের সাথে মিলিয়ে নিল। হ্যাঁ, লোকেশনগুলো মিলে গেছে।
“পেয়েছি! এই দুটি লোকেশনে বর্তমানে ইশিতা ও স্যামুয়েল অবস্থান করছে। আমাদেরও সেখানে যেতে হবে। ওই অপরিচিত নাম্বারগুলো যারা ব্যবহার করছিল, তাদের ধরতে পারলে আমরা খুনির কাছে পৌঁছাতে পারবো,” আরমান বলল।
অমিত একটি টিম নিয়ে স্যামুয়েলের অবস্থানের দিকে রওনা হলো, যা রায়হানের বাড়ির লোকেশন। আরমান নিজে ইশিতার অবস্থান যেখানে, সেখানে চলে গেল।
ইন্টারোগেশন টেবিলে দু’জনকে বসানো হয়েছে। যথাসময়ে আরমান এবং অমিত পৌঁছে তাদের গ্রেফতার করে আনা হয়। জুতির বাড়িতে যাকে পাওয়া গেছে, সে এখন স্যামুয়েলের সামনে বসে আছে। অন্যদিকে, রায়হানের বাড়ি থেকে যাকে পাওয়া গেছে, সে বসে আছে আরমানের সামনে।
“আপনি জুতি নন, জুতির সাথে আপনার সম্পর্ক কী?” স্যামুয়েল প্রশ্ন করল।
“জুতির বড় বোন আমি,” মহিলা শান্ত স্বরে উত্তর দিলেন।
“জুতি এখন কোথায় আছে? কী করছে?”
“মারা গেছে তিন বছর আগে।”
“কীভাবে?”
“আ*ত্ম*হ*ত্যা করে।”
“আ*ত্ম*হ*ত্যা করার কারণ কী? আপনি কিছু জানেন?”
“কারণ তো একটাই-ছয় বছর আগের ঘটনা। ওরা আবার জুতিকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করেছিল। শেষ পর্যন্ত মেয়েটা আ*ত্ম*হ*ত্যা করতে বাধ্য হয়।”
“জুতির সাথে যা হয়েছে, তা অবশ্যই অন্যায় ছিল। কিন্তু আপনি হঠাৎ প্রতিশোধ নিতে গেলেন কেন? এত বছর পর কেন? ছয় বছর আগে বা জুতি আ*ত্ম*হ*ত্যা*র পরে নয় কেন?”
“মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমরা। বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। জুতির পাশে আমি ছাড়া কেউ ছিল না। ভেবেছিলাম সব ভুলে বোনকে নিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করবো। তাই করলাম। হঠাৎ তিন বছর আগে একটা ঝড়ে সবকিছু শেষ হয়ে গেল। তবুও মনকে বুঝিয়ে রাখলাম- ওদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবো না। তাই এতদিন চুপ ছিলাম। হঠাৎ সুযোগ এসে গেল, সেটাকে কাজে লাগালাম।”
“কেমন সুযোগ? কী ধরনের সুযোগ?”
“কিছুদিন আগে একটা পার্সেল পেলাম। তাতে জুতির সাথে হওয়া অন্যায়ের কিছু লেখা ছিল এবং কিছু ছবি ছিল নির্যাতনের প্রমাণ হিসেবে। পার্সেল পাঠানো ব্যক্তি আমাকে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তখন থেকেই আমি প্রতিশোধের কাজে নেমে পড়ি।”
রায়হানের বাড়িতে রায়হানের বাবা ছিলেন। রায়হান পঙ্গু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। রায়হানের বাবার বক্তব্যও জুতির বড় বোনের মতোই ছিল। তার কাছেও একটি পার্সেল এসেছিল। তাদের দুজনের মতে, তারা ওই চারজন বন্ধুর সাথে একটি ছোট্ট হোটেলে দেখা করেছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সেই লোকেশনে কোনো হোটেলই নেই। এর মানে সবকিছুই খুনির পূর্ব-পরিকল্পিত ফাঁদ ছিল।
তারা আরও বলেন, একজন মেয়ে ওয়েটার তাদের খাবার এনে দিয়েছিল। সেই খাবার খেয়ে তারা অজ্ঞান হয়ে যান। যখন তাদের জ্ঞান ফিরে, তখন নিজেদের বাড়ির সামনে পড়ে থাকতে দেখেন।
_________
শেষ চারজন বন্ধুর মধ্যে তিনজন মাটিতে নিথর পড়ে আছে, আর একজন মেয়ে চেয়ারে বাঁধা অবস্থায়। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে খুনি, নিস্তব্ধ পরিবেশের ভেতরে কেবল তার শীতল দৃষ্টি তাদের দিকে নিবদ্ধ।
মেয়েটির জ্ঞান ফিরতেই খু*নিকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো।
“ওই দেখো নিহা, তোমার বাকি তিনজন বন্ধুকে। কীভাবে নিথর হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। দেখতে সুন্দর লাগছে না বলো?”
একটা শীতল হাসি দিল খু*নি, যে হাসিতে কোনো প্রাণ নেই, আছে শুধু হাড়কাঁপানো ভয়। নিহার ভয়ে মুখ থেকে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না।
খু*নি এবার একটা পলিথিন ব্যাগ হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে নিহার দিকে এগিয়ে আসছে, মুখে সেই ভয়ানক প্রাপ্তির হাসি।
চলবে,,,,,,